মুজিবনগরে ট্রাফিক পুলিশ ও ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান

মুজিবনগরে সড়কের শৃঙ্খলা ফেরাতে ও সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে অভিযান পরিচালনা করেছে ভ্রাম্যমান আদালত ও ট্রাফিক পুলিশ।

বৃহস্পতিবার বিকেলে মুজিবনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ মন্ডল মুজিবনগর মেহেরপুর প্রধান সড়কের পুরন্দরপুর বাজারে এই ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন। অভিযানে মোটরসাইকেল প্রাইভেট কার সহ ভারী যানবাহন আটক করা হয়।

এ সময় বৈধ কাগজপত্র না থাকায় ৭টি গাড়িকে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে ১২ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

ভ্রাম্যমান আদালতকে সহযোগিতা করেন ট্রাফিক পুলিশের ইন্সপেক্টর বিশ্বজিৎ ঘোষসহ ট্রাফিক পুলিশ ও মুজিবনগর থানা পুলিশের একটি টিম।




মেহেরপুরে এসিআই সীডসের উদ্যোগে মাঠ দিবস

মেহেরপুর জেলার কুলবাড়িয়া গ্রামে এসিআই সীডসের উদ্যোগে “স্কার্লেট টমেটো” নিয়ে মেগা মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৪ টার দিকে অনুষ্ঠানে কৃষকদের সঙ্গে স্কার্লেট টমেটোর বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এসিআই সীডসের জোনাল সেলস্ ম্যানেজার মোঃ আনোয়ার হোসেন। এছাড়াও স্থানীয় ডিলার মোঃ মুস্তাফিজুর রহমান রুবেল ও মোঃ নাহারুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। মাঠ দিবসটি পরিচালনা করে নমেহেরপুর টেরিটোরির মার্কেটিং অফিসার মোঃ পারভেজ আলী।

কৃষক শমশের আলী জানান, তিনি স্কার্লেট টমেটোর চাষ করে অত্যন্ত খুশি এবং ভবিষ্যতে আরও বেশি কৃষক এই জাতের টমেটো চাষে আগ্রহী হবেন বলে আশা প্রকাশ করেন।

এ ধরনের মাঠ দিবস কৃষকদের উন্নত প্রযুক্তি ও চাষাবাদের আধুনিক পদ্ধতি সম্পর্কে সচেতন করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আয়োজকরা জানান।




মুজিবনগরে পেঁয়াজ চাষীদের মানববন্ধন

পেঁয়াজের ভরা মৌসূমে পার্শ্ববর্তি দেশ ভারতসহ অন্যান্য দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ ও কৃষকের উৎপাদিত পেঁয়াজের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করতে মানববন্ধন করেছেন মুজিবনগরের পেঁয়াজ চাষীরা। এসময় এলাকার প্রায় শতাধিক পেঁয়াজ চাষী উপস্থিত ছিলেন।

বৃহস্পতিবার বিকালে মুজিবনগর উপজেলার দারিয়াপুর মাঠে শতাধিক পেঁয়াজ চাষী এই মানববন্ধন করেন।

চাষীরা বলেন, পেঁয়াজ মসলা জাতীয় ফসল। এখন আমাদের দেশে যে পরিমাণ পেঁয়াজ উৎপাদন হচ্ছে তাঁতে আমাদের দেশের চাহিদা মেটানো সম্ভব। কিন্তু পেঁয়াজের এই ভরা মৌসুমে সরকার ভারতসহ অন্যান্য দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি করে থাকেন। ভরা মৌসুমে বাইরের দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ করে চাষির উৎপাদিত পেঁয়াজের মূল্য নিশ্চিত না করলে আগামীতে পেঁয়াজ চাষ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে কৃষক। আবারও মানুষকে চারশ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ কিনতে হবে। তারা আরও বলেন, পেঁয়াজের বর্তমান বাজার দরে চাষীরা এক বিঘা জমির পেঁয়াজ চাষ করে দেড় থেকে দুই লক্ষ টাকা ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন।

বক্তব্য রাখেন, পেঁয়াজ চাষী মনিরুল ইসলাম, হাবিবুর রহমান, সোহরাব হোসেন, বায়োজিদ হোসেনসহ অন্যান্যরা।

