মেহেরপুরের মুজিবনগরে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতার মামলায় আটক ৩

মেহেরপুরের মুজিবনগরে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় ৩ জন আটক করেছে মুজিবনগর থানা পুলিশ। মঙ্গলবার সকালের দিকে তাদের আটক করা হয়।

আটককৃতরা হলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থক জয়পুর গ্রামের চলমান মেম্বার সাকার উদ্দিনের ছেলে রমজান আলী(৫৫), আনন্দবাস গ্রামের শহীদ বিশ্বাসের ছেলে রানা বিশ্বাস(৪০) ও রুহুল আমিনের ছেলে মামুন(৪০)।

এদিকে আটকের পর মঙ্গলবার দুপুরে তাদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।

মুজিবনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উজ্জ্বল কুমার দত্ত বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন,নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতার ঘটনায় মামলার ভিত্তিতে আমরা এ পর্যন্ত তিনজনকে আটক করেছি, বাকিদেরও আটকের চেষ্টা চলছে। এছাড়া আর যেন কোন সহিংসতা না ঘটে সেই লক্ষ্যে ওই এলাকায় পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে। বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।

উল্লেখ্য, গতকাল রাত সাড়ে ৯ টার দিকে আনন্দবাস গ্রামে মেহেরপুর-১ আসনে নৌকার প্রার্থী ফরহাদ হোসেনের কর্মী-সমর্থকরা বিজয় মিছিল শুরু করে। মিছিলটি স্বতন্ত্র প্রার্থীর নেতা জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও মুজিবনগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জিয়া উদ্দীন বিশ্বাসের বাড়ির সামনে পৌঁছালে মিছিলের মধ্যে থেকে পরাজিত স্বতন্ত্র প্রার্থীর এক কর্মীকে চড় থাপ্পড় মারে। এতে ক্ষিপ্ত হয় স্বতন্ত্র প্রার্থীর লোকজনরা। ছাদের উপর থেকে নৌকার কর্মী সমর্থকদের উপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে। ঘটনার এক পর্যায়ে তারা দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিশোটা নিয়ে নৌকার কর্মী সমর্থকদের উপর হামলা চালায়। এতে নৌকার পক্ষের ১৮ ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর তিন কর্মী-সমর্থক আহত হয়।

এ ঘটনায় নৌকার সমর্থক আলতাব হোসেন বাদি হয়ে মুজিবনগর থানায় জেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান জিয়া উদ্দীন বিশ্বাসসহ মোট ২৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মামলার ভিত্তিতে মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) সকালের দিকে আনন্দবাস ও জয়পুর গ্রাম থেকে তিন জনকে আটক করে আদালতে সোপর্দ করেছে মুজিবনগর থানা পুলিশ।




যেসব ভেষজ খাবারে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে

শীতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর কোন বিকল্প নেই। সকলেই আজকাল স্বাস্থ্য সম্পর্কে কমবেশি সচেতন। তাই জেনে নেওয়া ভালো রোগ প্রতিরোধ বাড়াতে সাহায্য করে এমন তিন ভেষজ উপাদানের কথা:

তুলসি

ঠান্ডাকাশি সারাতে তুলসিপাতার গুণাগুণ আমরা সবাই জানি। এতে রয়েছে জীবানুনাশক গুণাবলি। শুধু ঠান্ডা কাশিই নয় দুশ্চিন্তা, উদ্বেগ, ক্লান্তি ইত্যাদি কমাতেও এর জুড়ি নেই। এতে থাকা অ্যান্টি এক্সিডেন্ট শরীরে জমে থাকা দূষিত পদার্থ দুর করে। তাই রোজ তুলসি খাওয়ার অভ্যাস আপনাকে রাখবে সুস্থ।

আমলকি
চুল ও ত্বকের সৌন্দর্যে আমলকির ব্যবহার তো আমাদের সবার জানা। তবে জানেন কি যকৃত থেকে শুরু করে ফুসফুস, মস্তিষ্ক ইত্যাদি অঙ্গ ভালো রাখে আমলকি। এতে থাকা ভিটামিন সি, অ্যামাইনো এসিড, পেকটিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ আমলকি প্রদাহ নির্মূল করে জীবাণুর সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে।

