মেহেরপুরে ঋণ প্রদানের নামে অর্ধকোটি টাকা নিয়ে এনজিও লাপাত্তা

মেহেরপুরে ঋণ দেওয়ার নাম করে গ্রাহকের কাছ খেকে অর্ধ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে লাপাত্তা সিডার’ ক্ষুদ্র ঋণ কমর্সূচি নামের খটি এনজিও।

আজ সোমবার (৭ সেপ্টেম্বর) সকালের দিকে মেহেরপুর শহরের কুষ্টিয়া সড়কের দিঘীর পাড়া এলাকায় এনজিওটির অফিসে গ্রাহকরা ঋণ নিতে এসে দেখেন অফিস গুটিয়ে পালিয়েছে এনজিওর কর্মকর্তারা। সে সময় সেখানে কান্নায় ভেঙে পড়েন গ্রাহকরা।

মেহেরপুর সদর উপজেলার মদনা, গোপালপুর, শ্যামপুরসহ জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রাহক সংগ্রহ করে ঋণ দেওয়ার নামে ১০ শতাংশ করে জামানত সংগ্রহ করে সংস্থাটি। এনজিও সংস্থার মেহেরপুর শাখার ম্যানেজার হিসেবে গ্রাহকদের কাছে আশরাফুল আলম নামে জাতীয় পরিচয় পত্র প্রদান করেন। এমন প্রত্যারনার স্বীকার হয়েছেন তিন শতাধিক মানুষ।

জানা গেছে, সপ্তাহ খানেক আগে আব্দুল মতিন নামের একজনের কাছে থেকে বাড়ি ভাড়া নিয়ে তারা অফিসে সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দেয়। হঠাৎ দুএকদিন আসা যাওয়া করেন তারা।

আজ সোমবার গ্রাহকদের ঋণ দেওয়ার দিনে তারা আসবাবপত্র নিয়ে উধাও হয়েছে। তবে তাদের কখনো কেউ দেখতে পাননি বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী। পরে বাড়ি মালিক এনজিও সাইনবোর্ড টি খুলে দেন।

এনজিওটির সদস্য নতুন মদনাডাঙ্গা গ্রামের সীমা খাতুন জানান, ৩ লাখ টাকা ঋণ দেওয়ার কথা বলে তার সাথে ১৮ হাজার টাকা নেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার তার ঋণের ৩ লাখ টাকা দেওয়া কথা কিন্তু সকালে অফিসে এসে দেখতে পান অফিসে কেউ নেই। আসবাবপত্রও নেই।

তিনি বলেন, তার স্বামীকে গোপন করে তিনি এ টাকা দিয়েছেন। তার স্বামী জানতে পারলে তাকে বাড়িতে উঠতে দেবে না। এখন পথে বসা ছাড়া উপায় নেই।

একই গ্রামের হেলাল জানান, তার সাথেও ৩ লাখ ঋণ নেওয়ার কথা বলে ১৮ হাজার নেওয়া হয়েছে, নাজমা খাতুন, হাফিদজুল ইসলাম সহ মদনাডাঙ্গা গ্রাম থেকে ৯ জন দিয়েছেন ১ লাখ টাকা। এসময় তাদের কাছে সংস্থাটি পাসবই দেয় বলে জানান তারা।

কুতুরপুর গ্রামের সাজেদা খাতুন এক লাখ ঋণ পাবেন বলে দিয়েছেন ১০ হাজার টাকা, মর্জিনা খাতুন দিয়েছেন ৫ হাজার টাকা, হিরা খাতুন ৭ হাজার, আনোয়ার হোসেন ৭ হাজার টাকা। শ্যমপুরের ভ্যান চালক মাসুম হোসেন ২ লাখ টাকা ঋণ পাবেন বলে দিয়েছেন ১২ হাজার। ঋণ নিতে এসে অফিস উধাওয়ের খবর পেয়ে তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন।

এছাড়াও সকাল থেকে বিভিন্ন গ্রাম থেকে গ্রাহকরা এসে অফিসে কাউকে না পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন এবং সেখানে অবস্থান নেন।

খবর পেয়ে মেহেরপুর সদর থানা পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে গ্রাহকদের শান্ত করেন। এবং এনজিও কর্মকর্তাকে আইনের আওতায় এনে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি গ্রাহকদের আশ্বাস দেন।

তবে জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক কাজী কাদের ফজলে রাব্বী বলেন, “সিডার নামের কোন এনজিওর অনুমোদন মেহেরপুরে নেই। এক ধরণের প্রতারকরা নাম সর্বস্ব এনজিও খুলে মানুষের কাছে থেকে টাকা লগ্নি করে উধাও হচ্ছে। এদের থেকে সচেতন থাকতে হবে। তাদের কাছে টাকা দেওয়ার আগে অবশ্যই তাদের কাগজপত্র যাচাই করে নিতে হবে”।

এছাড়া জেলা সমবায় অধিদপ্তরে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ‍ সিডার ফাউন্ডেশন নামের কোন প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধন তাদের দপ্তরেও নেই।

বাড়ির মালিক আব্দুল মতিন জানান, কয়েক দিন আগে সিডার এনজিও সংস্থার মেহেরপুর শাখার ম্যানেজার হিসেবে আশরাফুল আলম নামে একজন ১৪ হাজার টাকা মাসিক ভাড়া চুক্তিতে বাসা ভাড়া নেন। ১০ অক্টোবর থেকে আনুষ্ঠিক ভাবে কাষক্রম শুরু করার কথা থাকলেও শনিবার থেকে এনজিও ম্যানেজারের ফোন বন্ধ পান। পরে বাড়ির সামনে গ্রাহকদের ভিড় জমতে দেখেন। বাসা ভাড়ার সময় একটি জাতীয় পরিচয় পত্র প্রদান করেন তারা।




৭ বছর পর মুখোমুখি হচ্ছেন শাকিব-জিৎ

দীর্ঘ সাত বছর পর মুখোমুখি হচ্ছেন দুই বাংলার দুই সুপারস্টার শাকিব খান-জিৎ। আসছে রোজার ঈদে মেহেদী হাসান হৃদয়ের পরিচালনায় ‘বরবাদ’ নিয়ে আসছেন শাকিব। আর জিৎ হাজির হবেন রায়হান রাফীর ‘লায়ন’ নিয়ে।

সিনেমা দুটি নিয়ে তুমুল আলোচনা শুরু হয়ে গেছে দর্শকমহলে। সবাই বলছেন আসন্ন ঈদে বরবাদ-লায়নের হবে কঠিন লড়াই।

২০১৬ সালের ঈদে ‘শিকারী’ ও ‘বাদশাহ’ সিনেমা দুটি দিয়ে প্রথম মুখোমুখি হয়েছিলেন শাকিব ও জিৎ। ‘শিকারী’ দিয়ে শাকিব বাজিমাৎ করলেও পিছিয়ে ছিলেন না জিৎ। ২০১৮ সালের ঈদে ‘ভাইজান এলো রে’ ও ‘সুলতান’ দিয়ে আবার মুখোমুখি হয়েছিলেন তারা।

সেবার ‘সুলতান’ দিয়ে জিৎ ব্যর্থ হলেও শাকিব কিছুটা এগিয়ে ছিলেন। ৭ বছর আবার এই দুই তারকা সিনেমা দিয়ে প্রতিযোগিতা করতে যাচ্ছেন।

পরিচালক মেহেদী হাসান হৃদয় বলেন, অন্যরকম এক অ্যাকশন সিনেমা হবে ‘বরবাদ’। সবকিছু ঠিক থাকলে আমরা ঈদে আসবো।

‘বরবাদে’ শাকিবের নায়িকা ইধিকা পাল থাকবেন কিন্তু ‘লায়নে’ জিৎয়ের নায়িকা কে হবে সেটির ঘোষণা দেননি পরিচালক রাফী। তিনি বলেন, নায়িকা বাংলাদেশ থেকে কেউ থাকবেন। সংবাদ সম্মেলন করে জানানো হবে।

‘প্রিয়তমা’ ও ‘তুফানে’র সাফল্যে শাকিবের সময়টা একাদশে বৃহস্পতি হলেও একের পর এক ফ্লপ দিয়ে জিৎয়ের সময় কিছুটা খারাপ যাচ্ছে।

সিনেমাপ্রেমীরা বলছেন, ব্যর্থতা কাটাতে সময়ের হিট নির্মাতা রাফীকে বেছে নিয়েছেন জিৎ। শাকিব-জিৎয়ের এই স্ক্রিন লড়াই কতটা জমে উঠবে সেটির উত্তর মিলবে সিনেমা মুক্তিতেই।

