দর্শনার পল্লী চিকিৎসক সজলের বিরুদ্ধে দেহভোগের অভিযোগ

দর্শনার পল্লী চিকিৎসক সজলের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দেহভোগের অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে ভক্তভোগী ওই নারী পল্লী চিকিৎসক সজলের নামে থানা পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছে। অভিযোগ পেয়ে পুলিশ অভিযুক্ত পল্লী চিকিৎসক সজল ডাক্তারের চিকিৎসালয় কেন্দ্রে যায়।

এ ঘটনা নিয়ে দর্শনা পুরাতন বাজার ও এলাকা জুড়ে বইছে আলোচনা- সমালোচনার ঝড়।

অভিযোগে জানা যায়, মোবাইল ফোনের মাধ্যমে দর্শনা পুরাতন বাজারের নিপা মেডিকেল হলের পল্লী চিকিৎসক সজল ডাক্তারের (৪৫) সাথে পরিচয় হয় ৩৫ বছর বয়সী স্বামী পরিত্যাক্তা এক নারীর। তাদের মধ্যে মোবাইল ফোনে কথােপকথনেরে একপর্যায় ঘণিষ্টতা হয়। এ ঘণিষ্ঠতার সূত্র ধরে মিথ্যা বিয়ের প্রলোভনে পল্লী চিকিৎসক সজল ওই নারী সহিত অবৈধ্য সম্পর্ক গড়ে তোলে।

তাদের মধ্যে অবৈধ্য সম্পর্ক স্থাপনের পর ওই নারীকে বিবাহ করবেনা বলে হুমকি-ধামকী দেওয়া হচ্ছে।

অভিযোগকারীর অভিযোগে আরও উল্লেখ করেছন, এ বিষয়ে চলতি মাসের ১ ডিসেম্বর সকাল ১০ টার সময় আমি এতটুকু বলি যে আপনি আমাকে বিবাহ করবেন বলে আমার সহিত সম্পর্ক স্থাপন করে। স্পর্কের কথা বলাতে সে আমাকে সম্পূর্ন রুপে অস্বীকার করে এবং আমাকে বিয়ে করবেনা এ মর্মে হুমকি প্রদান করে। তার হুমকি-ধামকী ও ভয়ভীতি দেওয়াতে আমি নিরাপত্তাহীনতা গ্রস্ত হয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা করিতে দর্শনা থানায় অভিযুক্ত সজল ডাক্তারের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ করেছি।

এ ঘটনা ধামাচাপা দিতে সজল ডাক্তার বিভিন্ন মহলে শুরু করেছে তদবির। তবে এ ঘটনাটি মিমাংশায় উভয়পক্ষ বসবে বলে একটি সুত্র জানিয়েছে।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত সজল ডাক্তার বলেন, আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদ দিচ্ছে ওই নারী। তবে সে তার ভূল বুঝতে পেরে থানা থেকে তার করা অভিযোগ তুলে নিয়েছে।

এবিষয়ে অভিযোগ তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই নীতিশ বিশ্বাস বলেন, এমন একটি অভিযোগ আমি পেয়েছি। অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ে আমি তদন্ত করছি। তদন্ত সত্যতা মিললে পরবর্তীতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

দর্শনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিপ্লব কুমার সাহা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন এমন একটি অভিযোগ পেয়েছি অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ে অভিযোগ তদন্ত করছে থানার এসআই নীতিশ বিশ্বাস।তবে অভিযোগের সত্যতা পেলে তার বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।




আলমডাঙ্গার ১ নং ওয়ার্ডে নৌকার মিছিল ও পথসভা অনুষ্ঠিত

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বিচনে চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুনের নৌকা প্রতিকের পক্ষে আলমডাঙ্গায় নির্বাচনী পথসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ রোববার সন্ধ্যায় পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের স্টেশন এলাকায় এ পথসভা অনুষ্ঠিত হয়। ১নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত নৌকা প্রতিকের এ পথসভার পূর্বে বিকেল সাড়ে ৫ টার দিকে একটি নির্বাচনি মিছিল এলাকার বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে পথসভা অনুষ্ঠিত হয়।

পথসভায় বক্তাগণ বলেন,নৌকা হলো উন্নয়ন ও অগ্রগতির প্রতিক। নৌকা বিজয়ী হলেই দেশের উন্নয়ন হয়। আজকে এই ১৫ বছরে আওয়ামীলীগ সরকার দেশে যে উন্নয়ন করেছে,তা আপনাদের কারো অজানা নয়। উন্নয়নের এই ধারা অব্যাহত রাখতে আবারও নৌকায় ভোট দিতে হবে। ছেলুন জোয়ার্দ্দারকে বিজয়ী করে শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে হবে।

১নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন ৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও সাধারণ সম্পাদক জহুরুল ইসলাম স্বপন, গাংনী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাংগাঠনিক সম্পাদক সামসুল ইসলাম সামু, দপ্তর সম্পাদক রিপন, চিৎলা ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা টিটু, উপজেলা ছাত্রলীগের দপ্তর সম্পাদক রিমন, প্রচার সম্পাদক আলো, ছাত্রলীগ নেতা শান্ত, জিংকু, সৌরভ, রাজন, পিয়াস, তোতা, দেলোয়ার হোসেন, মামুন, শাহিন প্রমুখ।




দামুড়হুদায় ভৈরব নদী ও কৃষি জমির মাটি উত্তোলন করে বিক্রি:নিরব প্রশাসন

দামুড়হুদায় প্রকাশ্যে কৃষি জমি-ভৈরব নদীর মাটি উত্তোলন করে বিক্রি করছে চিহ্নিত ভূমিদস্যুরা। অবৈধভাবে ভৈরব নদী ও কৃষি জমির মাটি উত্তোলন করেও তারা রয়েছে ধরাছোঁয়ার বাইরে। ভূমিদস্যুরা অবৈধ পন্থায় মাটি উত্তোলন করলেও প্রশাসন রয়েছে নিরব।

অভিযোগের প্রেক্ষিতে জানা যায়, দামুড়হুদা উপজেলার সদর ইউনিয়নের পাঠাচোরা গ্রামের ভৈরব নদীর তীরবর্ত্তী স্থান থেকে অদৃশ্য কারণে প্রতিদিন ভেকু মেশিনের সাহায্যে ১৫ টি অবৈধ ট্রাক্টর যোগে মাটি কেটে উপজেলার বিভিন্ন অবৈধ ইটের ভাঁটায় বিক্রি করছেন ভূমিদস্যু সিন্ডিকেটের সক্রিয় সদস্যরা। তবে পাঠাচোরা থেকে কে বা কাহারা ভৈরবের মাটি চুরি করে বিক্রি করছেন এমন তথ্য স্থানীয়রা সঠিক ভাবে না জানালেও তারা জানান উপজেলার সদর ইউনিয়নের বদনপুর ও নাপিতখালী গ্রামের দুইজন এ কাজের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট রয়েছেন।

ঘটনাস্থলে দেখা যায় চুরি করা ভৈরব নদীর পাড় থেকে মাটি ট্রাক্টরে নেওয়ার জন্য সারিবদ্ধ ভাবে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় বেশকিছু ট্রাক্টর। আর এ সকল ট্রাক্টরগুলোতে মাটি ভর্তি করে দিতে সাহায্য করছেন ভেকু মেশিন নামক দানব যন্ত্রটি। যন্ত্রটি একে একে ট্রাকগুলোতে মাটি ভরাট করে দিচ্ছে, মাটি ভরা শেষ হলেই ঘটনাস্থল থেকে অবৈধ ট্রাক্টরগুলো ছুটছে গন্তব্য স্থানে। আর এভাবেই উল্লেখিত স্থান থেকে প্রতিনিয়তই সকাল ৬ টা থেকে চলছে মাটি চুরি করে বিক্রি’র উৎসব।

সচেতন মহল বলছেন, ভৈরব নদী খনন কাজের মাটি দিয়ে নদীর পাড় না বেধে তা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ভূমিদস্যুরা চুরি করে নিজের ব্যাক্তিগত সম্পত্তির মতো করে অবাধে বিক্রি করে আসছেন। মাটি গুলো রাতের আঁধার কিংবা দিনের আলোতে প্রকাশ্যে বিক্রি করছেন ইটের ভাঁটাতে। আপাতদৃষ্টিতে মনে হচ্ছে সংশ্লিষ্টারা দেখেও না দেখার ভান করছন, এটি খুবই দুঃখজনক। তাঁরা আরও জানান, এতে করে নদী পাড়ের কৃষি জমি ভাঙ্গন সহ আশপাশের রাস্তা ও বাড়ি ঝুঁকিতে থাকবেন। ফলে দ্রুত ভৈরব নদীর মাটি চুরি বন্ধে প্রশাসন কঠোর হস্তক্ষেপ প্রয়োজন।

এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য মো: আব্দুল আলিমের সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, এ বিষয়ে আমি তেমন কিছু জানিনা। আর বিশেষ করে ভূমিদস্যুদের সাথে আমি কোন সম্পর্ক রাখিনা।

চুয়াডাঙ্গা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফ আহমেদ বলেন, ভৈরব নদ খননের উদ্বৃত্ত মাটি উত্তোলন বা বিক্রি করতে কাউকে অনুমোদন/ইজারা দেয়া হয়নি। যদি কেউ তা বলে থাকে তবে মিথ্যা বলেছে। আর যারা মাটি উত্তোলন করছে তারা অবৈধ পন্থা অবলম্বন করছে। তিনি আরো বলেন, যদি ভৈরব নদ খননের উদ্বৃত্ত মাটির কারণে জণগণের চলাচলের রাস্তায় বিঘ্ন ঘটে তাহলে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) স্টিমেট করে ইজারা দিতে পারেন। তবে এখন পর্যন্ত দামুড়হুদা উপজেলায় কাউকে ইজারা দেয়া হয়নি।

দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রোকসানা মিতা বলেন, বিষয়টি পানি উন্নয়ন বোর্ডের। পানি উন্নয়ন বোর্ড কোনো প্রকার ইজারা দিয়েছেন কিনা আমার জানা নেই।




কোটচাঁদপুরে স্বতন্ত্র প্রার্থী এ্যাডঃ শফিকুল আজম খান চঞ্চলের জনসংযোগ

কোটচাঁদপুর শহরের জনসংযোগ চালিয়েছেন, ঝিনাইদহ- ৩ আসেনর সংসদ সদস্য, স্বতন্ত্র প্রার্থী এ্যাডঃ শফিকুল আজম খান চঞ্চল। ভোটারদের কাছে ভোট চাইলেন ট্র্যাক প্রতীকে। এ সময় জয়ের ব্যাপারে আশাও প্রকাশ করেন তিনি।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, (কোটচাঁদপুর-মহেশপুর) এ দুই উপজেলা নিয়ে ঝিনাইদহ- ৩ সংসদীয় আসন গঠিত। গেল ১৮ তারিখ প্রতীক বরাদ্ধ করেন নির্বাচন কমিশন। এরপর থেকে প্রার্থীরা ছুটছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে। বিতরণ করছেন নির্বাচনী প্রতীক সংম্বলিত লিফলেট।

এর ধারাবাহিকতায় আজ রবিবার বিকেলে কোটচাঁদপুর সোনি আবাসিকের সামনে থেকে জনসংযোগ শুরু করেন সংসদ সদস্য এ্যাডঃ শফিকুল আজম খান (স্বতন্ত্র প্রার্থী)। এরপর তিনি বলুহর বাসস্ট্যান্ড, কোটচাঁদপুর হাসপাতাল মোড়, ব্রীজঘাট মোড়, বাজারসহ পৌর শহরে জনসংযোগ চালান।

