মহিলা মেম্বারকে ধাক্কা দিয়ে পরিষদ থেকে বের করে দিলেন চেয়ারম্যান
‘তোর ভাই বাড়িতে ট্রাকের অফিস করেছে, তুই ইউনিয়ন পরিষদ থেকে বের হয়ে যা’ বলে মহিলা ইউপি সদস্যকে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ধাক্কা দিয়ে বের করে দিলেন চেয়ারম্যান সেলিম রেজা। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার দুপুরে মেহেরপুর সদর উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদে।
পরিষদের ৪,৫,৬ নম্বর ওয়ার্ডে সংরক্ষিত মহিলা সদস্য রহিমা খাতুন এ অভিযোগ করেছেন। তিনি বলেন, ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান ডেকেছিলো একটা গোপন বৈঠক করবে বলে। যারা নৌকার ভোট করবা তারা বলে যাও। বৈঠকের এক পর্যায়ে চেয়ারম্যান বলে মহিলা মেম্বার কিছু বলেনা। আমি বলি আমরা মহিলা মেম্বাররা তো কিছু বলতেই পারিনা। তখন চেয়ারম্যান ধমক দিয়ে বলে তোর ভাই বাড়িতে ট্রাকের অফিস করেছে। বলে আমাকে গালাগালি করে এবং ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বোর্ড থেকে বের করে দেয়। আমি এর বিচার চাই।
এ ঘটনার পরপরই চেয়ারম্যান সেলিম রেজা তার দলবল নিয়ে পরিষদ থেকে বের হয়ে যান। স্থানীয় খবর পেয়ে সেখানে গেলে উত্তেজনা তৈরি হয়। খবর পেয়ে সদর থানা পুলিশের একটি দল গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে নেয়।
প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় ডাবু হোসেন বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের পাশের দোকানে বসে ছিলাম। হঠাৎ দেখি ওই মহিলা মেম্বার বের কান্না কাটি করছে। আমরা কিছু লোক গিয়ে দেখি মেম্বার মিলে ওই মহিলা মেম্বারকে থ্রেড (হুমকি) দিচ্ছে।
৬ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য রাজন আলী বলেন, চেয়ারম্যান সাহেব সকল মেম্বারদের ডেকেছিলো নির্বাচনের বিষয়ে। এর মধ্যে ৭,৮,৯ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার রহিমা খাতুনকে বলেন তোমার ভাই ট্রাকের অফিস করেছে। এ নিয়ে কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে চেয়ারম্যান রহিমা মেম্বারকে বলেন তুমি আর ইউনিয়ন পরিষদের আসবা না বের হয়ে যেতে বলেন।
তবে অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান সেলিম রেজা অস্বীকার করে বলেন, পরিষদের এ ধরণের কোন ঘটনা ঘটেনি।
মেহেরপুর সদর থানার ওসি শেখ কনি মিয়া বলেন, অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলোম। সবাইকে পারস্পরিক সম্প্রিতি বজায় রাখতে বলেছি।
মেহেরপুরের জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা শামিম হাসান বলেন, এ ধরণের কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সেলিম রেজা নৌকার বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেছিলেন।