কুষ্টিয়ায় আবারও আতাউর রহমান ও খোকসায় মাসুম চেয়ারম্যান নির্বাচিত

কুষ্টিয়ার সদর উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন বর্তমান চেয়ারম্যান শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান আতা এবং খোকসা উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন আল মাসুম মোর্শেদ শান্ত।

আজ বুধবার বেসরকারি ফলাফলে এ তথ্য জানা যায়। জানা গেছে, সদর উপজেলায় আতাউর রহমান আতা ৬৭ হাজার ৬ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন (আওয়ামী লীগ)। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আবু আহাদ আল মামুন (বাংলাদেশ জনতা পার্টি) প্রাপ্ত ভোট ৩ হাজার ৪৮৬ ভোট।

ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন আবু তৈয়ব বাদশা। তার প্রাপ্ত ভোট ৪৭ হাজার ২৮৯ ভোট। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান বিজয়ী হয়েছেন মোছা: লতা খাতুন প্রাপ্তভোট ৪২ হাজার ৮৭৯ ভোট।

খোকসা উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন আল মাসুম মোর্শেদ শান্ত প্রাপ্ত (আওয়ামী লীগ) প্রাপ্ত ভোট ২৫ হাজার ১০১ ভোট। নিকটতম প্রার্থী বাবুল আকতার পেয়েছেন ১৯ হাজার ৬৩৯ ভোট। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ইসরাত জাহান পুনম প্রাপ্ত ভোট।

এদিকে আবারও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আতাউর রহমান আতা বিজয়ী হওয়ায় নেতাকর্মীরা ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। রাতে বিজয়ী হওয়ার পর আতাউর রহমান আতাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান জেলা তাতীলীগের সভাপতি রুহুল আমিন ও সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশীদ।




ঝিনাইদহ সদরে মাসুম ও কালীগঞ্জে শিবলী নোমানী চেয়ারম্যান নির্বাচিত

ঝিনাইদহ সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মিজানুর রহমান মাসুম বিজয়ী হয়েছেন। তিনি ৩৫৫৩৮ ভোট পেয়ে বেসরকারী ভাবে নির্বাচিত হন। তার নিকটমতম প্রতিদ্বন্দ্বি জে এম রশিদুল আলম পেয়েছেন ৩০৭৫৫ ভোট। ৪৭৮৩ ভোট বেশি পেয়ে মিজানুর রহমান মাসুম জয়ী হন।

এছাড়া সদর উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বর্ষা খাতুন (হিজড়া) বেসরকারী ভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।

এদিকে একইদিনের কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাচনে মোতিয়ার রহমান মতিকে পরাজিত করে বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান শিবলী নোমানী বেসরকারী ভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছে। এছাড়া কালীগঞ্জ উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে শফিকুজ্জামান রাসেল এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে শাহানাজ পারভিন বেসরকারী ভাবে নির্বাচিত হয়েছে। দুই উপজেলায় শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হয়েছে।




মুজিবনগর সড়ক দুর্ঘটনায় যুবকের প্রাণহানি

মেহেরপুরের মুজিবনগরে সড়ক দুর্ঘটনায় সবুজ নামের এক যুবক নিহত হয়েছে আহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন তৌফিক নামের আরেক যুবক ।

আজ বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে মুজিবনগর-দর্শনা সড়কের বল্লভপুর ভোগীর চারা নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত সবুজ সদর উপজেলার বাড়িবাকা গ্রামের পাখি সেনের ছেলে।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, যুবক সবুজ ও তৌফিক মোটরসাইকেল যোগে মুজিবননগরের বাগোয়ান গ্রাম থেকে কেদারগঞ্জে দিকে যাচ্ছিল। মুজিবনগর দর্শনা প্রধান সড়কের বল্লভপুর ভোগীর চারা নামক স্থানে পৌছালে মোটরসাইকেলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পাশে স্ট্রীট লাইটের পোলের সাথে ধাক্কা মেরে গুরুতর আহত হয় ।

এ সময় পথচারিরা তাদের উদ্ধার করে মুজিবনগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হলে চিকিৎসক সবুজকে মৃত ঘোষণা করে। এবং তৌফিকের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করে।




মুজিবনগরের নতুন চেয়ারম্যান আমাম হোসেন মিলু

মুজিবনগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মোটরসাইকেল আনারস প্রতিকে ১৭ হাজার ৬৩ ভোট পেয়ে আমাম হোসেন মিলু বেসরকারিভাবে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।

তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী রফিকুল ইসলাম তোতা কাপ পিরিচ প্রতিকে পেয়েছেন ১৫ হাজার ১০০ ভোট। এছাড়া অপর চেয়ারম্যান প্রার্থী মো: কামরুল হাসান চান্দু ঘোড়া প্রতিকে পেয়েছেন ২ হাজার ৮২১ ভোট ও মোহা: মাহবুব রহমান মোটরসাইকেল প্রতিকে পেয়েছেন ৩৪১ ভোট।

এছাড়া টিউবওয়েল প্রতিক নিয়ে ২০ হাজার ৬৫২ ভোট পেয়ে বিএম জাহিদ হাসান রাজিব ভাইসচেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী মো: মতিউর রহমান চশমা প্রতিকে পেয়েছেন ১৩ হাজার ৬৭৬ভোট।

মহিলা ভাইসচেয়ারম্যান পদে কলস প্রতিক নিয়ে ২০ হাজার ৫৮ভোট পেয়ে মোছা: তকলীমা দ্বিতীয়বারের মত মহিলা ভাইসচেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোছা: আফরোজা খাতুন ফুটবল প্রতিকে পেয়েছেন ১৪ হাজার ৩৩৩ ভোট।

 পড়ুন মেহেরপুরের নতুন উপজেলা চেয়ারম্যান আনারুল ইসলাম




মেহেরপুরের নতুন উপজেলা চেয়ারম্যান আনারুল ইসলাম

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মোটরসাইকেল প্রতিকে ৪০ হাজার ৯২৩ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে আনারুল ইসলাম মেহেরপুর সদর উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।

তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী  অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম শাহীন কাপ পিরিচ প্রতিকে পেয়েছেন ১০ হাজার ৫০৭ ভোট। এছাড়া আব্দুল মান্নান ঘোড়া প্রতিকে পেয়েছেন ৩৭২ ভোট এবং মোহা: হাসেম আলী আনারস প্রতিকে পেয়েছেন ২৮৮৫  ভোট।

এছাড়া চশমা প্রতিক নিয়ে ৩৬ হাজার ১৮৬ ভোট পেয়ে দ্বিতীয়বারের মত আবুল হাসেম ভাইসচেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী মো: শাহিন টিউবওয়েল প্রতিকে পেয়েছেন ১৬ হাজার ১৩৬ভোট।

মহিলা ভাইসচেয়ারম্যান পদে বৈদ্যুতিক পাখা প্রতিক নিয়ে ৩৪ হাজার ৬৪৬ভোট পেয়ে লতিফন নেছা লতা দ্বিতীয়বারের মত ভাইসচেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী সামিউন বাশিরা পলি হাঁস  প্রতিকে পেয়েছেন ১৭ হাজার ৯১৬ ভোট। এছাড়া বিএনপি প্রার্থী রোমানা আহমেদ নির্বাচন থেকে সরে দাড়িয়েও পেয়েছেন ৮১৪ ভোট।

সদর উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ছিল ২ লক্ষ ১৮ হাজার ৮০৪ ভোটার। এর মধ্যে ১ লক্ষ ৯ হাজার ৪৬৩ জন পুরুষ এবং ১ লক্ষ ৯ হাজার ৩৪০ জন নারী ভোটার।

পড়ুন মুজিবনগরের নতুন চেয়ারম্যান আমাম হোসেন মিলু




ফেড কাপের ফাইনালে মোহামেডান

মুন্সীগঞ্জের গ্যালারিতে কয়েক শ দর্শক সাদাকালো পতাকা হাতে। কয়েক দিন আগের মতো রোদের তাপ নেই বলে সমর্থকরা লাফালাফি করেও থেমে গেল, মোহামেডান গোল হজম করেছে। ফেডারেশন কাপ ফুটবলের প্রথম সেমিফাইনাল পুলিশের বিপক্ষে। দ্বিতীয়ার্ধে কিছু বুঝে উঠার আগেই গোল হজম করে পিছিয়ে যায় মোহামেডান। ৪৭ মিনিটে উজবেকিস্তানের ফরোয়ার্ড আখররবেক উকতামভ দর্শনীয় গোল (১-০) করে পুলিশকে প্রথমবারের মতো ফাইনালে উঠার স্বপ্ন দেখাচ্ছিলেন। সেই স্বপ্ন ভেঙে খান খান করে দিতে খুব বেশি সময় লাগেনি মোহামেডানের।

