চুয়াডাঙ্গা কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ইন্সট্রাক্টর মনিরুজ্জামানের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ

চুয়াডাঙ্গা কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের (টিটিসি) ড্রাইভিং ইন্সট্রাক্টর মো. মনিরুজ্জামানের বিরুদ্ধে প্রশিক্ষাণার্থীদের কাছ থেকে পাশ করিয়ে দেওয়ার নাম করে টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। প্রশিক্ষণার্থীদের ফেল করানোর ভীতি দেখিয়ে জনপ্রতি ২ হাজার ৫ শ টাকা করে নিয়েছেন তিনি।

ঘটনাটি একটি স্থানীয় পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর জানাজানি হয়। এর আগে সোমবার রাতে ওই সংবাদকর্মীর অফিসে গিয়ে সংবাদ বন্ধের জন্য ঘুষ দিতে চাইলে সংবাদকর্মী না নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করলে মঙ্গলবার তাকে হুমকি দেন মনিরুজ্জামান। সংবাদ প্রকাশের পর মনিরুজ্জামান কূল কিনারা না পেয়ে অল্প কয়েকজন অকৃতকার্য প্রশিক্ষণার্থীকে ফুসলিয়ে ঝটিকা মানববন্ধন করেছেন। তবে কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের অধ্যক্ষ বলছেন, ইতোপূর্বেও তার বিরুদ্ধে একই অভিযোগ ছিল। বিষয়টিতে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে। তবে ড্রাইভিং ইন্সট্রাক্টর মো. মনিরুজ্জামান প্রথমে টাকা নেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করলেও পরে বিষয়টিই অস্বীকার করছেন।

জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে বিভিন্ন ট্রেডে নিয়মিত প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। স্কিলস্ ফর এমপ্লয়মেন্ট ইনভেস্টমেন্ট প্রোগ্রাম (ঝঊওচ) এর আওতায় চুয়াডাঙ্গা টিটিসিতে অন্যান্য প্রশিক্ষণের সাথে মোটর ড্রাইভিং উইথ বেসিক মেইনটেন্যান্স প্রশিক্ষণও অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ইতোমধ্যে সেইপ প্রকল্পের আওতায় এই প্রশিক্ষণের বেশ কয়েকটি ব্যাচ প্রশিক্ষণ শেষ করেছে। সেইপ প্রকল্পের চুক্তিভিত্তিক ড্রাইভিং ইন্সট্রাক্টর হিসেবে চুয়াডাঙ্গা টিটিসির সামনেই ভিমরুল্লাহ গ্রামের মো. মনিরুজ্জামান ড্রাইভিংয়ের প্রশিক্ষণ দিচ্ছিলেন।

তবে অভিযোগ উঠেছে, স্থানীয় প্রভাব খাটিয়ে চুয়াডাঙ্গা টিটিসিতে তিনি নিজস্ব একটি বলয় তৈরি করেছেন। নিয়ম—কানুনের তোয়াক্কা না করে ইচ্ছামতো আসা—যাওয়া করেন। তার ভাই তরিকুল ইসলাম লাবলু এই ট্রেডের সহকারী প্রশিক্ষক। দুই ভাই মিলে অনেকটাই ইচ্ছামতো নিয়মের বাইরে গিয়ে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা করেন। তবে প্রশিক্ষণ প্রদানে যেমন ফাঁকি দেন, তার থেকে বেশি নির্ধারিত ড্রাইভিং পরীক্ষার সময়ে তাদের আচরণ বদলায়। প্রশিক্ষণার্থীদের ফেল করানোর নানা রকম হুমকি—ধমকি দিয়ে প্রতি ব্যাচেই তারা নেন মোটা অংকের টাকা। জনপ্রতি আড়াই হাজার থেকে তিন হাজার টাকা বা তার বেশিও নেওয়ার অভিযোগ আছে।

চুয়াডাঙ্গা কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে, স্কিলস্ ফর এমপ্লয়মেন্ট ইনভেস্টমেন্ট প্রোগ্রাম এর আওতায় চুয়াডাঙ্গা টিটিসিতে সকাল—বিকেল মিলে মোট চারটি ব্যাচের ৯০ জন প্রশিক্ষণার্থীর পরীক্ষা ছিলো মঙ্গলবার। চুয়াডাঙ্গা বিআরটিএ—এর মাধ্যমে এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। তবে পরিক্ষায় অংশ নেওয়া টিটিসির ৮৫ জন প্রশিক্ষণার্থীর মধ্যে ৫৯জনই পরিক্ষাতে ফেল করেছেন।

প্রশিক্ষণার্থীদের অভিযোগ, প্রশিক্ষণের বাকি সব ক্লাস ঠিকঠাক হলেও ব্যবহারিক ক্লাসে প্রশিক্ষকরা সময় দেন খুবই কম। প্রশিক্ষণ চলাকালীন সময় থেকেই তারা প্রশিক্ষণার্থীদের পরীক্ষা নিয়ে নানা ভীতি দেখান। টাকা না দিলে কেউ পাশ করে না, যে টাকা দেবে না, তার দায়িত্ব তার নিজের। এই ধরনের নানা কথায় চাপে রাখেন প্রশিক্ষণার্থীদের।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক প্রশিক্ষণার্থী বলেন, ‘শুরু থেকেই মনির স্যার ও তরিকুল স্যার আমাদের কাছে টাকা দাবি করে আসছেন। টাকা না দিলে ফেল করব, তারা আমাদের দায়িত্ব নিবে না, এমনটাই বলা হয়ে থাকে। মনির স্যার তো কখনো কখনো বলে থাকেন, যে টাকা দিবা না, সে পাশও করবা না। প্রশিক্ষণ নিয়ে লাভ নেই। বাড়ি যাও।’

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক প্রশিক্ষণার্থী বলেন, ‘আমার বাড়ি জীবননগর উপজেলায়। আমার আব্বু একজন প্রতিবন্ধী। খুব কষ্টে আমাদের সংসার চলে। যাতায়াত ভাতা দেওয়ায় আমি সেইপ প্রকল্পের এই প্রশিক্ষণে ভর্তি হয়েছিলাম। কিন্তু দূর থেকে আসা যাওয়ার নানা সমস্যা থাকায় আমি যাতায়াত ভাতার কথা ভেবে চুয়াডাঙ্গায় ম্যাসে উঠেছি। তবে ড্রাইভিং প্রশিক্ষক মনির স্যারের আচরণে আমি খুব টেনশনে ছিলাম। প্রথম থেকেই তিনি পাশ করার জন্য টাকা দাবি করেছিলেন। আমার পরিবারের আর্থিক অবস্থার কথা জানিয়ে আমি স্যারকে অনুরোধ করেছিলাম, আমার টাকাটা যেন না নেওয়া হয়। তিনি আমাকে বলেছিলেন, তোমার কোর্স করতে হবে না। তুমি পাশ করবা না। তোমার দায়িত্ব আমার না। শেষ পর্যন্ত আমি অনেক কষ্টে আড়াই হাজার টাকা দিতে বাধ্য হয়েছি।’

এদিকে, টিটিসির ড্রাইভিং ইন্সট্রাক্টর মো. মনিরুজ্জামান ও তার ভাই একই ট্রেডের সহকারী প্রশিক্ষক তরিকুল ইসলাম লাবলুর বিরুদ্ধে এর আগের প্রতিটি ব্যাচের প্রশিক্ষাণার্থীদের থেকেও মোটা টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। যারা দেয়নি, তাদের পাশ করানো হয়নি বলেও জানিয়েছেন পূর্বের ব্যাচের একাধিক প্রশিক্ষণার্থী। এ বিষয়ে স্থানীয় একটি পত্রিকা সংবাদ প্রকাশ করার পর প্রশিক্ষণার্থীদের টাকা ফেরত দিয়েছেন টিটিসির ড্রাইভিং ইন্সট্রাক্টর মো. মনিরুজ্জামান।

অপরদিকে স্থানীয় একটি পত্রিকা অফিসে গিয়ে দীর্ঘক্ষণ ঘুষ দেওয়ার চেষ্টা করেন টিটিসির ড্রাইভিং ইন্সট্রাক্টর মো. মনিরুজ্জামান। ওই পত্রিকা অফিসের সিসিটিভি ফুটেজে মনিরুজ্জামানের দীর্ঘক্ষণ দাড়িয়ে থেকে ঘুষ দেওয়ার ভিডিও দেখা যাচ্ছে। তবে ওই সংবাদকর্মী দীর্ঘক্ষণ তাকে ফেরত পাঠানোর চেষ্টা করলেও তিনি ওই অফিসেই দাড়িয়ে থাকেন। শেষ পর্যন্ত ওই সংবাদকর্মী হাত জোড় টাকা না নিয়ে টিটিসির ড্রাইভিং ইন্সট্রাক্টর মো. মনিরুজ্জামানকে ফেরত পাঠান। ভিডিও ফুটেজে বিষয়টি স্পষ্ট প্রতীয়মান।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে টিটিসির ড্রাইভিং ইন্সট্রাক্টর মো. মনিরুজ্জামান প্রথমে অভিযোগ অস্বীকার করলেও পরবর্তীতে অভিযোগ অনেকটাই স্বীকার করে বলেন, ‘প্রশিক্ষণার্থীদের ড্রাইভিংয়ে পাশ করানোর জন্য নিঃস্বার্থ কিছু টাকা নিলেও আমি তা ফেরত দিয়ে দেব।’

অপরদিকে, ঘুষ দিতে ব্যার্থ হয়ে টিটিসির ড্রাইভিং ইন্সট্রাক্টর মো. মনিরুজ্জামান অকৃতকার্য কয়েকজন প্রশিক্ষণার্থীকে সাথে নিয়ে নিজে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে ছোট্ট একটি মানববন্ধন করার চেষ্টা করেন। ওই মানববন্ধনে টিটিসির ড্রাইভিং ইন্সট্রাক্টর মো. মনিরুজ্জামান টিটিসির অধ্যক্ষের কথায় এসছেন বলে জানালেও টিটিসির অধ্যক্ষ মানববন্ধনের বিষয়টি সম্পূর্ণ জানেন না বলে জানিয়েছেন।

চুয়াডাঙ্গা কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের অধ্যক্ষ মো. মুছাব্বেরুজ্জামান বলেন, আমি মানববন্ধনের বিষয়ে কিছু জানিনা। যদি আমার নাম কেউ করে থাকে, তাহলে সেটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। টিটিসির অধ্যক্ষ আরও বলেন,‘মনিরুজ্জামান সাহেবের বিরুদ্ধে এই ধরনের অভিযোগ আমি আগেও পেয়েছি। এবার বিস্তারিত জানার পর বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখব। প্রয়োজনে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে। আমার ক্যাম্পাসে সেনাবাহিনী ক্যাম্প করায় ১৩ তারিখ পর্য’ন্ত বন্ধ। তবে অফিস খুললেই এ বিষয়ে আমি ব্যবস্থা নেবো।

তিনি আরও জানান, ‘গত তিন দিন আগে সেইপ প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়েছে। এটি এই চুক্তির সর্বশেষ ব্যাচ। মো. মনিরুজ্জামান ও তার ভাই দুজনেই চুক্তিভিত্তিক নিয়োগপ্রাপ্ত। তাদের চুক্তির মেয়াদও এই ব্যাচের মাধ্যমে শেষ হচ্ছে। তবে বিষয়টি নিয়ে আমি আইনগত পদক্ষেপ নেব। এটি আমার প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করেছে।’ মঙ্গলবারের পরিক্ষায় কতজন পাশ করেছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ৮৫জন অংশগ্রহণকারীর মধ্যে ২৬ জন পাশ করেছে।

