এই শীতে চুলের বাড়তি যত্ন নিন

প্রকৃতিকে শীতের আমেজ ছুঁই ছুঁই। নানারকম মিষ্টি পিঠা, নতুন শীতের জামা, লেপ কম্বলের প্রস্তুতি সে এক অন্যরকম আমেজ চলছে ঘরে ঘরে। কিন্তু এতসব সুখের মধ্যে ত্বক কিন্তু শুকিয়ে চৌচির হতে চলেছে। বাইরে বেরুলেই ঠোঁট জানান দেয় শীত এবার এসেই গেছে।

তাই তোড়জোড় করে অনেকেই শুরু করেছেন ত্বকের প্রসাধনীর জোগাড়যত্ন। তবে চুলের কথা ভুলে গেলেন কী? শীতে কিন্তু চুলেরও চাই বাড়তি যত্ন। শীতে চুলের অসুবিধাগুলো তেমন একটা জানান না দিলেও নিয়মিত যত্ন না নিলে কিন্তু চুলের ভীষণ ক্ষতি হয়ে যায়। চলুন জেনে নেই শীতে চুলের যত্নের সহজ কিছু উপায়:

শীতে সাধারণত গোসলের নামে জ্বর উঠে যায়। কোনমতে গরম পানি দিয়ে ধুপধাপ গোসল সেরে বেরিয়ে পরেন অনেকেই। তবে গরম পানি দিয়ে কিন্তু চুল ধুয়ে ফেলবেন না। এতে চুলের ভীষণই ক্ষতি হয়। তাই চুল ধোওয়ার সময় স্বাভাবিক বা হালকা গরম পানি ব্যবহার করুন। এতে চুলের স্বাভাবিক জেল্লা বজায় থাকে।

শীত আসতেই চট করে চুলটা কেটে নিন। এমনিতেই শীতে লম্বা চুল সারাক্ষণ ভিজে থাকার যন্ত্রণা দুর তো হবেই সেইসাথে চুলের স্বাস্থ্যও থাকবে ভালো। চুল কাটা না হলে নিচের দিকের চুলগুলো পাতলা হয়ে রুক্ষ হয়ে যায়। এতে চুলের বাকি অংশ পর্যাপ্ত পরিমাণে পুষ্টি পায় না। তাই চুল দুর্বল হয়ে পড়ে যেতে শুরু করে। তাই শুরুতেই চুল কেটে নেওয়াই ভালো।

শীতে বাইরে বেরুলে চুল ঢেকে বের হওয়াই ভালো। এতে চুল নোংরা হবে কম সেই চুল থাকবে নরম ও সুন্দর। এছাড়া গোসল সেরেই ভিজে চুলে বেরিয়ে যাবেন না। শীতে চারপাশে দূষণ বেড়ে যায়। ভিজে চুলের ক্ষতি হয় দ্রুত। চাই চুল শুকিয়ে স্কার্ফে জড়িয়ে বের হলে চুল সুরক্ষিত থাকে।

চুল শুকাতে এ সময়ে হেয়ার ড্রায়ার ব্যবহার না করাই ভালো। চুল শুকিয়ে নিন স্বাভাবিক ভাবেই। এ সময়ে চুলে যাবতীয় যন্ত্রপাতি সংক্রান্ত প্রসাধন না করলেই চুলের সুস্বাস্থ্য বজায় থাকে।

অনেকেরই ঘন ঘন শ্যাম্পু করার প্রবণতা থেকে থাকে। এ সময়ে রোজ গোসলে শ্যাম্পু ব্যবহার না করাই ভালো। আর শ্যাম্পু করার আগে হালকা গরম তেল মালিশ করে নিন। চুল সুন্দর রাখতে তেল মালিশের জুড়ি নেই।

