একই সঙ্গে দুই পর্দা ব্যবহার ল্যাপটপে

একই সঙ্গে একাধিক কাজ করার সুযোগ দিতে দু’টি ১৪ ইঞ্চি ওলেড পর্দাযুক্ত ল্যাপটপ তৈরি করেছে আসুস। আসুস জেনবুক ডুও (২০২৪) ইউএক্স৮৪০৬ মডেলের ল্যাপটপটিতে থাকা পর্দাগুলো একসঙ্গে বা খুলে আলাদাভাবে ব্যবহার করা যায়। শিগগিরই ল্যাপটপটি দেশের বাজারে পাওয়া যাবে বলে এক সংবাদ বিজ্ঞাপ্তিতে জানিয়েছে আসুস বাংলাদেশ।

সংবাদ বিজ্ঞাপ্তিতে বলা হয়েছে, বিল্ট-ইন কিকস্ট্যান্ড থাকায় ১২০ হার্টজের ওলেড টাচস্ক্রিন সুবিধার পর্দাগুলোর অবস্থান পরিবর্তন করে সহজেই ল্যাপটপটিকে ডুয়াল স্ক্রিন, ডেস্কটপ, ল্যাপটপ এবং শেয়ারিং মোডে ব্যবহার করা যায়। শুধু তা-ই নয়, ল্যাপটপটিতে ব্লু-টুথ কি-বোর্ডও রয়েছে। ফলে কি-বোর্ডটি ল্যাপটপ থেকে আলাদা করেও বিভিন্ন কাজ করা সম্ভব। ফলে ব্যবহারকারীরা নিজেদের প্রয়োজন অনুযায়ী স্বচ্ছন্দে ল্যাপটপটি ব্যবহার করতে পারবেন।

ইন্টেল কোর আল্ট্রা ৯ প্রসেসরে চলা ল্যাপটপটিতে ৩২ গিগাবাইট র্যাম এবং ২ টেরাবাইট ধারণক্ষমতা রয়েছে। ২টি থান্ডারবোল্ট ৪ পোর্ট, ইউএসবি ৩.২ জেন ১ টাইপ-এ এবং এইচডিএমআই ২.১ ইন্টারফেস সুবিধার ল্যাপটপটিতে স্বচ্ছন্দে গেমও খেলা যায়। ১.৩৫ কেজি ওজনের ল্যাপটপটিতে ৭৫ ওয়াট ব্যাটারির পাশাপাশি দ্রুত চার্জিং সুবিধা থাকায় দ্রুত চার্জ করা যায়।

সূত্র: ইত্তেফাক




মুজিবনগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী তোতাকে শোকজ

উপজেলা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক বক্তব্য প্রদান ও নির্বাচনী অফিস ভাঙচুরের অভিযোগে মুজিবনগর উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী রফিকুল ইসলাম তোতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

মেহেরপুর জেলা নির্বাচন অফিসার ও রিটার্নিং কর্মকর্তা ওয়ালিউল্লাহ কারণ দর্শানোর এই নোটিশ দেন।

উপজেলা পরিষদ নির্বাচন আচরণ বিধিমালা ২০১৬ এর বিধি ১৮ লঙ্ঘনের দায়ে কেন আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না? তা আগামী ২ মে বিকাল চারটার মধ্যে লিখিত ব্যাখ্যা প্রদানের জন্যও বলা হয়েছে তাকে।

উল্লেখ্য, গত ২৬ এপ্রিল সন্ধ্যায় প্রতিদ্বন্দ্বী চেয়ারম্যান প্রার্থী আমান হোসেন মিলুর বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক বক্তব্য প্রদান করেন তিনি। যার ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়। এবং ২৭ এপ্রিল মুজিবনগরের রতনপুর গ্রামে নির্বাচন অফিস ভাঙচুর করায় আমাম হোসেন মিলুর অভিযোগের প্রেক্ষিতে রফিকুল ইসলাম তোতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়।




