বাড়ি ছেড়ে চলে গেলেও আলাদা হচ্ছেন না অভিষেক-ঐশ্বরিয়া

বলিউডের তারকা দম্পতি অভিষেক বচ্চন ও ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চনের বিয়ের পর বহুবার তাদের সংসার ভাঙার গুঞ্জন শোনা গেছে। সম্প্রতি জানা যায় ঐশ্বরিয়া তার শশুর বাড়ি ছেড়ে চলে গেলেও মেয়ে আরাধ্যার মুখ চেয়েই নাকি আইনত আলাদা হওয়ার সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন না অভিষেক-ঐশ্বরিয়া।

টাইমস নাউ-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিচ্ছেদের গুজবের মধ্যেই ঐশ্বরিয়া রাই, বচ্চন বাড়ি ছেড়ে চলে গেছেন। তবে সন্তানের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে অভিষেক-ঐশ্বরিয়ার বিবাহ বিচ্ছেদের সম্ভাবনা নেই।

এই তারকা দম্পতির ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র জানিয়েছে যে তারা তাদের মেয়ের কারণে তাদের সম্পর্ক শেষ করার কথা ভাবছে না।

সূত্রটি বলেছে “এটি তাদের সন্তানের জন্য যে অভিষেক এবং ঐশ্বরিয়া এখনও একসাথে আছেন,”। “তারা কয়েক বছর ধরে সমস্যায় ভুগছে। এখন বিষয়গুলো মাথায় এসেছে।”

তাছাড়া, অভিনেত্রী তার শাশুড়ি জয়া বচ্চনের সাথে কথা বলছেন না।

ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন এবং অভিষেক বচ্চন দাম্পত্য জীবনের ১৬ বছরেরও বেশি সময় পার করেছেন। কিন্তু গত কয়েক সপ্তাহ ধরে তাদের সম্পর্কে একাধিক প্রতিবেদন এবং গুজব ছিল।




মোহামেডানকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন বসুন্ধরা

স্বাধীনতা কাপের ফাইনালে মোহামেডানকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছে বসুন্ধরা কিংস। সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) গোপালগঞ্জের শেখ ফজলুল হক মনি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ফাইনালে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবকে ২-১ গোলের ব্যবধানে হারায় বসুন্ধরা কিংস।

এই নিয়ে টানা দ্বিতীয় স্বাধীনতা কাপের শিরোপা ঘরে তুললো বসুন্ধরা। ম্যাচের শুরু থেকে আক্রমণাত্নক ফুটবল খেলতে থাকে বসুন্ধরা। অন্যদিকে কিছুটা কাউন্টার অ্যাটাক নির্ভর ফুটবল খেলতে থাকে মোহামেডান। তবে প্রথমার্ধে গোলের দেখা পায়নি কোনো দল। গোলশূন্য থেকে বিরতিতে যায় দু’দল।

তবে বিরতি থেকে ম্যাচের ৪৮ মিনিটে দশজনের দলে পরিণত হয় বসুন্ধরা কিংস। সেই সুবিধা নিয়ে ম্যাচের ৫০ মিনিটে ডেড লক ভাঙে মোহামেডান। তবে এক মিনিটে পরেই গোল করে বসুন্ধরাকে সমতায় ফেরান রাকিব হোসেন।

এরপর ম্যাচের ৮২ মিনিটে গোল করে দলকে লিড নেন দেন ব্রাজিলিয়ান ডরিয়েল্টনে। এরপর গোল শোধে মরিয়া হয়ে খেলতে থাকে মোহামেডান। তবে গোল পেতে ব্যর্থ হয় তারা। শেষ পর্যন্ত ২-১ গোলের জয় নিয়ে শিরোপা উদযাপনে মাতে বসুন্ধরার ফুটবলাররা।

সূত্র: ইত্তেফাক




মেহেরপুরে দুইটি আসনে প্রতীক পেলেন ১৩ প্রার্থী

মেহেরপুরে দুইটি সংসদীয় আসনে ১৩ প্রার্থীর মাঝে প্রতীক বরাদ্দ করেছেন জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক শামীম হাসান। ১৩ জনের মধ্যে ১০ জনকে দলীয় প্রতীক দেওয়া হয় এবং স্বতন্ত্র তিন জন তাদের নিজের পছন্দের প্রতীক আবেদন করলে তা বরাদ্দ দেওয়া হয়।