পুরো সপ্তাহে একটা দিন চুল কন্ডিশনিং করে নিন। এর জন্যে আহামরি কিছুই লাগবে না। একটা কলার অর্ধেকটা নিয়ে মধু দিয়ে চটকে নিন। এবারে এই প্যাক চুলে লাগিয়ে অপেক্ষা করুন ত্রিশ মিনিট। এরপর চুল পরিষ্কার করে নিন। এতেই চুল থাকবে সুন্দর ঝলমলে।

সূত্র: ইত্তেফাক




মুজিবনগরে পলাশীপাড়া সমাজ কল্যাণ সমিতির ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান

মুজিবনগরে দরিদ্র দূরীকরণের লক্ষ্যে দরিদ্র পরিবার সমূহের সম্পদ ও সক্ষমতা বৃদ্ধি (সমৃদ্ধি) কর্মসূচি ও প্রবীণ জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন কর্মসূচির আওতায় পলাশীপাড়া সমাজ কল্যাণ সমিতি(পিএসকেএস) আয়োজনে এবং পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) এর অর্থায়নে,ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ বুধবার সকালে উপজেলার ভবানীপুর ফুটবল খেলার মাঠে এই ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে পলাশীপাড়া সমাজ কল্যাণ সমিতি(পিএসকেএস) এর মোনাখালী ব্রাঞ্চের সমৃদ্ধি কর্মসূচি সমন্বয়কারী হাসানুজ্জামান এর সভাপতিত্বে, অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্হিত ছিলেন,মোনাখালি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মফিজুর রহমান।

বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্হিত ছিলেন,প্রবীন কমিটির সভাপতি আব্দুল মান্নান,মোনাখালি ইউনিয়ন পরিষদের ৫ নং ওয়ার্ড সদস্য মোমিনুর রহমান, মোনাখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ইমন হাসান ও আজহারুল ইসলাম,বাগোয়ান মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক রকিবুল ইসলাম, পলাশীপাড়া সমাজ কল্যাণ সমিতি সমাজ উন্নয়ন কর্মকর্তা (SDO)রহিম আক্তার, পলাশীপাড়া সমাজ কল্যাণ সমিতি (PSKS), সহকারী পরিচালক সাইফুল ইসলাম।

ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে পলাশীপাড়া সমাজ কল্যাণ সমিতি(পিএসকেএস) এর ১৮টি শিক্ষা সহায়তা কেন্দ্রের শিক্ষার্থী এবং মোনাখালি ইউনিয়নের উন্নয়নের যুবসমাজ অংশগ্রহন করে।




মুজিবনগরের বল্লভপুর ক্রিসমাস সেলিব্রেশন অনুষ্ঠিত

প্রাক্ বড়দিন উপলক্ষে ক্রিসমাস সেলিব্রেশন,সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, বার্ষিক পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ এবং ,বার্ষিক অনুষ্ঠান ও উপহার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে মুজিবনগরের বল্লভপুর আর্শীবাদ এজি স্কুল এন্ড হোপ সেন্টারে।

প্রাক্ বড়দিনের ক্রিসমাস সেলিব্রেশন উপলক্ষে বুধবার বেলা ১২ সময় বল্লভপুর আর্শীবাদ এজি স্কুল এন্ড হোপ সেন্টারের আয়োজনে, স্কুল প্রাঙ্গনে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

স্থানীয় ইনচার্জ যাজক সরোজ মল্লিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, মুজিবনগর উপজেলা নবাগত নির্বাহী অফিসার আজগর আলী।

বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্হিত ছিলেন, বল্লভপুর ডিনারীর ডিন রেভারেন্ট মৃত্যুঞ্জয় মন্ডল, বাগোয়ান ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আয়ুব হোসেন, বাগোয়ান ইউনিয়ন পরিষদের ৬ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য মি: বাবুল মল্লিক।