ভারতের বিশ্বকাপ দল ঘোষণা

আগামী ১ জুন থেকে ক্যারিবিয়ান অঞ্চল ও যুক্তরাষ্ট্রে শুরু হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। বিশ্বকাপকে সামনে রেখে দল ঘোষণা করেছে ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড (বিসিসিআই)। বিশ্বকাপ দলে বেশ চমক রেখে ভারত।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) রোহিত শর্মাকে অধিনায়ক করে ১৫ দল ঘোষণা করেছে বিসিসিআই। দলে রয়েছেন বিরাট কোহলি, যশপ্রীত বুমরাহর মতো অভিজ্ঞ ক্রিকেটাররা। এছাড়া ১৬ মাস পর দলে প্রত্যাবর্তন করেছেন উইকেটরক্ষক ব্যাটার রিশভ পন্থ।

বিশ্বকাপ দলে জায়গা পেয়েছেন তরুণ ক্রিকেটাররা যশস্বী জয়সওয়াল। তবে বিশ্বকাপ দলে জায়গা করে নিতে ব্যর্থ হয়েছেন শুভমান গিলের মতো ক্রিকেটার। তার সঙ্গে কপাল পুড়েছে রিংকু সিংহের।

ভারতের বিশ্বকাপ দল: রোহিত শর্মা (অধিনায়ক), যশস্বী জয়সওয়াল, বিরাট কোহলি, সূর্যকুমার যাদব, রিশভ পন্ত, সঞ্জু স্যামসন, হার্দিক পাণ্ডিয়া, শিবাম দুবে, রবীন্দ্র জাদেজা, অক্ষর প্যাটেল, কুলদীপ যাদব, যুজবেন্দ্র চাহাল, আর্শদীপ সিং, যসপ্রীত বুমরাহ ও মোহাম্মদ সিরাজ।

সূত্র: ইত্তেফাক




মেহেরপুরে ১০ গ্রাম হেরোইন ও ৭০ বোতল ফেনসিডিলসহ আটক ২ 

পৃথক তিনটি অভিযানে ১০ গ্রাম হেরোইন, ৭০ বোতল পরিত্যক্ত ভারতীয় ফেনসিডিল জব্দ ও দুই মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে মেহেরপুর সদর থানা পুলিশ।

আটকরা হলেন, মেহেরপুর সদর উপজেলার হরিরামপুর গ্রামের বাবলু হোসেনের ছেলে তৈয়বুর রহমান(২২) ও বাজিতপুর গ্রামের আজিজুল হকের ছেলে আব্দুস সোবহান (৩৩)।

মেহেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেখ কনি মিয়া এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) বিকাশের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম আজ মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) সকাল ১০ টার সময় বাজিতপুর গ্রামে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ১০ গ্রাম হেরোইনসহ আব্দুস সোবহানকে আটক করা হয়। এছাড়া ভোররাতের দিকে পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) রেজাউল হকের নেতৃত্বে অপর একটি টিম সীমান্তবর্তি হরিরামপুর গ্রামের তৈয়বুর রহমানের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ১০ গ্রাম হেরোইনসহ তাকে আটক করেন। এছাড়া রাত ৪ টার দিকে এসআই সঞ্জিব কুমারের নেতৃত্বে, এএসআই শাকিল খানসহ সঙ্গীয় ফোর্স সীমান্তবর্তি ঝাঁঝাঁ হরিরামপুর মাঠের মধ্যে একটি দরগার সামনে অভিযান চালিয়ে পরিত্যক্ত অবস্থায় ৭০ বোতল ভারতীয় ফেনসিডিল উদ্ধার করে। এসময় ফেনসিডিলের মালিক হরিরামপুর গ্রামের আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে রিপন আলী পালিয়ে যায়। তাকে পলাতক দেখিয়ে মেহেরপুর সদর থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

আটকদের আজ মঙ্গলবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে মেহেরপুর জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।