অশ্বগন্ধা
ব্যথা বেদনা থেকে শুরু করে প্রদাহ নির্মূল করতে অশ্বগন্ধার জুড়ি নেই। রোগ সারিয়ে শরীর সুস্থ করে তুলতে প্রাচীনকাল থেকে এই উপাদানের ব্যবহার হয়ে আসছে।




স্বতন্ত্র প্রার্থীরা কী বিরোধী দল গঠন করতে পারবে?

দ্বাদশ জাতীয় সংসদে কারা বিরোধী দল? ১১টি আসন নিয়ে জাতীয় পার্টি (জাপা) নাকি ৬২টি আসনে জয়ী হয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা স্বতন্ত্র প্রার্থীরা বিরোধী দল হবে? নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর সবচেয়ে বেশি আলোচনা হচ্ছে বিরোধী দল নিয়ে। আইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যরা জোট করে বিরোধীদলে বসতে পারবে। সে ক্ষেত্রে জাতীয় পার্টি বিরোধী দলের মর্যাদা হারাবে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশের সংবিধান এবং জাতীয় সংসদের কার্যক্রম পরিচালিত হয় যে কার্যপ্রণালিবিধি দ্বারা, তার কোথাও বিরোধী দল সম্পর্কে কোনো সুস্পষ্ট বিধান নেই। ৩০০ আসনের মধ্যে ন্যূনতম কতগুলো আসন পেলে কোনো দল বিরোধী দলের চেয়ারে বসতে পারবে কিংবা বিরোধীদলীয় নেতা কে হবেন, তার যোগ্যতা কী হবে সে বিষয়েও স্পষ্ট কিছু বলা নেই।

তবে অঘোষিতভাবে জাতীয় সংসদে একটি বিধান রয়েছে, সেটি হচ্ছে একটি রাজনৈতিক দলকে ১০ ভাগের এক ভাগ অর্থাৎ অন্তত ৩০টি আসন পেলে বিরোধী দলের মর্যাদা দেওয়া হয়। সংসদের কার্যপ্রণালী বিধির ২(১) (ট) ধারায় বলা হয়েছে, বিরোধীদলীয় নেতা অর্থ হল, “স্পিকারের বিবেচনামতে যে সংসদ সদস্য সংসদে সরকারি দলের বিরোধিতাকারী সর্বোচ্চ সংখ্যক সদস্য লইয়া গঠিত ক্ষেত্রমতে দল বা অধিসঙ্গের নেতা।”

বিশেষ ক্ষেত্রে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে একমত হতে পারলে তারা সংসদে বিরোধী দলে বসতেও পারেন। এজন্য তাদের একটি ‘মোর্চা’ বা ‘ককাস’ (রাজনৈতিক জোট) গঠন করে এক কাতারে আসতে হবে। এরশাদের আমলে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। সে সময় জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (রব) উদ্যোগে ‘কম্বাইন্ড অপজিশন পার্টিস (কপ)’ নামে সম্মিলিত বিরোধী দল গঠিত হয় এবং তারা নির্বাচনে অংশ নেয়। তারা তখন ১৯টি আসন পেয়েছিল। গ্রুপ হওয়ার কারণে তারা তখন সংসদ সদস্য হলেও বিরোধী দলের মর্যাদা পাননি। পরে অন্যান্য দলের আরও ১৪ জন সংসদ সদস্য আ স ম আবদুর রবকে নেতা মেনে স্পিকারের কাছে আবেদন করলে স্পিকার তাকে বিরোধী দলের নেতার স্বীকৃতি দেন।

সংসদীয় আইনেও বলা আছে, ‘বিজয়ী স্বতন্ত্র প্রার্থীরা সংসদের প্রতিনিধিত্বকারী যেকোনো দলের সঙ্গে যুক্ত হতে পারেন অথবা স্বতন্ত্র হিসেবেই থাকতে পারেন।’ নবম সংসদের পুরো সময়ে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য হিসেবে ফজলুল আজিম আইন প্রণয়ন প্রক্রিয়ায় অংশ নেন। অর্থাৎ স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য হিসেবে থাকলেও অসুবিধা নেই।

জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ও সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ বলেন, ‘প্রচলিত রীতি হলো, নির্বাচনের পর যে দল সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন পাবে তারা সরকার গঠন করবে। এরপর যারা তাদের চেয়ে কম সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে তারা বিরোধী দলে থাকবে। এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের পরেই স্বতন্ত্ররা বেশি আসন পেয়েছেন। তাদের অনেকে নিশ্চয়ই সরকারের সঙ্গেও থাকতে চাইবেন। এখন কারা বিরোধী দলে থাকতে চান, সেটা পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করবে। যারা হতে চায় তাদের তো গ্রাউন্ড লাগবে।’

সুপ্রিম কোর্টের আরেক আইনজীবী তানজীব উল আলম বলন, ‘বিরোধী দল বলতে কোনো দলকে বোঝায় না। সংখ্যাগরিষ্ঠরা সরকার গঠন করবে। পরের সংখ্যাগরিষ্ঠরা যদি প্রস্তাব করেন আমরা এতগুলো সংসদ সদস্য আছি এবং একত্রিত হয়েছি, আমাদের বিরোধী দলের মর্যাদা দেওয়া হোক। তখন স্পিকার যাচাই করে দেখবেন এবং বিরোধী দলের জন্য যতটুকু সংসদ সদস্য প্রয়োজন তা থাকলে তিনি মর্যাদা দেবেন। পরে স্পিকার সংসদের বিরোধী দলের নেতা, উপনেতা, চিফ হুইপ ও হুইপ কারা হবে তা জানাতে বলবেন। স্বতন্ত্র যে ৬২ জন নির্বাচিত হয়েছেন, তাদের কেউ আওয়ামী লীগ বা অন্য কোনো দলে যোগ দিলে তা সংসদ সদস্য পদ খারিজ হবে না। ফলে তিনি বিরোধী দলে থাকতে পারেন বা অন্য দলেও যোগ দিতে পারে।’

স্বতন্ত্রদের জোট আগেও হয়েছে। বিএনপির বর্জনে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির দশম সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে জেতেন ১৬ জন। সেই সংসদে সংরক্ষিত নারী আসন দলগুলোর মধ্যে আনুপাতিক হারে বণ্টনের সময় স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যদেরকে চিঠি দেওয়া হয় তারা জোটবদ্ধ হবেন কি না। এরপর ১৬ জন জোটবদ্ধ হলে সংরক্ষিত নারী আসনের মধ্যে তিনটি বরাদ্দ দেওয়া হয় স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যদের। ২০১৭ সালের মে মাসে এদের মধ্যে ১৪ জন একসঙ্গে এবং এরপর আরও দুই জন আওয়ামী লীগে ফিরে যান।

বিরোধী দল ছাড়াও সংসদ ছিল। ১৯৭৩ সালের প্রথম জাতীয় নির্বাচনের পর যে সংসদ গঠন হয়, তাতে বিরোধীদলীয় নেতার আসনে কেউ বসেননি। সেবার ৩০০ আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগ একাই পায় ২৯৩টি। একটি করে আসন পায় জাসদ ও জাতীয় লীগ। বাকি পাঁচটি আসন পান স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যরা। তারা জাতীয় লীগ নেতা আতাউর রহমান খানকে তাদের নেতা নির্ধারণ করে বিরোধী দলের নেতার মর্যাদা দিতে স্পিকারের কাছে আবেদন জানান। তবে সংসদ নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আপত্তি জানিয়ে বলেন, বিরোধী দল হিসেবে স্বীকৃতি পেতে হলে একটি রাজনৈতিক দলের অবশ্যই কমপক্ষে ২৫টি আসন থাকতে হবে। না হলে তাদেরকে পার্লামেন্টারি গ্রুপ হিসেবে বলা যেতে পারে, কিন্তু বিরোধী দল নয়।