অনুষ্ঠানে অতিথিবৃন্দের সামনে নাচ পরিবেশন করেন স্কুলের শিক্ষাথী রচনা, মার্থা, মেরী অধরা, জয়িতা, অপর্না মেঘ, রাত্রী ও প্রত্যাশা।
অনুষ্ঠানের শুরুতে গান গেয়ে অতিথিবৃন্দকে স্বাগতম ও ফুলদিয়ে শুভেচ্ছা জানান স্কুলের শিক্ষার্থীবৃন্দ।

প্রার্থনা, বাইবেল পাঠ, শুভেচ্ছা বক্তব্য ইংরেজী ও বাংলা কবিতা পাঠ,নাচ,গান প্রাক্ বড়দিন সম্পর্কে অতিথিদের কিছু কথা এবং পুরস্কার বিতরণের মধ্যদিয়ে শেষ হয় বল্লভপুর আশির্বাদ এ জি স্কুল অ্যান্ড হোপ সেন্টারের ক্রিসমাস সেলিব্রেশনের অনুষ্ঠান।




মেহেরপুরে এবার স্বতন্ত্র প্রার্থী প্রফেসর আব্দুল মান্নানকে শোকজ

এবার নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগে সাবেক সংসদ সদস্য ও স্বতন্ত্র প্রার্থী প্রফেসর আব্দুল মান্নানকে শোকজ করেছে মেহেরপুর-১ আসনের নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটি।

বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) মেহেরপুরের যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক এবং নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান এইচ এম কবির হোসেন এ শোকজ করেন।

শোকজ নোটিশে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মেহেরপুর জেলা শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. এস, এম ইব্রাহিম শাহীন নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটিতে লিখিত অভিযোগ করেছেন যে, আপনি সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী হয়েও গত ১ ডিসেম্বর শুক্রবার আমঝুপি বাজারে সিরাজ মেম্বারের সারের দোকানের সামনে নির্বাচনি জনসভায় অংশগ্রহন করে বক্তব্য প্রদান করেছেন। আপনি বক্তব্য প্রদানকালে আপনার প্রতিদ্বন্দ্বী ও আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীকে ভোট চোর বলেও আখ্যায়িত করেছেন। বিষয়টি বিভিন্ন অনলাইন নিউজ পোর্টাল সহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনুসন্ধান করে প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে।

এছাড়া ৬ ডিসেম্বর বুধবার আশরাফপুর জনকল্যাণ ক্লাব এবং আশরাফপুর হঠাৎপাড়া জহিরের দোকানের সামনে নির্বাচনি জনসভায় অংশগ্রহণ করে সংবদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরন বিধিমালা, ২০০৮ এর বিধি ১১ (ক) ও ১২ লঙ্ঘন করেছেন মর্মে প্রাথমিকভাবে প্রতীয়মান হয়।
আগামী ১৬ ডিসেম্বর শনিবার স্বশরীরে বা প্রতিনিধির মাধ্যমে নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটির কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেয়া হলো ।




মুজিবনগরের কোমরপুর বাজারে ভোক্তার অভিযান, দুটি ফার্মেসীকে জরিমনা

মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলার কোমরপুর ও মহাজনপুর বাজারে অভিযান চালিয়ে মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ রাখায় দুটি ফার্মেসীকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভোক্তা অধিকার।

আজ বুধবার দুপুরে ভোক্তা অধিকারের সহকারী পরিচালক সজল আহমেদ এ অভিযান পরিচালনা করেন। দণ্ডিতরা হলেন- কোমরপুর বাজারের ইউসুফ ফার্মেসীর মালিক মনিরুল ইসলাম ও ভাই ভাই ফার্মেসীর মালিক আব্দুল জাব্বার।

