২০২৩ জুড়ে ক্রিকেটে অস্ট্রেলিয়ার রাজত্ব

২০২৩ সালকে বিদায় করে নতুন বছরকে বরণ করে নিতে প্রস্তুত পুরো বিশ্ব। ক্রিকেটে বেশ ঘটনাবহুল একটি বছর ছিল ২০২৩। আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল, এশিয়া কাপ থেকে শুরু করে ওয়ানডে বিশ্বকাপের ১৩তম আসর অনুষ্ঠিত হয় এই বছরে। চলুন এক নজরে দেখে নেওয়া যাক ২০২৩ সালে বিশ্ব ক্রিকেটের হালচাল।

টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ

ক্রিকেটে আন্তর্জাতিক সিরিজের পাশাপাশি জুনে অনুষ্ঠিত হয় বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের দ্বিতীয় ফাইনাল। টানা দ্বিতীয়বার ফাইনালে জায়গা করে নেয় ভারত। আর ফাইনালে তাদের সঙ্গী হয় অস্ট্রেলিয়া। ইংল্যান্ডের ওভালে অনুষ্ঠিত ফাইনালে টস জিতে অস্ট্রেলিয়াকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় ভারত। প্রথমে ব্যাট করে ট্রাভিস হেড ও স্টিভেন স্মিথের সেঞ্চুরিতে ৪৬৯ রানে অলআউট হয় অস্ট্রেলিয়া।

জবাবে ২৯৬ রানে অলআউট হয় ভারত। ১৭৩ রানের লিড নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করে ৮ উইকেট হারিয়ে ২৭০ রানে ইনিংস ঘোষণা করে অজিরা। জয়ের জন্য ভারতের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ৪৪৪ রানের। বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে অজি বোলারদের তোপের মুখে ২৩৪ রানে অলআউট হয় ভারত। ২০৯ রানের বড় জয়ে প্রথমবারের মতো টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জেতে অস্ট্রেলিয়া। অন্যদিকে টানা দুই ফাইনাল হারের তেঁতো স্বাদ পায় ভারত।

অ্যাশেজ

টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জয়ের সুখস্মৃতি নিয়ে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে মর্যাদার অ্যাশেজ লড়াইয়ে নামে অস্ট্রেলিয়া। অ্যাশেজে দিয়ে অবসর ভেঙে টেস্টে ফেরেন ইংলিশ অলরাউন্ডার বেন স্টোকস। প্রথম ম্যাচে ২ উইকেটের রুদ্ধশ্বাস এক জয় পায় অস্ট্রেলিয়া। এরপর দ্বিতীয় ম্যাচে ইংল্যান্ডকে ৪৩ রানে হারায় অজিরা।

তবে তৃতীয় ম্যাচে অস্ট্রেলিয়াকে ৩ উইকেটে হারিয়ে লড়াইয়ে ফেরে ইংল্যান্ড। চতুর্থ ম্যাচ ড্র হয়। আর তাই পঞ্চম ও শেষ ম্যাচ বাঁচা-মরার লড়াই হয়ে দাঁড়ায় ইংল্যান্ডের জন্য। শেষ ম্যাচে ৪৯ রানের জয়ে ২-২ এ সমতায় থেকে অ্যাশেজ শেষ করে ইংল্যান্ড। সিরিজ সমতায় শেষ হলেও অ্যাশেজ নিজেদের দখলে অজিরা।

এশিয়া কাপ

সেপ্টেম্বরে মাঠে গড়ায় এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্বের আসর এশিয়া কাপ। পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিত হাইব্রিড মডেলের এই আসরের ফাইনালে মুখোমুখি হয় ভারত ও স্বাগতিক শ্রীলঙ্কা। কলোম্বোয় অনুষ্ঠিত ফাইনালে স্বাগতিক শ্রীলঙ্কাকে বিশাল এক হারের লজ্জা উপহার দেয় ভারত। ফাইনালে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে চরম ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে লঙ্কানরা।

ভারতীয় পেসার মোহাম্মদ সিরাজের বোলিং তোপে মাত্র ৫০ রানে অলআউট হয় শ্রীলঙ্কা। ৭ ওভার বল করে ২১ রান খরচায় ৬ উইকেট নেন সিরাজ। জবাবে মাত্র ৬ ওভার ১ বলেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় ভারত। ১০ উইকেটের বড় জয়ে এশিয়া কাপের অষ্টম শিরোপা নিজেদের করে নেয় রোহিত শর্মার দল।