বিতীয়ার্ধে মোহামেডান ঝলসে উঠল। গোল ফিরিয়ে দিল, ম্যাচ জয়ের গোলও করল। আর তাতেই মোহামেডান ২-১ গোলে পুলিশকে হারিয়ে ফাইনালের টিকিট পেয়ে গেল। মোহামেডান সমর্থকরা আনন্দে আত্মহারা। লাফালাফি করে কেউ মাঠে ঢুকে গেলেন। মোহামেডান ফুটবলাররা ঢাকায় ফেরার বাসে উঠতে গেলে সেখানেও সমর্থকদের ভিড় সামাল দিয়ে উঠতে হয়। ছবি তোলার জন্য সমর্থকরা ভিড় করে।

৬৮ মিনিটে নাইজেরিয়ার এমানুয়েল সানডের গোলে সমতা আনে মোহামেডান, ১-১। ৭৯ মিনিটে শারিয়ার ইমনের দর্শনীয় হেড (২-১) পুলিশের গোলরক্ষক বুঝে উঠতে পারেননি। লিগের ফিরতি পর্বে ড্র করে পয়েন্ট হারানোর প্রতিশোধটাও নিয়ে নিল মোহামেডান। ফেডারেশন কাপ ফুটবলের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন তারা। গতবার কুমিল্লায় টাইব্রেকিংয়ে আবাহনীকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। এবার ফাইনাল ২১ মে, ময়মনসিংহে। মোহামেডানের প্রতিপক্ষ নির্ধারণ হবে মুন্সীগঞ্জে বসুন্ধরা-আবাহনীর ম্যাচে ১৪ মে।

সূত্র: ইত্তেফাক




মুজিবনগরে জাল ভোটের অপরাধে তিনজনের জেল জরিমানা

জাল ভোট দেওয়ার অপরাধে মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলা নির্বাচনে তিন জনকে জেল জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। আজ বুধবার বিকেলে বাগোয়ান প্রাথমিক বিদ্যালয় ও বিশ্বনাথপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে পৃথক ভ্রাম্যমাণ আদালত এই দন্ডাদেশ দেয়। ‌

ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, জাল ভোট দেওয়ার অপরাধে বাগোয়ান ভোট কেন্দ্র থেকে হৃত্বিক ও বাবুল নামের দুজনকে আটক করা হয়। একই সময় বিশ্বনাথপুর ভোটকেন্দ্র থেকে আটক করা হয় মাহফুজ হোসেনকে। ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাদেরকে দন্ডবিধির ১৮৬০ এর ৭১ চ ধারার দোষী সাব্যস্ত করে দণ্ড ঘোষণা করেন। এর মধ্যে হৃত্বিককে ১ মাসের কারাদণ্ড, বাবুল শেখকে ১০ হাজার টাকা ও মাহফুজকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

গাংনী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাদির হোসেন শামীম বাগোয়ান ভোটকেন্দ্রে এবং বিশ্বনাথপুর ভোট কেন্দ্রে অভিযান পরিচালনা করেন মুজিবনগর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাজমুস সাদাত রত্ন।

অর্থদণ্ড আদায় করে দুজনকে মুক্তি এবং এক মাসের দণ্ডপ্রাপ্ত হৃত্বিককে মেহেরপুর জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জানান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাদির হাসান শামীম। ‌




প্রাণ-আরএফএল গ্রুপে চাকরির সুযোগ

প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। ট্রেইনি ইঞ্জিনিয়ার পদে প্রতিষ্ঠানটিতে কাজ করতে চাইলে আবেদন করতে পারেন।

পদের নাম

ট্রেইনি ইঞ্জিনিয়ার।

যোগ্যতা

প্রার্থীকে বিএসসি (সিএসই) পাস হতে হবে। অভিজ্ঞতা: ০২ বছর। তবে অভিজ্ঞতা ছাড়াও আবেদন করতে পারবেন। প্রার্থীর ধরন: নারী-পুরুষ। বয়স: ২২-৩০ বছর।

আবেদন প্রক্রিয়া

প্রার্থীরা বিডিজবস অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।

আবেদন শেষ তারিখ

২০ মে, ২০২৪

সূত্র : বিডিজবস ডটকম




৬ ঘন্টায় মেহেরপুর সদরে ১৪ ও মুজিবনগরে ২২ শতাংশ ভোট পোল

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে মেহেরপুর সদর ও মুজিবনগর উপজেলা পরিষদের ভোট গ্রহণ চলছে। বেলা ২ টা পর্যন্ত সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ১৪ শতাংশ ও মুজিবনগর উপজেলায় ২২ শতাংশ ভোট পোল হয়েছে।