সজল আহমেদ জানান, কোমরপুর বাজারে কয়েকটি ফার্মেসী প্রতিষ্ঠানে তদারকি করা হয়। এসময় মেসার্স মেসার্স ইউসুফ ফার্মেসী নামক প্রতিষ্ঠানে পুর্বে সতর্ক করা সত্ত্বেও প্রচুর মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষধ র‍্যাকে সংরক্ষণ ও বিক্রয়ের অপরাধে প্রতিষ্ঠানটির মালিক মো: মনিরুল ইসলামকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন-২০০৯ এর ৫১ ধারায় ১৫ হাজার টাকা এবং মেসার্স ভাই ভাই ফার্মেসীর মালিক মো: আব্দুল জব্বারকে একই অপরাধ ও ধারায় ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এর আগে পেয়াজসহ অন্যান্য পণ্যের মুল্যতালিকা ও ক্রয়-বিক্রয় ভাউচার যাচাই করা হয়| তদারকিতে দেখা যায় সেখানে প্রতিকেজি পেয়াজ খুচরা বিক্রয় হচ্ছে ৭০-৮০ টাকায়।

পরবর্তীতে অভিযান চলাকালে সকল ব্যবসায়ীতে ভাউচার ও মুল্যতালিকা রাখার নির্দেশনা দেয়া হয় এবং সবাইকে ভোক্তা অধিকার বিরোধী কাজ থেকে বিরত থাকার জন্য সতর্ক করা হয় এবং সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ করা হয়।

অভিযানে সহযোগিতা করেন মুজিবনগর উপজেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর তারিকুল ইসলাম এবং মেহেরপুর পুলিশ লাইনের একটি টিম।




মেহেরপুরে মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে নি*হত ১, আহত ৪

মেহেরপুর-কাথুলী সড়কে দুটি মোটরসাইকেলেরে মুখোমুখি সংঘর্ষে বায়েজিদ হোসেন (১৮) নামে এক স্কুল ছাত্র নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও চার জন।

আজ দুপুর ১ টার সময় কাথুলী সড়কের এবি ক্যাফে সংলগ্ন সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত বায়েজিদ সদর উপজেলার মনোহরপুর গ্রামের মালয়েশিয়া প্রবাসি ইসমাইল হোসেনের ছেলে। সে মেহেরপুর সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের ১০ম শ্রেণীর ছাত্র। আহতরা হলেন- মনোহরপুর গ্রামের মিঠুর ছেলে মোকাদ্দেস, শহরের ছহিউদ্দিন ডিগ্রি কলেজ পাড়ার সাহাবদ্দিনের ছেলে আরিফুল, সদর উপজেলার চকশ্যামনগর গ্রামের শহিদুল্লাহর ছেলে মহিদুল, আমিরুল ইসলামের ছেলে শ্রাবণ।

স্থানীয়রা জানান, ঘটনার সময় নিহত বায়েজিদ তার বন্ধু মোকাদ্দেন নিয়ে মোটরসাইকেল যোগে নিজ বাড়ি মনোহরপুর থেকে মেহেরপুর শহরে যাচ্ছিলেন। অপরদিক থেকে আরিফুল, মহিদুল ও শ্রাবণ অপর একটি মোটরসাইকেলে বিপরীতে দিকে যাচ্ছিলেন। কাথুলী সড়কের এবি ক্যাফের কাছে পৌছালে দুটি মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে বায়েজিদ ঘটনাস্থলেই মারা যান। দুটি মোটরসাইকের বাকি চারজন আহত হন। খবর পেয়ে মেহেরপুর ফায়ার সার্ভিস ইউনিটের একটি টিম ঘটনাস্থলে পৌছে নিহতের মরদেহ ও আহতদের উদ্ধার করে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসে। আহতদের মধ্যে মোকাদ্দেসের অবস্থা গুরতর হওয়ায় তাকে ‍কুষ্টিয়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।

মেহেরপুর সদর থানার এস আই মোমিন জানান, দুটি মোটরসাইকেলের দ্রতগতি ছিলো। ফলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। নিহতের সুরতহাল রিপোর্ট নেওয়া হয়েছে। পরবর্তিতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।