সোমবার সকাল ১১ টার দিকে মেহেরপুর-১ (সদর-মুজিবনগর) আসনে প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়। এসময় আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ফরহাদ হোসেনকে (নৌকা), জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী আব্দুল হামিদকে (লাঙ্গল), এনপিপি তরিকুল ইসলামকে (আম), সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের প্রার্থী বাবলু জোমকে (ছড়ি), স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য প্রার্থী প্রফেসর আব্দুল মান্নানকে (ট্রাক) ও জয়নাল আবেদীনকে (ঈগল পাখি) প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়।

পরে দুপুর ১২ টার সময় মেহেরপুর-২ (গাংনী) আসনে প্রার্থীদের মধ্যে নির্বাচনী প্রতীক দেওয়া হয়। এসময় আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী আবু সালেহ মোঃ নাজমুল হককে (নৌকা), জাতীয়র পার্টির কেতাব আলীকে (লাঙ্গল), তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী আব্দুল গণীকে (সোনালি আঁশ), সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের মো: শাহজামালকে (ছড়ি), এনপিপির প্রার্থী গোলাম রসুলকে (আম), বাংলাদেশ কংগ্রেসের প্রার্থী আল ফারুককে (ডাব) ও স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য প্রার্থী মকবুল হোসেনকে (ট্রাক) প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়।




মেহেরপুরে আন্তর্জাতিক অধিবাসী দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা

‘প্রবাসী কর্মীরা উন্নয়নের অংশীদার সমুন্নত রাখবো তাদের অধিকার’ এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আজ সোমবার ১৮ ডিসেম্বর সকাল দশটার সময় আন্তর্জাতিক অধিবাসী দিবস ২০২৩ উপলক্ষে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

জেলা প্রশাসক মোঃ শামীম হাসানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক শামীম হোসেন, সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ সাজেদুল ইসলাম, মেহেরপুর ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক এজেএম সিরাজুম মূনীর, জেলা তথ্য অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন, মেহেরপুর কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (টিটিসি)র অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ আরিফ হোসেন তালুকদার।

সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আবীর হোসেনের সঞ্চালনায় আরো উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (টিটিসি)র অধিবাসী প্রশিক্ষণ মোঃ আমির হোসেন, আনিসুর রহমান মাসুদ, পারভেজ ইসলাম, মনির হোসেন প্রমুখ।




শুরু হচ্ছে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা, মানতে হবে যেসব আচরণবিধি

আজ সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) রিটার্নিং কর্মকর্তাদের প্রতীক বরাদ্দ দেয়ার পর থেকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণায় পুরোদমে চালাতে পারবেন প্রার্থীরা। মিছিল ও শ্লোগান দিতে পারবেন। আগামী ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত ভোটের প্রচার চালাতে পারবেন তারা। সেই হিসাবে প্রচার-প্রচারণার জন্য ১৮ দিন সময় পাবেন প্রার্থীরা। তবে সব প্রার্থীকে নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে চলতে হবে।

গতকাল রোববার (১৭ ডিসেম্বর) সংসদ নির্বাচনে বৈধ প্রার্থীদের প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ছিল। এদিন ৩৪৭টি মনোনয়নপত্র আজকে প্রত্যাহার হয়েছে এবং স্থগিত রয়েছে ৫টি। এ নির্বাচনে ২৭টি রাজনৈতিক দলের বৈধ প্রার্থীর সংখ্যা ১৮৯৬।

জানা গেছে, আগামী ২০ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সিলেটের হযরত শাহজালাল (র.)-এর মাজার ও শাহ পরানের মাজার জিয়ারতের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হবে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা।

প্রচার-প্রচারণার ক্ষেত্রে মানতে হবে যেসব নিয়ম কানুন

সংসদ নির্বাচনে কী করা যাবে, কী করা যাবে না তা নিয়ে আগে থেকে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে ইসি। সংস্থাটির ওয়েবসাইটে সংসদ নির্বাচন আইনের ১০ নং ক্রমিকে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিতে নির্বাচনী বিধিনিষেধ সম্পর্কে যা যা বলা হয়েছে।

সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, নির্বাচনী প্রচারণার ক্ষেত্রে প্রত্যেক নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল কিংবা তার মনোনীত প্রার্থী বা স্বতন্ত্র প্রার্থী কিংবা তাদের পক্ষে অন্য ব্যক্তিকে বিধি ৬ হতে বিধি ১৪ এর বিধানাবলী অনুসরণ করিতে হইবে। এই বিধিগুলোতে যেসব বিষয়ে বলা হয়েছে তার কয়েকটি ধারা তুলে ধরা হলো—

