আলমডাঙ্গায় ফসলের জমিতে মাটি কেটে ইট ভাটায় বিক্রয়ের অভিযোগ

আলমডাঙ্গার যাদবপুরে ফসলি জমির মাটি কেটে ইটভাটায় বিক্রির অভিযোগ উঠেছে মাটি খাদক রঞ্জুর বিরুদ্ধে। অভিযোগ রয়েছে কৃষককে মাছ চাষে উদ্বুদ্ধ করার নামে মাটি নেওয়ার উদ্দেশ্য হাসিলেরও।

তবে নগদ টাকা পেতে অনেক কৃষক স্বেচ্ছায় মাটি বিক্রি করছেন বলেও জানা গেছে। এভাবে কৃষিজমির উপরিভাগের মাটি কাটায় জমির উর্বরতা কমে যাচ্ছে। এসব মাটি পরিবহনে ব্যবহৃত ট্রাক্টর ও লাটাহাম্বা গাড়িগুলো সদ্য নির্মিত গ্রামাঞ্চলের সড়ক ও আঞ্চলিক সড়কগুলোতে দ্রুত গতিতে যাতায়াত করায় মৃত্যু ফাঁদে পরিণত হয়েছে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, আলমডাঙ্গা উপজেলায় কুমারী ইউনিয়নে ৩ টি ইটভাটা রয়েছে। মৌসুমে তিনটি ইট ভাটায় কয়েক লাখ ঘন মিটার মাটির প্রয়োজন হয়। এসব মাটির চাহিদা পূরণে দীর্ঘদিন মাটি ব্যবসায়ী রঞ্জু পরিত্যক্ত পুকুর ও সালিন জমিতে খনন করে মাটি মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে ইট ভাটায় বিক্রি করেন। বিভিন্ন সময় উপজলা প্রশাসন জরিমানা করলেও পূণরায় আবারো তিনি মাটি ব্যবসায় জরিয়ে পড়েন। ইতোমধ্যে গত কয়েকদিন আগে ভূমি দস্যু রঞ্জু উপজেলার কুমারী ইউনিয়নের যাদবপুর গ্রামের হাজী মঙ্গল বিশ্বাসের ছেলে আকুব্বার বিশ্বাসের সালিন ধান চাষের জমিতে পুকুর খননের নামে মাটি কেটে ভাটায় বিক্রি করছে। এছাড়া গাড়িতে মাটি পরিবহনের নামে রাস্তায় ধুলা-কাঁদা মাটিতে সড়কে যাতায়াতের অযোগ্য হয়ে উঠছে। আশেপাশের বাড়িতে ধুলা-বালির কারণে বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। বসতবাড়িতে থাকা ছোট শিশুরাও দুর্ঘটনার আশঙ্কায় রয়েছে।

এ বিষয়ে মাটি ব্যবসায়ী রঞ্জুর সাথে মোবাইলে কথা হলে তিনি জানান, মাটি কাটার বিষয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন অনুমতি নেওয়া হয়নি। তবে মাটি কেটে ইট ভাটায় বিক্রির সত্যতা নিশ্চিত করেন।




কুষ্টিয়া-২ আসনে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন মুসতানজীদ লোটাস

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুষ্টিয়া-২ (মিরপুর-ভেড়ামারা) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী সরদার মোঃ মুসতানজীদ আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন।

আজ মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) সকালে কুষ্টিয়াস্থ আলেয়া ভবনে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ ঘোষণা দেন।

তিনি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তার নির্বাচনী প্রতীক কেটলি মার্কা নিয়ে নির্বাচনের প্রচারণা করছিলেন। তিনি কুষ্টিয়া নাগরিক কমিটির সভাপতি ও বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশনের কুষ্টিয়া জেলা শাখার (বিএমএ) সভাপতি এবং কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ।

তিনি সাংবাদিকদের জানান, গত কয়েকদিন আগে আমার ছোট ভাই মৃত্যুবরণ করেন, ভাইয়ের অকাল মৃত্যুতে আমি শোকাহত। তার অনুপস্থিতি আমার সমস্ত কর্মকান্ডকে বিপর্যস্ত করেছে। তাই আমি আমার পরিবারের সাথে আলাপ আলোচনা করে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিলাম।

