ফেরদৌসের বার্ষিক আয় ৫০ লাখ, স্ত্রীর ২ কোটি

প্রথমবারের মতো জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে চিত্রনায়ক ফেরদৌস। আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নৌকার মাঝি হয়ে ঢাকা-১০ আসন থেকে লড়বেন তিনি। নির্বাচনী হলফনামার তথ্য অনুযায়ী এই অভিনেতার বার্ষিক আয় ৫০ লাখ। অন্যদিকে, তার স্ত্রী তানিয়ার বার্ষিক আয় ২ কোটি।

হলফনামা অনুযায়ী ফেরদৌসের বার্ষিক আয় ৫০ লাখ ৪৬ হাজার ৪৯৭ টাকা। এবং তার কোনো ব্যাংক ঋণ নেই। এর মধ্যে ব্যবসা থেকে আয় ৪৭ লাখ ৯৯ হাজার ৫৮ টাকা। শেয়ার বা ব্যাংক আমানত থেকে আয় ২ লাখ ৪৭ হাজার ৪৩৯ টাকা। ফেরদৌসের স্ত্রী তানিয়া পেশায় পাইলট। হলফনামায় তানিয়ার আয়ের হিসাবে দেখা যায়, বছরে চাকরি করে তিনি পান ১ কোটি ৫৭ লাখ ১ হাজার ৬৬১ টাকা। এছাড়া শেয়ার বা ব্যাংক আমানত থেকে ১০ লাখ ৮৮ হাজার ৫০২ টাকা এবং ফ্ল্যাট বিক্রি থেকে ৩৬ লাখ ২৬ হাজার টাকা। অর্থাৎ তানিয়া ফেরদৌসের মোট বার্ষিক আয় ২ কোটি ৪ লাখ ১৬ হাজার ১৬৩ টাকা।

হলফনামায় নায়ক ফেরদৌস তার স্থাবর সম্পদ দেখিয়েছেন ২ কোটি ১৩ লাখ ৯৮ হাজার ২৬১ টাকা। তারমধ্যে নগদ ৩১ লাখ ২৮ হাজার ৬৫৮ টাকা, ব্যাংকে জমা আছে ৩১ লাখ ৫৬ হাজার ৯৯৭ টাকা, বন্ড, ঋণপত্র ও শেয়ারে বিনিয়োগ ১১ লাখ ২৫ হাজার টাকা, ৫০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র, ৫ লাখ ১৩ হাজার ৭৫৬ টাকার স্থায়ী আমানত, ৫৪ লাখ ১৮ হাজার ৫৪০ টাকার লাইফ ইন্সুরেন্স, ২০ লাখ টাকার ব্যক্তিগত গাড়ি, ১টি রোলেক্স ঘড়ি, ২০ ভরি স্বর্ণ ও ১০ লাখ ৫৫ হাজার ৩১০ টাকার ব্যবসায়ের পুঁজি।

তার অকৃষি জমির মধ্যে রয়েছে- সাভারের আশুলিয়ায় ৭ কাঠা জমি, অর্জনকালীন সময়ে তার আর্থিক মূল্য ছিল ১ লাখ ৬১ হাজার টাকা, আশুলিয়ায় আরও ৭ কাঠা জমি অর্জনকালীন সময়ে যেটির আর্থিক মূল্য ১ লাখ ৫৪ হাজার টাকা, মিরপুরের বাউনিয়ায় ১৬ দশমিক ৫০ শতাংশ জমির অর্জনকালীন সময়ে মূল্য ২ লাখ ৫৭ হাজার ৫০০ টাকা, ধামালকোটে মায়ের কাছ থেকে উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া ২২৫ অযুতাংশ জমি ও ২টি ফ্ল্যাট ও কার পার্কিং।

এছাড়াও পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় শূণ্য দশমিক ৩৩ একর জমি (অর্জনকালীন সময়ে আর্থিক মূল্য ৮ লাখ ৮৪ হাজার ৫০০ টাকা, একই এলাকায় শূণ্য দশমিক ২৬ একরের আরও একটি জমি (অর্জনকালীন সময়ে আর্থিক মূল্য ৮ লাখ ৮৪ হাজার ৫০০ টাকা) এবং পূর্বাচলে ৫ কাঠার জমি যেটির অর্জনকালীন সময়ে মূল্য ১০ লাখ ৮৫ হাজার টাকা দেখিয়েছেন ফেরদৌস।