সভা-সমিতি সংক্রান্ত বিধিনিষেধ

(ক) নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল কিংবা তার মনোনীত প্রার্থী বা স্বতন্ত্র প্রার্থী কিংবা তাহাদের পক্ষে অন্য কোন ব্যক্তি প্রচারণার ক্ষেত্রে সমান অধিকার পাইবে। তবে প্রতিপক্ষের সভা, শোভাযাত্রা এবং অন্যান্য প্রচারাভিযান পণ্ড বা উহাতে বাধা প্রদান করিতে পারিবে না;

(খ) সভার দিন, সময় ও স্থান সম্পর্কে যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট হইতে লিখিত অনুমতি গ্রহণ করিবে। তবে এইরূপ অনুমতি লিখিত আবেদন প্রাপ্তির সময়ের ক্রমানুসারে প্রদান করিতে হইবে।

(গ) সভা করিতে চাহিলে প্রস্তাবিত সভার কমপক্ষে ২৪ ঘণ্টা পূর্বে তাহার স্থান এবং সময় সম্পর্কে স্থানীয় পুলিশ কর্তৃপক্ষকে অবহিত করিতে হইবে, যাহাতে ওই স্থানে চলাচল ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য পুলিশ প্রশাসন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারে;

(ঘ) জনগণের চলাচলের বিঘ্ন সৃষ্টি করিতে পারে এমন কোনো সড়কে জনসভা কিংবা পথ সভা করিতে পারিবে না এবং তাহাদের পক্ষে অন্য কোন ব্যক্তিও অনুরূপভাবে জনসভা বা পথসভা ইত্যাদি করিতে পারিবে না;

(ঙ) কোনো সভা অনুষ্ঠানে বাধাদানকারী বা অন্য কোনোভাবে গোলযোগ সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সভার আয়োজকরা পুলিশের শরণাপন্ন হইবেন এবং এই ধরনের ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে তাহারা নিজেরা ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবেন না।

পোস্টার, লিফলেট বা হ্যান্ডবিল ব্যবহার সংক্রান্ত বিধিনিষেধ

কোন প্রার্থী কিংবা তাহার পক্ষে অন্য কোন ব্যক্তি নিম্নে উল্লিখিত স্থান বা যানবাহনে কোনো প্রকার পোস্টার, লিফলেট বা হ্যান্ডবিল লাগাইতে পারিবেন না। যথা⎯ সিটি কর্পোরেশন এবং পৌর এলাকায় অবস্থিত দালান, দেওয়াল, গাছ, বেড়া, বিদ্যুৎ ও টেলিফোনের খুঁটি বা অন্য কোন দণ্ডায়মান বস্তুতে; সমগ্র দেশে অবস্থিত সরকারি বা স্থানীয় কর্তৃপক্ষের স্থাপনাসমূহে; এবং বাস, ট্রাক, ট্রেন, স্টিমার, লঞ্চ, রিকশা কিংবা অন্য কোন প্রকার যানবাহনে : তবে শর্ত থাকে যে, দেশের যে কোন স্থানে পোস্টার, লিফলেট বা হ্যান্ডবিল ঝুলাইতে বা টাঙ্গাতে পারিবে।

এ ছাড়া কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর পোস্টার, লিফলেট, হ্যান্ডবিল ইত্যাদির উপর অন্য কোন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর পোস্টার, লিফলেট, হ্যান্ডবিল ইত্যাদি লাগানো যাইবে না এবং উক্ত পোস্টার, লিফলেট ও হ্যান্ডবিল ইত্যাদির কোন প্রকার ক্ষতিসাধন তথা বিকৃতি বা বিনষ্ট করা যাইবে না।

কোন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচারণায় ব্যবহৃতব্য পোস্টার সাদা-কালো রঙের হইতে হইবে এবং উহার আয়তন ২৩″ / ১৮″ এর অধিক হইতে পারিবে না এবং প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী পোস্টারে তাহার প্রতীক ও নিজের ছবি ব্যতীত অন্য কোন ব্যক্তির ছবি বা প্রতীক ছাপাইতে পারিবে না। তবে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী কোনো নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের মনোনীত হইলে সেক্ষেত্রে তিনি কেবল তাহার বর্তমান দলীয় প্রধানের ছবি পোস্টারে ছাপাইতে পারিবে।

যেমন- উল্লিখিত ছবি সাধারণ ছবি হইতে হইবে এবং কোনো অনুষ্ঠান, মিছিলে নেতৃত্বদান, প্রার্থনারত অবস্থা ইত্যাদি ভঙ্গিমায় ছবি কোনো অবস্থাতেই ছাপানো যাইবে না। নির্বাচনী প্রচারণায় ব্যবহৃতব্য সাধারণ ছবির আয়তন ২৩″ / ১৮″ এর অধিক হইতে পারিবে না। কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর নির্বাচনী প্রতীকের সাইজ, দৈর্ঘ্য, প্রস্থ বা উচ্চতা তিন মিটারের অধিক হইতে পারিবে না।