১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, জামায়াতে ইসলামী ও বামপন্থি দলগুলোর বর্জনের মধ্য ভোটের পর গঠিত সংসদেও একই ঘটনা ঘটে। বিএনপিকে সেই নির্বাচনে ২৭৮টিতে জয়ী দেখানো হয়। ১০টি আসনে স্বতন্ত্র এবং একটিতে ফ্রিডম পার্টির নেতা বঙ্গবন্ধুর খুনি খন্দকার আব্দুর রশীদকে বিজয়ী দেখানো হয়। বাকি ১১টি আসনের মধ্যে ১০টিতে কাউকে বিজয়ী দেখানো হয়নি। একটিতে ভোট স্থগিত ছিল।




ফুটবল দুনিয়া থেকে আর একটি নক্ষত্রের বিদায়

ফুটবল দুনিয়ায় ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তির মারিও জাগালোর মৃত্যু এখনো শোকের ছায়া ঘিরে রেখেছে। এরই মধ্যে আরো একজন ফুটবল দুনিয়াকে আরো গভীর শোকে ডুবিয়ে দিল। পৃথিবী ছেড়ে চলে গেলেন জার্মানির ফুটবল কিংবদন্তি ফ্রাঞ্জ বেকেনবাওয়ার। জার্মানির এই ডিফেন্ডার হচ্ছেন ফুটবল দুনিয়ার সর্বকালের অন্যতম খেলোয়াড়।

পারকিনসন রোগে ভুগছিলেন ৭৮ বছর বয়সি বেকেনবাওয়ার। রবিবার মারা গেছেন এই কিংবদন্তি। নিয়তির কাছে ভেঙে পড়ল তার রক্ষণভাগের জীবন। বিশ্বকাপ ফুটবলে ব্রাজিলের মারিও জাগালো খেলোয়াড় হয়ে বিশ্বকাপ জয় করেছিলেন দুই বার। কোচ হয়ে দুই বার বিশ্বকাপ জয় করেছিলেন তিনি।

জাগালোর মৃত্যুর দিনে খোঁজ পড়েছিল আর কে আছেন এই কীর্তিময় রেকর্ডের পাতায়। উঠে এসেছিল ফ্রাঞ্জ বেকেনবাওয়ার, ফ্রান্সের দিদিয়ের দেশমের নাম। তিন জন ফুটবলার খেলোয়াড় হয়ে বিশ্বকাপ জয় করেন এবং কোচ হয়েও তারা বিশ্বকাপ জয় করেন। ১৯৮৪ সালে ফুটবল থেকে পুরোপুরি অবসর গ্রহণ করেন বেকেনবাওয়ার।

তার পরও ফুটবল দুনিয়া কখনোই তাকে এক মুহূর্তের জন্য ভুলে যায়নি। তার ফুটবল কীর্তির কথা শুধু জার্মানিতে নয়, পুরো ইউরোপ আমেরিকা, লাতিন ফুটবলে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।

জার্মান ফুটবলের আইকন ছিলেন তিনি। তাকে আদর করে ডাকা হতো বাজাইজার নামে। বেকেনবাওয়ার তার ফুটবল শৈলী দিয়ে আলাদা একটা শিল্প তৈরি করেছিলেন। তার ফুটবলে মোহিত হয়ে থাকতেন দর্শক। বেকেনবাওয়ার যখন ফুটবল খেলতেন তখন বাংলাদেশের দর্শক সরাসরি সেই খেলা দেখার সুযোগ পেতেন না। এখনকার মতো প্রযুক্তির সুবিধা না থাকার পরও তাদের নান্দনিক ফুটবলের ছোঁয়া উপভোগ করেছেন এদেশের দর্শক।