ফেরদৌসের স্ত্রীর নগদ অর্থ রয়েছে ৪২ লাখ ৫৮ হাজার ৪৩৬ টাকা, ব্যাংকে জমা আছে ৬৬ লাখ ৭১ হাজার ৭৮১ টাকা, বন্ড, ঋণপত্র ও শেয়ার ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা, ৫০ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র, ৪ লাখ ৪২ হাজার ৮৬৪ টাকার প্রভিডেন্ট ফান্ড, ১৫ হাজার টাকার গ্রুপ ইন্সুরেন্স, ১৭ লাখ ৯৪ হাজার টাকার লাইফ ইন্সুরেন্স। এছাড়াও রয়েছে ১ কোটি ৮৫ লাখ ১৩ হাজার টাকার গাড়ি, ৪০ ভরি স্বর্ণ, একটি রোলেক্স ঘড়ি, ১৫ লাখ টাকার ইলেকট্রনিক সামগ্রী ও ২৫ লাখ টাকার আসবাব। অর্থাৎ ৪০ ভরি স্বর্ণ ও ঘড়ি ছাড়াও তানিয়ার ৪ কোটি ৮ লাখ ২০ হাজার ৮১ টাকার অস্থাবর সম্পদ রয়েছে।

স্থাবর সম্পদের মধ্যে রয়েছে- গাজীপুরের কালিগঞ্জে ৯৩ শতাংশ জমি যেটির অর্ধেক মালিক তিনি (মূল্য ৫৬ লাখ টাকা), মায়ের কাছ থেকে উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া যশোরের কতোয়ালির ১৬ দশমিক ৫২ শতাংশ জমি (যেটি অর্ধেক মালিক তিনি), ৮ দশমিক ৭৫ শতাংশ জমি (২৫ শতাংশ মালিক), পটুয়াখালীর কলাপাড়ার শূণ্য দশমিক ১৫ একর জমি (মূল্য ১ লাখ ২৩ হাজার ২০০ টাকা) ও যশোরের কতোয়ালির ৪ দশমিক ৬৫ শতাংশ জমি (২০ শতাংশ মালিক) ও ৩ তলা বাড়ি। এছাড়াও তানিয়ার রাজউকে ৬৭ লাখ ৮৪ হাজার ১৪২ টাকার ও বনানীর ডিওএইচএসে ২ কোটি ৯০ লাখ টাকার অ্যাপার্টমেন্ট রয়েছে।

গত ২৯ নভেম্বর হলফনামা জমা দেন ফেরদৌস। তিনি এবার প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন।

সূত্র: ইত্তেফাক




রোমাঞ্চ জিতে রিয়াল মাদ্রিদের ছয়ে ছয়

শুরুতে গোল খেয়ে পিছিয়ে পড়া। সেখান থেকে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে রোমাঞ্চকর জয় তুলে নিয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। হোসেলুর জোড়া গোলে ইউনিয়ন বার্লিনকে ৩-২ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগের গ্রুপ পর্বের সবগুলো ম্যাচ জিতল রিয়াল। বার্লিনের মাঠে রিয়ালকে ভালোই চ্যালেঞ্জ জানায় স্বাগতিকরা।

শুরুতে কয়েকবার রিয়ালের রক্ষণে হানা দেয় দলটি। তবে প্রথমে সুযোগ আসে রিয়ালের সামনেই। মধ্যবিরতিতে যাওয়ার আগে পেনাল্টি পায় লস ব্লাংকোরা। কিন্তু স্পট কিক থেকে গোল করতে ব্যর্থ হন লুকা মডরিচ। তবে পরের আক্রমণেই এগিয়ে যাওয়ার আনন্দে মাতে বার্লিন। স্বাগতিকদের এগিয়ে নেন কেভিন ভলান্ড। এরপর ৬১ মিনিটে রদ্রিগোর ক্রসে হেডে গোল করে রিয়ালকে সমতায় ফেরান হোসেলু। ১১ মিনিট পরেই আবারো হোসেলু ম্যাজিক।

