ঝিনাইদহে স্বতন্ত্র প্রার্থীর নির্বাচনী অফিসে হামলা-ভাংচুর আহত ৬, গ্রেপ্তার ২

ঝিনাইদহ-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী নাসের শাহরিয়ার জাহেদী মহুল এর নির্বচনী অফিসে নৌকা প্রতীকের সমর্থনকারীরা হামলা ও ভাংচুর করে ৬জনকে গুরুতর আহত করেছে। তাদের মধ্যে ৪ জনকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার পোড়াহাটী ইউনিয়নের গোয়ালপাড়া বাজারে এই হামলার ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন একই ইউনিয়নের ঘোড়ামারা গ্রামের রোজদার মন্ডলের ছেলে আকাশ মন্ডল (২২), বাজিতপুর গ্রামের লিয়াকত লস্করের ছেলে মোঃ আকিজ লস্কর (৩৭) একই গ্রামের খয়বার মন্ডলের ছেলে আব্বাস আলী (৩০) এবং মহসিন শেখ। আহত ২ জনকে আশংকাজনক অবস্থায় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে বলে স্বজনরা জানান।

এই হামলা এবং ভাংচুরের ঘটনায় জড়িত সন্দেহভাজন ২জনকে গ্রেপ্তার করেছে বলেন জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইমরান জাকারিয়া। তিনি বলেন সংবাদ পেয়ে সেখানে পুলিশ পাঠানো পর পরিস্থিতি শান্ত হয়েছে। সহিংসতার সংবাদ পেলেই সেখানে পুলিশের গ্রেপ্তার অভিযান চলবে।




আলমডাঙ্গায় একের অধিক নির্বাচনী অফিস নির্মাণে তিন প্রার্থীকে জরিমানা

চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে সংসদ নির্বাচনে আচরণ বিধি লঙ্ঘনের অপরাধে তিন প্রার্থীকে সাড়ে ৭ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রামমাণ আদালত।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন নির্বাচনে নিয়োজিত ম্যাজিস্ট্রেট ও আলমডাঙ্গা উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) রেজওয়ানা নাহিদ।

আদালত সূত্রে জানা যায়, আলমডাঙ্গা পৌরসভার বিভিন্নস্থানে নির্বাচনী আচরণ বিধি মানা হচ্ছে কিনা সেটা তদারকিতে মাঠে নামে ভ্রাম্যমাণ আদালত। আওয়ামীলীগের মনোনীত নৌকা প্রতিকের প্রার্থী ও স্বতন্ত্র ঈগল প্রতিকের প্রার্থীর পৌর এলাকায় একের অধিক নির্বাচনি অফিস থাকায় তাদের দুজন কর্মীকে জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। নৌকার প্রার্থীর কর্মীকে আড়াই হাজার টাকা ও ঈগল প্রতীক প্রার্থীর কর্মীকে তিন হাজার টাকা জরিমানা করেন। এছাড়া স্বতন্ত্র ফ্রীজ প্রতিকের প্রার্থীকে এম.এ. রাজ্জাক খাঁন রাজের বৈদ্যুতিক ল্যাম্পপোস্টে ভোটের পোস্টার স্থাপন ও মাপের অধিক বড় বিলবোর্ড নির্মাণের জন্য তার কর্মীকেও ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার সময় নির্বাচনে নিয়োজিত ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার ভূমি রেজওয়ানা নাহিদ জানান, নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করলে কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না। নির্বাচনে সকল প্রার্থীকেই আইন মেনে চলতে হবে। নির্বাচন পর্যন্ত এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।




চুয়াডাঙ্গায় ঈগল প্রতীকের প্রার্থীর প্রচার কাজে নিয়োজিত ইজিবাইক চালককে ধারালা অস্ত্রাঘাতে জখম

চুয়াডাঙ্গা শহরের একাডেমী বিদ্যালয়ের মােড়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী দিলীপ কুমার আগরওয়ালার ঈগল প্রতীকের প্রচার কাজে নিয়োজিত ইজিবাইক চালক রুবেল হােসনকে (৩০) ধারালাে অস্ত্রাঘাতে জখম করা হয়েছে। আহত রুবলকে রক্তাক্ত অবস্থায় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) বেলা পৌনে ৩টার দিকে এ ঘটনাটি ঘটে।

চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার বাগানপাড়ার মিনারুল ইসলামের ছেলে ইজিবাইক চালক আহত রুবেল চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী দিলীপ কুমার আগরওয়ালার নির্বাচন প্রচার কাজ নিয়জিত রয়েছে।