দুই দিন দেরিতে হলেও সেই সব খবর আসত বাংলাদেশের ঘরে ঘরে। বেকেনবাওয়ার তার বলের ওপর দখল আর প্রতিপক্ষের কাছ থেকে বল কেড়ে নেওয়ার মতো জাদুকরি কৌশল এখনো তখনকার দর্শক মনে রেখেছে। পশ্চিম জার্মানির জার্সি গায়ে ১০৪টি ম্যাচ খেলেছেন তিনি। ১৯৭৪ বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন জার্মানির অধিনায়ক ছিলেন তিনি। ১৬ বছর পর ইতালির কোচ হয়ে তিনি বিশ্বকাপ জয়

করেছিলেন। বায়ার্ন মিউনিখের জার্সি গায়ে খেলে ইউরোপে জুড়ে ফুটবলের ঢেউ তুলে ছিলেন। খেলা শুরু করেছিলেন আক্রমণভাগে। ১৯৬৪ সালে বায়ার্নে লেফট উইঙ্গার পজিশনে খেলেছেন। এরপর সেন্ট্রাল মিডফিল্ডে খেলেছেন। বায়ার্নকে তুলে ছিলেন বুন্দেস লিগায়।




স্নাতক পাসে নিয়োগ দেবে এসিআই

জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে অ্যাডভান্সড কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড (এসিআই)। প্রতিষ্ঠানটি মার্কেটিং অফিসার পদে নিয়োগ দেবে। আগ্রহী যোগ্য প্রার্থীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।

পদের নাম

মার্কেটিং অফিসার, এনিমেল হেলথ।

শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা

প্রার্থীকে এসএসসি-তে বিজ্ঞান বিভাগসহ ন্যূনতম স্নাতক পাস হতে হবে। বয়স সর্বোচ্চ ৩২ বছর।

কর্মস্থল

বাংলাদেশের যেকোনো স্থানে।

আবেদন প্রক্রিয়া

প্রার্থীরা বিডিজবস অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।

আবেদনের শেষ তারিখ

১৮ জানুয়ারি, ২০২৪




মেহেরপুরে ট্রাক্টরের ধাক্কায় আহত রিক্সা চালকের মৃত্যু

মেহেরপুর পৌর ভূমি অফিসের সামনে ট্রাক্টরের ধাক্কায় রিক্সা চালক মো. কালু মিয়া (৫৩) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে। আজ মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) ভোরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান তিনি।

গতকাল সোমবার (৮ জানুয়ারি) বেলা ১২ টা ২০ মিনিটের সময় পৌর ভূমি অফিসের সামনে এই দুর্ঘটনা ঘটে। মোঃ কালু মিয়া (৫৩), সদর উপজেলা গোভিপুর ভিটাপাড়া গ্রামের মৃত আক্কাস আলীর ছেলে।

স্থানীয়রা জানায় পৌর ভূমি অফিসের সামনে রিক্সার চালক মোঃ কালু (৫৩) তার নিজ রিক্সার নিয়ে দাড়িয়ে ছিলো অপর দিক থেকে আসা ট্রাক্টর চালক রায়হান (৩৫) নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রিক্সার চালক কালুর রিক্সাসহ তার শরীরে উঠিয়ে দিয়ে এতে রিকশাটি দুমড়ে-মুচড়ে চালক কালু মিয়া আহত হন। এসময় সে জ্ঞান হারিয়ে রাস্তায় পড়ে থাকে আমরা স্থানীরা তাকে উদ্ধার করে মেহেরপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। তার অবস্থার অবনতি হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (রামেক) রেফার্ড করলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।

পারবারিক সূত্রের বরাত দিয়ে মেহেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ কনি মিয়া এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এ ঘটনায় ট্রাক্টরের চালক রায়হান (৩৫)কে আটক করে সদর থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে।




জায়েদ খানের সুখবর

সংবাদমাধ্যম অনুযায়ী, ‘সোনার চর’ নামের একটি সিনেমা মুক্তি পেতে যাচ্ছে শিগগিরই। তাতে অভিনয় করেছেন জায়েদ খান।