তবে সাবেক ও বর্তমান প্রশিক্ষণার্থীদের দাবি, বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখে এই দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার। তারা এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গার জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।




২২ প্রিজাইডিং কর্মকতার বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থীর আপত্তি

মেহেরপুর এক আসনের ২২ জন প্রিজাইডিং কর্মকর্তার নাম উল্লেখ করে স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল মান্নান জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ করেছেন। অভিযোগে তিনি উক্ত প্রিজারডিং অফিসারদের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন থাকায় ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়া ও নির্বাচনী ফলাফল কে প্রভাবিত করতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।

গত ২১ ডিসেম্বর প্রফেসর আব্দুল মান্নান দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক মেহেরপুর বরাবর অভিযোগপত্র দাখিল করেছিলেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে এ পর্যন্ত কোন উত্তর না পেয়ে হতাশা ব্যক্ত করেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী প্রফেসর আব্দুল মান্নান। উল্লেখিত প্রিজাইডিং অফিসারগণ বিভিন্ন সময় তার প্রতিদ্বন্দী প্রার্থীর রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেছেন বলেও অভিযোগ করেছেন প্রফেসর আব্দুল মান্নান।

অভিযোগপত্রে আপত্তি জানানো প্রিজাইডিং অফিসাররা হলেন, মেহেরপুর সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের বাংলার ইন্সট্রাক্টর মৌসুমী ঢালী, মেহেরপুর গণপূর্ত বিভাগের সহকারী প্রকৌশলী মোঃ জামাল উদ্দীন, জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের প্রবেশন অফিসার মোঃ সাজ্জাদ হোসেন, সড়ক ও জনপথের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মো: মিজানুর রহমান, শিক্ষা প্রকৌশলী অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী হাবিবুর রহমান, এলজিইডির সহকারী প্রকৌশলী মোঃ তামিম মাহমুদ প্রান্ত ও মোঃ মেহেদী হাসান, মেহেরপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক মোঃ আব্দুল মান্নান ও মোহাঃ আলিমুজ্জামান, পিরোজপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক মোঃ সাইদুজ্জামান, মেহেরপুর দারুল উলুম আহমদিয়া ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মো: ওয়াজেদ আলী, মোমিনপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মেহেদী রেজা, মেহেরপুর সদর উপজেলা সমবায় অফিসার মোঃ মনিরুজ্জামান, আমঝুপি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ রুহুল আমিন, যাদুখালী স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মোস্তফা সাঈদ কামাল, সহকারী অধ্যাপক মোঃ আবুল কালাম আজাদ, এআরবি কলেজের সিনিয়র প্রভাষক মোঃ এমদাদুল হক, গণপূর্ত বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোঃ আব্দুল গাফফার, পূবালী ব্যাংক মেহেরপুর শাখার প্রিন্সিপাল অফিসার ও অপারেশন ম্যানেজার মোঃ জসীমউদ্দীন, মেহেরপুর সদর উপজেলা পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের ম্যানেজার শেখ মোঃ মেহেদী হাসান, পূবালী ব্যাংক মেহেরপুর শাখার সিনিয়র অফিসার মোঃ নাজমুল হোসাইন,এলজিইডির সরকারি প্রকৌশলী সিদ্ধার্থ কুমার কুন্ডু, মহাজনপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ শফিকুল ইসলাম, দারিয়াপুর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক মোঃ আনারুল ইসলাম ও দারিয়াপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।
তবে এ ব্যাপারে জেলা প্রশ্সাক ও রিটার্নিং কর্মকতার ফোন রিসিভ না করায় কথা বলা সম্ভব হয়নি।




দামুড়হুদায় স্বতন্ত্র প্রার্থী নূর হাকিমের পথসভা

চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী নূর হাকিমের নির্বাচনী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বুধবার বিকেলে দামুড়হুদা উপজেলার জুড়ানপুর হাই স্কুল মাঠে এই পথসভা অনুষ্ঠিত হয়।

স্বতন্ত্র এমপি প্রার্থী নূর হাকিমের ঈগল মার্কার জুড়ানপুর ইউনিয়ন নির্বাচনী কমিটির প্রধান উপদেষ্টা সাদ্দাম হোসেনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা ২ আসনের ঈগল প্রতিকের স্বতন্ত্র এমপি প্রার্থী জাতীয় দৈনিক সকালের সময় পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক এবং বাংলাদেশ সংসদপত্র পরিষদের মহাসচিব নূর হাকিম। চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের বিভিন্ন স্থান থেকে হাজার হাজার মানুষ এ জনসভায় অংশ নিয়ে গণ জমায়েতের সৃষ্টি করে।

জনসভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট সমাজসেবক ড. জাহাঙ্গীর আলম এসময় তিনি বলেন আপনারা আর কত অবহেলিত থাকবেন? ঘুরে দাঁড়ানোর সময় এসেছে চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের জনগণের।

আগামী ৭ জানুয়ারি আপনারা আপনাদের ভাগ্যের পরিবর্তন করুন, ন্যায় ইনসাফ, শান্তি, শিক্ষা ও আধুনিক জেলা গঠনে ঈগল মার্কায় ভোট দিন। আমাদের প্রার্থী একজন সং নির্ভীক ও ধর্ম পরায়ন ব্যক্তি, সুতরাং আগামী ৭ জানুয়ারি ঈগল মার্কায় ভোট দিয়ে যোগ্য প্রার্থী নূর হাকিম কে জয়যুক্ত করুন।

