৩ অক্টোবর শুরু নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ

চলতি বছরেই অনুষ্ঠিত হবে পুরুষ ও নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। যুক্তরাষ্ট্র ও ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জে ২ জুন থেকে শুরু হবে ছেলেদের বিশ্বকাপ। আর আগামী ৩ অক্টোবর বাংলাদেশে পর্দা উঠবে নারী বিশ্বকাপের। রোববার (৫ মে) দুপুরে রাজধানীর একটি হোটেলে নারীদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসরের সূচি ঘোষণা করা হয়।

৩ অক্টোবর শুরু হয়ে ২০ অক্টোবর ফাইনালের মধ্য দিয়ে পর্দা নামবে নারীদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসরের। ১০টি দলের বিশ্বকাপে দুই গ্রুপের আটটি দল চূড়ান্ত। বাকি দুটি দল আসবে বাছাইপর্ব খেলে।

বিশ্বকাপে কঠিন গ্রুপে পড়েছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। এ’ গ্রুপে ছয়বারের চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে আছে ভারত, নিউজিল্যান্ড, পাকিস্তান ও বাছাইপর্বের একটি দল। ‘বি’ গ্রুপে স্বাগতিক বাংলাদেশের সঙ্গে আছে ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, দক্ষিণ আফ্রিকা ও বাছাইপর্ব উতরে আসা এক দল।

আসন্ন বিশ্বকাপে সর্বমোট ২৩টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। বিশ্বকাপের মূল ম্যাচগুলো হবে মিরপুর হোম অব ক্রিকেট ও সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম ও সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের গ্রাউন্ড ২’তে। আর প্রস্তুতি ম্যাচের ভেন্যু বিকেএসপি।

সূচি ঘোষণা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ক্রীড়ামন্ত্রী ও বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন এবং আইসিসির প্রধান নির্বাহী জিওফ অ্যালার্ডাইস। সঙ্গে বাংলাদেশ নারী দলের অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি ও ভারত নারী দলের অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌর।

সূত্র: ইত্তেফাক




অধিগ্রহণ জটিলতায় আটকা মুজিবনগর মডেল মসজিদ

কার্যাদেশের সাড়ে চার বছর অতিবাহিত হলেও আজও জমি অধিগ্রহণের কারণে কাজ শুরু হয়নি মেহেরপুরের মুজিবনগর মডেল মসজিদের। জেলা, সদর উপজেলা ও গাংনী উপজেলা মডেল মসজিদ নির্মাণ শেষ হলেও অধরা যেন মুক্তিযুদ্ধেও স্মৃতিবিজড়িত মুজিবনগরের মডেল মসজিদটি।

মডেল মসজিদ প্রকল্পের বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, “প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় একটি করে ৫৬০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপন” প্রকল্পের আওতায় মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলা মডেল মসজিদ নির্মাণ কাজের কার্যাদেশ প্রদান করা হয় ২০১৯ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর। যার স্মারক নমং-১৭৫৯। এর আগে ওই বছরের ২০ জুন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান গ্যালাক্সি এ্যাসোসিয়েটসের সাথে বাস্তবায়নাধিন প্রতিষ্ঠান মেহেরপুর গণপূর্ত বিভাগ চুক্তি সম্পাদন করে। প্রকল্প ব্যয় ধরা হয় ১২ কোটি ৫৯ লাখ ১৬ হাজার ৪২১ টাকা। চুক্তি মোতাবেক ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান নিরাপত্তা অর্থ বাবদ ৬২ লাখ ৯৫ হাজার ৮২১ টাকা জমা প্রদান করেন।

