চুয়াডাঙ্গায় বহুমুখী মানব কল্যাণ সংস্থা খাবার পানি ও স্যালাইন বিতরণ

হিট স্পট খ্যাত চুয়াডাঙ্গায় তীব্র দাবাদহ থেকে রক্ষা পেতে খাবার পানি ও স্যালাইন নিয়ে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে বহুমুখী মানব কল্যাণ সংস্থা । প্রতিষ্ঠানটি মানুষের পিপাসা নিবারন ও প্রশান্তির জন্য শহরের হাসান চত্বরের পুলিশ বক্স ও একাডেমি মোড়স্হ সারা ভবনের সামনে বোতলজাত খাবার পানি ও স্যালাইন সরবরাহ করছেন।

এ উপলক্ষে রবিবার বেলা ১১টায় চুয়াডাঙ্গা শহরের শহীদ হাসান চত্বরেখাবার পানি বিতরণ কর্মসুচীর উদ্বোধন করা হয়।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান মনজু, চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার মেয়র জাহাঙ্গীর আলম মালিক খোকন, চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক সিদ্দিকুর রহমান, জেলা দূর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি অধ্যাপক কামরুজ্জামান, ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক ওলিউজ্জামান ওলি, আমিরুল ইসলাম, হাসান মল্লিক, মাসুম, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও বহুমুখী মানব কল্যাণ সংস্থার নির্বাহী পরিচালক বিপুল আশরাফ, সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান চাঁদ, সিনিয়র সাংবাদিক রফিকুল ইসলাম, শাহ আলম সনি, রফিক রহমান, খায়রুল ইসলাম, পলাশ উদ্দিন, উপজেলা লোকমোর্চার সাধারন সম্পাদক পারভীন লায়লা মালিক প্রমুখ।

এ সময় সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন মাহফুজুর রহমান মনজু ও অধ্যাপক সিদ্দিকুর রহমান। তারা বলেন, চরম দূর্যোগের সময় সাধারন মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে বহুমুখী মানব কল্যাণ সংস্থা। ভয়াবহ রোদ গরমে এখন প্রয়োজন বেশি বেশি বিশুদ্ধ পানি। আর সেই কাজটি হাতে নিয়েছে বহুমুখী। এদের পাশাপাশি অন্যরা এগিয়ে আসলে শ্রমজীবী মানুষ আরো বেশি উপকৃত হবে ।

জেলার উপর দিয়ে পক্ষকালব্যাপী অতি তীব্র তাপদাহ চলছে এতে নিন্ম আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ ও রাস্তায় চলাচলরত পথচারীরা মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকির মুখে পড়েছে। অনেকের শরীরে পানি শুন্যতা সৃষ্টি হচ্ছে এর থেকে সামান্য পরিত্রাণ দিতে বহুমুখী মানব কল্যাণ সংস্থার নির্বাহী চেয়ারম্যান, সিনিয়র সাংবাদিক আহমেদ পিপুল এ উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। তিনি বলেন আমি সবসময় দিনমজুর, রিকসা চালক, ভ্যান চালক ও পথচারীদের এ দূর্যোগ মুহূর্তে সেবা দিয়ে যাবো। আগামীতেও বহুমুখী মানব কল্যাণ সংস্থা জনহিতকর কাজ করে মানুষের পাশে থাকতে চাই।

প্রতিদিন বেলা ১১টা থেকে বিকাল ৩ টা পর্যন্ত এ সেবা কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। গতকাল হাসান চত্বর ও একাডেমি মোড়ে দুটি বুথ থেকে প্রায় ২ হাজার বোতল পানি ও ১ হাজার পিস স্যালাইন বিতরণ করা হয়। আগামী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত প্রতিদিন ওই দুটি স্হানে পানি ও স্যালাইন বিতরণ অব্যহত থাকবে বলে জানিয়েছে সংস্থাটির কর্মকর্তারা।




দামুড়হুদায় জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস উদযাপন

জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস (লিগ্যাল এইড)। এবছর দিবসটির প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘স্মার্ট লিগ্যাল এইড,স্মার্ট দেশ বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ’।