এক রেস্তোরাঁয় বলিউডের পাঁচ তারকা

বলিউডের পাঁচ তারকার দেখা মিললো মুম্বাইয়ের এক রেস্তোরাঁয়। সম্প্রতি পরিচালক করণ জোহরসহ হৃতিক রোশন, রণবীর কাপুর, আলিয়া ভাট, জুনিয়ার এনটিআর আর তার স্ত্রী এক টেবিলে ডিনার করলেন।

ভারতের সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, রবিবার করণ জোহরের আমন্ত্রণে এক রেস্তোরায় এক টেবিলে ভারতীয় ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির পাঁচ বড় তারকাকে দেখা গেছে।

জানা যায় , বহুদিন ধরেই নাকি রণবীর ও আলিয়াকে কাস্ট করে একটা সিনেমা করতে চাচ্ছেন করণ এবং সেই সিনেমায় হৃতিককে এনে দর্শকদের সারপ্রাইজও দিতে চান তিনি।

অন্যদিকে, ইদানীং দক্ষিণী ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির প্রতি আলাদাই ভালোবাসা রয়েছে করণের। আর তাই সেই একই সিনেমায় নাকি জুনিয়ার এনটিআরকেও নেওয়ার কথা করণের।

তবে বলিউডে এই গুঞ্জন শোনা গেলেও করণ কিন্তু এ বিষয়ে এখনো মুখ খোলেননি। তবে শোনা যাচ্ছে, এই ডিনারের ফাঁকেই নাকি নতুন সিনেমা নিয়ে আড্ডা দিয়েছেন করণ, আলিয়া, রণবীররা।

কিছুদিন আগে শোনা গিয়েছিল করণ জোহর খুব শিগগিরই রাজ কাপুরের ‘সঙ্গম’ সিনেমার রিমেক করতে চলেছেন। তবে চমক এখানে নয়। বরং করণ জানিয়েছিলেন এতে অভিনয় করবেন রণবীর সিং, রণবীর কাপুর ও দীপিকা পাড়ুকোন। এমনিতেই দীপিকা ও রণবীর কাপুরের প্রেমপর্ব ব্যাপক আলোচনায় ছিল। তার পর রণবীর সিংয়ের এন্ট্রি।

এই তিনজনকে নিয়ে, ত্রিকোণ প্রেমের গল্প বলতে চান করণ। আর এই জন্য করণ বেছে নিলেন রাজ কাপুরের সঙ্গমকে। অনেকে বলছেন, হয়তো এই টিমকে নিয়েই সঙ্গম বানাবেন করণ। যার কারণে এই ডিনার আয়োজন।

এদিকে ভারতীয় একাধিক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে যে ‘ওয়ার ২’ এবং ‘ব্রহ্মাস্ত্র’ সিনেমার তারকাদের এই ডিনার নিছকই একটি সাধারন সাক্ষাৎ। পরিচালক অয়ন মুখার্জিই এই আয়োজন করেন কারণ দুটি সিনেমার পরিচালকই তিনি।

তাই উভয় সিনেমার তারকাদের নিয়ে একটি ক্রসওভার ডিনার সেরেছেন অয়ন। তবে এই বিষয়ে এখন পর্যন্ত কিছু প্রকাশ করেননি করণ কিংবা রণবীর-হৃতিকরা।




গাংনীতে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রীদের যৌণ হয়রানির অভিযোগ

 গাংনীতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রীর অভিভাবকরা যৌণ হয়রানির অভিযোগ দিয়েও কোনো প্রতিকার পাইনি। বরং অভিভাবকদের উপর জোর প্রয়োগ করে, হামকী ধামকি দিয়ে অভিযোগ তুলে নেয়ার পায়তারা করছে ওই শিক্ষক।

পঞ্চম শ্রেনীর ছাত্রীদের প্রাইভেট পড়ানোর সময় বুকের সাথে চেপে ধরে আদর, স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেয়াসহ বিভিন্নভাবে যৌণ হয়রানি করার অভিযোগ এনে প্রধান শিক্ষক মাহাবুব উল আলম কাজলের বিরুদ্ধে গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন কয়েকজন অভিভাবক।