পেঁয়াজ চাষী মিনারুল ইসলাম বলেন, এবছর আমি ৬ বিঘা জমিতে পেঁয়াজ চাষ করেছি। ছয় বিঘা জমিতে পেঁয়াজ চাষ করতে প্রায় সাড়ে চার লাখ টাকা খরচ হয়েছে। বর্তমানে যে বাজার দর তাতে পেঁয়াজ বিক্রি করে দুই থেকে আড়াই লাখ টাকা উঠবে। আমরা চাই, পেঁয়াজের এই ভরা মৌসুমে বাইরের দেশ থেকে আমাদানি বন্ধ করে আমাদের উৎপাদিত পেঁয়াজের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করুক সরকার।

চাষি সামিদুল ইসলাম জানান, এবছর আমি ১০ বিঘা জমিতে সুখসাগর পেঁয়াজ চাষ করেছি। বর্তমানে বাজারে পেঁয়াজ ২৫ থেকে ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আমাদের কাছ থেকে ফঁড়িয়ারা ২০/২২ টাকা করে কিনে নিচ্ছেন। অথচ, এক কেজি পেঁয়াজ উৎপাদন করতে কৃষকের খরচ হয় ২৫ থেকে ৩০ টাকা। কৃষক তাঁর উৎপাদিত পেঁয়াজের ন্যায্য মূল্য না পেলে আগামীতে পেঁয়াজ চাষ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে। তখন বাইরের দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি করতে হবে। মানুষকে তিন চার শ টাকা কেজি দরে কিনতে হবে। তাই পেঁয়াজের এই ভরা মৌসুমে বাইরের দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ করতে হবে। এছাড়া কৃষকের পেঁয়াজের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করতে হবে।

জানা গেছে, দারিয়াপুর গ্রামের পেঁয়াজ চাষী লাল্টু হোসেন ৮ বিঘা, সোহরাব হোসেন ৭ বিঘা, লোটন হোসেন ৬ বিঘা, মধু মিয়া ১০ বিঘা, একরামুল হোসেন ৫ বিঘা, স্বপন মিয়া ১০ বিঘা, সামিদুল ইসলামের ৯ বিঘাসহ এলাকার কয়েক হাজার কৃষক সুখ সাগর পেঁয়াজের চাষ করেছেন।

উল্লেখ্য, মেহেরপুর জেলা কৃষি বিভাগের তথ্যমতে জেলায় এবছর পাঁচ হাজার ৬৫ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ চাষ হয়েছে। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৮৫ হাজার ২৮০ মেট্রিকটন।




ঝিনাইদহে বাড়ছে ঝুকিঁপূর্ণ তামাক চাষ

ঝিনাইদহে দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে স্বাস্থ্যঝুকি পূর্ণ তামাক চাষ। তামাক চাষিদের সাথে প্রতিযোগিতায় গিয়ে প্রর্যাপ্ত সার পাচ্ছেন না পেঁয়াজ চাষিরা। জেলার শৈলকুপা ও হরিণাকুণ্ডুতে পেঁয়াজ ও অন্যান্য চাষিরা সার সংকটের অভিযোগ করেছেন।

অন্যান্য ফসলের তুলনায় বেশি লাভজনক হওয়াই প্রতিবছর সর্বনাশা তামাক চাষে আগ্রহী হচ্ছে এই অঞ্চলের চাষিরা। তামাকজাত পণ্যে বেশি ভ্যাট আরোপ ও বিজ্ঞাপনে নিষেধাজ্ঞা দিলেও তামাক চাষে কৃষকদের নিরুৎসাহীত করা যাচ্ছে না। ফলে কমে যাচ্ছে খাদ্যজাত, ডাল ও মসলা জাতীয় ফসলের উৎপাদন। বিগত ৪ বছরে জেলায় তামাক চাষ বেড়েছে প্রায় দ্বিগুন।

জেলার শহরতলীতে ব্রিটিশ অ্যামেরিকান টোব্যাকোর তামাক ক্রয় কেন্দ্র থাকায় হাতের কাছে একটি নিশ্চিত বাজার তৈরি হয়েছে। সরকারের তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের প্রয়োগ ও মনিটরিং নেই বলেই বেশি লাভের আশায় কৃষক তামাক চাষে ঝুকছে এমন অভিযোগ সচেতন মহলের। তামাকের বেশি ফলন পেতে অতিরিক্ত সারের ব্যবহারে জেলার বিভিন্ন জায়গায় সারের সংকট দেখা দিয়েছে। জেলার ৬টি উপজেলায় কম-বেশি তামাক চাষ হলেও হরিণাকুণ্ডু উপজেলা, শৈলকুপা, সদর ও মহেশপুরে বেশি হয়।