এ সময় সঙ্গে ছিলেন, কোটচাঁদপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাজাহান আলী, সহ-সভাপতি ফারজেল হোসেন মন্ডল, লুৎফর রহমান, কৃষক লীগ নেতা আনোয়ার হোসেন মুকুল, স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা লিমন হোসেন, ছাত্রলীগ নেতা রাব্বি হাসান, আল-আমীন হোসেন, প্রদীপ হালদার।

এ সময় নির্বাচন সুষ্ট হলে জয়ী হওয়ার ব্যাপারে আশাও প্রকাশ করেন সংসদ সদস্য।




দেশী বিদেশী যে কোন অশুভ শক্তি মোকাবেলার সক্ষমতা আছে এই সরকারের : ইনু

বিদেশী বিভিন্ন ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত মোকাবেলা করবো বলে জানিয়েছেন জাতীয় সমাজতান্ত্রীক দল-জাসদ সভাপতি, কুষ্টিয়া-২ (মিরপুর-ভেড়ামারা) আসনে ১৪ দলের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী হাসানুল হক ইনু।

তিনি বলেন, জনগনের রায় নিয়ে আগামী ৫ বছরে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এই সরকারই দেশকে স্মার্ট এবং সুশাসনের বাংলাদেশ বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলবে। দেশী বিদেশী যে কোন অশুভ শক্তি মোকাবেলার সক্ষমতা আছে এই সরকারের।

রবিবার সকালে হাসানুল হক ইনু কুষ্টিয়ার মিরপুর বাজার থেকে গণসংযোগ শুরুর আগে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আমি আওয়ামীলীগের প্রার্থী, জাসদের প্রার্থী। আবার আমি ওয়ার্কাস পাটর্ির প্রার্থী এবং সবচেয়ে বড় কথা হলো আমি জোটনেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মনোনীত প্রার্থী। এই প্রার্থীর কাজ হচ্ছে যে কোন মুল্যে শান্তি বজায় রেখে মাস্তানমুক্ত এবং সন্ত্রসামুক্ত নির্বাচন অনুষ্ঠান করা। তাদের ভুমিকা রাখা এবং রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে সাম্প্রদায়ীক জঙ্গীবাদী বিএনপি চক্রকে ক্ষমতার বাইরে রাখতে ভুমিকা রাখা। এই যে কাজটা, এই কাজ নৌকার প্রাথী হিসেবে আমাকে করতে হবে। এবং শেখ হাসিনার নির্দেশে রাজনৈতিক শান্তি একদিকে বজায় রাখবো, উন্নয়নের ধারা অব্যহত রাখবো।

তিনি আরও বলেন, ১৪ দলীয় জোটের প্রার্থী হিসেবে এখানে (মিরপুর-ভেড়ামারা) আমি নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছি। ১৪ দলের নেত্রী শেখ হাসিনার পরিষ্কার নির্দেশ হচ্ছে ১৪ দলের শরীক দলকে নৌকার প্রতীকের প্রার্থীকে বিজয়ী করা। সেই নির্দেশনা অনুযায়ী আওয়ামীলীগ ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনেসহ জাসদের নেতাকর্মীরা নির্বাচনে অংশ নিতে হবে।

মিরপুর পৌর আ’লীগের সভাপতি পৌরসভার মেয়র এনামুল হককে সাথে নিয়ে মানুষের কাছে নৌকায় ভোট প্রার্থনা করেন।




যারা নির্বাচন আটকাতে পারছে না তারা নির্বাচনের পর সরকারকেও টলাতে পারবে না : হানিফ

‘নির্বাচনের পর সরকারকে বেকায়দায় ফেলার ক্ষমতা কারোর নেই’ বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ।

তিনি বলেন, যারা নির্বাচন আটকাতে পারছে না তারা নির্বাচনের পর সরকারকেও টলাতে পারবে না। এইসব মোকাবেলা করার সক্ষমতা আওয়ামী লীগ সরকারের আছে।