লখিত অভিযোগ দিলেও এখন পর্যন্ত নানা অজুহাতে তদন্ত করেনি প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার নাসির উদ্দিন। এদিকে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রশাসনের নিরব ভূমিকায় ক্ষোভ প্রকাশ করছেন এলাকাবাসী।

লিখিত অভিযোগে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক মাহবুবুল হক কাজলের শাস্তির দাবি করেছেন অভিভাবকরা।

এদিকে এই ঘটনার পরপরই তার শাস্তির দাবিতে সোচ্চার হয়েছেন ওই বিদ্যালয়ের অভিভাবকসহ এলাকাবাসী। তবে, ঘটনার পরপরই মোবাইল ফোন বন্ধ করে পালিয়ে যান শিক্ষক কাজল।

গাংনী থানাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভুক্তভোগী এক ছাত্রীর পিতা মকবুল হোসেন গত রবিবার উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর তার লিখিত অভিযোগটি দায়ের করেন। অভিযোগপত্রে আরো কয়েকজন অভিভাবক স্বাক্ষর করেন।

এদিকে অভিযোগ পত্রটির তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার নাছির উদ্দীনকে নির্দেশ দিয়েছেন গাংনী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রীতম সাহা।

ভুক্তভোগী ছাত্রীর অভিভাবকগণের লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, প্রধান শিক্ষক মাহাবুব উল আলম কাজল প্রাইভেট পড়ানো, জ্যামিতি শেখানো ও পরীক্ষায় ফেল করানোর ভয় দেখিয়ে ছাত্রীদেরকে ভোর সাড়ে পাঁচটায় তার বাড়িতে প্রাইভেট পড়ান। প্রাইভেট পড়ানোর সময় ছাত্রীদের বিভিন্ন অজুহাতে বুকের সাথে জড়িয়ে ধরে তার স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেন। এমনকি ছাত্রীদের পোশাকের মধ্যে হাত ঢুকিয়ে দিতেও কুণ্ঠাবোধ করেন না তিনি। যৌণহয়রানির শিকার এসব শিক্ষার্থীরা ইতোমধ্যে অন্য স্কুলে চলে যাওয়ার চিন্তা করছে। শিক্ষক কাজলের এহেন অপকর্ম এলাকার লোকমুখে ছড়িয়ে পড়লে অনেকেই প্রধান শিক্ষকের শাস্তির দাবি জানান। অভিভাবকদের অনেকেই তাদের সন্তানকে অন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সরিয়ে নেওয়ার চিন্তাভাবনা করছেন। ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তিনি।

এবিষয়ে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক মাহাবুব উল আলম কাজলের মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও ফোনটি বন্ধ পাওয়া গেছে।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও মহাম্মদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জিয়া মোহাম্মদ আহসান মাসুম বলেন, কাজল মাস্টারের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগের কথা শুনেছি। তবে এটাও শুনেছি সে নাকি বিষয়টি আপোষ করে ফেলেছে।

নব শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও বড় বামন্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বলেন, বিষয়টি ন্যাক্কারজনক। ঘটনা সত্য হয়ে থাকলে অথবা দোষী প্রমাণিত হলে তার অবশ্যই বিচার হোক সেটা আমি চাই। সেই সাথে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জোর দাবি জানাচ্ছি।

উপজেলা শিক্ষা অফিসার নাসির উদ্দিন জানান, ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী বা তার পরিবারের পক্ষ বা প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের দপ্তর থেকে আমাকে তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। যথাযথভাবে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) প্রীতম সাহা জানান, ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিষয়টি যথাযথভাবে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য উপজেলা শিক্ষা অফিসারের দপ্তরে প্রেরণ করা হয়েছে।
তবে ওই অভিযোগ তুলে নেয়ার জন্যে গতকাল সোমবার (২৯ এপ্রিল) দুপুরে ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে আরো একটি আবেদনপত্র দাখিল করা হয়েছে। সরেজমিনে তদন্ত করে ঘটনাটির আসল রহস্য উন্মোচন করে প্রকৃত দোষীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান ওই কর্মকর্তা।




মেহেরপুরে ডায়রিয়া রোগীর অধিকাংশ শিশু

রাইয়ান হোসেন। বয়স তিন বছর। বাড়ি মেহেরপুর সদর উপজেলার ঝাউবাড়িয়া গ্রামে। কোমল হাতে ক্যানোল নিয়ে শুয়ে আছে হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডের মেঝেতে। শিশুপুত্রকে হাতপাখায় বাতাস করছেন শিওরে বসে থাকা মা সুমাইয়া খাতুন।

তিনি বলেন, তিন দিন ধরে তার বাচ্চা ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে। বাড়িতেই প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল। কিন্তু গত রবিবার দুপুর থেকে অবস্থার অবনতি হলে বিকালে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সোমবার সকাল থেকে একটু কমেছে।

একই উপজেলার সুবিদপুর গ্রামের দুই বছর বয়সী লাবিব আল আমিন। রবিবার রাতে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার মা আরমিনা খাতুন জানান, অতিরিক্ত গরমে তার বাচ্চা ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছে।

একই ওয়ার্ডেও মুজিবনগর উপজেলার সোনাপুর গ্রামের ৫ বছর বয়সী শাফায়েত হোসেন, জীবননগরের এক বছর বয়সী তাসফিয়া জান্নাতসহ ২৩ শিশু ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

গতকাল সোমবার দুপুরে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের ওয়ার্ড পরিদর্শন করে এ চিত্র পাওয়া গেছে।

মেহেরপুরে তীব্র তাপদাহে সবচেয়ে বেশি ঝুকিতে আছে শিশুরা। হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ড থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, গত এক সপ্তাহে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে ১৫৫ শিশু। আর বয়স্ক আক্রান্ত ভর্তি হয়েছেন ৬৯ জন। সবমিলিয়ে ২২৪ জন রোগী ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। প্রতিদিন গড়ে নতুন করে ৩০ থেকে ৪০ জন নতুন রোগী ভর্তি হচ্ছেন। গতকাল সোমবার দুপুরে ১০ শয্যার ডায়রিয়া ওয়ার্ডে বিপরীতে ভর্তি ছিলো ৩০ জন। তার মধ্যে শিশু ছিলো ২৩ জন।

হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডের সিনিয়র স্টাফ নার্স নিপু আক্তার জানান, প্রতিদিন গড়ে ৪০ জন রোগী ভর্তি হচ্ছে। এর অধিকাংশ রোগী শিশুরা। হাসপাতাল থেকে সকল ধরণের স্যালাইন, ওষুধ সরবরাহ করা হচ্ছে।

মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের সুপার ডা. জমির মো. হাসিবুস সাত্তার বলেন, প্রতিবছর এপ্রিল-মে মাসে সাধারণত ডায়রিয়া রোগীর প্রকোপ দেখা দেয়। এছাড়াও এবছর অধিক তাপমাত্রার কারণে ডায়রিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে। ১০ শয্যার ওয়ার্ডের বিপরীতে সবসময় তিনগুণের বেশি রোগী থাকে। এই তাপদাহে শিশুদের প্রতি যত্ন অভিভাবকেদর সচেতনতা বাড়ানোর আহবান জানান।




চুয়াডাঙ্গায় উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থীদের সাথে নির্বাচন কমিশনারের মতবিনিময় সভা

৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে চুয়াডাঙ্গা, কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ ও মেহেরপুর জেলার নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণের উপস্থিতিতে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের সাথে আচরণ বিধি ও অন্যান্য বিষয়ে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবঃ) আহসান হাবিব চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে গতকাল সোমবার সকাল সাড়ে এগারোটার সময় চুয়াডাঙ্গা, কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ ও মেহেরপুর জেলা নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী গনের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেন।

নির্বাচন কমিশনার আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য করতে চুয়াডাঙ্গা, কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ ও মেহেরপুর জেলার নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা এবং প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীগণের সাথে উন্মুক্ত আলোচনা করেন। উপস্থিত নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীগণের বক্তব্য শোনেন এবং প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের বিভিন্ন আবেদন আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশনা প্রদান করেন। পাশাপাশি নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের উপজেলা পরিষদ সাধারণ নির্বাচন আইন যথাযথভাবে মেনে চলার প্রয়োজনীয় নির্দেশনা ও পরামর্শ প্রদান করেন।

সভায় সভাপতিত্ব করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার আর এম ফয়জুর রহমান পিপিএম- সেবা, কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক মো. এহেতেশাম রেজা, ঝিনাইদহের জেলা প্রশাসক এস.এম. রফিকুল ইসলাম, মেহেরপুরের জেলা প্রশাসক মোঃ শামীম হাসান।

এসময় উপস্থিত ছিলেন সংশ্লিষ্ট জেলার পুলিশ সুপার সহ পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিজিবি, র‌্যাব ও আনসার বাহিনীর কর্মকর্তাগণসহ জেলা প্রশাসন ও চুয়াডাঙ্গা, কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ ও মেহেরপুর জেলার নির্বাচন অফিসার ও নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা এবং উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীগণ।




মেহেরপুরে ইব্রাহিম শাহিনের নির্বাচনী প্রচারণা ও মতবিনিময় সভা

মেহেরপুর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী এড ইব্রাহিম শাহিন এর কাপ পিরিচ মার্কায় নির্বাচনী প্রচারণা ও গনসংযোগ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ সোমবার সন্ধ্যায় পৌর এলাকার স্টেডিয়ামপাড়ায় ৮ ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের আয়োজনে এ গনসংযোগ অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক তুফান শেখ।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী এড ইব্রাহিম শাহিন।

ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রফজুল ইসলাম, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতা কাদের মিয়া, জেলা মটর শ্রমিক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মুকুল মিয়া, পৌর তাঁতি লীগের সভাপতি নুরু ইসলাম, জেলা ছাত্রলীগের সদস্য আরিফুল ইসলাম, সদর থানা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুঈট, জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি দুলাল মাহমুদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।




চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে বৈশাখী মেলার নামে চলছে জুয়ার আসর

চুয়াডাঙ্গা জেলার জীবননগর মনোহরপুর আমতলা ফসলী মাঠে বৈশাখী মেলার নামে চলছে জুয়ার আসর। প্রশাসনের নাকের ডগায় প্রকাশ্যে এ জুয়ার আসর বসানো হলেও সবাই রয়েছেন নির্বিকার। জুয়ার আসরের খবরই জানে না উপজেলা ও পুলিশ প্রশাসন। ফসলী জমিতে বৈশাখী মেলার নামে এ জুয়ার আসর চলছে।

জানা গেছে, প্রতিবছর একটি সিন্ডিকেট বৈশাখী মেলার নামে যাত্রা সার্কাসের আড়ালে উলঙ্গ নৃত্য গভীর রাতে মাদক বিকিনিকি জুয়ার বোর্ড র‌্যাফেল ড্র নামে চলছে রমরমা জুয়ার আসর।

