বাংলাদেশের বোলিং তোপে ধুঁকছে নিউজিল্যান্ড

ওয়ানডের পর এবার নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজে মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ। বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) নেপিয়ারের ম্যাকলিন পার্কে টস টসে জিতে কিউদের ব্যাটিংয়ে পাঠান অধিনায়ক নাজমুল হাসান শান্ত। ব্যাট করতে নেমেই বড় ধাক্কা খায় নিউজিল্যান্ড। শুরুতেই কিউইদের তিন উইকেট তুলে নেন টাইগার বোলাররা।

টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের প্রথম ওভারেই বাংলাদেশকে সাফল্য এনে দেন স্পিনার শেখ মেহেদী হাসান। রানের খাতা খোলার আগেই সাজঘরে ফিরে যান টিম সেইফার্ট।

ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে বোলিংয়ে এসে প্রথম তিন বলেই জোড়া আঘাত হানেন পেসার শরিফুল ইসলাম। দ্বিতীয় বলে ৩ বলে ১ রান করা ফিন অ্যালান ও তৃতীয় বলে ক্রিজে আসা গ্লেন ফিলিপসকে রানের খাতা খোলার আগেই সাজঘরে ফেরান শরিফুল। হ্যাটট্রিকের আশা জাগিয়েও তা করতে পারেননি এই টাইগার পেসার।

এরপর ড্যারিল মিচেল ও মার্ক চ্যাপম্যান মিলে শুরু ধাক্কা সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন। তবে ইনিংসের পঞ্চম ওভারে বোলিংয়ে এসে আবারও বাংলাদেশকে ব্রেক থ্রু এনে দেন শেখ মেহেদী। দলীয় ২০ রানে ১৫ বলে ১৪ রান করে আউট হন মিচেল।

পাওয়ার প্লের ৮ ওভার শেষে ৪ উইকেট হারিয়ে ৪৩ রান সংগ্রহ করেছে নিউজিল্যান্ড। শেখ মেহেদি ও শরিফুল নিয়েছেন ২টি করে উইকেট।

 




ঝিনাইদহে নৌকা ও স্বতন্ত্র সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ আহত ৪

ঝিনাইদহে নৌকা ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে আহত হয়েছেন উভয়পক্ষের অন্তত ৪ জন। তাদের মধ্যে আশিক হোসেন ও বকুল মোল্লাকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। একই সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় সাবেক ও বর্তমান চেয়ারম্যানসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গতকাল  মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় সদরের সুরাট বাজরে এ ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের পর রাতে উভয়পক্ষ থেকে মামলা হয়। মামলায় কতজনকে আসামি করা হয়েছে তা জানা যায়নি। জানা যায়নি আহতদের বিস্তারিত ঠিকানা।

স্থানীয়রা জানান, বিকেলে সদর উপজেলার সুরাট বাজারে নৌকা ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকরা অবস্থান নেন। তখন পুলিশ তাদের সরিয়ে দেয়। পরে সন্ধ্যায় উভয়পক্ষের সমর্থকরা একই স্থানে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়াই লিপ্ত হন। এতে তাদের মধ্যে সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ৪ জন আহত হয়।

ঝিনাইদহ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীন উদ্দিন বলেন, ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ঘটনায় উভয়পক্ষে মামলা হয়েছে। মামলার পর সুরাট ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান আশরাফ হোসেন, সাবেক চেয়ারম্যান কবির হোসেন ও ছাবু জোয়ারদারকে গ্রেপ্তার করা হয়।




কুষ্টিয়া-২ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীকে বিজয়ী করার ঘোষণা উপজেলা আ’ লীগের নেতাদের

কুষ্টিয়া-২ (মিরপুর-ভেড়ামারা) আসনে ১৪ দলীয় জোট প্রার্থী ও জাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি হাসানুল হক ইনুকে সমর্থন না দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে মিরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতারা।

তাঁরা ইনুর নৌকা প্রতীকের বদলে আওয়ামী লীগের মনোনয়নবঞ্চিত স্বতন্ত্র প্রার্থী কামারুল আরেফিনকে (ট্রাক প্রতীক) সমর্থন দেওয়ার ঘোষণা দেন।