সদর ও মুজিবনগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের রিটানিং অফিসার মোহাম্মদ ওয়ালীউল্লাহ এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেছেন, বেলা ২ টা পর্যন্ত সদর উপজেলায় ৯৪ টি ভোট কেন্দ্রে ২৮ হাজার ৩৫০ ও মুজিবনগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ৩৫ টি ভোট কেন্দ্রে ১৩ হাজার ৯৯১ ভোট পোল হয়েছে।

সরেজমিনে সদর ও মুজিবনগর উপজেলার বিভিন্ন ভোট কেন্দ্রগুলোতে পরিদর্শনে দেখা গেছে, ভোটকেন্দ্রগুলো নিরুত্তাপ। ভোটার সংখ্য খুবই কম। ভোটার বিহীন ভোট কেন্দ্রগুলোতে অলস সময় পার করছেন নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত পুলিশ ও আনসার সদস্যরা। এছাড়া ভোটকেন্দ্রের বুথগুলোতেও অলস সময় পার করছেন প্রিজাইডিং, সহকারি প্রিজাইডিং অফিসার, পোলিং অফিসার ও প্রার্থীদের এজেন্টরা। অনেক ভোট কেন্দ্রে বাইরে থেকে বোঝার উপায় নেই এটি ভোট কেন্দ্র।
সদর উপজেলার শ্যামপুর বালিকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে ঘুরে দেখা গেছে, ৩ ঘন্টা ১০ মিনিটের সময় সকাল ১১ টা ১০ মিনিটে ভোট পোল হয়েছে মাত্র ৯১ ভোট। এখানে মোট ভোটার সংখ্যা ২৪৯০। ওই ভোট কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার আলমগীর হোসেন এই তথ্য নিশ্চিত করেন। বেলা ১২ টার সময় একই উপজেলার শ্যামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে দেখা গেছে বেলা সাড়ে ১২ টার সময় ভোট পোল হয়েছে ২০০। এখানে মোট ভোটার সংখ্যা ১৭৯৭। প্রিজাইডিং অফিসার মনিরুল ইসলাম বলেন, বেলা সাড়ে ১২ টা ১১.১২ শতাংশ ভোট পোল হয়েছে।

বেলতলাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে ২১৪৫ ভোটের মধ্যে বেলা ১২ টা পর্যন্ত ভোট পোল হয়েছে ৩৭৮। যা মোট ভোটের ১৭.৬২ শতাংশ। মদনাডাঙ্গার হান্নানগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে দেখা গেছে, এখানে ভোটার সংখ্যা ২১৩৩। বেলা ১ টা পর্যন্ত এখানে পোল হয়েছে ২৯৫ ভোট। যা শতকরা ১৪ ভাগ। গোপালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে দেখা গেছে বেলা দেড়টা পর্যন্ত ভোট পোল হয়েছে ৪৩৫ ভোট। এখানে মোট ভোটার সংখ্যা ২৪৫৮ ভোট।

মুজিবনগর উপজেলার মোনাখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে দেখা গেছে, সকাল ১০টা ২০ মিনিট থেকে ২ ঘন্টায় পোল হয়েছে ৬৭ ভোট। এখানে মোট ভোটার সংখ্যা ২০৩৭। একই উপজেলার দারিয়াপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে দেখা গেছে, সকাল ১০ টা ২০ মিনিট থেকে ২ ঘন্টা ২০ মিনিটে ভোট পোল হয়েছে ১৯৯। এখানে ভোটার সংখ্যা ৩৩৫০। তবে সদর উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী আনারুল ইসলামের নিজ ভোট কেন্দ্র আশরাফপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে সকাল ১১ টার সময় থেকে ৩ ঘন্টার সময় ৩৯৩ ভোট পোল হয়েছে। এখানে মোট ভোটার সংখ্যা ২৮৭৬।

মেহেরপুর সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ৪ জন, ভাইসচেয়ারম্যান পদে ২ ও মহিলা ভাইসচেয়ারম্যান ৩ এবং মুজিবনগর উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান ৪ জন, ভাইসচেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইসচেয়ারম্যান পদে ২ জন করে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন।
এই দুটি উপজেলায় মোট ভোটারের সংখ্যা ৩ লাখ ৩০৬৩ জন।




