লিড নেওয়ার পরও করুণ অবস্থা পাকিস্তানের

সিডনি টেস্ট নিজেদের প্রথম ইনিংসে ৩১৩ রানে অলআউট হয় পাকিস্তান। জবাবে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ২৯৯ রানে অলআউট হয় অস্ট্রেলিয়া। ১৪ রানের লিড পায় পাকিস্তান। তবে লিড নেওয়ার পরও স্বস্তিতে নেই সফরকারীরা। ১৪ এগিয়ে থেকে ব্যাট করতে নেমে ৬৮ রান সংগ্রহ করতেই ৭ উইকেট হারিয়ে তৃতীয় দিন শেষ করে পাকিস্তান।

পাকিস্তানের ৩১৩ রানের জবাবে মার্নাস লেবুশানে ও মিচেল মার্শের ফিফটিতে ভর করে ২৯৯ রান সংগ্রহ করে অস্ট্রেলিয়া। লেবুশানে ১৪৭ বলে ৬০ ও মার্শ ১১৩ বলে করেন ৫৪ রান। পাকিস্তানের পক্ষে আমের জামাল নেন ৬টি উইকেট।

১৪ রানের লিড নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় পাকিস্তান। দলীয় ১ রানে জোড়া উইকেট হারায় তারা। এরপর সায়েম আয়ুব ও বাবর আজম মিলে শুরু ধাক্কা সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন।

৫৭ রানের জুটি গড়েন এই দুই ব্যাটার। তবে দলীয় ৫৮ রানে ৫৩ বলে ৩৩ রান করে সাজঘরে ফিরে যান সায়েম। এরপর ৯ রানের মধ্যে আরও ৪ উইকেট হারিয়ে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে পাকিস্তান।

শেষ পর্যন্ত ২৬ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ৬৮ রান সংগ্রহ করে দিন শেষ করে সফরকারীরা। ৮২ রানের লিড পেয়েছে পাকিস্তান। অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে জস হ্যাজেলউড নেন ৪টি উইকেট।

সূত্র: ইত্তেফাক




মেহেরপুর-১ আসনে অনিশ্চয়তায় নৌকা

মেহেরপুর-১ সংসদীয় আসন ৭৩ মেহেরপুর সদর ও মুজিবনগর উপজেলা নিয়ে গঠিত। আাগমী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন। বাকি মাত্র এক দিন। আজ সকাল ৮টায় শেষ হয়েছে প্রচারণা।

গতকাল শক্তিশালী দুই প্রার্থীই শেষ শোডাউনের মধ্যে দিয়ে জানান দিয়েছে লড়াইয়ের বার্তা। এই আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৩৭ জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৪৯ হাজার ৫৫৬ জন এবং নারী ভোটার ১ লাখ ৫০ হাজার ৪৮১ জন। ভোট কেন্দ্রের মোট সংখ্যা ১১৭ টি। এই আসনে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে মূলত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী বর্তমান জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন এবং ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও সাবেক সংসদ সদস্য প্রফেসর আব্দুল মান্নানের মধ্যে। নির্বাচনী প্রচারণার খবর সংগ্রহের মাঝে ভোটকেন্দ্র ভিত্তিক জনমত জরিপে স্থানীয় ভোটার, ব্যবসায়ী ও বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের সাথে কথা বলে জানতে পারা গেছে এই আসনে কেন্দ্র ভিত্তিক অনুমিত ফলাফলে কোথাও নৌকা প্রতীক, কোথাও বা ট্রাক প্রতীক এগিয়ে। আবার কিছু জায়গা আছে যেখানে নৌকা ও ট্রাকের মধ্যে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে।

তবে এই আসনে প্রচারণার ক্ষেত্রে প্রার্থী ও তাদের সমর্থকরা একে অপরের প্রতি ক্রমাগত বিষোদগার ও চরিত্রহন করেছেন। এতে ভোটের দিন কয়েক জায়গায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে ভোটারদের মধ্যে। মেহেরপুর পৌর এলাকায় মোট ১৩ টি ভোটকেন্দ্র রয়েছে। এর মধ্যে জনমত জরিপে নৌকা প্রতীকের ৩ টি ভোট কেন্দ্রে এগিয়ে থাকার বিপরীতে ট্রাক প্রতীক এগিয়ে রয়েছে ৮ টি ভোট কেন্দ্রে। হাড্ডা হাড্ডি লড়াই এর আভাস পাওয়া গেছে ২ টি কেন্দ্রে ।