কাকে সমর্থন করবেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, আমি নির্বাচন করবোনা এবং আপাতত কাউকে সমর্থন করছিনা বলে জানান।

নাগরিক কমিটির সভাপতি হিসেবে নিজেকে নিয়োজিত রেখেছি উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, আমি দীর্ঘদিন স্বাস্থ্য সেবা ও সামাজিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত আছি এবং নাগরিক কমিটি জেলা শাখার সভাপতি। আমার এই সেবা অব্যাহত থাকবে। আমি মানুষের কাছে যেভাবে ছিলাম, সেভাবেই থাকব। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ভাষণ শুনে কিশোর বয়সে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলাম। আমি মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তির সঙ্গে অবস্থান করি।

এসময় তার স্ত্রী ডা. ফাতেমা আশরাফ, মেয়ে মোমতাহিনা ফাতিমা, সহ পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।




আচরণবিধি লঙ্ঘনে শোকজের জবাব দিলেন হানিফ-আতা

আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ অস্বীকার করে কুষ্টিয়া-৩ আসনের নৌকার প্রার্থী মাহবুব-উল আলম হানিফ ও তার ভাই নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটির কাছে কারণ দর্শানোর নোটিশের জবাব দিয়েছেন।

মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে নোটিশের নির্ধারিত সময়ের মধ্যে মাহবুব-উল আলম হানিফ তার প্রতিনিধি রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) অনুপ কুমার নন্দীর মাধ্যমে লিখিত জবাব দিয়েছেন বলে জানান আদালত পুলিশের পরিদর্শক মো. মনিরুল ইসলাম।

তিনি আরও জানান, হানিফের ভাই আতাউর রহমান আতা সশরীরে হাজির হয়ে তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে লিখিত জবাব দাখিল করেছেন।

এর আগে রোববার বিকালে ওই আসনের নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটির প্রধান যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ মুহাম্মদ মাযহারুল ইসলামের স্বাক্ষরে দুই ভাইকে নোটিশ পাঠানো হয়।

সেখানে ২৬ ডিসেম্বর সকাল ১১টায় অনুসন্ধান কমিটি প্রধানের কার্যালয়ে হাজির হয়ে এ দুজনের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের লিখিত ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছিল।

মাহবুব-উল আলম হানিফ এবার কুষ্টিয়া-৩ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী। এ ছাড়া তিনি দলটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। তার চাচাতো ভাই আতাউর রহমান আতা কুষ্টিয়া সদর উপজেলা চেয়ারম্যান ও কুষ্টিয়া শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।

আলাদাভাবে দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে আনা অভিন্ন অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছিল, কলকাকলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষকদের আয়োজনে সাতদিনের প্রশিক্ষণের শেষ দিনে প্রতিটি বিদ্যালয়ে গিয়ে শিক্ষকদের নির্বাচনি জনসভা করার জন্য বাধ্য করার অভিযোগ পাওয়া গেছে দুজনের বিরুদ্ধে। যা জাতীয় সংসদ নির্বাচনি আচরণ বিধিমালা, ২০০৮ এর বিধি ১৪ এর লঙ্ঘন।

এ বিষয়ে মাহবুব-উল আলম হানিফের প্রতিনিধি রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অনুপ কুমার নন্দী মোবাইল ফোনে বলেন, “আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে করা নোটিশের জবাব দিয়েছি অনুসন্ধান কমিটির কাছে এবং বিষয়টি নিষ্পত্তিও হয়ে গেছে।”




মেহেরপুরে প্রফেসর আব্দুল মান্নানের ট্রাক প্রতীকের লিফলেট বিতরণ

মেহেরপুর-১ আসনের মনোনীত স্বতন্ত্র প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক সংসদ সদস্য প্রফেসর আব্দুল মান্নানের লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার বিকেলে মেহেরপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সামনে থেকে মেহেরপুর-১ আসনের মনোনীত স্বতন্ত্র প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক সংসদ সদস্য প্রফেসর আব্দুল মান্নানের ট্রাক প্রতীকের লিফলেট বিতরণ শুরু হয় এবং কাথুলী তেল পাম্পের সামনে গিয়ে শেষ হয়।

লিফলেট বিতরণে উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর-১ আসনের মনোনীত স্বতন্ত্র প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক সংসদ সদস্য প্রফেসর আব্দুল মান্নান।

অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি এ্যাড. মিয়াজান আলী, মেহেরপুর জেলা চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি ও জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম রসুল, মুজিবনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও মুজিবনগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জিয়াউদ্দিন বিশ্বাস, মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আব্দুল মান্নান (ছোট), মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানব বিষয়ক সম্পাদক এম এ এস ইমন, শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ খ ম ইমতিয়াজ বিন হারুন জুয়েল, মেহেরপুর জেলা যুবলীগের আহবায়ক ও মেহেরপুর পৌরসভার মেয়র মাহফুজুর রহমান রিটন, মেহেরপুর জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক শহিদুল ইসলাম পেরেশান, মুজিবনগর উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি কামরুল হাসান চাদু, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য জেমস স্বপন মল্লিক, মেহেরপুর সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক মোল্লা, বঙ্গবন্ধু সৈনিকলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য এ্যাড. আমজাদ আলী, মেহেরপুর পৌর যুবলীগের যুগ্ন আহবায়ক শহিদুজ্জামান সুইট, মেহেরপুর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও মেহেরপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম সম্পাদক জুয়েল রানা, মেহেরপুর জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক লাভলী ইয়াসমিন, মেহেরপুর মহিলা পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি রেহেনা মান্নান, ছাত্রনেতা ইউনুস আলী, ছাত্রনেতা ইব্রাহিম, সপুরা খাতুন সহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগের বিভিন্ন নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।




মহিলা মেম্বারকে ধাক্কা দিয়ে পরিষদ থেকে বের করে দিলেন চেয়ারম্যান

‘তোর ভাই বাড়িতে ট্রাকের অফিস করেছে, তুই ইউনিয়ন পরিষদ থেকে বের হয়ে যা’ বলে মহিলা ইউপি সদস্যকে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ধাক্কা দিয়ে বের করে দিলেন চেয়ারম্যান সেলিম রেজা। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার দুপুরে মেহেরপুর সদর উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদে।

পরিষদের ৪,৫,৬ নম্বর ওয়ার্ডে সংরক্ষিত মহিলা সদস্য রহিমা খাতুন এ অভিযোগ করেছেন। তিনি বলেন, ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান ডেকেছিলো একটা গোপন বৈঠক করবে বলে। যারা নৌকার ভোট করবা তারা বলে যাও। বৈঠকের এক পর্যায়ে চেয়ারম্যান বলে মহিলা মেম্বার কিছু বলেনা। আমি বলি আমরা মহিলা মেম্বাররা তো কিছু বলতেই পারিনা। তখন চেয়ারম্যান ধমক দিয়ে বলে তোর ভাই বাড়িতে ট্রাকের অফিস করেছে। বলে আমাকে গালাগালি করে এবং ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বোর্ড থেকে বের করে দেয়। আমি এর বিচার চাই।

এ ঘটনার পরপরই চেয়ারম্যান সেলিম রেজা তার দলবল নিয়ে পরিষদ থেকে বের হয়ে যান। স্থানীয় খবর পেয়ে সেখানে গেলে উত্তেজনা তৈরি হয়। খবর পেয়ে সদর থানা পুলিশের একটি দল গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে নেয়।

প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় ডাবু হোসেন বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের পাশের দোকানে বসে ছিলাম। হঠাৎ দেখি ওই মহিলা মেম্বার বের কান্না কাটি করছে। আমরা কিছু লোক গিয়ে দেখি মেম্বার মিলে ওই মহিলা মেম্বারকে থ্রেড (হুমকি) দিচ্ছে।

৬ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য রাজন আলী বলেন, চেয়ারম্যান সাহেব সকল মেম্বারদের ডেকেছিলো নির্বাচনের বিষয়ে। এর মধ্যে ৭,৮,৯ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার রহিমা খাতুনকে বলেন তোমার ভাই ট্রাকের অফিস করেছে। এ নিয়ে কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে চেয়ারম্যান রহিমা মেম্বারকে বলেন তুমি আর ইউনিয়ন পরিষদের আসবা না বের হয়ে যেতে বলেন।

তবে অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান সেলিম রেজা অস্বীকার করে বলেন, পরিষদের এ ধরণের কোন ঘটনা ঘটেনি।
মেহেরপুর সদর থানার ওসি শেখ কনি মিয়া বলেন, অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলোম। সবাইকে পারস্পরিক সম্প্রিতি বজায় রাখতে বলেছি।

মেহেরপুরের জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা শামিম হাসান বলেন, এ ধরণের কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উল্লেখ্য, কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সেলিম রেজা নৌকার বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেছিলেন।




ঝিনাইদহে পুর্বাঞ্চলে স্বতন্ত্র প্রার্থীর গণসংযোগ

ঝিনাইদহ সদর উপজেলার গোয়ালপাড়া, হরিশংকরপুর ও হাটগোপালপুর বাজারসহ বিভিন্ন ইউনিয়নে গণসংযোগ করেছেন ঈগল প্রতিকের স্বতন্ত্র প্রার্থী নাসের শাহরিয়ার জাহেদী মহুল।

আজ মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) বিকালে তিনি গোয়ালপাড়া বাজারে প্রথম নির্বাচনী সমাবেশে বক্তৃতা দান করেন। আজম আলী মেম্বরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে পোড়াহাটী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম হিরণ, কালীচরনপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান যুবলীগ নেতা জাহাঙ্গীর হোসেন, হরিশংকপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মাসুম ও আবুল হোসেন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। গোয়ালপাড়া বাজারে নির্বাচনী সমাবেশ শেষ করে নাসের শাহরিয়ার জাহেদী মহুল হাটগোপালপুর বাজারে শাহাবুদ্দীন বিশ্বাসের সভাপতিত্বে ও হরিশংকরপুর, মধুপুর বাজার ও পোড়াহাটী ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে গণসংযোগ করেন।

এ সব নির্বাচনী সমাবেশে হাজার হাজার মানুষ অংশ গ্রহন করেন। গণসংযোগকালে ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী নাসের শাহরিয়ার জাহেদী মহুল বলেন, জেলার মানুষ পরিবর্তন চাই। এখন পরিবর্তনের যুগ, উন্নয়নের যুগ। এমপি নির্বাচতি হলে জেলার পুর্বাঞ্চলের মানুষের সব সমস্যা পর্যায়ক্রমে সমাধানের আশ্বাস দেন তিনি। তিনি বলেন, জনপ্রতিনিধি না হয়েও তিনি ও তার পরিবার ঝিনাইদহের মানুষকে সাধ্যমতো সেবা করে যাচ্ছেন। আর এই সেবা নিঃস্বর্থ ও মানুষের কল্যানে। তিনি আগামী ৭ জানুয়ারি ঈগল প্রতিকের পক্ষে রায় দেয়ার জন্য ভোটারদের প্রতি উদাত্ত আহবান জানান।




দামুড়হুদা হাউলী ইউনিয়নে ঈগল মার্কার নির্বাচনী অফিস উদ্বোধন

৭ জানুয়ারী জাতীয় দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে চুয়াডাঙ্গা ২ আসনের স্বতন্ত্র এমপি প্রার্থী নূর হাকিমের (ঈগল মার্কা) নির্বাচনী প্রচারণার হাউলী ইউনিয়ন অফিসের শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার বেলা ৫ টার দিকে দামুড়হুদা উপজেলার হাউলী ইউনিয়নের কাঁঠালতলা নামক স্থানে ঈগল মার্কার নির্বাচনী অফিসের শুভ উদ্বোধন করেন চুয়াডাঙ্গা ২ আসনের স্বতন্ত্র এমপি প্রার্থী জাতীয় দৈনিক সকালের সময় পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক এবং বাংলাদেশ সংসদপত্র পরিষদের মহাসচিব (বিএসপি) নূর হাকিম।