রবিবার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুরে কুষ্টিয়ার হরিনারায়ণপুর ইউনিয়নে নির্বাচনী পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

হানিফ বলেন, বিএনপি-জামায়াত তাদের রাজনৈতিক আদর্শের কারণে নির্বাচনে আসেনি। তাদের রাজনীতির উদ্দেশ্য যদি দেশের উন্নয়নের জন্য, জনকল্যাণে হয় তাহলে এই নির্বাচন দল-মত নির্বিশেষে সবাই সমর্থন করুন।

আওয়ামী লীগের এই নেতা আরও বলেন, মানুষের কাছে উন্নয়ন-অগ্রগতির পাশাপাশি দরকার শান্তি। একসময় এই কুষ্টিয়া সন্ত্রাসী জনপদ এলাকা ছিল। আমার লক্ষ্য ছিল উন্নয়নের পাশাপাশি কুষ্টিয়া থেকে সন্ত্রাস নির্মূল করা। আমি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর তাদের কঠোরভাবে দমন করার চেষ্টা করেছি।

কুষ্টিয়ার উন্নয়নে আমি তৃপ্ত নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশের কাজ করছি, কুষ্টিয়ার জন্য কাজ করছি। আমি আরও বেশি বেশি এই কুষ্টিয়া উন্নয়নের কাজ করতে চাই। কুষ্টিয়ার উন্নয়নে অতীতে যেভাবে কাজ করেছি, নির্বাচিত হলে ইনশাআল্লাহ এই এলাকার উন্নয়নে যা যা প্রয়োজন তা করবো- এই প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি বলেও জানান তিনি।

এসময় জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আজগর আলীসহ দলীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।




গাংনীতে নৌকার পক্ষে কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে মেহেরপুর-২ (গাংনী) আসনে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী (নৌকা মার্কা) ডাক্তার এএসএম নাজমুল হক সাগরকে বিজয়ী করতে কর্মী সভা করেছে মেহেরপুর জেলা আওয়ামীলীগ।

কর্মী সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি মোঃ সিরাজুল ইসলাম মাস্টার, অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও গাংনী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এমএ খালেক।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মেহেরপুর ৭৪ গাংনী ২ আসনের নৌকার মনোনীত প্রার্থী ডা. এএসএম নাজমুল হক সাগর।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা হিসাবউদ্দীনসহ মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের নেত্রীবৃন্দ, গাংনী উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, গাংনী উপজেলা আওয়ামী লীগের নেত্রীবৃন্দ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, কৃষক লীগ, শ্রমিক লীগ, ছাত্র লীগ, মহিলা লীগ সহ গাংনী উপজেলার বিভিন্ন এলাকার নেতাকর্মী কর্মী সভায় যোগ দেন ।

নৌকার ভোট কর্মীরা বিভিন্ন এলাকায় থেকে মোটরসাইকেল ও মাইক্রোবাসে অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়। জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমএ খালেক বলেন, আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মেহেরপুর ৭৪ গাংনী ২ আসনে নৌকার মনোনীত প্রার্থী ডা. এএসএম নাজমুল হক সাগর কে বিপুল ভোটে জয়লাভ করে আমরা জননেত্রী শেখ হাসিনা কে এমপি হিসাবে উপহার দিয়ে আবারও দেশ পরিচালনর সুযোগ করে দিবো।

এদিকে নৌকার মনোনীত প্রার্থী ডা. এএসএম নাজমুল হক সাগর বলেন আজকে আপনাদের এই জনসমুদ্র দেখে আমি মুগ্ধ হয়েছি তাই আপনরা আগামী ৭ জানুয়ারিতে সবাই নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে দেশ পরিচালনা করার সুযোগ করে দিবেন।