ওয়ানডে বিশ্বকাপ

এশিয়া কাপ শেষে ভারতের মাটিতে অনুষ্ঠিত হয় ওয়ানডে বিশ্বকাপের ১৩তম আসর। বিশ্বকাপের এই আসর ছিল রেকর্ড ভাঙা গড়ার মিছিল। বিরল এক রেকর্ড দিয়ে শুরু হয় বিশ্বকাপ। আগের আসরের দুই ফাইনালিস্ট ইংল্যান্ড-নিউজিল্যান্ড ম্যাচ দিয়ে পর্দা উঠে ভারত বিশ্বকাপের। কিউদের বিপক্ষে ইংল্যান্ডের ১১ জন ব্যাটারই দেখা পায় দুই অঙ্কের রানের। যা ওয়ানডে ইতিহাসে প্রথম।

এরপর শ্রীলঙ্কা ও দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচে হয় আরও এক রেকর্ড। দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে প্রথমে ব্যাট করে তিন ব্যাটারের সেঞ্চুরিতে ৫ উইকেট হারিয়ে ৪২৮ রানের বিশাল সংগ্রহ পায় দক্ষিণ আফ্রিকা। যা বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ দলীয় রানের রেকর্ড। এছাড়া বিশ্বকাপের ইতিহাসে এই প্রথম একই দলের তিন ব্যাটার সেঞ্চুরির দেখা পান।

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সেঞ্চুরি করে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড ভেঙে দেন প্রোটিয়া ব্যাটার এইডেন মার্করাম। ৪৯ বলে সেঞ্চুরি করে আয়ারল্যান্ডে কেভিন ও’ব্রেইনের রেকর্ড ভাঙেন মার্করাম।

তবে বিশ্বকাপেই মার্করামের সেই রেকর্ড ভেঙে দেন অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটার গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ৪০ বলে সেঞ্চুরি করে বিশ্বকাপে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড নিজের দখলে নেন ম্যাক্সওয়েল।

এই বিশ্বকাপে আরও এক রেকর্ড নিজের দখলে নেন ম্যাক্সওয়েল। এই আসরে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড গড়েন তিনি। আফগানিস্তানের বিপক্ষে ২০১ রানের বিধ্বংসী এক ইনিংস খেলেন এই অজি ব্যাটার।

এই বিশ্বকাপে ‘অদ্ভুত’ এক আউট দেখে ক্রিকেট বিশ্ব। যার সাক্ষী হয় বাংলাদেশ। বাংলাদেশ বনাম শ্রীলঙ্কার ম্যাচে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথম ব্যাটার হিসেবে ‘টাইমড আউট’ হয় লঙ্কান ব্যাটার আঞ্জেলো ম্যাথুস। অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের আবেদনের ম্যাথুসকে আউট দেন আম্পায়ার।

এই বিশ্বকাপে টানা ৯ জয়ে ফাইনালে পা রাখে ভারত। এই বিশ্বকাপে ব্যাট হাতে আলাদা করে চিনিয়েছেন দেশটির তারকা ব্যাটার বিরাট কোহলি। স্বদেশী কিংবদন্তি শচীন টেন্ডুলকারের ওয়ানডের সর্বোচ্চ সেঞ্চুরির রেকর্ড ভেঙে দিয়েছেন তিনি। টেন্ডুলকারের ৪৯ সেঞ্চুরিকে ছাড়িয়ে ৫০ সেঞ্চুরির মাইলফলক স্পর্শ করেন কোহলি।

ফাইনালে স্বাগতিক ভারতের সঙ্গী হয় টানা দুই হার দিয়ে বিশ্বকাপ শুরু করা অস্ট্রেলিয়া। পুরো টুর্নামেন্টে অপরাজিত থাকা ভারতকে হারিয়ে রেকর্ড ষষ্ঠ শিরোপা নিজেদের করে নেয় অজিরা।

ফাইনালে টস হেরে ব্যাট করে ২৪০ রানে অলআউট হয় ভারত। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ট্রাভিস হেডের সেঞ্চুরিতে ৬ উইকেটের জয়ে শিরোপা নিজেদের করে নেয় অস্ট্রেলিয়া।