জমি অধিগ্রহণের জন্য তৎকালীন জেলা প্রশাসক মো: আতাউল গনি ২০২০ সালের ১ জানুয়ারি ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর একটি পত্র দেন। পত্রে উল্লেখ করেন, অধিগ্রহণ কার্যক্রমের জন্য প্রস্তাবিত জমি মসজিদ নির্মানের জন্য নির্ধারিত না হওয়ায় একই মৌজায় ৫০০ ও ৩৬৪ খতিয়ানভুক্ত ৩৬৭ দাগের ০৭.২৫ শতক ও ৩৬৬ দাগের ৩৫.৬৭ মিলে ৪২.৯২ শতক জমা পাওয়া যাচ্ছে বলে স্কেচ ম্যাপ পাঠিয়ে তা অনুমোদনের জন্য আবেদন করেন। পরে সাবেক জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ মুনসুর আলম খান ২০২১ সালের ২৪ অক্টোবর অধিগ্রহণের প্রস্তাবিত ৪২.৯২ শতক জমি বাবদ ১ কোটি ৮৭ লাখ ৩৬ হাজার ৪২২ টাকা বরাদ্দ চেয়ে প্রকল্প পরিচালকের কাছে আবেদন করেন। এবং ২০২২ সালের ৩০ জানুয়ারি টাকা পেয়েছেন উল্লেখ করে প্রকল্প পরিচালকের কাছে প্রাপ্তী স্বীকার পত্র পাঠান।

তথ্য উপাত্ত জানা গেছে, জমি অধিগ্রহণের টাকা বরাদ্দ হলেও কার্যাদেশ প্রদানের সাড়ে চার বছর এবং বরাদ্দ প্রাপ্তির প্রায় আড়াই বছর হতে চললেও এষনও পর্যন্ত সে জমি অধিগ্রহণ করা হয়নি। ফলে মুজিবনগরবাসী অপেক্ষায় আছেন কবে হবে মডেল মসজিদ।

অপরদিকে, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান আর্থিক ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন। বারবার সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আবেদন করেছেন কাজটি দ্রুত শুরু করার জন্য। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের আবেদনের প্রেক্ষিতে গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী জেলা প্রশাসককে চিঠি দিয়ে তাগাদা দিয়েছেন। তবুও কোন অগ্রগতি মেলেনি।

এ বিষয়ে মেহেরপুর ইসলামিক ফাউণ্ডেশনের উপপরিচালক এ জে এম  সিরাজুম মুনীর বলেন, মুজিবনগর মডেল মসজিদ স্থাপনের লক্ষ্যে জমি অধিগ্রহণের জন্য জমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা, ইউএনও এবং নিজে প্রতিবেদন প্রস্তুত করে ফাইল পাঠানো হয়েছে। কিন্তু অধিগ্রহণের জন্য ৪ ধারার যে নোটিশ জারি হয় কি কারণে সে নোটিশ জেলা প্রশাসক মহোদয় কেন দেননি তার সদুত্তর আমার কাছে নেই।

ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান গ্যালাক্সি এ্যাসোসিয়েটসের প্রতিনিধি জাকির হোসেন খাঁন বলেন, মুজিবনগর মডেল মসজিদের কাজ চুক্তি হওয়ার পর পাঁচ বছর কেটে গেলো। প্রয়োজনীয় প্রতিটি উপকরণের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। জমি অধিগ্রহণ না হওয়ায় কাজটি শুরু করা যাচ্ছে না। ফলে অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছি। সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে বারবার আবেদন করে কোন সুফল মিলছে না।

হাসানুজ্জামান লাল্টু তিনি স্থানীয় একজন উদ্যোক্তা। তিনি বলেন, মুজিবনগর বাংলাদেশের অন্যতম গুরত্বপূর্ণ একটি উপজেলা। গুরত্বপূর্ণ বিবেচনায় এখানকার মডেল মসজিদটি সবার আগে নির্মাণ হওয়া উচিৎ ছিলো। কিন্তু সংশ্লিষ্ট বিভাগের উদাসিনতায় এখনো জমি অধিগ্রহণ করা সম্ভব হয়নি বলে জানতে পেরেছি। যা খুবই দু:খজনক। আশা করবো দ্রুত সময়ের মধ্যে সংশ্লিষ্টরা এই মসজিদটি নির্মাণের সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

স্থানীয় ইয়ামিন হাসান বলেন, চার বছর ধরে শুনছি মুজিবনরে মডেল মসজিদ হবে। শুনতে শুনতে জেলা শহরসহ অন্যদুটি উপজেলায় হয়ে গেছে। কিন্তু মুজিবনগরে নাকি এখনো জমি নিতেই পারেনি। জেলা প্রশাসন আন্তরিক হলে অনেকই আগেই এর নির্মাণ কাজ শুরু হতো। আমাদের দাবি দ্রুত জমি অধিগ্রহণ কওে মসজিদটি নির্মাণ করা হোক।

