আজ মোশাররফ করিমের ‘মোবারকনামা’

নতুন ওয়েব সিরিজ ‘মোবারকনামা’য় মোশাররফ করিমকে এইরূপে দেখা যাবে হইচইয়ের সৌজন্যে
মোশাররফ করিম অভিনীত ‘মোবারকনামা’ আজ মুক্তি পাবে ওটিটি প্লাটফর্ম হইচইয়ে।

সিরিজটিতে ব্যতিক্রম চরিত্রে দেখা যাবে এই অভিনেতাকে। ট্রেলারে দেখা গেছে, মোবারক নামের এক উকিল ব্যর্থ ক্যারিয়ার নিয়ে ঘুরছে। একসময় কোর্টকাছারির মামলা ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সে। হঠাৎ করেই তার কাছে উপস্থিত হয় এক ভিকটিম, যে মামলা করতে চায় তার ভগ্নিপতির বিরুদ্ধে। এটা নিয়েই এগিয়ে চলে গল্প। এটি পরিচালনা করেছেন গোলাম সোহরাব।

‘মোবারকনামা’র মাধ্যমে দর্শকনন্দিত ওয়েব সিরিজ ‘মহানগর-২’–এর পর মোশাররফ করিম আবার হাজির হচ্ছেন হইচইয়ে। এতে মোশাররফ করিম ছাড়া আরও অভিনয় করেছেন শবনম ফারিয়া, শাহনাজ সুমি প্রমুখ।

সিরিজটি নিয়ে কথা হয় মোশাররফ করিমের সঙ্গে। তিনি প্রথম আলোকে বলেন ‘অভিনয়ের জায়গা থেকে দারুণ চরিত্র। গল্পে দেখা যায়, একটা লোক জেতার পর বোঝে যে সে হেরে গেছে।

তার পর থেকে নিজের সঙ্গে নিজের লড়াই চলে। চলে অন্তর্দ্বন্দ্ব। এরপর সেখান থেকে বেরিয়ে আসার প্রাণান্ত চেষ্টা। সেখান থেকে আবার চূড়ান্তভাবে জিতে যাওয়ার গল্প। বেশ অন্য রকম লেগেছে।

সূত্র: প্রথম আলো




ছাত্রলীগের সভাপতি বাঁধন, মানেন না সংগঠনের গঠনতন্ত্র

বাংলাদেশ ছাত্রলীগের গঠণতন্ত্র মোতাবেক ব্যবসায়ী ও বিবাহিত কোন ব্যক্তি ছাত্রলীগের কমিটিতে থাকতে পারবেন না। কিন্তু এ দুটি অসঙ্গতি রয়েছে মেহেরপুর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুস সালাম বাঁধনের।তিনি এক কন্যা সন্তানের পিতা, পেশায় ঠিকাদার ব্যবসায়ী। ছাত্রলীগের জেলা কমিটির মেয়াদ অনেক আগে শেষ হলেও এখন পদের লোভে নতুন কোন সম্মেলনও করেননি।

কিন্তু তিনি কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র তা কেউ জানেন না। ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালনকালে বিয়ে করেছেন। প্রায় বছর হতে চললো সন্তানের বাবাও হয়েছেন। কিন্তু তাতে কি? ছাত্র বা বিবাহিত যাই হোন না কেন তিনি জেলা ছাত্রলীগের সভাপতির মত লাভজনক পদ এখনো ছাড়েননি। কেউ তাকে ছাড়াতে পারেনওনি।

