মেহেরপুর-২ আসনের স্বতনন্ত্র প্রার্থী মকবুল হোসেনের সংবাদ সম্মেলন

প্রতিপক্ষ নৌকার প্রার্থী আমার কর্মিকে নানাভাবে হুমকি-ধামকি দিচ্ছে। তারা নিজেরাই অফিস ভেঙ্গে আমার কর্মিদের দোষ দিচ্ছে। আমার নেতা কর্মীর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন। তারা বিভিন্ন গ্রামের ট্রাকের কর্মী সমর্থকদের হুমকি ধামকি দিচ্ছে। এই বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।

মেহেরপুর-২ (গাংনী) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক এমপি বীর মুক্তিযুদ্ধা মো: মকবুল হোসেন আওয়ামীলীগের দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন।

আজ বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) বিকেলে স্বতন্ত্র প্রার্থী মকবুল হোসেন তার নিজ বাড়িতে এই সাংবাদ সম্মেলন করেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কৃষিবিদ আশরাফুল ইসলাম স্বপন, মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ছড়াকার ইয়াসিন রেজা, মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের কৃষি বিষয়ক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম শাহ, রাইপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শামসুজ্জামান মঙ্গল, ধানখোলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আলী আজগর, কাথুলি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হক, গাংনী উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মোশাররফ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক শফি কামাল পলাশ, মটমুড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল বারী, জেলা ছাত্র লীগের সাবকে সহ-সভাপতি শাহিদুজ্জামান শিপু। এসময় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্র লীগসহ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

জেলা ছাত্র লীগের সাবকে সহ-সভাপতি শাহিদুজ্জামান শিপু বক্তব্যে বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধার মোকবুল হোসেন গাংনীর আওয়ামীলীগ রাজনীতিতে একজন পরিক্ষিত নেতা। মানুষ তাকে এমনিতেই সারা জীবন মনে রেখেছেন। রাজনীতির প্রথম থেকে এ পর্যন্ত মকবুল হোসেনের জনপ্রিয়তার কোন ঘাটতি পড়েনি। এবারও তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ট্রাক মার্কা প্রতিক নিয়ে নির্বাচন করছেন। এবারও তার জনপ্রিয়তা দেখে অনেকেরই গায়ে জ্বালা ধরেছে। মানুষকে হুমকি ধামকি দিয়ে ভোট পাওয়া যায়না। ভাল বেসে ভোট নিতে হয়। আমরা কোন ফ্যাসাদ চইনা। ভেঅটের মাধ্যমে জনগনের মতামতের ভিত্তিতে মকবুল হোসনেকে এমপি করে গাংনীর উন্নয়ন করতে চাই।

স্বতন্ত্র প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা মকবুল হোসেন আরও বলেন, আমি কাউকে চাপ সৃষ্টি করে ভোট নিতে চাইনা। সহিংসতা, চাপ সৃষ্টি সহ নানা ধরনের অপ্রিতিকর ঘটনার মাধ্যমে ভোট চাইবো না। মানুষের ভালবাসা নিয়ে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত হতে চাই।

তিনি বলেন, আমি আমার জীবনে মোট ১২ বার নির্বাচনে অংশ নিয়েছি। ২ বার স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ভোট করে এমপি নির্বাচিত হয়েছি। এমপি নির্বাচিত হয়ে কারোর প্রতি রাগের বশিভুত হয়ে হিংসাত্বক কোনো কিছু করিনি। তাই দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও জনগণের বিপুল সমর্থনে আমি এমপি নির্বাচিত হতে চাই। ভোট মানুষের ভালবাসার জিনিস। মানুষ ভালোবেসে আমাকে ভোট দেবে। জনগণ এবারও তাদের পকেটের পয়সা খরচ করে আমাকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছেন।

তিনি বলেন, ছাত্র লীগের রাজনীতি দিয়ে রাজনীতি শুরু করেছিলাম। বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে জীবন বাজি রেখে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছি। জীবনকে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে বিলিয়ে দিয়েছি।

