মেহেরপুরের আমঝুপি ইউনিয়নে প্রফেসর আব্দুল মান্নানের পথসভা

মেহেরপুর-১ আসনের মনোনীত স্বতন্ত্র প্রার্থী প্রফেসর আব্দুল মান্নানের পথসভা অনুষ্ঠিত হয়।

আজ শুক্রবার রাতে মেহেরপুর সদর উপজেলার আমঝুপি ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডে স্বতন্ত্র প্রার্থী প্রফেসর আব্দুল মান্নানের ট্রাক প্রতীকের পথসভা অনুষ্ঠিত হয়।

পথসভায় উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর-১ আসনের মনোনীত স্বতন্ত্র প্রার্থী প্রফেসর আব্দুল মান্নান।

অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি এ্যাড. মিয়াজান আলী, মেহেরপুর জেলা চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি ও জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম রসুল, মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আব্দুল মান্নান (ছোট), মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক এম এ এস ইমন, মেহেরপুর জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক শহিদুল ইসলাম পেরেশান, মেহেরপুর সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক মোল্লা, বঙ্গবন্ধু সৈনিকলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য এ্যাড. আমজাদ আলী, আমঝুপি ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি চমন, মেহেরপুর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও মেহেরপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম সম্পাদক জুয়েল রানা, আমঝুপি ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সভাপতি নাছিম সহ বিভিন্ন নেতা কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।




দর্শনায় নৌকা প্রতীকের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারনা সভা

আগামী ৭ জানুয়ারী অনুষ্ঠিত হবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন এ নির্বাচনকে ঘিরে শুরু হয়েছে প্রচার প্রচারনা।আজ শুক্রবার সন্ধায় দর্শনা ইসলাম বাজার ফ্রেন্ডস আইডিয়াল ক্লাব চত্তরে নৌকা প্রতিকের পক্ষে প্রচারনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল গফুরের সভাপত্বিতে প্রধান অতিথী হিসাবে উপস্থিত ছিলেন দর্শনা পৌরসভার মেয়র আতিয়ার রহমান হাবু।

এ সময় তিনি বলেন, উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে হলে শেখ হাসিনা সরকারের কোন বিকল্প নেই। তাই আগামী নির্বাচনে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আওয়ামীলীগ সরকার গঠনে সহায়তা করুন।

বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন দর্শনা পৌর আআওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা রুস্তম আলী,আওয়ামীলীগ নেতা, জাহিদুল ইসলাম,বিল্লাল হোসেন,মাওঃ ওমর আলী,দামুড়হুদা উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আব্দুল হান্নান ছোট,সহ সম্পাদক আব্দুল মান্নান খান,প্রমুখ।

অনুষ্টানটি উপস্থাপনা করেন, দর্শনা পৌর যুবলীগের সাধারন সম্পাদক শেখ আসলাম আলী তোতা।




নিয়োগ দেবে ওয়েভ ফাউন্ডেশন, বেতন ৫০ হাজার টাকা

বেসরকারি সংস্থা ওয়েভ ফাউন্ডেশন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। প্রতিষ্ঠানটিতে টেকনিক্যাল অফিসার পদে নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহী যোগ্য প্রার্থীরা আবেদন করতে পারেন।

পদের নাম

টেকনিক্যাল অফিসার।

যোগ্যতা

স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় হতে যেকোনো বিষয়ে স্নাতকোত্তোর পাস হতে হবে। সমাজ বিজ্ঞান, আইন, এনথ্রোপলজি, সমাজ কল্যানে স্নাতকোত্তোর ডিগ্রিধারী হলে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। বয়স সর্বোচ্চ ৪০ বছর। কম্পিউটার অপারেটিং-এ দক্ষতা থাকতে হবে এবং বাংলা ও ইংরেজি প্রতিবেদন লেখায় পারদর্শি হতে হবে। মোটর সাইকেল চালনা জানতে হবে ও বৈধ লাইসেন্স থাকতে হবে।