সূত্র: ইত্তেফাক




বাফুফে নির্বাচনের ডামাডোল শুরু, তফসিল ঘোষণা

আগামী ২৬ অক্টোবর বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) নির্বাচন। সোমবার (৭ অক্টোবর) নির্বাচনের তফশিল ঘোষণা করা হয়েছে। মোট ২১টি পদে নির্বাচন হবে এবার। সভাপতি ১ জন, সিনিয়র সভাপতি ১ জন, সহ সভাপতি ৪ জন, সদস্য ১৫ জন নিয়ে মোট ২১ জন।

তফশিল অনুযায়ী, আগামী ৯, ১০ ও ১১ অক্টোবর মনোনয়নপত্র দেওয়া হবে। মনোনয়নপত্র জমার তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ১৪ ও ১৫ অক্টোবর। আর যাচাই বাছাই করা হবে ১৬ অক্টোবর।

সভাপতি পদে ১ লাখ, সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে ৭৫ হাজার, সহ-সভাপতি পদে ৫০ হাজার ও সদস্য পদে ২৫ হাজার টাকা মনোনয়ন পত্রের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে।

আগামী ২৬ অক্টোবর ঢাকার হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে সকালে বাফুফের বার্ষিক সাধারণ সভা। ঐ দিন দুপুর ২-৬ টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ চলবে। বাফুফে নির্বাচনে ভোটার সংখ্যা ১৩৩।

সূত্র: ইত্তেফাক




গাংনীতে হত্যা মামলার দুই আসামি গ্রেফতার

গাংনী উপজেলার বাওট গ্রামের নাহারুল ইসলাম হত্যা মামলার এজাহারনামীয় ২ আসামীকে গ্রেফতার র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব-১২) ক্রাইম প্রিভেনশন কোম্পানী-৩ মেহেরপুর ক্যাম্প।

রবিবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে র‌্যাব-১২ সিপিসি-৩ মেহেরপুর ক্যাম্পের কমান্ডার এএসপি এনামুল হকের নেতৃত্বে একটি টিম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর উপজেলার আব্দুলপুর গ্রামের জনৈক সাইদুর আরেফিনের (আসামীর শশুর) বাড়ীতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন, বাওট গ্রামের সাবেক মেম্বর ও বিএনপি নেতা মহিবুল ইসলামের ছেলে মোঃ সাহাবুর রহমান মিন্টু (৪০), ও মোঃ শাহা আলম ওল্টু (২৮)।

আজ সোমবার বেলা ১১ টার সময় স্থানীয় সাংবাদিকদের প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়ে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব-১২) সিপিসি-৩ মেহেরপুর ক্যাম্পের কমান্ডার এএসপি এনামুল হক।

তিনি জানান, গত ৬ আগস্ট দিবাগত রাত আনুমানিক ১০ টার দিকে আধিপাত্য বিস্তার ও পূর্ব বিরোধকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের মধ্যে সৃষ্ট সংঘর্ষে বাওট গ্রামের কুরু বিশ্বাসের ছেলে নাহারুল ইসলাম (৫৫) নিহত ও উভয় পক্ষের ৮ জন আহত হন।

আহতরা হলেন- নিহত নাহারুল ইসলামের বড় ভাই আইনাল হোসেন (৬২), আব্দাল হোসেন (৫৮), ইনামুল হক (৪০) ও তার ছেলে সিয়াম (১৭)।

অপরপক্ষের আহত হন, মটমুড়া ইউনিয়নের সাবেক ইউপি মেম্বার মহিবুল ইসলাম (৬৮), ভাই সাবেক মেম্বর বিএনপি নেতা আশরাফুল ইসলাম কালু (৫৬), হামিদুল ইসলাম (৪৬) ও আমিরুল ইসলাম (৪০)।

এঘটনায় নিহত নাহারুল ইসলামের ছেলে নাজমুল হোসেন বাদী হয়ে গাংনী থানায় এজাহার নামীয় ৭ জন ও অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। যার নং ৮, ধারা ১৪৩/১৪৮/১৪৯/৪৪৭/৩২৩/৩২৪/৩২৬/৩০৭/৩০২/১১৪/৫০৬ পেনাল কোড।

গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ পদক্ষেপ গ্রহণের গাংনী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