আশা করছি, উৎসবমুখর পরিবেশে শান্তিপুর্ণ ভাবে সুষ্ঠু ভাবে নির্বাচন হবে। প্রধান মন্ত্রীও শান্তিপূর্ণ অবাধ ও সুষ্ঠ নির্বাচন চাচ্ছেন।

ঊস্তুনিষ্ঠ ও নিরপেক্ষ সংবাদ পরিবেশন ও সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করার জন্য সাংবাদিকদেরও অনুরোধ করেন তিনি।

নির্বাচনে সরকারিভাবে দায়িত্ব পালনকারীদেরও সঠিক ও নিরপেক্ষ ভাবে দায়িত্ব পালন করারও অনুরোধ জানান তিনি।




চুয়াডাঙ্গায় গৃহবধুকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে গ্রেফতার ১

চুয়াডাঙ্গায় গৃহবধুকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে মামলা রুজুর ৩ ঘন্টার মধ্যে চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশ কর্তৃক অভ্যাসগত সহিংস যৌন নিপীড়নকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

চুয়াডাঙ্গা সদর থানাধীন কুতুবপুর (ক্ষিনপাড়া) সাকিনস্থ জনৈক মোঃ রিপন আলীর স্ত্রী মোছাঃ কেয়া খাতুন (২৬) বাদী হয়ে সদর থানায় এসে লিখিত এজাহার দায়ের করেন যে, গত সোমবার রাত এগারোটার সময় চুয়াডাঙ্গা সদর থানাধীন কুতুবপুর দক্ষিনপাড়ার আত্তাব আলীর ছেলে আসামী মোঃ শফিকুল ইসলাম (৩৩) শ্লীলতাহানি ও যৌন নিপীড়নের ঘটনা ঘটায়।বর্ণিত ঘটনায় চুয়াডাঙ্গা থানার মামলা নং-১৬ মঙ্গলবার ধারা- ১০ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০ (সংশোধিত ২০২০)রুজু হয়।

চুয়াডাঙ্গা জেলার পুলিশ সুপার আর এম ফয়জুর রহমান পিপিএম-সেবা নির্দেশে চুয়াডাঙ্গা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার( সদর সার্কেল) আনিসুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(সদর সার্কেল), চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ সেকেন্দার আলীর নেতৃত্বে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই(নিঃ) মোঃ ফরিদুল ইসলাম সংগীয় ফোর্সসহ চুয়াডাঙ্গা সদর থানার একটি চৌকস টিম চুয়াডাঙ্গা থানা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আসামী মোঃ শফিকুল ইসলামকে গ্রেফতার করে। আসামীকে প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদে চাঞ্চল্যকর বেশ কিছু তথ্য পাওয়া যাচ্ছে।

আসামীর প্রদত্ত স্বীকারোক্ত অনুযায়ী গ্রেফতারকৃত আসামী একজন অভ্যাসগত সহিংস যৌন নিপীড়নকারী। সে রাত্রি বেলায় প্রায়শই এলাকায় বিভিন্ন বাড়ীর আশেপাশে পূর্বে থেকে ওঁৎ পেতে থাকে এবং এ সময় ঘরে কেউ না থাকার সুযোগে গোপনে আসামী তার ঘরে মধ্যে প্রবেশ করে এবং খাটের নিচে লুকিয়ে থাকে। সুযোগ বুঝে তাদেরকে মুখ চেপে ধরে এবং আসামীর চিরাচরিত সহিংস ও হিংস্র আচরণের মাধ্যমে তাদের উপর যৌন নিপীড়ন চালিয়ে কৌশলে পালিয়ে যায়।

গ্রেপ্তারকৃত এই আসামি কর্তৃক কতজন ভিকটিম তার বিকৃত লালসার শিকার হয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।আসামীকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানান চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা।




