ভোট বর্জনের আহ্বানে ঝিনাইদহে বিএনপি’র লিফলেট বিতরণ

এক দফা দাবি আদায়ে বিএনপি’র অসহযোগ আন্দোলনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জনের আহ্বানে ঝিনাইদহে বিএনপি লিফলেট বিতরণ করেছে।

শনিবার সকালে কালীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির’ আয়োজনে বানুড়িয়া বাজার এলাকায় সাধারণ মানুষের মাঝে এ লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি পালন করা হয়। সেসময় কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ফিরোজ, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম সাইদুল, ইলিয়াসুর রহমান মিঠুসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ অংশ নেয়। তারা বিভিন্ন হাট বাজার, দোকানপাটে গিয়ে সাধারণ ভোটার ও মানুষের অবৈধ ভোট বর্জনে আহবান জানান ও লিফলেট বিতরণ করেন।

৭ জানুয়ারীর ডামি নির্বাচন বর্জন করতে হবে এমনকি সকলকে ভোট কেন্দ্রে নিজে না যাওয়া ও অন্যকেও না যেতে আহবান জানান বিএনপি নেতারা।




ছুটির দিনের স্পেশাল রেসিপি

ছুটির দিন মানেই ভরপুর খাওয়া দাওয়া। স্বাস্থ্য সচেতনতার এই যুগে পোলাও-মাংস তো রোজ রোজ খাওয়া সম্ভব হয় না। তাই রইলো আমেনা আনারের ৩ টি স্বাস্থ্যকর রেসিপি।

ব্রকলি-রুই মাছের ঝোল রান্না

উপকরণ
রুই মাছের টুকরা ৫-৬ টি,টমেটো ১টি (টুকরো করা)কাঁচামরিচ ৩-৪ টি,ব্রকলি ২কাপ ,পিয়াঁজ কুচি ১ টি, আদা- রসুন বাটা ১ চা চামচ করে,মরিচ গুঁড়া ১ চা চামচ, হলুদ গুঁড়া ১/২ চা চামচ, ধনিয়া গুঁড়া ১/২ চা চামচ ,জিরার গুঁড়া ১/২ চা চামচ , লবণ স্বাদ মত,পানি ২ কাপ মত ,ধনিয়াপাতা কুচি পরিমাণ মত ও তেল।

প্রণালী
প্রথমে,রুই মাছের পিস গুলো পরিস্কার করে, ধুঁয়ে নিন অল্প হলুদ গুঁড়া, লবণ, লেবুর রস দিয়ে। এবার, মাছে অল্প হলুদ- মরিচ গুঁড়া, লবণ দিয়ে মাখিয়ে নিন। ব্রকলির ফুলের অংশ টুকু কেটে নিয়ে, ধুঁয়ে নিয়ে গরম পানিতে দিয়ে ২-৩ মিনিট ভাপিয়ে নিন। পানি থেকে তুলে নিন।ব্রকলির ফুল গুলো। এবার সস প্যানে ২ টেবিল চামচ তেল গরম করে, মাছ গুলো দিয়ে দুপিঠ হালকা লাল করে ভেজে তুলে নিন।

একই প্যানে আরো ২ টেবিল চামচ তেল গরম করে, পিঁয়াজ কুচি দিয়ে ভেজে নিন হালকা কালার আসা পর্যন্ত। এবার আদা-রসুন বাটা দিয়ে একটু ভেজে নিন। তারপর একে একে গুঁড়া মসলা,অল্প লবন, অল্প পানি দিয়ে কষিয়ে নিন। টমেটো কুচি দিয়ে ভালোভাবে কষিয়ে নিন তেল উপরে উঠে আসা পর্যন্ত। এবার মাছ গুলো দিয়ে দু পিঠে মসলা লাগিয়ে নিন উলটে পালটে। এবার, গরম পানি দিন দেড় কাপ মত। ঢেকে রান্না করুন পাঁচ- ছয় মিনিট। এবার ব্রকলি গুলো মাছের ফাঁকে ফাঁকে বসিয়ে দিন। লবণের স্বাদ চেক করে নিন। কাচাঁমরিচ ও ধনিয়াপাতা কুচি দিয়ে ঢেকে পাচঁ মিনিট রান্না করে নিন। পাচঁ মিনিট পর নামিয়ে গরম গরম ভাতের সাথে পরিবেশন করুন।

উপকরণ
ব্রকলি দেড় কাপ ( ডাটাসহ ফুলের অংশ টুকু কেটে নিন), চিংড়ি মাছ ১০-১২ টি (রগ, মাথা, লেজ ফেলে পরিস্কার করা), লাল মরিচের গুঁড়া ১/২ চা চামচ, লবণ স্বাদ মত, রসুন কুচি ৫-৬ টি ,আদা কুচি ১ চা চামচ ,পিঁয়াজ মোটা কুচি ১টি, কাচাঁমরিচ ২-৩ টি ,ধনিয়াপাতা কুচি।

সস তৈরির জন্য
সয়াসস ১,১/২ টেবিল চামচ ,গোলমরিচের গুঁড়া ১/২ চা চামচ ,টমেটো সস ১ টেবিল চামচ ,কর্ণফ্লাওয়ার ১ টেবিল চামচ + পানি ১/৪ কাপ গুলে,সেসিমি ওয়েল ১ চা চামচ
*একটি বাটিতে সব উপকরণ নিয়ে মিক্স করে পাশে রাখুন।

প্রণালী
প্রথমে, চিংড়ি মাছ গুলো পরিস্কার করে নিয়ে মরিচ গুঁড়া, লবণ দিয়ে মাখিয়ে রাখুন। ব্রকলি গুলো গরম পানিতে দিয়ে ৩ মিনিট মত রেখে , পানি ঝরিয়ে নিন। এখন, সসপ্যানে দেড় টেবিল চামচ মত তেল গরম করে, চিংড়ি মাছ গুলো দিয়ে হালকা লাল করে ভেজে তুলে নিন। এবার একই প্যানে দুই টেবিল চামচ মত তেল গরম করে, রসুন-আদা কুচি, দিয়ে একটু ভেজে, পিঁয়াজ কুচি দিয়ে ভেজে নিন। এবার, ব্রকলিগুলো এবং স্বাদ মত লবণ দিয়ে চুলার হাই আচেঁ নেড়ে নেড়ে ভেজে নিন ৫ মিনিট মত ভেজে রাখা চিংড়ি মাছ গুলো,কাঁচামরিচ দিয়ে নেড়ে নেড়ে ভাজুন ২ -৩ মিনিট মত। তৈরি করে রাখা সস টা দিয়ে নেড়ে নেড়ে ভেজে নিন আরো ২-৩ মিনিট মত। এবার, ধনিয়াপাতা কুচি দিয়ে নেড়ে নামিয়ে নিন। গরম গরম পরিবেশন করুন পোলাও, ফ্রাইড রাইস কিংবা সাদা ভাতের সাথে।

স্টির ফ্রাই ব্রকলি- চিকেন উইথ সস

উপকরণ
মুরগির বুকের মাংস ২৫০ গ্রাম (লম্বায় স্লাইস করা), ব্রকলি ১/২ কাপ, আদা কুচি ১ চা চামচ, লবণ স্বাদ মত, গোলমরিচের গুঁড়া ১/২ চা চামচ, কাচাঁমরিচ ২-৩ টি, পেঁয়াজ মোটা কুচি ১টি, চিলি ফ্ল্যাক্স ১/২ চা চামচ, সয়াসস ১ চা চামচ, ওয়েস্টার সস ১ চা চামচ, বাটার ২ টেবিল চামচ।

সস তৈরির জন্য
সয়াসস ১/২ টেবিল চামচ, চিকেন স্টক ১ টি, কিউব+১/৪ কাপ পানিতে ফুটিয়ে ঠান্ডা করা, ব্রাউন সুগার ১ চা চামচ ( স্বাদ মত), গোলমরিচের গুঁড়া ১/২ চামচ, কর্ণফ্লাওয়ার ১ টেবিল চামচ, রসুন কুচি ৫-৬ টি, সেসিমি ওয়েল ১ চা চামচ, একটি বাটিতে সব একসঙ্গে মিশিয়ে নিয়ে পাশে রাখুন।

প্রণালী
প্রথমে, চিকেন এ সয়াসস, ওয়েস্টার সস, লবণ, গোলমরিচের গুঁড়া দিয়ে মাখিয়ে রাখুন ৫ মিনিট। এখন, প্যানে বাটার গলিয়ে নিয়ে আদা কুচি দিয়ে ভেজে নিন। সুগন্ধ বের হলে ব্রকলি দিয়ে চুলার মিডিয়াম থেকে হাই আচেঁ নেড়ে নেড়ে ভেজে নিন ৪-৫ মিনিট মত। অল্প লবণ, চিলি ফ্ল্যাক্স দিয়ে নেড়ে তুলে নিন প্লেটে। এবার একই প্যানে ২ টেবিল চামচ তেল গরম করে, চিকেন স্লাইস গুলো দিয়ে নেড়ে নেড়ে ভেজে নিন হালকা লাল কালার আসা পর্যন্ত। ৬-৭ মিনিট মত ভেজে নিন। এবার চিকেনে তৈরি করে রাখা সস টা দিয়ে নেড়ে নেড়ে মিশিয়ে নিন। চুলার আচঁ মিডিয়াম রেখে ঢেকে দিন ২ মিনিটের জন্য। দুই মিনিট পর ভেজে রাখা ব্রকলি গুলো দিয়ে নেড়ে নেড়ে মিশাতে থাকুন। এই সময় চুলার আচঁ হাই আচেঁ রাখুন। অল্প পানি দিন। এতে হালকা গ্রেভী হবে। কাচাঁমরিচ দিয়ে নেড়ে দিন। দুই মিনিট মত ভেজে নিন। এবার নামিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন পোলাও, ফ্রাইড রাইস অথবা সাদা ভাতের সাথে।




ঝিনাইদহে জাতীয় প্রবাসী দিবস পালিত

‘প্রবাসীর কল্যাণ, মর্যাদা-আমাদের অঙ্গিকার, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ায় তারাও সমান অংশীদার’ এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ঝিনাইদহে জাতীয় প্রবাসী দিবস পালিত হয়েছে।

ঝিনাইদহ কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের আয়োজনে আজ শনিবার সকালে ক্যাম্পাস প্রাঙ্গণে বেলুন উড়িয়ে দিবসটির উদ্বোধন করা হয়। পরে একটি র‌্যালী বের করা হয়। র‌্যালীটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থান প্রদক্ষিন করে একই স্থান এসে শেষ হয়। পরে সেখানে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

টিটিসির অধ্যক্ষ রুস্তম আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ঝিনাইদহের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) খালিদ হাসান।

বিশেষ অতিথি ছিলেন, ঝিনাইদহ যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিলকিস আফরোজ, প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের ম্যানেজার হাসানুজ্জামান, জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিসের সহকারী পরিচালক সবিতা রানী মজুমদার। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন টিটিসির জবপ্লেসমেন্ট অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন।

আলোচনা সভা শেষে প্রবাসীদের ৭ জন এসএসসি ও এইচএসসি পড়ুয়া সন্তানদের মাঝে ৩ লাখ ৬ হাজার টাকার উপবৃত্তির চেক বিতরণ করা হয়।
এছাড়াও দিবসটি উপলক্ষে টিটিসি প্রাঙ্গণে চাকুরী মেলার আয়োজন করা হয়। সেখানে বিভিন্ন কোম্পানীর স্টল দিয়ে চাকুরী প্রত্যাশীদের আবেদন গ্রহণ করে।




খেজুর রস

পথের ধারে উঠছে বেড়ে
ছোট্ট খেজুর গাছ,
সেই গাছেতে আবুল চাচা
করছে রসের চাষ।
বিকাল বেলায় গাছে উঠে
কেটে বসায় হাড়ি,
সকাল বেলা উঠে নামায়
পাঠায় যে রস বাড়ি।
এ রস দিয়ে মায়ে আমার
বানায় সিন্নি মিঠা,
কখনো বা নানান রকম
মজার মজার পিঠা।
শীতের দিনে মন ভরেছে
খেজুর রসের গুণে,
পাখপাখালি তাদের মনে
খুশি যায় যে বুনে।




হরিণাকুণ্ডুুতে ঈগল প্রতীকের সমর্থন নেওয়া মুক্তিযোদ্ধা পেটানোর অভিযোগ

ঝিনাইদহ-২ আসনের সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর ঈগল প্রতীকের পক্ষে কাজ করায় নৌকা প্রতীকের সমর্থকরা এক মুক্তিযোদ্ধাকে মারপিট করে আহত করার অভিযোগ উঠেছে। আহত মুক্তিযোদ্ধা তাহাজ উদ্দিন মুন্সি হরিনাকুন্ডু উপজেলার সাবেক ডেপুটি মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার।

আজ শনিবার দুপুরে ঝিনাইদহ শহরের মুসা মিয়া আইসিটি সেন্টারে আহত মুক্তিযোদ্ধা তাহাজ উদ্দিন মুন্সি সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন।
তিনি তার লিখিত বক্তব্যে জানান,  গতকাল ২৯ ডিসেম্বর সকাল ১১ টার দিকে হরিনাকুন্ডু উপজেলার জিন্দার মোড় বাজারে সেলুনে চুল কাটাতে যান মুক্তিযোদ্ধা তাহাজ উদ্দিন। সেসময় নৌকা প্রতীকের সমর্থক চাদপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের একাংশের সাধারণ সম্পাদক রাশিদুল ইসলাম তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে।

এসময় সে আরও বলে তুমি নৌকার পক্ষে ভোট না করে ঈগলের পক্ষে ভোট করছো কেন ? তুমি সরকারের ভাতা খাচ্ছো আর সরকারী দল বাদ দিয়ে স্বতন্ত্রের পক্ষে ভোট করছো এসব কথা বলে সে আমাকে মারধর করে রাস্তার উপরে ফেলে দেয়। এসময় মুক্তিযোদ্ধা তাহাজ উদ্দিন বলেন আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা সারা জীবন নৌকার পক্ষে ভোট করেছি এখনো তার বাইরে নয় তুমি আমাকে মারছো কেন, এসব কথা রাশেদুল কর্নপাত না করে তাকে মারপিট করে আহত করে। এ ঘটনায় থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে একজন বীরমুক্তিযোদ্ধা প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন। সেই সাথে প্রশাসনের আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানান।

এছাড়া সংবাদ সম্মেলনে মুক্তিযোদ্ধা ইউসুফ আলী, জানে আলম, আব্দুল ওহাব ও হরিনাকুন্ডুর চাঁদপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের অপর অংশের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক লস্করসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।




হরিনাকুণ্ডুতে চাঞ্চল্যকর শামীম হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী আবু সাইদ গ্রেপ্তার

ঝিনাইদহের হরিনাকুণ্ডের চাঞ্চল্যকর ক্লুলেস শামীম হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী ও কুখ্যাত সন্ত্রাসী আবু সাইদ গ্রেপ্তার কে ১টি বিদেশী রিভলবার ১টি ওয়ান শুটারগান এবং ৬ রাউন্ড গুলিসহ গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-৬।

শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) সকালে র‌্যাব-৬ এর প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে জানা যায়,ঝিনাইদহ ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারে যে, ঝিনাইদহ জেলার হরিণাকুন্ডু থানাধীন হরিণাকুন্ডু গ্রামস্থ এলাকায় কতিপয় ব্যক্তি সন্ত্রাসী কার্যক্রমের উদ্দেশ্যে অবৈধভাবে অস্ত্র ও গুলিসহ অবস্থান করছে। প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে আভিযানিক দলটি শুক্রবার দিবাগত রাত দেড় টার সময় ঝিনাইদহ জেলার হরিণাকুন্ডু থানাধীন হরিণাকুন্ডু গ্রামে একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। এসময় র‌্যাব ২টি আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলিসহ ১ জন অস্ত্রধারী কুখ্যাত সন্ত্রাসী মোঃ আবু সাইদ (৩৬) কে গ্রেপ্তার করে। সে একই উপজেলার পারদখলপুর গ্রামের মোঃ ছানোয়ার হোসেন ছনুর পুত্র। এ সময় উপস্থিত সাক্ষীদের সামনে গ্রেপ্তারকৃত আসামীর হেফাজত হতে ১টি ওয়ান শুটারগান, ১টি বিদেশী রিভলবার ও ৬ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়।

উল্লেখ, গত ২৩ নভেম্বর ২০২৩ তারিখ ঝিনাইদহ জেলার হরিনাকুন্ডু থানার সাবেক সেনা সদস্য এবং উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সহ-সভাপতি শামীম হোসেন (৪৮)কে রাতে কিছু দুর্বৃত্তরা এলোপাথাড়ি কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করে। নিহত শামীম হোসেন বিগত ২০ বছর পূর্বে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী হতে অবসরে আসেন এবং হরিণাকুন্ডু উপজেলার স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।

জানা যায় নিহত ভিকটিম শামীম হোসেন রাত অনুমান ৮টার দিকে রাতের খাবার শেষ করে বাড়ী হতে বের হন এর কিছু সময় পরে হরিণাকুন্ডু থানার পার্বতীপুর গ্রামের জনৈক জব্বার মন্ডলের মেহগনি বাগানের উত্তর পাশে খালপাড়ে বাশেঁর সাকোর নিচে শামীম হোসেন এর রক্তাক্ত মরদেহ দেখতে পায় স্থানীয়রা। কিছু দুর্বৃত্তরা ভিকটিম শামীম হোসেনকে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে বিষয়টি বিভিন্ন প্রেস মিডিয়াতে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে। এ বিষয়ে শামীমের স্ত্রী বাদী হয়ে গত ২৪ নভেম্বর ২০২৩ তারিখে হরিনাকুন্ডু থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। ঘটনার বিষয়ে র‌্যাব-৬, ঝিনাইদহ ক্যাম্পের একটি চৌকস আভিযানিক দল ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং আসামী গ্রেপ্তারের জন্য গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত রাখে।

গ্রেপ্তারকৃত আসামীকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, আবু সাইদ তার নিকটে থাকা আগ্নেয়াস্ত্রের ভয়ভীতি দেখিয়ে এলাকায় বিভিন্ন সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিলো। ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে ধৃত সন্ত্রাসী আবু সাইদ হরিণাকুণ্ডুর সাবেক সেনা সদস্য ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি শামীম হোসেনের হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন।

জব্দকৃত আলামত ও গ্রেপ্তারকৃত আসামীকে ঝিনাইদহ জেলার হরিণাকুন্ডু থানায় হস্তান্তর করে গ্রেপ্তারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে নিয়মিত অস্ত্র আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে বলে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করে।




এবার মেহেরপুর পৌর মেয়র রিটনকে শোকজ

সরকারি গাড়ী ব্যবহার করে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করায় এবার মেহেরপুর পৌর মেয়র মাহফুজুর রহমান রিটনকে শোকজ করেছে নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটি।

আজ শনিবার মেহেরপুর-১ আসনের নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান ও মেহেরপুরে যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ এইচ এম কবির হোসেন এ শোকজ করেন। মেহেরপুর-১ আসনের নৌকার প্রার্থী ফরহাদ হোসেনের পক্ষে জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আব্দুস সামাদ বাবলু বিশ্বাসের অভিযোগের প্রেক্ষিতে এ শোকজ করা হয়েছে।

শোকজ বলা হয়েছে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মেহেরপুর ১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী প্রফেসর আব্দুল মান্নানের পক্ষে সরকারী গাড়ী ব্যবহার করে ও নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে নিয়মিত প্রচারনা চালাচ্ছেন। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুবে একটি ভিডিও প্রচার হতে দেখা যায়। নির্বাচনকে প্রভাবিত করার উদ্দেশ্যে মেহেরপুর-১ আসনের বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী ফরহাদ হোসেন, তাঁর সহধর্মিনী সৈয়দা মোনালিসা ইসলাম, ভাই শহিদ সরফরাজ হোসেন মৃদুল ও ভগ্নিপতি মো: আব্দুস সামাদ বাবলু বিশ্বাস দের উদ্দেশ্য করে ব্যক্তিগত চরিত্র হেয় করে অশালীন বক্তব্য দিয়েছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে। এছাড়াও আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ফরহাদ হোসেনকে দুর্নীতিবাজ, উন্নয়নকাজে বাধাদানকারী হিসেবে উল্লেখ করেছেন। এছাড়াও তাকে ও তার পরিবারকে এলাকা ছাড়া করার হুমকি প্রদান করেছেন।

সরকারী গাড়ি ব্যবহার করে নির্বাচনি জনসভায় অংশগ্রহন করেন এবং উস্কানীমূলক, মানহানিকর এবং ব্যাক্তিগত চরিত্র হনন মূলক বক্তব্য দিয়ে সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরন বিধিমালা, ২০০৮ এর বিধি ১১ (ক) ও ১৪ (২) লংঘন করেছেন মর্মে প্রাথমিকভাবে প্রতীয়মান হয়।

এ বিষয়ে পৌর মেয়রকে স্বশরীরে অথবা প্রতিনিধির মাধ্যমে আগামী ১ জানুয়ারি দুপুর ১২ টার সময় নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে জবাব দিতে বলা হয়েছে।




ডিলিট করা ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ফিরিয়ে আনার উপায়

প্রযুক্তিভিত্তিক যোগাযোগের যত মাধ্যম রয়েছে ‘ফেসবুক’ তার মধ্যে অন্যতম। বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন বয়সী, শ্রেণিপেশার মানুষ এই মাধ্যমটি ব্যবহার করে। প্রায় প্রতিটি দেশেই ফেসবুকের ব্যবহারকারী রয়েছে। অনেকেই বিভিন্ন কারণে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ডিলিট করে ফেলেন।

তবে কয়েকদিন পরই মনে হয় অ্যাকাউন্ট থাকলে ভালো হতো। তবে ডিলিট করা ফেসবুক অ্যাকাউন্ট আবার ফিরিয়ে আনা যায় খুব সহজেই। চলুন জেনে নেওয়া যাক উপায়-

আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ডিলিট করার পরেও আপনার হাতে ৩০ দিন সময় থাকবে। এই সময়ের মধ্যে আপনার অ্যাকাউন্ট ডিঅ্যাক্টিভেট অবস্থায় থাকবে। অর্থাৎ ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ডিলিটের রিকোয়েস্ট করার পরেও ৩০ দিনের মধ্যে তা রিকভার করার সুযোগ পাবেন ব্যবহারকারী।

প্রথমে আপনার ফোন কিংবা বা ল্যাপটপ থেকে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে। তারপর ডিলিট করে দেওয়া অ্যাকাউন্ট যে ই-মেইল বা ফোন নম্বর এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে লগ-ইন করা ছিল তা দিয়েই লগ-ইন করতে হবে।

এবার লগ-ইন করার পর আপনি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ডিলিটে অপশন ক্যান্সেল করার সুযোগ পাবেন। ক্যান্সেল ডিলিটেশন অপশনে ক্লিক করলেই আপনার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট রিস্টোর হয়ে যাবে। অর্থাৎ আপনি ডিলিট করা ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ফিরে পাবেন।

যদি কোনোভাবে আপনি অ্যাকাউন্ট ডিলিট এই অপশন ক্যান্সেল করার সুযোগ খুঁজে না পান তাহলে বুঝবেন আপনি ৩০ দিনের সময়সীমা পেরিয়ে গিয়েছেন। এই সময়সীমা পেরিয়ে গেলে আপনি আর ডিলিট হওয়া ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ফিরে পাবেন না। কারণ ডিঅ্যাক্টিভেট পর্যায় থেকে তা সম্পূর্ণভাবে ডিলিট হয়ে যাবে।

সূত্র: কালবেলা




মেহেরপুরে শোকজের উত্তর দিলেন ডা. অলোক ও ইউপি চেয়ারম্যান সেলিম

মেহেরপুরে নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যানের কার্যালয় উপস্থিত হয়ে নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গের দায়ে করা শোকজের উত্তর দিয়েছেন ডা. অলোক কুমার দাস এবং ইউপি চেয়ারম্যান সেলিম রেজা।

আজ শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) সকাল ১০ টায় কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সেলিম রেজা এবং দুপুর ১২ টার সময় মেহেরপুর সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. অলোক কুমার দাস মেহেরপুর-১ আসনের নির্বাচন অনুসন্ধানী কমিটিতে হাজির হন। নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান এবং মেহেরপুরের যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ-২ আদালতের বিচারক এইচ এম কবির হোসেনের কাছে তারা শোকজের উত্তর দিয়েছেন।

নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটির দপ্তর সুত্রে জানা গেছে, ‘শোকজে উল্লেখিত ভোট চওয়ার ঘটনাটি ডা. অলোক কুমার দাস অস্বীকার করেছেন। প্রফেসর আব্দুল মান্নান কে ভারতের দালাল বলেছেন এ কথাটাও তিনি অস্বীকার করেছেন। ‘

প্রফেসর মান্নানের প্রতিনিধি অ্যাডভোকেট মিয়াজান আলী এ সময় নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটির নিকট অভিযোগের স্বপক্ষে প্রমাণাদি দাখিল করেন।

অপরদিকে কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সেলিম রেজা নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যানের খাস কামরায় নৌকার পক্ষে ভোট করার গোপন সভার বিষয়টি অস্বীকার করেন। একই সাথে তার কথা বলার ক্ষেত্রে কোন ভুল থাকলে সেজন্য ক্ষমাপ্রার্থনা করে, ভবিষ্যতে সতর্ক থাকার অঙ্গীকার করেছেন। এ সময় তিনি মহিলা মেম্বার রহিমা খাতুন নিজেই ইউনিয়ন পরিষদের সভা কক্ষ থেকে বের হয়ে গেছেন এমন একটি ভিডিও ফুটেজের অংশবিশেষ দাখিল করেছেন। এ সময় অভিযোগকারী নারী মেম্বার রহিমা খাতুন দুজন সাক্ষীসহ কমিটির চেয়ারম্যান এর কাছে সাক্ষ্য দেন।

জেলা নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটির দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ডা. অলোক কুমার দাসের উত্তর এবং প্রফেসর মান্নানের প্রতিনিধি অ্যাডভোকেট মিয়াজন আলীর প্রমাণাদি পর্যালোচনা করে সেগুলো নির্বাচন কমিশনে পাঠানো হবে। এবং ইউপি চেয়ারম্যান সেলিমের দাখিল করা সিসিটিভি ফুটেজের অংশটি কম্পিউটারের মনিটর থেকে মোবাইলে ধারণ করা। নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটি সরজমিনে সেখানে সম্পূর্ণ ভিডিও ফুটেজটি দেখার পর নির্বাচন কমিশনে সুপারিশ পাঠাবে।

উল্লেখ্য গত ২৭ ডিসেম্বর বুধবার নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটি নৌকা প্রতীকের পক্ষে কাজ না করায় একজন নারী মেম্বারকে লাঞ্ছিত করার লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সেলিম রেজাকে শোকজ করেন। অপরদিকে সরকারি চাকরিবিধি লংঘন, নৌকার প্রতীকের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারে অংশ নেওয়া এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী ও সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল মান্নানকে ভারতের দালাল বলার লিখিত অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পেয়ে শোকজ করেন।




জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মিয়াজানের উপর চড়াও ডা. অলোক

চাকরিবিধি লংঘন করে নির্বাচনী প্রচারণা করা এবং মেহেরপুর-১ সংসদীয় আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল মান্নান কে ভারতের দালাল বলার দ্বায়ে করা শোকজের উত্তর দিয়েছেন ডা. অলোক কুমার দাস। শোকজ এর উত্তর দিয়ে ফেরার সময় আদালতের বারান্দায় প্রফেসর আব্দুল মান্নান এর প্রতিনিধি এবং মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট মিয়াজান আলীকে দেখে উত্তেজিত ডা. অলোক তাকে অকৃতজ্ঞ, স্বার্থপর ও সুবিধাবাদী বলে আখ্যায়িত করেন।

আজ শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুর সোয়া ১২ টার দিকে মেহেরপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের দ্বিতীয় তলার বারান্দায় এ ঘটনা ঘটে।

মেহেরপুর-১ সংসদীয় আসনের নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান এবং যুগ্ন জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক এইচ এম কবির হোসেনের খাস কামড়ায় শোকজ এর উত্তর দিয়ে ফিরছিলেন মেহেরপুর সদর উপজেলা স্বাস্থ ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. অলোক কুমার দাস। এ সময় অভিযোগের সাপেক্ষে তথ্য প্রমান দাখিল করার জন্য আদালতের বারান্দায় অপেক্ষা করছিলেন অ্যাডভোকেট মিয়াজান আলী। এ সময়
প্রফেসর আব্দুল মান্নানের প্রতিনিধি অ্যাডভোকেট মিয়াজান আলীর উপর চড়াও হন ডা. অলক কুমার দাস। এডভোকেট মিয়াজান আলী তাকে শান্ত করার চেষ্টা করেন।

ডা. অলক কুমার দাস এ সময় চিৎকার করে মিয়াজান আলীকে বলেন, আপনি ভুলে গেছেন আপনার কত উপকার করেছি। আর আপনি আমার নামে নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটিতে অভিযোগ দিয়েছেন। চাকরি সংক্রান্ত কিছু সমস্যার বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে আমি জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রীর বাড়িতে গেছিলাম।চাকুরীর কারণে তিনি আমার গার্জিয়ান।

এ সময় এডভোকেট মিয়াজান আলী বলেন, আপনার গার্জিয়ান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডিজি। আপনার সমস্যা আপনি আপনার ডিজিকে জানাবেন। উনি জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী কিন্তু বর্তমানে উনি একজন নির্বাচনী প্রার্থী। উনার গাড়িতে এখন পতাকা নাই।

মিয়াজান আলীর কথা শুনে ডা. অলোক তার কানে চুপিসারে কিছু কথা বলেন। এবং রাগান্বিত হয়ে অ্যাডভোকেট মিয়াজান আলীকে উচ্চস্বরে “আপনি একটা অকৃতজ্ঞ, স্বার্থপর ও সুবিধাবাদী বলে স্থান ত্যাগ করেন।

উল্লেখ্য জেলা জজ আদালতের সকল বারান্দা সিসিটিভি ক্যামেরার আওতাভুক্ত।