‘জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস ২০২৪’ উদযাপন উপলক্ষে আইন ও বিচার বিভাগ এবং জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থার উদ্যোগে দামুড়হুদা উপজেলায় বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। ২০১৩ সাল থেকে জাতীয় পর্যায় থেকে তৃণমূল পর্যায়ে ২৮ এপ্রিল আইনগত সহায়তা দিবস হিসেবে পালিত হচ্ছে। ২৮ এপ্রিল জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস পালনের মধ্য দিয়ে দেশব্যাপী প্রচারণা চালানো হয়। দিবসটি পালনের ফলে সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে আইনগত সহায়তা সম্পর্কে সচেতনতা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।

উপজেলা লিগাল এইড কমিটির আয়োজনে, কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ রবিবার সকাল সাড়ে সাড়ে ৯ টায় দামুড়হুদা উপজেলা চত্ত্বর থেকে একটি র‍্যালী উপজেলা চৌরাস্তা মোড় প্রদক্ষিণ করে।

র‍্যালী পরবর্তীতে সকাল ১০ টায় উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় উপজেলা লিগাল এইড কমিটির সদস্য সচিব ও দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোকসানা মিতা’র সভাপতিত্বে এসময় উপস্থিত ছিলেন দামুড়হুদা মডেল থানার ইনস্পেক্টর অপারেশন হিমেল রানা,দামুড়হুদা প্রেসক্লাব সভাপতি এম নুরুন্নবী, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা হোসনে জাহান, নারী মুক্তি কল্যাণ সংস্থার প্রকল্প পরিচালক তৌহিদা পারভীন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সুপারভাইজার মারিয়া মাহবুবা,সিইও ফয়জুল হক সহ প্রমুখ।

এসময় সভায় বক্তারা বলেন, লিগ্যাল এইড মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র একটি মহতী উদ্যোগ। ন্যায় সঙ্গতভাবে সবাই যেন সমভাবে আইনি সহায়তা পায়। গরীব অসহায় দুস্থ ব্যক্তিদের বিনামূল্যে আইনি সহায়তা পেতে এবং যেকোন পর্যায়ের ব্যক্তির আইনগত পরামর্শ গ্রহণ ও মধ্যস্থতার মাধ্যমে বিরোধ নিষ্পত্তি লিগ্যাল এইড অফিসের মাধ্যমে করতে পারবেন। বিরোধ হলেই মামলা নয়, লিগ্যাল এইড অফিসে আপোষও হয়।

পারিবারিক, দেওয়ানি এবং আপষ যোগ্য মামলায় বিজ্ঞ আদালত থেকে প্রেরণ করলে কিংবা সরাসরি লিগ্যাল এইড অফিসে অভিযোগের মাধ্যমে পক্ষদের মধ্যে লিগাল এইড অফিসারের মধ্যস্থতায় আপষ করতে পারিবেন। আপোষ মাধ্যমে নিষ্পত্তিতে উভয়পক্ষ লাভবান হয় এবং সময় ও অর্থের অপচয় রোধ হয়।




মেহেরপুরে জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস পালিত

‘২০১৩ সালে ২৮ এপ্রিলকে জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস ঘোষণা করা হয়। সকল মানুষের বিচার অধিকার প্রতিষ্ঠায় শেখ হাসিনার সরকারের এটি একটি অনন্য উদ্যোগ। প্রতিবছর সরকারের আইনগত সহায়তা কার্যক্রম প্রচারের মাধ্যমে এবং ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে এই দিবসটি পালন করা হয়। তবে বিষয়টি নিয়ে অন্যান্য জেলার চেয়ে মেহেরপুর জেলায় সচেতনতা কিছুটা কম। আগামীতে সকলে সমন্বিত হয়ে ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার মাধ্যমে লিগ্যাল এইড এর কার্যক্রম কে আরো এগিয়ে নিতে হবে। ‘

১২ তম লিগ্যাল এইড দিবসের আলোচনা সভায় এ কথাগুলি বলেন মেহেরপুর জেলা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর পল্লব ভট্টাচার্য।

‘স্মার্ট লিগ্যাল এইড, স্মার্ট দেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ’ প্রতিপাদ্যে সারা দেশের ন্যায় মেহেরপুরেও আজ জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস পালিত হয়েছে।

আজ রবিবার (২৮ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮ টায় মেহেরপুর জেলা জজ আদালত চত্বরে বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে দিবসের উদ্বোধন করেন জেলা লিগ্যাল এইড কমিটির চেয়রম্যান এবং সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মেঃ মন্জুরুল ইমাম। এ সময় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক জেলা ও দায়রা জজ তহিদুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ রিপতি কুমার বিশ্বাস, জেলা প্রশাসক মো: শামীম হাসান, চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আবু বককর সিদ্দিক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কামরুল আহাসান, জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার ও সিনিয়র সহকারী জজ লাবনী সুলতানা পলি, জেলা বারের সভাপতি মারুফ আহমেদ বিজন এবং জেলা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর পল্লব ভট্টাচার্য উপস্থিত ছিলেন।