কর্মস্থল

পটুয়াখালী।

বেতন ভাতা

৫০,০০০/- (মাসিক)।

আবেদন প্রক্রিয়া

প্রার্থীদের বিডিজবস অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে।

আবেদনের সময়

৩১ ডিসেম্বর ২০২৩

সূত্র : বিডিজবস




শৈলকুপাতে সড়ক দুর্ঘটনায় মাহেন্দ্র চালকসহ নি*হত ২

ঝিনাইদহের শৈলকুপায় সড়ক দুর্ঘটনায় মাহেন্দ্র চালকসহ দুই জন নিহত হয়েছে। আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলার শেখপাড়া বাজার এলাকার চর মালিথা গ্রামে মাহেন্দ্র এবং নসিমনের মুখমুখি সংঘর্ষে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আজ শুক্রবার ভোরে মাগুরা থেকে ওয়াজ মাহফিল শুনে একটি মাহেন্দ্র গাড়িতে কয়েকজন শেখপাড়া আসছিল এসময় চরমালিথা পাড়ায় পৌছালে বিপরিত দিক থেকে একটি নসিমন মাহেন্দ্র গাড়িকে ধাক্কা দেয় এতে তিনজন গুরুতর আহত হয়।

স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে শ্রীপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে এবং অবস্থার অবনতি হলে মাহেন্দ্র চালক বাবুল আক্তার এবং আসাদুজ্জামানকে মাগুরা সদর হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়। পরে সদর হাসপাতালে নেওয়ার পথে বাবুল আক্তারের মৃত্যু হয় এবং চিকিৎসাধীন অবস্থায় আসাদুজ্জামানের মারা যান বলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান। বাবুল আক্তার শৈলকুপা উপজেলার নওয়াপাড়া গ্রামের জেহের আলী মন্ডলের ছেলে এবং আসাদুজ্জামান একই উপজেলার কবিরপুর গ্রামের মৃত আহাদ আলীর ছেলে।

লাঙ্গলবাধ পুলিশ ফাড়ি ইনচার্জ এসএম হামিদুল ইসলাম দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এবং দুইজন মারা গেছে বলে জানান। এছাড়া এই দুর্ঘটনায় অপর একজন গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।




‘ডানকি’র টাকা মিচেল স্টার্ক নিয়ে নেবে: শাহরুখ খান

আইপিএল নিলামে রেকর্ড ২৪.৭৫ কোটি টাকা দিয়ে ৩৩ বছর বয়সী অস্ট্রেলিয়ার তারকা পেসার মিচেল স্টার্ককে দলে ভিড়িয়েছে কলকাতা নাইট রাইডার্স (কেকেআর)। এদিকে বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) মুক্তি পেয়েছে কেকেআরের মালিক ও বলিউড সুপারস্টার শাহরুখ খান অভিনীত ও রাজকুমার হিরানি পরিচালিত ‘ডানকি’ সিনেমা।

সিনেমাটি মুক্তির আগে এক্স-এ (সাবেক টুইটার) আস্ক এসআরকে সেশনে অংশ নেন কিং খান। সেখানে একজন ভক্তের প্রশ্নে শাহরুখ খানের উত্তর দেওয়া নিয়ে শুরু হয়েছে নতুন আলোচনা।

আস্ক এসআরকে সেশনে একজন ভক্ত প্রশ্ন করেন, ‘ডানকির প্রথম দিনের সংগ্রহ এবং অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার মিচেল স্টার্কের নিলামের মূল্যের পার্থক্য কত?’

জবাবে শাহরুখ লিখেন, ‘এই দুটোর মধ্যে তুলনাই হয় না। ডানকি থেকে আমার কাছে যে টাকা আসবে সেটা মিচেল স্টার্ক নিয়ে নেবে।’

এদিকে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ‘ডানকি’র প্রথম শো হয়েছিল নিউজিল্যান্ডে। এরপর বৃহস্পতিবার কাক ডাকা ভোরেই ভারতের বিভিন্ন প্রদেশে মহাধুমধামের সঙ্গে মুক্তি পায় সিনেমাটি।

ভারতে বৃহস্পতিবার সকাল ৬টায় যারা ‘ডানকি’র প্রথম শো দেখেছেন, তারা ইতিমধ্যেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজেদের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। যেখানে অধিকাংশই শাহরুখের প্রতি আবারও মুগ্ধতার কথা বলেছেন। তবে অনেকে বলেছেন শাহরুখ-তাপসীর কেমেস্ট্রি পর্দায় সেভাবে জমেনি।

সূত্র: ইত্তেফাক




দোয়া করেন যেন হোয়াইটওয়াশ না হয় –শান্ত

এক ম্যাচ বাকী থাকতেই সিরিজ খুইয়েছে বাংলাদেশ। তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচেই হেরে হোয়াইটওয়াশ হওয়ার দাঁড়প্রান্তে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। শেষ ম্যাচ জিতে হোয়াইটওয়াশ এড়াতে চায় বাংলাদেশ। হোয়াইটওয়াশ এড়াতে দোয়া চেয়েছেন অধিনায়ক নাজমুল হাসান শান্ত।

শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে শান্ত বলেন, ‘ব্যক্তিগত দুই-একটা পারফরম্যান্স হচ্ছে কিন্তু দল হিসেবে ওই পারফর্মম্যান্সটা আসছে না। দেখা গেল সৌম্য একা ম্যাচটা ক্যারি করলো, মাঝখানে ওরকম কেউ রান করেনি। আমার কাছে মনে হয় এই ধরণের কন্ডিশনে বড় জুটি প্রয়োজন। ওই জিনিসটাই করার চেষ্টা করব আগামীকালের ম্যাচে। আর যেটা বললেন আরেকটা হোয়াইটওয়াশের সামনে, দোয়া করেন যেন ওই জিনিসটা না হয়।’

পেসারদের থেকে ভালো পারফরম্যান্স প্রত্যাশা করে টাইগার অধিনায়ক আর বলেন, ‘এই কন্ডিশনে তো আশা করতেই পারি। শরিফুল যেভাবে বল করেছে সঙ্গে যদি বাকিরা সাপোর্ট দিতো বেটার কিছু হতে পারতো। তাদের জন্যও চ্যালেঞ্জের, এই ধরণের কন্ডিশনে খুব বেশি বল তারা করে না। যতো তাড়াতাড়ি শিখতে পারে সেটা দলের জন্য ভালো।’

সূত্র: ইত্তেফাক




ট্রাক হাতে নিয়ে ভোট চাইছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী কামারুল আরেফীন

নির্বাচনী প্রতীক ট্রাক। এই প্রতীকে নির্বাচন জিততে বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে ভোট চাইছেন কুষ্টিয়া-২ (মিরপুর-ভেড়ামারা) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী কামারুল আরেফীন।

তিনি মিরপুর উপজেলা আ’লীগের সাধারন সম্পাদক ও সদ্য পদত্যাগকারী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান।

স্বতন্ত্র এমপি প্রার্থী হিসেবে কামারুল আরেফীন ট্রাক প্রতীকে প্রতিনিয়ত গণসংযোগ করছেন।

শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) সারাদিন মিরপুর ও ভেড়ামারা উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে তিনি গণসংযোগ করেন। এ সময় তাকে পেয়ে ভোটারদের মধ্যেও আনন্দ-উচ্ছ্বাস দেখা যায়।

ভোটের প্রচার-প্রচারণা শুরুর পর থেকে গণসংযোগে বেরিয়ে পড়েন কামারুল আরেফীন। মিরপুর ও ভেড়ামারা উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে গ্রামে ঘুরে নিজের প্রতীক ট্রাক প্রতীকে ভোট চান।

কামারুল আরেফীন গ্রামের নারী-পুরুষ, বৃদ্ধ-বণিতা, তরুন-তরুনীদের সঙ্গে কথা বলে তাদেরও ভোট আদায়ের চেষ্টা করছেন। বলছেন, নির্বাচিত হলে তিনি এই আসনের আত্মমর্যাদা ফিরিয়ে দেবেন। এলাকার মানুষ এখন যে শোষণের মধ্যে আছেন, তিনি তা থেকে সবাইকে বের করে আনবেন। তিনি শোষক হিসেবে নয়, সেবক হিসেবে মানুষের পাশে থাকতে চান। সেবা করতে চান।

আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নিজেকে মেলে ধরেছেন ভোটের মাঠে।

কামারুল আরেফীন বলেন, দুই উপজেলায় সর্বশ্রেণীর মানুষ আমার ট্রাক প্রতিকের পক্ষে মাঠে নেমেছে। এই দুই উপজেলার শুধু আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা নয় সাধারণ মানুষ আমাকে ভালবাসে, এটা দুই উপজেলার মানুষ আরেকবার প্রমাণ করেছেন। আমি তাদের ভালবাসার প্রতিদান দিতে চাই। ‘জনগণ পরিক্ষিত ত্যাগী ও উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে সক্ষম জনপ্রতিনিধি চান। তারা ঐক্যবদ্ধ। ফলে তিনি জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী।’

প্রসঙ্গত, ২০০৩ সালে তিনি মিরপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগনিক সম্পাদক ও ২০১১ সালে মিরপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন কামারুল আরেফিন। একই সালে তিনি বিপুল ভোটে সদরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ২০১৪ সাল এবং ২০১৮ সালে তিনি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ২০১৯ সালে তিনি প্রাথমিক শিক্ষা ক্ষেত্রে দেশসেরা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত থেকে পদক লাভ করেন তিনি।




নির্বাচনে সেনা বাহিনী মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে মাঠে থাকবে

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরিবেশ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সশস্ত্র বাহিনী, পুলিশ, বিজিবি, র‍্যাবসহ সব বাহিনী ২৯ ডিসেম্বর মাঠে নামবে। তারা মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত ১৩ দিন দায়িত্ব পালন করবে।

গতকাল বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমানের জারি করা এক পরিপত্রে এসব নির্দেশনা সংশ্লিষ্ট সবাইকে পাঠানো হয়েছে।

পরিপত্রে বলা হয়, নির্বাচনের দিন প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে ১৫ থেকে ১৭ জন নিরাপত্তা রক্ষাকারী সদস্য নিয়োজিত থাকবেন।

নির্বাচনকালীন পুলিশ, র‍্যাব, বিজিবি, আর্মড পুলিশ, আনসার ব্যাটালিয়ন ও কোস্টগার্ড এবং সশস্ত্র বাহিনী ভোটের আগে-পরে ১৩ দিনের জন্য মোতায়েন থাকবে।

এতে আরো বলা হয়, ২৯ ডিসেম্বর থেকে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সশস্ত্র বাহিনী মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে। এ ছাড়া পুলিশ, আনসার-ভিডিপিসহ ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তা রক্ষাকারী সদস্যরা পাঁচ দিনের জন্য মোতায়েন থাকবে। ভোটের আগের দুদিন থেকে তাদের মোতায়েন করা হবে।

আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে ২৭টি দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থী নিয়ে মোট বৈধ প্রার্থীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৮৯৬ জন। তবে উচ্চ আদালত থেকে নির্দেশনা এলে এ সংখ্যা আরো বাড়তে বা কমতে পারে। এই নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র ৪২ হাজার ১০৩টি।

আর ভোটার সংখ্যা ১১ কোটি ৯৬ লাখ ৯১ হাজার ৬৩৩। এদের মধ্যে পুরুষ ভোটার ৬ কোটি ৭ লাখ ৭১ হাজার ৫৭৯ জন এবং নারী ভোটার ৫ কোটি ৮৯ লাখ ১৯ হাজার ২০২ জন। আর হিজড়া ভোটার রয়েছেন ৮৫২ জন।
চার লাখ ছয় হাজার ৩৬৪ জন প্রিজাইডিং অফিসার, দুই লাখ ৮৭ হাজার ৭২২ জন সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার এবং পাঁচ লাখ ৭৫ হাজার ৪৪৩ জন পোলিং অফিসার, মোট নয় লাখ নয় হাজার ৫২৯ জন ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করবেন।