জেলা প্রশাসক মো: শামীম হাসান বলেন, প্রস্তাবিত জমির দুইজন মালিকের একজন মামলা করেছেন এবং একজন অধিগ্রহণ না করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন। এ সংক্রান্ত জটিলতায় জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া আটকে আছে। ফলে মডেল মসজিদের কাজ শুরু করা যাচ্ছে না।

প্রকল্প পরিচালক মো: নজিবর রহমান বলেন, জেলা প্রশাসক জমি অধিগ্রহণ করে দিলেই কাজ শুরু হয়ে যাবে। আমরা জমি অধিগ্রহণের টাকাও দিয়ে দিয়েছি। বারবার তাগাদা দিচ্ছি জমি অধিগ্রহণের জন্য। গত ২২ এপ্রিল এনিয়ে পুনরায় মিটিং করে তাগাদা দেওয়া হয়েছে।




মেহেরপুর শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি ইকবাল হোসেনের সংবাদ সম্মেলন

মনগড়া অসম্পূর্ণ তথ্য পরিবেশনের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন মেহেরপুর শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ ইকবাল হোসেন বুলবুল।

আজ শনিবার রাত সাড়ে ৮ টার দিকে শহরের অক্সফোর্ড কিন্টার গার্ডেন স্কুল চত্বরে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য ইকবাল হোসেন বুলবুল বলেন, আসন্ন মেহেরপুর সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে আমার দেওয়া বক্তব্যকে এডিট করার মধ্য দিয়ে ভুল তথ্য পরিবেশনের জন্য আপনাদের মাধ্যমে প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

গত ০২/৫/২০২৪ ইং তারিখে আমদাহ ইউনিয়নের অন্তর্গত আশরাফপুর গ্রামে ৭ নং ওয়ার্ডে সদর উপজেলার চেয়ারম্যান প্রার্থী মোঃ আনারুল ইসলামের পক্ষে নির্বাচনী পথ সভায় অংশগ্রহণ করি। কিন্তু অতি দুঃখের বিষয় আমার বক্তব্য সম্পূর্ণ অংশপ্রচার না করে খন্ড অংশ প্রকাশ করা হয় যা আমার বক্তব্য জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেছে। আসলে আমি কোন বিভ্রান্তিমূলক বক্তব্য দিই নাই যা কাউকে ব্যথিত করে। তারপরেও আমার বক্তব্য যদি ব্যাথা পেয়ে খাকেন তারজন্যে আমি ব্যথিত এবং অনুতপ্ত।

উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার আশরাফপুরে নির্বাচনী জনসভায় এক প্রার্থীর পক্ষে অবস্থান নিয়ে দলেরই আরেক প্রার্থীর এজেন্ট থাকবে না বলে হুমকি দেন তিনি। ভোট কেন্দ্রে ওই প্রার্থীর কোন এজেন্ট থাকবে না বলে হুশিয়ারী করেন।




ঝিনাইদহে হিন্দু মহাজোটের উদ্যোগে পথচারীদের মাঝে শরবত বিতরণ

চলমান তীব্র দাবদাহে পিপাসার্ত মানুষের মাঝে  (লেবু, ট্যাং, চিনি ও পুদিনা পাতা মিশ্রিত) শরবত বিতরণ করছে বাংলাদেশ হিন্দু মহাজোট ঝিনাইদহ জেলা শাখা।

শনিবার( ৪ মে) ঝিনাইদহে প্রাণ কেন্দ্রে পায়রা চত্বরে, সুইট মোড়ে, মুজিব চত্ত্বর মোড়ে এই শরবত বিতরণ করেন।