প্রধান অতিথি চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী নূর হাকিম বলেন, আজকের জনসমাবেশ দেখে আনন্দিত ও উচ্ছ্বসিত আপনাদের দোয়া ও ভালোবাসায় আমি ও আমার পরিবার মুগ্ধ। বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছরেরও চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের দৃশ্যমান কোনো উন্নয়ন হয়নি। এই জনপদের অবহেলিত মানুষ শিক্ষা স্বাস্থ্য ও কর্মসংস্থানের রাষ্ট্রীয় সুযোগ থেকে বঞ্চিত প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা দলীয় প্রার্থীর পাশাপাশি স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ভোট করার নির্দেশনা দিয়েছেন যাতে এলাকার জনপ্রিয় রাজনৈতিক নেতারা জনগণের ভোটে জাতীয় সংসদে আসতে পারেন ও জনগণের সেবা করতে পারেন।

তিনি আরও বলেন, ত্রিশ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে পাওয়া এই স্বাধীন রাষ্ট্রকে স্মার্ট রাষ্ট্র তৈরি করার এ প্রত্যয় আজ ও আগামীর প্রজন্মের জন্য এই প্রত্যয়ে চুয়াডাঙ্গা জেলাকে স্মার্ট ও আধুনিক জেলায় রূপান্তর করতে হলে প্রয়োজন বিশ্বমানের একটি হাসপাতাল। এলাকার কৃষি ও কৃষকের ভাগ্যর পরিবর্তনের জন্য প্রয়োজন কৃষির আধুনিকীকরণ ও একটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করন। পাশাপাশি বেকারদের কর্মসংস্থানের জন্য প্রয়োজন সময় উপযোগী শিল্প অঞ্চল গড়ে তোলা। যা আমি আমার নির্বাচনের ইশতেহারে রেখেছি। আমি আশা করি আল্লাহর অশেষ রহমত ও আপনাদের দোয়া ও ভালোবাসায় আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আপনাদের সমর্থন ও ভোটে জয়যুক্ত হয়ে এই এলাকার অধিকার বঞ্চিত মানুষের পাশে থাকবো এবং সেবার মহিমায় সকলকে নিয়ে একটি সুখী সমৃদ্ধশালী জেলায় রূপান্তর করবো। এই কারণে শেষ বারের মতো আপনাদের দোয়া ও সমর্থন চাচ্ছি এবং আমার প্রতীক ঈগল মার্কায় ভোট প্রদানের আহ্বান জানাচ্ছি।

এসব বিভিন্ন ইউনিয়ন ওয়ার্ড ও গ্রাম থেকে আসা আওয়ামী লীগ যুবলীগ ছাত্র লীগের নেতাকর্মী ও ঈগল প্রতীকের কর্মী সমর্থকরা উপস্থিত ছিলেন।




লাইসেন্স নবায়ন করাকে কেন্দ্র করে আন্দোলনে কোটচাঁদপুরের দলিল লেখক সমিতি

লাইসেন্স নবায়ন করাকে কেন্দ্র করে আন্দোলনে কোটচাঁদপুরের দলিল লেখক সমিতি। বন্ধ করেছেন দলিল লেখা। এতে করে বে-কায়দায় পড়েছেন জমি রেজিষ্ট্রি করতে আসা মানুষেরা।

গতকাল বুধবার থেকে এ আন্দোলন করছেন তারা। সমস্যা সমাধান না হওয়া পর্যন্ত এ আন্দোলন চলবে বলে জানিয়েছেন সমিতির সাধারণ সম্পাদক সন্তোষ কুমার পাল।

সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা যায়, দলিল লেখক প্রভাষ কুমার নন্দি। যার লাইসেন্স নাম্বার ১৫৫/১৭। এ লাইসেন্সে সে মহেশপুরে দলিল লেখক হিসেবে দলিল লিখতেন। হঠাৎ মটর সাইকেল দূর্ঘটনায় পা হারিয়ে পঙ্গুত্ব বরণ করেন সে ।

এরপর গেল ২০২২ সালের দিকে প্রভাষ লাইসেন্সটি স্থানান্তরের জন্য জেলা অফিসে আবেদন করেন। পরে তা যাচাই-বাছাই হয়ে কোটচাঁদপুর অফিসে দলিল লেখার অনুমতি প্রদান করেন সংশ্লিষ্ট অফিস। এ বছর লাইসেন্স নবায়নের জন্য জেলা অফিসে আবেদন করেন প্রভাষ কুমার নন্দি।

বিষয়টি বুধবার সকালে জানতে পারেন সমিতির সদস্যরা। এরপর সমিতির নেতৃবৃন্দরা যান সাব-রেজিষ্ট্রি কর্মকর্তার নিকট। বিষয়টি অবহিত করেন। এরপর জমি রেজিষ্ট্রি বন্ধ করে দেন।

এ ব্যাপারে সমিতির সাধারণ সম্পাদক সন্তোষ কুমার পাল বলেন,সে পঙ্গু মানুষ হওয়ায় গেল এক বছর মানবিক ভাবে সহায়তা করে ছিলাম। তাঁর লাইসেন্স যেখানে সে ওইখানে গিয়ে কাজ করুক। তাতে আমাদের আপত্তি নাই।

সে মহেশপুরের দলিল লেখক হয়ে, এখানে লাইসেন্স নবায়ন করে কাজ করবে,সেটা হতে পারে না। যতদিন এ সমস্যার সমাধান না হবে আমরা ততদিন দলিল লেখা বন্ধ রাখবো।

জমি রেজিষ্ট্র করতে আসা ভুক্তভোগি মুনসুর আলী বলেন,সকালে এসেছি জমি রেজিষ্ট্রি করতে। তারা কাগজ পত্র টাকা পয়সা নেওয়ার পর এখন বলছে জমি রেজিষ্ট্রি হবে না। তবে কি কারনে হবে না,তা আমাদের বলছে না। এতে করে আমরা চরম ভোগান্তিতে পড়েছি।