মিরপুর ও ভেড়ামারা উপজেলা নিয়ে গঠিত কুষ্টিয়া-২ আসন। স্বতন্ত্র প্রার্থী কামারুল আরেফিন মিরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি সদ্য উপজেলা পরিষদের পদত্যাগকারী চেয়ারম্যান। তিনি দেশসেরা উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত থেকেও পদক লাভ করেন।

গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে মিরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন নেতারা।

সংবাদ সম্মেলনে মিরপুর উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান, ১১টি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও সদস্য এবং পৌরসভার কাউন্সিলররা উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা এ সময় জাসদের কর্মী-সমর্থক ও হাসানুল হক ইনুর বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ করেন। তাই তাঁরা একাট্টা হয়ে মাঠে সরব থাকবেন।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল হালিম বলেন, ১৫ বছর ১৪ দলের প্রার্থী হিসেবে এখানে হাসানুল হক ছিলেন। তবে আসন্ন নির্বাচনে কামারুল আরেফিন ব্যাপক সাড়া পাচ্ছেন। তাঁরা ঐক্যবদ্ধ আছেন। তাঁরা দলের সবাইকে নিয়ে কামারুলকে বিজয়ী করার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন।

এ সময় মিরপুর উপজেলার ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ফোরামের সভাপতি, মালিহাদ ইউপির চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আকরাম হোসেন বলেন, বর্তমানে তাঁদের যে সংসদ সদস্য আছেন, তিনি কোনো যোগাযোগ রাখেন না। আওয়ামী লীগের কারও সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন না। ১৫ বছরে কোনো উন্নয়ন হয়নি এ এলাকায়। তাই মিরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ কামারুল আরেফিনকে জেতাতে বদ্ধপরিকর।

আকরাম হোসেন আরও বলেন,‘আমাদের মিরপুর উপজেলার চেয়ারম্যান ফোরামের ১৩ চেয়ারম্যানের মধ্যে ১১ চেয়ারম্যান এখানে আছি। আমরা ১১ চেয়ারম্যান মিলে কামারুল আরেফিনকে জয়যুক্ত করেই ঘরে ফিরব ইনশাআল্লাহ।’




দর্শনা সহ বিভিন্ন স্থানে স্বতন্ত্র প্রার্থী মীর্জা শাহরিয়া লন্টুর গণসংযোগ

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সামনে রেখে চুয়াডাঙ্গা-২ নির্বাচনী এলাকার দর্শনা সহ বিভিন্ন স্থানে গণসংযোগ করেছেন সাবেক এমপি মীর্জা সুলতান রাজা’র ছোট ভাই স্বতন্ত্র প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর্জা শাহরিয়ার মাহমুদ লন্টু।

গতকাল সকাল থেকে রাত পর্যন্ত দর্শনা, উথলী, জীবননগর সহ বিভিন্ন স্থানে দিন ব্যাপী গণসংযোগ করেছেন তিনি। চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের এমপি পদপ্রার্থী স্বতন্ত্র প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর্জা শাহরিয়ার মাহমুদ লন্টু ঢেঁকি প্রতিক নিয়ে নির্বাচনী মাঠে ব্যাপক প্রচার প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছেন। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত তিনি সফর সঙ্গীদের সাথে নিয়ে ভোটারদের কাছে যেয়ে কুশল বিনিময় ও লিফলেট বিতরণ করে এবং ব্যনার, ফেস্টুন, পোস্টার ও মাইকিং সহ বিভিন্ন ভাবে নির্বচনী প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন।