যে কারনে সংঘর্ষ ও হত্যাকান্ড:
বিগত ৫ আগষ্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরদিন ৬ আগষ্ট সকালে গাংনীতে বিএনপির মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। মিছিল সমাবেশে নিহত নাহারুল ইসলামের ছোট ভাই এনামুল হক অংশ নেন। এঘটনায় বাওট গ্রামের বিএনপি নেতা উজ্জ্বল হোসেন ওইদিন বিকেলে এনামুল হকের মিছিলে যাওয়াকে কেন্দ্র করে বলেন, এই ১৭ বছরে আওয়ামী লীগ করে বিএনপির সু সময় দেখে সবার আগে মিছিলে গেছো। মিছিলে গেলেও বিএনপিতে সুযোগ দেওয়া হবেনা। এনিয়ে বিএনপির স্থানীয় নেতা উজ্জ্বল হোসেন ও এনামুল হকের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ধাক্কাধাক্কি ও পরে উজ্জ্বল হোসেনের মুদি দোকানে হামলা করে। এঘটনার জের ধরে সন্ধ্যা থেকেই উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা চলছিলো। এক পর্যায়ে সংঘর্ষ হয়।




মেহেরপুর সরকারি মহিলা কলেজে শিক্ষক ও কর্মচারীদের সংবর্ধনা

মেহেরপুর সরকারি মহিলা কলেজে বদলি জনিত কারণে ৬ শিক্ষক ও অবসরজনিত কারণে এক কর্মচারীর বিদায় সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে।

গতকাল রবিবার সকালে মেহেরপুর সরকারি মহিলা কলেজ মিলনায়তনে বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অধ্যক্ষ প্রফেসর আবদুল্লাহ আল আমিন।

বিদায়ী শিক্ষকদের মধ্যে সহকারী অধ্যাপক হাসানুজ্জামান, সহকারী অধ্যাপক মুনশি এ এইচ এম রাশেদুল হক, প্রভাষক হাফিজুর রহমান, বাবুল মিয়া নয়ন, জামসেদুর রহমান, গ্রন্থাগারিক শহিদুল ইসলাম এবং দক্ষ বেয়ারার হাফিজ উদ্দিনকে ফুল ও উপহার দিয়ে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক কাজী আশরাফুল আলম, মিরাজ উদ্দিন, ড. এ এস এম আতিয়ার রহমান, ইকরামুল হাসান প্রমুখ। অনুষ্ঠানে শেষে বিদায়ীদের হাতে ক্রেস্ট ও প্রীতি উপহার তুলে দেওয়া হয়।




দর্শনার রামনগর গ্রামে আখচাষী সমাবেশ অনুষ্ঠিত

দর্শনা পৌরসভার রামনগর মিলগেট পশ্চিম সাবজোনের ২২নং ইউনিটে আখচাষী সমাবেশ অনুষ্টিত হয়েছে।  গতকাল রবিবার বিকাল ৫ টায় রামনগর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ আখচাষী সমাবেশ অনুষ্টিত হয়।

আখচাষী সমাবেশে ডিজিএম কৃষি (সম্প্রসারন) মাহাবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে, প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন,কেরু এ্যান্ড কোম্পানীর নবাগত ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাব্বিক হাসান।

এ সময় তিনি বলেন, আপনারা আখ চাষ করুন আগামীতে আখের মৃল্য আরও বৃদ্ধি করা হবে। আপনারা আখ লাগাবেন এবং সার্বিক সহিযোগিতা করবে কেরু এ্যান্ড কোম্পানি। এ মিল আপনাদের এ মিল টিকে থাকলে আপনাদের অর্থনৈতিক ভাবে সচ্ছলতা আসবে। আগামী অর্থ বছরে আখের মৃল্য টন প্রতি ৬ হাজার ৫শ টাকা নির্ধারন করা হবে। তিনি আরও বলেন ভাল বীজের আখ লাগাবেন আপনার লাভবান হবেন। এবং পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন আখ সরবাহ করবেন। অধিক চিনি আহরনের জন্য পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন ও টপট্রাসমুক্ত আখ মিলে সরবরাহ করার আহব্বান জানান তিনি। তিনি যোগদানের পর থেকে আখচাষীদের দারপ্রন্তে ছুটছেন। তিনি আখচাষীদের বিভিন্ন অভাব অভিযোগও শুনছেন। তিনি চাষীদের ন্যয্যতার কথা বলছেন এবং চাষীদের আসস্ত করছেন।

