জীবননগরে রাইস মিলের ফিতায় জড়িয়ে বৃদ্ধার মৃ*ত্যু

চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে রাইস মিলের ফিতায় জড়িয়ে সুখীরন নেছা (৬২) নামের এক বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে। আজ বুধবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে জীবননগর উপজেলার আন্দুলবাড়িয়া ইউনিয়নের নিকেরীপাড়ায় এই বিপত্তি ঘটে।

নিহত সুখীরন নেছা (৬২) কেডিকে ইউনিয়নের কাশিপুর গ্রামের উত্তর পাড়ার মৃত আব্দুল মজিদের স্ত্রী।

মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জীবননগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি এস.এম জাবীদ হাসান।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, সুখীরণ প্রচন্ড শীতকে উপেক্ষা করে সকাল সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার দেহাটি গ্রামের নিকেরী পাড়ায় শিমুলের ভাই ভাই রাইস মিলে কলাইয়ের ডালের বড়ি ভাঙ্গাতে যান।

এসময় অসাবধানতাবশত গায়ের চাদর চলন্ত মেশিনের ফিতায় জড়িয়ে যায়। বিদ্যুৎ চালিত চলন্ত মেশিনের ফিতায় জড়িয়ে পড়েন তিনিও। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।

জীবননগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস.এম জাবীদ হাসান জানান,খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ ফোর্স পাঠানো হয়েছে। মরাদেহের সুরহাতাল করা হয়েছে। ওই বৃদ্ধার ছেলে থানায় এসে একটি অপমৃত্যুর মামলা করে গেছে।




জীবননগরে নদীর মাটি কেটে বিক্রয়; ২জনকে জরিমানা

চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে অবৈধভাবে ভৈরব নদীর মাটি উত্তোলন ও কেটে বিক্রি করার অপরাধে দুইজনকে ১লক্ষ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমান আদালত।

আজ বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার মনোহরপুর ইউনিয়নের পেয়ারতলা গ্রামের বোয়ালমারী মাঠে অভিযান পরিচালনা করে এ জরিমানা আদায় করা হয়।

জীবননগর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তিথী মিত্র এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।

ভ্রাম্যমাণ আদালত সুত্রে জানা গেছে, বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার পেয়ারতলা গ্রামের বোয়ালমারী মাঠে অভিযান পরিচালনা করে অবৈধভাবে ভৈরব নদীর মাটি কেটে ও উত্তোলন করে ইট ভাটায় বিক্রি করার সত্যতা পান। অবৈধভাবে ভৈরব নদীর মাটি উত্তোলন ও কাটা এবং ইট ভাটায় বিক্রি করায় জমির মালিক মো.জসীম উদ্দিনকে ৫০ হাজার টাকা, ট্র্যাক্টরের মালিক মনোহরপুর গ্রামের রবিউল ইসলামের ছেলে বাবলুর রহমানকে একই ধারায় ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

বালুমহল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন মোতাবেক উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তিথি মিত্র ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে দুইজনকে সর্বমোট ১০০,০০০/= এক লক্ষ টাকা জরিমানা আদায় করেন।

উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তিথি মিত্র বলেন, অবৈধভাবে ভৈরদ নদী থেকে মাটি কাটা,উত্তোলন ও বিক্রিসহ বিভিন্ন অনিয়ম পরিলক্ষিত হওয়ায় বালুমহল ও বালু ব্যবস্থাপনা আইনে ২জকে সর্বমোট ১লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করে আদায় করা হয়।কৃষি জমি রক্ষায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।




ইবিতে র‌্যাগিংয়ের ঘটনায় ৬ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে ভাঙচুর ও নবীন এক ছাত্রকে র‌্যাগিংয়ের ঘটনায় ৬ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। বহিষ্কৃতদের মধ্যে একজনকে স্থায়ী ও ৫ জনকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।

আজ বুধবার (২৪ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এইচ এম আলী হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, মেডিকেল সেন্টারে ভাঙচুরের ঘটনায় আইন বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী রেজওয়ান সিদ্দিকী কাব্যকে স্থায়ী এবং র‌্যাগিংয়ের অভিযোগে হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের হিশাম নাজির শুভ, মিজানুর রহমান ইমন, শাহরিয়ার হাসান, শেখ সালাউদ্দিন সাকিব ও সাদমান সাকিব আকিবকে ছয় মাসের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। ছাত্রশৃঙ্খলা কমিটির সুপারিশক্রমে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি মোতাবেক তাদের বিরুদ্ধে কর্তৃপক্ষ এই ব্যবস্থা নিয়েছে।