সূত্র: ইত্তেফাক




অ্যান্ড্রয়েড ম্যালওয়ার আপগ্রেড করলো হ্যাকাররা

ভাইরাসের মাধ্যমে ফিঙ্গারপ্রিন্ট ও ফেস আনলক নিষ্ক্রিয় করা সম্ভব। এমনই একটি অ্যান্ড্রয়েড ম্যালওয়্যার সম্প্রতি আপগ্রেড করেছে হ্যাকাররা। এই ম্যালওয়ার ফিঙ্গারপ্রিন্ট ও ফেস আনলক নিষ্ক্রিয় করে ডিভাইসের পিন চুরি করতে পারে। ক্যামেলিয়ন ব্যাংকিং ট্রোজান নামের ভাইরাসটির নতুন সংস্করণ অনলাইনে ছড়িয়ে পড়েছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট ব্লিপিং কম্পিউটার। ভাইরাসটি সংক্রমিত ডিভাইস থেকে অনলাইন ব্যাংকিংয়ের ডেটাসহ ব্যক্তিগত তথ্য চুরি করে।

সরকারি সংস্থা, ব্যাংক ও ক্রিপ্টো এক্সচেঞ্জের ছদ্মবেশ ধারণ করে এ বছরের শুরুর দিকে ভাইরাসটির আক্রমণ দেখা গিয়েছিল। ক্যামিলিয়ন ব্যবহার করে জনপ্রিয় অ্যাপগুলোর মাধ্যমে ফোনগুলোর কুকিজ ও টেক্সট মেসেজ চুরি করে হ্যাকাররা। সেখান থেকে ডিভাইসের পিন নম্বর সংগ্রহের মাধ্যমে সংবেদনশীল তথ্য এবং ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ও অন্যান্য আর্থিক অ্যাপগুলো থেকে অর্থ চুরি করতে পারে।

অনলাইন নিরাপত্তা বিষয়ক ওয়েবসাইট থ্রেটফ্রেবিকের মতে, ক্যামেলিয়ন ম্যালওয়্যার বা ভাইরাসটি জোম্বিন্ডার সার্ভিসের ওপর ভিত্তি করে কাজ করে। তাই এগুলো শনাক্ত করা যায় না। এটি গুগল ক্রোমের ছদ্মবেশ ধারণ করে। ‘জোম্বিন্ডার’ নামের একটি ডার্ক নেট প্ল্যাটফর্মটি বৈধ অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপে ক্ষতিকর কোড যোগ করতে পারে। এর মাধ্যমে তুলনামূলক দুর্বল নিরাপত্তার অ্যাপগুলোতে ভাইরাস শনাক্ত হয় না। হ্যাকাররা গুগল প্লে প্রটেক্ট ও সবচেয়ে শক্তিশালী অ্যান্টিভাইরাসগুলোর মধ্যে ক্ষতিকর কোড বাইপাস করতে পারে।

সংক্রামিত অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনে ফিঙ্গারপ্রিন্ট বা ফেস আনলকের মতো বায়োমেট্রিক্সের ব্যবহারকে বাধা দিতে পারে নতুন সংস্করণের ক্যামেলিয়ন ব্যাংকিং ট্রোজান।

সূত্র: গ্যাজেট ৩৬০




হরিণাকুণ্ডুতে স্বতন্ত্র প্রার্থী মহুলের গণসংযোগ

ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু উপজেলার দৌলতপুর ইউপি কার্যলয়ের সামনে পৌর এলাকার আমের চারা বাজারে, জোড়াদহ ইউনিয়নের জটারখাল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ফলসি ইউনিয়নের ফলসিতে ব্যাপক গণসংযোগ করেছেন ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি রেডিয়েন্ট ফার্মাসিউটিক্যালসের চেয়ারম্যান স্বতন্ত্র প্রার্থী নাসের শাহরিয়ার জাহেদী মহুল।

গতকাল বিকালে উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়ন থেকে নির্বাচনী প্রচারাভিযান শুরু করেন। স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে প্রথম সভায় বক্তব্য রাখেন ঈগল প্রতিকের প্রার্থী নাসের শাহরিয়ার জাহেদী মহুল।

অনুষ্ঠানে হরিণাকুন্ডু উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মশিয়ার রহমান জোয়ারদার, সাইফুল ইসলাম টিপু মল্লিক, সাইদুর রহমান, সাবদার রহমান ও শাহরিয়ার জাহেদী পিপুল উপস্থিত ছিলেন। নাসের শাহরিয়ার জাহেদী মহুল বলেন, জেলার কোন দ্বায়িত্বশীল প্রতিনিধি না হয়েও আমি জেলার মানুষকে অন্তর দিয়ে ভালোবাসি। এই জেলা আমার নয়নের মনি। এরপর আমের চারা বাজারে পথসভায় বক্তব্য রাখেন তিনি। এসভা টানু মল্লিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।

এসময় তার সাথে ছিলেন উপজেলা আওয়ামী সভাপতি মশিয়ার রহমান জোয়ারদার, সাইফুল ইসলাম টিপু মল্লিক, শাহরিয়ার জাহেদী পিপুলসহ অন্যান্যরা। সন্ধ্যারপর জোড়াদহ ইউনিয়নের জটারখাল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় এক পথ সভা অনুষ্ঠিত হয়। জোড়াদহ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান নাজমুল হুদা পলাশের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন নাসের শাহরিয়ার জাহেদী মহুল। এসময় উপস্থিত ছিলেন মশিয়ার রহমান জোয়ারদার, এ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম, শাহরিয়ার জাহেদী পিপুলসহ অন্যান্যরা। নাসের শাহরিয়ার জাহেদী মহুল বলেন আমি তরুনদের নিয়ে কাজ করতে চায়। তরুনরা আমার প্রান। তরুনদের কর্মসংস্থান করাই আমার মূল লক্ষ্য হবে। আপনারা নির্ভয়ে ভোট কেন্দ্রে যাবেন যাকে ইচ্ছা তাকে ভোট দিবেন। প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্ভয়ে ভোট কেন্দ্রে যাওয়ার নিশ্চয়তা দিয়েছেন। আপনাদের ভয়ের কোন কারণ নেই। এরপর রাতে ফলসি ইউনিয়নের ফলসীগ্রামে গণসংযোগ করেন।

এই পথসভার বক্তৃতায় নাসের শাহরিয়ার জাহেদী মহুল বলেন, “উন্নয়ন দিয়ে ঝিনাইদহকে সাজাতে তিনি বদ্ধপরিকর। অন্তত ৩০ বছর ধরে আমি ও আমার পরিবার ঝিনাইদ-হরিণাকুন্ডুর মানুষকে খেদমত করে যাচ্ছি। স্কুল, কলেজ, মসজিদ ও মাদ্রাসার উন্নয়নের প্রচেষ্টা আরো জোরদার করা হবে। প্রতিটি পথসভায় শত শত কর্মী সমর্থক ও সাধারণ ভোটারের ঢল নামে। মহুল সাহেবকে একনজর দেখার জন্য এবং তাকে অভিনন্দন জানাতে রাস্তায় উৎসুক ভীড় জমে। এসময় নেতা কর্মীরা উৎসাহমূলক বিভিন্ন প্রখার শ্লোগান দিতে থাকেন।




মেহেরপুরে মুক্তিযোদ্ধাদের উদ্বুদ্ধকরণে মতবিনিময় সভা

মেহেরপুরে মুক্তিযোদ্ধাদের উদ্বুদ্ধকরণে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (২৫ ডিসেম্বর ) দুপুরে দিকে মেহেরপুর পৌর কমিউনিটি সেন্টারে এ মত বিনিময় অনুষ্ঠিত হয়।

বীর মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন আব্দুল মালেকের সভাপতিত্ব মতবিনিয়া সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর-১ আসনে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রফেসর আব্দুল মান্নান।

বীর মুক্তিযোদ্ধা জিল্লুর রহমানের সঞ্চালনায় এসময় বীর মুক্তিযোদ্ধা উম্মেদ্দিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোফাজ্জেল, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান আব্দুস সালামসহ অন্যান্য বীর মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান উপস্থিত ছিলেন।




চুয়াডাঙ্গায় ঘন কুয়াশা আর শীতে সাধারণ জীবন ব্যাহত

চুয়াডাঙ্গায় ঘন কুয়াশা আর শীত সাধারণ জীবন ব্যাহত হচ্ছে। চুয়াডাঙ্গা গতকাল রবিবার (২৪ ডিসেম্বর) সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে ।

চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রণীর আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক রকিবুল হাসান জানান,গতকাল রবিবার (২৪ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় চুয়াডাঙ্গা জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৮ শতাংশ। এদিন সকাল ৬টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৫ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস,বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ১০০ শতাংশ।