যানবাহন ব্যবহার সংক্রান্ত বিধিনিষেধ

(ক) কোন নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল কিংবা উহার মনোনীত প্রার্থী বা স্বতন্ত্র প্রার্থী কিংবা তাহাদের পক্ষে অন্য কোন ব্যক্তি কোন ট্রাক, বাস, মোটরসাইকেল, নৌযান, ট্রেন কিংবা অন্য কোন যান্ত্রিক যানবাহন সহকারে মিছিল কিংবা মশাল মিছিল বাহির করিতে পারিবে না কিংবা কোনরূপ শোডাউন করিতে পারিবে না;

(খ) নির্বাচনী প্রচারকার্যে হেলিকপ্টার বা অন্য কোনো আকাশযান ব্যবহার করা যাইবে না। তবে দলীয় প্রধানের যাতায়াতের জন্য উহা ব্যবহার করিতে পারিবে কিন্তু যাতায়াতের সময় হেলিকপ্টার হইতে লিফলেট, ব্যানার বা অন্য কোন প্রচার সামগ্রী প্রদর্শন বা বিতরণ করিতে পারিবে না;

দেয়াল লিখন সংক্রান্ত বিধিনিষেধ

(ক) কোনো নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল কিংবা উহার মনোনীত প্রার্থী বা স্বতন্ত্র প্রার্থী কিংবা তাহাদের পক্ষে অন্য কোন ব্যক্তি দেওয়ালে লিখিয়া কোন প্রকার নির্বাচনী প্রচারণা চালাইতে পারিবেন না; এবং

(খ) কালি বা রং দ্বারা বা অন্য কোনোভাবে দেওয়াল ছাড়াও কোনো দালান, থাম, বাড়ি বা ঘরের ছাদ, সেতু, সড়ক দ্বীপ, রোড ডিভাইডার, যানবাহন বা অন্য কোন স্থাপনায় প্রচারণামূলক কোন লিখন বা অঙ্কন করিতে পারিবেন না।

গেইট বা তোরণ নির্মাণ, প্যান্ডেল বা ক্যাম্প স্থাপন ও আলোকসজ্জাকরণ সংক্রান্ত বিধিনিষেধ

(ক) কোন নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল কিংবা উহার মনোনীত প্রার্থী বা স্বতন্ত্র প্রার্থী কিংবা তাহাদের পক্ষে অন্য কোন ব্যক্তি নির্বাচনী প্রচারণায় কোন গেইট বা তোরণ নির্মাণ করিতে পারিবেন না কিংবা চলাচলের পথে কোন প্রকার প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করিতে পারিবেন না;

(খ) নির্বাচনী প্রচারণার জন্য ৪০০ (চারশত) বর্গফুট এর অধিক স্থান লইয়া কোন প্যান্ডেল তৈরি করিতে পারিবেন না;

(গ) নির্বাচনী প্রচারণার অংশ হিসাবে বিদ্যুতের সাহায্যে কোন প্রকার আলোকসজ্জা করিতে পারিবেন না;

(ঘ) কোন সড়ক কিংবা জনগণের চলাচল ও সাধারণ ব্যবহারের জন্য নির্ধারিত স্থানে নির্বাচনী ক্যাম্প স্থাপন করিতে পারিবেন না; একজন প্রার্থী দলীয় ও সহযোগী সংগঠনের কার্যালয় নির্বিশেষে প্রতিটি ইউনিয়নে সর্বোচ্চ একটি এবং প্রতিটি পৌরসভা বা সিটি কর্পোরেশন এলাকার প্রতি ওয়ার্ডে একটির অধিক নির্বাচনী ক্যাম্প স্থাপন করিতে পারিবেন না;

(ঙ) নির্বাচনী প্রচারণার জন্য প্রার্থীর ছবি বা প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণামূলক কোন বক্তব্য বা কোন শার্ট, জ্যাকেট, ফতুয়া ইত্যাদি ব্যবহার করিতে পারিবেন না; এবং

(চ) নির্বাচনী ক্যাম্পে ভোটারগণকে কোনরূপ কোমল পানীয় বা খাদ্য পরিবেশন বা কোনরূপ উপঢৌকন প্রদান করিতে পারিবেন না।