ফেরদৌসের বার্ষিক আয় ৫০ লাখ, স্ত্রীর ২ কোটি

প্রথমবারের মতো জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে চিত্রনায়ক ফেরদৌস। আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নৌকার মাঝি হয়ে ঢাকা-১০ আসন থেকে লড়বেন তিনি। নির্বাচনী হলফনামার তথ্য অনুযায়ী এই অভিনেতার বার্ষিক আয় ৫০ লাখ। অন্যদিকে, তার স্ত্রী তানিয়ার বার্ষিক আয় ২ কোটি।

হলফনামা অনুযায়ী ফেরদৌসের বার্ষিক আয় ৫০ লাখ ৪৬ হাজার ৪৯৭ টাকা। এবং তার কোনো ব্যাংক ঋণ নেই। এর মধ্যে ব্যবসা থেকে আয় ৪৭ লাখ ৯৯ হাজার ৫৮ টাকা। শেয়ার বা ব্যাংক আমানত থেকে আয় ২ লাখ ৪৭ হাজার ৪৩৯ টাকা। ফেরদৌসের স্ত্রী তানিয়া পেশায় পাইলট। হলফনামায় তানিয়ার আয়ের হিসাবে দেখা যায়, বছরে চাকরি করে তিনি পান ১ কোটি ৫৭ লাখ ১ হাজার ৬৬১ টাকা। এছাড়া শেয়ার বা ব্যাংক আমানত থেকে ১০ লাখ ৮৮ হাজার ৫০২ টাকা এবং ফ্ল্যাট বিক্রি থেকে ৩৬ লাখ ২৬ হাজার টাকা। অর্থাৎ তানিয়া ফেরদৌসের মোট বার্ষিক আয় ২ কোটি ৪ লাখ ১৬ হাজার ১৬৩ টাকা।

হলফনামায় নায়ক ফেরদৌস তার স্থাবর সম্পদ দেখিয়েছেন ২ কোটি ১৩ লাখ ৯৮ হাজার ২৬১ টাকা। তারমধ্যে নগদ ৩১ লাখ ২৮ হাজার ৬৫৮ টাকা, ব্যাংকে জমা আছে ৩১ লাখ ৫৬ হাজার ৯৯৭ টাকা, বন্ড, ঋণপত্র ও শেয়ারে বিনিয়োগ ১১ লাখ ২৫ হাজার টাকা, ৫০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র, ৫ লাখ ১৩ হাজার ৭৫৬ টাকার স্থায়ী আমানত, ৫৪ লাখ ১৮ হাজার ৫৪০ টাকার লাইফ ইন্সুরেন্স, ২০ লাখ টাকার ব্যক্তিগত গাড়ি, ১টি রোলেক্স ঘড়ি, ২০ ভরি স্বর্ণ ও ১০ লাখ ৫৫ হাজার ৩১০ টাকার ব্যবসায়ের পুঁজি।

তার অকৃষি জমির মধ্যে রয়েছে- সাভারের আশুলিয়ায় ৭ কাঠা জমি, অর্জনকালীন সময়ে তার আর্থিক মূল্য ছিল ১ লাখ ৬১ হাজার টাকা, আশুলিয়ায় আরও ৭ কাঠা জমি অর্জনকালীন সময়ে যেটির আর্থিক মূল্য ১ লাখ ৫৪ হাজার টাকা, মিরপুরের বাউনিয়ায় ১৬ দশমিক ৫০ শতাংশ জমির অর্জনকালীন সময়ে মূল্য ২ লাখ ৫৭ হাজার ৫০০ টাকা, ধামালকোটে মায়ের কাছ থেকে উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া ২২৫ অযুতাংশ জমি ও ২টি ফ্ল্যাট ও কার পার্কিং।

এছাড়াও পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় শূণ্য দশমিক ৩৩ একর জমি (অর্জনকালীন সময়ে আর্থিক মূল্য ৮ লাখ ৮৪ হাজার ৫০০ টাকা, একই এলাকায় শূণ্য দশমিক ২৬ একরের আরও একটি জমি (অর্জনকালীন সময়ে আর্থিক মূল্য ৮ লাখ ৮৪ হাজার ৫০০ টাকা) এবং পূর্বাচলে ৫ কাঠার জমি যেটির অর্জনকালীন সময়ে মূল্য ১০ লাখ ৮৫ হাজার টাকা দেখিয়েছেন ফেরদৌস।