আহত রুবলের মামা আসাবুল হক বলেন, এদিন সকালে ঈগল প্রতীকের প্রচার কাজে ব্যবহৃত মেমোরী কার্ড

নিয়ে ওই এলাকার মফিজুরের সঙ্গে রুবলের বাকবিতন্ডা হয়। এরই মধ্যে মফিজুরের ভাগ্নে শাহাদাৎকে বিষয়টি জানায়। তারপর দুপুরে প্রচার চালাতে মাইক নিয়ে একাডেমী বিদ্যালয়ের মোড় গেলে শাহাদাৎ ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাকে কুপিয়ে জখম করে। এরপর স্থানীয়দের সহযোগীতায় তাকে উদ্ধার করে সেখান থেকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে এসে ভর্তি করা হয়।

সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক সোহরাব হোসন বলেন, আহত রুবলের শরীলের পিঠে ধারালো অস্ত্রাঘাতের জখম হয়েছে। সেই ক্ষতস্থানে সেলাই দিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে ভর্তি রাখা হয়েছে।

চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ সেকন্দার আলী বলেন, এটা নির্বাচন কেদ্রীক কোন ঘটনা নয়। দুজনই ইজিবাইক চালক। একটি মেমোরী কার্ড দেওয়া নেওয়াকে কেদ্র করেই আঘাতের ঘটনাটি ঘটেছে। তবে বিচার প্রার্থীর কাছ থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পাওয়া গেলে সেটার ওপর ভিত্তি করে প্রয়াজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।




চুয়াডাঙ্গা-দর্শনা মহাসড়কে বাস-পাওয়ারটিলার মুখোমুখি সংঘর্ষ, আহত ২

চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা-দর্শনা সড়কের লোকনাথপুর ফায়ার সার্ভিসের অদূরে বাস-পাওয়ারটিলার সড়ক দুর্ঘটনায় ২ জন রক্তাক্ত জখম হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৩ টার দিকে এ দৃর্ঘটনা ঘটে।

দুর্ঘটনায় আঘাত পেয়ে রক্তাক্ত জখম হয়েছেন, পাওয়ারটিলার চালক দামুড়হুদা উপজেলার নতিপোতা ইউনিয়নের কালিয়াবকরি গ্রামের মজিবরের ছেলে জহির ইসলাম কটা (৩৩) ও নতিপোতা গ্রামের আশাদুলের ছেলে গরু ব্যবসায়ী রিপন মিয়া (৩৬)।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, জীবননগর উপজেলার শিয়ালমারি পশু হাট থেকে গরু বিক্রি করে বাড়ি ফেরার পথে দর্শনা-দামুড়হুদা সড়কের মাঝে লোকনাথপুর ফায়ার সার্ভিসের কাছে পৌঁছালে বেপরোয়া গতিতে এসে পিছন দিক থেকে ধাক্কা দেয় কার্পাসডাঙ্গা থেকে ছেড়ে আসা ফরিদপুর গামী রেখা পরিবহন। ধাক্কা দেয়ায় পাওয়ারটিলার চালক কটা (৩৫) রাস্তার উপরে ছিটকে পড়ে রক্তাক্ত অবস্থায় বেহুশ হয়ে যায়। তখন তাকে ধরে রাস্তার পাশে নিয়ে সরানোর জন্য গেলে রেখা পরিবহনের বাসটি চলে যাওয়ার চেষ্টা করলে ১ জন গরু ব্যাপারি সামনে যেয়ে হাত উুঁচু করে দাড়ালে তাকে সাইড কাটিয়ে বাসটি সেখান থেকে পালিয়ে যায়।

তাৎক্ষণিকভাবে পথচারীরা ফায়ার সার্ভিসের অফিসে জানালে সাথে সাথেই তারা গাড়ি নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে আহতদের উদ্ধার করে দামুড়হুদা চিৎলা হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর চালক কটার অবস্থার অবনতি দেখা গেলে তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বাকিরা প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বর্তমানে নিজ বাড়িতে আছেন। তবে গুরুতর আহত পাওয়ারট্রলির চালক কটার অবস্থা আশংকাজনক।




আলমডাঙ্গার বিভিন্ন এলাকায় ছেলুন জোয়ার্দ্দারের গণসংযোগ

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের নৌকার মনোনীত প্রার্থী সোলায়মান হক জোয়ার্দার ছেলুন আলমডাঙ্গার বিভিন্ন ইউনিয়নে গনসংযোগ করেছেন।

গতকাল বৃহস্পতিকার তিনি পিটিআই মোড়,কান্তপুর ব্রিজ মোড়, মুন্সিগঞ্জপশুহাট, জেহালা, রোয়াকুলি, বন্ডবিল, রেলস্টেশন এলাকা ও আলমডাঙ্গা পৌর পশুহাট এলাকায় গণ সংযোগ করেন।