উসকানিমূলক বক্তব্য বা বিবৃতি প্রদান, উচ্ছৃঙ্খল আচরণ এবং বিস্ফোরক বহন সংক্রান্ত বিধিনিষেধ

(ক) কোন নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল কিংবা উহার মনোনীত প্রার্থী বা স্বতন্ত্র প্রার্থী কিংবা তাহাদের পক্ষে অন্য কোন ব্যক্তি নির্বাচনী প্রচারণাকালে ব্যক্তিগত চরিত্র হনন করিয়া বক্তব্য প্রদান বা কোন ধরনের তিক্ত বা উসকানিমূলক কিংবা লিঙ্গ, সাম্প্রদায়িকতা বা ধর্মানুভূতিতে আঘাত লাগে এমন কোন বক্তব্য প্রদান করিতে পারিবেন না;

(খ) মসজিদ, মন্দির, গির্জা বা অন্য কোন ধর্মীয় উপাসনালয়ে কোন প্রকার নির্বাচনী প্রচারণা চালাইতে পারিবেন না;

(গ) নির্বাচন উপলক্ষ্যে কোন নাগরিকের জমি, ভবন বা অন্য কোন স্থাবর বা অস্থাবর সম্পত্তির কোনরূপ ক্ষতিসাধন করা যাইবে না এবং অনভিপ্রেত গোলযোগ ও উচ্ছৃঙ্খল আচরণ দ্বারা কাহারও শান্তি ভঙ্গ করিতে পারিবেন না;

মাইক ব্যবহার সংক্রান্ত বিধিনিষেধ

কোন নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল কিংবা উহার মনোনীত প্রার্থী বা স্বতন্ত্র প্রার্থী কিংবা তাহাদের পক্ষে অন্য কোন ব্যক্তি কোন নির্বাচনী এলাকায় মাইক বা শব্দের মাত্রা বর্ধনকারী অন্যবিধ যন্ত্রের ব্যবহার দুপুর ২ (দুই) ঘটিকা হইতে রাত ৮ (আট) ঘটিকার মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখিবেন।

সরকারি সুবিধা নিয়ে প্রচারণা সংক্রান্ত বিধিনিষেধ

নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর নির্বাচনী এলাকায়, সংশ্লিষ্ট জেলায় বা অন্য কোথাও কোন নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল কিংবা উহার মনোনীত প্রার্থী বা স্বতন্ত্র প্রার্থী কিংবা তাহাদের পক্ষে অন্য কোন ব্যক্তি নির্বাচনী কাজে সরকারি প্রচার যন্ত্রের ব্যবহার, সরকারি কর্মকর্তা বা কর্মচারীগণকে ব্যবহার বা সরকারি যানবাহন ব্যবহার করিতে পারিবেন না এবং রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধা ভোগ বা ব্যবহার করিতে পারিবেন না।

এ ছাড়া আরেক বিজ্ঞপ্তিতে ইসি জানিয়েছে, অর্থ, অস্ত্র, পেশিশক্তি , স্থানীয় প্রভাব বা সরকারি ক্ষমতার দ্বারা নির্বাচন প্রভাবিত করা যাবে না। নির্বাচনী জনসভা বা মিছিলের দিন, সময় ও স্থান সম্পর্কে পূর্বেই স্থানীয় পুলিশ কর্তৃপক্ষকে অবহিত করতে হবে। জনগণের চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি করে কোনো সড়কে পুলিশ কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতিরেকে জনসভা করা যাবে না। কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর পোস্টার, লিফলেট ও হ্যান্ডবিলের উপর অন্য কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর পোস্টার, লিফলেট ও হ্যান্ডবিল ইত্যাদি লাগানো যাবে না। সরকারি ডাকবাংলো, রেস্ট হাউস, সার্কিট হাউস বা কোনো সরকারি কার্যালয়কে কোনো প্রকার প্রচারের স্থান হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না।

এছাড়া, যে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচারণায় ব্যবহৃতব্য পোস্টার সাদা-কালো রঙের হতে হবে এবং এর আয়তন অনধিক ৬০ (ষাট) সেন্টিমিটার X ৪৫ (পঁয়তাল্লিশ) সেন্টিমিটার এবং ব্যানার সাদা-কালো রঙের ও আয়তন অনধিক ৩ (তিন) মিটার X ১ (এক) মিটার হতে হবে। নির্বাচনী এলাকায় মাইক বা শব্দের মাত্রা বর্ধনকারী অন্যবিধ যন্ত্রের ব্যবহার দুপুর দুইটা থেকে রাত ৮টার মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে হবে।

