মেহেরপুরে স্কোয়াশ চাষে আর্থিক উন্নতি হয়েছে সব্জি চাষীদের

খেতে সুস্বাদু আর অল্প খরচে বেশি লাভ ও চাহিদা বেশী হওয়ায় স্কোয়াশ সবজি জাতীয় ফসলের আবাদে ঝুঁকছেন মেহেরপুর জেলার কৃষকরা। ইতোমধ্যে অনেকেই লাভবান হওয়ায় শিক্ষিত ও বেকার যুবকরা এটি আবাদে পরামর্শ নিচ্ছেন।কৃষি বিভগ বলছেন সম্ভাবনাময় এ অঞ্চলে নতুন জাতীয় সবজি স্কোয়াশ অনেক কৃষকের মাঝে সাড়া ফেলেছে। এব্যাপারে কৃষি অফিস প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিচ্ছেন।

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার সবজি চাষি জিয়াউল হক। এক বিঘা জমিতে স্কোয়াশ আবাদ করেছেন। মেহেপুরের একটি বেসরকারি এনজিও সংস্থা পলাশীপাড়া সমাজ কল্যাণ সমিতির কাছ থেকে বিনামুল্যে পাওয়া স্কোয়াশ বীজ ও মালচিং পেপার ও পরামর্শ নিয়ে শুরু করেছিলেন সবজি জাতীয় ফসল স্কোয়াশ চাষ। চারা রোপনের তিন মাসের মধ্যে স্কোয়াশ বিক্রি শুরু করেন। ইতোমধ্যে তিনি পাইকারদের কাছে বিক্রি করছেন প্রতি কেজি ৩৫ থেকে ৪০ টাকায়। এক বিঘা জমিতে তিনি অর্ধ লক্ষ টাকার স্কোয়াশ বিক্রি করেছেন। এখন তিনি অর্ধ লক্ষ টাকার স্কোয়াশ বিক্রি করবেন বলে আশাবাদি। প্রতি সপ্তাহে অন্তত তিন বার গাছ থেকে স্কোয়াশ বিক্রি করতে পারবেন। পানির ব্যবহার কমাতে এবং আগাছা ও রোগ বালাই থেকে গাছকে সুরক্ষা দিতে ব্যবহার করেছেন মালচিং পেপার। কীটনাশকের পরিবর্তে ফেরোমন ট্যাপ ও ইয়োলো স্টীট ব্যবহার করা হচ্ছে। যাতে কীটনাশক মুক্ত সবজি উৎপাদন করে ভোক্তা পর্যায়ে পৌছে দেয়া যায়। কীটনাশক মুক্ত থাকায় জিয়াউল হকের স্কোয়াশের বেচা বিক্রিও অনেক ভাল। শুধু জিয়াউল হকই নয়,তার দেখাদেখি কাজিপুর গ্রামের বেশ কয়েকজন কৃষক স্কোয়াশ আবাদ করে লাভবান হয়েছেন। নতুন নতুন ফসল কৃষকদের মাঝে পৌছে দেয়া এবং কৃষিতে প্রযুক্তি ব্যবহার করে অল্প সময়ে অধিক মুনাফা আয় করা যান এমন কাজটি করে চলেছেন পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) অর্থায়নে পরিচালিত পলাশীপাড়া সমাজ কল্যাণ সমিতি।

পলাশীপাড়া সমাজ কল্যাণ সমিতি (পিএসকেএস)’র কৃষি ইউনিটের উদ্যোগে নতুন সব্জি হিসাবে তিনি স্কোয়াশের আবাদ শুরু করেছেন। সংস্থা বিনামূল্যে স্কোয়াশের বীজ, মালচিং পেপার, ফেরোমন ফাঁদ, স্টিকিট্র্যাপ এবং জৈব ও রাসায়নিক সার প্রদান করেছে। পিকেএসএফ-এর অর্থায়নে পরিচালিত সংস্থা পিএসকেএস নিজস্ব কৃষি অফিসারের মাধ্যমে সদস্য কৃষকগণকে হাতে-কলমে প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ প্রদান করে থাকে। অপরিচিত ও অপ্রচলিত সব্জি হলেও এটি আবাদে কৃষকরা আর্থিকভাবে বেশী মুনাফা পাবে বলে জানিয়েছে সরকারী কৃষি বিভাগ।