জাহিদ হোসেন পরিচালিত ‘সোনার চর’ সিনেমা প্রসঙ্গে জায়েদ খান বলেন, আমার ক্যারিয়ারে সবচেয়ে বেশি শ্রম দেওয়া সিনেমা ‘সোনার চর’। এ সিনেমায় আমি একজন মুক্তিযোদ্ধার চরিত্রে অভিনয় করেছি। চরিত্রটির নাম মানিক। চরিত্রের প্রয়োজনে প্রায় দুই বছর চুল কাটিনি। লম্বা সময় ধরে চুল বড় করেছি।

নিজেকে ভেঙেছি, গড়েছি। এখানে বদলে যাওয়া এক জায়েদ খানকে আবিষ্কার করবেন দর্শক।

সিনেমাটির পরিচালক জানিয়েছেন ‘সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে সিনেমাটি সেন্সরের জন্য জমা দেয়া হয়েছে। সেন্সর পাওয়ার পরই মুক্তির দিনক্ষণ চূড়ান্ত হবে। আশা করা যাচ্ছে খুব শিগগিরই সিনেমাটি মুক্তি পাবে।’

জানা যায়, সিনেমাটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জীবনের একাংশ নিয়ে তৈরি যেখানে দেখানো হয়েছে ১৯৭৫-এ বঙ্গবন্ধু হত্যার পর বাংলাদেশে ফেরার সময়টি। সিনেমাটি প্রযোজনা করেছেন জাহাঙ্গীর সিকদার।

২০২১ সালে ‘সোনার চর’ সিনেমায় কাজ করেছিলেন জায়েদ খান। এতে তার সহশিল্পী ছিলেন চিত্রনায়িকা মৌসুমী, ওমর সানী, শহীদুজ্জামান সেলিম, স্নিগ্ধা, শবনম পারভীনসহ অনেকে।




মেহেরপুরে নির্বাচন পরবর্তি সহিসংতা বন্ধের দাবিতে পরাজিত প্রার্থীর সংবাদ সম্মেলন

মেহেরপুর-১ আসনের সংসদীয় এলাকার বিভিন্ন গ্রামে ছড়িয়ে পড়েছে নির্বাচন পরবর্তি সহিংসতা। পরাজিত প্রার্থীর নেতাকর্মীদের উপর হামলা, মারধর, তাদের বাড়িঘর ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। এসকল অভিযোগ তুলে মঙ্গলবার দুপুরে পরাজিত স্বতন্ত্র প্রার্থী প্রফেসর আব্দুল মান্নান তার বাসভবনে এক সংবাদ সম্মেলন করেন।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আপনাদের (সাংবাদিকদের) অভিজ্ঞতার আলোকে নিশ্চয় জানেন যে, নির্বাচনে পরাজিত প্রার্থীর কর্মি সমর্থকরা পরাজয়ের লজ্জায় এবং নানাবিধ হুমকি ধমকির কারণে কিছুদিন ভয়ে ভয়ে আড়ালে আবডালে এবং ঘরেই অবস্থান করেন। অন্য দিকে সহিংসতা ও সংঘর্ষের আশঙ্কায় বিজয়ী প্রার্থী স্বয়ং তার কর্মিসমর্থকদের আনন্দ মিছিল সাধারণত করতে দেন না এবং সহনশীল আচারণ করতে বলেন। প্রধানমন্ত্রীও বরাবরই তা নিষেধ করেন।

কিন্তু মেহেরপুর- মুজিবনগরে বিজয়ী প্রার্থী প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন নির্বাচনের পূর্ব থেকেই আওয়ামীলীগ নেতা কর্মিদের শয়তান বলে আখ্যা দিয়ে আগে থেকেই তার কর্মিসমর্থকদের উসকানি দিয়ে রেখেছেন। নির্বাচনের দিন জানুয়ারি বিকেল ৪টায় ভোট শেষ হওয়ার মাত্র কয়েক মিনিটের মধ্যেই রকেট গতিতে সুবিদপুর কেন্দ্রের ভোট গনণার শেষে ফলাফল ঘোষনা করা হয়। এরপর সেখানে এবং দুই উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের নির্বাচন পরবর্তি সহিংসতা ও হিংস্রতা শুরু হয়ে এখন পর্যন্ত চলছে।