পরে জেলা জজ আদালত চত্বর থেকে একটি বর্ণাঢ্য র‍্যালি বের হয়। র‍্যালিটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা জজ আদালত প্রাঙ্গণে এসে শেষ হয়।

অতঃপর আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। জেলা লিগ্যাল এইড কমিটির চেয়রম্যান এবং সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মন্জুরুল ইমামের সভাপতিত্বে অতিথিরা বক্তব্য রাখেন। এ সময় মেহেরপুর জেলা লিগ্যাল এইড অফিসের কার্যক্রমে বিশেষ অবদান রাখার কারণে দুইজন আইনজীবীকে সম্মাননা দেয়া হয়




মেহেরপুর জেলা জুড়ে ভূমিকম্প অনুভূত

মেহেরপুর জেলার বিভিন্ন স্থানে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। আজ রবিবার (২৮ এপ্রিল) রাত ৮টা ৫ মিনিটের দিকে মেহেরপুর জেলার বিভিন্ন স্থানে মৃদু ভূমিকম্প অনুভূত হয়।

বামন্দী নিশিপুর এলাকার স্কুল শিক্ষক ফেরদৌস আহমেদ জানান, রাত ৮ টা ৫ মিনিটের দিকে মৃদু ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। স্থায়িত্ব প্রায় ৪/৫ সেকেন্ড ছিলো। এসময় পরিবারের সবাইকে নিয়ে ঘরের বাইরে বেরিয়ে পড়ি। নওপাড়া গ্রামের আব্দুর রহমান নামের একজন জানান, এলাকায় ভূমিকম্প হওয়ায় মানুষজন ঘর থেকে বাইরে বের হয়ে আসেন।

মেহেরপুর শহরেও ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে বলে জানান শহরের হালদারপাড়া এলাকার সৌরভ ও শাহাবুদ্দিন।

গাংনী উপজেলা শহরের ব্যবসায়ী জাফর ও তার কর্মচারী ঝন্টু মিয়া বলেন, পরপর দুইবার ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। প্রথমবার বুঝতে পারিনি। পরের বার যখন হয় ৫/৬ সেকেন্ড ছিলো। দোকানের সব মালামাল ঝাঁকুনি খেয়েছে।

ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল এখনো জানা সম্ভব হয়নি বলে জানানি তিনি।




মেহেরপুরে ‘হিট স্ট্রোকে’ ব্যবসায়ীর মৃত্যু

মেহেরপুর সদর উপজেলার আমঝুপিতে অতিরিক্ত গরমের কারণে অসুস্থ হয়ে আব্দুস সালাম (৫৫) নামে এক ভূঁষিমাল ব্যবসায়ীর মারা গেছেন।

আজ রোববার (২৮ এপ্রিল) বিকাল সাড়ে ৩ টার দিকে ভূঁষিমাল কিনে বাইসাইকেল যোগে বাড়িতে ফেরার সময় রাস্তাতে পড়ে গিয়ে হিট স্ট্রোক করে মারা যান তিনি।

আব্দুস সালাম মেহেরপুর সদর উপজেলার আমঝুপি গ্রামের পশ্চিমপাড়া এলাকার কিতাব আলীর ছেলে।

তার স্বজনরা জানান, আব্দুস সালাম গ্রামের মধ্যে থেকে ভূঁষিমাল কিনে বাইসাইকেল চালিয়ে বাড়ি ফিরেছিলেন। পথের মধ্যে প্রচন্ড গরমে তিনি বাইসাইকেল থেকে পড়ে যান। পরে অচেতন অবস্থায় তাঁকে মেহেরপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

মেহেরপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের জরুরী বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ সউদ কবীর বলেন, হাসপাতালে আসার আগেই তিনি মারা গেছেন। তার পারিবারের লোকজন মারা যাওয়ার যে বর্ণনা দিয়েছেন তাতে ‘ধারণা করা হচ্ছে অতিরিক্ত গরমে আব্দুস সালাম ‘হিট স্ট্রোকে’ মারা গেছেন।

আব্দুস সালামের ভাই আব্দুস সামাদ বলেন, ‘আমার ভাই পেশায় একজন ভূঁষিমাল ব্যবসায়ী ছিলেন। দুপুরের দিকে গ্রাম এলাকায় মাল কিনে বাইসাইকেল চালিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। পথের মধ্যে প্রচন্ড গরমে অসুস্থ হয়ে পড়ে যান। সেখান থেকে তাঁকে দ্রুত মেহেরপুর হাসপাতালে নিয়ে যায়। এরপর চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।’

মেহেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেখ কনি মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ব্যবসায়ী আব্দুস সালামের মরদেহ পারিবারিকভাবে নিয়ে দাফনের প্রস্তুতি চলছে।




কুষ্টিয়ায় মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত-২

কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে মো: সবুজ (২১) ও বিপ্লব হোসেন (৪২) নামে দুই জন নিহত হয়েছেন।

রোববার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার সান্দিয়ারা- লাহিনীপাড়া আঞ্চলিক সড়কের চাঁপড়া ইউনিয়নের চাপড়া ব্রিজ এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত মো. সবুজ হোসেন কুষ্টিয়া সদর উপজেলার মিলপাড়া এলাকার আব্দুল মালেকের ছেলে এবং বিপ্লব হোসেন (৪২) একই উপজেলার বাড়াদী উত্তর পাড়া এলাকার মৃত মোক্তার হোসেনের ছেলে।

এলাকাবাসী ও হাসপাতাল সুত্রে জানা গেছে, সবুজ হোসেন মোটরসাইকেল নিয়ে লাহিনীপাড়া থেকে সান্দিয়ারার দিকে যাচ্ছিলেন। আর বিপ্লব মোটরসাইকেল নিয়ে তাঁর বিপরীত দিকে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে চাঁপড়া ইউনিয়নের চাপড়া ব্রিজ এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে দুইটি মোটরসাইকেল ধুমড়ে মুচড়ে যায় এবং তাঁরা গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয়রা তাঁদের উদ্ধার কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক বিপ্লবকে মৃত ঘোষণা করেন এবং সবুজকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। পথিমধ্যে বিকেল ৩ টার দিকে সবুজ মারা যান।

প্রত্যক্ষদর্শী সাজেদুল ইসলাম জানান, দুইটি মোটরসাইকেলেই অতিরিক্ত গতি ছিল। কিভাবে যেন মুহুর্তেই মধ্যেই তাঁরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এসময় মোটরসাইকেল দুইটি ধুমড়ে মুচড়ে যায় এবং দুজন গুরুতর আহত হন।

চাঁপড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এনামুল হক মঞ্জু জানান, দুইটি মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে দুইজন গুরুতর আহত হলে স্থানীয়রা তাঁদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানকার কর্তৃব্য চিকিৎসক বিপ্লব নামে একজনকে মৃত ঘোষণা করেন এবং সবুজকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। কিন্তু সবুজ হাসপাতালে পৌছানোর আগেই মারা গেছে বলে তিনি জানতে পেরেছেন।

কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের সদস্য জিয়াউর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, দুইটি মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে একটি দুর্ঘটনা ঘটেছে। একজন হাসপাতালে আনার আগেই মারা যান। আরেকজনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যায়।




ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে যৌতুকের জন্য নির্যাতন করে গৃহবধুকে হ*ত্যা

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার বারোবাজার ইউনিয়নের বেলাট দৌলতপুর গ্রামের মৃত কাজী মশিয়ার রহমানের মেয়ে সাবিনা ইয়াছমিন লাকী। বাবা মায়ের ৬ সন্তানের মধ্যে লাকি ছিলো ৪ নম্বর সন্তান।

২০০২ সালে পারিবারিক ভাবে চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার খয়েরহুদা গ্রামের মৃত আব্দুর রহিম খানের ছেলে ফারুক হোসেনের সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের পরে দাম্পত্য জীবনে তাদের ২ টি সন্তানের জন্ম হয়। ২ সন্তান নিয়ে সুখেই চলছিলো তাদের সংসার। বিয়ের কয়েক বছর পর ২০১৯ সালে হঠাৎ লাকির কাছে ৫ লাখ টাকা যৌতুক দাবী করে ফারুক হোসেন। টাকা দিতে না পারায় বেধড়ক মারপিটসহ নানা ভাবে নির্যাতন শুরু করে যৌতুকলোভী ফারুক হোসেন। দিন দিন বাড়ে তার অত্যাচারের পরিমান। নির্যাতনের কারণে ওই সময় হাসপাতালে ভর্তি হতেও হয়েছিলো লাকিকে।