এ সময় শ্রীপাদ ত্রিভঙ্গ মুকুন্দ দাস ব্রহ্মচারী অধ্যক্ষ শ্রী শ্রী রাধা মাধব মন্দির ইসকন বলেন, ঝিনাইদহ সহ সারা দেশে টানা তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এতে জনজীবনে একধরনের অস্বস্তি বিরাজ করছে। তাই আমরা তাদের একটু সহযোগিতায় শরবত বিতরনের উদ্যোগ নিয়েছি। তিনি আরো বলেন তীব্র গরম পরিস্থিতিতে আমাদের সবাইকে আশেপাশে শ্রমজীবী মানুষদের পাশে দাড়াতে হবে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট ঝিনাইদহ জেলা শাখা সহ-সভাপতি স্বপন কুমার বিশ্বাস, সাধারণ সম্পাদক শ্রীমান গোপাল চন্দ্র দাস , যুগ্ন সাধারন সম্পাদক শিবেন চন্দ্র লিটন, সাংগঠনিক সম্পাদক রাজকুমার বিশ্বাস, প্রচার সম্পাদক তাপস কুণ্ডু। আরো উপস্থিত ছিলেন ইসকন ঝিনাইদহ সদস্যবৃন্দ তরুণ কুমার মুন্সি, জয়ন্ত কুমার দাস, রাজু কৃষ্ণ দাস, প্রকাশ কৃষ্ণ দাস।




চেয়ারম্যান প্রার্থী অ্যাড. ইব্রাহিম শাহীনের সংবাদ সম্মেলন

প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর কর্মীদের আচরণবিধি লঙ্ঘনের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন চেয়ারম্যান প্রার্থী এডভোকেট ইব্রাহিম শাহীন।

শনিবার (৪ মে) সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে চেয়ারম্যান প্রার্থীর বড় বাজারস্থ নির্বাচনী অফিসে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সাংবাদিক সম্মেলনে ইব্রাহিম শাহীন বলেন, দলের কোনো গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি এই নির্বাচনে কাউকে প্রভাবিত করতে পারবেন না, দলীয় কোন পদ-পদবি ব্যবহার করতে পারবেন না এবং দলীয় নাম ভাঙ্গিয়ে কোন নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা চালাতে পারবেন না।

সেই জায়গা থেকে জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন এমপি নির্বাচনী কার্যক্রম শুরু হওয়ার আগেই মেহেরপুর ত্যাগ করলেন।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, দলীয় ফোরাম ব্যবহার করে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং বাড়াদি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোমিন সরাসরি দলকে ও কর্মীদের কে ভুল বুঝিয়ে। তিনি বলেছেন উপরের নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা এই কাজটি করছি।

আশরাফপুরে ৭ নম্বর ওয়ার্ডে যেই জনসভা করলো সেই জনসভাতেও দলের ব্যানারটা ব্যবহার করলেন এইভাবে দলীয় পদ-পদবি দিয়ে তারা মানুষকে বিভ্রান্ত করতে চাইলেন আমরা একজায়গায় হয়েছি।

দুজন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তাদের ইউনিয়ন পরিষদের পিবিসিএস ব্যবহার করলেন। একজন হলেন বুড়িপোতা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান । তিনি তার পিবিসিএস ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন বিধি লঙ্ঘন করে আইন লঙ্ঘন করে তিনি তার ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় একটি প্রার্থীর পক্ষে প্রচার প্রচারণার জন্যে তিনি ব্যবহার করলেন।

আরেকজন হচ্ছে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তিনি তার ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় কে ব্যবহার করলেন নির্বাচন কেন্দ্র হিসেবে। যা এইসব নিয়ে আমার প্রিয় নেতার প্রতি আমার কোনো অভিযোগ নেই।

আজকে আমার প্রতিপক্ষরা বিভিন্নভাবে ভয় ভীতি, হুমকি, ভোটারের এজেন্ট রাখবো না, ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে ঢুকতে দেবো না বলে হুমকি দিচ্ছে। তিনি প্রশ্ন করে বলেন, পাঁচ বছরের জন্য মানুষ তাকে ভোট দিয়ে আমদা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত করেছিলেন কিন্তু তিনি মামলা করে দীর্ঘদিন চেয়ারম্যানের পদ দখল করে রেখেছিলেন।

তিনি ১৩ বছর স্বৈরাচার চেয়ারম্যান ছিলেন। কারণ হচ্ছে নির্বাচনের মাধ্যমে যদি না আসে তাহলে বুঝে নিতে হবে তিনি স্বৈরাচার হয়ে গেছেন। আমরা সেই স্বৈরাচারের যুগে ফিরতে চাই কিনা?