এ সময় বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, মহাব্যবস্থাপক (কারখানা), সুমন কুমার সাহা, মহাব্যবস্থাপক (কৃষি) মোহাম্মদ আশরাফুল আলম ভূঁইয়া। এ সমাবেশে প্রায় ৩শ আখচাষী উপস্থিত ছিলেন।




দর্শনায় কেরু মন্দিরে হিন্দু ধর্মালম্বীদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

চুয়াডাঙ্গার একমাত্র ঐতিহ্যবাহী ভারী শিল্প কারখানা দর্শনার কেরু এ্যান্ড কোম্পানির সুনামধন্য “কেরুজ সর্বজনীন দূর্গা মন্দির” এলাকার মন্দিরের দূর্গাপূজাকে সভল ভাবে সম্প্রদানে হিন্দু ধর্মালম্বীদের সাথে মতবিনিময়সভা করেছেন কেরু এন্ড কোম্পানির নবাগত ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাব্বিক হাসান।

গতকাল রোববার সন্ধা ৭ টায় কেরুজ সর্বজনীন দূর্গা মন্দিরে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। কেরুজ দূর্গামন্দিরে প্রতিবছরের ন্যায় এ বছরও অনুষ্ঠিত হচ্ছে শারদীয় দূর্গা পূজা। সভায় প্রধান অতিথি রাব্বিক হাসান সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখা ও যে কোন উস্কানি বা গুজব রোধে সকলকে একযোগে সোচ্চার ও সচেতন থাকার বিষয়েও গুরুত্বারোপ করেন তিনি।

তিনি বলেন, এটা আমার আপনার সবার দেশ, একযোগে সবাইকে নিরাপত্তা দিতে সহযোগিতা করতে হবে। পাশাপাশি পূজা চলাকালীন নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে মন্দির এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে কেরুর নিজস্ব নিরাপত্তা বাহিনী দিয়ে সর্বাক্ষণিক টহল ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন মহা-ব্যবস্থাপক (কারখানা) সুমন কুমার সাহা, মহা-ব্যবস্থাপক (ডিস্টিলারি) রাজিবুল হাসান, কেরুজ শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ফিরোজ আহম্মেদ সবুজ, সাধারণ সম্পাদক মাসুদুর রহমান মাসুদ, সহ-সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান, মন্দির কমিটির সভাপতি নমিতা রানী মালাকার, সাধারণ সম্পাদক রাধারাণী দাস, রতন কুমার লোধ, নারায়ন চন্দ্র দাস, সমির সরকার, নিত্যানন্দ চক্রবর্তী, দীপেন ঘোষ, তপন কুমার বিশ্বাস, তারাপদ বিশ্বাস, ধীরেন চন্দ্র দাস, শঙ্কর বিশ্বাস, সুবাস বিশ্বাস, রতন দাস, গনেস বিশ্বাস, বাঁধন চন্দ্র দাস, শুভ লোধ প্রমুখ।




আলমডাঙ্গায় আওয়ামীলীগ নেতা তুহিন গ্রেপ্তার

আলমডাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক মাসুদ রানা তুহিনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হামলার ঘটনায় আজ রোববার বিকেলে শহরের আলিফ উদ্দীন সড়কের তার নিজ দোকান থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

আলমডাঙ্গা থানার পরিদর্শক (ওসি) মো. শেখ গনি মিয়া এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, তাকে আজ সোমবার সকালে আদালতে প্রেরণ করা হবে।




আলমডাঙ্গায় ভোক্তা অধিকারের অভিযানে দেড় লাখ টাকা জরিমানা আদায়

আলমডাঙ্গা পৌর শহরে বিভিন্ন অনিয়মের কারণে উত্তরা ট্রেডার্সকে দেড় লাখ টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। আজ রোববার বিকেলে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।

চুয়াডাঙ্গা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সজল আহম্মেদ জানান, গতকাল রোববার বিকেল সাড়ে ৩টায় আলমডাঙ্গা পৌর এলাকার পুরাতন বাজারে আড়ত, সার ডিলার, চাল, মুদি দোকানসহ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দোকানে তদারকি করা হয়।