একইভাবে কুতুবপুর ইউনিয়নের ১৪ টি ভোটকেন্দ্রে দেখা গেছে নৌকা প্রতীক এগিয়ে রয়েছে ৩ টি ভোটকেন্দ্রে অপরদিকে ট্রাক প্রতীক এগিয়ে ৫ টি ভোটকেন্দ্রে তবে হাড্ডা হাড্ডি লড়াইয়ের আভাস পাওয়া গেছে ৬ টি ভোট কেন্দ্রে।
বুড়িপোতা ইউনিয়নের ১২ টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে সমানসংখ্যক চারটি করে ভোট কেন্দ্রে এগিয়ে আছে নৌকা ও ট্রাক প্রতীক। বাকি চারটি কেন্দ্রে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে।

শ্যামপুর ইউনিয়নের ৯ টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে দুইটি ভোট কেন্দ্রে প্রতিদ্বন্দ্বীদের আভাস পেলেও বাকিগুলোতে ট্রাক প্রতিকের প্রার্থী এগিয়ে রয়েছেন। আমঝুপি ইউনিয়নের ১২ টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে ১ টিতে নৌকা পাঁচটিতে ট্রাক এগিয়ে তবে এখানে ছয়টি কেন্দ্রে দুই প্রতীকের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে ।

আমদহ ইউনিয়নের ৯ টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে ৪টি কেন্দ্রে নৌকা, ২ টি কেন্দ্রে ট্রাক এবং প্রতিদ্বন্ধিতার আভাস পাওয়া গেছে ৩ টি কেন্দ্রে।
পিরোজপুর ইউনিয়নের ৯ টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে ১ টি কেন্দ্রে নৌকা ও ২ টি কেন্দ্রের ট্রাক প্রতীক নির্ভার হলেও, বাকি ৬ কেন্দ্রে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে বলে আভাস পাওয়া গেছে।

বারাদি ইউনিয়নেরম ৯ টি ভোট কেন্দ্রের ১ টি তে প্রাক প্রতিক এগিয়ে থাকলেও বাকি ৮ টি কেন্দ্রেই তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে।
মুজিবনগর উপজেলার দারিয়াপুর ইউনিয়নে ৬ টি ভোট কেন্দ্রের জনমত জরিপে ৪ টিতে ট্রাক এগিয়ে আছে প্রতিদ্বন্দিতার আভাস পাওয়া গেছে বাকি দুইটি ভোটকেন্দ্রে।

মোনাখালি ইউনিয়নের ৭ টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে পাঁচটিতে ট্রাক প্রতীক এবং ১ টিতে নৌকা প্রতীক এগিয়ে আছে, প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে একটি ভোট কেন্দ্রের ভোটারদের। বাগোয়ান ইউনিয়ন পরিষদের ১২ টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে নৌকা প্রতীক এগিয়ে আছে ৩ টি কেন্দ্রে, ৬ টি কেন্দ্রে ট্রাক এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে ৩ টি কেন্দ্রে।

মহাজনপুর ইউনিয়নের ৫ টি কেন্দ্রের মধ্যে ২ টি কেন্দ্রে এগিয়ে রয়েছে নৌকা, ১ টিতে ট্রাক। আর ২টি কেন্দ্রে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে তীব্র।
তবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ী হবেন বলে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ফরহাদ হোসেন ও ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী প্রফেসর আব্দুল মান্নান উভয়েই আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। একসাথে তারা দু’জন ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে আসার জন্য উৎসাহ প্রদান করে যাচ্ছেন।
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সম্পর্কে মেহেরপুর জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আহসান খান বলেন, ‘এখন পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।

মেহেরপুর-১ সংসদীয় আসনের ১১৭ টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে মোট ২০ টি কেন্দ্রকে আমরা ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছি। ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলোর জন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।




বারাদী ইউপি চেয়ারম্যান মমিনসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ

মেহেরপুর সদর উপজেলার বারাদী ইউপি চেয়ারম্যান মমিনুল ইসলাম মসিনসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে সাধারণ ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে উপস্থিত না হওয়ার জন্য হুমকি প্রদান করে আতংক সৃষ্টি করার অভিযোগ করেছেন মোঃ সালেহ আল আজিজ টনিক বিশ্বাস।

বিষয়টি নিয়ে তিনি মেহেরপুর জেলা প্রশাসক জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে অভিযোগ করেছেন।

গত ৩ জানুয়ারি বুধবার মেহেরপুর জেলা প্রশাসক ও জেলার রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ পত্রটি দাখিল করেন। অভিযোগ পত্রটি অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট গ্রহণ করেছেন। যার ডকেট নম্বর ১৭৫, তারিখ ৩ জানুয়ারি।

লিখিত অভিযোগে বলা হয়েছে, তিনি সতন্ত্র প্রার্থী প্রফেসর আবদুল মান্নানের (ট্রাক প্রতীকের) ০৭ নম্বর বারাদী ইউনিয়নের নির্বাচন পরিচালানা কমিটির আহবায়ক। ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে নৌকার প্রতীকের পক্ষের নেতা ও মেম্বার গণ সাধারণ ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে উপস্থিত না হওয়ার জন্য হুমকি দিয়ে পুরা এলাকায় আতংক সৃষ্টি করে ফেলেছে।

