চুয়াডাঙ্গার দর্শনা কেরু এ্যান্ড কোম্পানী চিনিকলের এ মৌসুমে আখ মাড়াই উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) বিকাল সাড়ে ৪টায় দেশের সবচেয়ে বড় চিনিকল কমপ্লেক্সের ডোঙায় আখ ফেলে মাড়াই মৌসুমের উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করর্পোরেশনের চেয়ারম্যান শেখ শোয়েবুল আলম এনডিসি।
মাড়াই মৌসুমের উদ্বোধন উপলক্ষে দর্শনা কেরু এ্যান্ড কোম্পানী চিনিকল কমপ্লেক্সের আয়োজনে কেইন কেরিয়ার প্রাঙ্গনে বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশনের সচিব চৌধুরী রুহুল আমিন কায়সারের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই স্বাগত বক্তব্য রাখেন কেরু এ্যান্ড কোম্পানী কমপ্লেক্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন। কেরু জামে মসজিদের পেশ ইমাম সামসুজোহা দোয়া পরিচালনা করেন।
এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশনের পরিচালক (উৎপাদন ও প্রকৌশল) আতাউর রহমান খান, চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক ড.কিসিঞ্জার চাকমা, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান মঞ্জু, পুলিশ সুপার আর.এম.ফয়জুর রহমান, দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রোখসানা মিতা, দামুড়হুদা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সজল কুমার দাস, কেরু চিনিকল কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি ফিরোজ আহম্মেদ সবুজ ও সাধারণ সম্পাদক মাসুদুর রহমান মাসুদ,সাবেক সভাপতি তৈয়ব আলী,সাবেক সাধারন সম্পাদক মনিরুল ইসলাম পিন্স, এবং আখচাষী কল্যান সংস্থার সভাপতি আব্দুর হান্নান, আব্দুল বারি।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন,সহ-সভাপতি মফিজুল ইসলাম, সহ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক ইকবাল হোসেন।
অনুষ্ঠানে সর্বোচ্চ আখ উৎপাদনকারী আমচাষী শামীম হোসেনকে পুরস্কৃত করার পর দোয়া মাহফিলের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শেষে হয়।
চিনিকল কর্তৃপক্ষের তথ্য মতে, ২০২৩-২৪ চলতি মৌসুমে কেরু এ্যান্ড কোম্পানীর নিজস্ব জমিতে দণ্ডায়মান আখ আছে ১ হাজার ১৫৩ একর এবং সাধারন চাষীদের রয়েছে ২ হাজার ৬৪৯ একর আখ। এ ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে ৫০ থেকে ৫৫ মাড়াই কার্য দিবসে ৬৫ হাজার মেট্রিক টন আখ মাড়াই করে ৪ হাজার মেট্রিকটন চিনি উৎপাদনের লক্ষমাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে। চিনি আহরণ ৬ দশমিক ২০ ভাগ হবে বলে ধারনা করা হচ্ছে। ১৯৩৮ সালে প্রতিষ্ঠিত একমাত্র অর্থনৈতিক চালিকাশক্তি চুয়াডাঙ্গার দর্শনা কেরু অ্যান্ড কোম্পানী চিনিকল কমপ্লেক্স একটি ভারী শিল্প প্রতিষ্ঠান। এটি বাংলাদেশের বৃহত্তম চিনি কল। তবে উপজাত হিসেবে এই কারখানা থেকে মদ উৎপাদিত হয়ে থাকে। সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানটি সর্বোচ্চ মদ বিক্রির রেকর্ড করেছে। প্রতিষ্ঠানটির উৎপাদিত পণ্যগুলো হলো চিনি, মদ, জৈব সার, চিটাগুড় ও মণ্ড। এই শিল্প কমপ্লেক্স দীর্ঘদিন ধরে অব্যাহত লোকসান গুনে আসছিল। সরকারিভাবে চিনির মুল্য বৃদ্ধির কারণে কিছুটা ঘুরে দাঁড়িয়েছে। প্রায় ২২ কোটি টাকা ব্যয়ে সম্প্রতি নতুন নতুন যন্ত্রপাতি সংযোজন করে মিলটিতে আধুনিকায়নের কাজ চলছে। লোকসান কমানোর জন্য নেওয়া হয়েছে নানা মুখী পদক্ষেপ।
এ অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেন কেরু এ্যান্ড কোম্পানীর জি এম কুষি আশরাফুল আলম ভৃইয়া।