আলমডাঙ্গায় স্বতন্ত্র প্রার্থী এম.এ রাজ্জাক খানের পথসভা অনুষ্ঠিত

চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র ফ্রিজ প্রতিকের প্রার্থী বিশিষ্ট শিল্পপতি আলহাজ্ব এম.এ রাজ্জাক খান রাজ (সিআইপি)র নির্বাচনি পথসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ বুধবার রাত সাড়ে ৮ টার দিকে পৌর ওয়াবদা এলাকার আল-ইকরা ক্যাডেট একাডেমি স্কুল প্রাঙ্গণে এ পথসভা অনুষ্ঠিত হয়।

পথসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী এম.এ রাজ্জাক খান রাজ।

আলমডাঙ্গা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল কালামের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের সদস্য ও বাংলাদেশ ইউনিয়ন পরিষদ মেম্বার এ্যাসোসিয়েশনের আহবায়ক মজনুর রহমান জান্টু, আলমডাঙ্গা বাড়াদি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান, কালিদাসপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আবু তালেব। মেম্বার এ্যাসোসিয়েশনের যুগ্নআহবায়ক লিটন মোল্লা, রফিকুল ইসলাম বাবু, সামাদ খাঁন, জাহাঙ্গীর খাঁন, বনিক সমিতির সাবেক সহ-সভাপতি সাইফুল ইসলাম, রেজাউল হক, লাবলু চৌধুরি।

এসময় বক্তব্য রাখেন, – মেম্বার রাজন, মাসুদা পারভিন, নজরুল ইসলাম, সাবিনা ইয়াসমিন, আলমঙ্গীর হোসেন, ঠান্টু রহমান, রংপতি বেগম, ওহিদুল ইসলাম, রেহানা খাতুন, ইদ্রিস আলী, নাসিমা খাতুন, মনিরুজ্জামান, মানারুল ইসলাম, নজরুল ইসলাম, জাহানারা খাতুন, রোকসানা খাতুন, ববিতা খাতুন ও ডাউকি ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান লাভলু ইসলাম প্রমুখ।




দর্শনা বাড়াদী সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফ পতাকা বৈঠক

দর্শনার বাড়াদি সীমান্তে ভারত অভ্যান্তরে বিএসএফের গুলিতে নিহত বাংলাদেশী দু’নাগরিকের লাশ ফেরত দেয়নি বিএসএফ।

আজ বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) বিকালে বাড়াদি সীমান্তে দু’দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এ বৈঠকে আইনী জটিলতার কারণে নিহতের লাশ গ্রহণ করেনি বিজিবি।

অবশেষে পতাকা বৈঠক হতে লাশ নিয়ে ফিরে যায় ভারতীয় বিএসএফ। চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনা থানাধীন পারকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের ছয়ঘরিয়া গ্রামের বেকা রাস্তা পাড়ার হায়দার আলীর ছেলে সাইদুল ও একই পাড়ার শরিয়ত উল্লার ছেলে খাজা মঈনুদ্দিন গুলিবৃদ্ধ হয়ে নিহত হয়। ঘটনার ১২ দিন পর পতাকা বৈঠক অনুষ্টিত হলেও লাশ ফেরত পেলেন না নিহতদ্বয়ের পরিবার।

জানাযায়, চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনা থানাধীন পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউনিয়নের ছয়ঘরিয়া গ্রামের বেকারাস্তা পাড়ার হায়দার আলীর ছেলে ১ সন্তানের জনক সাজেদুর রহমান ওরফে সাইদুল ও একই পাড়ার শরিয়ত উল্লার ছেলে ২ সন্তানের জনক খাঁজা মঈনুদ্দিনসহ ৫/৬ জন সঙ্গবদ্ধ চোরাকারবারী গত শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) শনিবার সন্ধ্যার পর দর্শনার কামারপাড়া-বারাদী সীমান্তের ৮২/২ এস মেইন পিলারের বাড়াদী পূর্বপাড়া- মাঝেরপাড়া কাঠেরপোল মাঠ নামক স্থান দিয়ে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ করে ভারত অভ্যন্তরের আনুমানিক ৩০০ গজ কলাবাগান নামক স্থান গোবিন্দপুরে অবস্থান করে।