লিখিত অভিযোগে তিনি অভিযুক্ত করেছেন, মোমিন চেয়ারম্যান সহ পাটকেলপোতা গ্রামের মোঃ রানা, রাজনগর ১ নম্বর ওয়ার্ডের মোঃ মুক্তি, রাজনগর শেখপাড়ার ওলিল ও শফি মেম্বার, আইনাল, হাসানাবাদ কলোনীর মামুন ও রবিন, মোমিনপুরের কালু মেম্বার, সিংহাটি পশ্চিমপাড়ার মোঃ সিদ্দিক ও কামাল, নতুন দরবেশপুরের মোঃ জাকির হোসেন লিটন মেম্বার এবং সিংহাটি পূর্বপাড়ার সুলতান মেম্বরকে। লিখিত অভিযোগে তিনি অনুরোধ করেন ভোট কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি বাড়ানো ও আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখতে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য।

টনিক বিশ্বাস অভিযোগ করে বলেন, অভিযোগ দাখিল ২৪ ঘন্টা পার হয়ে গেলেও তার অভিযোগের প্রেক্ষিতে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। তাই বাধ্য হয়ে তিনি নিজেই অভিযোগের অনুলিপি জেলা পরিষদ, পুলিশ সুপারের কার্যালয় ও গোয়েন্দা সংস্থায় দিয়ে এসেছেন।




ঝিনাদহের আঃ রউফ ডিগ্রি কলেজে পিএইচডি’র প্রি-সেমিনার অনুষ্ঠিত

ঝিনাইদহের আব্দুর রউফ ডিগ্রি কলেজে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের প্রস্তুতি মূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে কলেজের শেখ রাসেল কমপিউটার ল্যাবে এই সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

প্রাথমিক শিক্ষা ও মেধাবী শিক্ষকদের চাকুরী জীবনে অসন্তোষ ও তা সমাধানের উপায় সম্পর্কিত মূল পবন্ধ উপস্থাপন করেণ এমফিল ফেলো সুকান্ত বিশ্বাস। তিনি আগামী ৯ জানুয়ারি পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাপনী সেমিনার উপস্থাপন করবেন। সুকান্ত বিশ্বাস মেধাবী ও উচ্চ ডিগ্রিধারী হরিণাকুণ্ডুর সোনাতনপুর সরকারী প্রথমিক বিদ্যালয়ের একজন সহকারী শিক্ষক।

সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন আব্দুর রউফ ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ জে.এম রবিউল ইসলাম, ঝিনাইদহ সরকারি নুরন্নেহার মহিলা কলেজের সাবেক উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক বিমল চন্দ্র বিশ্বাস, শৈলকুপা সিটি ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ (ভারঃ) নাজমুন নাহার, হাজী আরশাদ আলী কলেজের অধ্যক্ষ (ভারঃ) জাকির হোসেন, আব্দুর রউফ ডিগ্রি কলেজের উপাধ্যক্ষ বিবেকানন্দ তরফদার, সহকারী অধ্যাপক ড.সাঈদ মোহাম্মদ ইকবাল. প্রভাষক শাহানুর আলম এবং আব্দুস সামাদসহ বিভিন্ন কলেজের বিশেষজ্ঞ শিক্ষক মন্ডলী।




আলমডাঙ্গায় স্মরণকালের নৌকা প্রতীকের বিশাল নির্বাচনী জনসভা

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের আওয়ামীলীগের মনোনীত নৌকার প্রার্থী সোলায়মান হক জোয়ার্দার ছেলুনের এক বিশাল নির্বাচনী জনসভা অনুষ্টিত হয়েছে। আজ বিকেলে আলমডাঙ্গা ফুটবল মাঠে এ নির্বাচনী জনসভা অনুষ্ঠিত হয়।

নির্বাচনী জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নৌকার প্রার্থী জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন।

আলমডাঙ্গা উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আবু মুছার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক যুগ্নসাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম টোটন জোয়ার্দ্দার, জেলা জাসদের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা এম সবেদ আলী, সাবেক জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি আব্দুর রশিদ মোল্লা, প্রশান্ত অধিকারী, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মুন্সি আলমঙ্গীর হান্নান, মাসুদুজ্জামান লিটু বিশ্বাস, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম খান, কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের আইন উপ-কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট হামিদুল ইসলাম হামিদ, কেন্দ্রীয় কৃষকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল ইসলাম পানু, হারদি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম নুরু, জেলা যুবলীগের আহবায়ক নঈম হাসান জোয়ার্দ্দার।

জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ছেলুন জোয়ার্দ্দার বলেন,আমি মনে করে ছিলাম ছোটখাটো একটা জনসভা হবে। কিন্তু এতো মানুষ আমি রাস্তা দিয়ে আসতে পারি নাই। রাস্তায় শুধু মানুষ আর মানুষ। মুন্সিগঞ্জ ঘুরে বন্ডবিল হয়ে এসেছি। এখন রাস্তায় মানুষ আর মানুষ। আলমডাঙ্গাবাসী আজ প্রমাণ করেছে বঙ্গবন্ধুর সৈনিকরা এখন মরে নাই। যে কোন অশুভ শক্তির মোকাবেলা করার ক্ষমতা বঙ্গবন্ধুর সৈনিকের রাখে।

আজকে কত লোক নমিনেশনের আগে বলেছিল নমিনেশন যে পাবে, তার ভোট করবে। ওরা হচ্ছে পাকা চিটার।

তিনি বলেন, আজকে কে কি করলো আমাদের ভাবার দরকার নেই। বঙ্গবন্ধুর সৈনিক হিসেবে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ যুবলীগ,ছাত্রলীগসহ যত সহযোগি সংগঠন আছে,সকল নেতাকর্মিদের বলবো,আজকে আলমডাঙ্গার এই মাঠে আম জনতা একত্রিত হয়েছে। কয়দিন আগে এখানে একটা সভা করে ভাব নিচ্ছিল এর উপর আর বড় সভা হয় না। মিয়ারা ভোটের পরে টের পাবা। আজকে মানুষের ভেতরে যে স্বতস্ফুর্ততা বিরাজ করছে, এটা দেখেও কি বোঝো না? আজকে আমি শুধু বলবো,বাংলাদেশে শেখ হাসিনার কোন বিকল্প নেই। শেখ হাসিনা শেখ হাসিনাই।

এই মাঠটি দখল হয়ে গিয়েছিল। সেই মাঠ ভেঙ্গেচুরে গোডাউন সরিয়ে স্টেডিয়াম নির্মাণ হচ্ছে। কে করেছে? এটা শেখ হাসিনা করেছে। শেখ হাসিনার নেয়ামত এটা। প্রত্যেকটা গ্রামীণ সড়ক, ইউনিয়ন থেকে ইউনিয়ন কোনটাই কাঁচা নেই। প্রত্যেক ইউনিয়নে কমিউনিটি ক্লিনিক করে দেওয়া হয়েছে। সেখানে বিনা পয়সায় মানুষ স্বাস্থ্য সেবা পাচ্ছে, মা বোনেরা এখানে উপস্থিত আছেন,আপনারা জানেন শেখ হাসিনা ৫১ রকম ভাতা দিচ্ছে।শেখ হাসিনা না থাকলে কে দেবে? কেউ দেবে না। ভাতা বন্ধ করে দেবে।

কমিউনিটি ক্লিনিক ৯৬ সালে শেখ হাসিনা করেছিল। বিএনপি ক্ষমতায় এসে তা বন্ধ করে দেয়। এই হলো বিএনপির আসল রুপ। ওরা আগুন ধরায়, রেল পোড়ায়,বাস পোড়ায়,গাড়ি পোড়ায়। বিএনপি হলো আগুন সন্ত্রাসী। ওইসব আগুন সন্ত্রাসীদের থেকে আপনাদের সাবধান থাকতে হবে। ওরা দেশের মঙ্গল চাই না।
সুতরাং আপনারা, মা-বোনেরা সকাল সকাল ভোট কেন্দ্র গিয়ে নৌকায় ভোট দিবেন। আমি আবারও শেখ হাসিনার সালাম পৌঁছে দিয়ে নৌকায় ভোট চেয়ে গেলাম।

নির্বাচনি জনসভায় আলমডাঙ্গা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ইয়াকুব আলী মাস্টারে সঞ্চালনায় আরো উপস্থিত ছিলেন আলমডাঙ্গা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সহ-সভাপতি মজিবর রহমান, কাজী খালেদুর রহমান অরুন, ঠান্টু রহমান, লিয়াকত আলী লিপু মোল্লা,পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সাইফুর রহমান পিন্টু, আলমডাঙ্গা পৌর আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, গাংনী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আবু তাহের, জেলা মৎস্যজীবী লীগের সভাপতি সাহাবুল হক, কুমারী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ও চেয়ারম্যান আবু সাইদ পিন্টু, হারদি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ও চেয়ারম্যান আশিকুজ্জামান ওল্টু, খাদেমপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ও চেয়ারম্যান মোজাহিদুর রহমান লোটাস জোয়ার্দ্দার, ডাউকি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক তরিকুল ইসলাম, বেলগাছি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসান চঞ্চল, জেহালা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি হাসানুজ্জামান হান্নান, নাগদাহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এজাজ ইমতিয়াজ বিপুল জোয়ার্দ্দার, বাড়াদি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মকবুল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম লাল্টু, ভাঙবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সোহানুর রহমান সোহান, আলমডাঙ্গা উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক সোনাহার মন্ডল, যুগ্নআহবায়ক তাফসির আহম্মেদ মল্লিক লাল, জেহালা ইউনিয়ন যুবলীগের আহবায়ক ও চেয়ারম্যান মকলেছুর রহমান সিলন, সদস্য মনিরুজ্জামান হিটু, পৌর যুবলীগের আহবায়ক আশাদুল হক ডিটু, যুগ্নআহবায়ক জাহিদুল ইসলাম, যুবলীগ নেতা পাপন, শাহিন রেজা, আলমডাঙ্গা সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি আশরাফুল ইসলাম, তমাল, বাদশা, রাকিব আহম্মেদ রকি, আব্দুল্লাহ আল সাকিব।




চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী রাজ্জাক খানের নির্বাচনী জনসভা

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৭৯ চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে নির্বাচনী সমাবেশে করেছেন চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের অর্থ ও পরিকল্পনা বিষয়ক উপকমিটির সদস্য মিনিস্টার মাইওয়ান গ্রুপের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব এম.এ রাজ্জাক খান রাজ সিআইপি।

আজ বৃহস্পতিবার বিকালে আলমডাঙ্গার জেহালা ইউনিয়নের মুন্সীগঞ্জ একাডেমী ফুটবল মাঠে হাজার হাজার জনতার উপস্থিতিতে সমাবেশে এ সময় গণজোয়ার সৃষ্টি হয়। বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ ও সাধারণ ভোটারদের উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো ছিলো, ফ্রিজ মার্কার মুহু মুহু স্লোগানে জয়জয়কার হয়ে যায়। শেষ নির্বাচনী প্রচারণায় পরিচালনা জনসভায় বক্তারা ফ্রিজ মার্কার প্রতি জনতার এই স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতি দেখে উল্লোসিত হন।

তারা সমগ্র উপস্থিতিকে সালাম শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা জানান, এবং সকলের প্রতি ফ্রিজ মার্কায় ভোট দেওয়ার আহবান জানান। আলমডাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন আলহাজ্ব এম.এ রাজ্জাক খান রাজ সিআইপি এ সময় তিনি হাজার হাজার জনতার উদ্দেশ্যে বলেন এবারের নির্বাচন স্বাধীনতা রক্ষার নির্বাচন এবারের নির্বাচন শেখ হাসিনাকে জয় করার নির্বাচন, তিনি আরো বলেন, চুয়াডাঙ্গার সামগ্রিক উন্নয়নে একজন যোগ্য প্রার্থী নির্বাচন করা আপনাদের নৈতিক অধিকার। সেই কারনে আপনারা অবশ্যই একটি যোগ্য প্রার্থী নির্বাচনে মনোনিবেশ করবেন এবং ৭ জানুয়ারী রবিবার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে উংসব মুখর পরিবেশে আপনার পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেবেন সেই ক্ষেত্রে ফ্রিজ প্রতীকে ভোট দিতে ভুল করবেন না। আপনাদের প্রতি বিনয়ের সাথে বলছি আমি আপনাদের সাথে ছিলাম আছি এবং থাকবো, সেবার মহিমা নিয়ে আগামী দিনে পথ চলবো, আপনাদের দাবি এবং অধিকারের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আমি আরো বলতে চাই আমি এই এলাকার সন্তান হিসেবে আগামীর রাজনীতিতে পরিবর্তন চাই এবং জনকল্যাণ মূলক কাজের সাথে থাকতে চাই আমাকে দোয়া করবেন এবং ফ্রিজ মার্কায় ভোট দিবেন।

এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক আহ্বায়ক ও সাবেক পৌর মেয়র ওবাইদুর রহমান চৌধুরী জিপু তিনি জনতার উদ্দেশ্যে বলেন, আমাদের প্রার্থী ধর্ম প্ররায়ণ ন্যায় পরায়ণ সৎ এবং সাদা মনের মানুষ আপনারা অবশ্যই এই প্রার্থীকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করবেন। আপনারা নির্ভয়ে ভোটকেন্দ্রে যাবেন ও ফ্রিজ মার্কায় নির্ভয়ে ভোট দিবেন।

এ সময় রাজ্জাক খানের সহধমিণী দিলরুবা তনু বলেন, রাজ্জাক খান আপনাদের গর্বিত সন্তান তিনি আপনাদের দীর্ঘ দীন সেবা করে যাচ্ছেন পাশাপাশি এই এলাকার সকল ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে সাহায্যের হাত প্রসারিত করেছেন, তিনি আগামীতে আরো সেবা করার জন্য আপনাদের পাশে এসেছেন এবং আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ফ্রিজ মার্কায় ভোট করছেন। যে কারনে আপনারা অবশ্যই এম.এ রাজ্জাক খান রাজের পক্ষে রায় দিবেন এবং তার বিজয়কে সুনিশ্চিত করবেন।