ফাজিলপুর গ্রামের জমি ক্রেতা হোসেন আলী বলেন,রেজিষ্ট্রি করার সব প্রস্তুতি শেষ করে, এখন বলছে রেজিষ্ট্রি হবে না। কারন জানতে চাইলও তারা আমাদের বলছে না। আমরা এখন চরম বিপাকে পড়েছি।

দলিল লেখক প্রভাষ কুমার নন্দি বলেন,আমার লাইসেন্স নাম্বার ১৫৫/২০১৭। এ লাইসেন্সে আমি মহেশপুরে দলিল লেখতাম। দূর্ঘনায় আমি এক পা হারিয়ে যায়। আমি পঙ্গুত্ব বরণ করি। এরপর আমি লাইসেন্স স্থানান্তর করার জন্য,জেলা কর্মকর্তার বরাবর আবেদন করেছিলাম।

সে অনুযায়ী লাইসেন্সটি ওই বছরই পরিবর্তন হয়ে আসে। সে থেকে আমি কোটচাঁদপুর অফিসের আওতায় বৈধ্য লেখক। এখন তারা আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলেছন। ইতোমধ্যে ওই লেখকরা আমার বিরুদ্ধে একটা মামলাও করেছেন।

কোটচাঁদপুর সাব-রেজিস্টার অফিসের সাব-রেজিস্টার (অতিরিক্ত) মেহেদী আল ইসলাম বলেন, প্রভাষ কুমার নন্দীর লাইসেন্সের অভিযোগে নিয়ে দলিল লেখকরা দলিল লেখা বন্ধ করে দিয়েছেন শুনেছি। তারা বিষয়টি নিয়ে আমার কাছেও এসেছিল। অভিযোগ জানিয়েছেন।

তবে এটা বদলি বা পরিবর্তনের দায়িত্ব আমার না। আমার কাজ বছর শেষে যাদের লাইসেন্স আছে, তাদের লাইসেন্স রিনু করার সহায়তা করা। তাদের কাগজপত্র দেখে শুনে, জেলায় পাঠিয়ে দেয়া। জেলা কর্মকর্তা তা যাচাই-বাছাই করেন।

এরপর কার লাইসেন্স কোথায় যাবে। কোনটা থাকবে, কোনটা বাতিল হবে তা সেটা তিনি নির্ধারন করা। এখানে আমার কোন কাজ নাই।

তিনি বলেন, এরপরও আমি এখানে অতিরিক্ত দায়িত্বে রয়েছি। আমার কাজ জমি রেজিষ্ট্রি করা। এর জন্য উভয় পক্ষকে ডেকে বসবো। মেটানো সম্ভব হলে তা করবো।

এতে করে জমি রেজিষ্ট্রি করতে আসা মানুষেরা হয়রানি হচ্ছে কিনা,এমন প্রশ্নে তিনি বলেন,তা একটু হচ্ছে। তবে আজ এখনো কোন জমি রেজিষ্ট্রির জন্য জমা পড়েনি। তবে শুনেছি ১০ টি দলিল রেজিষ্ট্রির জন্য প্রস্তুত হয়েছে।




চুয়াডাঙ্গায় নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন জাতীয় পার্টির দুই প্রার্থী

চুয়াডাঙ্গার দুটি আসনে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষনা দিয়েছেন জাতীয় পার্টির দুই প্রার্থী। গতকাল বুধবার দুপুরে জেলা আইনজীবী সমিতি কাযালয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষনা দেন তারা।

এর মধ্যে চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের মনোনীত প্রার্থী অ্যাড. সোহরাব হোসেন ও চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের প্রার্থী অ্যাড. রবিউল ইসলাম সংবাদ সম্মেলনের নির্বাচন বর্জনের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

দলীয় সিদ্ধান্তহীনতাকে দায়ী করে প্রার্থীরা বলেন, দলের চেয়ারমান ও মহাসচিব নির্বাচন সংক্রান্ত বিষয়ে একের পর এক সিদ্ধান্ত পরিবর্তন এবং প্রার্থীদের সাথে বৈরীতা অসহযোগীতা ও যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রাখার কারণে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

তারা আরও বলেন, ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগের কাছ থেকে তারা ইচ্ছামত সুবিধা জাতীয় পাার্টির প্রার্থীদেরকে ভোটারদের কাছে হেয় প্রতিপন্ন ও নিন্দিত করছে। একইসাথে অর্থনৈতিক দুরাবস্থার ও কেন্দ্র নেতাদের অসহযোগিতার কারণে বাধ্য হয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালাম।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে জাপা প্রার্থী অ্যাড. সোহরাব হোসেন বলেন, জাতীয় পার্টির ভোটারদের কোন বিধি নিষেধ নেই। তারা পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারেন। জাপার প্রার্থীদের ভোট বর্জনের ঘটনা নির্বাচনে কোন প্রভাব পড়বে না।




চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের উদ্যোগে শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সিসি ক্যামেরা স্থাপন

চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের উদ্যোগ শহরের গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা সমূহে ও ভবনে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা (সিসি ক্যামেরা) স্থাপন পূর্বক বারোটার সময় আনুষ্ঠানিকভাবে শুভ উদ্বোধন করেন চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার আর এম ফয়জুর রহমান, পিপিএম-সেবা।

এ সময় চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার বলেন, ‘চুয়াডাঙ্গাবাসী আপনারা জেনে খুশি হবেন যে, চুয়াডাঙ্গা জেলা সিসি ক্যামেরার আওতায় আনার জন্য জেলা পুলিশের উদ্যোগে সিসি ক্যামেরা স্থাপন প্রথম পর্যায়ের কাজ শেষ হয়েছে এবং যুক্ত হয়েছে রেল ও বাস স্টেশন,রেল লাইন এবং গুরুত্বপূর্ণ প্রত্যেকটা হাইওয়ে রোড। শহরের চুরি ডাকাতি নিয়ন্ত্রণসহ জনগণের জানমালের নিরাপত্তায় সিসি ক্যামেরাগুলো ২৪/৭ প্রহরী হিসেবে কাজ করবে। জেলা শহরের সরকারি স্থাপনাসমূহ ও কেপিআই গুলোর নিরাপত্তা দেওয়ার ক্ষেত্রে সিসি ক্যামেরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