ওইদিন দিবাগত গভীর রাতে চোরাকারবারীরা ভারতের নদীয়া জেলার কৃষ্ণগঞ্জ থানাধীন ৩২ গোবিন্দপুর বিএসএফ ক্যাম্পের একটি টহল দলের মুখোমুখি হয়।

এসময় বিএসএফ দল চোরাকারবারীদের লখ্য করে কয়েক রাউন্ড গুলি ছুরলে গুলিবৃদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলে নিহত হয় সাইদুল ও একই পাড়ার খাঁজা মইনুদ্দিন নামের দুই গরু চোরাকারবারী।

ঘটনার পরদির রবিবার সকালে ভারতের গোবিন্দপুর ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্যরা মরদেহ দুটি পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার কৃষ্ণগঞ্জ থানায় নিয়ে যায়। ঘটনার পর লাশ ফেরত চেয়ে বিজিবি-বিএসএফ’কে পত্র দিলেও বিএসএফ তাতে সারা না দেওয়ায় লাশ ফেরত পাওয়া যায়নি। দীর্ঘ ১২ দিন পর বিএসএফ লাশ দুটি ফেরত দেওয়ার প্রতিশ্রুতিতে বিজিবিকে পতাকা বৈঠকের আমন্ত্রন জানায়। বিএসএফের আমন্ত্রনে পতাকা বৈঠকে সারাদেয় বিজিবি।

আজ বুধবার বিকালে দেশের বাড়াদী-ভারতের গোবিন্দপুর সীমান্তের ৮২/২ এস মেইন পিলার সংলগ্ন শূন্য রেখায় দু’দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিবি-বিএসএফ পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠিত বৈঠকে আইনী জটিলতার কারণে ভেস্তে যাওয়ায় লাশ ফেরত নিয়েগেছে বিএসএফ।

বৈঠকে চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের উপ-সহকারী পরিচালক হায়দার ও বাড়াদী বিওপি ক্যাম্প কমান্ডার দর্শনা থানার এস আই সোহেল রানা সহ সঙ্গীরা এবং ভারতের নদীয়া জেলার কৃষ্ণগঞ্জ থানাধীন গোবিন্দপুরের বাড়াদী বিএসএফ ক্যাম্প কমান্ডার বাপ্পীন মুখার্জী ও কর্মকর্তা সহ সঙ্গীরা।

চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের পরিচালক লে.কর্ণেল সাঈদ মোহাম্মদ জাহিদুর রহমান বলেন, ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ এর আইনী জটিলতায় অনুষ্ঠিত পতাকা বৈঠক হতে লাশ ফেরত নিয়েগেছে বিএসএফ।




মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলায় ট্রাক প্রতীকের পথসভা

মেহেরপুর-১ আসনের মনোনীত স্বতন্ত্র প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক এমপি  প্রফেসর আব্দুল মান্নানের মুজিবনগর উপজেলায় ট্রাক প্রতীকের পথসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ বুধবার বিকেলে মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলায় ট্রাক প্রতীকের পথসভা অনুষ্ঠিত হয়।

পথসভায় উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর-১ আসনের মনোনীত স্বতন্ত্র প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক সংসদ সদস্য প্রফেসর আব্দুল মান্নান।

অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি এ্যাড. মিয়াজান আলী, মেহেরপুর জেলা চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি ও জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম রসুল, মুজিবনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও মুজিবনগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জিয়াউদ্দিন বিশ্বাস, মেহেরপুর জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক শহিদুল ইসলাম পেরেশান, মুজিবনগর উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি কামরুল হাসান চাদু, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য জেমস স্বপন মল্লিক, মেহেরপুর পৌর যুবলীগের যুগ্ন আহবায়ক শহিদুজ্জামান সুইট, মেহেরপুর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও মেহেরপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম সম্পাদক জুয়েল রানা সহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগের বিভিন্ন নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।