গন সংযোগ কালে তিনি বিভিন্ন মানুষের সাথে কুশল বিনিময় করে নৌকায় ভোট প্রার্থনা করেন।

এ সময় তিনি বলেন,আওয়ামীলীগ সরকার উন্নয়নের সরকার,আওয়ামীলীগ যখনই ক্ষমতায় আসে তখনই দেশের উন্নয়ন হয়।বর্তমান সরকার ক্ষমতায় এসে গৃহহীন দের গৃহ নির্মাণ করে দিয়েছে।যাদের জমি নেই তাদেরও জমি সহ গৃহ নির্মান করে দিয়েছে।বয়স্ক,বিধবা,প্রতিবন্ধি সহ ৫৩ প্রকারের ভাতা দেওয়া হচ্ছে।গরীব মানুষদের জন্য স্বল্প মুল্যে চাল ডাল, তেল,পেঁয়াজ দিচ্ছে।প্রত্যেকটি শিক্ষা প্রতিষ্টানে বিল্ডিং করে দিয়েছে।বছরের শুরুতে শিক্ষার্থীদের মাঝে নতুন বই তুলে দেওয়া হচ্ছে।সন্ত্রাস নির্মুল করার পর মানুষ শান্তিতে ঘুমাতে পারছে।

বিগত সরকার আমলে সন্ত্রাসীদের লালন করা হয়েছিল।কিন্ত বর্তমান সরকার সন্ত্রাস নির্মুল করে যুগান্তকারি পদক্ষেপ নিয়ে মানুষকে সন্ত্রাসীদের হাত থেকে মুক্তি দিয়েছে।

দেশের এই উন্নয়নের ধারা অব্যাহত ররাখতে আবারও নৌকায় ভোট দিবেন। গণসংযোগকালে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু মুছা,সম্পাদক ইয়াকুব আলী মাষ্টার,সাবেক সহ-সভাপতি আলহাজ লিয়াকত আলী লিপু মোল্লা,সাবেক পৌর সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম,পৌর আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক সাইফুর রহমান পিন্টু,কালিদাশপুর ইউনিয়নের সভাপতি জয়নাল আবেদীন,যুবলীগ নেতা হিটু,সৈয়কত খান প্রমুখ।




দর্শনা সীমান্তে গাঁজা ও ভারতীয় ইয়ারগানের বডিসহ গ্রেফতার ২

দর্শনা থানা পুলিশ অস্ত্র ও মাদক বিরোধী অভিযান চালিয়ে ৩ কেজি গাঁজা ও ইয়ারগানের ৮ টি বডি ব্যারেলসহ ২ জনকে গ্রেফতার করেছে।

গ্রেফতারকৃত হলো চুয়াডাঙ্গা জেলার দর্শনা থানার পারকৃষ্ণপুর মদনা ইউনিয়নের বড়বলদিয়া পশ্চিমপাড়া গ্রামের মৃত হিসাব আলীর ছেলে সোহেল রানা (৩৫)একই গ্রামের মৃত আজিম উদ্দীনের ছেলে জিয়ারুল ইসলাম ওরফে কালো জিয়াকে (৪০),গ্রেফতার করে।

পুলিশ জানায় আজ বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) রাত পৌনে তিনাটার দিকে দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি বিপ্লব কুমার সাহার নেতৃত্বে অস্ত্র ও মাদক বিরোধী অভিযান চালায় বড় বলদিয়া গ্রামের দক্ষিন পোতার চৌচালা টিনের বসত ঘরে।

এ সময় দর্শনা থানার এস আই তারেক হাসান গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সঙ্গীয় অফিসার ও ফোর্সসহ মাদকবিরোধী অভিযান চালিয়ে টিনের ঘরের বসত ঘর থেকে ২ জনের স্বীকারোক্তিতে ৩ কেজি ভারতীয় গাঁজা ও ইয়ারগানের ৮ টি বডি ব্যারেল উদ্ধার করে। এ সব মালামালের আনুমানিক বাজার মৃল্য ১ লাখ ১০ হাজার টাকা।

আজ গ্রেফতারকৃত ২ জনকে অস্ত্র ও মাদক আইনে মামলাসহ চুয়াডাঙ্গা কোর্ট হাজতে প্রেরন করেছে।