২২ দিনেই রেমিটেন্স এলো ১৫৭ কোটি ডলার, মাস শেষে ছাড়াবে ২ বিলিয়ন

বর্তমান বিশ্ব পেক্ষাপটে দেশের অর্থনীতির সবচেয়ে আলোচিত ও উদ্বেগজনক সূচক বিদেশি মুদ্রার সঞ্চয়ন বা রিজার্ভের অন্যতম প্রধান উৎস প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্সের উল্লম্ফন অব্যাহত রয়েছে। অক্টোবর, নভেম্বরের পর বছরের শেষ মাস ডিসেম্বরেও রেমিটেন্স বা প্রবাসী আয়ের ঊর্ধ্বমূখী ধারা অব্যাহত আছে।

অক্টোবরের পর নভেম্বর মাসেও প্রায় ২ বিলিয়ন (২০০ কোটি) ডলার রেমিটেন্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। অক্টোবরে পাঠিয়েছিলেন ১৯৭ কোটি ৭৫ লাখ (১.৯৮ বিলিয়ন) ডলার; নভেম্বরে এসেছিল ১৯৩ কোটি (১.৯৩ বিলিয়ন) ডলার। বিশ্লেষকরা বলছেন ডিসেম্বরে ২ বিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিটেন্স দেশে আসবে—এটা এখন নিশ্চিত করে বলা যায়।

বাংলাদেশ ব্যাংক রোববার রেমিটেন্স প্রবাহের সাপ্তাহিক যে তথ্য প্রকাশ করেছে, তাতে দেখা যায়, বিদায়ী ২০২৩ সালের শেষ মাস ডিসেম্বরের প্রথম ২২ দিনে (১ থেকে ২২ ডিসেম্বর) ১৫৬ কোটি ৯৪ লাখ ৮০ হাজার ডলার রেমিটেন্স দেশে এসেছে। প্রতিদিনের গড় হিসাবে এসেছে ৭ কোটি ১৩ লাখ ডলার। মাসের বাকি ৯ দিনে (২৩ থেকে ৩১ ডিসেম্বর) এই হারে রেমিটেন্স আসলে মাস শেষে রেমিটেন্সের অঙ্ক ২ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে ২ দশমিক ২১ বিলিয়ন (২২১ কোটি ১৫ লাখ) ডলারে গিয়ে দাঁড়াবে। আর সেটা হলে ছয় মাসের মধ্যে সবচেয়ে বেশি রেমিটেন্স আসবে ডিসেম্বরে; গত জুনে ২.২০ বিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স এসেছিল দেশে।

গত বছরের ডিসেম্বরে এসেছিল ১৬৯ কোটি ৯৭ লাখ ডলার রেমিটেন্স। প্রতিদিনের গড় হিসাবে এসেছিল ৫ কোটি ৪৮ লাখ ডলার। নভেম্বরের রেমিটেন্স ছিল গত বছরের নভেম্বরের চেয়ে ২১ শতাংশ বেশি। ২০২২ সালের নভেম্বরে ১৫৯ কোটি ৫২ লাখ (১.৫৯ বিলিয়ন) প্রবাসী আয় দেশে এসেছিল। অক্টোবরে প্রতিদিনের গড় হিসাবে এসেছিল ৬ কোটি ৩৫ লাখ ডলার; নভেম্বরে এসেছিল ৬ কোটি ৪৩ লাখ ডলার।

ব্যাংকগুলোর আড়াই শতাংশ বাড়তি প্রণোদনায় প্রবাসী আয় বাড়ছে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদ ও ব্যাংকাররা। এছাড়া অনেক ব্যাংক বেঁধে দেওয়া দামের চেয়ে বেশি দামে রেমিটেন্স সংগ্রহ করায় প্রবাসী আয় বাড়ছে বলে জানিয়েছেন তারা।

গত সেপ্টেম্বরে ১৩৩ দশমিক ৪৪ কোটি (১.৩৩ বিলিয়ন) ডলারের রেমিটেন্স পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা। একক মাসের হিসাবে যা ছিল সাড়ে তিন বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম।