জীবননগরে ফসলি জমির মাটি কেটে ইটভাটায় বিক্রয়ে জরিমানা

জীবননগর উপজেলার সুটিয়া গ্রামে ফসলি জমির জমির মাটি কেটে ইটভাটায় বিক্রি করায় তিনজনকে ৩৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

আজ বুধবার দুপুরের দিকে জীবননগর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তিথি মিত্র ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে এই জরিমানা আদায় করেন।

ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, বুধবার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে জীবননগরের সুটিয়া গ্রামে যান উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তিথি মিত্র।  এসময় ফসলি জমির মাটির কাটার প্রমাণ পান তিনি।

পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ আইন) ২০০৯ এর ৯৮(৩) ও ৮৯( ২) ধারায় সুটিয়া গ্রামের মো. আজিজুল হককে ১৫ হাজার টাকা, জাহিদুল হককে একই ধারায় ১০ হাজার টাকা এবং আতিয়ার রহমানকে একই ধারায় ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। ভ্রাম্যমান আদালতকে সহযোগীতা করেন জীবননগর থানা পুলিশ।




 জাতীয় দৈনিক নাগরিক ভাবনার চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রতিনিধি হলেন মিঠুন

ঢাকা থেকে প্রকাশিত জাতীয় দৈনিক নাগরিক ভাবনার চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রতিনিধি হিসাবে নিয়োগ পেয়েছেন দৈনিক সময়ের সমীকরণ ও মাই টিভির প্রতিনিধি মিঠুন মাহমুদ।

আজ বুধবার বিকালে দৈনিক নাগরিক ভাবনার সম্বপাদক ও প্রকাশক আফরোজা সিদ্দিকা স্বাক্ষরিত নিয়োগপত্রটি হাতে তুলেদেন ।

দৈনিক নাগরিক ভাবনার চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রতিনিধি হওয়ায় মিঠুন মাহমুদকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন দৈনিক সময়ের সমীকরণ পত্রিকার প্রধান সম্পাদক নাজমুল হক স্বপন,কালের কন্ঠর চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রতিনিধি মানিক আকবার,সময় টিভির জেলা প্রতিনিধি মাহফুজ মামুন,নাগরিক টিভির জেলা প্রতিনিধি হুসাইন মালিক,ডিবিসি নিউজের জেলা প্রতিনিধি সেলিম হোসেন,যমুনা টিভির জেলা প্রতিনিধি জিসান আহম্মেদ,এখন টিভির জেলা প্রতিনিধি অনিক চক্রবর্তী,দৈনিক আজকের পত্রিকার জেলা মেহেরাব্বী সানভি,জীবননগর প্রেস ক্লাবের সভাপতি এম,আর বাবু,সাধারন সম্পাদক কাজী শামসুর রহমান চঞ্জল,জীবননগর প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারন সম্পাদক আতিয়ার রহমান,জীবননগর সাংবাদিক সমিতির সভাপতি জাহিদ বাবু,সাধারন সম্পাদক জামাল হোসেন খোকন,দর্শনা প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি আওয়াল হোসেন,সাধারন সম্পাদক হানিফ মন্ডল,দৈনিক মেহেরপুর প্রতিদিন পত্রিকার জীবননগর ব্যুরো মাজেদুল মিল্টন, নবচিত্র পত্রিকার জীবননগর প্রতিনিধি চাষী রমজান,দৈনিক আকাশ পত্রিকার মুতাসিন বিল্লাহ,দৈনিক গ্রামের কাগজ পত্রিতার তুহিনুজ্জামান,দৈনিক সময়ের সমীকরণ পত্রিকার মহেশপুর প্রতিনিধি আব্দুর রহিম।




ঝিনাইদহে বিনামুল্যে গরুর বাছুর বিতরণ

গাভী পালনের মাধ্যমে নারীদের আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষে ঝিনাইদহে অসহায়-দুস্থ নারীদের গাভী পালন বিষয়ক প্রশিক্ষণ ও তাদের মাঝে বিনামুল্যে গরুর বাছুর বিতরণ করা হয়েছে।