নিজে জোড়া গোল করে এগিয়ে নেন রিয়ালকে। ৮৫ মিনিটে অ্যালেক্স ক্রাল গোল করে বার্লিনকে সমতায় ফিরিয়ে জমিয়ে তুলে ম্যাচ তবে ৮৯ মিনিটে দানি সেবাওসের গোল জয় নিশ্চিত করে রিয়ালের।

আগেই নক আউট পর্ব নিশ্চিত করে ফেলেছিল রিয়াল। ৬ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ১৮। ব্রাগাকে ২-০ গোলে হারানো নাপোলি ১০ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ রানার্সআপ হয়ে পরের রাউন্ডে।

ব্রাগার পয়েন্ট ৪, বার্লিনের ২। প্রথমবার চ্যাম্পিয়নস লিগে খেলতে এসে গ্রুপের তলানিতে থেকে শেষ করল বার্লিন।

সূত্র: কালের কন্ঠ




আই বাড়লেও সম্পদ কমেছে সাবেক সাংসদ আব্দুল গনির

মেহেরপুর-২ (সংসদীয়-৭৪) আসনে বিএনপি থেকে নির্বাচিত দুই বারের সাবেক সাংসদ মো: আব্দুল গনি। বিএনপি থেকে নমিনেশন না পেয়ে একবার স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেছেন।

একাদশ সংসদ নির্বাচনে তিনি এলডিপি থেকে মনোনয়ন দাখিল করলেও পরবর্তীতে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন। আর এবার তিনি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তৃণমূল বিএনপি থেকে। একাদশ ও দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের মধ্যবর্তী সময়ে তার ব্যবসা থেকে আই বৃদ্ধি পেলেও খুইয়েছেন স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ। হারিয়েছেন মুক্তিযোদ্ধা ভাতা।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি তৃণমূল বিএনপি থেকে দলীয় প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। যাচাই-বাছাইয়ের পর তাঁর মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষিত হয়েছে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হলফনামায় তার বার্ষিক আয়, স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের যে বিবরণী দেওয়া আছে তার সাথে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হলফনামায় দেওয়া তথ্যের বিশ্লেষণ করে এসব তথ্য মিলেছে।

বর্তমানে হলফনামা অনুযায়ী মোঃ আব্দুল গনির পেশায় ব্যবসায়ী। ব্যবসা থেকে তার বার্ষিক আয় হয় ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা। তার অস্থাবর সম্পদের মধ্যে রয়েছে মাত্র ৩০ হাজার টাকার ইলেকট্রনিক সামগ্রী ও ৪৫ হাজার টাকা সমমূল্যের আসবাবপত্র। আর তার স্ত্রী রয়েছে ৮৫ হাজার টাকা সমমূল্যের স্বর্ণালংকার।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় জমা দেয়া হলফনামাতে ব্যবসা থেকে তার বার্ষিক আয় ছিল তিন লাখ ৩০ হাজার টাকা এবং মুক্তিযোদ্ধা ভাতা বাবদ বছরে তার আয় ছিল ১ লাখ ২০ হাজার টাকা। তার নিজের ছিল ১৫ ভরি স্বর্ণ, ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী ছিল ৪৫ হাজার টাকার ও আসবাবপত্র ছিল ৩০ হাজার টাকা সমমূল্যের। অপরদিকে তার স্ত্রীর নামে ৩০ লাখ টাকার ফিক্সড ডিপোজিট ছিল পাশাপাশি উপহার সূত্রে পাওয়া দুই ভরি স্বর্ণালংকার ছিল।

বর্তমানে আব্দুল গনির স্থাবর সম্পদের মধ্যে রয়েছে নামীয় শুধু একটি দ্বিতল বাড়ি। তবে তার স্ত্রীর বর্তমানে কোন স্থাবর সম্পদ নেই। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রাক্কালে হলফনামা অনুযায়ী তার স্ত্রীর গাজীপুরের জয়দেবপুরে ২ হাজার বর্গফুটের একটি দোতলা বাড়ি ছিল। আর আব্দুল গনির ৫ বিঘা কৃষি জমি, ঢাকার বনানীতে ২৮ লাখ টাকা সময় মূল্যের ৩ কাঠা ১৪ ছটাক অকৃষি জমির প্লট এবং গাংনীতে ১০ শতক জমির উপরে একটি দ্বিতল বাড়ি, যার মূল্য দেখানো হয়েছিল ২৫ লাখ ৭০ হাজার টাকা।