স্কোয়াশ চাষি জিয়াউল হক বলেন,বিভিন্ন সবজির পাশাপাশি এক বিঘা জমিতে পরিক্ষামুলক ভাবে মালচিং পদ্ধতিতে স্কোয়াশ করে অনেক ভাল ফলন পাচ্ছি। বাজারে দামও ভাল। খরচের দিগুণ টাকা আয় করা যাবে। পিএসকেএস আমাকে বীজ এবং মালচিং পেপার দিয়ে সহায়তা করেছে। আমি ্ওই সংস্থার কৃষি অফিসারের পরার্ম অনুযায়ী আবাদ করেছি। আগামীতে আরও বড় পরিসরে স্কোয়াশ আবাদ করবো।

পুষ্টিবিদ জান্নাতুননেছা জানান,স্কোয়াশে আছে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেশিয়াম, অন্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন-সি, ম্যাঙ্গানিজ, বিটা ক্যারোটিন ও লুটেইন, ফোলেট কপার, রিবোফ্লাবিন, ফসফরাস, ক্যারোটিনয়েডস ও পটাশিয়ামের মত মানব দেহের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় খনিজ পদার্থ সমূহ। যা’ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে, অ্যাজমা, ডায়াবেটিস ও হার্ট-এর রোগ থেকে রক্ষা করে। ক্যান্সার প্রতিরোধে স্কোয়াশে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা’ দেহের ফ্রি র‌্যাডিকেলস দূর করে এবং বিটা ক্যারোটিন ক্যান্সারের ক্ষতিকর পদার্থ থেকে দূরে রাখে আমাদের।

কৃষকদের সহায়তাকারি বেসরকারি সংস্থা পলাশীপাড়া সমাজ কল্যাণ সমিতির নির্বাহী পরিচালক মুহাঃ মোশাররফ হোসেন জানান,স্কোয়াশ চাষসহ বিভিন্ন জেলার কৃষকদের নানা প্রশিক্ষণ,বীজ ও বিভিন্ন উপকরণ বিনামুল্যে বিতরনের মাধ্যমে উন্নত সবজি আবাদে সহায়তা করে আসছে পিএসকেএস। এছাড়াও কীনাশকের ব্যবহার কমিয়ে সবজিকে স্বাস্থ্য সম্মত করতে কৃষকদের দেয়া হচ্ছে বিভিন্ন পরামর্শ ও ক্ষতিকারক পোকামকড় দমনে সহায়তা করা হচ্ছে। আমাদের কার্যক্রমের মাধ্যমে উন্নত আবাদ করে কৃষকরা লাভবান হচ্ছেন। আমাদের এমন কর্মকান্ড অব্যাহত থাকবে।




নিয়োগ দেবে হা-মীম গ্রুপ

নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে হা-মীম গ্রুপ। প্রতিষ্ঠানটিতে অফিসার/সিনিয়র অফিসার পদে নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহী যোগ্য প্রার্থীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।

পদের নাম

অফিসার/সিনিয়র অফিসার।

শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা

প্রার্থীকে বিএসসি (ইইই)/ডিপ্লোমা (ইলেক্ট্রিক্যাল) পাস হতে হবে। প্রার্থীর ধরন: নারী-পুরুষ। বয়স: ২৫-৩৫ বছর।

কর্মস্থল

গাজীপুর, ঢাকা (আশুলিয়া)।

বেতন

আলোচনা সাপেক্ষে।

আবেদনের প্রক্রিয়া

প্রার্থীরা বিডিজবস অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন

আবেদনের শেষ তারিখ

২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

সূত্র : বিডিজবস




চ্যাটজিপিটির সহায়তায় বই লিখে জিতলেন পুরস্কার

চ্যাটজিপিটি ব্যবহারে অনেকের জীবন নানাভাবে সহজ হলেও সৃজনশীল লেখনিতে তা যোগ করেছে অনন্য মাত্রা এর প্রমাণ এতদিন ছিল না। ঘটনা জাপানের। চ্যাটজিপিটির সাহায্য নিয়ে আস্ত একটি উপন্যাস লিখে জাপানের সম্মানজনক আকুতাগাওয়া সাহিত্য পুরষ্কার জিতে নিয়েছেন লেখক রি কুদান।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দ্রুতই তা ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে। কেউ কেউ বলছেন, যারা এআই ব্যবহার না করে লেখেন তাদের জন্য ভীষণ অপমানজনক ঘটনা এটি। তবে ৩৩ বছর বয়সী এই লেখিকা জানিয়েছেন, ‘উপন্যাস লেখায় এআইয়ের ব্যবহার চালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছি। সেই সঙ্গে এর মাধ্যমে আমার সৃজনশীলতাকে সম্পূর্ণরূপে প্রকাশ করব।’

এক সংবাদ সম্মেলনে লেখিকা বলেন, ‘দ্য টোকিও টাওয়ার অব সিম্প্যাথি’ নামের উপন্যাসের ৫ শতাংশ এআই ব্যবহার করে লেখা। পুরস্কার প্রদান কমিটির সদস্যরা বইয়ের ওই অংশকে ‘কার্যত ত্রুটিহীন’ বলে রায় দিয়েছেন’।

এআইকে ভবিষ্যতের গগনচুম্বী অট্টালিকা ডিজাইন করতে বলেছিলেন একজন স্থপতি। ব্যাস, চ্যাটবট গল্পের বীজ বুনে দেয়। টোকিও শহরে বহুতলবিশিষ্ট আরামদায়ক কারাগার নির্মাণে দায়িত্বপ্রাপ্ত একজন স্থপতির উভয়সংকটকে কেন্দ্র করে উপন্যাসের গল্প এগিয়ে চলেছে। থিম একটি এআই। গল্পে আইন ভঙ্গকারীদের পুনর্বাসনের কথা বলা হয়েছে। কুদান বলেন, তিনি নিজের জীবনের যেসব সমস্যার কথা অন্য কাউকে বলতে পারেন না, সেগুলোর সমাধানে এআইয়ের পরামর্শ নেন।

কুদানই প্রথম সৃষ্টিশীল কাজে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে বিতর্ক তৈরি করেছেন, এমনটি নয়। এআই ব্যবহার করে ছবি তৈরি করার কারণেই গত বছর সনি ওয়ার্ল্ড ফটোগ্রাফি অ্যাওয়ার্ড থেকে বার্লিনভিত্তিক ফটোগ্রাফার বরিস এলডাগসেনের পুরস্কার প্রত্যাহার করা হয়।

এছাড়া চ্যাটজিপিটি প্রস্তুতকারক কোম্পানি ওপেনএআইয়ের বিরুদ্ধে গত বছর মামলা করেন ‘গেম অব থ্রনস’–এর লেখক জর্জ আর আর মার্টিন, জোডি পিকাউল্ট ও জন গ্রিশাম। এআই মডেলটিকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার সময় মেধাস্বত্ব লঙ্ঘন করার অভিযোগে মামলা করেছে নিউইয়র্ক টাইমসের মতো সংবাদমাধ্যম।

সূত্র: ইত্তেফাক




কুষ্টিয়াতে প্রবাসী যুবকের হেলিকপ্টারে চড়ে বিয়ে

কথায় বলে না শখের তোলা আশি টাকা। তেমনি কুয়েত প্রবাসী যুবক আল আমিন তার মায়ের শখ মেটাতে হেলিকপ্টারে গিয়ে বিয়ে করে ফিরেছেন।

কনের বাড়ি থেকে বরের বাড়ির দূরত্ব মাত্র ১১ কিলোমিটার। হেঁটে যেতে সময় লাগে ৪৫ মিনিট। আর হেলিকপ্টারে পাঁচ মিনিট। এতটুকু দূরত্বে নববধূকে নিয়ে আসতে হেলিকপ্টারে চড়লেন কুয়েত প্রবাসী যুবক আল আমিন।

গতকাল শনিবার (২৭ জানুয়ারি) দুপুরে হেলিকপ্টারে চড়ে ঢাকা থেকে পাটিকাবাড়ী ইউনিয়নের ডাবিরা ভিটা গ্রামে আসেন আল আমিন। পরে মাত্র পাঁচ মিনিটে একই উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের গাংপাড়া খেলার মাঠে পৌঁছান তিনি।

বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষে নববধূকে নিয়ে আবার হেলিকপ্টারে চড়ে নিজ গ্রামে ফিরেন। এসময় বরের সঙ্গে ছিলেন বড় বোন ও বোনের স্বামী। এই আয়োজনে খরচ হয় প্রায় দুই লাখ টাকা।

বর আল আমিন কুষ্টিয়া সদর উপজেলার পাটিকাবাড়ী ইউনিয়নের ডাবিরা ভিটা গ্রামের কুয়েত প্রবাসী আমিরুল ইসলামের দ্বিতীয় ছেলে। আর কনে তানজুরা খাতুন (১৯) উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের গাংপাড়া গ্রামের তাসের আলীর মেয়ে।

এলাকাবাসী জানান, বরের বাড়ি থেকে কনের বাড়ির দূরত্ব মাত্র ১১ কিলোমিটার। এতটুকু রাস্তা হেঁটে যেতে সর্বোচ্চ ৪৫ মিনিট সময় লাগার কথা। কিন্তু বর এলেন হেলিকপ্টারে চড়ে। আর বিয়েতে বরযাত্রী গেছেন ১০০ জন। তাদের মাইক্রোবাস ও মোটরসাইকেলে কনের বাড়িতে পাঠানো হয়।

বরের বাবা আমিরুল ইসলাম জানান, তার স্ত্রীর শখ ছিল আল আমিনকে হেলিকপ্টারে করে বিয়ে করাবেন। তার শখ পূরণে এই আয়োজন।

এ বিষয়ে বরের মা আমেনা খাতুন বলেন, শখ ছিল ছেলেকে হেলিকপ্টারে চড়ে বিয়ে করতে পাঠাবো। ছেলের বউকে হেলিকপ্টারে আনবো। ছেলের বউকে হেলিকপ্টারে আনতে পেরে খুব খুশি।

বর আল আমিন বলেন, দীর্ঘদিন ধরে কুয়েতে চাকরি করছি। মায়ের শখ ছিল হেলিকপ্টারে চড়ে বিয়ে করতে যাব। মায়ের শখ পূরণ করতে পেরে ভালো লাগছে।

পাটিকাবাড়ী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রেজভিজ্জামান কানু ও গোস্বামী দুর্গাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান লাল্টু রহমান বলেন, এই অঞ্চলে হেলিকপ্টারে চড়ে বিয়ের ঘটনা এটাই প্রথম। দুই গ্রামের মানুষ বিষয়টি বেশ উপভোগ করেছে।




ভালোবাসার মৌসুমে ‘ছায়াবৃক্ষ’ ও ‘ট্র্যাপ’ নিয়ে আসছেন অপু

আসছে ভালোবাসার মওশুমে পরপর দুই সপ্তাহে দুটি সিনেমা নিয়ে প্রেক্ষাগৃহে হাজির হবেন অভিনেত্রী অপু বিশ্বাস। ‘ছায়াবৃক্ষ’ ও ‘ট্র্যাপ’ নামের সিনেমা দুটিতে অপুর বিপরীতে অভিনয় করেছেন নিরব ও জয় চৌধুরী।

আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি সারা দেশে মুক্তি পাচ্ছে ‘ট্র্যাপ’ সিনেমা। এতে জুটি বেঁধে অভিনয় করেছেন অপু বিশ্বাস ও জয় চৌধুরী। এটি পরিচালনা করেছেন দ্বীন ইসলাম। আজ সন্ধ্যায় মুক্তি পাবে সিনেমাটির ট্রেলার।

সিনেমাটি প্রসঙ্গে নায়ক জয় বলেন, ‘প্রযুক্তির এই যুগে মানুষ কোনো না কোনোভাবে ট্র্যাপে পড়ছে। হ্যাকিংয়ের শিকার হয়ে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। অনেকটা সাইন্স ফিকশন ধাঁচের সিনেমা ‘ট্র্যাপ’।

‘ট্র্যাপ’ সিনেমাটিতে আরও অভিনয় করেছেন মিশা সওদাগর, আমান রেজা, তাহমিনা মৌ, এল আর খান সীমান্ত, হারুন কিসিঞ্জার, হায়দার আলী, জাদু আজাদসহ অনেকে।

এদিকে বন্ধন বিশ্বাস পরিচালিত ২০১৯-২০ অর্থবছরে সরকারি অনুদানে নির্মিত ‘ছায়াবৃক্ষ’ তে অপু বিশ্বাসের বিপরীতে অভিনয় করেছেন চিত্রনায়ক নিরব।

সংবাদ মাধ্যমকে বন্ধন বিশ্বাস বলেন, ‘ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে ১৬ ফেব্রুয়ারি মুক্তির জন্য প্রযোজক সমিতিতে চিঠি দেয়া হয়েছে। সব ঠিকঠাক থাকলে ফেব্রুয়ারির প্রথম দিন থেকেই প্রচারণা শুরু করা হবে।’

‘ছায়াবৃক্ষ’ সিনেমাটি তৈরি হয়েছে দেশের চা শ্রমিকদের জীবনের কাহিনী ও বিভিন্ন টানাপোড়েন নিয়ে। সিনেমাটিতে নিরব-অপু ছাড়াও রয়েছে কাজী নওশাবা, সুমিত সেনগুপ্ত, শতাব্দী ওয়াদুদ, ডন, এলিনা শাম্মি ও আজম খান, মনিরুজ্জামান মিন্টুসহ অনেকে।




গাংনীতে পেকিন হাঁস পালন বিষয়ে “প্রাণিসম্পদ খামার দিবস অনুষ্ঠিত

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার পলাশীপাড়া সমাজ কল্যাণ সমিতি (পিএসকেএস) এর সমন্বিত কৃষি ইউনিটভূক্ত প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন কর্মসূচির আওতায় গাংনী শাখার গাড়াডোব গ্রামে ৭৫ জন খামারি নিয়ে মাংসের জন্য ব্রয়লার টাইপ পেকিন হাঁস পালন বিষয়ে “প্রাণিসম্পদ খামার দিবস” অনুষ্ঠিত হয়।

উক্ত প্রাণীসম্পদ খামার দিবসে হাঁস পালনের উপকারিতা, হাঁস পালনের জন্য সুষম খাদ্য ব্যাবস্তাপনা কিভাবে করতে হয়, হাঁস পালনের ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জ সমূহ, বাজার ব্যবস্থাপন সহ ইত্যাদি আনুষঙ্গিক বিষয়ে খামারিদের অবহিত করা হয়।

এছাড়াও হাঁস পালনের বিভিন্ন সংক্রামক রোগ যেমন ডাক প্লেগ, ডাক কলেরা ও তার প্রতিকার, নিয়মিত ভ্যাকসিনেশন প্রদানের উপকারিতা, এন্টিবায়োটিকের যথাযথ ব্যাবহার রোধ, সংক্রামক রোগ সমূহে ভ্যাকসিন প্রদানের উপকারিতা,মাচায় হাঁস পালনের উপকারিতা সহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে গঠনমূলক আলোচনা করা হয়।

এসময় খামারিদের সংস্থার চলমান বিভিন্ন সেবামূলক ও সমন্বিত কৃষি ইউনিটের চলমান বিভিন্ন প্রদর্শনী সম্পর্কে অবহিত করা হয়।

উক্ত খামার দিবসে রিসোর্স পারসন হিসাবে উপস্থিত ছিলেন পলাশীপাড়া সমাজ কল্যাণ সমিতির সমন্বিত কৃষি ইউনিটের প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ও উপসহকারী কর্মকর্তা বৃন্দ। আরও উপস্থিত ছিলেন সংস্থার উপ পরিচালক মোঃ সাইফুল রহমান(উপপরিচালক প্রশিক্ষণ)। উক্ত খামার দিবস বাস্তবায়নে আর্থিক ভাবে সহোযোগিতা করেছে পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশন( পিকেএসএফ)।




ডাবলসে শিরোপা জিতল ভারতীয় তারকা

অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের পুরুষ ডাবলসে ইতালির টেনিস তারকা সাইমন বোলেনি এবং আন্দ্রিয়া বাবসোরিরকে ৭-৬ এবং ৭-৫ ব্যবধানে হারিয়েছে ভারতের টেনিস তারকা রোহান বোপান্না এবং অস্ট্রেলিয়ার ম্যাথু এবডেন। প্রথমবারের মতো এই ভারতীয় তারকা ৪৩ বছর বয়সে এসে ডাবলসে গ্র্যান্ড স্ল্যাম জিতেছেন।

সেই সাথে চলতি আসরে সবচেয়ে বেশী বছর বয়সী খেলোয়াড় ছিলেন ভারতের রোহন বোপান্না। সেই সঙ্গে তিনি ১৯৬৮ সালে পর অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে একমাত্র খেলোয়াড় যিনি কিনা ৪৩ বছর বষয়ে এই গ্র্যান্ড স্ল্যাম চ্যাম্পিয়ন হলেন। ১ ঘন্টা ৩৯ মিনিট ধরে চলে এই ম্যাচ।

এরআগে বোপান্না ২০১০ এবং ২০২৩ সালে পুরুষদের ডাবলসে সেরা পারফরম্যান্স করেছিলেন। সেবার তিনি ইউএস ওপেনে ফাইনালে উঠেন। যদিও দেখা পাননি শিরোপার। এছাড়াও ২০২২ সালে ফরাসি ওপেন এবং ২০১৩, ২০১৫ এবং ২০২৩ সালে উইম্বলডনের সেমিফাইনাল পর্যন্ত খেলেছিলেন তিনি।




প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন সন্দেহে প্রাচীন ধাতব মূর্তি সহ আটক ২

কিছু ধাতব মূর্তি নিয়ে ইজিবাইকে যাত্রী বেশে যাচ্ছিলেন মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলার নাজিরাকোনা গ্রামের আন্তন মন্ডল এবং বাবুপুর গ্রামের নজরুল ইসলাম। মেহেরপুর জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ছিল

মাদকবিরোধী এক অভিযানে। মাদক পাচারকারী সন্দেহে গোয়েন্দা পুলিশ তাদের প্রতিরোধ করে। তল্লাশি করে তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় পুরানো গ্রীক দেবতার মূর্তি, গ্রীক দেবতা হারকিউলিসের মূর্তি, শ্রীকৃষ্ণের বাল্যকালের মূর্তি, অদ্ভুত নকশা খচিত ঘোড়ার মূর্তি, পিতলে নির্মিত শিশু মূর্তি, হাড়ি ও নকশা খচিত বাক্স। সব গুলোই পিতল সাদৃশ্য বস্তু বলে নিশ্চিত করেছে পুলিশ।

গতকাল শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার সময় জেলা গোয়েন্দা পুলিশের অভিযানে মুজিবনগর উপজেলার ভবানিপুর গ্রামের ব্রিজ সংলগ্ন এলাকা থেকে মূর্তিগুলি উদ্ধার ও জব্দ করা হয়।