সারা দেশে ৩ দিন মোটরসাইকেল চলাচলে নিষেধাজ্ঞা

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৫ জানুয়ারি রাত ১২টা থেকে ৮ জানুয়ারি রাত ১২টা পর্যন্ত মোটরসাইকেল চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। গতকাল বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের রাজনৈতিক-৬-এর জারি করা এক পরিপত্রে এ তথ্য জানানো হয়।

পরিপত্রে বলা হয়েছে, জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে ৬ জানুয়ারি মধ্যরাত ১২টা থেকে ৭ জানুয়ারি মধ্যরাত ১২টা পর্যন্ত নির্বাচনী এলাকায় ট্যাক্সিক্যাব, মাইক্রোবাস, পিকআপ, ট্রাক, লঞ্চ, ইঞ্জিনচালিত বোটসহ (নির্দিষ্ট রুটে চলাচলকারী ব্যতীত) অন্যান্য যানবাহন চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে। এ ছাড়া সারা দেশে ৫ জানুয়ারি মধ্যরাত ১২টা থেকে ৮ জানুয়ারি মধ্যরাত ১২টা পর্যন্ত নির্বাচনী এলাকায় মোটরসাইকেল চলাচলে নিষেধাজ্ঞা থাকবে।

তবে নির্বাচনে প্রার্থী, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, সশস্ত্র বাহিনী, প্রশাসন ও অনুমতিপ্রাপ্ত পর্যবেক্ষক এবং নির্বাচনী এজেন্টরা সেসব যানবাহন ব্যবহার করতে পারবেন না। পর্যবেক্ষক ও পোলিং এজেন্টদের যানবাহনে নির্বাচন কমিশনের স্টিকার ব্যবহার করতে হবে। জাতীয় হাইওয়েসমূহের ক্ষেত্রে এই নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য হবে না বলে পরিপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে।

নির্বাচনের কারণে ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত লাইসেন্সধারী অস্ত্র বহন ও প্রদর্শনও করা যাবে না।

ভোট ঘিরে ২৯ ডিসেম্বর থেকে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত ১৩ দিন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সশস্ত্র বাহিনী মাঠে দায়িত্ব পালন করবে।




মেহেরপুরে নারীতে রূপান্তরিত হয়েছে হিজড়ারা

দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রামের পর লিঙ্গ হিসেবে হিজড়া সাংবিধানিক স্বীকৃতি লাভ করে। কিন্তু ভোটার তালিকা হালনাগাদের পর মেহেরপুরের হিজড়া ভোটারদের নারীতে রূপান্তরিত করেছে জেলা নির্বাচন অফিস।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে মেহেরপুরে দুইটি আসনে প্রকাশিত চুড়ান্ত ভোটার তালিকায় দেখা যায় সমগ্র জেলায় হিজড়া ভোটার মাত্র ২ জন। সংখ্যাটি নিয়ে বিভিন্ন মহালে শুরু চলছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। জেলাতে হিজড়ার সংখ্যা নিয়েও বিভিন্ন সরকারি দপ্তর ভেদে রয়েছে অস্পষ্টতা। ভোটার তালিকায় হিজরা সংখ্যা মাত্র ২ জন দেখালেও জেলা পরিসংখ্যান অফিস বলছে হিজড়া সংখ্যা ২৬, হিজড়াদের প্রতিনিধি বলছে মেহেরপুরে তাদের সংখ্যা ২৯ জন, জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরে বলছে হিজরা সংখ্যা ২৫ আবার তাদের উপকার ভোগীর তালিকায় সংখ্যাটা ৩০ জনের।

ভোটার তালিকা হালনাগাদে এবারই প্রথম হিজড়া ভোটারদের তথ্য সংগ্রহ ও প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন।

জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কাজী কাদের মোঃ ফজলে রাব্বি মেহেরপুর প্রতিদিনকে বলেন, ‘আমাদের কাছে যে সকল হিজরারা প্রশিক্ষণ ও বিভিন্ন সরকারি সুবিধা নিয়েছেন জাতীয় পরিচয় পত্র অনুযায়ী সকলের লিঙ্গ হিজড়া। নির্বাচন কমিশনের চূড়ান্ত ভোটার তালিকায় যে সংখ্যাটা দেখানো হচ্ছে সেটা সঠিক নয়। কেন এমন হলো ব্যাখ্যাটা উনারাই দিতে পারবেন। ‘

জেলা পরিসংখ্যান অফিস মেহেরপুরের উপ-পরিচালক মোঃ বছির উদ্দীন বলেন, ‘আমাদের সর্বশেষ শুমারি অনুযায়ী মেহেরপুর জেলায় মোট হিজড়া’র সংখ্যা ২৬ জন।’

হিজড়াদের পরিচয়ের স্বীকৃতির দীর্ঘ আন্দোলনের পর ২০১৩ সালের ১৩ নভেম্বর মন্ত্রিসভার বৈঠকে হিজড়াদের ‘লিঙ্গ পরিচয়কে’ রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দিয়ে এ সংক্রান্ত ‘নীতিমালা অনুমোদন করা হয়।

২০১৪ সালের ভোটার নিবন্ধন বিধিমালা প্রণয়নের সময়ই নির্বাচন কমিশন ‘হিজড়া’র অপশন প্রস্তাবিত নিবন্ধন ফরমে যুক্ত করে। কিন্তু ভোটার তালিকা আইন ও ভোটার তালিকা বিধিমালা সংশোধন না হওয়ায় ইতোপূর্বে তা কার্যকর সম্ভব হয়নি। ২০১৮ সালে বিধিমালা সংশোধনের পর এবারই প্রথম তাদের তথ্য সংগ্রহ ও প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের মনোনয়ন ফর্মেও লিঙ্গ হিসেবে নারী ও পুরুষের পাশাপাশি হিজরা রাখা হয়েছে। ২০১৮ সালে তৎকালীন প্রধান নির্বাচন কমিশনার জানিয়েছিলেন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্বে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করার সময় নাই। এজন্য হিজড়ারা তাদের পছন্দ অনুযায়ী পুরুষ বা নারী যেকোনো একটি অপশন পছন্দ করে ভোটার হতে পারবে। ভোটার তালিকার পরবর্তী হালনাগাদে তাদের হিজড়া ভোটার হিসাবে অন্তর্ভুক্ত করে তালিকাভুক্ত হবে।

হিজরাদের প্রতিনিধি সুমি খাতুন বলেন, ‘মেহেরপুর জেলায় আমাদের মোট সংখ্যা ২৯ জন। এরমধ্যে মেহেরপুর সদরে ১৯ জন ও গাংনীতে ১০ জন। আমরা সকলেই অনেক আগে থেকেই নারী ভোটার হিসাবে তালিকাভূক্ত। নতুন করে ভোটার হিসেবে আমাদের তালিকা হালনাগাদ করা হয়নি।’

মেহেরপুর জেলা নির্বাচন অফিসার মো: ওয়ালিউল্লাহ মেহেরপুর প্রতিদিনকে বলেন, ‘মেহেরপুরে হিজড়া ভোটাররা নারী ভোটার হিসেবে আগে থেকেই তালিকাভুক্ত ছিলেন। নতুন যারা ভোটার হবেন আমরা তাদেরকে হিজড়া ভোটার দেখাবো। অন্যরা আগের তালিকাতেই থাকবেন। এ বছর গাংনীতে নতুন দুজন ভোটার হয়েছেন। আমরা তাদেরকে হিজড়া ভোটার হিসাবে দেখিয়েছি। অন্যদের আমরা আগের তালিকাতেই রেখেছি।’