সংবাদ সম্মেলনে মেহেরপুর জেলায় কর্মরত বিভিন্ন গণমাধ্যম কর্মী অংশগ্রহণ করেন।




প্রিমিয়ার লিগের বর্ষসেরা ফুটবলার ফোডেন

ইংলিশ ফুটবল রাইটার্স এসোসিয়েশনের ভোটে প্রিমিয়ার লিগের বর্ষসেরা ফুটবলার নির্বাচিত হয়েছেন ম্যানচেস্টার সিটির ফিল ফোডেন। গত চার বছরে সিটির তৃতীয় খেলোয়াড় হিসেবে ফুটবলের সবচেয়ে পুরনো এই ব্যক্তিগত অ্যাওয়ার্ড জয় করলেন ফোডেন। এর আগে ২০২১ সালে সিটির রুবেন ডিয়াস ও গত বছর আর্লিং হালান্ড এই পুরস্কার জয় করেছিলেন।

২৩ বছর বয়সী ফোডেন ৪২ শতাংশ ভোট পেয়ে আর্সেনালের ডিক্লান রাইস ও তার সতীর্থ রড্রিকে পিছনে ফেলেছেন। এফডব্লিউএ’র প্রায় ৯০০ সদস্যের ভোটে এই পুরস্কার বাছাই করা হয়। এবারের মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগে ফোডেন ২৪ গোল করেছেন। পেপ গার্দিওলার দল প্রিমিয়ার লিগ ও এফএ কাপের শিরোপা দৌড়ে টিকে রয়েছে।

বর্ষসেরা ফুটবলার নির্বাচিত হয়ে ফোডেন বলেন, ‘ফুটবল রাইটার্স এসোসিয়েশনের ভোটে বর্ষসেরা ফুটবলার নির্বাচিত হওয়া সত্যিই অনেক বড় সম্মানের। এই পুরস্কার পেয়ে আমি দারুণ খুশি। সতীর্থদের সহযোগিতা ছাড়া আমি এই পুরস্কার জয় করতে পারতাম না।’

গার্দিওলা তার শিষ্যের প্রশংসা করে বলেন, ‘প্রতি বছর সে যে পরিমাণ ম্যাচ খেলে তাতে নিজেকে আরও পরিণত করার সুযোগ পাচ্ছে। সে ম্যাচের আবহ আরও ভালভাবে বুঝতে পারছে। এখনো তার বয়স কম। সবকিছুই এখন তার উপর নির্ভর করছে। আমি নিশ্চিত মানসিক ভাবে শক্ত থাকতে পারলে সে ভবিষ্যতে আরও অনেক দুর এগিয়ে যাবে।’

সূত্র: ইত্তেফাক




উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করায় বিএনপি নেতা ভুট্টো বহিষ্কার

দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ করায় মেহেরপুর জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জুলফিকার আলী ভুট্টো কে বহিষ্কার করেছে দল।

আজ শনিবার (৪ মে) দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত চিঠিতে তাদের বহিষ্কারের কথা জানানো হয় বলে মেহেরপুর জেলা বিএনপির সভাপতি মাসুদ অরুন জানিয়েছেন।

চিঠিতে বলা হয়, দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের প্রেক্ষিতে দলীয় গঠনতন্ত্র মোতাবেক বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) প্রাথমিক সদস্য পদসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে আপনাকে নির্দেশক্রমে বহিষ্কার করা হলো। এই সিদ্ধান্ত অবিলম্বে কার্যকর হবে।

দল থেকে বহিষ্কার প্রসঙ্গে গাংনী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মেহেরপুর জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জুলফিকার আলী ভুট্টো বলেন, আমি এ বিষয়ে জেনেছি। এখনো কোনো চিঠি হাতে পাইনি। তবে এসব বিষয় মাথায় নিয়েই তো আমি নির্বাচনে নেমেছি।




চাকরি দেবে শপআপ

জনবল নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে অনলাইন শপিং মার্কেট প্লেস শপআপ। ‘ভ্যাট অ্যান্ড ট্যাক্স স্পেশালিস্ট’ পদে জনবল নেবে প্রতিষ্ঠানটি।