ফেরদৌসের স্ত্রীর নগদ অর্থ রয়েছে ৪২ লাখ ৫৮ হাজার ৪৩৬ টাকা, ব্যাংকে জমা আছে ৬৬ লাখ ৭১ হাজার ৭৮১ টাকা, বন্ড, ঋণপত্র ও শেয়ার ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা, ৫০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র, ৪ লাখ ৪২ হাজার ৮৬৪ টাকার প্রভিডেন্ট ফান্ড, ১৫ হাজার টাকার গ্রুপ ইন্সুরেন্স, ১৭ লাখ ৯৪ হাজার টাকার লাইফ ইন্সুরেন্স। এছাড়াও রয়েছে ১ কোটি ৮৫ লাখ ১৩ হাজার টাকার গাড়ি, ৪০ ভরি স্বর্ণ, একটি রোলেক্স ঘড়ি, ১৫ লাখ টাকার ইলেকট্রনিক সামগ্রী ও ২৫ লাখ টাকার আসবাব। অর্থাৎ ৪০ ভরি স্বর্ণ ও ঘড়ি ছাড়াও তানিয়ার ৪ কোটি ৮ লাখ ২০ হাজার ৮১ টাকার অস্থাবর সম্পদ রয়েছে।

স্থাবর সম্পদের মধ্যে রয়েছে- গাজীপুরের কালিগঞ্জে ৯৩ শতাংশ জমি যেটির অর্ধেক মালিক তিনি (মূল্য ৫৬ লাখ টাকা), মায়ের কাছ থেকে উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া যশোরের কতোয়ালির ১৬ দশমিক ৫২ শতাংশ জমি (যেটি অর্ধেক মালিক তিনি), ৮ দশমিক ৭৫ শতাংশ জমি (২৫ শতাংশ মালিক), পটুয়াখালীর কলাপাড়ার শূণ্য দশমিক ১৫ একর জমি (মূল্য ১ লাখ ২৩ হাজার ২০০ টাকা) ও যশোরের কতোয়ালির ৪ দশমিক ৬৫ শতাংশ জমি (২০ শতাংশ মালিক) ও ৩ তলা বাড়ি। এছাড়াও তানিয়ার রাজউকে ৬৭ লাখ ৮৪ হাজার ১৪২ টাকার ও বনানীর ডিওএইচএসে ২ কোটি ৯০ লাখ টাকার অ্যাপার্টমেন্ট রয়েছে।

গত ২৯ নভেম্বর হলফনামা জমা দেন ফেরদৌস। তিনি এবার প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন।

সূত্র: ইত্তেফাক




রোমাঞ্চ জিতে রিয়াল মাদ্রিদের ছয়ে ছয়

শুরুতে গোল খেয়ে পিছিয়ে পড়া। সেখান থেকে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে রোমাঞ্চকর জয় তুলে নিয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। হোসেলুর জোড়া গোলে ইউনিয়ন বার্লিনকে ৩-২ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগের গ্রুপ পর্বের সবগুলো ম্যাচ জিতল রিয়াল। বার্লিনের মাঠে রিয়ালকে ভালোই চ্যালেঞ্জ জানায় স্বাগতিকরা।

শুরুতে কয়েকবার রিয়ালের রক্ষণে হানা দেয় দলটি। তবে প্রথমে সুযোগ আসে রিয়ালের সামনেই। মধ্যবিরতিতে যাওয়ার আগে পেনাল্টি পায় লস ব্লাংকোরা। কিন্তু স্পট কিক থেকে গোল করতে ব্যর্থ হন লুকা মডরিচ। তবে পরের আক্রমণেই এগিয়ে যাওয়ার আনন্দে মাতে বার্লিন। স্বাগতিকদের এগিয়ে নেন কেভিন ভলান্ড। এরপর ৬১ মিনিটে রদ্রিগোর ক্রসে হেডে গোল করে রিয়ালকে সমতায় ফেরান হোসেলু। ১১ মিনিট পরেই আবারো হোসেলু ম্যাজিক।