গত রবিবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ১৫ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস,বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৮ শতাংশ। এদিন সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস,বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯২ শতাংশ। সােমবার (১১ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস,বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯১ শতাংশ। এদিন সকাল ৬টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৭ শতাংশ। মঙ্গলবার (১২ ডিসম্বর) সকাল ৯টায় জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৩ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস,বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৫ শতাংশ। এদিন সকাল ৬টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৩ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস,বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৫ শতাংশ। কুয়াশার কারনে এদিন তাপমাত্রা ও বাতাসের আর্দ্রতা একই ছিল। বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস,বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯১ শতাংশ। এদিন সকাল ৬টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস,বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৪ শতাংশ। বহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১০ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস,বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৮৯ শতাংশ। এদিন সকাল ৬টায় সর্বনিম্ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস,বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৫ শতাংশ।

শুক্রবার ( ১৫ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস,বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯২ শতাংশ। এদিন সকাল ৬টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১০ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস,বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৭ শতাংশ। শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস,বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৮৬ শতাংশ। এদিন সকাল ৬টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস,বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৫ শতাংশ। রবিবার (১৭ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় চুয়াডাঙ্গা জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৮৬ শতাংশ। এদিন সকাল ৬টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস,বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৫ শতাংশ। সােমবার (১৮ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস,বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯২ শতাংশ। একদিন সকাল ৬টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১১ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস,বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৬ শতাংশ। মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস,বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৮৯ শতাংশ। এদিন সকাল ৬টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস,বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৫ শতাংশ। বুধবার (২০ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস,বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৮৮ শতাংশ। এদিন সকাল ৬টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৬ শতাংশ। বহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস,বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৭৮ শতাংশ। এদিন সকাল ৬টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস,বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৬ শতাংশ। শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস,বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৮৭ শতাংশ। এদিন সকাল ৬টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস,বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৭ শতাংশ। শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৪ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস,বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৫ শতাংশ। এদিন সকাল ৬টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৪ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস,বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৮ শতাংশ।

চুয়াডাঙ্গায় প্রচন্ড শীত জনজীবন ওষ্ঠাগত। সারা দিন শীত এ জেলায় স্বাভাবিক কর্মকান্ড ব্যাহত হচ্ছে।




মেহেরপুরের শ্যামপুর ইউনিয়নে প্রফেসর আব্দুল মান্নানের পথসভা

মেহেরপুর-১ আসনের মনোনীত স্বতন্ত্র প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক সংসদ সদস্য প্রফেসর আব্দুল মান্নানের পথসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ রবিবার বিকেলে মেহেরপুর সদর উপজেলার শ্যামপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডে স্বতন্ত্র প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক সংসদ সদস্য প্রফেসর আব্দুল মান্নানের ট্রাক প্রতীকের পথসভা অনুষ্ঠিত হয়।

পথসভায় উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর-১ আসনের মনোনীত স্বতন্ত্র প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক সংসদ সদস্য প্রফেসর আব্দুল মান্নান।

অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি এ্যাড. মিয়াজান আলী, মেহেরপুর জেলা চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি ও জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম রসুল, মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আব্দুল মান্নান (ছোট), মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানব বিষয়ক সম্পাদক এম এ এস ইমন, মেহেরপুর জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক শহিদুল ইসলাম পেরেশান, মেহেরপুর সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক মোল্লা, বঙ্গবন্ধু সৈনিকলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য এ্যাড. আমজাদ আলী, মেহেরপুর পৌর যুবলীগের যুগ্ন আহবায়ক শহিদুজ্জামান সুইট, মেহেরপুর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও মেহেরপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম সম্পাদক জুয়েল রানা সহ সহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগের বিভিন্ন নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।




কেরুজ চিনিকলের ড্রাইভার আব্বাসের বিরুদ্ধে চিটাগুড়ে পানি মেশানোর অভিযোগ

দর্শনা কেরুজ চিনিকলের পরিবহন বিভাগের কর্মরত ড্রাইভারের বিরুদ্ধে বহনকৃত চিটাগুড়ে পানি মেশানোর অভিযোগ উঠেছে। এ অভিযোগে পরিবহনের ট্যাংকির চিটাগুড় আনলোডে বাঁধ সেধেঁছে কর্তৃপক্ষ। যে কারনে আটকে দেওয়া হয়েছে পরিবহনের ট্যাংকের চিটাগুড় আনলোড।