পুলিশ সুপার আরও বলেন ২০১৬ সালে ১২টি সিসি ক্যামেরা স্থাপনের মাধ্যমে চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের সিসি ক্যামেরা দ্বারা আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রনে হাতে খড়ি শুরু হয়। কিন্তু নানাবিধ প্রতিকূলতার কারণে ২০১৮ সালে এগুলো অকেজো হয়ে যায়। আবার ২০২৪ সালের শুরুতে জেলা পুলিশের উদ্যোগে সমস্ত চুয়াডাঙ্গা জেলাকে সিসি ক্যামেরার আওতায় আনার কার্যক্রম শুরু হয়, তারই ধারাবাহিকতায় চুয়াডাঙ্গা জেলায় ৫০(পঞ্চাশ) টি সিসি ক্যামেরা স্থাপন করে ডিজিটাল নজরদারি শুরু হলো।

পুলিশ সুপারের পরিকল্পনা ও নির্দেশনা মোতাবেক শহরের পুলিশ অফিস মেইনগেট, সিভিল সার্জন বাংলো, জেলা জজ সাহেবের বাংলো, হাসান চত্বর, নিউ মার্কেটের সামনে, পৌরসভার মোড়, টাউন ফুটবল মাঠ এলাকা, একাডেমি মোড় ও আশপাশে এলাকা, রেলগেট রেলবাজার, রেলস্টেশন, মাছ বাজার আড়ৎ এলাকা, টিএ্যান্ডটি মোড়, সরকারি কলেজ মোড়, হসপিটাল রোড, ইমারজেন্সি রোড, প্রেসক্লাব মোড়, ডিসি অফিসের সামনে, জীবন নগর বাসস্ট্যান্ড, কেদারগঞ্জ বাজার এলাকার গুরুত্বপূর্ণ সড়সহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সর্বমোট ৫০(পঞ্চাশ)টি হাই রেজুলেশন সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়। সিসি ক্যামেরা গুলি পুলিশ সুপারের কার্যালয় থেকে সর্বক্ষণিক মনিটরিং করা হচ্ছে।

উক্ত আয়োজনে আরও উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ( অর্থ ও প্রশাসন) মোঃ রিয়াজুল ইসলাম, চুয়াডাঙ্গা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার( ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) মোঃ নাজিম উদ্দিন আল আজাদ- পিপিএম-সেবা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ( সদর সার্কেল) আনিসুজ্জামান, সহকারী পুলিশ সুপার( দামুড়হুদা সার্কেল) জাকিয়া সুলতানা, ডিআইও-১ ডিএসবি আবু জিহাদ ফকরুল আলম খান, চুয়াডাঙ্গা জেলা গোয়েন্দা শাখার অফিসার ইনচার্জ ফেরদৌস ওয়াহিদ, চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ সেকেন্দার আলী, চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সভাপতি সরদার আলামিন সহ সাংবাদিক ও মিডিয়া ব্যক্তিত্ব, জেলা পুলিশের সকল পদমর্যাদার অফিসার ফোর্স বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।




গাংনী আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মকবুল হোসেনের পথসভা

জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার পাকুড়িয়া গ্রামে নির্বাচনী পথসভা করেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা মকবুল হোসেন। গতকাল বুধবার রাতে এ পথসভা অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ধানখোলা (খ ইউনিয়ন) আওয়ামী লীগের সভাপতি আলাহামদু।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মেহেরপুর -২ (গাংনী) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা মকবুল হোসেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন তুলে ধরে। সেই সাথে এলাকার উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করতে ট্রাক প্রতীকে ভোট দেয়ার আহবান জানান।

পাকুড়িয়া ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আশরাফুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত পথসভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, জেলা আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা ইয়াসিন রেজা, মেহেরপুর জেলা আওয়ামী কৃষি বিষয়ক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম শাহ, জেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক ওয়াসিম সাজ্জাদ লিখন, প্রভাষক সালাহউদ্দিন, জেলা ছাত্র লীগের সাবেক সহ-সভাপতি সাইফুজ্জামান শিপু, গাংনী উপজেলা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান পলাশ, শ্রমিক লীগের সভাপতি কমরেড আব্দুস সাত্তার, ধানখোলা ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নং ওয়ার্ডের সদস্য আনোয়ার হোসেন, সৈনিক লীগের নেতা জাহাঙ্গীর আলম টিটু, স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা দ্বীন ইসলাম, ধানখোলা ইউনিয়ন কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক সেলিম রেজা, কৃষকলীগের স্থানীয় নেতা শুকুর আলী, আওয়ামীলীগ নেতা বরকত আলী, ৫ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মো: খোকন আলী, ধানখোলা ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজান, হাজি মো: নুরুল ইসলাম, (ধানখোলা-খ) ইউনিয়ন কৃষক লীগের সভাপতি শরিফুল ইসলাম, উপজেলা কৃষকলীগের সহ-সভাপতি হারুন রশীদ, আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতা কাবরান আলী প্রমুখ।