বিশেষ অতিথি চুয়াডাঙ্গা জেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিটের সাবেক কমান্ডার আবু হোসেন বলেন চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে আলমডাঙ্গা উপজেলায় ১হাজার ৩শত মুক্তিযোদ্ধা আছে যারা আজকে স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা এম.এ রাজ্জাক খান রাজকে সমর্থন করছে এবং তাকে জয়যুক্ত করতে কাজ করে যাচ্ছেন, সুতরাং আসুন সকলেই আমার ফ্রিজ মার্কায় ভোট দিয়ে স্বত্রর প্রার্থী আলহাজ্ব রাজ্জাক খান রাজকে জয়যুক্ত করি।

এ সময় চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের আওয়ামী লীগ যুবলীগ ছাত্রলীগ স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মীরা তাদের বক্তব্য বলেন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আসুন আমারা এক মঞ্চে আছি এবং ঐক্যবদ্ধ হয়ে সৎ প্রার্থী ফ্রিজ মার্কার পক্ষে জণজোয়ার তুলি, ৭ তারিখে সারাদিন ফ্রিজ মার্কায় ভোট দিন নির্ভয়ে।

উপস্থিত ছিলেন রাজ্জাক খানের পুত্র আল-আকসা তানজিম খান চুয়াডাঙ্গা জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি সৈয়দ ফরিদ আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান হাফিজ, চুয়াডাঙ্গা জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও জেলা যুবলীগের সদস্য শরিফ হোসেন দুদু, বাড়াদী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান মনি, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জানিফ, ছাত্রলীগ নেতা জাকির হোসেন জ্যাকি, স্বেচ্ছাসেবক লীগের চুয়াডাঙ্গা সদর শাখার সভাপতি জুয়েল রানা, সাধারণ সম্পাদক ও পৌর কাউন্সিলর মাফিজুর রহমান মাফি, ছাত্রলীগ নেতা সজল আহমেদ, মুফতি আব্দুল্লাহ, আবুল কালাম, নুরুল ইসলাম, মোস্তফা খান, রবজেল আলী, ফয়ছাল, বাদশা, টুটুল, উজ্জল বিশ্বাস, মিলন, ফারুখ, সোহেল, সাজ্জাত, শুকুর আলী, জীবন আহমেদ শামীম, ফয়সাল বিশ্বাস অন্তর, আরিফ, রাব্বী,জিহাদ, শেখ গোলাম মস্তফা শওকত, বীর মুক্তিযোদ্ধা হাফিজুর রহমান প্রমুখ।




কাথুলী ইউপি চেয়ারম্যানের মোটরসাইকেল শোডাউন

কাথুলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান রানা শত শত মোটরসাইকেলের বহর নিয়ে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী নাজমুল হক সাগরের জনসভায় যোগদান করেছেন।

আজ বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৩ টার সময় কাথুলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান রানার নেতৃত্বে ইউনিয়নের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে শত শত মোটরসাইকেল কুতুবপুর স্কুল এন্ড কলেজের মাঠে একত্রিত করে গাংনীর উদ্যেশে রওনা দিয়েছেন।

দেখা গেছে গাংনী জনসভায় রওনা হওয়ার সময় মটর সাইকেল শোডানে দফায় দফায় ইউনিয়নের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে শোডাউনে যুক্ত হয়েছে।

এ বিষয়ে কাথুলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান রানা জানান জন নেত্রী শেখ হাসিনার হাত কে শক্তি শালী করার লক্ষ্যে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আবু সালেহ মোহাম্মদ নাজমুল হক সাগর কে কাথুলী ইউনিয়ন থেকে নৌকা মার্কায় বিপুল পরিমানে ভোট দিয়ে বিজয় করিয়ে মেহেরপুর-২ গাংনী আসনটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উপহার দিব।

সেই লক্ষ্যে আজকে এ এস এম নাজমুল হক সাগরের জনসভায় হাজার হাজার গাড়ি নিয়ে যোগ দিতে এখানে একত্রিত হয়েছি।এবং আজকে প্রমান করে দিব কাথুলী ইউনিয়নের মাটি শেখ হাসিনার ঘাটি, কাথুলী ইউনিয়নের মাটি আওয়ামী লীগের ঘাটি।

কাথুলী ইউনিয়ন কৃষক লীগের সভাপতি রেজাউর রহমান রেজা জানান কাথুলী ইউনিয়ন পরিষদের বার বার নির্বাচিত চেয়ারম্যান আমার রাজনৈতিক অবিভাবক মিজানুর রহমান রানার নেতৃত্বে আজকে গাংনীর জনসভা কে সাফল্য মন্ডিত করার লক্ষ্যে এখান থেকে রওনা দিব। ৭ তারিখ ইনশাআল্লাহ বিপুল ভোটে নৌকাকে বিজয় করবো।