প্রতিষ্ঠানের নাম : শপআপ

পদের নাম : ভ্যাট অ্যান্ড ট্যাক্স স্পেশালিস্ট

আবেদনের বয়সসীমা : নির্ধারিত নয়

পদসংখ্যা : নির্ধারিত নয়

কর্মস্থল : ঢাকা

বেতন : আলোচনা সাপেক্ষে

অভিজ্ঞতা : প্রয়োজন নেই

বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের তারিখ : ৪ মে, ২০২৪

প্রার্থীর ধরন : নারী-পুরুষ (উভয়)

কর্মঘণ্টা : ফুল টাইম

কর্মক্ষেত্র : অফিস

আবেদনের শেষ তারিখ : ১১ মে, ২০২৪

অন্যান্য সুবিধা : বছরে ২টি উৎসব বোনাস, স্বাস্থ্য ও জীবন বিমা, ভবিষ্যৎ তহবিল, গ্র্যাচুইটি ছাড়াও প্রতিষ্ঠানের নীতিমালা অনুযায়ী বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা পাবেন।

যেভাবে আবেদন করবেন : আগ্রহীরা আবেদন করতে ও বিস্তারিত বিজ্ঞপ্তিটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন।

ঠিকানা : এসকেএস টাওয়ার (৪র্থ তলা) ভিআইপি রোড, মহাখালী, ঢাকা-১২০৬




গাংনীর গাড়াবাড়ীয়াতে মেয়াদোত্তীর্ণ বিষে কৃষকের ফসল বিনষ্ট হওয়ার অভিযোগ

গাংনীর গাড়াবাড়ীয়া গ্রামের মো সেলিম নামের এক কৃষকের মেয়াদোত্তীর্ণ বিষ প্রয়োগের কারনে লক্ষাধিক টাকার ফসল বিনষ্ট হওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

গাড়াবাড়ীয়া গ্রামের আব্দুস সালামের ছেলে কাবরান হোসেনের দোকান থেকে বিষ কিনেছেন। জমিতে দেওয়ার পর দেখেন বিষের মেয়াদ নেই তৎক্ষনাৎ দোকানদার কাবরান কে ফোন করতে তিনি মুঠো ফোনেই জানান ভালো জিনিস মেয়াদ ফুরিয়ে গেলে ক্ষতি হবে না আর বিষের মেয়াদ উত্তীর্ণ হলে আরো বেশি কাজ হয়।কোন সমস্যা হবে না দিয়ে দাও।

বিষ দেওয়ার কিছু দিনের মাথায় ভুক্তভোগী কৃষক সেলিম হোসেন দেখেন তার বিক্রয় উপযোগী বাধাকফি পচন লেগেছে এবং পোকায় খেয়ে ঝাঝরা করে দিয়েছে। দোকানদার কে এ বিষয়ে জানালে তিনি কোন প্রাকার গুরুত্ব না দিয়ে উল্টা হুমকি ধামকি প্রদর্শন করেন বলে জানাগেছে।

এ বিষয়ে কৃষক সেলিম জানান গত ধানের আবাদের সময় আমাকে খারাপ বিষ দিয়ে ৮২ শতক জমির ধান নষ্ট হয়েছে এক মন ধান ও আমি ঘরে তুলতে পারিনি। তখন আমাকে সবাই বল্লো যা হয়েছে হয়েছে কিছু করতে হবে না। সেবার আমি ক্ষমা করে দিলাম কিন্তু সেই একই কাজ আবার করেছে। এবার দুই জমি মিলিয়ে ২৭ কাঠা জমির বাধা কফি নষ্ট হয়ে গেছে।  পোকায় খেয়েছে এবং পচে গিয়েছে।আমি যতগুলো বিষ দিয়েছে সব সিনজেনটা কম্পানির মেয়াদোত্তীর্ণ ও ভেজাল বিষ।বতলের যে বিষ গুলো দিয়েছে একটারও কোন উৎপাদনের তারিখ ও মেয়াদ উত্তীর্ণ তারিখ দেওয়া নেই।আমি মুর্খ মানুষ এতকিছু তো বুঝি না।এখন আমি জমি লিজ নিয়ে আবাদ করি, প্রতি বছর ৩০ হাজার টাকা লিজের টাকা দেওয়া লাগে।লোন করে আবাদ করেছি ভ্যান চালায় ভাত খায় এত ক্ষতি আমি কি করে সহ্য করবো।তাই আমি প্রশাসনের কাছে বিচার দাবি করছি। বর্তমানে আমি এই দুই আবাদ নষ্ট হওয়া তে একটা টাকাও ঘরে তুলতে পারিনি।উল্টো আমার ঋণের বোঝা মাথার উপরে।তাই