এ সময় মেসার্স উত্তরা ট্রেডার্স নামক প্রতিষ্ঠানে তদারকিতে বিভিন্ন অনিয়ম পাওয়া যায়। গ্যাসের মুল্য তালিকা প্রদর্শন না করা ও দাম বেশি নেয়া। বিভিন্ন কোম্পানির গো-খাদ্য ভূষি প্যাকেট খুলে ভেজাল করা ও মেয়াদ উত্তীর্ণ ড্যামেজ ভূষি রোদে শুকিয়ে পুনরায় প্যাকেট করে বিক্রি করা। এছাড়া মেয়াদ ও মূল্য বিহীন পণ্য বিক্রি করাসহ নানা অপরাধে প্রতিষ্ঠানটির ম্যানেজার শ্রী সুশীল কুমার বিশ্বাসকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৩৭, ৪০ ও ৪৫ ধারায় দেড় লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। এ সময় সবজি বাজার, মুদি দোকান, আলু পেঁয়াজের আড়তসহ আরও কিছু প্রতিষ্ঠান তদারকি করা হয়। এসময় সব ব্যবসায়ীদের সতর্ক করা হয় এবং সবাইকে ন্যায্যমূল্যে পণ্য বিক্রি, ভাউচার সংরক্ষণ ও মূল্যতালিকা প্রদর্শন করতে বলা হয়। এছাড়া সচেতনতামুলক লিফলেট বিতরণ করা হয়।

অভিযানে সহযোগিতায় ছিলেন আলমডাঙ্গা পৌর স্যানিটারি ইন্সপেক্টর মো. মাহফুজুর রহমান ও আলমডাঙ্গা থানা পুলিশের একটি দল। জনস্বার্থে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান ওই কর্মকর্তা।




চুয়াডাঙ্গায় জাতীয় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিবস পালন

‘জন্ম মৃত্যু নিবন্ধন, আনব দেশে সুশাসন’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে চুয়াডাঙ্গায় জাতীয়জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিবস পালিত হয়েছে।

আজ রবিবার সকাল সাড়ে ৯ টায় সময় চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে চত্বর থেকে একটি র‌্যালি বের হয়ে শহরের কোর্ট মোড়ে ঘুরে একই স্থানে র‌্যালি শেষ হয়। এরপর দিবসটি উপলক্ষে আলোচনা সভা করা হয় জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে।

চুয়াডাঙ্গা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ও স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক শারমিন আক্তারের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘নাগরিককে জন্ম সনদ দিতে হবে। এই জন্য সবাইকে জন্ম ও মৃত্যু সনদ গ্রহণ করতে হবে। জন্ম সনদে সব সময় ছোট নাম দিতে হবে। গ্রামের ইউনিয়নপর্যায়ে জন্ম ও মৃত্যু সনদ নিতে যেন কোন বিলম্ব সৃষ্টি না হয়। এই জন্য গ্রামের পুলিশের সচেতন থাকতে হবে। গ্রাম পুলিশের সঠিক তথ্যের কারণে জন্ম ও মৃত্যুর সঠিক তথ্য পাওয়াযায়। ৪৫ দিনের মধ্যে জন্ম ও মৃত্যুর সনদ গ্রহন করতে হয়। জন্ম সনদ ও মৃত্যু সনদের আইন মানতে হবে। জন্ম ও মৃত্যু সনদে ভুল দ্রুতসংশোধন করে সকল নাগরিককে দিতে হবে। জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন সময় মতো রেজিষ্ট্রেশন করতে হবে। জন্ম ও মৃত্যু সনদের তথ্য সঠিক ভাবে উল্লেখ করতে হবে। শিশুজন্ম গ্রহণ করার পর মৌলিক অধিকার জন্ম সনদ গ্রহণকরা’।

সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ভুমি অফিসের সহকারী কমিশনার এস.এম. আশিশ মোমতাজ, চুয়াডাঙ্গা কালেক্টর স্কুল অ্যান্ড কলেজের নবম শ্রেণির ছাত্র সাকিব হাসান তুষার, চুয়াডাঙ্গা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী কারার তাফসীন, ঝিনুক বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী নুসরাত আরেফিন, বৈষম্য বিরোধীছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি সজিবুল ইসলাম, গ্রাম পুলিশ বিপুল দফাদার, বেগমপুর ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসন কর্মকর্তা ফয়জুর রহমান, প্রথম আলোর চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রতিনিধি শাহ আলম সনি প্রমুখ।