মোটরসাইকেল শোডাউনে যোগ দিয়েছেন কাথুলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বিভিন্ন ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি সাধারণ সম্পাদক ও কাথুলী ইউনিয়ন কৃষক লীগের নেতাবর্গ, ছাত্রলীগের নেতা বর্গ যুবলীগের নেতা বর্গ সহ অন্যান্য আওয়ামী লীগের নেতাবর্গ মটর সাইকেল শোডাউনে যোগদান করেছিলেন।




মেহেরপুর ১ আসনে নৌকা প্রার্থী ফরহাদ হোসেনের নির্বাচনী মিছিল

মেহেরপুর-১ সংসদীয় আসনের আওয়ামী লীগ প্রার্থী ও জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন নির্বাচনী মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার ৪ জানুয়ারি রাতে শহরের শহীদ সামসুজ্জোহা পার্কে থেকে মিছিলটি বের হয়ে একই স্থানে গিয়ে শেষ হয়।

মিছিলে নেতৃত্ব দেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ও নৗকার প্রার্থী ফরহাদ হোসেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও পিরোজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ বাবলু বিশ্বাস, মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. ইব্রাহিম শাহিন, জেলা আওয়ামী লীগের আইন বিষায়ক সম্পাদক অ্যাড. পল্লব ভট্টাচার্য, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ইকবাল হোসেন বুলবুল, বুড়িপোতা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহজামান, শ্যামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মতিউর রহমান, মেহেরপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক বারিকুল ইসলাম লিজন, মেহেরপুর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুস সালাম বাঁধন, মেহেরপুর সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি খন্দকার জুলকার নাইম বাইজিদ, মেহেরপুর সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক কুতুব উদ্দিন আহমেদ, মেহেরপুর জেলা ইয়াং বাংলা ফিউচার লিডার্সের সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম আলী, আওয়ামী লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ এবং ছাত্রলীগসহ বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মী ও নারী কর্মীরা এই মিছিলে অংশ নেয়।




মেহেরপুর-১ আসনে নির্বাচনী প্রচারণার শেষ দিনে ৪ জনকে শোকজ

নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে নির্বাচনী প্রচারণার শেষ দিনে স্বতন্ত্র প্রার্থীসহ ৪ জনকে শোকজ করেছে মেহেরপুর-১ সংসদীয় আসনের নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটি।

আজ বৃহস্পতিবার ৪ জানুয়ারি বিকাল ৫ টার সময় মেহেরপুর-১ সংসদীয় আসনের নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান এবং যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ-২য় আদালতের বিচারক এইচ এম কবির হোসেন এ সকল শোকজ করেন।

জানা গেছে, মেহেরপুর সদর উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের ভগ্নিপতি আব্দুস সামাদ বাবলু বিশ্বাসের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী প্রফেসর আবদুল মান্নান, তার নির্বাচনী সহযোগী অ্যাডভোকেট মিয়াজান আলী এবং মেহেরপুর জেলা যুবলীগের যুগ্ন আহবায়ক শহিদুল ইসলাম পেরেশানকে পৃথক শোকজ করা হয়েছে। একই সাথে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া হুমকি প্রদানের ভিডিও দেখে নৌকার প্রাথী ফরহাদ হোসেনের ভগ্নিপতি আব্দুস সামাদ বাবলু বিশ্বাসকে স্বপ্রণোদিত শোকজ করেছে নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটি।

স্বপ্রণোদিত শোকজে বাবলু বিশ্বাসকে বলা হয়েছে, ‘৩ জানুয়ারি তারিখের দৈনিক পত্রিকাসহ বিভিন্ন অনলাইন পত্রিকা ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত সংবাদের মাধ্যমে অবগত হয়েছি যে, আপনি আব্দুস সামাদ বাবলু বিশ্বাস, চেয়ারম্যান, পিরোজপুর ইউনিয়ন পরিষদ ও সহ সভাপতি, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ মেহেরপুর জেলা শাখা, বিগত ১ জানুয়ার রাত অনুমান ৯ টায় পিরোজপুর ইউনিয়নের একটি নির্বাচনী জনসভায় বক্তব্য প্রদানের সময় বলেছেন যে, পিরোজপুরের ৪ টি সেন্টারে আমি যেন দেখতে না পাই কোন এজেন্ট আছে ঐ চাপা দেওয়া (ট্রাক) প্রতীকের। তারা কিসের ভয় দেখায় আমি তো বুঝতে পারিনা। আমার চেয়ে মাস্তান বেশি আছে কেও? আমার চেয়ে যন্ত্রপাতি কারো বেশি আছে? আমার চেয়ে কি টাকা তাদের বেশি আছে? তাহলে কিসের ভয় দেখায়। যারা আমার কাছে কাজ করে খেতো কদিন আগে, তারা ভয় দেখায় কিসের। জমি ৩ বিঘা জমি কেড়ে নেবো।” আপনার উক্ত বক্তব্য সংসদ নির্বাচন প্রার্থীর (আচরণ) বিধিমালা, ১৯৭৯ এর বিধি ১১ (ক) ও ১১ (ঙ) লঙ্ঘন।’ আগামী শনিবার ৬ জানুয়ারি সশরীরে অথবা প্রতিনিধির মাধ্যমে শোকজের উত্তর দেয়ার জন্য আপনাকে নির্দেশ দেয়া হলো।