সেই সময় পরিবার থেকে শালিশী বৈঠক করে মিমাংসা করে দেয়। এরপর ও থেমে থাকেনি ফারুক হোসেন। দিনের পর দিন বাবার বাড়ী থেকে টাকা আনার জন্য মারধর নির্যাতন শুরু করে। বাবা ২০০৯ সালে মারা যাওয়ার পর সংসার ভার পরে তার ভাই জামিরুল ইসলামের উপর। যৌতুকলোভী ফারুক দিনের পর দিন যৌতুকের জন্য চাপ দিলে উপায় না পেয়ে লাকি ভাইয়ের কাছে চলে যায়। বোনের সুখের কথা চিন্তা করে ভাই জামিরুল মাঝে মাঝেই টাকা দিতো।

সর্বশেষ গত ১০ এপ্রিল আবারো যৌতুক দাবী করে ফারুক হোসেন। এবার লাকি টাকা আনার কথা অস্বীকার করলে শুরু হয় অকথ্য নির্যাতন। পিটিয়ে গুরুতর আহত করে হত্যা করে। পরে মুখে বিষ ঢেলে হত্যার ঘটনা ধামাচাপা দিতে আত্মহত্যা বলে চালানোর চেষ্টা করে। পরিবার থেকে বিষয়টি জানার পর অভিযোগ করলে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় থানায় মামলা দিয়ে থানা মামলা নিতে অস্বীকার করে। পরে বিচারের আশায় চুয়াডাঙ্গা আদালতে মামলা দায়ের করেছে তার ভাই জামিরুল ইসলাম।

ভাই জামিরুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, টাকার জন্য আমার বোনকে হত্যা করা হয়েছে। আমি থানায় মামলা দিলে থানা মামলা নেয়নি। আমি আদালতে মামলা করেছি। আমি আমার বোন হত্যার বিচার চাই। আমি চাই আর কোন ভাই যেন যৌতুকের কারণে বোন হারা না হয়।




ঝিনাইদহে চালকদের দক্ষতা ও সচেতনতা বৃদ্ধিমূলক প্রশিক্ষণ কর্মশালা

“গতিসীমা মেনে চলি, সড়ক দূর্ঘটনা রোধ করি” এ শ্লোগানে ঝিনাইদহে পেশাজীবী গাড়ী চালকদের দক্ষতা ও সচেতনতা বৃদ্ধিমূলক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ রোববার দুপুরে জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) ঝিনাইদহ সার্কেলের আয়োজনে এ প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সালমা সেলিমের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের যুগ্ম-সচিব নাজনীন ওয়ারেস।

প্রধান প্রশিক্ষক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বিআরটিএ খুলনা বিভাগীয় পরিচালক (ইঞ্জি) মোঃ জিয়াউর রহমান।

এছাড়াও সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ মিথিলা ইসলাম, বিআরটিএ ঝিনাইদহ সার্কেলের সহকারী পরিচালক (ইঞ্জি) মোঃ আতিয়ার রহমান, পরিদর্শক (ইঞ্জি) এস এম সবুজ, (ইঞ্জি) তারিক হাসান, ট্রাফিক ইন্সপেক্টর গোলাম মোর্শেদ সহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

প্রশিক্ষণ কর্মশালায় ৩ শতাধীক পেশাজীবী গাড়ী চালক অংশ গ্রহন করেন।




যুক্তরাষ্ট্রে মেসির অনন্য রেকর্ড

যুক্তরাষ্ট্রের মেজর লিগ সকারে (এমএলএস) লিওনেল মেসির জাদু চলছেই। চোট কাটিয়ে ফেরার পর থেকে দারুণ ছন্দে রয়েছেন ফুটবলের এ জাদুকর। আগের ম্যাচে ন্যাশভিলের বিপক্ষে জোড়া গোল করেছিলেন আর্জেন্টাইন মহাতারকা। এদিকে আজ নিউ ইংল্যান্ড রেভুলেশনের বিপক্ষে ফের মেসির জোড়া গোলে ৪-১ ব্যবধানে বড় জয় পেল জেরার্দো মার্টিনোর দল।