নিজে জোড়া গোল করে এগিয়ে নেন রিয়ালকে। ৮৫ মিনিটে অ্যালেক্স ক্রাল গোল করে বার্লিনকে সমতায় ফিরিয়ে জমিয়ে তুলে ম্যাচ তবে ৮৯ মিনিটে দানি সেবাওসের গোল জয় নিশ্চিত করে রিয়ালের।

আগেই নক আউট পর্ব নিশ্চিত করে ফেলেছিল রিয়াল। ৬ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ১৮। ব্রাগাকে ২-০ গোলে হারানো নাপোলি ১০ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ রানার্সআপ হয়ে পরের রাউন্ডে।

ব্রাগার পয়েন্ট ৪, বার্লিনের ২। প্রথমবার চ্যাম্পিয়নস লিগে খেলতে এসে গ্রুপের তলানিতে থেকে শেষ করল বার্লিন।

সূত্র: কালের কন্ঠ




আই বাড়লেও সম্পদ কমেছে সাবেক সাংসদ আব্দুল গনির

মেহেরপুর-২ (সংসদীয়-৭৪) আসনে বিএনপি থেকে নির্বাচিত দুই বারের সাবেক সাংসদ মো: আব্দুল গনি। বিএনপি থেকে নমিনেশন না পেয়ে একবার স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেছেন।

একাদশ সংসদ নির্বাচনে তিনি এলডিপি থেকে মনোনয়ন দাখিল করলেও পরবর্তীতে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন। আর এবার তিনি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তৃণমূল বিএনপি থেকে। একাদশ ও দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের মধ্যবর্তী সময়ে তার ব্যবসা থেকে আই বৃদ্ধি পেলেও খুইয়েছেন স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ। হারিয়েছেন মুক্তিযোদ্ধা ভাতা।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি তৃণমূল বিএনপি থেকে দলীয় প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। যাচাই-বাছাইয়ের পর তাঁর মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষিত হয়েছে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হলফনামায় তার বার্ষিক আয়, স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের যে বিবরণী দেওয়া আছে তার সাথে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হলফনামায় দেওয়া তথ্যের বিশ্লেষণ করে এসব তথ্য মিলেছে।

বর্তমানে হলফনামা অনুযায়ী মোঃ আব্দুল গনির পেশায় ব্যবসায়ী। ব্যবসা থেকে তার বার্ষিক আয় হয় ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা। তার অস্থাবর সম্পদের মধ্যে রয়েছে মাত্র ৩০ হাজার টাকার ইলেকট্রনিক সামগ্রী ও ৪৫ হাজার টাকা সমমূল্যের আসবাবপত্র। আর তার স্ত্রী রয়েছে ৮৫ হাজার টাকা সমমূল্যের স্বর্ণালংকার।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় জমা দেয়া হলফনামাতে ব্যবসা থেকে তার বার্ষিক আয় ছিল তিন লাখ ৩০ হাজার টাকা এবং মুক্তিযোদ্ধা ভাতা বাবদ বছরে তার আয় ছিল ১ লাখ ২০ হাজার টাকা। তার নিজের ছিল ১৫ ভরি স্বর্ণ, ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী ছিল ৪৫ হাজার টাকার ও আসবাবপত্র ছিল ৩০ হাজার টাকা সমমূল্যের। অপরদিকে তার স্ত্রীর নামে ৩০ লাখ টাকার ফিক্সড ডিপোজিট ছিল পাশাপাশি উপহার সূত্রে পাওয়া দুই ভরি স্বর্ণালংকার ছিল।