২৫ এপ্রিল থেকে শুরু হয়েছে এ মেলার আনুষ্ঠানিকতা প্রশাসনের নাকের ডোগায় প্রকাশ্য র‌্যাফেল ড্র টিকিট বিক্রি চলছে মাইকিং করে থানা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসনের সামনে। প্রতিদিন খুব সকাল থেকে রাত ১০ টা অবদি প্রায় ১০০ মতো ভ্যান, ইজিবাইকে করে উচ্চ স্বরে মাইক বাজিয়ে বড়ো অংকের পুরস্কারের লোভ দেখিয়ে রেফাল ড্র নামে জুয়ার টিকিট বিক্রি চলছে উপজেলা প্রশাসনের নাকের ডোগায়। মনোহরপুর মাঝের পাড়া আবাসন জামে মসজিদের সাধারণ সম্পাদক মাসুদুর রহমান খাঁন বলেন সিরু, মোস্ত, সেন্টু সহ একটি সিন্ডিকেট প্রতি বছর বিভন্ন প্রতিষ্ঠানের নামে কোন সময় মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, কোন সময় নাম সর্বস্ব ক্লাবের নামে বৈশাখী মেলার নামে এ জুয়ার আসর করে থাকেন, এ সিন্ডিকেটের খুঁটির জোর কোথায়? এলাকায় চুরি, ডাকাতি বেড়ে যায় এ জুয়ার আসর বসার সাথে সাথে।

মনোহরপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি আনিছুর রহমান শিমুল মল্লিক বলেন মেলার নামে এ জুয়া ও উলঙ্গ নৃত্য শুরু হওয়ার দিনই মনোহরপুর বাসস্ট্যান্ড জামে মসজিদের দান বাক্স সহ বেশ কয়েক টিওবয়েল চুরি হয়েছে। এলাকার মানুষ বিক্ষুব্ধ হয়ে গেছে যে কোন সময় ঘটতে পারে অপ্রীতিকর ঘটনা।

সরজমিনে দেখা গেছে, মেলা মাঠের পশ্চিম পাশে প্রতিদিন বিভিন্ন ধরনের স্টল ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হলেও দক্ষিণ পাশের অংশে মাঠের মধ্যে বিভিন্ন জায়গায় বসানো হয়েছে জুয়ার আসর। রাত সাড়ে ১০টার মধ্যে এ মেলার সব আয়োজন বন্ধ করার কথা থাকলেও শুধু জমজমাট জুয়ার আসর টিকিয়ে রাখতে গভীর রাত পর্যন্ত চলে জুয়ার রমরমা বাণিজ্য। জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজন আসছে এ জুয়ার আসরে। প্রতিটি জুয়ার বোর্ডে প্রতি রাতে হাজার হাজার টাকার জুয়াখেলা হচ্ছে।

স্থানীয় উপজেলা ও পুলিশ প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই প্রতিদিন উপজেলা শহরের ব্যস্ততম এলাকা মনোহরপুর আমতলা মাঠে প্রকাশ্যে এ জুয়ার বোর্ড চালানো হচ্ছে। প্রতিদিন উপজেলা প্রশাসন কে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে রফাদফা করে এ জুয়ার আসর চালাচ্ছে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী গ্রুপ। অবশ্য এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তিনি বলেন বৈশাখীর মেলার অনুমোদন আছে তবে জুয়া বা র‌্যাফেল ড্র অনুমোদন দেওয়া হয়নি আপনি বলেছেন এখনি ব্যবস্হা নেব।

জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা বলেন মেলার নামে কোন প্রকার জুয়া বা অশ্লীলতা মেনে নেওয়া হবে না আমি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিচ্ছি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য। ১৫টি জায়গায় কাপড় টানিয়ে বসানো হয়েছে এ জুয়ার আসর। আর এসব জুয়ার বোর্ড থেকে নির্দিষ্ট অংকের টাকা তুলছেন নিজেই। কথা হয় মেলা আয়োজক কমিটির অন্যতম সিরু ওরফে জুয়া সিরুর সাথে তিনি দম্ভের সাথে বলেন জুয়া জুয়া না, এটাও বৈশাখী মেলার একটা অংশ আমরা প্রশাসন কে ম্যানেজ করে এসব করছি লেখা লেখি করে কোন কিছুই হবে না।এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক বিভাগীয় কমিশনারের হস্তক্ষেপ কামনা করছে এলাকাবাসী।