বাংলাদেশ সময় রোববার (২৮ এপ্রিল) ভোর সাড়ে ৫টায় এমএলএসের ম্যাচে নিউ ইংল্যান্ড রেভুলেশনের বিরুদ্ধে মাঠে নামে ইন্টার মায়ামি। ম্যাচটিতে মেসির জোড়া গোলের পাশাপাশি দলের হয়ে বাকি দুটি গোল করেন বেঞ্জামিন ক্রেমাশ্চি ও লুইস সুয়ারেজ। প্রতিপক্ষের হয়ে গোলটি করেন টমাস চ্যাঙ্কালে।

খেলাটি দেখতে এদিন ফক্সবরোর জিলেট স্টেডিয়ামে উপস্থিত হয়েছিল ৬৫ হাজার ৬১২ জন দর্শক। যা স্টেডিয়ামটির ইতিহাসে সর্বোচ্চ।

অবশ্য ঘরের মাঠে রেকর্ড দর্শকের সামনে শুরুতেই এগিয়ে যায় স্বাগতিক নিউ ইংল্যান্ড। ম্যাচের যখন মাত্র ৪০ সেকেন্ড, তখনই স্বাগতিকরা এক গোলে এগিয়ে যায়। আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার টমাস চ্যাঙ্কালের গোলে এগিয়ে যায় নিউ ইংল্যান্ড। শুরুতে পিছিয়ে পড়ে একের পর এক আক্রমণ চালালেও কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা পাচ্ছিলো না ইন্টার মায়ামি। অবশ্য সেই গোল শোধ দিতে মায়ামির সময় লাগে ৩২ মিনিট। রবার্ট টেলরের অ্যাসিস্টে দারুণভাবে জালের ঠিকানা খুঁজে নেন মেসি।

বিরতির পর আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ডের গোলেই এগিয়ে যায় মায়ামি। ৬৭ মিনিটে সের্হিও বুসকেতসের নিখুঁত পাস বেশ সহজেই নিয়ন্ত্রণে নেন মেসি। গোল করাটাও তার জন্য কঠিন কিছু ছিল না। ৮৩ মিনিটে হ্যাটট্রিক পেয়েই যাচ্ছিলেন প্রায়। কিন্তু তার শট ঠেকিয়ে দেন নিউ ইংল্যান্ডের গোলরক্ষক হাইনরিখ রাভাস। তবে ফিরতি শটে ঠিকই গোলের দেখা পান বেঞ্জামিন ক্রেমাসচি। এর পাঁচ মিনিট পর মেসির পাস থেকে ব্যবধান বাড়ান লুইস সুয়ারেস।

এ নিয়ে চলতি মৌসুমে লিগে ৭ ম্যাচে ৯ গোল ও ৭ অ্যাসিস্ট করলেন মেসি। একইসঙ্গে মেজর লিগ সকারের সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকায় সল্ট লেকের স্ট্রাইকার ক্রিস্তিয়ান আরাঙ্গোকে (৮ গোল) হটিয়ে শীর্ষে উঠেছেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক।

মেসির মতো তার দলও এমএলএসের ইস্টার্ন কনফারেন্স অঞ্চলের পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে উঠেছে। ১১ ম্যাচে ৬ জয়ে ২১ পয়েন্ট মায়ামির। দ্বিতীয় স্থানে থাকা সিনসিনাটি সিটি ৩ পয়েন্ট পিছিয়ে। অবশ্য দলটি একটি ম্যাচ কম খেলেছে।

সূত্র: ইত্তেফাক




ঝিনাইদহে জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস পালিত

“স্মার্ট লিগ্যাল এইড, স্মার্ট দেশ বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ” এই শ্লোগানকে সামনে রেখে ঝিনাইদহে বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে পালিত হয়েছে জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস ।

এ উপলক্ষে রোববার সকালে জেলা জজ কোর্ট চত্বরে জেলা লিগ্যাল এইড কমিটির চেয়ারম্যান সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ এস এম সাইফুল ইসলাম শান্তির প্রতিক পায়রা এবং বেলুন উড়িয়ে এ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন। এর পর একই স্থান থেকে একটি র‌্যালি বের করা হয়। র‌্যালিটি শহরের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে একই স্থানে এসে শেষ হয়।

পরে জেলা আদালত চত্তরে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক এস এম রফিকুল ইসলাম, পুলিশ সুপার আজিম-উল-আহসান সহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা।

সেসময় বক্তারা, বলেন স্মার্ট লিগ্যাল এইড বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশকে গড়তে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে, যা আগামীতেও এ ধারা অব্যাহত থাকবে।