এর আগে ২০২৩ সালের ৯ সেপ্টেম্বর হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০২২-২৩ সেশনের নবীন এক শিক্ষার্থী লিখিতভাবে র‌্যাগিংয়ের অভিযোগ করেন তারই বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের ৫ ছাত্রের বিরুদ্ধে। পরদিন ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলামকে আহ্বায়ক করে ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে কর্তৃপক্ষ। তদন্ত প্রতিবেদনে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ওই ৫ জনকে প্রথম বর্ষের ২য় সেমিস্টারের জন্য বহিষ্কার করেছে কর্তৃপক্ষ। গত ১৯ ডিসেম্বর ছাত্র শৃঙ্খলা কমিটির ১২তম সভায় তাদেরকে সাময়িকভাবে বহিষ্কারের সুপারিশ করা হয়।

এদিকে, ২০২৩ সালের ১০ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। পরে মেডিকেল কর্তৃপক্ষের লিখিত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ওই বছরের ১৫ জুলাই কাব্যকে সাময়িক বহিষ্কার করে তদন্ত কমিটি করে কর্তৃপক্ষ। কমিটিতে ছাত্র-উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. শেলীনা নাসরিনকে আহ্বায়ক করা হয়। কমিটির প্রতিবেদনে সংশ্লিষ্টতা প্রমাণিত হওয়ায় আইন বিভাগের শিক্ষার্থী কাব্যকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করেছে কর্তৃপক্ষ।

এর আগে ৫ নভেম্বর রেজওয়ানকে সাক্ষাৎকারের জন্য ডেকেছিল কর্তৃপক্ষ, তবে তিনি উপস্থিত হননি। পরে ১৯ ডিসেম্বর ছাত্র শৃঙ্খলা কমিটির ১২তম সভায় তাকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের সুপারিশ করা হয়। তারই পরিপেক্ষিতে ২৪ জানুয়ারি বুধবার ৬ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।




কুষ্টিয়ায় কিশোর হত্যা মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন কারাদন্ড

কুষ্টিয়ায় কিশোর গ্যাংয়ের ছুরিকাঘাতে এসএম ইমরান নাজির (১৬) নামে এক এসএসসি পরিক্ষার্থী নিহতের মামলায় ইমন ওরফে ঝুনু (২৪) নামের এক যুবকের যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও অর্থদন্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত।

আজ বুধবার বিকেলে কুষ্টিয়া (জেলা ও দায়রা জজ) নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ আদালতের বিচারক সৈয়দ হাবিবুল ইসলাম আসামীর উপস্থিতিতে এই রায় ঘোষনা করেন।

সাজাপ্রাপ্ত ইমন ওরফে ঝুনু সদর উপজেলার জগতি গবরপাড়া গ্রামের বাসিন্দা সাহাদত হোসেনের ছেলে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে শিশু আদালতে কর্তব্যরত রাষ্ট্রপক্ষের অতিরিক্ত কৌসুলি এ্যাড. কাজী সাইফুদ্দিন বাপ্পী জানান, সদর উপজেলার জগতি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রীদের উত্ত্যোক্তের ঘটনার প্রতিবাদ করায় এবং বিষয়টি স্কুলের শিক্ষকদের বলে দেয়ার ঘটনার জেরে ২০১৫ সালের ২ মার্চ বিকেলে দন্ডপ্রাপ্ত যুবক ইমন ওরফে ঝুনু(২৪)র নেতৃত্বে ইমন (১৬), আসফিম(১৬), আরসিল(১৬), শাকিল(১৬) ও সোহাগ(১৭) নেতৃত্বে দলবদ্ধ ভাবে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে নিহত ইমরানকে ঘিরে ধরে মারপিট ও ছুরিকাঘাত করে রক্তাক্ত জখম করে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।

এঘটনায় নিহত স্কুল ছাত্র ইমরানের পিতা সদর উপজেলার জগতি ৩নং কলোনির বাসিন্দা মৃত: কাশেদ আলীর ছেলে হিটু সেখ বাদি হয়ে ৩ মার্চ,২০১৫ কুষ্টিয়া মডেল থানায় কিশোর গ্যাংয়ের নেতা ইমন ওরফে ঝুনুসহ ৬জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত অরও ৩/৪ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন।