অপরদিকে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রীর ভগ্নিপতি ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আব্দুস সামাদ বাবলু বিশ্বাসের তিনটি লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে তিনজনকে শোকজ করা হয়েছে।

অভিযোগে স্বতন্ত্র প্রার্থী প্রফেসর আবদুল মান্নান সম্পর্কে বলা হয়েছে ২ জানুয়ারি পিরোজপুর ইউনিয়নের কাঁঠালপোতায় এক নির্বাচনী জনসভায় তিনি বলেছেন, ‘দুর্গা ডোবার আগে এসে হাত মেলাও।’ এ কথাটি বলে তিনি ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত এনেছেন।

অ্যাডভোকেট মিয়াজান আলী সম্পর্কে অভিযোগে বলা হয়েছে, একই দিনে নির্বাচনী জনসভায় কাঁঠালপোতায় তিনি বলেছেন ভোটের পরের দিন সবকিছু দখল করে নেওয়া হবে এবং চাবি কেড়ে নেওয়া হবে।

আর জেলা যুবলীগের যুগ্ন আহবায়ক শহিদুল ইসলাম পেরেশানের বিরুদ্ধে অভিযোগে বাবলু বিশ্বাস বলেছেন, শহিদুল ইসলাম পেরেশান ২ জানুয়ারী কাঁঠালপোতার জনসভায় ফরহাদ হোসেনকে ক্যাসিনো ও টেন্ডারের নিয়ন্ত্রক, হাজার কোটি টাকা পাচারকারী এবং জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রীর সহধর্মিনী সৈয়দা মোনালিসা ইসলামকে মেহেরপুরের ক্যাসিনো রানী বলেছেন।

প্রফেসর আব্দুল মান্নান, এ্যাডভোকেট মিয়াজান আলী এবং শহিদুল ইসলাম পেরেশানকে আগামী ৬ জানুয়ারি শনিবার দুপুর সাড়ে বারোটার সময় নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে স্বশরিরে বা প্রতিনিধির মাধ্যমে শোকজের উত্তর দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।




৭১ লাখেরও বেশি হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট বন্ধ

বিদায়ী বছর ‘২৩-এর নভেম্বরে শুধু ভারতেই ৭১ লাখেরও বেশি অ্যাকাউন্ট বন্ধ করেছে মেটার মালিকানাধীন প্ল্যাটফর্ম হোয়াটসঅ্যাপ।

নতুন প্রযুক্তি আইন, ২০২১ অনুযায়ী এসব ব্যবহারকারীদের অ্যাকাউন্ট ব্যান করা হয়েছে।

গত বছর লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার বিষয়ে বারবার গণমাধ্যমে খবরের শিরোনাম হয়েছে হোয়াটসঅ্যাপ। কখনও কখনও মেসেজিং অ্যাপটিতে অপরিচিত নম্বর থেকে ভয়েস কল করে চাওয়া হয়েছে ব্যক্তিগত তথ্য। আবার কখনও কখনও লিংক পাঠিয়ে ম্যালওয়ার ভরে দেওয়া হয়েছে। এ ধরনের প্রতারণা বন্ধ করতেই এ পদক্ষেপ নিয়েছে হোয়াটসঅ্যাপ।

এক প্রতিবেদনে বলা হয়, গত বছরের নভেম্বরেই রেকর্ড পরিমাণ অ্যাকাউন্ট বন্ধ করেছে হোয়াটসঅ্যাপ। এমনকি কোনো ব্যবহারকারীর পক্ষ থেকেই রিপোর্ট পাওয়ার আগেই সাড়ে ১৯ লাখ বেশি অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়া হয়। সেই মাসে ৮ লাখ ৮৪১ ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষিত রাখতে ও প্রতারণার হাত থেকে তাদের রক্ষা করতেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়।

এর মধ্যেই ভারতে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৫০ কোটি পার করেছে। তাই অ্যাপটি ব্যবহার করে প্রতারণার জালও ছড়াচ্ছে। এর ফলে প্রতি মাসে দফায় দফায় বিভিন্ন অ্যাকাউন্ট বন্ধ করেছে হোয়াটসঅ্যাপ।

সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস