নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন চেয়ারম্যান প্রার্থী লাইলা আরজুমান শিলা

গাংনী উপজেলা পরিষদ নির্বাচন থেকে ঘোষণা দিয়ে সরে দাঁড়ালেন দোয়াত কলম প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী লাইলা আরজুমান বানু শিলা।

আজ রবিবার (১২ মে) বিকেলে লাইলা আরজুমান বানু শিলা তার গাংনীস্থ বাসাতে সাংবাদিক সম্মেলন করে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন তিনি।

চেয়ারম্যান প্রার্থী লাইলা আরজুমান বানু শিলার পক্ষে তার স্বামী সদ্য সাবেক জাতীয় সংসদ সদস্য ও গাংনী উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মোহাম্মদ সাহিদুজ্জামান খোকন নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর এই ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, “পারিবারিক কারনেই আমরা এই নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিচ্ছি।

তিনি বলেন, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জেলা ও উপজেলা আওয়ামীলীগের একাধিক নেতা চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন। একাধিক প্রার্থী হওয়ায় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দলের মধ্যে বিভ্রান্তি হচ্ছে। নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ফলে কিছুটা হলেও সেখান থেকে মুক্ত হবে দল। নেতা কর্মীরা তাদের পছন্দমত যে কোনো একজনকে চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত করবেন। সেই প্রত্যাশা নিয়ে একান্ত আমাদের ব্যক্তিগত ও পারিবারিক কারণেই এই নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিচ্ছি। আমরা চাই, গাংনীর আওয়ামীলীগ পরিবারের সকল নেতা কর্মী তাদের মধ্যে ভ্রাতৃত্বের বন্ধন নিয়ে এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন। তাদের পছন্দ এবং যোগ্যতম নেতাকেই বেঁচে নেবেন বলে আমি বিশ্বাস করি।

আমার স্ত্রী লাইলা আরজুমান বানু শিলা গাংনীর জনপদে নারী জাগরণে ব্যাপক কাজ করেছেন।‘সামাজিক, রাজনৈতিক দিক বিবেচনা করে গাংনী উপজেলা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াচ্ছি। নির্বাচনে নিজ নিজ পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেয়ার অনুরোধ করছি। এসময় গাংনী উপজেলা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাংগাঠনিক নজরুল ইসলাম, শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক মনিরুজ্জামান মাস্টারসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

গাংনী উপজেলা নির্বাচনে যারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তাদের মধ্যে চেয়ারম্যান পদে জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান এমএ খালেক (আনারস), সাবেক চেয়ারম্যান এ কে এম শফিকুল আলম (কাপ পিরিচ), গাংনী উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মোখলেছুর রহমান মুকুল (হেলিকপ্টার)

মেহেরপুর জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা ভাইসচেয়ারম্যান জুলফিকার আলী ভূট্টো(কৈ মাছ), সাবেক উপজেলা ভাইসচেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট রাশেদুল হক জুয়েল (ঘোড়া), গাংনী উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মো: মোশাররফ হোসেন ও স্থানীয় ব্যবসায়ী মুকুল জোয়ার্দ্দার ( শালিক পাখি)। এছাড়া ভাইস চেয়ারম্যান পদে, মো: ফারুক হাসান (টিউবওয়েল), মো: দেলোয়ার হোসেন মিঠু (তালা), মো: রেজাউল করিম (চশমা), এবং মহিলা ভাইসচেয়ারম্যান পদে, বর্তমান মহিলা ভাইসচেয়ারম্যান ফারহানা ইয়াসমিন (হাঁস), নাসিমা খাতুন (ফুটবল) ও জাকিয়া আক্তার (কলস) প্রতীকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন।




গাংনীতে সড়ক দুর্ঘটনায় শশুর ও পুত্রবধু আহত

মেহেরপুর—কুষ্টিয়া সড়কের চোখতোলা নামক স্থানে নির্মাণাধীন রাস্তার ছড়ানো খোঁয়ায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় শশুর জামাল উদ্দীন (৭৫) ও তার পুত্রবধু তমা খাতুন (২৪) মারাত্বক আহত হয়েছেন।

আজ রবিবার সন্ধ্যায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। আহতদের বাড়ি গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

আহত জামাল উদ্দীন জানান, সন্ধ্যার দিকে পুত্রবধু তমা খাতুনকে নিয়ে মোটরসাইকেলযোগে গাংনী উপজেলার চেংগাড়া থেকে নিজ গ্রাম হোগলবাড়িয়াতে যাচ্ছিলেন। চোখতোলা নামক স্থানে রাস্তার উপর ছড়ানো পাথরের উপর মোটরসাইকেলের চাকা উঠে গেলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার উপর পড়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাদের আহতাবস্থায় উদ্ধার করে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন।




এসএসসিতে কুষ্টিয়া সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের সেরা সাফল্য অর্জন

ঐতিহ্যবাহি কুষ্টিয়া সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয় এবার এসএসসি পরীক্ষায় সেরা সাফল্য অর্জন করেছে। এবার কুষ্টিয়া সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয় থেকে ২২৮জন পরীক্ষার্থী জিপিএ-৫ পেয়েছে।

শতভাগ উত্তীর্ণ হওয়া কুষ্টিয়া সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয় যশোর শিক্ষা বোর্ডের মধ্যে তৃতীয় স্থান লাভ করেছে। স্কুলের সেরা সাফল্যে শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকরা খুবই আনন্দিত।

স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা শামীমা আক্তার জাহান জানান, ২৫৭ জন পরীক্ষার্থীর সবাই পাস করেছে। এর মধ্য জিপিএ-৫ পেয়েছে ২২৮ জন।

কুষ্টিয়া সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের সেরা সাফল্যে পরীক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষকদের সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফলে এটা সম্ভব হয়েছে।

এদিকে, যশোর শিক্ষা বোর্ডের দেওয়া তথ্য মতে, খুলনা বিভাগের ১০টি জেলার মধ্যে কুষ্টিয়া জেলায় পাসের হার ৯১ দশমিক ৩৫ শতাংশ।

কুষ্টিয়া সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক নাদিরা খানম বলেন, আমরা শিক্ষকেরা সবসময় অভিভাবকদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছি। শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে শতভাগ উপস্থিতি নিশ্চিত করেছি। সব মিলিয়ে আমাদের শিক্ষকদের পাশাপাশি অভিভাবকদের অবদানের কারণে আজ আমরা সেরা হতে পেরেছি।

ভালো ফলাফলে খুশী হয়ে জারিন মায়শা ইমশি ও সায়মা খাতুন বলেন, দীর্ঘ সময় পড়া নয় বরং স্কুলের পড়াগুলো নিয়মিত করেছি আমরা। সর্বমোট ১৩০০ নাম্বারের মধ্যে ১২৬৯ নাম্বার পেয়ে কৃতকার্য জারিন মায়শা ইমশি ও ১২৬৮ পেয়েছেন সায়মা খাতুন। তারা ভালো ফলাফলে অনেক খুশী।

জারিন মায়শা ইমশির মা জেসমিন আরার কণ্যা বলেন, কুষ্টিয়া সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের সেরা সাফল্যে আমরা ভীষণ খুশী। বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফলে এটা সম্ভব হয়েছে।

প্রসঙ্গত, শিক্ষা সপ্তাহ ২০২৪ এ উপজেলার মধ্যে সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে মনোনীত হয়েছেন কুষ্টিয়া সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়।




নাইট শিফটে কাজের সময় যা করণীয়

ডাক্তার, সাংবাদিকতা, কারখানা, সিকিউরিটি, পুলিশ, ফ্রিল্যান্সিংসহ কিছু পেশায় রাত জাগতেই হয়। রাতে জাগা কোনোভাবেই সুস্থতার পরিচায়ক নয়। ওয়ার্ক ফ্রম হোম, রোস্টার বেসিস ডিউটি কিংবা নাইট শিফটের ক্ষেত্রে অনেক কিছুই ভাবতে হয়। রাত জেগে কাজ করলে বিশেষজ্ঞদের মতে শিফট ওয়ার্ক স্লিপ ডিসঅর্ডার হয়। একটু সচেতন থাকলেই সেই সমস্যা বা অসুবিধাগুলো কাটিয়ে ওঠা সম্ভব। নাইট শিফট এড়াতে না পারেন অন্তত অসুখ তো এড়াতে পারবেন। এক্ষেত্রে কিছু টিপস অনুসরণ করা জরুরি:

শিফট শুরুর আগে ঘুম
নাইট শিফটে রাত জাগতে হয়। দিনে ঘুমাতে হয়। বায়োলজিক্যাল ঘড়ির বারোটা বাজে। ঘুম হয় অপর্যাপ্ত। সেই ঘুমের ঘাটতি মিটিয়ে নিতে শিফট শুরু হওয়ার আগে ছয় থেকে সাত ঘণ্টা ঘুমিয়ে নিন। যদি শিফট শুরু হয় রাত ৮টায়, তাহলে অফিস যাওয়ার আগে ঘুম বাঞ্ছনীয়। ঘুম থেকে উঠে একটু হাঁটাহাঁটি করে তারপর তৈরি হন অফিসের জন্য।

কাজ শেষে বাড়ি ফিরেই ঘুম না
নাইট শিফটে কাজের ক্লান্তি বেশি বোধ হয়। দিনে কাজের পরিশ্রম যতই হোক না কেন, নাইট শিফটে পরিশ্রম অনেক। রাতে মানসিক ক্লান্তির সঙ্গে থাকে শারীরিক ক্লান্তিও। এজন্য বাড়ি ফিরে সঙ্গে সঙ্গে ঘুমিয়ে পড়লে ক্লান্তিবোধ ততটা কাটবে না। বাড়ি ফিরে পছন্দের কাজ করুন। বই পড়া, গান শোনা, পছন্দের খাবার খাওয়া। বেশ কিছুটা সময় রিল্যাক্স করে, তারপর ঘুমাতে যান।

ক্যাফেইন এড়াতে হবে
নাইট শিফটে অনেকেই ঘন ঘন চা, কফি খেয়ে থাকেন। শরীরে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করে এগুলো। তাই নাইট শিফটে কাজের ফাঁকে ঘুম পেলে ব্রেক নিন, হেঁটে আসুন। কিন্তু কফি বা কোল্ড ড্রিংকস খেয়ে শরীরের বারোটা বাজাবেন না। রাতে কাজ করতে করতে অনেকেই কিছু খেতে ভালবাসেন। খিদে না পেলেও হালকা কিছু খেতে ইচ্ছে করে এ সময়। কিন্তু, এ পথে হাঁটা ঠিক নয়। কারণ, অসময়ে খাওয়া ফ্যাট বাড়ায়। শুধু তাই নয়, ভরপেট খেলে ঘুমও বেশি পায়।

খুব বেশি খিদে পেলে খেতে পারেন প্রোটিন জাতীয় খাবার ডিম, পনির বা পি-নাট বাটার জাতীয় খাবার অল্পে পেট ভরাবে, কিন্তু শক্তি দেবে বেশি, আবার ঘুমও আসবে না সহজে।

ব্যায়াম করুন
সপ্তাহে যতদিনই নাইট শিফটে কাজ করুন না কেন, দিনের বেলায় নিয়ম করে ব্যায়াম করুন। শরীরচর্চা আপনাকে ফিট ও সতেজ রাখবে। ব্যায়ামের আগে হালকা কিছু খেয়ে নিন। ফল, প্রোটিন বার বা বিস্কুট জাতীয় খাবার শরীরকে প্রয়োজনীয় পুষ্টি দেবে।

বিরতিতে জোর দিন
একটানা কাজ করলে শরীর ও মনে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। এজন্য কাজের ফাকে বিরতি নিন। সহকর্মীদের সঙ্গে গল্প করুন বা নিজের মতো করে একটু সময় কাটান। অফিসের মধ্যেই একটু হেঁটে নিতে পারেন। ১০ মিনিটের ছোট্ট বিরতি নিয়ে গান শুনতে পারেন। আর অনলাইনভিত্তিক কাজ হলে, মাঝে মাঝে ৫ মিনিটের জন্য চোখ বন্ধ করে বিশ্রাম নিন। কারণ একটানা স্ক্রিনে তাকিয়ে থাকলে মাথাব্যথা বা অন্যান্য শারীরিক সমস্যা হতে পারে।

সূত্র: ইত্তেফাক




কুষ্টিয়ায় বিশ্ব মা দিবসের আলোচনা সভা

কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক এহেতেশাম রেজা বলেছেন, পৃথিবীর সবচেয়ে আপন হলো মা। তাই আসুন আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হই, আমরা আমাদের কোনো আচরণে যেন মাকে কষ্ট না দিই।

আজ রবিবার (১২ মে) জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে বিশ্ব মা দিবস-২০২৪ উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

জেলা প্রশাসন ও মহিলা বিষয়ক অধিদফতরের যৌথভাবে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

মায়ের প্রতি সন্তানের দায়িত্ব রয়েছে উল্লেখ করে জেলা প্রশাসক বলেন, সন্তানের সব সময় মনে রাখা উচিত, মায়ের ত্যাগের কারণেই সে আজ সে এই সুন্দর পৃথিবীতে এসেছে। যদি সে মাকে ভুলে যায়, কষ্ট দেয় বা অবহেলা করে- তাহলে সবই মিছে। সন্তানের পর্বত সমান সফলতা তখন মূল্যহীন। কিন্তু অতি দুঃখের সঙ্গে বলতে হয়, সেই মহান মায়ের প্রতি অনেক সন্তান আজকাল উদাসীন, অনেকে বেপরোয়া। এমনও শোনা যায়, সন্তান তার মাকে প্রহার করছেন, ঘর থেকে বের করে দিচ্ছেন, রাস্তায় মাকে ফেলে যাচ্ছেন, নিজে সুন্দর ঘরবাড়িতে বাস করেও মাকে রেখেছেন রান্নাঘরে।

পৃথিবীর সবচেয়ে আপন হলো মা উল্লেখ করে জেলা প্রশাসক আরও বলেন, মা ছাড়া এ দুনিয়ায় আপন কেহ নেই, বিপদে আপদে সবার আগেই মা ছুটে আসে। তাই আসুন, আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হই, আমরা আমাদের কোনো আচরণে যেন মাকে কষ্ট না দিই। যাদের মা এখনো বেঁচে আছেন, সেই মায়ের জন্য জীবনের সর্বোচ্চটাই করার চেষ্টা করি। মা-বাবার সেবা-যত্ন করে আল্লাহর সন্তুষ্টি ও জান্নাত অর্জন করি। আল্লাহ আমাদের সবাইর পিতা-মাতাকে ভালো রাখুন। তাদের উত্তম সেবা করার তৌফিক দান করুন।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শারমিন আক্তার,কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পলাশ কান্তি নাথ, মহিলা বিষয়ক অধিদফতরের উপপরিচলক নুরে সফুরা ফেরদৌসসহ অন্যান্যরা বক্তব্য রাখেন।

পরে ১৬ জন মাকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়।




নবীনদের চাকরি দিবে র‌্যাংগস

নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে র‌্যাংগস ইলেকট্রনিক্স লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটি ‘সেলস অ্যাসিস্ট্যান্ট/সেলস অফিসার’ পদে একাধিক জনবল নিয়োগ দেবে। আগ্রহী প্রার্থীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন আগামী ১৮ মে পর্যন্ত।

প্রতিষ্ঠানের নাম : র‌্যাংগস ইলেকট্রনিক্স লিমিটেড

পদের নাম : সেলস অ্যাসিস্ট্যান্ট/সেলস অফিসার

আবেদনের বয়সসীমা : ২৪ থেকে ৩২ বছর

পদসংখ্যা : ২৫টি

কর্মস্থল : বাংলাদেশের যে কোনো জায়গায়

বেতন : ১৮,০০০- ২২,০০০ টাকা (মাসিক)

অভিজ্ঞতা : কমপক্ষে ১ থেকে ২ বছর, তবে নতুনরাও আবেদন করতে পারবেন।

বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের তারিখ : ১২ মে, ২০২৪

চাকরির ধরন : ফুল টাইম

প্রার্থীর ধরন : নারী-পুরুষ (উভয়)

আবেদনের শেষ তারিখ : ১৮ মে, ২০২৪

শিক্ষাগত যোগ্যতা : স্নাতক/সম্মান ডিগ্রি

অন্যান্য দক্ষতা : শপ/শোরুমে কাজের দক্ষতা থাকতে হবে।

অন্যান্য সুবিধা : টি/এ, মোবাইল বিল, ট্যুর ভাতা, চিকিৎসা ভাতা, প্রভিডেন্ট ফান্ড, প্রতি বছর বেতন পর্যালোচনা, দুপুরের খাবারের সুবিধা (আংশিক ভর্তুকি), বছরে দুটি উৎসব বোনাসসহ প্রতিষ্ঠানের নীতিমালা অনুযায়ী বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা পাবেন।

যেভাবে আবেদন করবেন : আগ্রহীরা আবেদন করতে ও বিস্তারিত বিজ্ঞপ্তিটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন।

ঠিকানা : মানবসম্পদ বিভাগ, সোনারতরী টাওয়ার, ৫ম তলা, ১২ সোনারগাঁও রোড, বাংলামোটর, ঢাকা-১০০০




মিরপুরে গণসংযোগে ব্যস্ত মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মর্জিনা খাতুন

কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলা নির্বাচনে উপজেলার সর্বত্র মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মিরপুর উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি, শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধার কন্যা, জাতীয় ক্রীড়াবিদ মর্জিনা খাতুন।

ইতিমধ্যেই উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়ন পাড়া-মহল্লায় উঠান বৈঠক, আলোচনা সভা ও ব্যাপক গণসংযোগ করছেন এ নারীনেত্রী।

আজ রবিবার দিনব্যাপী মিরপুর উপজেলার বারুইপাড়া ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ করেন এবং হাস মার্কা প্রতীকে ভোট প্রার্থনা করেন তিনি। একই সাথে জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকারের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা এবং বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড সাধারণ মানুষের কাছে তুলে ধরছেন।

একই সাথে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় শান্তি ও উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখতে এবং জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।

বারুইপাড়া ইউনিয়নের মশান এলাকার ফারুক হোসেন বলেন, মিরপুর উপজেলায় ব্যাপক জনপ্রিয় মর্জিনা খাতুন একজন কৃতি ক্রীড়াবিদ হিসেবে দেশের মধ্যে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেছেন। তিনি শুধু ক্রীড়াবিদই নন, আওয়ামী লীগের দুঃসময়ে দলকে সুসংগঠিত করা, মানবাধিকার কর্মী হিসেবে বিপদে-আপদে অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়ানো, সমাজের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজে নিজেকে নিয়োজিত করাসহ নারী সমাজের অধিকার আদায়ে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে চলেছেন। এ কারনে মিরপুুর উপজেলাবাসীর নিকট তিনি অত্যন্ত পরিচিত মুখ।

উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী মর্জিনা খাতুন বলেন, উপজেলা পরিষদ হচ্ছে জনগনের উন্নয়নের কেন্দ্রবিন্দু। ফলে বর্তমান সরকারে উন্নয়নের সব কার্যক্রম উপজেলা ভিত্তিক হলে জনগণ উপকৃত হবে। সৎ আর্দশ মানুষ নির্বাচিত হলে জনগণ ভালো সেবা পাবে। তাই জনগণের কল্যাণে কাজ করতে আপনাদের (ভোটারদের) সহযোগিতা চাই।




বাংলাদেশ থেকে টিকটকে বিজ্ঞাপন-সুবিধা চালু

দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে সহজে টিকটকে বিজ্ঞাপন দেওয়ার সুযোগ দিতে ডিজিটাল বিজ্ঞাপনী সংস্থা অ্যালেফকে (সাবেক এইচটিটিপুল) দায়িত্ব দিয়েছে টিকটক। বাংলাদেশে নিজেদের বিক্রয় অংশীদার নির্বাচনের জন্য অ্যালেফের সঙ্গে চুক্তিও করেছে টিকটক।

গত ৯ মে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে টিকটক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পাশাপাশি বাংলাদেশেও টিকটকের ব্যবহারকারী বাড়ছে। বিপুলসংখ্যক টিকটক ব্যবহারকারীদের কাছে সহজে প্রচারণা চালানোর সুযোগ দিতে বিজ্ঞাপনী প্রতিষ্ঠান অ্যালেফের সঙ্গে এ চুক্তি করা হয়েছে। এ বিষয়ে পাকিস্তান এবং বাংলাদেশের দায়িত্বপ্রাপ্ত টিকটকের গ্লোবাল বিজনেস সলিউশন বিভাগের পার্টনারশিপ ম্যানেজার ফাইজা জাফর বলেন, ‘বাংলাদেশের বিজ্ঞাপনদাতারা এখন নতুন ধরনের ডিজিটাল বিজ্ঞাপন ফরম্যাট ব্যবহার করতে পারবেন।’

এ নিয়ে ডিজিটাল বিজ্ঞাপনী সংস্থা অ্যালেফের প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা ইগ্নাশিও ভিদাগিউরেন বলেন, ‘বাংলাদেশের বিজ্ঞাপনদাতা, বিজ্ঞাপনী সংস্থা এবং ছোট-মাঝারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে টিকটক প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে যুক্ত করাই আমাদের মূল লক্ষ্য।’

সূত্র: ইত্তেফাক




ঝিনাইদহে বেড়েই চলেছে প্রসূতি মৃত্যুর ঘটনা

ঝিনাইদহের বেসরকারি হাসপাতাল-ক্লিনিকগুলোতে প্রসূতি মৃত্যুর হার বেড়েই চলেছে। গত দেড়মাসে ৭ জন প্রসূতির মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। অদক্ষ চিকিৎসক ও পর্যাপ্ত যন্ত্রপাতির অভাব থাকায় বাড়ছে এমন অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা।

জেলা সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে বলা হয়েছে, ঝিনাইদহ শহরের শামীমা ক্লিনিকে দুজন, হাসান ক্লিনিকে একজন, আরাপপুর রাবেয়া হাসপাতালে একজন, হামদহ প্রিন্স হাসপাতালে একজন, তাছলিম ক্লিনিকে একজন ও কালীগঞ্জের দারুস শেফা ক্লিনিকে একজন প্রসূতি মারা গেছেন।

গত ২৬ মার্চ শৈলকূপা উপজেলার মির্জাপুর গ্রামের শারমিন বেগম নামের এক প্রসূতি ঝিনাইদহ শহরের আরাপপুর এলাকার রাবেয়া হাসপাতালে ভর্তি হন। তাকে সিজার করা হয়। শিশু ও মা সুস্থ ছিল। তবে কয়েক ঘণ্টা পর প্রসূতির অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ শুরু হয়। রোগী দুর্বল হয়ে পড়ে ও প্রসাব বন্ধ হয়ে যায়। এরপর রোগী কোমায় চলে যায়।

প্রসূতির স্বামী আল আমিন জানান, অ্যাম্বুলেন্সে করে যশোরে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। সেখানে একটি হাসপাতালের আইসিইউতে রাখা হয়। চার দিন পর মারা যায়।

হালিমা খাতুন নামে হরিণাকুণ্ডু উপজেলার পার্বতীপুর গ্রামের এক প্রসূতিকে ৪ এপ্রিল শহরের প্রিন্স হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার স্বামী হাবিবুর রহমান জানান, দুপুর সাড়ে ৩টার দিকে সিজার করা হয়। সিজারের ৪ থেকে ৫ ঘণ্টা পর প্রচুর রক্তক্ষরণ শুরু হয়। এরপর প্রসূতির কিডনি বিকল হয়ে ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার পথে মারা যান।

গত ৩০ মার্চ হরিণাকুণ্ডুু উপজেলার তৈলটুপি গ্রামের এনামুল কবিরের স্ত্রী লাভলী বেগমকে কালীগঞ্জ শহরের দারুসশেফা হাসপাতালে সিজার করা হয়। সিজারের পর মা ও শিশু সুস্থ ছিল। এরপর অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে একই ভাবে মারা যায়।

গত ১২ এপ্রিল হরিণাকুণ্ডু উপজেলার ভবিতপুর গ্রামের রিনা থাতুনকে শহরের শামিমা ক্লিনিকে সিজার করা হয়। প্রসূতির স্বামী আনারুল ইসলাম বলেন, বেলা ১২টার দিকে সিজার করা হয়। এটি ছিল দ্বিতীয় সিজার। প্রসূতি সুস্থ ছিল। তিনি খাবারও খান। তবে সিজারের দুই ঘণ্টা পর প্রচুর রক্তক্ষরণ শুরু হতে থাকে। পাঠানো হয় ঢাকায়। সেখানেই তিনি মারা যান।

১৬ এপ্রিল শামীমা ক্লিনিকে শৈলকূপা উপজেলার চাঁদপুর গ্রামের লিপি খাতুনকে সিজার করা হয়। সিজারের কয়েক ঘণ্টার পর তার কিডনি ও লিভার অচল হয়ে মারা যান।

২৫ এপ্রিল ঝিনাইদহ শহরের ডাক্তার হাসানুজ্জামানের ক্লিনিকে সিজারের পর আকলিমা খাতুন নামে এক প্রসূতির মৃত্যু হয়। তিনি সদর উপজেলার পাইকপাড়া গ্রামের একরামুল হোসেনের স্ত্রী। মৃত প্রসূতির বাবা আকরাম হোসেন জানান, গত বুধবার সকালে তার মেয়েকে ডা. হাসানুজ্জামানের ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। দুপুর সাড়ে ৩টার দিকে সিজার করা হয়। সিজারের পর মা ও শিশু ভালো ছিল। কয়েক ঘণ্টা পর প্রসূতি অসুস্থ হয়ে পড়ে। এ ঘটনার পর হাসানুজ্জামান ক্লিনিকের সবাই গা ঢাকা দেন।

৭ মে ঝিনাইদহ শহরের তাছলিম ক্নিনিকে সিজারের পর নাসরিন খাতুন নামে এক প্রসূতির মৃত্যু হয়।

চলমান পরিস্থিতি ভয়াবহ উল্লেখ করে সিভিল সার্জন শুভ্রা রানী দেবনাথ বলেন, সিজার করার সময় যেসব ওষুধ কিংবা স্যালাইন ব্যবহার করা হয় সেগুলো ভেজাল বা নকল- কোনো কোনো ডাক্তারের এমন দাবির পরিপ্রেক্ষিতে স্যালাইনসহ ওষুধের নমুনা সংগ্রহ করে ওষুধ প্রশাসনের কাছে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। পরীক্ষা-নিরীক্ষার ফল এখনো পাওয়া যায়নি।

তবে সিভিল সার্জন দাবি করেন, ক্লিনিকগুলোতে অপারেশনের মান নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে না। যে কারণে মৃত্যুর হার বাড়ছে। সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও সার্জনদের সিজার করার সময় সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। পোস্টঅপারেটিভ কেয়ার ছাড়া অপারেশন করা যাবে না বলেও ক্লিনিক মালিকদের কঠোর বার্তা দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, এ বিষয়ে জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসনকে সঙ্গে নিয়ে মানহীন ক্লিনিক ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোর বিরুদ্ধে শীঘ্রই অভিযান পরিচালনা করা হবে। ঝিনাইদহ জেলায় বেসরকারি ক্লিনিক- ডায়াগনস্টিক সেন্টার রয়েছে ১৮০টি।




বিশ্বকাপে খেলতে পারবো কিনা নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না: তাসকিন

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের পঞ্চম ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে খেলননি তাসকিন আহমেদ। জানা যায়, চোটের কারণে খেলেননি এই টাইগার পেসার। চোট কতটা গুরুতর তা এখনও নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি। আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে পারবেন কিনা তা এখনো নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না।

তাসকিনের ইনজুরি প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী গণমাধ্যমকে বলেন, ‘তাসকিন শেষ ম্যাচে (চতুর্থ ম্যাচে) বোলিং করতে গিয়ে পাঁজরে কিছুটা ব্যথা অনুভব করে। সেই ব্যথা আজ সকালেও ছিল যে কারণে ম্যাচ খেলানো হয়নি। সে পর্যবেক্ষণে রয়েছে।’

এই পেসারের চোট কতটা গুরুতর তা এখনও নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি। তার স্ক্যান রিপোর্ট এখনও হাতে আসেনি। রিপোর্ট হাতে পেলে বিস্তারিত জানা যাবে।

আজ (রোববার) মিরপুরে গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছিলেন তাসকিন। বিশ্বকাপ খেলতে পারবেন কিনা এমন প্রশ্নে টাইগার এই পেসার বলেন, ‘এখনই কোনো কিছু নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না।’

সূত্র: ইত্তেফাক