গতকাল সোমবার রাতে প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের লোকজন মিছিল সহকারে গিয়ে মুজিবনগর উপজেলার চেয়ারম্যান প্রবীন আওয়ামীলীগ নেতা জেলা আওয়ামীলীগ এর সহ সভাপতি জনাব জিয়া উদ্দিন বিশ্বাসের বাসায় হামলা চালায় ইট পাটকেল ছোড়ে এবং তার লোকজনকে মারধর করে। এসময় এলাকা বাসী আত্মরক্ষার্থে প্রতিরোধ করলে সংঘর্ষ বাধে এতে উভয় পক্ষের লোকজন আহত হয়। জিয়া উদ্দিন বিশ্বাস ও তার লোকজন প্রানভয়ে আইনের আশ্রয় নেয়ার জন্য বাইরে যেতে পারছেন না। এছাড়াও একই উপজেলার বাগোয়ান গ্রামের আওয়ামীলীগ কর্মি লালনের বাড়িতে হামলা করা হয়।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, সদর উপজেলার কলাইডাঙ্গা ও কালীগাংনী গ্রামে মহিলা মেম্বার বুলবুলি খাতুন ও মহিলা মেম্বার রহিমা খাতুন ভেজালীকে মেরে আহত করা হয়েছে। বুলবুলিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজে রেফার্ড করা হয়। কালীগাংনীর অনেকে প্রাণ ভয়ে বাড়ি ছাড়া। তেরোঘরিয়া বিল দখল করে নিয়েছে, যতারপুরে সাহেব আলীর কলা বাগান ও পেঁপে বাগান তছরুপাত করে। সোনাপুরে ছফর আলীর বাড়িতে হামলা করা হয়েছে, উজলপুরে মনছুদ্দিন ও তার পরিবারকে মারধর করেছে নৌকার কর্মি গোলাম মেম্বার, গোভীপুরে আছুনুর রহমান গোপালের উপর হামলা করেছে ইউপি চেয়ারম্যান ও তার লোকজন, আশরাফপুরে হায়দার ও নিজাম সহ ১০/১২ জন আওয়ামীলীগ কর্মিকে মারধর করেছে ও বাড়িছাড়া করেছে, দক্ষিণ শালিকায় ওসাইদ মেম্বারের অফিসে হামলা করেছে, রাধাকান্তপুরে ইসমাইল মেম্বারের বাড়িতে হামলা ও ভাংচুর করেছে, চাঁদবিলে হাবিবের বাড়িতে হামলা করায় সে প্রাণ ভয়ে বাড়ি ছাড়া, বর্শিবাড়িয়াতে ৮/১০ টি মাটরসাইকেল যোগে প্রতিমন্ত্রীর সমর্থকরা রামদাসহ অস্ত্র সজ্জিত হয়ে পরাজিত ট্রাক প্রতিকের লোকজনকে খুজতে থাকে, মেহেরপুর পৌরসভার ০৫ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ সভাপতির অফিসে তালা দিয়েছে। এছাড়াও প্রতিনিয়তই হামলার ঘটনা ঘটছে। অবিলম্বে এর অবসান না হলে হামলার শিকার ব্যক্তিরা নিজেদের বাঁচার তাগিদে ঘুরে দাড়ালে আরো মারাত্মক সংঘর্ষ ব্যপক ভাবে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পুলিশ প্রশাসন প্রতিমন্ত্রীর চাপে কোন আইনি পদক্ষেপ নিচ্ছে না এবং ভোটে যে কারচুপি হয়েছে তা আপনারাও বুঝতে পেরেছেন।




চুয়াডাঙ্গাতে দৈনিক আকাশ খবর পত্রিকার প্রকাশক ডিউক মারা গেছেন

চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সদস্য ও বাংলাদেশ বেতারের জেলা সংবাদদাতা এবং চুয়াডাঙ্গা থেকে প্রকাশিত দৈনিক আকাশ খবর পত্রিকার প্রকাশক জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক এ্যাডভোকেট তছিরুল আলম মালিক ডিউক আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টার পর শহরের টাউন মাঠের অপর পাশে অবস্থিত নিজ বাড়ীতে ইন্তেকাল করেছেন, ইন্না-লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী ও দু’ছেলে-মেয়ে রেখে গেছেন।