ঝিনাইদহ কৃষি বিভাগ বলছে, ব্রিটিশ-অ্যামেরিকান টোব্যাকো, জাপান টোব্যাকো ইন্টারন্যাশনালসহ অন্যান্য তামাক বাজারজাতকারী কোম্পানিগুলো চাষিদের তামাক চাষে উদ্বুদ্ধ করছে। তারা তামাকের চারা রোপণ থেকে শুরু করে সার-কীটনাশক কেনার জন্য কৃষকদের অগ্রিম টাকা প্রদান করে ও উৎপাদিত তামাক কেনার নিশ্চয়তা দেয়। এই কারণে খাদ্যজাতীয় ফসল বাদ দিয়ে এই অঞ্চলের কৃষকরা তামাক চাষের দিকে ঝুকছে। ঝিনাইদহ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সংগৃহীত তথ্যমতে, জেলায় ২০২১-২২ অর্থবছরে ১৬০ হেক্টর জমিতে তামাক চাষ হয়। পরের বছর ২০২২-২৩ অর্থবছরে ২৫১ হেক্টর জমিতে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ১৯৩ হেক্টর ও ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ২২৪ হেক্টর জমিতে তামাক চাষ হয়েছে। ২০২১-২২ অর্থবছরে জেলার মহেশপুর উপজেলায় সবচেয়ে বেশি ৮৪ হেক্টর জমিতে তামাক চাষ হয়েছে। ২০২২-২৩ অর্থবছর থেকে ২০২৪-২৫ অর্থবছর পর্যন্ত হরিণাকুণ্ডু উপজেলাতে ১২৪ হেক্টর, ১০২ ও এবছর সর্বচ্চো ১৫৫ হেক্টর জমিতে তামাকের চাষ করা হয়েছে।

হরিণাকুণ্ডু উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শরীফ মোহাম্মদ তিতুমীর বলেন, উপজেলায় সবচেয়ে বেশি চাঁদপুর ইউনিয়নে তামাক চাষ করা হয়েছে। তামাক চাষিরা তামাক বাজারজাতকারী কোম্পানির নিকট থেকে অগ্রিম আর্থিক সহায়তা পেয়ে থাকে। একারণে চাষিরা তামাক চাষে ঝুকছে। তামাক চাষিদের চাহিদার কারণে অন্যান্য চাষিরা চাহিদা অনুযায়ী সার পাচ্ছে না। ফলে অন্যান্য ফসলের আবাদ ব্যহত হচ্ছে।

ঝিনাইদহ সদর উপজেলার উদয়পুরের তামাক চাষি বিপ্লব বলেন, আলু-পেয়াজ চাষ করলে বাজারে কতদামে বিক্রি হবে তার কোন নিশ্চয়তা নেই। কিন্তু তামাক চাষ করলে দেশে যুদ্ধ বাধুক বা দুর্ভীক্ষ হোক বিঘা প্রতি ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা লাভ দেয় কোম্পানি। একারণে তামাক চাষ করা। তিনি বলেন, গতবছর আমার ১০ বিঘা জমিতে তামাকের চাষ ছিল, এবছরও ১০ বিঘা করেছি।
খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, এক বিঘা জমিতে ৫০০-৬০০ কেজি তামাক উৎপাদন হয়। গতবছর কোম্পানি ২২৬ টাকা দরে প্রতিকেজি তামাক কেনে কৃষকের কাছ থেকে। উৎপাদিত তামাকের বিক্রি নিয়ে কোন ঝামেলা পোহাতে হয় না। তামাকের বাজার স্থীর। কোম্পানিই কৃষকের কাছ থেকে সব তামাক কিনে নেয়। তামাক চাষে নিশ্চিৎ লাভ দেখে কৃষকরা অন্যান্য ফসল বাদ দিয়ে তামাক চাষে আগ্রহী হচ্ছে।

হরিণাকুণ্ডু উপজেলার বড়-ভাদড়া গ্রামের কৃষক লিটন মোল্লা বলেন, এবছর এক বিঘা জমিতে পেঁয়াজ চাষ করেছিলাম কিন্তু পরিপক্ক করে ক্ষেত থেকে তুলে বাজারে নিয়ে গিয়ে যে দামে বিক্রি করেছি তাতে বীজের দামই ওঠেনি। পানের বরজ আছে। বাকি টাকায় সার-কিনতে গেলে সারের ডিলাররা আমাদেরকে দিচ্ছে না। তামাক চাষিরা নগদ টাকায় সার কিনে ক্ষেতে দিচ্ছে। তামাকের ক্ষেতে সার লাগে বেশি। যেকারণে আমাদের ইউনিয়নে ঢ্যাপ সারের সংকট দেখা দিয়েছে।

সরকারের তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন নিয়ে কাজ করা এনজিও পদ্মা সমাজ কল্যাণ সংস্থার নির্বাহী পরিচালক মোঃ হাবিবুর রহমান বলেন, তামাক চাষিদের বাজারের একটা নিশ্চয়তা রয়েছে যা অন্যান্য ফসল চাষিদের বেলায় নেই। তামাক চাষিদের কোম্পানি থেকে অগ্রিম অর্থ প্রদান করা হয় কিন্তু অন্যান্য ফসলের ক্ষেত্রে ব্যাংক থেকে ঋণ পাওয়া খুব কষ্টের বিষয়। অন্যান্য ফসলের বাজারের অনিশ্চয়তা থেকেই মানুষ তামাক চাষে আগ্রহী হচ্ছে। তাছাড়া সরকার তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের সঠিক প্রয়োগ ও মনিটরিং করেনা। কৃষি বিভাগও চাষের সঠিক পরিমাণ প্রকাশ না করে গোপন রাখে। তামাক যে একটি ক্ষতিকারক আবাদ এটা কৃষকরা জানেই না। যেকারণে তারাও নির্দিধায় চাষ করে যাচ্ছে। সরকার তৎপর হলেই ক্যাবল তামাক নিয়ন্ত্রণ সম্ভব।

ঝিনাইদহ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ও জেলা তামাক নিয়ন্ত্রণ কমিটির সদস্য কৃষিবিদ ষষ্টি চন্দ্র রায় বলেন, আমরা তামাক চাষিদের বিকল্প ফসল চাষে উৎসাহিত করছি। তামাক কোম্পানিগুলো চাষিদের অগ্রিম অর্থ দেয় বলে জেনেছি। সরকার তামাক চাষ নিষিদ্ধ করেনি। কিন্তু আমরা নিয়মিত বিকল্প চাষে কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছি। আশা করা যায় আগামীতে তামাক চাষ এই জেলায় কম হবে।




সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করার ক্ষেত্রে যেসব বিষয়ে সতর্কতা জরুরি

আমরা কমবেশি প্রত্যেকেই সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করে থাকি। মাঝে মধ্যে বিভিন্ন ধরনের পোস্টও করে থাকি। কিন্তু আমরা কখনো ভেবে দেখি না— কোন কোন বিষয় পোস্ট করা একেবারেই উচিত নয়। এ রকম অনেক বিষয়েই আমাদের স্বচ্ছ ধারণা নেই। সে কারণে আমরা নানা সময়ে সামাজিক মাধ্যমে প্রতারণার শিকার হয়ে থাকি।

কোনো কিছু পোস্ট করার আগে আমাদের সবসময়ে সতর্ক থাকা উচিত। সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করার সময়ে সতর্ক না হলে প্রতারণা অনিবার্য। কারণ অনেকেই আছেন, না বুঝে এমন কিছু পোস্ট করেন, পরে হিতে বিপরীত ঘটনা ঘটে যায়। বিপজ্জনক পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়।

সে কারণে এই সময়ে অনেকেই প্রতারণার শিকার হন। প্রতারকদের জালে জড়িয়ে সর্বস্ব খুইয়েছেন, এমন উদাহরণও অনেক। যদি আপনিও পোস্টে এমন কিছু জিনিসের উল্লেখ করে থাকেন, তা হলে তা মুছে দেওয়াই শ্রেয়।

 

মনে রাখবেন, সামাজিক মাধ্যমের পোস্টে কখনই লোকেশন ট্যাগ করবেন না। আপনি যেখানেই বেড়াতে যান না কেন, কিংবা খেতে যান না কেন, সেই ছবি দিলেও কোথায় গেছেন সে তথ্য জানাবেন না। বিশেষ করে লোকেশন ট্র্যাকারে ট্যাগ করে অনেকেই সেই জায়গার ঠিকানাসহ বিস্তারিত বিবরণও দেন। এমন করলেই আপনি বিপদে পড়তে পারেন।

আর নিজের বাড়ির ছবি দিলেও ঠিকানা বা বাড়ির নম্বর অথবা কোন এলাকায় আপনার বাড়ি তা উল্লেখ করবেন না। বাড়ির চারপাশের রাস্তাঘাটের ছবিও না দেখানোই ভালো।

 

এ ছাড়া আপনার সন্তান কোন স্কুলে পড়ছে সেই তথ্য ভুলেও দেবেন না। কেবল তা-ই নয়, স্কুলের ইউনিফর্ম পরা শিশুর ছবিও কখনো পোস্ট করবেন না। একশ্রেণির শিশু পাচারকারী নেটদুনিয়ায় খুবই সক্রিয়। তাই সতর্ক থাকতেই আপনার সন্তানের ইউনিফর্ম পরা ছবি কখনো পোস্ট করবেন না।

 

অনেকেই পোস্ট করে দিনের কাজকর্ম কিংবা পরিকল্পনার কথা জানান। এটা করা খুবই বিপজ্জনক। আপনি জানতেও পারবেন না, কখন আপনার ব্যক্তিগত তথ্য হ্যাকারদের হাত ঘুরে ডার্ক ওয়েবে চলে যাবে।

আবার কম্পিউটারের আইপি অ্যাড্রেস কখনই পোস্টে উল্লেখ করবেন না। অনেকেই নিজের কম্পিউটার বা ল্যাপটপের ছবি তুলে পোস্ট করেন। এমনটি করলেই আপনি প্রতারণার জালে জড়াতে পারেন।

 

আর সামাজিক মাধ্যমে কে কী পোস্ট করছে, তা ব্যক্তিস্বাধীনতার আওতায় পড়ে। তাই সেই ছবি ও ভিডিও কিংবা রিলে শিশু নগ্ন থাকলে ও শিশু সুরক্ষা কমিশন হস্তক্ষেপ করতে পারে। ছেলে বা মেয়ে বয়সে যতই ছোট হোক না কেন, তার জামাকাপড় ছাড়া কোনো ছবি ও ভিডিও কিংবা রিল পোস্ট করা আইনত দণ্ডনীয়। তাই সতর্ক থাকুন।

আর ইমেল আইডিও পোস্ট করা উচিত নয় বলেও অনেকবার সতর্ক করেছে জাতীয় সাইবার নিরাপত্তা বিভাগ। আজকাল অনেকেই নিজের ইমেল কিংবা জিমেল আইডি সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করেন। এসব তথ্য সহজেই হাতিয়ে নিতে পারে সাইবার অপরাধীরা।

সূত্র: যুগান্তর




গাংনীতে শিশু বিবাহ ও জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন বিষয়ক মতবিনিময় সভা

গাংনী উপজেলার রাইপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিশু বিবাহ, মানব পাচার, মাদক প্রতিরোধ ও জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন বিষয়ে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের অংশগ্রহণে এ সভার আয়োজন করা হয়।

জাতীয় নারী নির্যাতন প্রতিরোধ ফোরামের সহযোগিতায় মানব উন্নয়ন কেন্দ্র (মউক) এই কর্মসূচির আয়োজন করে। সভায় সভাপতিত্ব করেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মিজানুর রহমান। এতে বক্তব্য রাখেন সহকারী শিক্ষক সাহেবুল ইসলাম, আবু সাঈদ ও মাতিউন নেছা। শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন মউকের প্রোগ্রাম ম্যানেজার মোছাঃ ফাহিমা আক্তার।

আলোচকরা শিশু বিবাহের কুফল, মানব পাচারের ভয়াবহতা ও মাদক প্রতিরোধের গুরুত্ব তুলে ধরেন। পাশাপাশি, ৪৫ দিনের মধ্যে সকল শিশুর জন্ম ও মৃত্যুর নিবন্ধন সম্পন্ন করার বিষয়ে শিক্ষার্থীদের সচেতন করা হয়।

সভায় বিদ্যালয়ের বিভিন্ন শ্রেণির ছাত্র-ছাত্রী ও শিক্ষকরা অংশগ্রহণ করেন।




চুয়াডাঙ্গার দর্শনায় কেরুজ ক্লাবের পাশে বোমা বিস্ফোরণ

চুয়াডাঙ্গার দর্শনায় কেরুজ ক্লাবের পাশে ভোররাতে বিকট শব্দে বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে সংঘবদ্ধ দুর্বৃত্তরা। এতে আতঙ্কে ঘুম ভাঙে এলাকাবাসীর। এছাড়া, ঘটনাস্থলে আরও একটি বোমা সাদৃশ্য বস্তু পাওয়া গেছে, যা নিষ্ক্রিয় করার প্রক্রিয়া চলছে।

স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) ভোরে কেরুজ জেনারেল অফিসের অদূরে ক্লাবের পাশে একদল দুর্বৃত্ত লাল টেপ দিয়ে মোড়ানো বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়। বিকট শব্দ শুনে এলাকাবাসী আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েন এবং শব্দের উৎস জানতে পরিচিতজনদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। সকালে স্থানীয়রা কেরুজ ক্লাবের পাশে একটি ঝোপের মধ্যে লাল কসটেপে মোড়ানো আরেকটি বোমা সাদৃশ্য বস্তু পড়ে থাকতে দেখেন।

খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছান দামুড়হুদা সার্কেলের এএসপি জাকিয়া সুলতানা এবং দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শহীদ তিতুমীর। পরবর্তীতে চুয়াডাঙ্গা ৫৫ পদাতিক ডিভিশনের হুমায়ন আহমেদের নেতৃত্বে সেনাবাহিনীর একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।

এএসপি জাকিয়া সুলতানা বলেন, “আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। সেখানে লাল কসটেপ মোড়ানো একটি বোমা সাদৃশ্য বস্তু পড়ে থাকতে দেখা গেছে। তবে এটি সত্যিকারের বোমা কিনা, তা পরীক্ষা করে নিশ্চিত হওয়া যাবে। রাজশাহীর বোম্ব ডিসপোজাল টিমকে খবর দেওয়া হয়েছে।”

দর্শনা থানার ওসি শহীদ তিতুমীর বলেন, “ঘটনার খবর পেয়ে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে কেরুজ ক্লাব এলাকা লাল ফিতা দিয়ে ঘিরে রেখেছি এবং পুলিশ সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে। বোমাটি নিষ্ক্রিয় করার জন্য রাজশাহী র‍্যাবকে খবর দেওয়া হয়েছে, তারা এসে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।”

এ বিষয়ে কেরু অ্যান্ড কোম্পানির প্রশাসনিক কর্মকর্তা এডিএম গালিব হাসানের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

কেরু অ্যান্ড কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাব্বিক হাসান বলেন, “কেরুজ ক্লাবের পাশে লাল কসটেপ দিয়ে মোড়ানো একটি বোমা সাদৃশ্য বস্তু পাওয়া গেছে। তবে এটি সত্যিকারের বোমা কিনা, তা বোম্ব ডিসপোজাল টিম পরীক্ষা করে নিশ্চিত করবে।”

ঘটনাটি নিয়ে কেরুজ চিনিকলের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যেও আতঙ্ক বিরাজ করছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।




ভুটানে চালু হলো স্টারলিংক, বাংলাদেশে আসতে পারে এ বছরই

ইলন মাস্কের মালিকানাধীন স্টারলিংক স্যাটেলাইট ইন্টারনেট সেবা এখন ভুটানে চালু হয়েছে। মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) এক্স (পূর্বে টুইটার) প্ল্যাটফর্মে স্পেসএক্স প্রধান ইলন মাস্ক এই তথ্য নিশ্চিত করেন। নতুন আপডেট অনুযায়ী, ভুটানের ব্যবহারকারীরা এখন থেকে স্টারলিংকের ইন্টারনেট সেবা গ্রহণ করতে পারবেন।

বিশ্বব্যাপী ইন্টারনেট সংযোগ বিস্তৃত করতে স্টারলিংক কাজ করে যাচ্ছে। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, মঙ্গোলিয়া ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশে এই সেবা চালু রয়েছে। তবে ভারতে স্টারলিংক কার্যক্রম শুরুর জন্য এখনো নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদনের প্রয়োজন রয়েছে। মিয়ানমারে কবে নাগাদ এটি চালু হবে, তা অনিশ্চিত থাকলেও বাংলাদেশে এ বছরই স্টারলিংক ইন্টারনেট চালুর সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্র।

ভুটানে স্টারলিংকের সেবা ও খরচ

স্টারলিংক মূলত বিশেষ স্যাটেলাইট টার্মিনালের মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের ইন্টারনেট সংযোগ প্রদান করে। তবে এটি সরাসরি মোবাইল ফোনে ব্যবহার করা যাবে না। নির্দিষ্ট কিছু দেশে আইফোন ব্যবহারকারীরা স্যাটেলাইট-নির্ভর সংযোগ পাচ্ছেন, তবে ভুটানে এই সুবিধা নেই।

দেশটির তথ্য বিভাগ জানায়, ‘রেসিডেনশিয়াল লাইট’ প্ল্যানে প্রতি মাসে তিন হাজার গুলট্রাম (প্রায় ৪০০০ টাকা) খরচ হবে, যা ২৩ এমবিপিএস থেকে ১০০ এমবিপিএস গতির ইন্টারনেট সরবরাহ করবে।

অন্যদিকে, ‘স্ট্যান্ডার্ড রেসিডেনশিয়াল’ প্ল্যানে মাসিক ৪২০০ গুলট্রাম (প্রায় ৫৫০০ টাকা) খরচ হবে, যা ২৫ এমবিপিএস থেকে ১১০ এমবিপিএস পর্যন্ত গতির ইন্টারনেট সরবরাহ করবে এবং এতে ‘আনলিমিটেড ডেটা’ ব্যবহারের সুবিধা থাকবে।

বাংলাদেশে স্টারলিংক কবে আসছে?

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ‘দ্য হিন্দু’ জানিয়েছে, বাংলাদেশে স্টারলিংক ইন্টারনেট সেবা চালু হতে পারে এ বছরেই। তবে সরকারের অনুমোদন ও স্থানীয় টেলিকম নীতিমালার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে কার্যক্রম শুরু করতে হবে।

স্টারলিংক স্যাটেলাইট-নির্ভর ইন্টারনেট সেবা স্থানীয় টেলিকম অপারেটরদের তুলনায় ব্যয়বহুল হবে বলে মনে করা হচ্ছে। বিশেষ করে প্রথমদিকে এই সেবার খরচ তুলনামূলক বেশি থাকবে, যা ভবিষ্যতে ধীরে ধীরে কমতে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।

সূত্র: ইত্তেফাক




মুজিবনগরে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা পদক প্রতিযোগিতা

“এসো দেশ বদলাই, পৃথিবী বদলাই” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে তারুণ্যের উৎসব-২০২৫ উদযাপন উপলক্ষে মুজিবনগর উপজেলা পর্যায়ে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা পদক প্রতিযোগিতা-২০২৫ (ক্রীড়া, সাংস্কৃতিক, বিষয়ভিত্তিক কুইজ ও কাবিং) অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের আয়োজনে উপজেলা পরিষদ চত্বরে জাতীয় সংগীতের তালে তালে জাতীয় পতাকা ও ক্রীড়া পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করা হয়।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) পলাশ মণ্ডল।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুজিবনগর ইউআরসি ইন্সট্রাক্টর আকরাম হোসেন, সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার এহসানুল হাবিব, সরকারি উপজেলা শিক্ষা অফিসার শামসুজ্জোহা, মুজিবনগর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক হাসান মোস্তাফিজুর রহমান।

প্রতিযোগিতার ইউনিয়ন পর্যায়ের বাছাইপর্ব ৫-৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে প্রতিটি ইভেন্টে একজন করে ২৪ জন প্রতিযোগী উপজেলা পর্যায়ে অংশ নেয়। উপজেলার চারটি ইউনিয়নের সেরা ৯৬ জন প্রতিযোগী ২৪টি ইভেন্টে উপজেলা পর্যায়ের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে।

প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার পলাশ মণ্ডল। উপজেলা পর্যায়ে বিজয়ী প্রতিযোগীরা জেলা পর্যায়ের শিক্ষা পদক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করবেন। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলার ৩৮টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, শিক্ষক ও শিক্ষিকাবৃন্দ।

অনুষ্ঠানের সার্বিক সঞ্চালনায় ছিলেন কেদারগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শিরিনা খাতুন।




ভালোবাসা দিবসে প্রিয়জনকে মিষ্টিমুখ করান ঘরে বানানো কেক-পেস্ট্রি দিয়ে

দুদিন পর ভালোবাসা দিবস। প্রিয়জনকে মিষ্টি মুখ করাতে এ সময়ে অনেকে দোকান থেকে কেক বা পেস্ট্রি কিনে আনেন। তবে আপনি চাইলে বাড়িতেই তৈরি করতে পারেন নানা রকম স্বাদের কেক বা পেস্ট্রি। তাই দোকান থেকে কেনা ক্রিম দেওয়া কেক বা পেস্ট্রি যদি খাওয়াতে না চান, তাহলে বাড়িতেই স্বাস্থ্যকর উপায়ে বানিয়ে নিতে পারেন।

আর এমনই তিনটি রেসিপি রইল আপনার জন্য।
রেড ভেলভেট ব্রাউনি

উপকরণ

২-৩টি ডিম, ১ কাপ চিনি, আধ কাপ মাখন, আধ থেকে ১ কাপ সাদা চকোলেট, ১ কাপ ময়দা ও এক চিমটি কাঠবাদামের গুঁড়া বা কোকোয়া পাউডার।

প্রণালি

একটি বড় পাত্রে ডিম ও চিনি নিয়ে ভালো করে ফেটিয়ে নিন। সাদা চকোলেট গলিয়ে রাখুন।

এবার ফেটানো ডিম ও চিনির সঙ্গে সাদা চকোলেট ও মাখন মিশিয়ে আবার ফেটান। মিহি মিশ্রণ তৈরি হলে তাতে ময়দা, কাঠবাদামের গুঁড়া, কোকোয়া পাউডার ও লাল খাবার রং মিশিয়ে ভালো করে ফেটিয়ে নিতে হবে।
বেকিং ট্রে-তে মিশ্রণটি ঢেলে ওভেনে ৩০ মিনিট ধরে ১৭০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রায় বেক করতে হবে। ঠাণ্ডা হলে ওপরে আরো কিছুটা কাঠবাদামের গুঁড়ো ছড়িয়ে পরিবেশন করুন।

চকোলেট সিল্ক কেক

1

উপকরণ

৫০ মিলিলিটার পানি, ৬ চা চামচ চিনি, ১২ চামচ মাখন, ১২ চা চামচ গলানো ডার্ক চকোলেট ও ৩টি ডিম।

প্রণালি

সসপ্যানে একটি পাত্রে পানি, চিনি ও চকোলেট মিশিয়ে নাড়তে থাকুন। আঁচ কম রাখবেন। সুন্দর রং ধরলে গ্যাস বন্ধ করে ঠাণ্ডা হতে দিন ৩০ মিনিট। ঠাণ্ডা হয়ে গেলে তাতে ডিমগুলো দিয়ে ভালো করে ফেটে নিন।

মিহি মিশ্রণ তৈরি হলে সেটি বেকিং ট্রে-তে ঢেলে ওভেনে ১৭০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রায় ৪৫ মিনিট ধরে বেক করুন। ঠাণ্ডা হলে নিজের মতো করে কেটে নিন। ওপর থেকে চকোলেট ক্রিম ছড়িয়ে বা ক্যাডবেরি দিয়ে পরিবেশন করুন।
আপেল পাই

উপকরণ

২ কাপ আপেল কুচনো, আধ কাপের মতো আপেলের জুস, দেড় চামচ ব্রাউন সুগার, আধ চামচ দারুচিনির গুঁড়া, এক চিমটি, জায়ফলের গুঁড়া, দেড় চামচের মতো কিশমিশ, ১০ চামচ ময়দা, ৩ চা চামচ মাখন, ৫ চামচ চিনি, দেড় চামচ কাঠবাদামের গুঁড়া, আধা চামচ গুঁড়া দুধ ও এক চিমটি লবণ।

প্রণালি

একটি বড় পাত্রে আপেল কুচি, আপেল জুস, ব্রাউন সুগার, দারচিনি ও জায়ফলের গুঁড়া মিশিয়ে ফোটান। আঁচ কম রাখবেন। আপেল নরম হয়ে এলে তাতে কিশমিশ, কাঠবাদামের কুচি মিশিয়ে ২-৩ মিনিট নাড়াচাড়া করুন। এরপর গ্যাস বন্ধ করে ৩০ মিনিট ঠাণ্ডা হতে দিন।

অন্য একটি পাত্রে ময়দা, কাঠবাদামের গুঁড়া, লবণ মিশিয়ে রাখুন। এবার আরো একটি পাত্র নিয়ে তাতে মাখনের সঙ্গে চিনি ভালো করে ফেটান। ক্রিমের মতো তৈরি হলে তাতে ময়দার মিশ্রণ মিশিয়ে আরো একবার ফেটিয়ে নিন। খুব শুকনো করে মিশ্রণটি তৈরি করতে হবে। তার পর সেটি ঢাকনা দিয়ে ৩০ মিনিট রেখে দিন। এই শুকনো মিশ্রণের ওপরে আপেলের কুচি আর কিশমিশ, কাঠবাদামের মিশ্রণটি ঢেলে ওভেনে ১৭৫ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রায় ২৫-৩০ মিনিট ধরে বেক করতে হবে। সোনালি রং ধরলে সেটি ঠাণ্ডা করে পরিবেশন করুন।

সূত্র: কালের কন্ঠ