জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু নৌকা থেকে যেন পড়ে না যায়, সেদিকে খেয়াল রাখতে বললেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা।
কুষ্টিয়ার নেতাকর্মীদের উদ্দেশে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন। তিনি, ‘আমাদের ইনু ভাইও নৌকায় চড়েছেন। নৌকা যেন দোল খেয়ে পড়ে না যায়, সেদিকে একটু খেয়াল রাখবেন আপনারা।
গতকাল শনিবার বিকেলে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ ভবন থেকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে কুষ্টিয়ায়সহ ছয় জেলার জনসভায় ভার্চুয়ালি অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, বিএনপি কোনো রাজনৈতিক দল নয়, সন্ত্রাসী দল, জামায়াত যুদ্ধাপরাধীদের দল। এদের হাতে দেশ নিরাপদ নয়। এদের হাত থেকে দেশ ও জাতিকে মুক্ত রাখতে হবে। তাহলে দেশের উন্নয়ন হবে। দেশের জনগণের ভাগ্য নিয়ে আর কাউকে ছিনিমিনি খেলতে দেব না। নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করে আগুন সন্ত্রাসী ও যুদ্ধাপরাধীদের সমুচীন জবাব দিতে চাই।
তিনি আরও বলেন, দেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে এবং বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশকে উচ্চ মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত করতে সকল পর্যায়ে দলীয় নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে নৌকা প্রতীকের বিজয় সুনিশ্চিত করতে দলীয় নেতাকর্মীদের নির্দেশ প্রদান করেন।
কুষ্টিয়া পাবলিক লাইব্রেরী মাঠে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা ভার্চুয়াল জনসভায় যোগ দেন। কুষ্টিয়া ছাড়াও ঝিনাইদহ, সাতক্ষীরা, নেত্রকোণা, বরগুনা ও রাঙ্গামাটি জেলার সাথে যুক্ত হয়ে জনসভায় বক্তব্য দেন তিনি।
জেলা আওয়ামাীলীগ আয়োজিত এই জনসভায় জনসভায় উপস্থিত ছিলেন কুষ্টিয়া-৩ আসনের সাংসদ ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারন সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ, কুষ্টিয়া-১ আসনের সাংসদ আকম সরোয়ার জাহান বাদশা, কুষ্টিয়া-৪ আসনের সাংসদ ও বাংলাদেশ যুব লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সেলিম আলতাব জর্জ ও জোটের শরীক জাসদ সভাপতি কুষ্টিয়া-২ আসনের সাংসদ হাসানুল হক ইনুসহ দলীয় নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা স্বীকার করে জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ্ব সদর উদ্দিন খান বলেন, কুষ্টিয়ায় যে উন্নয়ন আপনি দিয়েছেন, এবং হানিফ সাহেব তা বাস্তবায়ন করেছেন তা সত্যি দেশ স্বাধীনের পর আর কেউ দেয়নি। কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বাইপাস সড়ক, শেখ রাসেল সেতু, শেখ কামাল ষ্টেডিয়াম, সুইমিংপুলসহ অসংখ্য দৃশ্যশান উন্নয়নের সারথী হয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, কুষ্টিয়ার নেতৃবৃন্দ অত্যন্ত সুসংগঠিত হওয়ার কারনের এ পর্যন্ত আগুন সন্ত্রাস হয়নি কুষ্টিয়ায়। আমাদের নেতা হানিফ সাহেবের নেতৃত্বে সন্ত্রীাস কবলিত এই কুষ্টিয়া জেলা এখন অনেকটাই ভালো।
জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আজগর আলী বলেন, এই কুষ্টিয়ায় এখন সুবাতাস বইছে। একটা সময় সন্ত্রাসীদের ভয়ে রাতের ঘুম হারাম হয়েছিল। সন্ত্রাসকবলিত এই এই জনপদের মানুষ আগের চেয়ে অনেক শান্তিতে আছে। সন্ত্রাসীদের অভয়ারণ্যকে বর্তমানে সন্ত্রাসমুক্ত শান্তিপূর্ণ পরিবেশে সবাই বসবাস করার এই ব্যবস্থা বর্তমান সরকার নিশ্চিত করেছে। তিনি আরও বলেন, কুষ্টিয়ায় যে চারটি আসনে নৌকা প্রার্থী হয়েছে এই নৌকার প্রাথীদের বিজয়ী করতে আমরা সকলেই ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে চাই।
কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাথে ভার্চুয়াল মিটিংয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার অনুরোধে লালন সংগীত পরিবেশন করেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সহসভাপতি বরিকুল ইসলাম বাঁধন।
উল্লেখ্য, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুষ্টিয়া-২ (মিরপুর ও ভেড়ামারা) আসনে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু নৌকা প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
এসময় সংশ্লিষ্ট সকল উপজেলা, থানা, পৌর আওয়ামী লীগ, ইউনিয়ন, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।