আজ বুধবার বিকালে সদর উপজেলার রাজধরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে বাংলাদেশ এনজিও ফাউন্ডেশনের অর্থায়নে ও যৌথ অগ্রসর মান সৃজক সংস্থা (জাগোর) বাস্তবায়নে দিনব্যপী প্রশিক্ষণ শেষে ঐ এলাকার ৬ জন অসহায়-দুস্থ নারীদের মাঝে গরুর বাছুর বিতরণ করা হয়।

হরিশংকরপুর ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ইব্রাহিম মিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মমিনুর রহমান।

বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সেবা সংঘের নির্বাহী পরিচালক আনিছুর রহমান, মহিলা মেম্বর সালমা খাতুন, জাগোর নির্বাহী পরিচালক সাজ্জাদুল শরীফ।

দিনব্যপী অনুষ্ঠানে প্রশিক্ষণ প্রদান করেন সদর উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা মনোজ কুমার মন্ডল।




ঝিনাইদহ-১ আসনের ফুলকপি এখন ট্রাকে!

খবরের শিরোনাম দেখে অনেকেই ভাবতে পারেন ফুলকপি হয়তো ট্রাকে বহন করা হচ্ছে। কিন্তু আসলে বিষয়টি তেমন নয়।

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঝিনাইদহ-১ (শৈলকুপা উপজেলা) আসনে দুই স্বতন্ত্র প্রার্থীর প্রতিক ফুলকপি ও ট্রাক। প্রতিদ্বন্দ্বী এই দুই প্রার্থী হলেন স্বামী আর স্ত্রী। বাড়ির মধুর সম্পর্ক এখন ভোটের মাঠে ছড়িয়ে পড়েছে। নির্বাচনকে ঘিরে স্বামী-স্ত্রী দুজনা মাঠে নামলেও, ভোট চাওয়ার কৌশল ভিন্ন।

আর আলোচিত এই দুই প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী হলেন ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি স্বতন্ত প্রার্থী নজরুল ইসলাম দুলাল ও তার স্ত্রী মুনিয়া আফরিন। নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী নজরুল ইসলাম পেয়েছেন ট্রাক প্রতীক। অন্যদিকে স্ত্রী মুনিয়া আফরিনের প্রতীক ‘ফুলকপি’।

নির্বাচন প্রচারাভিযানে গিয়ে বুধবার সরজমিন দেখা যায় নিজে প্রার্থী হলেও স্বামী নজরুল ইসলাম দুলালের পক্ষে ভোট চাইছেন স্ত্রী মুনিয়া আফরিন। দিনরাত করছেন উঠান বৈঠক। স্বামীর পক্ষে ভোট চাওয়া স্ত্রী মুনিয়া আফরিনের এমন কিছু ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।

শৈলকুপার বিভিন্ন এলাকায় দেখা যায় স্বামীর ট্রাক প্রতীকের পোস্টার বিলি করে ভোট চাচ্ছেন মুনিয়া আফরিন। মুনিয়া আবার স্বামীর ট্রাক প্রতিক প্রদর্শন করে ছবিতে পোজ দিচ্ছেন।

লাঙ্গলবাঁধ এলাকার রহিমা বেগম নামে এক নারী জানান, মুনিয়া নিজে প্রার্থী তবুও স্বামী নজরুল ইসলামের জন্য ভোটের মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন স্ত্রী। এটার কারণ ও রহস্য কি তা আমরা জানি না। জীবনে কোনদিন শুনি নাই যে, নিজের প্রার্থীতা বিসর্জন দিয়ে অন্যের জন্য কাজ করতে।