কোনো প্রার্থীর পক্ষে ট্রাক, বাস, মোটরসাইকেল কিংবা অন্য কোনো যানবাহন সহকারে মিছিল কিংবা মশাল মিছিল বের করা যাবে না। নির্বাচনী প্রচারণাকালে কোনো ধরনের তিক্ত, উসকানিমূলক এবং ধর্মানুভূতিতে আঘাত লাগে এমন কোন বক্তব্য প্রদান করা যাবে না। কোনো নাগরিকের জমি, ভবন বা অন্য কোনো স্থাবর বা অস্থাবর সম্পত্তির কোনরূপ ক্ষতিসাধন করা যাবে না।

এদিকে রোববার আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির (জাপা) জন্য ২৬টি এবং ১৪ দলীয় জোটের অন্য শরিকদের জন্য ৬টি সংসদীয় আসন ছেড়েছে আওয়ামী লীগ।

জাপার সঙ্গে সমঝোতা হওয়া আসনগুলো হলো- ঠাকুরগাঁও-৩, নীলফামারী-৩ ও ৪, রংপুর-১ ও ৩, কুড়িগ্রাম-১ ও ২, গাইবান্ধা-১ ও ২, বগুড়া-২ ও ৩, সাতক্ষীরা-২, পটুয়াখালী-১, বরিশাল-৩, পিরোজপুর-৩, ময়মনসিংহ-৫ ও ৮, কিশোরগঞ্জ-৩, মানিকগঞ্জ-১, ঢাকা-১৮, হবিগঞ্জ-১, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২, ফেনী-৩, চট্টগ্রাম-৫ ও ৮, নারায়ণগঞ্জ-৫ আসন। এই আসনগুলোতে দলীয় কোনো প্রার্থী দেবে না আওয়ামী লীগ।

অন্যদিকে ১৪ দলীয় জোটের অন্য শরিকদের সঙ্গে সমঝোতা হওয়া আসনগুলো হলো- বগুড়া ৪, রাজশাহী ২, কুষ্টিয়া ২, বরিশাল-২, পিরোজপুর-২ ও লক্ষ্মীপুর-৪। এসব আসনেও দলীয় প্রার্থী দেবে না আওয়ামী লীগ।

তফসিল অনুযায়ী, ৭ জানুয়ারি হবে ভোটগ্রহণ। ১৭ ডিসেম্বর নির্বাচনে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময়। চূড়ান্ত প্রার্থীদের মধ্যে ১৮ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দ করা হবে। প্রতীক নিয়েই প্রার্থীরা ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত ভোটের প্রচার চালাতে পারবনে।




চুয়াডাঙ্গায় হিমেল হাওয়ার সঙ্গে তীব্র শীত অনুভূত; তাপমাত্রা ১০.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস

চুয়াডাঙ্গায় আট দিন হিমেল হাওয়া প্রবাহিত হওয়ায় তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে। দিন দিন ক্রমাগত তাপমাত্রা কমতে থাকায় এ জেলায় শীতের মাত্রা বেড়েই চলছে।

চুয়াডাঙ্গা জেলায় আজ রবিবার (১৭ ডিসেম্বর) দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে ।

চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণীর আবহাওয়া পর্যবক্ষণাগারের পর্যবেক্ষক আলতাফ হোসন জানান, আজ রবিবার (১৭ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় চুয়াডাঙ্গা জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৮৬ শতাংশ। এদিন সকাল ৬টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস,বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৫ শতাংশ।

গত রবিবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ১৫ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস,বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৮ শতাংশ। ওই দিন সকাল ৯টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস,বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯২ শতাংশ। সোমবার (১১ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস,বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯১ শতাংশ। এদিন সকাল ৬টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, সে সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৭ শতাংশ। মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৩ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস,বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৫ শতাংশ। ওই দিন সকাল ৬টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৩ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস,বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৫ শতাংশ। কুয়াশার কারনে এদিন তাপমাত্রা ও বাতাসের আর্দ্রতা একই ছিল। বুধবার (১৩ ডিসম্বর) সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস,বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯১ শতাংশ। এদিন সকাল ৬টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস,বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৪ শতাংশ। বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসম্বর) সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১০ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস,বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৮৯ শতাংশ। এদিন সকাল ৬টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস,বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৫ শতাংশ। শুক্রবার (১৫ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় দেশর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস,বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯২ শতাংশ। এদিন সকাল ৬টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১০ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস,বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৭ শতাংশ। শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস,বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৮৬ শতাংশ। এদিন সকাল ৬টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস,বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৫ শতাংশ। তিনি আরও বলেন, ডিসেম্বর মাসের শেষ দিকে এ জেলার ওপর দিয়ে মাঝারি থেক তীব্র আকারের শৈত্য প্রবাহ বয়ে যেতে পারে।