এবার আমি সহ্য না করতে পেরে ধলা পুলিশ ক্যাম্পে একটি অভিযোগ করেছিলাম তার পরি প্রেক্ষিতে গাড়াবাড়ীয়া ২নং ওয়ার্ডের মেম্বর জিনারুল ইসলামের কাছে সমাজ করে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করে আমি নাই।কারন আমার ধান আলু কফি দিয়ে ৩ লক্ষ টাকার উপরে ক্ষতি আমি আবাদ করতে যেয়ে ঋনের মধ্যে পড়ে গেছি আমি কি করবো আমি এখন হতাশ। আবার এই অভিযোগ দিয়েছি বলে সে হালখাতা পাঠিয়েছে ৬৭ হাজার ২৩০ টাকা আবার সমাজে বলছে ৮০ হাজার টাকা পাবো কিন্তু আমি নগদেই মালামাল ক্রয় করি কিছু হয় তো বাকি আছে আমি মানছি তাইবলে ৮০ হাজার টাকা তো বাকি নেই।এই নিয়ে আমাকে হুমকি ধামকি প্রদর্শন করছেন।বাড়ি থেকে গরু খুলে নিয়ে যাওয়ার হুমকি দিচ্ছেন। আমি এর সঠিক বিচার চাই। সঠিক বিচার না পেলে ওই বিষ খেয়ে মরা ছাড়া আমার উপায় থাকবে না।

এ বিষয়ে মেম্বর জিনারুল ইসলামের সাথে কথা বল্লে তিনি জানান এ বিষয়ে ধলা ক্যাম্পে অভিযোগ করেছিল সেলিম পরে আমাকে মিটমাটের প্রস্তাব দেয়। উভয় পক্ষের কথা শুনে আবাদে ক্ষতির কথা চিন্তা করে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।পরে সেলিম এটাকে মেনে নেয় নি। আবার দোকানদার ও এর বেশি টাকা দিবে না বলে জানিয়েছেন তাই এটা এই পর্যন্তই আছে।

এ বিষয়ে একই মাঠের কৃষক মাবুদ হোসেন জানান গরীব মানুষ কোন রকম দিন পাত চলে খেটে খেটে এত টাকার ফসল এই বিষের কারনে যে নষ্ট হলো এখন এই সেলিম কি করে জমির কন্টাক দিবে লোন দিবে। তার এর সুষ্ঠু বিচার হোক আমরাও চাই।

এ বিষয়ে কাওছার আলী জানান এই নষ্ট বিষের কারনেই এমন ক্ষতি হয়েছে। এমন নিকৃষ্ট তম কাজে তীব্র নিন্দা প্রকাশ করেছেন স্থানীয় সমাজের বিভিন্ন সহল।

বিচার না পেয়েও হুমকির ধামকির মধ্যে দিয়ে দিন পার করছে বলে জানান কৃষক সেলিম। তার দাবি আমার সুষ্ঠু বিচার হোক আমার কেউ নেই বলে আমাকে উঠিয়ে দেবার ও হুমকি দিচ্ছে। আমি গরীব বলে কি আমি বিচার পাবো না। যদি বিচার না পাই তাহলে এই বিষ খেয়েই জীবন শেষ করে দিব সকলকে স্বাক্ষী রেখে। তাই আমি আইনের সকলের কাছে বিচার দাবি করছি। আমাকে একটা সুষ্ঠু বিচার করে দেন সকলে।