‘মা লো মা’ গান নিয়ে বিতর্ক

কোক স্টুডিও বাংলার সিজন তিনের দ্বিতীয় গান ‘মা লো মা’ প্রকাশের পর লুফে নিয়েছিল এক শ্রেণির শ্রোতারা। ছাদ পেটানো গানের স্মৃতি, লোকগান ও র‍্যাপের মিশেলে এ পরিবেশনের ছন্দে নেটিজেনরা যখন দুলছেন তখন হঠাৎ পতন ঘটলো মিথ্যাচারের অভিযোগে।

গানটির গীতিকারের নাম নিয়ে মিথ্যাচার করা হচ্ছে বলে এমন অভিযোগ তোলা হয়েছে। ‘মা লো মা’ গানটির গীতিকারের ঘরে খালেক দেওয়ানের নাম উল্লেখ করলেও দাবি করা হচ্ছে তথ্যটি মিথ্যা। গানটি নেত্রকোনার বাউল রশিদ উদ্দিনের লেখা।

বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছে বাউল রশিদ উদ্দিনের জন্মস্থান নেত্রকোণার সংস্কৃতিকর্মীরা। সোমবার নেত্রকোনায় সামাজিক-সাংস্কৃতিক-সাহিত্য সংগঠনসমূহ ও সম্মিলিত নাগরিক সমাজের ব্যানারে কোক স্টুডিও বাংলার বিরুদ্ধে অনৈতিকভাবে গানটি বাউল আব্দুল খালেক দেওয়ানের লেখা বলে প্রচারের অভিযোগ এনে মানবন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন করেছেন স্থানীয় সংস্কৃতিকর্মীরা।

কোক স্টুডিও বাংলার সদ্য প্রকাশিত ‘মা লো মা’ গানটির সংগীত পরিচালনায় ছিলেন প্রীতম হাসান। এ বিষয়ে তার সঙ্গে কথা বলতে গেলে ব্যস্ততার অযুহাতে এড়িয়ে যান তিনি। কথা বলার সময় না দিয়েই তিনি বলেন, ‘আপনাদের যত প্রশ্ন আছে কোক স্টুডিওকে করুন। আমি এ বিষয়ে কথা বলতে চাচ্ছি না।’

পরে বিষয়টি নিয়ে কোক স্টুডিও বাংলা একটি বিবৃতি দেয়। বিবৃতিতে বলা হয়, ‘‘কোক স্টুডিও বাংলা একজন শিল্পীর সৃজনশীলতা ও মেধা সম্পদের মৌলিকত্বের গুরুত্ব অনুধাবন এবং মূল্যায়ন করে। আমাদের প্রতিটি গান সতর্কতার সাথে যাচাই করা হয় এবং ন্যায়সঙ্গত শিল্পীকে প্রাপ্য কৃতিত্ব দেওয়া হয়। ‘মা লো মা’ গানটি মো. খালেক দেওয়ানের লেখা। তার বংশধর আরিফ দেওয়ান ও সাগর দেওয়ান এই গানে পারফর্ম করেছেন। ‘মা গো মা’ নামে এই গানের আরও একটি সংস্করণ আছে, যা বাউল রশিদ উদ্দিনের লেখা। গান দুটির মধ্যে বিভ্রান্তি এড়াতে ‘মা লো মা’ গানটি প্রকাশের সময়ই ইউটিউবে গানটির বর্ণনায় রশিদ উদ্দিনের নামও উল্লেখ করা হয়েছে।’

ইউটিউবে গানটির বর্ণনায় চোখ রাখলে দেখা যায় বিষয়টি পরিষ্কার করেছে কোক স্টুডিও বাংলা। সেখানে বাউল রশিদ উদ্দিনের নামও উল্লেখ করা হয়েছে। লেখা হয়েছে, মা লো মা লিখেছেন মো. খালেক দেওয়ান (গানটির আরেকটি সংস্করণ লিখেছেন বাউল রশিদ উদ্দিন, নাম ‘মা গো মা’)।

গত ৩ মে কোক স্টুডিও বাংলার ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ পেয়েছে ‘মা লো মা’ গানটি। এতে কণ্ঠ দিয়েছেরন প্রীতম হাসান, সাগর দেওয়ান, আরিফ দেওয়ান ও র‍্যাপার আলী হাসান। গানটির সংগীতায়োজনে ছিলেন প্রীতম হাসান। প্রকাশের চার দিনে ৪১ লাখের অধিক মানুষ শুনেছে গানটি।

সূত্র: ইত্তেফাক