ছাত্রলীগের সভাপতির পদ পাওয়ার পর থেকে ক্ষমতার শীর্ষে থেকে তিনি হয়েছেন কোটিপতি। ছাত্র না থাকলেও তিনি মায়ের নামে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান তৈরি করে বিভিন্ন দপ্তরের কাজ করছেন। অনলাইন জুয়ার সাথেও রয়েছে তার সখ্যতা। নিজেও অনলাইন জুয়ার পরিচালনা করেন বলে অভিযোগ রয়েছে। নিজ এলাকায় কিনেছেন বেশ কিছু সম্পত্তি। একই দাগে কিনেছেন প্রায় ৫ বিঘা জমি। এছাড়া নামে বেনামেও রয়েছে বেশি কিছু সম্পত্তি। ছাত্র রাজনীতি করাকালীন সময়ে কিভাবে কোটি কোটি টাকার মালিক তা নিয়ে সমালোচনা অনেক।

আব্দুস সালাম বাঁধন মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলার যতারপুর গ্রামের মৃত আশরাফ হোসেন বাবলুর ছেলে এবং মহাজনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমাম হোসেন মিলুর ভাতিজা। মূলত চাচা মিলুর উপর ভর করেই তার এ শক্তি। তারা চাচা আমাম হোসেন মিলু দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে বিদ্রোহী হিসেবে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করেন। দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে ওই নির্বাচনে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুস সালাম বাঁধন সরাসরি নির্বাচনে প্রচারণাসহ বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন।

তিনি মুজিবনগর উপজেলা শ্রী রতনপুর গ্রামের ওয়াকারুল হক পলাশের মেয়ে মাকুসরাত মোমেনিন সাথীর সাথে বিয়ে করে সংসার করেছেন। দাম্পত্য জীবনে এক কন্যা সন্তানের জন্ম হয়েছে। এর আগে তার বিরুদ্ধে আরও একটি বিয়ের অভিযোগ উঠেছিলো। পরে সে বিয়ে টিকেনি বলে জানা গেছে।

২০১৮ সালের ৩ জানুয়ারি সম্মেলনের মাধ্যমে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। পরবর্তিতে ২০১৯ সালের ১৪ জুলাই পুর্নাঙ্গ কমিটির অনুমোদন দেয় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা জানান, জেলা কমিটির সভাপতি বিবাহিত এবং ব্যবসায়ী হওয়ার কারণে জেলা কমিটি ও অন্যান্য ইউনিটের কমিটিগুলো অনেক বিবাহিত নেতা দেখা যাচ্ছে।ফলে রাজনৈতিক আন্দোলন সংগ্রামে ছাত্রলীগের যে অবদান রাখার কথা সেটা পারছে জেলা ছাত্রলীগ। জেলায় কয়েকটি ইউনিটের কোন কমিটি নেই। নতুন কোন নেতাকর্মীও তৈরি হচ্ছে না। যারা কমিটি আসতে চাচ্ছেন অর্থ এবং ক্ষমতার লোভে আসছেন। ছাত্র রাজনীতি থেকে নেতাদের পাওয়া যাচ্ছে না।

মেহেরপুর সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ বলেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের গঠণতন্ত্র অনুযায়ী বিবাহিত, ব্যবসায়ীরা ছাত্রলীগের সংগঠণ করতে পারবে না। কিন্তু জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নিজেই বিবাহিত, এক কন্যা সন্তানের জনক এবং তিনি ঠিকাদারী ব্যবসা করেন।

তিনি আরো বলেন, এক বছরের জন্য কমিটি দেওয়া হলেও মেহেরপুরের রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় পূণাঙ্গ কমিটি হওয়ার চার বছর পার হলেও এখনো কোন সম্মেলন বা নতুন কমিটি দেওয়া হয়। আমরা কেন্দ্রের কাছে দাবী করেছি, কোন অছাত্র, ব্যবসায়ী এবং বিবাহিত ব্যক্তি ছাত্রলীগে না রেখে নেতাকর্মীদের মাঝে থেকে নেতৃত্ব তৈরি করা হোক।

মেহেরপুর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও জেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান সদস্য আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ছাত্রলীগের কোন সদস্য বিবাহিত হলে অথবা ব্যবসার সাথে জড়িত হলে সেটা গঠণতন্ত্র বিরোধী এবং অনৈতিক। এ ব্যাপারে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সংসদের ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।