এসময় নূর হাকিম বলেন, নির্বাচনে সকল ক্ষমতা জনগণের হাতে থাকে। তাই আপনারা যদি আমার ঈগল মার্কায় ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করেন তাহলে আমি এই অঞ্চলের মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করব ইনশাল্লাহ। আমি আপনাদের কথা দিচ্ছি চুয়াডাঙ্গা ২ আসন অর্থাৎ দামুড়হুদা উপজেলা, জীবননগর উপজেলা ও গড়াইটুপি ইউনিয়ন, তিতুদহ ইউনিয়ন, বেগমপুর ইউনিয়ন, নেহালপুর ইউনিয়নকে আমি ডিজিটাল করে দেবো। এখানকার সমস্ত জনগণের জন্য আমি নিজ উদ্যোগে ইন্টারনেটের আওতায় আনবো এবং সকলে ফ্রী ওয়াইফাই ব্যাবহার করবে। দেশ যখন ডিজিটাল তখন সেবাও হবে ডিজিটাল। গরীব ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের সমস্তরকমের সুযোগ সুবিধার পাশাপাশি চুয়াডাঙ্গা ২ আসনকে উন্নয়নের রোল মডেলে পরিনত করবো। গ্রামাঞ্চলের রাস্তা ঘাট ব্রীজ কার্লভাট সব কিছু জনগণের উন্নয়নে কাজ করা হবে। আপনারা কেউ ভোট নিয়ে হানাহানি করবেননা। সব সময় পুলিশ আনসার সেনাবাহিনী সহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আপনাদের পাশে আছে। জননেত্রী শেখ হাসিনা চান অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন। এবারের জাতীয় সংসদ নির্বাচন অত্যন্ত সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠিত হবে। কারোর ভোট কেউ দিতে পারবে না। তাই আপনারা ৭ জানুয়ারী সকাল সকাল ভোট কেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে আমার ঈগল মার্কায় ভোট দেওয়ার আহবান জানাচ্ছি।

এসময় উপস্থিত ছিলেন স্বতন্ত্র এমপি প্রার্থী নূর হাকিমের ঈগল মার্কার হাউলী ইউনিয়ন নির্বাচনী কমিটির প্রধান উপদেষ্টা সহ নির্বাচনী কমিটির সদস্য বৃন্দ, স্থানীয় আওয়ামীলীগ, যুবলীগ ও ছাত্র লীগের নেতাকর্মী বৃন্দ সহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।




জীবননগরে বিজিবির অভিযানে ৫ কোটি টাকার সোনার বারসহ আটক ২

জীবননগরে প্রায় ৫ কোটি টাকার স্বর্ণসহ দুই চোরাকারবারিকে আটক করেছে বিজিবি। আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে জীবননগর উপজেলার উথলী থেকে ৫ কেজি ১৯৭ দশমিক ৯৭ গ্রাম ২৩টি স্বর্ণের বারসহ তাদের আকট করা হয়।

আটক দুজন চোরাকারাবারী হলেন- দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনা দক্ষিণ চাঁদপুর গ্রামের মৃত মুনসুর বিশ্বাসের ছেলে মো. পিণ্টু বিশ্বাস (৫০) ও একই উপজেলার ঈশ্বরচন্দ্রপুর গ্রামের মোঃ আশাদুল হকের ছেলে মো. পিয়াস হোসেন (২১)।

আজ মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন মহেশপুর-৫৮ বিজিবির পরিচালক মাসুদ পারভেজ রানা।

বিজিবি জানায়, আজ  মঙ্গলবার মহেশপুর ব্যাটালিয়ন (৫৮ বিজিবি) গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানতে পারে, জীবননগর-চুয়াডাঙ্গা মহাসড়ক ব্যবহার করে জীবননগর সীমান্ত দিয়ে স্বর্ণ পাচার হবে, এমন তথ্যের পরিপ্রেক্ষিত ৫৮ বিজিবির অধিনায়ক মাসুদ পারভেজ রানার নেতৃত্বে ব্যাটালিয়ন সদরের একটি বিশেষ টহল দল উথলী বিওপির পাশে অভিযান পরিচালনা করে।