মামলাটি তদন্ত শেষে ২০১৬ সালের ১৪ জানুয়ারি কুষ্টিয়া মডেল থানার উপ পুলিশ পরিদর্শক মো: ওবাইদুর রহমান ৬ জনের বিরুদ্ধে হত্যাকান্ডে জড়িত অভিযোগ এনে আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন।

বিশেষ শিশু আদালতে কর্তব্যরত রাষ্ট্রপক্ষের অতিরিক্ত কৌসুলি এ্যাড. সাইফুদ্দিন বাপ্পী আরও জানান, ‘স্কুল ছাত্রীদের ইভ টিজিং বা যৌন হয়রানির ঘটানার বিষয়টি স্কুলের শিক্ষকদের বলে দেয়ার জের ধরে নিহত ইমরানের উপর ক্ষুব্ধ হয়ে এই হত্যাকান্ড ঘটেছিলো। ঘটনার সময় এজাহার নামীয় সকলেই কিশোর বয়সী হওয়ায় তাদের বিচার কার্যক্রম শিশু আদালতে সম্পন্ন হয়েছে। এই মামলায় স্বাক্ষ্য শুনানী শেষে ইমন ওরফে ঝুনু’র বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীত প্রমানিত হওয়ায় এবং ঘটনার সময় তার বয়স বিবেচনায় শিশু আদালতের সর্বোচ্চ শাস্তি ১০বছরের কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া চার্জশীট ভুক্ত অন্য ৫ আসামীর বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমানিত না হওয়ায় তাদের বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।




ঝিনাইদহে কৃষকদের মাঝে সার, বীজ ও গাছের চারা বিতরণ

অনাবাদি পতিত জমি ও বসতবাড়ির আঙ্গিনায় পারিবারিক পুষ্টি বাগান স্থাপনের জন্য সরকারী ভাবে কৃষকদের মাঝে ফলজ গাছের চারা, সার এবং সাক-সবজির বীজ প্রদান করা হয়েছে।

বুধবার সকালে ঝিনাইদহ সদর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উদ্যোগে, অনাবাদি পতিত জমি ও বসতবাড়ির আঙ্গিনায় পারিবারিক পুষ্টি বাগান স্থাপন প্রকল্পের আওতায় সদর উপজেলার ২৫০টি পরিবারের মাঝে এসব বিতরণ করা হয়।

এসময় ঝিনাইদহ সদর উপজেলা কৃষি অফিসার নূর-এ-নবী, উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা রাকিবুল ইসলাম, উপজেলা অতিরিক্ত কৃষি অফিসার মুহাম্মদ জুনাইদ হাবীব ও সহকারী কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার মনিরুজ্জামানসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

উপজেলার ২৫০টি পরিবারের মাঝে আম, কাঠাল, জলপাই, পেয়ারাসহ ১০টি করে বিভিন্ন ফলজ গাছের চারা, বিভিন্ন প্রকারের ১৮ কেজি রাসায়নিক সার, ১০ কেজি জৈব সার ও ১০প্যাকেট করে সাব-সবজির বীজ প্রদান করা হয়।




মেহেরপুরে পরিবেশ অধিদপ্তর ও র‌্যাবের অভিযান, ভাটা মালিককে জরিমানা

পরিবেশ অধিদপ্তর খুলনা বিভাগীয় কার্যালয় ও র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব-১২) এর যৌথ অভিযানে ইটভাটা মালিককে এক লাখ ও গাড়ির ৩ চালককে জরিমানা করা হয়েছে।

আজ বুধবার (২৪ জানুয়ারি) দুপুরের দিকে পরিবেশ অধিদপ্তর খুলনা বিভাগীয় কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট  মমতাজ বেগমের নেতৃত্বে পৃথক এই ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালিত হয়।

র‌্যাব-১২, সিপিসি-৩, মেহেরপুর কোম্পানী কমান্ডার এএসপি মোঃ মনিরুজ্জামান ও র্যাবের একটি দল এসময় উপস্থিত ছিলেন।

কয়লার পরিবর্তে কাঠ পোড়ানোসহ নানা অভিযোগে মেহেরপুর সদর উপজেলার টেংরামারী গ্রামে এমআরএইচ ব্রিকস্ এর মালিক মোঃ রুহুল আমিন(৫৫)কে ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১৩ (সংশোধনী ২০১৯) ধারায় এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

এছাড়া মেহেরপুর-চুয়াডাঙ্গা সড়কে মেহেরপুর আঞ্চলিক পাসপোর্স অফিসের সামনে মহাসড়কের উপর মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে সড়ক পরিবহন আইনের শব্দ দূষণ বিধিমালা ২০০৬ ভঙ্গের অপরাধে চুয়াডাঙ্গার মোঃ হান্নানকে ৫ শ টাকা, মোঃ ইমন হোসেনকে ১ হাজার টাকা এবং মোঃ মশিউর রহমানকে ৫শ টাকা অর্থদন্ড করা হয়।




র‌্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে গাঁজা ফেলে পালালেন মাদক ব্যবসায়ীরা

র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন ( র‌্যাব-১২) এর অভিযান টের পেয়ে পালিয়ে গেলেন চার গাঁজা ব্যবসায়ী। পরে ঘটনাস্থলে অভিযান চালিয়ে চার কেজি ২ শ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করে র‌্যাবের টিম।

আজ বুধবার (২৪ জানুয়ারি) বিকাল সাড়ে পাঁচটার দিকে মেহেরপুর সদর উপজেলার শ্যামপুর কলোনিপাড়া এলাকার সিরাজপুর মাঠ নামক স্থানে এই অভিযান চালানো হয়।

এই গাঁজা উদ্ধারের ঘটনায় র‌্যাবের পক্ষ থেকে মেহেরপুর সদর উপজেলার শ্যামপুর গ্রামের মোহন আলীর ছেলে রাকিবুল ইসলাম ওরফে ড্যানি (২৪) এবং গাংনী উপজেলার গাঁড়াডোব গ্রামের মাঠপাড়া এলাকার মৃত এমাজ উদ্দিনের ছেলে মারফত মন্ডলসহ অজ্ঞাত আরো দুজনের বিরুদ্ধে ২০১৮ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ৩৬(১) সারণীর ১৯(ক) ধারায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

র‌্যাব-১২ এর সিপিস-৩ এর কোম্পানি কমান্ডার সহকারী পুলিশ সুপার মো: মনিরুজ্জামান এই ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, কয়েক ব্যক্তি পাচারের উদ্যেশ্যে গাঁজা জড়ো করেছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালানো হয়।র‌্যাবের অভিযান টের পেয়ে গাঁজা ফেলে তারা পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থল থেকে চার কেজি ২ শ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করা হয়।




কাজের মাঝেই কম্পিউটার হ্যাং?

ভালো সেটাপের কম্পিউটার আপনার। তারপরও কোনো কারণে হ্যাং করছে। এই সমস্যা হওয়া অস্বাভাবিক নয়। মূলত কম্পিউটারের ব্যাকগ্রাউন্ডে অনেক কিছু প্রসেস হয়। আর এই প্রসেসিং করতে গিয়ে কম্পিউটার হ্যাং করতে পারে। কম্পিউটার আবার স্বাভাবিক হয়ে যাবে। তবে অনেক সময় এই সমস্যা একটানা হয়ে উঠতে পারে। বারবার হ্যাং করে আপনার কাজে সমস্যা হয়। এক্ষেত্রে আপনি কিছু কাজ করতে পারেন।

ধরুন ফুল স্ক্রিন অ্যাপ, যেমন গেম খেলছেন। এমন সময় যদি হ্যাং হয়ে যায়, তবে Alt + F4 কি চাপলে সামনে যে উইন্ডো আছে সেটি বন্ধ হবে। তখন অন্তত অনেকক্ষণ কম্পিউটারে তাকাতে হবে না।

অন্যের চার্জার দিয়ে ফোন চার্জ করলেঅন্যের চার্জার দিয়ে ফোন চার্জ করলে
কম্পিউটার ঠিকমত কাজ করছে কিনা তা নিশ্চিত করতে Ctrl + Alt + Delete কি চেপে ধরুন। আপনার স্ক্রিনের সামনে টাস্ক ম্যানেজার চলে আসবে (Task Manager)। টাস্ক ম্যানেজার আসলেই আপনি অনেক কিছু করতে পারবেন। ব্যাকগ্রাউন্ডের অ্যাপ বন্ধ করতে পারবেন। কম্পিউটার লগ-আউট ও রিস্টার্টও করতে পারবেন।

টাস্ক ম্যানেজারে কাজ না হলে রিবুট ছাড়া সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়। Ctrl + Shift+ Esc কি চাপার মাধ্যমেও টাস্ক ম্যানেজার এ প্রবেশ করা যাবে। ম্যানুয়ালিও করা যায়। তবে কম্পিউটার হ্যাং করলে শর্টকাটই উপযুক্ত।

টাস্ক ম্যানেজার এ প্রবেশ করার পর, Process ট্যাব এ ক্লিক করুন। কলাম এর Header এ CPU অপশনটি সিলেক্ট করার মাধ্যমে যে প্রসেসটি সবচেয়ে বেশি সিপিউ পাওয়ার ব্যবহার করছে, সেটি উপরে উঠে আসবে। প্রসেসটি সিলেক্ট করে End Task অপশনটি ক্লিক করে অ্যাপ্লিকেশনটি বন্ধ করে দিন। সেক্ষেত্রে আপনি যদি ওই অ্যাপ্লিকেশনে কোনো কাজ করে থাকেন, তবে সেটি সংরক্ষিত না হয়েই চলে যাবে।

Ctrl + Alt + Delete চাপার পর যে স্ক্রিনটি আসে, সেখান থেকে Restart অপশনটি ব্যবহার করে কম্পিউটার পুনরায় চালু করতে পারেন। আবার উইন্ডোজ কি + L চেপে আপনি কম্পিউটার লক স্ক্রিনে ফেরত যেতে পারেন, যেখান থেকে আপনি কম্পিউটার রিস্টার্ট করতে পারবেন।

যেভাবে ইনস্টাগ্রামের গ্রুপ চ্যাট তৈরি করবেন যেভাবে ইনস্টাগ্রামের গ্রুপ চ্যাট তৈরি করবেন
ওপরে উল্লিখিত কোনো উপায়ই যদি কাজ না করে তবে Windows Key + Ctrl + Shift + B চাপতে পারেন। এটি আপনার কম্পিউটারের গ্রাফিক্স ড্রাইভার রিস্টার্ট করে।

যদি গ্রাফিক্স ড্রাইভারজনিত সমস্যা হয়ে থাকে, তবে এইভাবে কম্পিউটার ঠিক করা যেতে পারে। এখন পর্যন্ত উল্লিখিত কোনো উপায়েই যদি আপনার হ্যাং হওয়া কম্পিউটার ঠিক না হয়, তবে সেক্ষেত্রে হার্ড শাট ডাউন পদ্ধতিতে কম্পিউটার ঠিক করার চেষ্টা করতে পারেন।

আপনার কম্পিউটারের পাওয়ার বাটন খুঁজে বের করুন এবং সেটি ১০ সেকেন্ড চেপে ধরুন। বন্ধ হয়ে যাওয়ার কিছুক্ষণ পর স্বাভাবিকভাবে পাওয়ার বাটন চেপে কম্পিউটার চালু করুন। আপনার কম্পিউটার যদি ব্লু স্ক্রিনে এসে আটকে থাকে, সেক্ষেত্রে এই উপায়ে হ্যাং হওয়া কম্পিউটার ঠিক করতে পারেন। তবে এই পদ্ধতিটি তেমন সুরক্ষিত নয়। এতে আপনার ডাটা লস হতে পারে।




চুয়াডাঙ্গায় বইছে শৈত্যপ্রবাহ, আরো কমবে তাপমাত্রা

গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি আর মা‌ঘের শীতে কাঁপছে চুয়াডাঙ্গা। আজ বুধবার (২৪ জানুয়ারি) সকালে জেলার সর্ব‌নিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। একইসঙ্গে বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। এর আগে, গতকাল মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে আরো কমতে পারে তাপমাত্রা।

কুয়াশাচ্ছন্ন পরিবেশে সকাল ৯টার দি‌কে কোনো রকম সূর্যের দেখা মিললেও তাতে নেই তাপ। দুপুরের পর গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয়েছে ফলে উত্তরের হিমেল হাওয়ায় শীতের তীব্রতা বাড়িয়েছে বহুগুন। হাড় কাঁপানো এই শীতে হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা। যাদের অধিকাংশই শিশু ও বৃদ্ধ।

চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের সিনিয়র পর্যবেক্ষক রাকিবুল হাসান জানান, বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) থেকে তাপমাত্রা আবার কমে আসবে। ওদিন রাতে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

তীব্র শীতে চুয়াডাঙ্গায় গত দুইদিন প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। তবে এর উল্টো চিত্র বেসরকারি বিদ্যালয়গুলোতে। আগের নিয়মেই চলছে এসব প্রতিষ্ঠান। তবে শিক্ষার্থী উপস্থিতি একেবারেই নেই।

জেলা শিক্ষা অফিসার আতাউর রহমান জানান, উপপরিচালক ও স্থানীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে সমন্বয়ে স্কুল বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। তাপমাত্রা কম থাকলে বৃহস্পতিবারও বন্ধ থাকবে জেলার ১৮০টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার তবিবুর রহমান জানান, গত দুইদিন জেলার সব প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ রয়েছে। তাপমাত্রা কম থাকায় এমনিতেই স্কুলে শিক্ষার্থী উপস্থিতির হার খুবই কম।




হার্ট সুস্থ রাখতে যেভাবে নিবেন মুখের যত্ন

হৃৎপিণ্ড অবিরাম কাজ করে আমাদের বাঁচিয়ে রাখছে। এটিকে আমরা সবাই সুস্থ রাখতে চাই। তবু বুঝে না বুঝে এর ওপর অত্যাচার করি। এ কারণে বিশ্বে কার্ডিয়াক বা হৃদরোগীর সংখ্যা বাড়ছে। হৃদরোগ হওয়ার পেছনে নানা কারণের পাশাপাশি দীর্ঘমেয়াদি মাড়ি রোগের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে।

অনেকে এমনটা বিশ্বাস করেন না, কারণ মুখের মধ্যকার সংক্রমণ হার্টে বা রক্তবাহিকাকে প্রভাবিত করে। মাড়ি বা দাঁতের গোড়ার সংক্রমণ সহজেই রক্তবাহিকার সঙ্গে মিশে শরীরের যে কোনো অঙ্গকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে আর হার্ট যেহেতু রক্ত প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করে তাই এর ঝুঁকিটাও বেশি যেমন-

করোনারি আর্টারি ডিজিজ ও স্ট্রোক

মাড়ি রোগ থেকে জীবাণু ও তাদের তৈরি ক্ষতিকর পদার্থ রক্তবাহিকার মধ্যে সঞ্চালিত হতে পারে। ফলে যাদের উচ্চরক্তচাপ, অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস, রক্তে অতিরিক্ত কলস্টেরল, ধূমপায়ী, বাতজ্বর, কৃত্রিম ভাল্ব, জš§গত হার্টের রোগ, দৈহিক পরিশ্রম কম হয় তাদের রক্তনালির মধ্যকার স্থানটি চিকন করতে শুরু করে, যাকে অ্যাথেরোস্ক্লেরোসিস বলা হয়। এর ফলে হৃৎপিণ্ড পর্যাপ্ত রক্ত বা অক্সিজেন পায় না, তখন নানা জটিলতা তৈরি হয়।

সঠিক সময় চিকিৎসা না পেলে হার্ট অ্যাটাক হতে পারে। সুনির্দিষ্ট ব্যাখ্যা না থাকলেও মাড়ি রোগ থাকলে অ্যানজাইনা ও হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি দুই থেকে তিন ভাগ বেশি দেখা যায়। একই কারণে মস্তিষ্কে রক্ত সঞ্চালন কমে গিয়ে স্ট্রোকের মতো জটিলতার তৈরি করতে পারে।

আরও পড়ুন: যেসব লক্ষণে ‍বুঝবেন পাইলস, কী করবেন

হার্টে সংক্রমণ বা প্রদাহ

মাড়ির প্রদাহ থেকে ব্যাকটেরিয়া হার্টের অতি গুরুত্বপূর্ণ ভাল্বগুলোকে আক্রান্ত করতে পারে। গবেষণা বলে মাড়ির ব্যাকটেরিয়াকে হার্টের ভাল্বেও পাওয়া গেছে। যাদের কৃত্রিম ভাল্ব সংযোজিত বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম তাদের মুখের যত্নে কোনো অবহেলার সুযোগ নেই। হার্টের ভেতরকার স্তরের প্রদাহ বা অ্যান্ডোকার্ডাইটিসের সঙ্গে মাড়ির রোগের যোগসূত্র পাওয়া যায়, দীর্ঘমেয়াদি মাড়ির প্রদাহ থেকে রক্তে সিথরিঅ্যাক্টিভ প্রোটিন পাওয়া যায়।

অন্যদিকে হার্টের ব্যথা নিচের চোয়ালে অনুভব হওয়ার অনেক ইতিহাস ইতোমধ্যে প্রমাণিত হয়েছে। হার্টে অক্সিজেনের ঘাটতি হলে সেখান থেকে ব্যথা চোয়ালে ও দাঁতে অনুভব হতে পারে, বিশেষ করে মেয়েদের হার্টের ব্যথা বাম দিকের নিচের দাঁতে ও চোয়ালে অনুভূত হতে দেখা যায়।

বিষয়টি শনাক্ত না হলে অপূরণীয় ক্ষতির আশঙ্কা থাকে। মুখের স্বাস্থ্যের সঙ্গে হৃৎপিণ্ডের সুস্বাস্থ্য জড়িত, সুতরাং হার্টকে সবল রাখতে ও মুখের স্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে সচেষ্ট হতে হবে।

আরও পড়ুন: চুল কেন পড়ে

উচ্চরক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে কিছু ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় মুখ শুষ্ক বা মাড়ি ফুলে যাওয়ার আশঙ্কা আছে, রক্ত তরলকরণ ওষুধ সেবনেও মাড়ি দিয়ে রক্ত পড়তে পারে, এমনটা হলে দ্রুত ডেন্টাল চিকিৎসকের পরামর্শে কারণ নিশ্চিত হয়ে ওষুধের বিষয় নিয়ে হৃদরোগ বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ জরুরি, তানা হলে মুখের স্বাস্থ্য হুমকিতে থাকে ।

– সকালে নাস্তা ও রাতে খাবার পর দু’মিনিট ধরে দাঁতের পাঁচটি পৃষ্ঠ (সামনের, ভেতরের, চর্বনে

ব্যবহৃত ও পাশাপাশি দু’দাঁতের মধ্যবর্তী পৃষ্ঠ) নিয়ম মেনে পরিষ্কার করতে হবে। দু’দাঁতের মধ্যে খাবার জমলে সাধারণ টুথ ব্রাশে এগুলো পরিষ্কার হয় না, টুথপিক বা কাঠির পরিবর্তে বাজারজাত ডেন্টাল ফ্লস বা ইন্টার ডেন্টাল ব্রাশ ব্যবহার করতে হবে।

– চিকিৎসকের পরামর্শে প্রয়োজনে মাউথ ওয়াশ ব্যবহার।

– ব্রাশের পর আঙুল দিয়ে আলতো করে মাড়ি ম্যাসাজ ও জিহ্বা পরিষ্কার।

– চিনির তৈরি খাবারকে কমাতে হবে, চিনিকে সাদা বিষ হিসাবে আখ্যায়িত করা হয়, মিষ্টিজাতীয় খাবার যেমন চকলেট, আইসক্রিম, বিস্কুট, কমল পানীয়, আলুর চিপস্, কেক এসবই মুখের ও শরীরের জন্য অস্বাস্থ্যকর, এ ধরনের খাবারকে কমিয়ে মৌসুমি ফরমালিনমুক্ত তাজা ফল, শাকসবজি, দুধ, টকদই, ডিম, সামুদ্রিক মাছ, ছোট মাছে উৎসাহিত হতে হবে। পর্যাপ্ত পুষ্টি মুখের স্বাস্থ্যকে উন্নত রাখে।

– শরীরের অন্য রোগ যেমন ডায়াবেটিস, রক্তচাপ, গ্যাস্ট্রিক অ্যাসিডিটি ইত্যাদিকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।

– প্রতিদিন নিয়ম করে ৩০ থেকে ৪৫ মি. ব্যায়াম বা দ্রুত হাটতে হবে।

– ছয় মাস অন্তর বা মুখের মধ্যে যে কোনো অস্বাভাবিকতায় অনুমোদিত বিডিএস ডিগ্রিধারী চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

– ধূমপান ও পান জর্দামুক্ত থাকতে হবে।

– চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ সেবন ক্ষতির কারণ হতে পারে।

লেখক : রাজ ডেন্টাল সেন্টার, কলাবাগান, ঢাকা ও সদস্য সচিব, বিএফডিএস