জানাযায়, দর্শনা কেরুজ চিনিকলের পরিবহন বিভাগের নিজস্ব (ঢাকা মেট্রো-ঢ-১১-০৩৬১) নম্বরের একটি পরিবহন ট্রাক (ট্রাংকলরী) চিটাগুড় আনতে যায় নাটোর চিনিকলে। বহনকৃত পরিবহন ট্রাকটির (ট্রাংকলরী)কেরুর শ্রমিক চালক আব্বাস উদ্দিন চিনিকল হতে চিটাগুড় নিয়ে ফিরে আসেন কেরুজ চিনিকলে।

আজ রোববার সকালের দিকে ট্রাকের ট্রাংলরীর মধ্যে রক্ষিত চিটাগুড় কেরুজ চিনিকলের হাউজে ঢালার সময় চিটাগুড়ে পানি মেশানো হয়েছে এমন সন্দেহ হয় কেরুজ কর্মকর্তাদের। এতে কর্মকর্তা ট্রাকের চিটাগুড় আনলোডে বাঁধসেধে বন্ধ করে আটকে দেয় ট্রাকটি। ফলে ট্রাকের চিটাগুড় সহ ট্রাকটি পড়ে থাকে হাউজের পাশে ট্রাক লোড-আনলোড পয়েন্টের উপর।

একথা কেরুজ চিনিকল এলাকায় দ্রুত ছড়িযে পড়লে শ্রমিক ও সাধারন মানুষের মুখে নানামুখি গুঞ্জন ওঠে চালক আব্বাস উদ্দিনকে নিয়ে। ট্রাক চালক কি পথিমধ্যে চিটাগুড় বিক্রি করে ট্রাকের ট্রাংকিতে পানি মিশিয়েছে? আর পানি মিশ্রিত সেই চিটাগুড় প্রতিষ্টানকে বুঝিয়ে দেওয়ার চেষ্টা ব্যার্থ হয়ে ধরা খেলেন চালক আব্বাস?

এবিষয়ে কেরুজ ডিষ্টিলারী বিভাগের মহা-ব্যবস্থাপক রাজিবুল হাসান বলেন, চিটাগুড়ে (মুলাসেস) পানিমিশ্রিত সন্দেহে আমরা ট্রাকের রক্ষিত মাল আনলোড বন্ধ করে দিয়েছি। এ বিষয়ে নাটোর সুগার মিলের প্রডাকশন ম্যানেজারের সাথে যোগাযোগ করা হচ্ছে। সেই সাথে চিটাগুড় সংরক্ষণ করে তা পরিক্ষার জন্য ল্যাবে পাঠানো হয়েছে।।তিনি আরও বলেন পরিক্ষা শেষে জানা যাবে পানি মিশিয়েছে কিনা।




দর্শনার পল্লী চিকিৎসক সজলের বিরুদ্ধে দেহভোগের অভিযোগ

দর্শনার পল্লী চিকিৎসক সজলের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দেহভোগের অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে ভক্তভোগী ওই নারী পল্লী চিকিৎসক সজলের নামে থানা পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছে। অভিযোগ পেয়ে পুলিশ অভিযুক্ত পল্লী চিকিৎসক সজল ডাক্তারের চিকিৎসালয় কেন্দ্রে যায়।

এ ঘটনা নিয়ে দর্শনা পুরাতন বাজার ও এলাকা জুড়ে বইছে আলোচনা- সমালোচনার ঝড়।

অভিযোগে জানা যায়, মোবাইল ফোনের মাধ্যমে দর্শনা পুরাতন বাজারের নিপা মেডিকেল হলের পল্লী চিকিৎসক সজল ডাক্তারের (৪৫) সাথে পরিচয় হয় ৩৫ বছর বয়সী স্বামী পরিত্যাক্তা এক নারীর। তাদের মধ্যে মোবাইল ফোনে কথােপকথনেরে একপর্যায় ঘণিষ্টতা হয়। এ ঘণিষ্ঠতার সূত্র ধরে মিথ্যা বিয়ের প্রলোভনে পল্লী চিকিৎসক সজল ওই নারী সহিত অবৈধ্য সম্পর্ক গড়ে তোলে।

তাদের মধ্যে অবৈধ্য সম্পর্ক স্থাপনের পর ওই নারীকে বিবাহ করবেনা বলে হুমকি-ধামকী দেওয়া হচ্ছে।