দুপুর ১২টার দিকে একটি ইজিবাইক উথলী থেকে জীবননগর সীমান্তের দিকে যেতে দেখে তাদের সন্দেহ হয়। এসময় তারা ইজিবাইকটি তল্লাশি করে ৫ কেজি ১৯৭.৯৭ গ্রাম ওজনের ২৩টি স্বর্ণের বার জব্দ করে। যার আনুমানিক বাজার মূল্য ৪ কোটি ৯০ লাখ ৮৭ হাজার ৫২০ টাকা। এসময় আটক করা হয় মো. পিণ্টু বিশ্বাস ও মো. পিয়াস হোসেনকে।

বিজিবি আরও জানায়, স্বর্ণের বারগুলো শুল্ক কর ফাঁকি দিয়ে ভারতে পাচারের জন্য পরিবহন করা হচ্ছিল। আটক দুজনের বিরুদ্ধে জীবননগর থানায় মামলা করা হয়েছে। এবং স্বর্ণের বার চুয়াডাঙ্গা ট্রেজারি অফিসে জমা দেওয়ার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।##




২০২৩-এ সবচেয়ে বেশি মুছে ফেলা অ্যাপ ইনস্টাগ্রাম

সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম হিসেবে বিগত কয়েক বছরে মানুষের জীবনের বড় একটা অংশ দখল করে রেখেছে ইনস্টাগ্রাম। ফটো, ভিডিও শেয়ারিংয়ের পাশাপাশি রিলস উপভোগ করার জন্য প্রচুর মানুষ এটিতে সময় কাটাচ্ছেন। কিন্তু আশ্চর্যের ব্যাপার এটাই যে, এই বিদায়ী ২০২৩ সালে ইনস্টাগ্রাম-ই ‘মোস্ট ডিলিটেড’ মানে সবচেয়ে বেশি মুছে ফেলা অ্যাপে পরিণত হয়েছে। হ্যাঁ, ঠিকই পড়েছেন!

চলতি বছরে ফোন থেকে যে সমস্ত অ্যাপ্লিকেশন ডিলিট করেছেন ইউজাররা, তাদের মধ্যে মেটা-র এই অ্যাপটি শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে। এর পরের নাম দুটি শুনলেও অবাক হবেন, কারণ ব্যাপক জনপ্রিয়তায় থাকা স্ন্যাপচ্যাট ও টেলিগ্রাম অ্যাপও মানুষজন ডিলিট করেছেন। অর্থাত্ বহুল ব্যবহূত অ্যাপসমূহকেই এবার ঝেড়ে ফেলছেন ইউজাররা, কিন্তু কেন?

বাড়ছে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীর সংখ্যা, তাও ডিলিট হচ্ছে ইনস্টাগ্রাম। অ্যাপ রিপোর্ট অনুযায়ী, ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়া ইউজারের সংখ্যা ৪.৮ বিলিয়ন ছাড়িয়েছে, মানুষজন প্রতিদিন ২ ঘণ্টা ২৪ মিনিট নেটমাধ্যমে ব্যয় করছেন। তবে ২০২৩ সালের শেষ নাগাদ এই সংখ্যা রেকর্ড ব্রেক করবে বলে অনুমান করা হচ্ছে।

কিন্তু এত কিছু সত্ত্বেও মেটার ইনস্টাগ্রাম ও থ্রেডস প্ল্যাটফর্ম দুটি ইউজারদের মন থেকে জায়গা হারিয়েছে। এক্ষেত্রে এক সপ্তাহের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ইউজার হারিয়েছে নতুন মাইক্রো ব্লগিং প্ল্যাটফর্ম থ্রেডস। অ্যাপটি চালু হওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ১০০ মিলিয়ন ব্যবহারকারী যোগদান করে রেকর্ড গড়লেও, পরবর্তী ৫ দিনের মধ্যে ৮০ শতাংশ ইউজার প্ল্যাটফর্মটি ছেড়ে দিয়েছেন। এর ফলে কোম্পানি অনেক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে।