চুয়াডাঙ্গায় হঠাৎ তাপমাত্রা কমে যাওয়ার কারনে দুর্ভোগ বেড়ে গেছে খেটে খাওয়া মানুষের।

আজ রবিবার সকালে রিক্সাভ্যান চালক বশির জানায়, তিনি প্রতিদিন ভোর ৪টার সময় জীবীকার তাগিদে তার নিজের রিক্সাভ্যান নিয়ে বেরিয়ে পড়েন। ক’দিন থেকে প্রচন্ড শীত পড়ায় তার রিক্সাভ্যান কোন ভাড়া হচ্ছেনা। সে কারনে সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।

শহরের শান্তিপাড়ার রিক্সাচালক খোকন অভিনব ভাষায় বলেন, শীত তোর খালা রিক্সায় কেউ চড়তে চাচ্চেনা। সে জন্য তিনি ভাড়া পাওয়া দৃরহ হচ্ছে। তাছাড়া শীত বেশী রিক্সা চালোনা যাচ্ছেনা।




চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের জাকের পার্টির প্রার্থীর মনানয়নপত্র প্রত্যাহার

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ দিন চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের জাকের পার্টির প্রার্থী মোহাম্মদ সালাম উদ্দিন তার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিয়ছেন। শেষ পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গা-১ আসন থেকে ৬ জন ও চুয়াডাঙ্গা-২ আসন থেকে ৭ জন প্রাথীসহ ১৩ জন প্রার্থী ভোট যুদ্ধে থাকছেন মাঠে।

আজ রবিবার বিকেলে রিটার্নিং অফিসার ও চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক ড.কিসিঞ্জার চাকমা জানান, চুয়াডাঙ্গা -১ আসনে প্রার্থীরা হলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনােনীত প্রার্থী সোলোয়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন, জাতীয় পার্টির সোহরাব হোসেন এ্যাডভোকেট, ন্যাশনাল পিউপিলস পার্টির ইদ্রিস চৌধুরী, স্বতন্ত্র প্রার্থী দিলীপ কুমার আগরওয়ালা, এম.এ.রাজ্জাক খান ও এম.শহিদুর রহমান।

চুয়াডাঙ্গা-২ আসনে প্রার্থীরা হলেন, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী আলী আজগার টগর, জাতীয় পার্টির রবিউল ইসলাম, ন্যাশনাল পিউপিলস পার্টির ইদ্রিস চৌধুরী, জাসদ (ইনু) দেওয়ান মোঃ ইয়াছিন উল্লাহ, জাকের পার্টির আব্দুল লতিফ খান,স্বতন্ত্র প্রার্থী মোঃ আবু হাশেম রেজা ও আপিল শুনানীর মাধ্যমে প্রার্থীতা পদ ফিরে পাওয়া স্বতন্ত্র প্রার্থী মোঃ নূর হাকিম।




আগাম বুকিংয়ে শাহরুখকে পেছনে ফেললেন প্রভাস

দীর্ঘ সাড়ে চার বছর পর পর্দায় ফিরেই নিজের সিংহাসন দখলে নিয়েছেন বলিউড বাদশাহ শাহরুখ খান। পাঠান ও জাওয়ানের পর এবার অপেক্ষা করছে ডাঙ্কি। আগামী ২১ ডিসেম্বর মুক্তি পাচ্ছে কিং খান অভিনীত নতুন সিনেমা ডাঙ্কি। ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে এই সিনেমার অ্যাডভান্স বুকিং। আর সেই খবর নিজেই জানিয়েছেন শাহরুখ খান। তবে অগ্রিম বুকিংয়ে এগিয়ে আছে একই সময়ে মুক্তির অপেক্ষায় থাকা প্রভাসের ‘সালার’। বক্স অফিসে যে এই দুটি সিনেমার টক্কর ভালোই জমবে সেটা স্পষ্ট।

শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) থেকে শুরু হয়ে গিয়েছে ডাঙ্কি ছবির অ্যাডভান্স বুকিং। এদিন শাহরুখ খান সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি পোস্ট করে লেখেন, ‘আজকের তাজা খবর শোনার জন্য হার্ডি বেরিয়ে পড়েছে সিনেমা হলের উদ্দেশ্যে। আপনিও তৈরি হয়ে নিন।’

তিনি এদিন তার পোস্টে আরও লেখেন, ‘আমাদের অ্যাডভান্স বুকিং শুরু হয়ে গিয়েছে। এখনই আপনার টিকিট বুক করে নিন।’

এই ছবির অ্যাডভান্স বুকিং খুলে যাওয়া মাত্রই দ্রুত ভর্তি হয়ে যাচ্ছে আসন সংখ্যা। জাওয়ানের মতো অত ভোরবেলার শো না থাকলেও, সকাল সাতটা থেকেই ২১ ডিসেম্বর দেখা যাবে শাহরুখ ম্যাজিক।

জানা যায়, এখনও পর্যন্ত ডাঙ্কির ৩৩৭৭০ টি টিকিট বিক্রি হয়েছে। সচনিল্কের রিপোর্ট অনুযায়ী এখনও পর্যন্ত শাহরুখের ছবি এখনও পর্যন্ত ১.২৪ কোটি টাকা আয় করেছে অ্যাডভান্স বুকিং থেকে যা সালারের থেকে কম। সালার ইতিমধ্যেই এক কোটির গণ্ডি টপকে গিয়েছে।

রাজকুমার হিরানি পরিচালিত ‘ডাঙ্কিতে’ শাহরুখ খান ছাড়াও তাপসী পান্নু, ভিকি কৌশল, বোমান ইরানিসহ আরও অনেকের দেখা মিলবে।

সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস




ইনস্টাগ্রামে ‘অ্যাড ইয়োরস’

ইনস্টাগ্রামে সম্প্রতি ‘অ্যাড ইয়োরস’ নামে একটি নতুন ফিচার চালু করেছে। নতুন এই ফিচারের মাধ্যমে জিআইএফ, ছবি আর টেক্সট এমনকি মিম বানানোর মতো স্টোরিও এখন বানানো যাবে।

নিজের এই টেমপ্লেট বানানোর জন্য প্রথমে স্টোরি আপলোড করার অপশনে যেতে হবে। তারপর জিআইএফ বা কাস্টম টেক্সট অপশনে ক্লিক করতে হবে। চাইলে গ্যালারি থেকে ছবিও যুক্ত করতে পারেন। ‘অ্যাড ইয়োর টেমপ্লেটস’ নামক অপশনের মাধ্যমে আপনি যে উপাদান পিন করতে চান তা নির্বাচন করতে পারবেন।

নতুন এই ফিচারটি ইতোমধ্যে গোটা বিশ্বে রোলাউট হয়ে গেছে। ‘অ্যাড ইয়োর স্টিকার’ অপশনের মতোই এই ফিচারটিও অনেকের কাছে জনপ্রিয় হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছে ইনস্টাগ্রাম কর্তৃপক্ষ। ২০২১ সালে স্টিকার ফিচারের পর এবারও নতুন ফিচার যুক্ত হচ্ছে।

সূত্র: টেকক্রাঞ্চ




আলমডাঙ্গায় মাদক সেবনের দায়ে ২ যুবকের কারাদণ্ড

আলমডাঙ্গা উপজেলায় মাদক সেবনের দায়ে দুই যুবককে ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। আজ রবিবার সন্ধ্যায় উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক রেজওয়ানা নাহিদ এই সাজা দেন।

সাজা পাওয়া যুবকেরা হলেন উপজলার গোবিন্দপুর মন্ডলপাড়ার মৃত শমসের আলীর ছেলে মো. এমদাদুল হক (২৭) ও এরশাদপুর গ্রামের গোরস্থান পাড়ার মোহাম্মদের ছেলে মো. হাবিবুর রহমান বাবুল (২৯)।

সহকারী কমিশনার (ভূমি) রেজওয়ানা নাহিদ বলেন, আজ রবিবার বিকেল সাড়ে ৪ টার দিকে উপজেলার বন্ডবিল এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযান চালানো হয়। অভিযানে মাদকদ্রব্য সেবনরত অবস্থায় ২ এ্যাম্পুল বুপ্রেনরফাইন ইঞ্জেকশনসহ হাতেনাতে এমদাদুল হককে আটক করা হয়। বুপ্রেনরফাইন ইঞ্জেকশন সেবনের দায়ে পৌর এলাকার গোবিন্দপুর মন্ডলপাড়া এলাকার মো. এমদাদুল হককে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ২০০ টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া মো. হাবিবুর রহমান বাবুলকে গাঁজা সেবনের দায়ে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ২০০ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও তিন দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অভিযানে সার্বিক সহযোগীতা করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের একটি দল।