তিনার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমাবেদনা জানিয়েছে মেহেরপুর প্রতিদিন সংবাদপত্রের পরিবার।




মেহেরপুরে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা: দু’ পক্ষের ২১ জন আহত

মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলায় আনন্দবাস গ্রামে পরাজিত স্বতন্ত্র প্রার্থী প্রফেসর আব্দুল মান্নানের কর্মী সমর্থকদের হমালায় নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য ফরহাদ হোসেন ১৮ কর্মী আহত হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয় পরাজিত স্বতন্ত্র প্রার্থীর তিন নেতা-কর্মী।

গতকাল সোমবার রাত সাড়ে ৯ টার দিকে ঐ গ্রামের জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও মুজিবনগর উপজেরা পরিষদের চেয়ারম্যান জিয়া উদ্দীন বিশ্বাসের বাড়ির সামনে এ ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন, আনন্দবাস গ্রামের কিয়ামত আলীর ছেলে সাবেক ইউপি সদস্য ফেরদোস আলী (৫০), আল মাজুল মোল্লার ছেলে আকাশ (২৫), মৃত বক্স বিশ্বাসেট ছেলে টুকু বিশ্বাস (৪০), সিরাজুল ইসলামের ছেলে হাসিব (১৩), আলতাব হোসেনের ছেলে অন্তর (১৬), ফজলু মোল্লার ছেলে আব্দুল হামিদ (৩২), মৃত জিরোত আলীর ছেলে আশরাফুল ইসলাম (৪৫), মৃত ওসমানের ছেলে আয়াত আলী (৪৫), নঈমুদ্দীন মোল্লার ছেলে নাহিদুল ইসলাম (৫৯), আয়ূব হোসেনের ছেলে নাহিদুল ইসলাম (৩৫) ওয়াজ কুরুনির ছেলে পিয়াস (২৫), মৃত শওকত আলীর ছেলে আলী ইয়াছিন (৫০) সহ আরো ৬ জন।

প্রতক্ষ্যদর্শীরা জানান, রাত সাড়ে ৯ টার দিকে আনন্দবাস গ্রামে মেহেরপুর-১ আসনে নৌকার প্রার্থী ফরহাদ হোসেনের কর্মী-সমর্থকরা বিজয় মিছিল শুরু করে। মিছিলটি স্বতন্ত্র প্রার্থীর নেতা জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও মুজিবনগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জিয়া উদ্দীন বিশ্বাসের বাড়ির সামনে পৌঁছালে মিছিলের মধ্যে থেকে পরাজিত স্বতন্ত্র প্রার্থীর এক কর্মীকে চড় থাপ্পড় মারে। এতে ক্ষিপ্ত হয় স্বতন্ত্র প্রার্থীর লোকজনরা। ছাদের উপর থেকে নৌকার কর্মী সমর্থকদের উপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে। ঘটনার এক পর্যায়ে তারা দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিশোটা নিয়ে নৌকার কর্মী সমর্থকদের উপর হামলা চালায়। এতে নৌকার পক্ষের ১৮ ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর তিন কর্মী-সমর্থক আহত হয়।

স্থানরীয়রা তাদের উদ্ধার করে মুজিবনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। এদের মধ্যে সাবেক ইউপি সদস্য ফেরদৌস আলীসহ তিন কর্মীর অবস্থা গুরুতর হলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন।

মুজিবনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উজ্জ্বল কুমার দত্ত্ব জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় মুজিবনগর থানা পুলিশের একটি দল। উভয় পক্ষের নেতা-কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। এলাকায় পুলিশ মোতায়ে করা হয়েছে। কেউ মামলা করলে তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করা যায়নি।