অভিযোগকারীর অভিযোগে আরও উল্লেখ করেছন, এ বিষয়ে চলতি মাসের ১ ডিসেম্বর সকাল ১০ টার সময় আমি এতটুকু বলি যে আপনি আমাকে বিবাহ করবেন বলে আমার সহিত সম্পর্ক স্থাপন করে। স্পর্কের কথা বলাতে সে আমাকে সম্পূর্ন রুপে অস্বীকার করে এবং আমাকে বিয়ে করবেনা এ মর্মে হুমকি প্রদান করে। তার হুমকি-ধামকী ও ভয়ভীতি দেওয়াতে আমি নিরাপত্তাহীনতা গ্রস্ত হয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা করিতে দর্শনা থানায় অভিযুক্ত সজল ডাক্তারের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ করেছি।

এ ঘটনা ধামাচাপা দিতে সজল ডাক্তার বিভিন্ন মহলে শুরু করেছে তদবির। তবে এ ঘটনাটি মিমাংশায় উভয়পক্ষ বসবে বলে একটি সুত্র জানিয়েছে।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত সজল ডাক্তার বলেন, আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদ দিচ্ছে ওই নারী। তবে সে তার ভূল বুঝতে পেরে থানা থেকে তার করা অভিযোগ তুলে নিয়েছে।

এবিষয়ে অভিযোগ তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই নীতিশ বিশ্বাস বলেন, এমন একটি অভিযোগ আমি পেয়েছি। অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ে আমি তদন্ত করছি। তদন্ত সত্যতা মিললে পরবর্তীতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

দর্শনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিপ্লব কুমার সাহা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন এমন একটি অভিযোগ পেয়েছি অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ে অভিযোগ তদন্ত করছে থানার এসআই নীতিশ বিশ্বাস।তবে অভিযোগের সত্যতা পেলে তার বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।




আলমডাঙ্গার ১ নং ওয়ার্ডে নৌকার মিছিল ও পথসভা অনুষ্ঠিত

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বিচনে চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুনের নৌকা প্রতিকের পক্ষে আলমডাঙ্গায় নির্বাচনী পথসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ রোববার সন্ধ্যায় পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের স্টেশন এলাকায় এ পথসভা অনুষ্ঠিত হয়। ১নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত নৌকা প্রতিকের এ পথসভার পূর্বে বিকেল সাড়ে ৫ টার দিকে একটি নির্বাচনি মিছিল এলাকার বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে পথসভা অনুষ্ঠিত হয়।

পথসভায় বক্তাগণ বলেন,নৌকা হলো উন্নয়ন ও অগ্রগতির প্রতিক। নৌকা বিজয়ী হলেই দেশের উন্নয়ন হয়। আজকে এই ১৫ বছরে আওয়ামীলীগ সরকার দেশে যে উন্নয়ন করেছে,তা আপনাদের কারো অজানা নয়। উন্নয়নের এই ধারা অব্যাহত রাখতে আবারও নৌকায় ভোট দিতে হবে। ছেলুন জোয়ার্দ্দারকে বিজয়ী করে শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে হবে।

১নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন ৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও সাধারণ সম্পাদক জহুরুল ইসলাম স্বপন, গাংনী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাংগাঠনিক সম্পাদক সামসুল ইসলাম সামু, দপ্তর সম্পাদক রিপন, চিৎলা ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা টিটু, উপজেলা ছাত্রলীগের দপ্তর সম্পাদক রিমন, প্রচার সম্পাদক আলো, ছাত্রলীগ নেতা শান্ত, জিংকু, সৌরভ, রাজন, পিয়াস, তোতা, দেলোয়ার হোসেন, মামুন, শাহিন প্রমুখ।




দামুড়হুদায় ভৈরব নদী ও কৃষি জমির মাটি উত্তোলন করে বিক্রি:নিরব প্রশাসন

দামুড়হুদায় প্রকাশ্যে কৃষি জমি-ভৈরব নদীর মাটি উত্তোলন করে বিক্রি করছে চিহ্নিত ভূমিদস্যুরা। অবৈধভাবে ভৈরব নদী ও কৃষি জমির মাটি উত্তোলন করেও তারা রয়েছে ধরাছোঁয়ার বাইরে। ভূমিদস্যুরা অবৈধ পন্থায় মাটি উত্তোলন করলেও প্রশাসন রয়েছে নিরব।