জীবননগরে আইন শৃঙ্খলা বিষয়ক মতবিনিময় সভা

জীবননগর উপজেলার মনোহরপুর ইউনিয়নে যৌন হয়রানি (ইভটিজিং,)মাদক, জঙ্গিবাদ, দূর্নীতি প্রতিরোধ,আত্মহত্যার বিরুদ্ধে সচেতনতা সৃষ্টি, ডেঙ্গু প্রতিরোধ ও আইন শৃঙ্খলা বিষয়ক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার সময় উপজেলার মনোহরপুর ইউনিয়ন পরিষদের আয়োজনে ইউনিয়ন পরিষদের হলরুমে এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

মনোহরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন খাঁন সুরোদ্দীনের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক ড. কিসিন্ঞ্জার চাকমা।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জীবননগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাসিনা মমতাজ, উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি তিথী মিত্র।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন,মাদক যুব সমাজকে ধ্বংস করছে। বর্তমান যুব সমাজকে মাদক মুক্ত করে গড়ে তুলতে হলে খেলাধুলার পাশাপাশি আমাদের সকলকে একত্রে হয়ে কাজ করতে হবে। আত্মহত্যা একটা মহাপাপ। এ থেকে বেরিয়ে আসতে অভিভাবকসহ সকলকে সচেতন হতে হবে এবং শিক্ষার্থীদের সচেতন করতে হবে। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আইন শৃঙ্খলা যাতে অবনতি না হয় সেদিকে সকলকে সজাগ থাকতে হবে। আরো বক্তব্য রাখেন মনোহরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল খালেক,সাংবাদিক আকিমুল ইসলাম, ইয়ুথ এ্যাসেম্বিলর সভাপতি মিথুন মাহমুদ, পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক সাজেদুর রহমান প্রমূখ ।অনুষ্ঠানটি সার্বিক পরিচালনা করেন জীবননগর উপজেলা লোকমোর্চার সমন্বয়কারী আব্দুল আলীম সজল।




জীবননগরে ভুট্টা ক্ষেত থেকে স্কুল ছাত্রীর লা*শ উদ্ধার

চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে ২য় শ্রেণির স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণ শেষে গলাকেটে হত্যা করেছে । আজ  বৃহস্পতিবার দুপুরে জীবননগর উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়নের গোয়ালপাড়া গ্রামের হাড়ভাংগা মাঠ নামক স্হানে ওই ঘটনা ঘটে।

নিহত মরিয়ম খাতুন (১০) উপজেলার গোয়ালপাড়া গ্রামের ইকবাল হোসেনের বড়ো মেয়ে। সে স্থানীয় কিন্ডারগার্টেন স্কুলের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী ছিল। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে নিহত শিশুর বিবস্ত্র মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঘটনার পরপরই চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার আর এম ফয়জুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস) নাজিম আল আজাদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (দামুড়হুদা-জীবননগর সার্কেল) জাকিয়া সুলতানা, ঘটনা স্থল পরিদর্শন করেছেন।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, দুপুরে চার বান্ধবীর সাথে ছাগলের জন্য ঘাষ কাটতে এবং বেতের শাক তুলতে বাড়ির পার্শ্ববর্তী হাড়িভাঙ্গা মাঠে যায় ওই শিশু। এসময় ঘাষ কেটে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে মাঠের একটি ভুট্টা ক্ষেতে নিয়ে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে অজ্ঞাত এক যুবক। পরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলাকেটে হত্যা নিশ্চিত করে। ঘটনার সময় ভয়ে পালিয়ে এসে বাড়িতে খবর দেয় তার সতীর্থরা।পরবর্তীতে ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই শিশুর বিবস্ত্র গলাকাটা মরদেহ দেখতে পায় এলাকাবাসী।

মেয়ের চাচী সেলিনা খাতুন বলেন,দুপুরের দিকে মরিয়মসহ আরো ৩/৪জন বাচ্চা গোয়ালপাড়া হাড়ীভাংঙ্গা মাঠে সবজি তুলতে যায়।সেখানে সাথে থাকা তিনজন বাচ্চা পালিয়ে যায় এবং বাড়িতে কান্নাকাটি করে বলে। মরিয়মকে একজন ব্যাক্তি হাসুয়া দেখিয়ে ভুট্টা ক্ষেতের দিকে নিয়ে গেছে। আমরা খবর পেয়ে দ্রুত হাড়িভাংঙ্গা মাঠে পৌঁছিয়ে চারিদিকে খোঁজাখুজি করি। এর পরে আলতাফ ময়রার ছেলে আলী হোসেনের ভুট্টা ক্ষেতের ভিতর উলঙ্গ অবস্হায় মরিয়মের মরাদেহ দেখতে পায়।