বর্তমানে আব্দুল গনির স্থাবর সম্পদের মধ্যে রয়েছে নামীয় শুধু একটি দ্বিতল বাড়ি। তবে তার স্ত্রীর বর্তমানে কোন স্থাবর সম্পদ নেই। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রাক্কালে হলফনামা অনুযায়ী তার স্ত্রীর গাজীপুরের জয়দেবপুরে ২ হাজার বর্গফুটের একটি দোতলা বাড়ি ছিল। আর আব্দুল গনির ৫ বিঘা কৃষি জমি, ঢাকার বনানীতে ২৮ লাখ টাকা সময় মূল্যের ৩ কাঠা ১৪ ছটাক অকৃষি জমির প্লট এবং গাংনীতে ১০ শতক জমির উপরে একটি দ্বিতল বাড়ি, যার মূল্য দেখানো হয়েছিল ২৫ লাখ ৭০ হাজার টাকা।




গাংনীতে মসজিদ ভেঙে টিন লুট ভিন্ন মতাবলম্বীদের

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার বামুন্দী ইউনিয়নের মহব্বতপুর গ্রামের পশ্চিমপাড়ায় আহলে হাদীস মতবালম্বীদের মসজিদ ভেঙে লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। লুটপাটের অভিযোগে মামলাও হয়েছে হানাফি মাজহাবের কয়েকজন মতাবলম্বীর বিরুদ্ধে।

স্থানীয়রা জানান ২২ সালের ডিসেম্বর মাসে আহলে হাদিসের মসজিদ নির্মাণের জন্য জমি ক্রয় করা হয়। গত অক্টোবর মাসে উক্ত জমিতে টিনের চাল ও বাঁশের বেড়া দিয়ে একটি মসজিদ তৈরি করা হয়। মসজিদ তৈরির পর থেকেই কয়েকজন ব্যক্তি মসজিদ ভাঙার পায়তারা সহ মসজিদ নির্মাণকারীদের নানা রকম হুমকি ধামকি প্রদান করে আসছিল।

এরই ধারাবাহিকতায় গত ৯ ডিসেম্বর ফজরের নামাজের পর থেকে আহলে হাদিসের অনুসারীরা উক্ত মসজিদে নামাজ পড়া শুরু করলে তারা মসজিদ ভেঙে দেওয়ার হুমকি দেয়।

বিষয়টি নিয়ে আহলে হাদিসের সভাপতি হামিদুল ইসলাম রতন গাংনী থানায় একটি অভিযোগ করেন।

পরবর্তীতে ঐ দিনই মাগরিবের নামাজের পর মহব্বতপুর পশ্চিম পাড়ার মৃত রবিউদ্দিনের ছেলে আব্দুল খালেক, মৃত জমির উদ্দিনের ছেলে মোঃ ওহিদ আলী (৫৫), আব্দুল আজিজের ছেলে মোঃ মজনু আলী (৪০), আব্দুলের ছেলে মন্টু হোসেন (৫৫) ,আফসার উদ্দিনের ছেলে হাফিজুল ইসলাম (৫২), আব্দুল খালেকের ছেলে মারুফ হোসেন (৪০), মৃত রমজান আলীর ছেলে হোসেন (৫০), আব্দুল কাদেরের ছেলে রকিবউদ্দিন (৩৬), মৃত মনির ছেলে আবুল কালাম (৫০) সহ হানাফী মাযহাবের কয়েকজন আহলে হাদিসের মসজিদটি ভেঙে ফেলে। অতপর মসজিদের টিনের চালা সাথে করে নিয়ে যায় এবং চাটাই গুলো পাশের পুকুরে ফেলে দেয়।

পরে গাংনী থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে মসজিদের টিন ও চাটাই উদ্ধার করে। আহলে হাদিস মসজিদ কর্তৃপক্ষের অভিযোগ অনুযায়ী পরবর্তীতে থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়।