এ সময় মুজিবনগর উপজেলার নাজিরাকোনা গ্রামের মৃত থমাস মন্ডলের ছেলে আন্তন মন্ডল ও বাবুপুর গ্রামের সাহাদত আলীর ছেলে নজরুল ইসলামকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য জেলা গোয়েন্দা কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়।

পরবর্তীতে মেহেরপুর সদর থানায় একটি সাধারণ ডাইরি করে এবং মুচলেকা নিয়ে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়।
আন্তন মন্ডল বলেন, ‘জমিতে চাষ করার সময় মাটি খুঁড়ে এগুলো পেয়েছি। টেংরামারি গ্রামের এক ব্যক্তিকে দেখানোর জন্য নিয়ে যাচ্ছিলাম। পথের মধ্যে পুলিশ আমাদের আটক করে।’

মেহেরপুর জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি সাইফুল আলম বলেন, মুজিবনগর নাজিরাকোনা গ্রাম থেকে সদর উপজেলার টেংরামারি গ্রামে মাদক পাচার হচ্ছে মর্মে খবর পাই। এমন খবরের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ভবানিপুর গ্রামের ব্রিজ এলাকায় দুজনকে তল্লাশি করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে পিতল সাদৃশ্য বিভিন্ন মূর্তি, হাড়ি ও বাক্স উদ্ধার করা হয়। পরে দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদ জন্য কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে কোন বেআইনি উদ্দেশ্য না পাওয়ায়, মুচলেকা নিয়ে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়। পরবর্তীতে তদন্ত সাপেক্ষে প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন বা সম্পর্কিত কোন প্রমাণ পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।




নিখোঁজ

নাম মোঃ জনি (১৬) , পিতার নাম: চাদ আলি, মাতার নাম: জসনা, গ্রাম: পুড়াপাড়া, মেহেরপুর।

গত ২৫/০১/২০২৪ আনুমানিক বেলা ১২ টার দিকে পিতা মাতার উপর অভিমান করে বাড়ি থেকে বের হয়। এখন পর্যন্ত বাড়িতে ফিরে আসেনি কেউ যদি ছেলেটার সন্ধান পেয়ে থাকেন তাহলে ০১৯৬৯-৩৬০৩৪৬ এই নাম্বারে যোগাযোগ করার জন্য বিনীতভাবে অনুরোধ করা অনুরোধ করা হল।




জীবননগরে ক্লিনিকের নার্সকে গলা কে*টে হ*ত্যা

জীবননগরে হাফিজা খাতুন (৩০) নামের এক নার্সকে গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে পৌর এলাকার মা নার্সিং হোম ক্লিনিকের মধ্যে এ ঘটনা ঘটে।

হাফিজা খাতুন ওই ক্লিনিকের নার্স হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ঘটনার সঙ্গে কারা জড়িত এটা এখনো জানা যায়নি।
ক্লিনিকের এক সহকর্মী জানান, রাতে ক্লিনিকের দ্বিতীয়তলায় হাফিজার সাথে আলাপচারিতা শেষে তৃতীয় তলায় যান। পরবর্তীতে কিছুক্ষন পর দ্বিতীয়তলায় এসে হাফিজাকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখেন তিনি। কারা এমন ঘটনা ঘটিয়েছে জানা নেই। পরে স্থানীয়দের সহযোগীতায় রক্তাক্ত অবস্থায় হাফিজা খাতুনকে উদ্ধার করে জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষনা করেন।

তিনি আরও বলেন, সকালে নিহতের স্বামী এই ক্লিনিকে এসেছিলেন। হাফিজার সঙ্গে কোন কারণে বাকবিতণ্ডতা হয়। এরপরই সেখান থেকে তিনি চলে যান।

জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. রাগবির হাসান বলেন, হাসপাতালে আসার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। ধারাল অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) নাজিম উদ্দিন আল আজাদ (পিপিএম-সেবা) ও চুয়াডাঙ্গা সার্কেল এসপি জাকিয়া সুলতানা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।