আর, যেমনটা শুরুতেই বলেছি ইনস্টাগ্রাম হলো এই বছরের সবচেয়ে বেশি ডিলিট হওয়া অ্যাপ। ২০২৩ সালে ১০ লাখ মানুষ ইন্টারনেটে ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট মুছে ফেলার কৌশল অনুসন্ধান করেছেন বলে জানা গিয়েছে, এছাড়াও ১০,২০,০০০ সংখ্যকেরও বেশি ব্যবহারকারী অ্যাপটি ডিলিট করে ফেলেছেন। মূলত থ্রেডস, ইনস্টাগ্রামের সাথে লিঙ্ক থাকায় এটি থেকে রেহাই পেতে গিয়ে ইউজাররা এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ডিলিট হয়েছে এই অ্যাপগুলোও। বছরে সবচেয়ে বেশি ডিলিট হওয়া অ্যাপগুলোর মধ্যে স্ন্যাপচ্যাট দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। ১,২৮,৫০০ জন এটি ডিলিট করেছেন বলে জানা গিয়েছে। এর পরে আছে এক্স অর্থাত্ টুইটার এবং টেলিগ্রামের নাম। শুধু তাই নয় রোজনামচার সঙ্গী ফেসবুক, ইউটিউব, হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাপগুলোকেও হাজার হাজার মানুষ বিদায় জানিয়েছেন। যেমন ৪৯,০০০ মানুষ ফেসবুক অ্যাপ আর ৪,৯৫০ জন ব্যবহারকারী হোয়াটসঅ্যাপ ডিলিট করেছেন বলে রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে। যদিও এই পদক্ষেপের কারণ তেমন স্পষ্ট নয়!

সূত্র: ইত্তেফাক




এবারও সরকারকে পৃথিবীর সকল মহল সমর্থন দেবে: হানিফ

এবারও সরকারকে পৃথিবীর সকল মহল সমর্থন দেবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও কুষ্টিয়া সদর আসনের নৌকার প্রার্থী মাহবুবউল আলম হানিফ। তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের পর দেশী-বিদেশী সব মহলের সমর্থন নিয়েই দেশ পরিচালনা করবে সরকার’।

আজ মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) দুপুরে কুষ্টিয়া শহরের পিটিআই রোডে নিজ বাস ভবনে নির্বাচন নিয়ে দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ২০১৪ সালেও বিএনপি বলেছিলো নির্বাচনের পর সরকারকে কেউ বৈধতা দেবে না। কিন্তু তারপর ১০ বছর কেটে গেছে।

হানিফ বলেন, নির্বাচনের পরে সরকারের বৈধতা নিয়ে মিথ্যাচার করে মানুষকে বিভ্রান্ত করা যাবে না। এবারও জনগণের ভোটে নির্বাচিত গণতান্ত্রিক সরকারকে পৃথিবীর সকল মহল সমর্থন দেবে। এ ক্ষেত্রে কোন বিশেষ একটি মহলকে যদি কেউ ম্যানেজ করতে পারে, তবে সেটা নিয়ে ভাবার কিছু নেই।

পরে সদর উপজেলার উজানগ্রাম এলাকায় গণসংযোগ, পথসভা ও নির্বাচনী সভায় অংশ নেন নৌকার এই প্রার্থী মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন- জনপ্রতিনিধিদের কাছে জনগনের চাওয়া পাওয়া থাকে এলাকার রাস্তা ঘাট, স্কুল, কলেজ, শিক্ষার মান উন্নয়নসহ এলাকায় শান্তি। কুষ্টিয়া এক সময় ছিলো উন্নয়ন বঞ্চিত, দেশের অন্য জেলার থেকে কুষ্টিয়া পিছিয়ে ছিলো। আমার চিন্তা ভাবনা ছিলো কুষ্টিয়াকে ঢেলে সাজানো। বঙ্গবন্ধু কণ্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ উন্নত অগ্রগতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় পিছিয়ে পড়া কুষ্টিয়াকে এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছি। বর্তমানে এ জেলার যে উন্নয়ন করা সম্ভব হয়েছে তা সিমিত। আগামী দিনে এই জেলাকে আধুনিক মডেল জেলা গড়ে তুলতে সর্বস্তরের মানুষের সহযোগিতা প্রয়োজন।

এসময় কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজগর আলী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শেখ হাসান মেহেদী, সাংগঠনিক সম্পাদক মাজহারুল আলম সুমন, কুষ্টিয়া প্রেসক্লাব (কেপিসি)’র সভাপতি রাশেদুল ইসলাম বিপ্লব, বাংলাদেশ ছাত্র লীগের সহ-সভাপতি বাধন, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক রেজাউল হকসহ নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।