এ সময় তিনি বলেন, আমার প্রয়াত বড় ভাই আমার আপনার নেতা সাবেক এমপি মীর্জা সুলতান রাজা ভাই সবসময় এই এলাকার জনগণের শান্তি, শৃঙ্খলা, উন্নয়ন নিয়ে কাজ করে গেছেন। আজ তিনি জীবিত নাই। তাই আপনারা যদি আপনাদের মূল্যবান ভোটের মাধ্যমে আমাকে জয়যুক্ত করে আপনাদের ও এই এলাকার এবং এলাকার মানুষের সেবা করার সুযোগ দেন তাহলে আমি দেখিয়ে দিতে চাই যে, সৎ ইচ্ছা থাকলে একজন এমপি এলাকার উন্নয়নে কতটা কাজ করতে পারে। আমরা মুক্তিযুদ্ধ করেছি এই দেশকে এবং দেশের মানুষকে স্বাধীন করার জন্য। কিন্তু যদি কোন একটি স্বার্থান্বেষী মহল চাই যে, সে বা তারা এই স্বাধীন দেশের মানুষকে জিম্মি করে, মামলা হামলার ভয় দেখিয়ে আটকে রাখবে তাহলে সেটা ভুল ভাবছেন। আমরা যুদ্ধ করেছি দেশ ও দেশের মানুষের জন্য। আজ যদি সেই মানুষের কল্যানে কাজ না করতে পারি তাহলে কেমন নেতা আমরা? আমাদের প্রত্যেকটা নেতার উচিৎ মানুষের কল্যানে কাজ করা। তাই আসুন আমরা সকলে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে একতাবদ্ধ ভাবে এই চুয়াডাঙ্গা-২ আসনকে পরিবর্তন করে সুন্দর, সুশৃঙ্খল মাদক ও দুর্নীতি মুক্ত একটি এলাকা গড়ি।

এসময় তার সাথে সফর সঙ্গী হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও দামুড়হুদা উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মাহফুজুর রহমান মনজু, দর্শনা সরকারি কলেজের সাবেক ভি.পি ও সাবেক জি.এস আবু সাঈদ হাসান, অ্যাডভোকেট শাহরিয়ার কবির, দর্শনা পৌর আওয়ামীলীগের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি আমির হোসেন, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী কামাল উদ্দীন সান্টু, আওয়ামী লীগ নেতা- আব্দুল বারি, ফারুক হোসেন, এম.এ ফয়সাল প্রমুখ।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন মিরপুর উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও মিরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল কাশেম জোয়ার্দার; মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মর্জিনা খাতুন; চিথলিয়া ইউপির চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি এনামুল হক; বহলবাড়িয়া ইউপির চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান; তালবাড়িয়া ইউপির চেয়ারম্যান আবদুল হান্নান, বারুইপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম মন্টু প্রমুখ।




গাংনীতে নৌকার অফিস ভাঙচুরের অভিযোগ

মেহেরপুর-২ আসনের গাংনী উপজেলার আড়পাড়া গ্রামে আওয়ামী লীগ অফিস ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের বিরুদ্ধে।

গতকাল সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে আটটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এতে নির্বাচনী ক্যাম্পের পোস্টার ও প্রতীক ছিড়ে ফেলা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি।

ধানখোলা ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি আব্দুল হাকিমের অভিযোগ, তার বাড়ির পাশে নৌকার একটি প্রচারণা ক্যাম্পে সোমবার রাতে হামলা চালায় স্বতন্ত্র প্রার্থীর ট্রাক প্রতীকের কর্ম সমর্থকরা। বাঁশ ও কাগজ দিয়ে তৈরী একটি বড় নৌকা ভেঙ্গে দেয় হামলাকারীরা। নৌকার পক্ষে না থাকার জন্য হাকিমকে হুমকি দিয়ে চলে যায় তারা।

নির্বাচনী অফিসে হামলা খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থল গিয়ে হামলার প্রতিবাদ জানান গাংনী উপজেলার নৌকার কর্মী সমর্থকরা। ভাঙচুরের এ ঘটনায় উত্তেজনা বিরাজ করলে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

ঘটনাস্থলে উপস্থিত সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ইসমাইল হোসেন বলেন, আমরা নৌকার পক্ষে কাজ করলেও কোথাও অতিরিঞ্চিত ও উত্তেজনাকর কথা না বলা জন্য সবাইকে অনুরোধ করেছি। আমরা ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এ ঘটনায় আইন অনুযায়ী দৃষ্টান্তমূলক সাজা দাবি করছি।

ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন গাংনী থানার অফিসার ইনচার্জ তাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, সবাইকে আইন মানতে হবে। নির্বাচনী প্রচারণার ক্ষেত্রে আচরণবিধিমালা মানতে হবে। উভয় পক্ষের লোকজনকে শান্ত থাকতে বলা হয়েছে। হামলার অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।




কুষ্টিয়াকে মাদকমুক্ত ও স্মার্ট শহর হিসেবে গড়ে তুলতে চাই –হানিফ

কুষ্টিয়াকে মাদকমুক্ত ও স্মার্ট শহর হিসেবে গড়ে তুলতে চাই- বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও কুষ্টিয়া-৩ সদর আসনের সংসদ সদস্য মাহবুবউল আলম হানিফ এমপি।

তিনি বলেন, উন্নয়ন ও শান্তির কুষ্টিয়া গড়া আমার লক্ষ্য ছিল। একসময় কুষ্টিয়া সন্ত্রাসী জনপদ এলাকা ছিল। আমি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর তাদের কঠোরভাবে দমন করার চেষ্টা করেছি। তিনি বলেন, কুষ্টিয়াকে সকল দিক থেকে উন্নত ও আধুনিক জেলা হিসেবে গড়ে তুলবো এবং মাদকমুক্ত ও স্মার্ট শহর হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।

গতকাল সোমবার বিকালে মিলপাড়া রেলগেট প্রাঙ্গনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে কুষ্টিয়া জেলা জাতীয় শ্রমিক লীগ আয়োজিত নির্বাচনী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

দেশের চলমান উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে নৌকায় ভোট দেওয়ার আহবান জানিয়ে হানিফ আরও বলেন, দেশের উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে আওয়ামী লীগের নৌকার বিকল্প নেই। তাই দল-মত নির্বিশেষে ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে নৌকায় ভোট দিন।

সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন কুষ্টিয়া জেলা জাতীয় শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক জাতীয় শ্রমিক কেন্দ্রের নির্বাহী সদস্য মোঃ আমজাদ আলী খান।

জেলা জাতীয় শ্রমিক লীগের সহ সভাপতি জিল্লুর রহমানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব সদর উদ্দিন খান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজগর আলী, শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি তাইজাল আলী খান, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক মেহেদী হাসান, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মমিনুর রহমান মমিজ, যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক খন্দকার ইকবাল মাহমুদ, মহিলা সম্পাদিকা এ্যাড. শিলা বসু, নির্বাহী সদস্য হাবিবুল হক পুলক, কুষ্টিয়া সদর উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল হক, শহর আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি মিজানুর রহমান, ওয়ার্ড কাউন্সিলর আনিসুর রহমান আনছু , সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর রিনা নাসরীন প্রমুখ।




আলমডাঙ্গায় ফসলের জমিতে মাটি কেটে ইট ভাটায় বিক্রয়ের অভিযোগ

আলমডাঙ্গার যাদবপুরে ফসলি জমির মাটি কেটে ইটভাটায় বিক্রির অভিযোগ উঠেছে মাটি খাদক রঞ্জুর বিরুদ্ধে। অভিযোগ রয়েছে কৃষককে মাছ চাষে উদ্বুদ্ধ করার নামে মাটি নেওয়ার উদ্দেশ্য হাসিলেরও।

তবে নগদ টাকা পেতে অনেক কৃষক স্বেচ্ছায় মাটি বিক্রি করছেন বলেও জানা গেছে। এভাবে কৃষিজমির উপরিভাগের মাটি কাটায় জমির উর্বরতা কমে যাচ্ছে। এসব মাটি পরিবহনে ব্যবহৃত ট্রাক্টর ও লাটাহাম্বা গাড়িগুলো সদ্য নির্মিত গ্রামাঞ্চলের সড়ক ও আঞ্চলিক সড়কগুলোতে দ্রুত গতিতে যাতায়াত করায় মৃত্যু ফাঁদে পরিণত হয়েছে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, আলমডাঙ্গা উপজেলায় কুমারী ইউনিয়নে ৩ টি ইটভাটা রয়েছে। মৌসুমে তিনটি ইট ভাটায় কয়েক লাখ ঘন মিটার মাটির প্রয়োজন হয়। এসব মাটির চাহিদা পূরণে দীর্ঘদিন মাটি ব্যবসায়ী রঞ্জু পরিত্যক্ত পুকুর ও সালিন জমিতে খনন করে মাটি মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে ইট ভাটায় বিক্রি করেন। বিভিন্ন সময় উপজলা প্রশাসন জরিমানা করলেও পূণরায় আবারো তিনি মাটি ব্যবসায় জরিয়ে পড়েন। ইতোমধ্যে গত কয়েকদিন আগে ভূমি দস্যু রঞ্জু উপজেলার কুমারী ইউনিয়নের যাদবপুর গ্রামের হাজী মঙ্গল বিশ্বাসের ছেলে আকুব্বার বিশ্বাসের সালিন ধান চাষের জমিতে পুকুর খননের নামে মাটি কেটে ভাটায় বিক্রি করছে। এছাড়া গাড়িতে মাটি পরিবহনের নামে রাস্তায় ধুলা-কাঁদা মাটিতে সড়কে যাতায়াতের অযোগ্য হয়ে উঠছে। আশেপাশের বাড়িতে ধুলা-বালির কারণে বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। বসতবাড়িতে থাকা ছোট শিশুরাও দুর্ঘটনার আশঙ্কায় রয়েছে।