চুয়াডাঙ্গা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস) নাজিম উদ্দীন আল আজাদ বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে নিহত শিশুর বিবস্ত্র মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ধর্ষককে চিনে ফেলায় ওই শিশুকে গলাকেটে হত্যা করা হতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। নিহত শিশুর মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য সুরহাতাল শেষে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হচ্ছে। ময়না তদন্তের পর জানা যাবে শিশুটিকে ধর্ষন করা হয়েছে কি না।ভিকটিমকে ধরতে পুলিশ প্রশাসন মাঠে কাজ করছে।




কুষ্টিয়া-২ আসনে ট্রাক প্রতীকের গণসংযোগে ব্যস্ত কামারুল আরেফীন

কুষ্টিয়া-২ (মিরপুর-ভেড়ামারা) আসনে ট্রাক প্রতীকে গণসংযোগ করছেন স্বতন্ত্র এমপি প্রার্থী, উপজেলা আ’লীগের সাধারন সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান কামারুল আরেফীন।

আজ বৃহস্পতিবার ভেড়ামারা উপজেলার বিভিন্ন বাজারে ব্যবসায়ী ও পথচারীদের মাঝে তিনি ট্রাক প্রতীকের পক্ষে ভোট প্রার্থনা করেন। এ সময় ভোটারদের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনা লক্ষ্য করা যায়।

কামারুল আরেফীন বলেন, দুই উপজেলায় সর্বশ্রেণীর মানুষ আমার ট্রাক প্রতিকের পক্ষে মাঠে নেমেছে। এই দুই উপজেলার শুধু আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা নয় সাধারণ মানুষ আমাকে ভালবাসে, এটা দুই উপজেলার মানুষ আরেকবার প্রমাণ করেছেন। আমি তাদের ভালবাসার প্রতিদান দিতে চাই। ‘জনগণ পরিক্ষিত ত্যাগী ও উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে সক্ষম জনপ্রতিনিধি চান। তারা ঐক্যবদ্ধ। ফলে তিনি জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী।’

এ সময় জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আমজাদ হোসেন রাজু, জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আবু হেনা মোস্তফা কামাল মুকুল, ভেড়ামারা উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আকরাম হোসেন শামীম, সাধারণ সম্পাদক মানিক মিয়া, সিনিয়র সহ-সভাপতি আহাদুজ্জামান রানা, উপজেলা আ’লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ, শ্রমিকলীগ ও ছাত্রলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন




মুজিবনগর স্মৃতিসৌধে মুক্তিজোটের নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা

মেহেরপুরের ঐতিহাসিক মুজিবনগরে নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট। এর মাধ্যমেই দলটির নির্বাচনী প্রচারণা আনুষ্ঠানিক ভাবে শুরুহলো।

আজ বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে বাংলাদেশের প্রথম সরকারের শপথগ্রহণের ঐতিহাসিক স্থান মুজিবনগর স্মৃতিসৌধের পাদদেশে দলের কেন্দ্রীয় নেতারা একত্রিত হয়ে মুক্তিজোটের ইশতেহার ঘোষণা করেন।

২৩ দফা সম্বলিত ইশতেহার ঘোষণা করেন মুক্তিজোট সংগঠনের প্রধান আবু লায়েস মুন্না। এ সময় মুক্তিজোট নেতারা দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে তাদের ২৩ দফা পালনে শপথ গ্রহনের মাধ্যমে অঙ্গীকার করেন। এই সময় মুক্তিজোট সংগঠনের পরিচালনা বোর্ড প্রধান শাহ জামাল আমিরুল, কন্ট্রোল বোর্ড প্রধান বদরুজ্জামান রিপন, মজিবুল হক সহ কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

ইশতেহারে সংগঠনটি স্থানীয় সরকার শক্তিশালীকরণ, ইউনিয়ন পর্যায়ে পোষ্ট অফিসকে কার্যকর করা, রেমিট্যান্স বৃদ্ধি, গণমাধ্যমকর্মী ও কবি-সাহিত্যিকদের জন্য আর্থিক সুবিধা বৃদ্ধি, কৃষক শ্রমিক প্রবাসীদের জন্য বীমা ব্যবস্থা, চা শিল্প ও গার্মেন্টেস শ্রমিকদের জন্য বেতন বৃদ্ধির নিশ্চয়তা, ক্ষুদ্র নৃগোষ্টির জীবনমান উন্নয়ন, তৃতীয় লিঙ্গের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, শ্রমিকদের অংশীদারিত্বের মাধ্যমে শিল্পকলকারখানা বৃদ্ধিকরণ সহ ২৩ দফা দাবী উত্থাপন ও বাস্তবায়নে আন্দোলন সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করা হয় এই সময়।