কয়েক মাস ধরে মোবাইল, হুয়াটসআপ, মেসেঞ্জার বিভিন্ন মাধ্যমে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতির সাথে কথা বলার চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি এমনকি কোন রেসপন্স করেননি। এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ইনানের মোবাইলেও ফোন করা হলে ফোনটি রিসিভ হয়নি।




আলমডাঙ্গায় ঈগল প্রতীকের মিছিল ও পথসভা

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র (ঈগল) প্রতিকের প্রার্থী দিলীপকুমার আগরওয়ালার নির্বাচনি মিছিল ও পথসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গতকাল বুধবার বিকেল সাড়ে ৪ টার দিকে উপজেলা মঞ্চ থেকে ঈগল প্রতিকের মিছিলটি বের শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে পৌর এলাকার আলতায়েবা মোড়ে পথসভা করেন। এর আগে, বিকেল ৩ টা থেকে উপজেলা ও পৌর এলাকার বিভিন্ন গ্রাম থেকে স্লোগানে স্লোগানে উপজেলা মঞ্চ প্রাঙ্গণে একত্রিত হয় দিলীপকুমার আগরওয়ালার পক্ষের সাধারণ ভোটারা। স্লোগানে মুখরিত হয়ে পড়ে পুরো শহর। মিছিলে অংশ নেয় শত শত নারীরাও।

এসময় জেলা ও উপজেলা আওয়ামীলীগের অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরাও মিছিলে অংশ নিয় পরে পথসভায় যোগদান করেন । ঘন্টা ব্যাপী পথসভায় আওয়ামীলীগ ও তার অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা বক্তব্য রাখেন। দিলীপকুমার আগরওয়ালার ঈগল প্রতিকে বিজয়ের লক্ষ্যে ঐক্যমত প্রশোন করেন নেতা-কর্মীরা ও ভোটারবৃন্দ।

চুয়াডাঙ্গা ১ আসনের সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র ঈগল প্রতিকের প্রার্থী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য ও ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক দিলীপকুমার আগরওয়ালা বলেন, আমি আপনাদের সন্তান, আমার নাম দিলীপ। আমার কাছে কোন ধর্ম, জাতির ভেদাভেদ নেই। আগেও ছিল না, এখনো নেই। আমার রক্ত লাল আপনার রক্তও লাল। যখন আমরা জন্মগ্রহণ করি তখন হিন্দু কিংবা

মুসলমান ধর্মের পার্থক্য থাকে না। থাকে না কোন ভেদাভেদ আমার একটাই পরিচয় আমি আপনাদের সন্তান।

তিনি আরো বলেন, আমি এই চুয়াডাঙ্গা জেলায় জন্মগ্রহণ করেছি। আমার বাবা-দাদার সিনেমাহল ব্যবসা থাকার সুবাধে আপনাদের অনেকের সাথেই দীর্ঘদিনের পরিচয়। আলমডাঙ্গার মানুষ যে কষ্টে আছে, উপস্থিত বক্তাদের বক্তব্যে আমি বুঝতে পেরেছি। একটা কথা- আপনাদের ভোট আপনারা দিবেন, যাকে খুশি তাকে দিবেন। যদি আপনারা মনে করেন দিলীপ আপনাদের ভাই কিংবা বন্ধু অথবা সন্তান মনে করেন, তাহলে আগামি ৭ জানুয়ারি ঈগল মার্কায় ভোট দিয়ে বিজয়ী করবেন। আমি যদি আগামি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হতে পারি, তাহলে আলমডাঙ্গার মানুষের সু-চিকিৎসার জন্য আর বাইরের জেলায় যেতে হবে না। শিক্ষার জন্যও এ জেলা তথা আলমডাঙ্গার মানুষ বাইরে লেখাপড়া করতে যেতে হবে না। আলমডাঙ্গাতে গড়ে তোলা হবে উন্নতমানের হাসপাতাল ও ইউভার্সিটি।

দিলীপকুমার আগরওয়ালা বলেন, আলমডাঙ্গার প্রতিটি ইউনিয়নে কমিউনিটি ক্লিনিকে স্বাস্থ্য সম্মত চিকিৎসা সেবা নেই। আমি আপনাদের সমর্থনে ভোটে নির্বাচিত হই, তবে আলমডাঙ্গা-চুয়াডাঙ্গা স্মার্ট হিসেবে গড়ে তুলবো।

নির্বাচনী মিছিল ও পথসভায় উপস্থিত ছিলেন আলমডাঙ্গা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি ও পৌর মেয়র হাসান কাদির গনু, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আয়ুব হোসেন, চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও সাবেক কেন্দ্রীয় যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ সামসুল আবেদিন খোকন, সাবেক জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক আইলহাঁস ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আব্দুল মালেক, সাবেক জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য অ্যাডভোকেট শফি, জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক ভাংবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কাউসার আহম্মেদ বাবলু, পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি মতিয়ার রহমান ফারুক, ভাইসচেয়ারম্যান ও উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সালমুন আহম্মেদ ডন, সাবেক খাদেমপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল হালিম মন্ডল, আলমডাঙ্গা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাজী রবিউল হক, আলমডাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম মন্টু, ৬ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি রেজাউল হক তবা, কুমারি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ রানা মন্ডল, বেলগাছি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান, আলমডাঙ্গা উপজেলা যুবলীগের সাবেক আহবায়ক সাজ্জাদুল ইসলাম স্বপন, চুয়াডাঙ্গা জেলা যুব মহিলা লীগের সভানেত্রী আফরোজা পারভিন, উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইসচেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেত্রী কাজী মারজাহান নিতু, কালিদাসপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান সামিম, খাদেমপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি হাফিজুর রহমান বাবলু। এছাড়াও আলমডাঙ্গা পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি নয়ন সরকার, সাধারণ সম্পাদক কাজী চন্দন, হৃদয়, সজিব, টিটন, সাব্বির, তপু, নিপ্পন, সাইদ, মিলু, নয়ন, জিবন,রুবেল, জিবন প্রমূখ।




নির্বাচনী আমেজে মেতে উঠেছে চুয়াডাঙ্গা ২ আসনে এমপি প্রার্থীরা

প্রতীক পাওয়ার পর পরই চুয়াডাঙ্গা ২ আসনে নির্বাচনী প্রচারনায় সরগরম হয়ে উঠেছে। পোষ্টার টাংগানো বা ঝুলানোর ধুম পড়েছে সর্বত্র। মাইকিংয়ে মাইকিংয়ে মুখরিত হয়ে উঠেছে চুয়াডাঙ্গা ২ আসনের হাট-বাজার সহ প্রতিটি গ্রাম। নির্বাচনী গণসংযোগের পাশাপাশি ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ছুটে যাচ্ছেন প্রার্থীরা।

চুয়াডাঙ্গা ২ আসনে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রার্থী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী সহ মোট ৮ জন প্রার্থী নির্বাচনের মাঠে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও প্রচার প্রচরনায় রয়েছেন আওয়ামী লীগ দলীয় নৌকার প্রার্থী বার বার নির্বাচিত সংসদ সদস্য হাজী আলী আজগার টগর,স্বতন্ত্র প্রার্থী দৈনিক সকালের সময়ের সম্পাদক ও প্রকাশক নৃর হাকিম ঈগল মার্কা,স্বতন্ত্র প্রার্থী দৈনিক আমার সংবাদের সম্পাদক ও প্রকাশক ও কেদ্রীয় আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য হাশেম রেজা, ট্র্যাক মার্কা,জাতীয় পার্টি প্রার্থী রবিউল ইসলাম লাঙ্গল প্রতীক, ন্যাশনাল পিউপিলস পার্টি মনােনীত ইদ্রিস চৌধুরী পেয়েছেন আম প্রতীক, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (ইনু) দেওয়ান মােহাম্মদ ইয়াছিন উল্লাহ পেয়েছেন মশাল প্রতীক, জাকের পার্টির আব্দুল লতিফ খান পেয়েছেন গােলাপ ফুল,প্রতীক, জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচনে মনোনয়ন ফিরে পেয়েছে বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর্জা শাহারিয়ার মাহমুদ লল্টু,তবে এখনো কি মার্কা হয়েছে জানা যায়নি।তবে তিনি বলেছেন আমার পছন্দের প্রতিক ঢেঁকি দিয়েছি।

তবে বাকী ৪ প্রার্থীদের নির্বাচনের মাঠে দেখা যাচ্ছেনা। প্রচার প্রচরনায় একেবারেই মাঠে দেখা যাচ্ছে না। এদের মধ্যে রয়েছেন জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী রবিউল হক,ন্যাশনাল পিউপিলস পার্টি মনােনীত ইদ্রিস চৌধুরী, দেওয়ান মােহাম্মদ ইয়াছিন উল্লাহ মশাল প্রতীকের মাঠে দেখা যাচ্ছে না।তার সাথে জাকের পার্টির আব্দুল লতিফ খান যুবরাজেরও মাঠে দেখা যাচ্ছে না।তবে নির্বাচন সুষ্ঠু হলে কে জিতবে তা নিয়ে চলছে চুল চেরা বিশ্লেষণ। নির্বাচনের আগে কোন সংসহিতা না হয় সেজন্য মাঠে পুলিশ – বিজিবি বেশ সতর্ক অবস্থানে আছে।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটের দিন যত ঘনিয়ে আসবে প্রার্থীরা ততই প্রচার প্রচারনা ও নিজেদের পক্ষে ভোট প্রার্থনায় ব্যস্ত হয়ে পড়বেন। তবে কে হবেন চুয়াডাঙ্গা ২ আসনের সংসদ সদস্য তার জন্য অপেক্ষা করতে হবে ৭ই জানুয়ারী পর্যন্ত।




আলমডাঙ্গায় মেম্বার এ্যাসোসিয়েশনে সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থী রাজের মতবিনিময় সভা

বাংলাদেশ ইউনিয়ন পরিষদ মেম্বার এ্যাসোসিয়েশন আলমডাঙ্গা উপজেলা ও চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার আয়োজনে এম এ রাজ্জাক খান (রাজ) এর ফ্রীজ মার্কায় ভোট দেওয়ার সমর্থনে বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদদের মেম্বারদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ বুধবার রাত ৮ টার দিকে বাবুপাড়া কমিউনিটি সেন্টারে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে উপজেলা ও জেলা মেম্বার এ্যাসোসিয়েশনের সকল মেম্বারগন ফ্রীজ মার্কায় ভোট দেওয়ার অঙ্গিকার বদ্ধ হন।

প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বতন্ত্র (ফ্রীজ) প্রতিকের প্রার্থী এম এ রাজ্জাক খান (রাজ)। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের সদস্য ও বাংলাদেশ ইউনিয়ন পরিষদ মেম্বার এ্যাসোসিয়েশনের আহবায়ক মজনুর রহমান জান্টু, আলমডাঙ্গা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, বাড়াদি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান।

মেম্বার এ্যাসোসিয়েশনের যুগ্নআহবায়ক লিটন মোল্লার সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন রফিকুল ইসলাম বাবু, সামাদ খাঁন, জাহাঙ্গীর খাঁন।

এসময় বক্তব্য রাখেন, মেম্বার রাজন, মাসুদা পারভিন, নজরুল ইসলাম, সাবিনা ইয়াসমিন, আলমঙ্গীর হোসেন, ঠান্টু রহমান, রংপতি বেগম, ওহিদুল ইসলাম, রেহানা খাতুন, ইদ্রিস আলী, নাসিমা খাতুন, মনিরুজ্জামান, মানারুল ইসলাম, নজরুল ইসলাম, জাহানারা খাতুন, রোকসানা খাতুন, ববিতা খাতুন প্রমূখ।

অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেন ডাউকি ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান লাভলু ইসলাম।




মেহেরপুর সদর উপজেলায় প্রফেসর আব্দুল মান্নানের নির্বাচনী অফিস উদ্বোধন

মেহেরপুর-১ আসনের মনোনীত স্বতন্ত্র প্রার্থী প্রফেসর আব্দুল মান্নানের নির্বাচনী অফিস উদ্বোধনের আয়োজন করা হয়।

আজ বুধবার রাতে মেহেরপুর সদর উপজেলার বুড়িপোতা ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডে স্বতন্ত্র প্রার্থী প্রফেসর আব্দুল মান্নানের ট্রাক প্রতীক নির্বাচনী অফিস উদ্বোধনের আয়োজন করা হয়।

অফিস উদ্বোধনের সময় উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর-১ আসনের মনোনীত স্বতন্ত্র প্রার্থী প্রফেসর আব্দুল মান্নান।
অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি এ্যাড. মিয়াজান আলী, মেহেরপুর জেলা চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি ও জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম রসুল, মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আব্দুল মান্নান (ছোট), মেহেরপুর জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক শহিদুল ইসলাম পেরেশান, মেহেরপুর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও মেহেরপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম সম্পাদক জুয়েল রানা সহ বিভিন্ন নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।




গাংনীতে পৃথক অভিযানে দুই মাদক ব্যবসায়ী আটক

মেহেরপুরের গাংনীতে মাদক সহ শরিফুল ইসলাম (২৮) ও খাইরুল ইসলাম (৫২) নামের দুই মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃত শরিফুল ইসলাম খাস মহল গ্রামের সুরমান আলীর ছেলে এবং খাইরুল ইসলাম কাজিপুরের খলিলুর রহমানের ছেলে।

মেহেরপুর জেলা পুলিশের মিডিয়া ফোকাল পয়েন্ট সূত্রে জানা গেছে, গতকাল মঙ্গলবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানার বামুন্দি পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই শরীফুলের নেতৃত্বে খাসমহল বাজারপাড়া এলাকায় পরিচালিত একটি অভিযানে ২৪৫ বোতল ফেনসিডিলসহ শরিফুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং একই থানাধীন ভবানীপুর পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই আবুল কালাম আজাদের নেতৃত্বে আরেকটি অভিযানে ৫০০ গ্রাম গাঁজাসহ খায়রুল ইসলাম (৫২) কে গ্রেফতার করা হয়।

গাংনী থানার অফিসার ইনচার্জ তাজুল ইসলাম জানান,আটককৃতদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের পূর্বক আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে করা হয়েছে।




কার্পাসডাঙ্গায় হাজী আলী আজগর টগরের নির্বাচনী সভা

আজ বুধবার বিকাল ৩ টার সময় কার্পাসডাঙ্গা হাইস্কুল ফুটবল মাঠে কার্পাসডাঙ্গা একতা হেয়ার প্রসেসিং এর উদ্যোগে নির্বাচনী সভা অনুষ্ঠিত হয়।

হাসিবুজ্জামান শহিদ বিশ্বাসের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা -২ আসনের নৌকার প্রার্থী হাজী আলী আজগর টগর ।

কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি কামরুজ্জামান রানা বিশ্বাসের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলী মুনসুর বাবু,দামুড়হুদা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাজী শহিদুল ইসলাম, কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল করিম বিশ্বাস, মদনা পারকৃষ্ণপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম জাকারিয়া আলম, কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান ভুট্টো,দামুড়হুদা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি শহিদুল হক, কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শাফিকুর রহমান মাষ্টার, সাধারণ সম্পাদক নজীর আহমেদ, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালাম বিশ্বাস,সাংগঠনিক সম্পাদক জাহিদুর রহমান মুকুল, সাংগঠনিক সম্পাদক মোখলেসুর রহমান রিপন, দপ্তর সম্পাদক আহমেদ আলী মাস্টার, আরো উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও হেয়ার প্রসেসিং এর ব্যবসায়ী বৃন্দ।

এসময় প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে দেশ ও জাতীর খেদমত সুযোগ দিন।সেই সাথে জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করুন। আরো চুয়াডাঙ্গা ০২ আসনের মসজিদ মাদ্রাসা রাস্তা ঘাট স্কুল কলেজের ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে এই সরকারের আমলে।




এ বিজয় গৌরবের

খাঁচার বন্দি পাখিরাই শুধু জানে
রুদ্ধ ডানার কাছে আকাশের মূল্য কত!
ক্ষুধার চেয়ে বন্দিত্বের যন্ত্রণা যখন
প্রকট হয়ে ওঠে পাখির বেদনার্ত চোখে,
ঠিক তখনই খাঁচার খাবার ফেলে
পাখি উড়তে চায় মুক্ত আকাশের ঠিকানায়।
কোটি কোটি মানুষের মুক্তির ইচ্ছা যখন
প্লাবিত হয় ৭’ই মার্চের উত্তাল জনসমুদ্রে;
বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাসে তখনই ভেঙে যায়
দ্রোহের পদাবলিতে অন্যায়ের সীমান্তরেখা।
তাই তো ধর্ম ও শ্রেনীর বিভেদ ভুলে
দেশপ্রেমে জেগেছিল মুক্তিকামী বাঙালি।
ভুলে গিয়েছিল জীবন ও মৃত্যুর পার্থক্যটুকু
এঁকেছিল বিজয়কেতন বুকের তাজারক্তে।
এ বিজয় দাসত্বের শিকল ভাঙার গান
এ বিজয় মাতৃভূমির প্রেমে এক সাগর রক্ত।




ঝিনাইদহে সাংবাদিকের রহস্যময় মৃত্যু, জড়িত সন্দেহে দুই মহিলা গ্রেপ্তার

ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবের সদস্য দৈনিক জবাবদিহি প্রত্রিকার জেলা প্রতিনিধি মোঃ সেলিম মিয়ার মৃত্যুর কারণ নিয়ে সন্দেহের দানা বেধেছে। এই মৃত্যুর সাথে জড়িত সন্দেহে দুই মহিলাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। প্রথমে সড়ক দূর্ঘটনায় সেলিমের মৃত্যু হয়েছে জানা গেলেও শরীরের কোথাও আঘাতের চিহ্ন না থাকায় তাকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা অথবা অন্য কোনভাবে মৃত্যু হয়েছে বলে পুলিশ এবং পরিবারের কাছে সন্দেহ দেখা দিয়েছে।

জানা যায়, গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে শহরের হামদহ এলাকায় রাস্তা পার হওয়ার সময় দ্রুতগামী একটি মটরসাইকেল তাকে ধাক্কা দিলে তিনি মাথায় গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হন। পরে তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে দিবাগত রাত ২ টার দিকে মৃত্যু ঘটে।

এম সেলিম মিয়া (৫৩) দৈনিক জবাবদিহি পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি ও ঝিনাইদহ সদর উপজেলার হলিধানী গ্রামের মৃত আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে।

নিহত’র জামাই ইমতিয়াজ আহমেদ জানান, বগুড়া থেকে ফিরে এসে রাত সাড়ে ৯ টার দিকে ব্যক্তিগত কাজে আলফালাহ হাসপাতাল এলাকায় যান তার শশুর। কাজ শেষে করে রাস্তা পার হওয়ার সময় একটি দ্রুতগামী মোটর সাইকেল তাকে ধাক্কা দেয়। এতে তিনি রাস্তায় পড়ে মাথায় আঘাত পান। গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল ও পরে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক রাত ২ টার দিকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহত’র স্ত্রী মমতা বেগম জানান, তার স্বামীর হার্টের রোগ ছিল। চিকিৎসকরা তাকে জানিয়েছেন মাথার আঘাতে রক্তক্ষরণ ও কার্ডিয়াক সমস্যায় তার মৃত্যু হয়েছে। সড়ক দূঘটনায় আঘাতের যে ধরনের চিহ্ন থাকে তার শরীরে এমন কোন ক্ষত চিহ্ন পাওয়া যায়নি। যে দুই মহিলা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে তাদের স্বীকারোক্তি মতে সন্দেহ তৈরী হয়েছে। ওই দুই মহিলাকে ঝিনাইদহ সদর থানা পুলিশ গ্রেপ্তার করেছেন। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন মেরিনা (৩০) মাগুরা জেলার শালিখা উপজেলার সানিয়ার পাড়া গ্রামের মন্টু মিয়ার মেয়ে স্বামী পরিত্যাক্তা, আর একজন হলেন রিপা রায়, ঝিনাইদহ সদর উপজেলার রাজনগর গ্রামের রবি কর্মকারের মেয়ে (স্বামী পরিত্যাক্তা)।

প্রাথমিক জিঞ্জাসাবাদে মেরিনা জানান, সেলিম এবং তারা হামদহ এলকায় একই বাসার দুইটি ফ্লাটে থাকেন গতকাল মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে সেলিম ভাই একটি মেয়ের নম্বর দিয়ে শহরের পায়রা চত্ত্বরে বসতে বলেন, পরে সেলিম ভাই মেয়েটিকে বাসায় নিয়ে আসেন। এর ১ঘন্টা পরে সেলিম ভায়ের ওই আত্মিয়া তাকে ফোনদিয়ে জানান সেলিম সড়ক দুর্ঘটনায় মর্মান্তিক আঘাত প্রাপ্ত হয়েছে। পরে আলফালাহ হাসপাতালের সামনে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করি এবং হাসপাতাল থেকে তাকে ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়। মেরিনা আরও জানান, সেলিম ভাই মাঝে মধ্যে তাদের সাহায্য করতেন, ওই মহিলা কে তা তিনি জানেন না। তার কথা বার্তার মধ্যে অসংলগ্নতা থাকায় পুলিশ তাদের সন্দেহ করে গ্রেপ্তার করে।

ঝিনাইদহ সদর সার্কেলের এএসপি মীর আবিদুর রহমান সেলিম মিয়ার বাড়িতে জান এবং লাশের সুরত হাল দেখে জানান, সড়ক দুর্ঘটনায় সেলিম মিয়ার মৃত্যু হয়েছে এমন সংবাদ শুনলেও এখন দেখে মনে হচ্ছে এরমধ্যে অনেক রহস্য লুকিয়ে আছে। তাকে হত্যা করা হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। পোষ্টমর্টামের রিপোর্ট এবং পরিবারের অভিযোগ পেলে আমরা হত্যা রহস্য উদঘাটনের কাজ শুরু করবো। হত্যার সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে। হত্যার সাথে জড়িত সন্দেহে দুই মহিলাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

সাংবাদিক সেলিম মিয়ার মৃত্যুর খবরে ঝিনাইদহ সাংবাদিকদের মাঝে গভীর শোকের ছায়া নেমে আসে। বুধবার সকালে সাংবাদিকদের বিভিন্ন সংগঠন তার গ্রামের বাড়িতে যান শোক সন্তপ্ত পরিবারকে শান্তনা দিতে। ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবের সভাপতি এম রায়হান ও সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ হাসান টিপু সাংবাদিক আবু সেলিম মিয়ার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। তারা এক বিবৃতিতে তার শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেন এবং হত্যার সাথে জড়িতদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।