এ বিষয়ে মাটি ব্যবসায়ী রঞ্জুর সাথে মোবাইলে কথা হলে তিনি জানান, মাটি কাটার বিষয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন অনুমতি নেওয়া হয়নি। তবে মাটি কেটে ইট ভাটায় বিক্রির সত্যতা নিশ্চিত করেন।




কুষ্টিয়া-২ আসনে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন মুসতানজীদ লোটাস

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুষ্টিয়া-২ (মিরপুর-ভেড়ামারা) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী সরদার মোঃ মুসতানজীদ আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন।

আজ মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) সকালে কুষ্টিয়াস্থ আলেয়া ভবনে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ ঘোষণা দেন।

তিনি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তার নির্বাচনী প্রতীক কেটলি মার্কা নিয়ে নির্বাচনের প্রচারণা করছিলেন। তিনি কুষ্টিয়া নাগরিক কমিটির সভাপতি ও বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশনের কুষ্টিয়া জেলা শাখার (বিএমএ) সভাপতি এবং কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ।

তিনি সাংবাদিকদের জানান, গত কয়েকদিন আগে আমার ছোট ভাই মৃত্যুবরণ করেন, ভাইয়ের অকাল মৃত্যুতে আমি শোকাহত। তার অনুপস্থিতি আমার সমস্ত কর্মকান্ডকে বিপর্যস্ত করেছে। তাই আমি আমার পরিবারের সাথে আলাপ আলোচনা করে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিলাম।

কাকে সমর্থন করবেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, আমি নির্বাচন করবোনা এবং আপাতত কাউকে সমর্থন করছিনা বলে জানান।

নাগরিক কমিটির সভাপতি হিসেবে নিজেকে নিয়োজিত রেখেছি উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, আমি দীর্ঘদিন স্বাস্থ্য সেবা ও সামাজিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত আছি এবং নাগরিক কমিটি জেলা শাখার সভাপতি। আমার এই সেবা অব্যাহত থাকবে। আমি মানুষের কাছে যেভাবে ছিলাম, সেভাবেই থাকব। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ভাষণ শুনে কিশোর বয়সে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলাম। আমি মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তির সঙ্গে অবস্থান করি।

এসময় তার স্ত্রী ডা. ফাতেমা আশরাফ, মেয়ে মোমতাহিনা ফাতিমা, সহ পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।




আচরণবিধি লঙ্ঘনে শোকজের জবাব দিলেন হানিফ-আতা

আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ অস্বীকার করে কুষ্টিয়া-৩ আসনের নৌকার প্রার্থী মাহবুব-উল আলম হানিফ ও তার ভাই নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটির কাছে কারণ দর্শানোর নোটিশের জবাব দিয়েছেন।

মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে নোটিশের নির্ধারিত সময়ের মধ্যে মাহবুব-উল আলম হানিফ তার প্রতিনিধি রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) অনুপ কুমার নন্দীর মাধ্যমে লিখিত জবাব দিয়েছেন বলে জানান আদালত পুলিশের পরিদর্শক মো. মনিরুল ইসলাম।

তিনি আরও জানান, হানিফের ভাই আতাউর রহমান আতা সশরীরে হাজির হয়ে তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে লিখিত জবাব দাখিল করেছেন।

এর আগে রোববার বিকালে ওই আসনের নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটির প্রধান যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ মুহাম্মদ মাযহারুল ইসলামের স্বাক্ষরে দুই ভাইকে নোটিশ পাঠানো হয়।

সেখানে ২৬ ডিসেম্বর সকাল ১১টায় অনুসন্ধান কমিটি প্রধানের কার্যালয়ে হাজির হয়ে এ দুজনের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের লিখিত ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছিল।

মাহবুব-উল আলম হানিফ এবার কুষ্টিয়া-৩ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী। এ ছাড়া তিনি দলটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। তার চাচাতো ভাই আতাউর রহমান আতা কুষ্টিয়া সদর উপজেলা চেয়ারম্যান ও কুষ্টিয়া শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।

আলাদাভাবে দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে আনা অভিন্ন অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছিল, কলকাকলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষকদের আয়োজনে সাতদিনের প্রশিক্ষণের শেষ দিনে প্রতিটি বিদ্যালয়ে গিয়ে শিক্ষকদের নির্বাচনি জনসভা করার জন্য বাধ্য করার অভিযোগ পাওয়া গেছে দুজনের বিরুদ্ধে। যা জাতীয় সংসদ নির্বাচনি আচরণ বিধিমালা, ২০০৮ এর বিধি ১৪ এর লঙ্ঘন।

এ বিষয়ে মাহবুব-উল আলম হানিফের প্রতিনিধি রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অনুপ কুমার নন্দী মোবাইল ফোনে বলেন, “আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে করা নোটিশের জবাব দিয়েছি অনুসন্ধান কমিটির কাছে এবং বিষয়টি নিষ্পত্তিও হয়ে গেছে।”




মেহেরপুরে প্রফেসর আব্দুল মান্নানের ট্রাক প্রতীকের লিফলেট বিতরণ

মেহেরপুর-১ আসনের মনোনীত স্বতন্ত্র প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক সংসদ সদস্য প্রফেসর আব্দুল মান্নানের লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার বিকেলে মেহেরপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সামনে থেকে মেহেরপুর-১ আসনের মনোনীত স্বতন্ত্র প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক সংসদ সদস্য প্রফেসর আব্দুল মান্নানের ট্রাক প্রতীকের লিফলেট বিতরণ শুরু হয় এবং কাথুলী তেল পাম্পের সামনে গিয়ে শেষ হয়।

লিফলেট বিতরণে উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর-১ আসনের মনোনীত স্বতন্ত্র প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক সংসদ সদস্য প্রফেসর আব্দুল মান্নান।

অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি এ্যাড. মিয়াজান আলী, মেহেরপুর জেলা চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি ও জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম রসুল, মুজিবনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও মুজিবনগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জিয়াউদ্দিন বিশ্বাস, মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আব্দুল মান্নান (ছোট), মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানব বিষয়ক সম্পাদক এম এ এস ইমন, শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ খ ম ইমতিয়াজ বিন হারুন জুয়েল, মেহেরপুর জেলা যুবলীগের আহবায়ক ও মেহেরপুর পৌরসভার মেয়র মাহফুজুর রহমান রিটন, মেহেরপুর জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক শহিদুল ইসলাম পেরেশান, মুজিবনগর উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি কামরুল হাসান চাদু, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য জেমস স্বপন মল্লিক, মেহেরপুর সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক মোল্লা, বঙ্গবন্ধু সৈনিকলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য এ্যাড. আমজাদ আলী, মেহেরপুর পৌর যুবলীগের যুগ্ন আহবায়ক শহিদুজ্জামান সুইট, মেহেরপুর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও মেহেরপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম সম্পাদক জুয়েল রানা, মেহেরপুর জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক লাভলী ইয়াসমিন, মেহেরপুর মহিলা পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি রেহেনা মান্নান, ছাত্রনেতা ইউনুস আলী, ছাত্রনেতা ইব্রাহিম, সপুরা খাতুন সহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগের বিভিন্ন নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।