দাবদাহে স্কুলগামী শিশুর সুরক্ষায়

প্রচণ্ড গরমে এক সপ্তাহ স্কুল বন্ধ রাখার নির্দেশনার পর আবারও স্কুল-কলেজ চালু হওয়ার ধারাবাহিকতা শুরু হয়েছে। এই প্রচণ্ড গরমে বাচ্চাদের স্কুলে যাতায়াতের সময়ে নানা ধরনের সমস্যাই হতে পারে। আবার অনেক স্কুল শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত থাকলেও সব স্কুলে তো আর সে সুযোগ নেই। তাই বাড়তি একটু দুশ্চিন্তা থাকেই। এই বাড়তি দুশ্চিন্তার জায়গা থেকেই শিশুর যত্নের দিকে খেয়াল রাখা জরুরি। শিশুর পোশাক থেকে শুরু করে তার আরামের সবকিছুর দিকেই খেয়াল রাখা জরুরি। সামান্য ভুলে তাদের স্বাস্থ্যঝুঁকি তো থাকেই সঙ্গে আরো যুক্ত হয় নানা অনুষঙ্গ। এসব বিষয় সম্পর্কে সচেতনতা জরুরি।

পোশাকের ভাবনা
স্কুলের ড্রেসকোড তো আর আলাদা করা যায় না। সেক্ষেত্রে অবশ্যই সুতির পোশাক দেবেন ওদের সঙ্গে। স্কুলে যাওয়ার আগে শিশুদের মাথায় ক্যাপ দিন। চোখ রক্ষার জন্য সানগ্লাস আর ত্বকে সানস্ক্রিন লোশন লাগিয়ে দেবেন। এভাবে রোদের তাপ সরাসরি গায়ে লাগবে না। ওদের সঙ্গে সবসময় ছাতা দেবেন। স্কুলে প্রয়োজনের বেশি বই বহন করতে দেবেন না। গরমে শিশুদের চুল বড় না রাখাই ভালো। মেয়েদের ছোট চুল আটকে রাখতে সুবিধা হয়। জুতার ব্যাপারটিও মাথায় রাখবেন। জুতা যেন আরামদায়ক হয়।

বিশুদ্ধ পানি
এই গরমে বিশুদ্ধ পানি পান করাবেন আপনার শিশুকে। স্কুলগামী শিশুদের ব্যাগে ছোট বোতলে বিশুদ্ধ পানি দিয়ে দেওয়া জরুরি। পানির বোতলটি পরিষ্কার রাখুন। স্কুলে যাওয়ার পথে শিশুকে ফ্রিজের ঠান্ডা পানি, আইসক্রিম, কোমল পানীয় খাওয়া থেকে বিরত রাখুন। রাস্তায় বিভিন্ন কুলফি, মালাই বা লেবুর শরবতও তাদের খেতে দেবেন না। স্কুল থেকে ফেরার পর চিনি, লেবুর শরবত অথবা দইয়ের ল্যাসি বানিয়ে দিতে পারেন। স্যালাইনও দিতে পারেন। বাইরের কোনো স্ন্যাকস বা ভাজাপোড়া খেতে দেবেন না।

টিফিনে দিন বাড়তি যত্ন
এই গরমে শিশুর টিফিন নিয়েও বাড়তি দুশ্চিন্তা রাখা দরকার। পানি তো দেবেনই সঙ্গে মৌসুমি ফল দিলে ভালো হয়। কমলা, পেঁপে বা অন্য মৌসুমি ফল স্লাইস করে দিন। সঙ্গে দই বা অন্য কিছু দিতে পারেন। সকালের নাস্তাতে সবজির প্রাধান্য রাখুন।

তোয়ালে আর টিস্যু সঙ্গে দিন
সন্তানকে যতটা সম্ভব ঘাম থেকে দূরে রাখার চেষ্টা করুন। ঘাম থেকে দূরে রাখার কাজটি সহজ না। স্কুলে থাকলে গরম ভয়াবহভাবে কাবু করতেই পারে। তাই তোয়ালে বা টিস্যু দিন। আপনার সন্তান স্কুলে গেলে মুখ, হাত ধোবেই। তাই তাদের যেন হাত-মুখ মোছার সুযোগ থাকে তা নিশ্চিত করুন।

সূত্র: ইত্তেফাক