শুরু হচ্ছে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা, মানতে হবে যেসব আচরণবিধি

আজ সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) রিটার্নিং কর্মকর্তাদের প্রতীক বরাদ্দ দেয়ার পর থেকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণায় পুরোদমে চালাতে পারবেন প্রার্থীরা। মিছিল ও শ্লোগান দিতে পারবেন। আগামী ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত ভোটের প্রচার চালাতে পারবেন তারা। সেই হিসাবে প্রচার-প্রচারণার জন্য ১৮ দিন সময় পাবেন প্রার্থীরা। তবে সব প্রার্থীকে নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে চলতে হবে।

গতকাল রোববার (১৭ ডিসেম্বর) সংসদ নির্বাচনে বৈধ প্রার্থীদের প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ছিল। এদিন ৩৪৭টি মনোনয়নপত্র আজকে প্রত্যাহার হয়েছে এবং স্থগিত রয়েছে ৫টি। এ নির্বাচনে ২৭টি রাজনৈতিক দলের বৈধ প্রার্থীর সংখ্যা ১৮৯৬।

জানা গেছে, আগামী ২০ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সিলেটের হযরত শাহজালাল (র.)-এর মাজার ও শাহ পরানের মাজার জিয়ারতের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হবে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা।

প্রচার-প্রচারণার ক্ষেত্রে মানতে হবে যেসব নিয়ম কানুন

সংসদ নির্বাচনে কী করা যাবে, কী করা যাবে না তা নিয়ে আগে থেকে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে ইসি। সংস্থাটির ওয়েবসাইটে সংসদ নির্বাচন আইনের ১০ নং ক্রমিকে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তিতে নির্বাচনী বিধিনিষেধ সম্পর্কে যা যা বলা হয়েছে।

সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, নির্বাচনী প্রচারণার ক্ষেত্রে প্রত্যেক নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল কিংবা তার মনোনীত প্রার্থী বা স্বতন্ত্র প্রার্থী কিংবা তাদের পক্ষে অন্য ব্যক্তিকে বিধি ৬ হতে বিধি ১৪ এর বিধানাবলী অনুসরণ করিতে হইবে। এই বিধিগুলোতে যেসব বিষয়ে বলা হয়েছে তার কয়েকটি ধারা তুলে ধরা হলো—

সভা-সমিতি সংক্রান্ত বিধিনিষেধ

(ক) নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল কিংবা তার মনোনীত প্রার্থী বা স্বতন্ত্র প্রার্থী কিংবা তাহাদের পক্ষে অন্য কোন ব্যক্তি প্রচারণার ক্ষেত্রে সমান অধিকার পাইবে। তবে প্রতিপক্ষের সভা, শোভাযাত্রা এবং অন্যান্য প্রচারাভিযান পণ্ড বা উহাতে বাধা প্রদান করিতে পারিবে না;

(খ) সভার দিন, সময় ও স্থান সম্পর্কে যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট হইতে লিখিত অনুমতি গ্রহণ করিবে। তবে এইরূপ অনুমতি লিখিত আবেদন প্রাপ্তির সময়ের ক্রমানুসারে প্রদান করিতে হইবে।

(গ) সভা করিতে চাহিলে প্রস্তাবিত সভার কমপক্ষে ২৪ ঘণ্টা পূর্বে তাহার স্থান এবং সময় সম্পর্কে স্থানীয় পুলিশ কর্তৃপক্ষকে অবহিত করিতে হইবে, যাহাতে ওই স্থানে চলাচল ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য পুলিশ প্রশাসন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারে;

(ঘ) জনগণের চলাচলের বিঘ্ন সৃষ্টি করিতে পারে এমন কোনো সড়কে জনসভা কিংবা পথ সভা করিতে পারিবে না এবং তাহাদের পক্ষে অন্য কোন ব্যক্তিও অনুরূপভাবে জনসভা বা পথসভা ইত্যাদি করিতে পারিবে না;

(ঙ) কোনো সভা অনুষ্ঠানে বাধাদানকারী বা অন্য কোনোভাবে গোলযোগ সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সভার আয়োজকরা পুলিশের শরণাপন্ন হইবেন এবং এই ধরনের ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে তাহারা নিজেরা ব্যবস্থা গ্রহণ করিতে পারিবেন না।

পোস্টার, লিফলেট বা হ্যান্ডবিল ব্যবহার সংক্রান্ত বিধিনিষেধ

কোন প্রার্থী কিংবা তাহার পক্ষে অন্য কোন ব্যক্তি নিম্নে উল্লিখিত স্থান বা যানবাহনে কোনো প্রকার পোস্টার, লিফলেট বা হ্যান্ডবিল লাগাইতে পারিবেন না। যথা⎯ সিটি কর্পোরেশন এবং পৌর এলাকায় অবস্থিত দালান, দেওয়াল, গাছ, বেড়া, বিদ্যুৎ ও টেলিফোনের খুঁটি বা অন্য কোন দণ্ডায়মান বস্তুতে; সমগ্র দেশে অবস্থিত সরকারি বা স্থানীয় কর্তৃপক্ষের স্থাপনাসমূহে; এবং বাস, ট্রাক, ট্রেন, স্টিমার, লঞ্চ, রিকশা কিংবা অন্য কোন প্রকার যানবাহনে : তবে শর্ত থাকে যে, দেশের যে কোন স্থানে পোস্টার, লিফলেট বা হ্যান্ডবিল ঝুলাইতে বা টাঙ্গাতে পারিবে।

এ ছাড়া কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর পোস্টার, লিফলেট, হ্যান্ডবিল ইত্যাদির উপর অন্য কোন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর পোস্টার, লিফলেট, হ্যান্ডবিল ইত্যাদি লাগানো যাইবে না এবং উক্ত পোস্টার, লিফলেট ও হ্যান্ডবিল ইত্যাদির কোন প্রকার ক্ষতিসাধন তথা বিকৃতি বা বিনষ্ট করা যাইবে না।

কোন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচারণায় ব্যবহৃতব্য পোস্টার সাদা-কালো রঙের হইতে হইবে এবং উহার আয়তন ২৩″ / ১৮″ এর অধিক হইতে পারিবে না এবং প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী পোস্টারে তাহার প্রতীক ও নিজের ছবি ব্যতীত অন্য কোন ব্যক্তির ছবি বা প্রতীক ছাপাইতে পারিবে না। তবে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী কোনো নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের মনোনীত হইলে সেক্ষেত্রে তিনি কেবল তাহার বর্তমান দলীয় প্রধানের ছবি পোস্টারে ছাপাইতে পারিবে।

যেমন- উল্লিখিত ছবি সাধারণ ছবি হইতে হইবে এবং কোনো অনুষ্ঠান, মিছিলে নেতৃত্বদান, প্রার্থনারত অবস্থা ইত্যাদি ভঙ্গিমায় ছবি কোনো অবস্থাতেই ছাপানো যাইবে না। নির্বাচনী প্রচারণায় ব্যবহৃতব্য সাধারণ ছবির আয়তন ২৩″ / ১৮″ এর অধিক হইতে পারিবে না। কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর নির্বাচনী প্রতীকের সাইজ, দৈর্ঘ্য, প্রস্থ বা উচ্চতা তিন মিটারের অধিক হইতে পারিবে না।

যানবাহন ব্যবহার সংক্রান্ত বিধিনিষেধ

(ক) কোন নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল কিংবা উহার মনোনীত প্রার্থী বা স্বতন্ত্র প্রার্থী কিংবা তাহাদের পক্ষে অন্য কোন ব্যক্তি কোন ট্রাক, বাস, মোটরসাইকেল, নৌযান, ট্রেন কিংবা অন্য কোন যান্ত্রিক যানবাহন সহকারে মিছিল কিংবা মশাল মিছিল বাহির করিতে পারিবে না কিংবা কোনরূপ শোডাউন করিতে পারিবে না;

(খ) নির্বাচনী প্রচারকার্যে হেলিকপ্টার বা অন্য কোনো আকাশযান ব্যবহার করা যাইবে না। তবে দলীয় প্রধানের যাতায়াতের জন্য উহা ব্যবহার করিতে পারিবে কিন্তু যাতায়াতের সময় হেলিকপ্টার হইতে লিফলেট, ব্যানার বা অন্য কোন প্রচার সামগ্রী প্রদর্শন বা বিতরণ করিতে পারিবে না;

দেয়াল লিখন সংক্রান্ত বিধিনিষেধ

(ক) কোনো নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল কিংবা উহার মনোনীত প্রার্থী বা স্বতন্ত্র প্রার্থী কিংবা তাহাদের পক্ষে অন্য কোন ব্যক্তি দেওয়ালে লিখিয়া কোন প্রকার নির্বাচনী প্রচারণা চালাইতে পারিবেন না; এবং

(খ) কালি বা রং দ্বারা বা অন্য কোনোভাবে দেওয়াল ছাড়াও কোনো দালান, থাম, বাড়ি বা ঘরের ছাদ, সেতু, সড়ক দ্বীপ, রোড ডিভাইডার, যানবাহন বা অন্য কোন স্থাপনায় প্রচারণামূলক কোন লিখন বা অঙ্কন করিতে পারিবেন না।

গেইট বা তোরণ নির্মাণ, প্যান্ডেল বা ক্যাম্প স্থাপন ও আলোকসজ্জাকরণ সংক্রান্ত বিধিনিষেধ

(ক) কোন নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল কিংবা উহার মনোনীত প্রার্থী বা স্বতন্ত্র প্রার্থী কিংবা তাহাদের পক্ষে অন্য কোন ব্যক্তি নির্বাচনী প্রচারণায় কোন গেইট বা তোরণ নির্মাণ করিতে পারিবেন না কিংবা চলাচলের পথে কোন প্রকার প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করিতে পারিবেন না;

(খ) নির্বাচনী প্রচারণার জন্য ৪০০ (চারশত) বর্গফুট এর অধিক স্থান লইয়া কোন প্যান্ডেল তৈরি করিতে পারিবেন না;

(গ) নির্বাচনী প্রচারণার অংশ হিসাবে বিদ্যুতের সাহায্যে কোন প্রকার আলোকসজ্জা করিতে পারিবেন না;

(ঘ) কোন সড়ক কিংবা জনগণের চলাচল ও সাধারণ ব্যবহারের জন্য নির্ধারিত স্থানে নির্বাচনী ক্যাম্প স্থাপন করিতে পারিবেন না; একজন প্রার্থী দলীয় ও সহযোগী সংগঠনের কার্যালয় নির্বিশেষে প্রতিটি ইউনিয়নে সর্বোচ্চ একটি এবং প্রতিটি পৌরসভা বা সিটি কর্পোরেশন এলাকার প্রতি ওয়ার্ডে একটির অধিক নির্বাচনী ক্যাম্প স্থাপন করিতে পারিবেন না;

(ঙ) নির্বাচনী প্রচারণার জন্য প্রার্থীর ছবি বা প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণামূলক কোন বক্তব্য বা কোন শার্ট, জ্যাকেট, ফতুয়া ইত্যাদি ব্যবহার করিতে পারিবেন না; এবং

(চ) নির্বাচনী ক্যাম্পে ভোটারগণকে কোনরূপ কোমল পানীয় বা খাদ্য পরিবেশন বা কোনরূপ উপঢৌকন প্রদান করিতে পারিবেন না।

উসকানিমূলক বক্তব্য বা বিবৃতি প্রদান, উচ্ছৃঙ্খল আচরণ এবং বিস্ফোরক বহন সংক্রান্ত বিধিনিষেধ

(ক) কোন নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল কিংবা উহার মনোনীত প্রার্থী বা স্বতন্ত্র প্রার্থী কিংবা তাহাদের পক্ষে অন্য কোন ব্যক্তি নির্বাচনী প্রচারণাকালে ব্যক্তিগত চরিত্র হনন করিয়া বক্তব্য প্রদান বা কোন ধরনের তিক্ত বা উসকানিমূলক কিংবা লিঙ্গ, সাম্প্রদায়িকতা বা ধর্মানুভূতিতে আঘাত লাগে এমন কোন বক্তব্য প্রদান করিতে পারিবেন না;

(খ) মসজিদ, মন্দির, গির্জা বা অন্য কোন ধর্মীয় উপাসনালয়ে কোন প্রকার নির্বাচনী প্রচারণা চালাইতে পারিবেন না;

(গ) নির্বাচন উপলক্ষ্যে কোন নাগরিকের জমি, ভবন বা অন্য কোন স্থাবর বা অস্থাবর সম্পত্তির কোনরূপ ক্ষতিসাধন করা যাইবে না এবং অনভিপ্রেত গোলযোগ ও উচ্ছৃঙ্খল আচরণ দ্বারা কাহারও শান্তি ভঙ্গ করিতে পারিবেন না;

মাইক ব্যবহার সংক্রান্ত বিধিনিষেধ

কোন নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল কিংবা উহার মনোনীত প্রার্থী বা স্বতন্ত্র প্রার্থী কিংবা তাহাদের পক্ষে অন্য কোন ব্যক্তি কোন নির্বাচনী এলাকায় মাইক বা শব্দের মাত্রা বর্ধনকারী অন্যবিধ যন্ত্রের ব্যবহার দুপুর ২ (দুই) ঘটিকা হইতে রাত ৮ (আট) ঘটিকার মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখিবেন।

সরকারি সুবিধা নিয়ে প্রচারণা সংক্রান্ত বিধিনিষেধ

নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর নির্বাচনী এলাকায়, সংশ্লিষ্ট জেলায় বা অন্য কোথাও কোন নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল কিংবা উহার মনোনীত প্রার্থী বা স্বতন্ত্র প্রার্থী কিংবা তাহাদের পক্ষে অন্য কোন ব্যক্তি নির্বাচনী কাজে সরকারি প্রচার যন্ত্রের ব্যবহার, সরকারি কর্মকর্তা বা কর্মচারীগণকে ব্যবহার বা সরকারি যানবাহন ব্যবহার করিতে পারিবেন না এবং রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধা ভোগ বা ব্যবহার করিতে পারিবেন না।

এ ছাড়া আরেক বিজ্ঞপ্তিতে ইসি জানিয়েছে, অর্থ, অস্ত্র, পেশিশক্তি , স্থানীয় প্রভাব বা সরকারি ক্ষমতার দ্বারা নির্বাচন প্রভাবিত করা যাবে না। নির্বাচনী জনসভা বা মিছিলের দিন, সময় ও স্থান সম্পর্কে পূর্বেই স্থানীয় পুলিশ কর্তৃপক্ষকে অবহিত করতে হবে। জনগণের চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি করে কোনো সড়কে পুলিশ কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যতিরেকে জনসভা করা যাবে না। কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর পোস্টার, লিফলেট ও হ্যান্ডবিলের উপর অন্য কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর পোস্টার, লিফলেট ও হ্যান্ডবিল ইত্যাদি লাগানো যাবে না। সরকারি ডাকবাংলো, রেস্ট হাউস, সার্কিট হাউস বা কোনো সরকারি কার্যালয়কে কোনো প্রকার প্রচারের স্থান হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না।

এছাড়া, যে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর নির্বাচনী প্রচারণায় ব্যবহৃতব্য পোস্টার সাদা-কালো রঙের হতে হবে এবং এর আয়তন অনধিক ৬০ (ষাট) সেন্টিমিটার X ৪৫ (পঁয়তাল্লিশ) সেন্টিমিটার এবং ব্যানার সাদা-কালো রঙের ও আয়তন অনধিক ৩ (তিন) মিটার X ১ (এক) মিটার হতে হবে। নির্বাচনী এলাকায় মাইক বা শব্দের মাত্রা বর্ধনকারী অন্যবিধ যন্ত্রের ব্যবহার দুপুর দুইটা থেকে রাত ৮টার মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে হবে।

কোনো প্রার্থীর পক্ষে ট্রাক, বাস, মোটরসাইকেল কিংবা অন্য কোনো যানবাহন সহকারে মিছিল কিংবা মশাল মিছিল বের করা যাবে না। নির্বাচনী প্রচারণাকালে কোনো ধরনের তিক্ত, উসকানিমূলক এবং ধর্মানুভূতিতে আঘাত লাগে এমন কোন বক্তব্য প্রদান করা যাবে না। কোনো নাগরিকের জমি, ভবন বা অন্য কোনো স্থাবর বা অস্থাবর সম্পত্তির কোনরূপ ক্ষতিসাধন করা যাবে না।

এদিকে রোববার আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির (জাপা) জন্য ২৬টি এবং ১৪ দলীয় জোটের অন্য শরিকদের জন্য ৬টি সংসদীয় আসন ছেড়েছে আওয়ামী লীগ।

জাপার সঙ্গে সমঝোতা হওয়া আসনগুলো হলো- ঠাকুরগাঁও-৩, নীলফামারী-৩ ও ৪, রংপুর-১ ও ৩, কুড়িগ্রাম-১ ও ২, গাইবান্ধা-১ ও ২, বগুড়া-২ ও ৩, সাতক্ষীরা-২, পটুয়াখালী-১, বরিশাল-৩, পিরোজপুর-৩, ময়মনসিংহ-৫ ও ৮, কিশোরগঞ্জ-৩, মানিকগঞ্জ-১, ঢাকা-১৮, হবিগঞ্জ-১, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২, ফেনী-৩, চট্টগ্রাম-৫ ও ৮, নারায়ণগঞ্জ-৫ আসন। এই আসনগুলোতে দলীয় কোনো প্রার্থী দেবে না আওয়ামী লীগ।

অন্যদিকে ১৪ দলীয় জোটের অন্য শরিকদের সঙ্গে সমঝোতা হওয়া আসনগুলো হলো- বগুড়া ৪, রাজশাহী ২, কুষ্টিয়া ২, বরিশাল-২, পিরোজপুর-২ ও লক্ষ্মীপুর-৪। এসব আসনেও দলীয় প্রার্থী দেবে না আওয়ামী লীগ।

তফসিল অনুযায়ী, ৭ জানুয়ারি হবে ভোটগ্রহণ। ১৭ ডিসেম্বর নির্বাচনে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময়। চূড়ান্ত প্রার্থীদের মধ্যে ১৮ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দ করা হবে। প্রতীক নিয়েই প্রার্থীরা ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত ভোটের প্রচার চালাতে পারবনে।




চুয়াডাঙ্গায় হিমেল হাওয়ার সঙ্গে তীব্র শীত অনুভূত; তাপমাত্রা ১০.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস

চুয়াডাঙ্গায় আট দিন হিমেল হাওয়া প্রবাহিত হওয়ায় তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে। দিন দিন ক্রমাগত তাপমাত্রা কমতে থাকায় এ জেলায় শীতের মাত্রা বেড়েই চলছে।

চুয়াডাঙ্গা জেলায় আজ রবিবার (১৭ ডিসেম্বর) দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে ।

চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণীর আবহাওয়া পর্যবক্ষণাগারের পর্যবেক্ষক আলতাফ হোসন জানান, আজ রবিবার (১৭ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় চুয়াডাঙ্গা জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৮৬ শতাংশ। এদিন সকাল ৬টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস,বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৫ শতাংশ।

গত রবিবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ১৫ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস,বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৮ শতাংশ। ওই দিন সকাল ৯টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস,বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯২ শতাংশ। সোমবার (১১ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস,বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯১ শতাংশ। এদিন সকাল ৬টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, সে সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৭ শতাংশ। মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৩ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস,বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৫ শতাংশ। ওই দিন সকাল ৬টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৩ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস,বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৫ শতাংশ। কুয়াশার কারনে এদিন তাপমাত্রা ও বাতাসের আর্দ্রতা একই ছিল। বুধবার (১৩ ডিসম্বর) সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস,বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯১ শতাংশ। এদিন সকাল ৬টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস,বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৪ শতাংশ। বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসম্বর) সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১০ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস,বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৮৯ শতাংশ। এদিন সকাল ৬টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস,বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৫ শতাংশ। শুক্রবার (১৫ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় দেশর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস,বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯২ শতাংশ। এদিন সকাল ৬টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১০ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস,বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৭ শতাংশ। শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস,বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৮৬ শতাংশ। এদিন সকাল ৬টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস,বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৫ শতাংশ। তিনি আরও বলেন, ডিসেম্বর মাসের শেষ দিকে এ জেলার ওপর দিয়ে মাঝারি থেক তীব্র আকারের শৈত্য প্রবাহ বয়ে যেতে পারে।

চুয়াডাঙ্গায় হঠাৎ তাপমাত্রা কমে যাওয়ার কারনে দুর্ভোগ বেড়ে গেছে খেটে খাওয়া মানুষের।

আজ রবিবার সকালে রিক্সাভ্যান চালক বশির জানায়, তিনি প্রতিদিন ভোর ৪টার সময় জীবীকার তাগিদে তার নিজের রিক্সাভ্যান নিয়ে বেরিয়ে পড়েন। ক’দিন থেকে প্রচন্ড শীত পড়ায় তার রিক্সাভ্যান কোন ভাড়া হচ্ছেনা। সে কারনে সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।

শহরের শান্তিপাড়ার রিক্সাচালক খোকন অভিনব ভাষায় বলেন, শীত তোর খালা রিক্সায় কেউ চড়তে চাচ্চেনা। সে জন্য তিনি ভাড়া পাওয়া দৃরহ হচ্ছে। তাছাড়া শীত বেশী রিক্সা চালোনা যাচ্ছেনা।




চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের জাকের পার্টির প্রার্থীর মনানয়নপত্র প্রত্যাহার

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ দিন চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের জাকের পার্টির প্রার্থী মোহাম্মদ সালাম উদ্দিন তার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিয়ছেন। শেষ পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গা-১ আসন থেকে ৬ জন ও চুয়াডাঙ্গা-২ আসন থেকে ৭ জন প্রাথীসহ ১৩ জন প্রার্থী ভোট যুদ্ধে থাকছেন মাঠে।

আজ রবিবার বিকেলে রিটার্নিং অফিসার ও চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক ড.কিসিঞ্জার চাকমা জানান, চুয়াডাঙ্গা -১ আসনে প্রার্থীরা হলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনােনীত প্রার্থী সোলোয়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন, জাতীয় পার্টির সোহরাব হোসেন এ্যাডভোকেট, ন্যাশনাল পিউপিলস পার্টির ইদ্রিস চৌধুরী, স্বতন্ত্র প্রার্থী দিলীপ কুমার আগরওয়ালা, এম.এ.রাজ্জাক খান ও এম.শহিদুর রহমান।

চুয়াডাঙ্গা-২ আসনে প্রার্থীরা হলেন, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী আলী আজগার টগর, জাতীয় পার্টির রবিউল ইসলাম, ন্যাশনাল পিউপিলস পার্টির ইদ্রিস চৌধুরী, জাসদ (ইনু) দেওয়ান মোঃ ইয়াছিন উল্লাহ, জাকের পার্টির আব্দুল লতিফ খান,স্বতন্ত্র প্রার্থী মোঃ আবু হাশেম রেজা ও আপিল শুনানীর মাধ্যমে প্রার্থীতা পদ ফিরে পাওয়া স্বতন্ত্র প্রার্থী মোঃ নূর হাকিম।




আগাম বুকিংয়ে শাহরুখকে পেছনে ফেললেন প্রভাস

দীর্ঘ সাড়ে চার বছর পর পর্দায় ফিরেই নিজের সিংহাসন দখলে নিয়েছেন বলিউড বাদশাহ শাহরুখ খান। পাঠান ও জাওয়ানের পর এবার অপেক্ষা করছে ডাঙ্কি। আগামী ২১ ডিসেম্বর মুক্তি পাচ্ছে কিং খান অভিনীত নতুন সিনেমা ডাঙ্কি। ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে এই সিনেমার অ্যাডভান্স বুকিং। আর সেই খবর নিজেই জানিয়েছেন শাহরুখ খান। তবে অগ্রিম বুকিংয়ে এগিয়ে আছে একই সময়ে মুক্তির অপেক্ষায় থাকা প্রভাসের ‘সালার’। বক্স অফিসে যে এই দুটি সিনেমার টক্কর ভালোই জমবে সেটা স্পষ্ট।

শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) থেকে শুরু হয়ে গিয়েছে ডাঙ্কি ছবির অ্যাডভান্স বুকিং। এদিন শাহরুখ খান সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি পোস্ট করে লেখেন, ‘আজকের তাজা খবর শোনার জন্য হার্ডি বেরিয়ে পড়েছে সিনেমা হলের উদ্দেশ্যে। আপনিও তৈরি হয়ে নিন।’

তিনি এদিন তার পোস্টে আরও লেখেন, ‘আমাদের অ্যাডভান্স বুকিং শুরু হয়ে গিয়েছে। এখনই আপনার টিকিট বুক করে নিন।’

এই ছবির অ্যাডভান্স বুকিং খুলে যাওয়া মাত্রই দ্রুত ভর্তি হয়ে যাচ্ছে আসন সংখ্যা। জাওয়ানের মতো অত ভোরবেলার শো না থাকলেও, সকাল সাতটা থেকেই ২১ ডিসেম্বর দেখা যাবে শাহরুখ ম্যাজিক।

জানা যায়, এখনও পর্যন্ত ডাঙ্কির ৩৩৭৭০ টি টিকিট বিক্রি হয়েছে। সচনিল্কের রিপোর্ট অনুযায়ী এখনও পর্যন্ত শাহরুখের ছবি এখনও পর্যন্ত ১.২৪ কোটি টাকা আয় করেছে অ্যাডভান্স বুকিং থেকে যা সালারের থেকে কম। সালার ইতিমধ্যেই এক কোটির গণ্ডি টপকে গিয়েছে।

রাজকুমার হিরানি পরিচালিত ‘ডাঙ্কিতে’ শাহরুখ খান ছাড়াও তাপসী পান্নু, ভিকি কৌশল, বোমান ইরানিসহ আরও অনেকের দেখা মিলবে।

সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস




ইনস্টাগ্রামে ‘অ্যাড ইয়োরস’

ইনস্টাগ্রামে সম্প্রতি ‘অ্যাড ইয়োরস’ নামে একটি নতুন ফিচার চালু করেছে। নতুন এই ফিচারের মাধ্যমে জিআইএফ, ছবি আর টেক্সট এমনকি মিম বানানোর মতো স্টোরিও এখন বানানো যাবে।

নিজের এই টেমপ্লেট বানানোর জন্য প্রথমে স্টোরি আপলোড করার অপশনে যেতে হবে। তারপর জিআইএফ বা কাস্টম টেক্সট অপশনে ক্লিক করতে হবে। চাইলে গ্যালারি থেকে ছবিও যুক্ত করতে পারেন। ‘অ্যাড ইয়োর টেমপ্লেটস’ নামক অপশনের মাধ্যমে আপনি যে উপাদান পিন করতে চান তা নির্বাচন করতে পারবেন।

নতুন এই ফিচারটি ইতোমধ্যে গোটা বিশ্বে রোলাউট হয়ে গেছে। ‘অ্যাড ইয়োর স্টিকার’ অপশনের মতোই এই ফিচারটিও অনেকের কাছে জনপ্রিয় হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছে ইনস্টাগ্রাম কর্তৃপক্ষ। ২০২১ সালে স্টিকার ফিচারের পর এবারও নতুন ফিচার যুক্ত হচ্ছে।

সূত্র: টেকক্রাঞ্চ




আলমডাঙ্গায় মাদক সেবনের দায়ে ২ যুবকের কারাদণ্ড

আলমডাঙ্গা উপজেলায় মাদক সেবনের দায়ে দুই যুবককে ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। আজ রবিবার সন্ধ্যায় উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক রেজওয়ানা নাহিদ এই সাজা দেন।

সাজা পাওয়া যুবকেরা হলেন উপজলার গোবিন্দপুর মন্ডলপাড়ার মৃত শমসের আলীর ছেলে মো. এমদাদুল হক (২৭) ও এরশাদপুর গ্রামের গোরস্থান পাড়ার মোহাম্মদের ছেলে মো. হাবিবুর রহমান বাবুল (২৯)।

সহকারী কমিশনার (ভূমি) রেজওয়ানা নাহিদ বলেন, আজ রবিবার বিকেল সাড়ে ৪ টার দিকে উপজেলার বন্ডবিল এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযান চালানো হয়। অভিযানে মাদকদ্রব্য সেবনরত অবস্থায় ২ এ্যাম্পুল বুপ্রেনরফাইন ইঞ্জেকশনসহ হাতেনাতে এমদাদুল হককে আটক করা হয়। বুপ্রেনরফাইন ইঞ্জেকশন সেবনের দায়ে পৌর এলাকার গোবিন্দপুর মন্ডলপাড়া এলাকার মো. এমদাদুল হককে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ২০০ টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া মো. হাবিবুর রহমান বাবুলকে গাঁজা সেবনের দায়ে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও ২০০ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও তিন দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অভিযানে সার্বিক সহযোগীতা করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের একটি দল।




দামুড়হুদায় অবৈধ ভাবে মাটি কাটায় ৬০ হাজার টাকা জরিমানা

দামুড়হুদা উপজেলার হাউলী ইউনিয়নের তারিনিপুর গ্রামে অবৈধ ভাবে ফসিল জমির মাটি কাটায় ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করেন দামুড়হুদা উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি সজল কুমার দাস। আজ রোববার সকাল ১০ টার দিকে।

জানাগেছে, দামুড়হুদা উপজেলার তারিনিপুর মাঠে অবৈধ ভাবে ফসলি জমির মাটি কেটে বিভিন্ন স্থানে বিক্রি হচ্ছে। এমন সংবাদ পেয়ে দামুড়হুদা উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি সজল কুমার দাস সরজমিনে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে ঘটনার সত্যতা মেলে।

এসময় ঘটনার সাথে জড়িত দুই জন ট্রাক্টর চালকে আটক করে বালু মহল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০ অনুসারে দুই জনকে ৬০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। সেইসাথে অদূর ভবিষ্যতে ফসলি জমির মাটি কাটলে কঠিন আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে হুশিয়ারী দেন।

এসময় দামুড়হুদা উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি সজল কুমার দাস বলেন, জনস্বার্থে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।




দামুড়হুদাতে ভৈরব নদী থেকে অবৈধ ভাবে ড্রেজার দিয়ে বালি উত্তোলন

দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা ভৈরব নদী থেকে ড্রেজার মেশিন ভিড়িয়ে বালি উত্তোলন করছিলো কার্পাসডাঙ্গা গ্রামের মৃত আলী খাবলির ছেলে জাব্বার খাবলী,হুদা পাড়ার নাজমুল হাসান গেগার ও কার্পাসডাঙ্গা ভূমিহীনপাড়ার লাবু। বিষয়টি নিয়ে মাস খানেক পূর্বে স্থানীয় ও জাতীয় পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হলে নড়েচড়ে বসে উপজেলা প্রশাসন।

দামুড়হুদা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি)সজল কুমার দাসের নেতৃত্বে বালি উত্তোলনের ড্রেজার মেশিন জব্দ করে তা ইউনিয়ন পরিষদে রাখা হয় ও উত্তোলন কৃত বালি জব্দ করা হয়।

আজ রোববার সকাল ১২ টার দিকে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর দামুড়হুদা উপজেলা প্রকৌশলী মো:আব্দুর রশিদ নিলাম পক্রিয়ার প্রধান হয়ে ১০ টি প্লাস্টিক ড্রাম,২ টি ইউপিভিসি পাইপ,২ টি ফ্লাক্সিবেল পাইপ,২ টি ডিজেল স্টার্ট,২ টি চায়না শ্যালো মেশিন ও ৮৬৮৭.৬০ সিএফটি বালির নিলাম ডাকার পক্রিয়া শুরু হয়।নিলামে অংশ গ্রহনের পূর্বে ডাকে অংশগ্রহনকারীরা সহ স্থানীয় অনেকে নিলাম কমিটিকে অবহিত করে ভৈরবনদীতে জব্দকৃত ৩ টি স্তুপের বালির পরিমান আনুমানিক প্রায় ২ হাজার গাড়ি।অথচ সেখানে যে পরিমান বালি দেখানো হয়েছে তা মাত্র ৭০ গাড়ি হবে। নিলামে সঠিক তথ্য গোপন করে ও বালির মাপ একেবারে কম দেখিয়ে পুকুর চুরির ঘটনা ঘটছে।

নিলাম কমিটি সহ এর সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে প্রকাশ্য মানববন্ধন হবে এমন হট্টগোল শুরু হলে নিলাম কমিটি কিছুক্ষন সময় চেয়ে বিষয়টা জেনে তারপর নিলাম পক্রিয়া শুরু হবে বলে জানান। কিছুক্ষন পর উপজেলা প্রকৌশলী ও নিলাম কমিটি প্রধান মো:আব্দুর রশিদ বলেন আমরা পুনরায় সরেজমিন যাচাই বাছাই করে তারপর লোকেশন ঠিক করে আবারো প্রকাশ্য নিলামের তারিখ জানানো হবে।এসময় তিনি আরো জানান আগামীতে যখন প্রকাশ্য যখন নিলাম ডাকা হবে তখন নোটিশ করা হবে ও মাইকিং এর ব্যাবস্থা করা হবে।

স্থানীয় এলাকাবাসী সহ সচেতন মহলের জোর দাবী বালি উত্তোলনের সাথে জড়িতরা যাতে প্রকাশ্য নিলামে অংশ গ্রহন করতে না পারে ও বালির সঠিক মাপের মাধ্যমে স্বচ্ছ পত্রিকায় প্রকাশ্য নিলাম অনুষ্ঠিত হয় তার সুব্যাবস্থা করতে দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোকসানা মিতা’র আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছে এলাকাবাসী সহ সচেতন মহল।

প্রকাশ্য নিলামে কোন ধরনের মিথ্যা তথ্যা বা সঠিক চিত্র তুলে ধরা না হলে এলাকায় মানববন্ধন সহ বিক্ষোভ মিছিলের ঘোষনা দেন এলাকাবাসী।




দর্শনা সীমান্তে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ, বিএসএফের গুলিতে নিহত ২ 

চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনা বাড়াদী কামাপাড়া সীমান্তে ভারতে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশের পর দু’বাংলাদেশী গরু চোরাকারবারীকে গুলি করে হত্যা করেছে বিএসএফ।

গতকাল শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) দিনগত রাতে এ হত্যাকান্ডটি ঘটেছে বলে বিজিবি ব্যাটালিয়নের পক্ষ থেকে জানানো হয়।

পারকৃষ্ণপুর মদনা-ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এস.এম. জাকারিয়া আলম জানান, বিএসএফের গুলিতে নিহত ছয়ঘরিয়া গ্রামের হায়দার আলীর ছেলে সাইদুল (২৫) ও একই গ্রামের শরিয়তউল্লার ছেলে খাজা মঈনুদ্দিনসহ (৩২) ৫জন গত শনিবার সন্ধ্যার পর ভারতে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ করে গরু আনতে গিয়েছিল।

বারাদী বিওপির সীমান্ত খুঁটি ৮২/২-এস হতে ভারতের অভ্যন্তরে আনুমানিক ৩০০ গজ কলাবাগান নামক স্থানে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশ করলে তাদের মুখোমুখী হয় ৩২ বিএসএফ গোবিন্দপুর ক্যাম্পের বিএসএফের একটি দলের। সে সময় বিএসএফ তাদের লক্ষ করে গুলি ছুঁড়লে ঘটনাস্থলেই দুজন নিহত হয়। গতকাল রবিবার সকালে ভারতের গোবিন্দপুর ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্যরা মরদেহ দুটি পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার কৃষ্ণগঞ্জ থানায় নিয়ে যায় বলে জানা যায়।

কৃষ্ণগঞ্জ থানার ওসি বাপিন মুর্খার্জী জানিয়েছেন, নিহত দু’বাংলাদেশীর মরদেহ নদীয়া জেলার কৃষ্ণনগরের শক্তিনগর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

এ ঘটনায় দর্শনা থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার ইনচার্জ ওসি বিপ্লব কুমার সাহা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।

চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের পরিচালক লে. কর্নেল সাঈদ মোহাম্মদ জাহিদুর রহমান বলেন, আমি ছুটিতে ঢাকায় আছি। তবে জেনেছি ওরা রাতে আঁধারে চোরাকারকারীর জন্য ভারতের অভ্যন্তরে গিয়েছিল। এ ঘটনায় পতাকা বৈঠকের আহবান জানানো হয়েছে। তারপর বিস্তারিত জানানো যাবে।




যুব এশিয়া কাপের নতুন চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ

যুব বিশ্বকাপ জিতলেও, এশিয়া কাপ জেতা হয়নি বাংলাদেশের। টুর্নামেন্টের ১০ম আসরে দ্বিতীয়বারের মতো ফাইনাল খেলছে বাংলাদেশ যুব দল। তবে এবার আর সুযোগ হাতছাড়া করলো না বাংলাদেশ। অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের ফাইনালে সংযুক্ত আরব আমিরাতকে ১৯৫ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে প্রথমবারের মতো শিরোপা জিতলো বাংলাদেশ।

রোববার (১৭ ডিসেম্বর) দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় সংযুক্ত আরব আমিরাত। জেওপেনার আশিকুর রহমান শিবলির সেঞ্চুরিতে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ২৮২ রান সংগ্রহ করেছে বাংলাদেশ। জবাবে মাত্র ৮৭ রানে গুটিয়ে যায় আরব আমিরাত।

এছাড়া ফিফটির দেখা পেয়েছেন মোহাম্মদ রিজওয়ান ও আরিফুল ইসলাম। শিবলি ১৪৯ বলে ১২৯, রিজওয়ান ৭১ বলে ৬০ ও আরিফুল ৪০ বলে ৫০ রান করেন। ২৮৩ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে টাইগার বোলারদের তোপের মুখে পড়ে আরব আমিরাতের ব্যাটাররা। মাত্র ৪৫ রানের মধ্যে ৫ ব্যাটারকে হারিয়ে চরম ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে আরব আমিরাত। সেই বিপর্যয়ে কাঁটিয়ে উঠতে ব্যর্থ হয় আরব আমিরাত। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে ২৪ ওভারে ৮৭ রানে অলআউট হয় তারা। ১৯৫ রানের বিশাল জয় শিরোপা জয়ের উল্লাসে মাতে টাইগার যুবারা।

এর আগে ২০১৯ সালে প্রথমবার ফাইনালে উঠে ভারতের বিপক্ষে হেরে রানার্সআপ হয় আকবর আলীর নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ। যুব এশিয়া কাপের গত ৯ আসরের মধ্যে এককভাবে সাতবারের চ্যাম্পিয়ন ভারত। একবার শিরোপা জিতে আফগানিস্তান। ২০১২ সালে টুর্নামেন্টের তৃতীয় আসরে ফাইনাল ম্যাচটি টাই হওয়ায় ভারত-পাকিস্তানকে যৌথ চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করা হয়।