অভিযোগের প্রেক্ষিতে জানা যায়, দামুড়হুদা উপজেলার সদর ইউনিয়নের পাঠাচোরা গ্রামের ভৈরব নদীর তীরবর্ত্তী স্থান থেকে অদৃশ্য কারণে প্রতিদিন ভেকু মেশিনের সাহায্যে ১৫ টি অবৈধ ট্রাক্টর যোগে মাটি কেটে উপজেলার বিভিন্ন অবৈধ ইটের ভাঁটায় বিক্রি করছেন ভূমিদস্যু সিন্ডিকেটের সক্রিয় সদস্যরা। তবে পাঠাচোরা থেকে কে বা কাহারা ভৈরবের মাটি চুরি করে বিক্রি করছেন এমন তথ্য স্থানীয়রা সঠিক ভাবে না জানালেও তারা জানান উপজেলার সদর ইউনিয়নের বদনপুর ও নাপিতখালী গ্রামের দুইজন এ কাজের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট রয়েছেন।

ঘটনাস্থলে দেখা যায় চুরি করা ভৈরব নদীর পাড় থেকে মাটি ট্রাক্টরে নেওয়ার জন্য সারিবদ্ধ ভাবে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় বেশকিছু ট্রাক্টর। আর এ সকল ট্রাক্টরগুলোতে মাটি ভর্তি করে দিতে সাহায্য করছেন ভেকু মেশিন নামক দানব যন্ত্রটি। যন্ত্রটি একে একে ট্রাকগুলোতে মাটি ভরাট করে দিচ্ছে, মাটি ভরা শেষ হলেই ঘটনাস্থল থেকে অবৈধ ট্রাক্টরগুলো ছুটছে গন্তব্য স্থানে। আর এভাবেই উল্লেখিত স্থান থেকে প্রতিনিয়তই সকাল ৬ টা থেকে চলছে মাটি চুরি করে বিক্রি’র উৎসব।

সচেতন মহল বলছেন, ভৈরব নদী খনন কাজের মাটি দিয়ে নদীর পাড় না বেধে তা উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ভূমিদস্যুরা চুরি করে নিজের ব্যাক্তিগত সম্পত্তির মতো করে অবাধে বিক্রি করে আসছেন। মাটি গুলো রাতের আঁধার কিংবা দিনের আলোতে প্রকাশ্যে বিক্রি করছেন ইটের ভাঁটাতে। আপাতদৃষ্টিতে মনে হচ্ছে সংশ্লিষ্টারা দেখেও না দেখার ভান করছন, এটি খুবই দুঃখজনক। তাঁরা আরও জানান, এতে করে নদী পাড়ের কৃষি জমি ভাঙ্গন সহ আশপাশের রাস্তা ও বাড়ি ঝুঁকিতে থাকবেন। ফলে দ্রুত ভৈরব নদীর মাটি চুরি বন্ধে প্রশাসন কঠোর হস্তক্ষেপ প্রয়োজন।

এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য মো: আব্দুল আলিমের সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, এ বিষয়ে আমি তেমন কিছু জানিনা। আর বিশেষ করে ভূমিদস্যুদের সাথে আমি কোন সম্পর্ক রাখিনা।

চুয়াডাঙ্গা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফ আহমেদ বলেন, ভৈরব নদ খননের উদ্বৃত্ত মাটি উত্তোলন বা বিক্রি করতে কাউকে অনুমোদন/ইজারা দেয়া হয়নি। যদি কেউ তা বলে থাকে তবে মিথ্যা বলেছে। আর যারা মাটি উত্তোলন করছে তারা অবৈধ পন্থা অবলম্বন করছে। তিনি আরো বলেন, যদি ভৈরব নদ খননের উদ্বৃত্ত মাটির কারণে জণগণের চলাচলের রাস্তায় বিঘ্ন ঘটে তাহলে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) স্টিমেট করে ইজারা দিতে পারেন। তবে এখন পর্যন্ত দামুড়হুদা উপজেলায় কাউকে ইজারা দেয়া হয়নি।

দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রোকসানা মিতা বলেন, বিষয়টি পানি উন্নয়ন বোর্ডের। পানি উন্নয়ন বোর্ড কোনো প্রকার ইজারা দিয়েছেন কিনা আমার জানা নেই।