২০২০ সালের প্রথম দিকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মত বাংলাদেশেও করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। দেশে দেশে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। শুরু হয় লকডাউন; সব কিছু বন্ধ হয়ে যায়। কমতে শুরু করে রেমিটেন্স। সেই ধাক্কায় ২০২০ সালের মার্চে রেমিটেন্স ১২৭ কোটি ৬২ লাখ ডলারে নেমে আসে। এপ্রিলে তা আরও কমে ১০৯ কোটি ২৯ লাখ ডলারে নেমে আসে।

এর পর থেকে অবশ্য রেমিটেন্স প্রবাহ বাড়তে থাকে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যে দেখা যায়, ডিসেম্বরের ২২ দিনে বেসরকারি ৪৩ ব্যাংকের মাধ্যমে ১৩৭ কোটি ১৯ লাখ ১০ হাজার ডলারের প্রবাসী আয় দেশে এসেছে। রাষ্ট্রমালিকানাধীন ছয় বাণিজ্যিক ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ১৩ কোটি ৮৫ লাখ ২০ হাজার ডলার। বিশেষায়িত কৃষি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৫ কোটি ৪৭ লাখ ২০ হাজার ডলার।

এর বাইরে ৯ বিদেশি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৪৩ লাখ ৩০ হাজার ডলার। দুই বছর পর গত ২২ নভেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনার আলোকে আমদানি, রপ্তানি ও রেমিটেন্স—সব পর্যায়ে ডলারের দর ৫০ পয়সা করে কমানোর ঘোষণা দেয় বিদেশি মুদ্রা লেনদেনকারী ব্যাংকগুলোর সংগঠন বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলারস অ্যাসোসিয়েশন (বাফেদা) ও ব্যাংক নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স, বাংলাদেশ (এবিবি)। ২৩ নভেম্বর থেকে কার্যকর হয়।

২৯ নভেম্বর আরও ২৫ পয়সা কমানো হয়। দুই সপ্তাহ পর গত ১৩ ডিসেম্বর আরও ২৫ পয়সা কমানোর ঘোষণা দিয়েছে বাফেদা ও এবিবি। রোববার থেকে যা কার্যকর হয়েছে। এ নিয়ে তিন সপ্তাহের ব্যবধানে বাংলাদেশের মুদ্রা টাকার বিপরীতে বিশ্বের সবচেয়ে বড় অর্থনীতির দেশ যুক্তরাষ্ট্রের মুদ্রা ডলারের দর ১ টাকা কমেছে। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্স ও রপ্তানি আয়ের ডলার ১০৯ টাকা ৫০ পয়সা দরে কিনবে ব্যাংকগুলো। আর আমদানি নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে ১১০ টাকা দরে বিক্রি করবে।




ঝিনাইদহে ৫০০ শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ

শীতে কাপছে দেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের মানুষ। তীব্র এই শীতে সমাজের নিম্ন আয়ের মানুষকে একটু উষ্ণতা দিতে ঝিনাইদহে ৫০০ কম্বল বিতরণ করা হয়েছে।

আজ রোববার (২৪ ডিসেম্বর) সকালে শহরের আরাপপুরে আমেরিকা প্রবাসী বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থীদের সংগঠন ফোরাম ৮৬ এর আর্থিক সহযোগিতায় এলাইভ নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এ কম্বল বিতরণ করেন। সকালে কম্বল বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টু।

সেসময় দৈনিক বীরজনতা পত্রিকার সম্পাদক আর্মিজা শিরিন আক্তার এ্যামি, এলাইভ’র প্রতিষ্ঠাতা মেহেদী মাসুদ উপদেষ্টা এ্যাড. ফারহানা তানি রেশমাসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন। পরে শহরের বিভিন্ন এলাকার ৫০০ অসহায় মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ করা হয়। শীতে কম্বল পেয়ে খুশি হতদরিদ্র মানুষগুলো।