পথসভার আলোচনায় বক্তারা বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মকবুল হোসেন শেখ হাসিনার একজন পরিক্ষিত নেতা। গাংনীর প্রতিটি গ্রামের স্পন্দন বোঝেন। প্রতিটি মানুষের দুঃখ বোঝেন,প্রতিটি মানুষের অনুযোগ শোনেন। তাই এবারের নির্বাচনে ট্রাক মার্কায় গণজোয়ার উঠেছে। এই গণজোয়ার দেখে অনেকেই টেবিল সিল মারার অপেক্ষা করছেন। যারা টেবিল সিলের অপেক্ষা করছেন তারা সাবধান হয়ে যান। আপনাদের সেই আশা কখনও পুরুন হবেনা। মকবুল হোসেনের সৈনিকেরা তা প্রতিহত করা হবে। তৃতীয় বারের মত মকবুল হোসেন নির্বাচিত হয়ে গাংনীর মানুষের সেবা করবে। এটায় মকবুল হোসেনের শেষ নির্বাচন বলেও জানান বক্তারা। সকারনে সাত তারিখে ট্রাক মার্কায় ভোট প্রার্থনা করে বলেন,পাকুড়িয়া গ্রামের সকল উন্নয়ন মকবুল হোসেনের হাত দিয়ে হয়েছে,এবারও নির্বাচনে জিতে অসমাপিত কাজগুলি সমাপ্ত করে যেতে চাই।




চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ঢেঁকি মার্কার নিবার্চনী ইশতেহার ঘোষনা

আগামী ৭ জানুয়ারী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বচনে চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের স্বতন্ত্র পদপ্রার্থী ঢেঁকি মার্কার প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর্জা শাহারিয়ার মাহমুদ লন্টুর নিবার্চনী ইশতেহার ঘোষনা করলেন সংবাদ সম্মেলনে।

গতকাল বুধবার সকাল ১১ টার দিকে চুযাডাঙ্গা-২ নির্বাচনী এলাকার দর্শনা বাসস্ট্যান্ডে অবস্থিত ঢেঁকি মার্কার প্রধান অফিসে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্টিত হয়।

সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের বলেন নেতা কর্মিদের উপস্হিতিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী মির্জা শাহারিয়ার মাহামুদ লন্টু বলেন আমাকে নির্বাচনি এলাকায় স্বাধীনভাবে প্রচার প্রচারণায় ব্যাপক বাধা সৃষ্টি করা হচ্ছে,আমার নেতা কর্মিদেরকে হাত পা ভেঙে দেয়ার হুমকি এবং ভোট কেন্দ্রে না যাওয়ার হুমকি ধামকি দেয়া হচ্ছে বলে সাংবাদিক সম্মেলনে অভিযোগ করেন।

আগামী ৭ই জানুয়ারি-২০২৪ তারিখে অনুষ্ঠিতব্য দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে, ৮০ চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের স্বতন্ত্র পদপ্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর্জা শাহারিয়ার মাহমুদ লন্টুর নিবার্চনী প্রতিশ্রুতি’তে তিনি বলেন, তিনি চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য পদে নির্বাচিত হলে এলাকার জনগনের কল্যাণে এলাকায় স্থায়ীভাবে শান্তিশৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার করণীয় সমূহ অগ্রাধীকার ভিত্তিতে বাস্তবায়ন করা হবে।

উন্নয়নের সকল সম্ভাবনা পর্যালোচনা করে নির্বাচনী এলাকার জনগনের মতামতের ভিত্তিতে উন্নয়ন পরিকল্পনা তৈরি ও বাস্তবায়ন করা হবে।

কর্মমুখী শিক্ষা বিস্তার এবং কর্মসংস্থানের উপর যথাযথ কার্যক্রম হাতে নেয়া হবে। দুর্নীতি ও মাদক নির্মূলে সর্বোচ্চ গুরত্বারোপ করে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া হবে। বিল, বাওড়, খাল, হাট-বাজার জবরদখল করে সরকারি রাজস্ব আয় ফাঁকি দিয়ে লুটপাটের যে মহাউৎসব চলছে তা বিদ্যমান আইনের কঠোর প্রয়োগের মাধ্যমে দূর করা হবে।

চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের জনগনের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে করণীয় কাজগুলো অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে সম্পাদন করা হবে।

এলাকায় চিকিৎসা ব্যবস্থাকে আরো সুসংগঠিত করার জন্য দামুড়হুদা, দর্শনা, জীবননগরসহ সম্ভাব্য স্থানে আধুনিক হাসপাতাল স্থাপন করা হবে।

নারীর ক্ষমতায়নে সুনিদিষ্ট কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে। স্থানীয় কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি ও প্রক্রিয়াজাতকরণ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করে কৃষক ভাইদের উৎপাদিত পণ্যের মূল্য নিশ্চিত করা হবে। কৃষি বাণিজ্যিক করণ করার কার্যক্রম তরান্বিত করার উদ্যোগ গ্রহন করা হবে।

চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের জীবননগর, দামুড়হুদা, দর্শনা, তিতুদহ, বেগমপুর, গড়াইটুপি ও নেহালপুর বাংলাদেশের নিবিড় কৃষি অঞ্চল হিসেবে পরিচিত এই বিষয়টি বিবেচনায় এনে কৃষি শিক্ষার উচ্চতর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তোলা হবে। এলাকায় যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে রাস্তা-ঘাটের সংস্কার ও নির্মানকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। বিদ্যুৎ ব্যবস্থায় বিদ্যমান সমস্যা দুর করে আরো সুসংগঠিত করা হবে।
যুব সমাজের আইটি দক্ষতা বৃদ্ধি করে ঘরে বসে রোজগারের ব্যবস্থাকে গুরুত্ব দিয়ে সুনিদিষ্ট কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে। খেলাধুলা সহ সাংস্কৃতিক কার্যক্রম জোরদার করা হবে। যুবকদের মাদক থেকে দূরে রাখতে ওয়ার্ড ভিত্তিক খেলার মাঠ তৈরী করা হবে। দর্শনা এবং জীবননগরের পূর্ণাঙ্গ স্থলবন্দর প্রতিষ্টার কার্যকর উদ্যোগ নেয়া হবে।

ঐতিহ্যবাহী কেরু এন্ড কোম্পানির সম্পদ ব্যবহারে দুর্নীতি ও অনিয়ম দূর করতে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

চোরাচালান বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য ও জনগনের মধ্যে সমন্বয় করে জেলার সার্বিক উন্নয়নে সম্ভাব্য সকল উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। এ সকল প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে সহয়তা করার জন্য ঢেঁকি মার্কা প্রতীকে আপনার মূল্যবান রায় চেয়ে সকলের কাছে ঢেঁকি মার্কায় ভোট চাইলেন।

এ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও দামুড়হুদা উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মাহফুজুর রহমান মনজু, জীবননগর উপজেলা আ লীগের সভাপতি নজরুল ইসলাম, বাংলাদেশ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক কৃষিবিদ হামিদুর রহমান, ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক কামাল উদ্দিন আহম্মেদ সান্টুসহ মানবাধিকার কর্মী ও সাংবাদিকসহ নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।




দর্শনায় ৩ কেজি গাঁজাসহ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার

দর্শনা থানা পুলিশ মাদক বিরোধী অভিযান চালিয়ে ৩ কেজি গাঁজাসহ মাদক ব্যাবসায়ী দোস মোহাম্মদকে (৪৫)গ্রেফতার করেছে। তিনি পার কৃষ্ণপুর মদনা ইউনিয়নের ছোট বোনদিয়া গ্রামের মৃত সাবদার মন্ডলের ছেলে।

জানাগেছে গতকাল বুধবার রাত সাড়ে ৭ টার দিকে দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ বিপ্লব কুমার সাহার নেতৃত্বে, দর্শনা থানার এসআই(নিঃ) মোঃ সুজন আলী সঙ্গীয় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অফিসার ও ফোর্সসহ মাদকবিরোধী অভিযান চালায়

আপেল উদ্দীন এর আবাদী জমির সামনে সড়াবাড়ীয়া হতে ছোটবলদিয়া গামী পাকা রাস্তার উপর। এ সময় পুলিশ সন্দেহ ভাজন একজনকে গ্রেফতার করে।পরে তার সাথে থাকা ব্যাগ তল্লাশি করে ভারতীয় ৩ কেজি গাঁজা উদ্ধার করে।যার আনুমানিক বাজার মৃল্য ৯০ হাজার টাকা।গতকালই তাকে মাদক আইনে মামলাসহ চুয়াডাঙ্গা কোর্ট হাজতে প্রেরন করেছে।




অর্থ সম্পদ ও অস্ত্র কারোর থেকে আমি কমা না–বাবলু বিশ্বাস

পিরোজপুর ইউনিয়নের চারটি সেন্টারে আমি যেন দেখতে না পাই কোন এজেন্টে আছে ওই চাপা দেওয়া প্রতীকের। ৭ তারিখে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্জন্ত ভোট হবে শুধু নৌকার আর নৌকার।

গত সোমবার ১ জানুয়ারি রাত ৯টায় মেহেরপুর-১ আসনের নৌকার প্রার্থী ও জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের ভগ্নিপতি ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বাবলু বিশ্বাস সদর উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নে একটি নির্বাচনী জনসভায় একথা বলেছেন। তিনি পিরোজপুর ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান।

এই ভিডিওটি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে জেলা জুড়ে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে।

ভাইরাল হওয়া ভিডিওটিতে দেখা গেছে বাবলু বিশ্বাস আরো বলেন, যতক্ষন পর্যন্ত ওই বাউন্ডারির ভিতরে লোক থাকবে ততক্ষণ পর্যন্ত ভোট পোল করা হবে। যখন দেখবোআর শেষ না হলে কুড়ি নি গি ওই বাউন্ডারির ঢুকাইয়া দিয়ে ভোট পোল করে নেব। আমার কথা পিরোজপুর চারটি সেন্টারে আমি যেন দেখতে না পাই কোন এজেন্ট আছে ওই চাপা দেওয়া (ট্রাক) প্রতীকের। তারা কিসের ভয় দেখায় আমি তো বুঝতে পারিনা । আমার চেয়ে মস্তান বেশি আছে কেও? আমার চেয়ে যন্ত্রপাতি কারো বেশি আছে? আমার চেয়ে কি টাকা তাদের বেশি আছে? তাহলে ভয় কিসের দেখায়। যারা আমার কাছে কাজ করে খেতো কদিন আগে, তারা ভয় দেখায় কিসের। জমি তিন বিঘা কেড়ে নেবো। জমি তিন বিঘা কেইড়ি নেবো। কেইড়ি নিলি পারে ভয় দেখানো বুঝি যাবে। সেই কাজটি কইরবোই এইবার। আপনারা নৌকা মার্কা প্রতীকে ফরহাদ হোসেনকে ভোট দেবেন। জননের্তীকে ভোট দেবেন। এখন তো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জননের্তী। আমাদের কোন স্বতন্ত্র প্রার্থী সেখানে যাবে না কোনদিন। তার ডানদিকে বা বামদিকে বসে থাকবেনা। আমাদের এমপি নেত্রীর সাথে বসে থাকবে এবং এইবারো এই দেশের মিনিষ্টার হবে। আপনারা ঠান্ডার মধ্যে বসে আছেন। যে কাজ করার দরকার তা আমি সময়মত করবো।

এই আসনের ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক আব্দুল মান্নান সুষ্ঠু ভোট নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে বলেন, এভাবে জনসভায় যদি প্রার্থীদের এজেন্ট প্রবেশ করতে না দেওয়া হুমকি দেয়া হয়, তাহলে সাধারণ ভোটারদের মনে সঙ্কা তৈরি হবে। ভোট দিতে অনাগ্রহ দেখাবে। জননের্তী শেখ হাসিনা একটি অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন করার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বিশেষ করে নৌকার নেতা কর্মীরা প্রকাশে এভাবে বক্তব্য দেওয়ার কারণে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।