কমলা বানু নামে ধলহরাচন্দ্র এলাকার এক গৃহবধু জানান, স্বামীর প্রতি মুনিয়ার এই ভালোবাসা ও প্রার্থীতা কোরবানীর দৃশ্য ভোটারদের কাছে সন্দেহের জন্ম দিয়েছে। কি কারণে এমনটি তিনি করছেন তা ভোটারদের দিনকে দিন কৌতুল করে তুলেছে। তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, ভোট কেন্দ্রে এজেন্টদের সংখ্যা বাড়ানো ও কেন্দ্র দখলের কোন উদ্দেশ্যও থাকতে পারে। কারণ একটি বুথে স্বামী স্ত্রীর পক্ষে দুই প্রতিকের নামে একাধিক এজেন্ট দিতে পারবেন তারা। আর এমনটি হলে বুথে তাদের অবস্থান ভাল থাকবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্বতন্ত্র প্রার্থী মুনিয়া আফরিন জানান, ‘আমি নিজের জন্য প্রচারণা করছি, সঙ্গে স্বামীর পক্ষেও। প্রথম দিনে শৈলকুপার ভাটই এলাকায় নারীদের কাছে স্বামীর জন্য ভোট চেয়েছি। শৈলকুপার হাবিবপুর গ্রামে করেছি উঠান বৈঠক’।

তিনি বলেন, ‘স্ত্রী হিসেবে আমার দায়িত্ব আছে। আমি নিজের পাশাপাশি স্বামীর জন্যও মানুষের কাছে যাচ্ছি। ভোটাররা যাকে পছন্দ করবেন তাকেই ভোট দেবেন। এদিকে নিজে প্রার্থী হয়ে স্বামীর পক্ষে স্ত্রীর এই প্রচরণায় শৈলকুপা জুড়ে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বইছে। বিরোধীরা বিষয়টি সন্দেহের চোখে দেখছেন এবং তবে ভোটারদের কাছে কৌতুহলের জন্ম দিচ্ছে।




মহিলা ইউপি সদস্যকে লাঞ্ছিত করা সেই চেয়ারম্যানকে অনুসন্ধান কমিটির শোকজ

স্বতন্ত্র প্রার্থীকে সমর্থন করায় মহিলা ইউপি সদস্যকে লাঞ্চিত করা সেই চেয়ারম্যান সেলিম রেজাকে শোকজ করেছে নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটি।
আজ বুধবার বিকালে মেহেরপুর-১ আসনের নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান ও মেহেরপুরের যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ এইচ এম কবির হোসেন এ শোকজ করেন।

শোকজপ্রাপ্ত সেলিম রেজা মেহেরপুর সদর উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। আগামী ৩০ ডিসেম্বর তাকে শোকজের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

সদর উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সেলিম রেজা কে নির্বাচনী আচরণ বিধি ভঙ্গের দায়ে শোকজ করেছে নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটি।

জানা গেছে, গত মঙ্গলবার দুপুরে ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বারদের নিয়ে নৌকার পক্ষে ভোট করার জন্য গোপন বৈঠক ডেকেছিলেন সেলিম রেজা। এই বৈঠকে সংরক্ষিত মহিলা সদস্য রহিমা খাতুনকে চেয়ারম্যান বলেন ‘তোর ভাই বাড়িতে ট্রাকের অফিস করেছে, তুই ইউনিয়ন পরিষদ থেকে বের হয়ে যা এবং প্রকাশ অযোগ্য গালিগালাজ করে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ধাক্কা দিয়ে বের করে দেয় বলে অভিযোগ করেছিলেন তিনি।

এনিয়ে একটি লিখিত অভিযোগ মেহেরপুর-১ আসনের নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান ও মেহেরপুরের যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ এইচ এম কবির হোসেনের কাছে জমা দেন ওই মহিলা ইউপি সদস্য। অভিযোগের প্রেক্ষিতে ইউপি চেয়ারম্যান সেলিম রেজাকে আগামী ৩০ ডিসেম্বর স্বশরীরে হাজির হয়ে অথবা আইনজীবীর মাধ্যমে নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটির কার্যালয়ে জবাব দিতে বলা হয়েছে।