আগুন সন্ত্রাস থামছে না, দুই মাসে ২৯০ যানবাহনে আগুন

টানা হরতাল অবরোধের নামে যানবাহনে ও স্থাপনায় আগুন লাগিয়ে ভীতি তৈরি করা যেনো থামছেই না। রবিবারেও সকাল সন্ধ্যা অবরোধের মধ্যে আরেকটি বাসে আগুন দেয় অবরোধকারীরা। এ নিয়ে ২৮ অক্টোবরের প„র থেকে ২৯০ টি অগ্নিসংযোগের তথ্য দিয়েছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স। এদিকে দৈনন্দিন কাজ করতে বের হওয়া সাধারণ মানুষ বলছেন, ‘ভয়ভীতি দেখিয়ে ঘরে বন্দি করে রাখতে পারবে না। আমাদের কাজ করে খেতে হয়। তাদের নিজেদের ক্ষমতায় যাওয়ার লোভে আমাদের মতো খেটে খাওয়া মানুষদের ভয় দেখানোর দিন শেষ। শ্রমজীবী মানুষ কাজের জন্য রাস্তায় নেমে যাওয়ায় কবে হরতাল আর কবে অবরোধ সেটা বুঝতেই পারবেন না।’

রবিবার রাজধানীর পোস্তগোলা এলাকায় সালাউদ্দিন পাম্প এর পাশে রাইদা পরিবহনের একটি বাসে আগুন দিয়েছে অবরোধকারীরা। বেলা ২টা ৪০ মিনিটে আগুনের খবর পায় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স। খবর পেয়ে আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট ঘটনাস্থলে রওনা দেয় ।

এর আগে সকালে রাজনৈতিক দলের ডাকা অবরোধ ও হরতালে গত ২৮ অক্টোবর থেকে ২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত ২৯০টি অগ্নিসংযোগের খবর পেয়েছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স। এতে ২৮৫টি যানবাহন ও ১৫টি স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। অগ্নিসংযোগকৃত যানবাহনের মধ্যে ট্রাক ৪৫টি, কাভার্ডভ্যান ২৩টি, মোটরসাইকেল ৮টি ও অন্যান্য গাড়ি ২৯টি।

এর আগে বিএনপি-জামায়াত ও সমমনা দলগুলোর ডাকা অবরোধ কর্মসূচি শুরু হওয়ার আগেই রাজধানীতে তিনটি বাসে আগুন দেওয়া হয়। গুলিস্তানে রজনীগন্ধা, কলাবাগানে শিকড় ও মিরপুর-১৩ নম্বরে ট্রাস্ট পরিবহনের বাসে অগ্নিসংযোগ করা হয়। শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) রাত সোয়া ৯টা থেকে রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত সময়ে এসব অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।

বিএনপি-জামায়াতের ডাকা অবরোধে দিনের বেলায় ঢাকায় পিকেটারদের কোনো তৎপরতা থাকছে না। তবে সন্ধ্যার পর থেকেই নগরীর এখানে ওখানে যানবাহনে আগুনের খবর আসছে। প্রথম এক দুইদিন রাজধানী ঢাকায় সড়কে মানুষ কম নামলেও পরে কর্মস্থলে যেতে বাধ্য হয়েছে।

গত ২৮ অক্টোবর থেকে বিএনপি সহিংসতা শুরু করেছে। সেদিন থেকে নিয়মিতভাবে বিএনপি-জামায়াত ও তাদের জোটের কিছু বামদল হরতাল-অবরোধ পালন করছে। এসময়ে বিএনপি হরতাল-অবরোধ দিয়ে বাসে ট্রাকে যানবাহনে আগুন দিয়েছে সবজিবাহী ভ্যানে আগুন দিয়েছে, রেলে আগুন ধারাবাহিকভাবে দিয়েছে- এসব আগুন সন্ত্রাস করে এখন বিএনপি-জামাত ও তাদের জোটরা আগামী নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে না।