গাংনীতে মসজিদ ভেঙে টিন লুট ভিন্ন মতাবলম্বীদের

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার বামুন্দী ইউনিয়নের মহব্বতপুর গ্রামের পশ্চিমপাড়ায় আহলে হাদীস মতবালম্বীদের মসজিদ ভেঙে লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। লুটপাটের অভিযোগে মামলাও হয়েছে হানাফি মাজহাবের কয়েকজন মতাবলম্বীর বিরুদ্ধে।

স্থানীয়রা জানান ২২ সালের ডিসেম্বর মাসে আহলে হাদিসের মসজিদ নির্মাণের জন্য জমি ক্রয় করা হয়। গত অক্টোবর মাসে উক্ত জমিতে টিনের চাল ও বাঁশের বেড়া দিয়ে একটি মসজিদ তৈরি করা হয়। মসজিদ তৈরির পর থেকেই কয়েকজন ব্যক্তি মসজিদ ভাঙার পায়তারা সহ মসজিদ নির্মাণকারীদের নানা রকম হুমকি ধামকি প্রদান করে আসছিল।

এরই ধারাবাহিকতায় গত ৯ ডিসেম্বর ফজরের নামাজের পর থেকে আহলে হাদিসের অনুসারীরা উক্ত মসজিদে নামাজ পড়া শুরু করলে তারা মসজিদ ভেঙে দেওয়ার হুমকি দেয়।

বিষয়টি নিয়ে আহলে হাদিসের সভাপতি হামিদুল ইসলাম রতন গাংনী থানায় একটি অভিযোগ করেন।

পরবর্তীতে ঐ দিনই মাগরিবের নামাজের পর মহব্বতপুর পশ্চিম পাড়ার মৃত রবিউদ্দিনের ছেলে আব্দুল খালেক, মৃত জমির উদ্দিনের ছেলে মোঃ ওহিদ আলী (৫৫), আব্দুল আজিজের ছেলে মোঃ মজনু আলী (৪০), আব্দুলের ছেলে মন্টু হোসেন (৫৫) ,আফসার উদ্দিনের ছেলে হাফিজুল ইসলাম (৫২), আব্দুল খালেকের ছেলে মারুফ হোসেন (৪০), মৃত রমজান আলীর ছেলে হোসেন (৫০), আব্দুল কাদেরের ছেলে রকিবউদ্দিন (৩৬), মৃত মনির ছেলে আবুল কালাম (৫০) সহ হানাফী মাযহাবের কয়েকজন আহলে হাদিসের মসজিদটি ভেঙে ফেলে। অতপর মসজিদের টিনের চালা সাথে করে নিয়ে যায় এবং চাটাই গুলো পাশের পুকুরে ফেলে দেয়।

পরে গাংনী থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে মসজিদের টিন ও চাটাই উদ্ধার করে। আহলে হাদিস মসজিদ কর্তৃপক্ষের অভিযোগ অনুযায়ী পরবর্তীতে থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়।




দর্শনায় ভিটামিন-এ ক্যাপসুল ক্যাম্পেইনের উদ্বোধন

চুয়াডাঙ্গার দর্শনায় শিশুদের ভিটামিন এ ক্যাপসুল ক্যাম্পেইন এর উদ্বোধন করলেন পৌরসভার মেয়র আতিয়ার রহমান হাবু। গতকাল মঙ্গলবার সকাল ৮ টা থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত এই ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

জানাগেছে, দর্শনা পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডে মোট ২৮টি টিকাদান কেন্দ্রে ৬মাস থেকে ১১মাস পর্যন্ত ৪,৬৯ জন শিশুর ও ১বছর থেকে ৬ বছর পর্যন্ত ৩,২৬৬ জন শিশুকে এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, দর্শনা কেরু এন্ড কোম্পানির শ্রমিক ও কর্মচারী ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি তৈয়ব আলী, সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী ও ১ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং সাবেক কাউন্সিলর জয়নাল আবেদীন নফর, পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাসান খালেকুজ্জামান, ১ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নেফাউর রহমান, পৌরসভার টিকাদান সুপারভাইজার আব্দুল মজিদ, দর্শনা রিক্সা-ভ্যান চালক ইউনিয়নের সভাপতি হবা জোয়ার্দার সহ এলাকার স্থানীয় ব্যাক্তি বর্গ উপস্থিত ছিলেন।




চুয়াডাঙ্গার বেলগাছী মাঠে তুলার মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত

চুয়াডাঙ্গায় পরিকল্পিত উপায় তুলা চাষ বাড়ানোর জন্য চাষীদের উদ্বুদ্ধ করার লক্ষে মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৪টায় পৌর এলাকার বেলগাছী মাঠে এ মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়।

চুয়াডাঙ্গা আঞ্চলিক তুলা উন্নয়ন বাের্ডের আয়োজনে ও সদর ইউনিটের সহযোগীতায় এবং রাজস্ব বাজেটের অর্থায়নে তুলা চাষী মনজুর কাদিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ মাঠ দিবসে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্তিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গার প্রধান তুলা উন্নয়ন কর্মকর্তা সন দেবাশীষ।

বিশেষ অতিথি ছিলেন সদর ইউনিট অফিসার মাজহারুল ইসলাম। মাঠ দিবসে প্রায় অর্ধ শতাধিক তুলা চাষী উপস্তিত ছিলেন।




কুষ্টিয়ার বারুইপাড়া ইউনিয়নে শান্তি সমাবেশ অনুষ্ঠিত

বিএনপি জামাতের হরতাল অবরোধ ও নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে মিরপুর উপজেলার বারুইপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের উদ্যোগে শান্তি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার বিকেলে মশান বাজারে এই শান্তি সমাবেশে প্রধান বক্তার বক্তব্যে দেশসেরা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, মিরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ও কুষ্টিয়া-২ (মিরপুর-ভেড়ামারা) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী জননেতা কামারুল আরেফীন বলেন, ১৯৭৩ সালের পরে এ আসনে কোন আওয়ামী লীগের এমপি ছিলোনা। যেখানে পাশের সংসদীয় আসনে বড় বড় মেগা প্রজেক্ট বাস্তবায়িত হচ্ছে, সেখানে হাসানুল হক ইনু এমপি নির্বাচিত হয়ে বিগত ১৫ বছরে তেমন কোন উন্নয়নমুলক কাজ করেননি, সংসদেও তেমন কোন উন্নয়নের কথা বলেননি। মিরপুর-ভেড়ামারাবাসী চিরকালই উন্নয়ন বঞ্চিত হয়েছে। তবে আমি যদি এমপি নির্বাচিত হই, তাহলে আমি মিরপুরে একটি কৃষি ইন্সটিটিউট অথবা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তুলবো।

মিরপুর-ভেড়ামারাবাসীর জন্য কিছু করতে চাই উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিগত সময়ে এলাকার জনগন ভোট দিয়ে আমাকে ইউনিয়ন পরিষদ ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত করেছিলো। নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করার চেষ্টা করেছি। আগামী দিনেও এলাকার মানুষের জন্য কাজ করবো।

কামারুল আরেফিন বলেন, বিএনপির নেতাকর্মীরা দেশে ভীতিকর পরিবেশ তৈরি করে জনগণের জান-মালের ক্ষতি করছে। তাদের সকল অপশক্তি প্রতিহত করতে শান্তি সমাবেশ অব্যাহত থাকবে। দেশের উন্নয়নে বাধা দিতে আসলে জনসাধারণ নির্বিঘ্নে জীবনযাপনের স্বার্থে তা কঠোর হাতে প্রতিহত করবে। এলাকায় শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য যা করার দরকার তাই করতে চাই। সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিতে রাজপথে নেমেছি, আছি, থাকবো ইনশাআল্লাহ।

শান্তি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মিরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাড. আব্দুল হালিম বলেন, ধার করা মাঝিকে না দিয়ে প্রকৃত নৌকার মাঝিকে ভোট দিয়ে সংসদে পাঠাবো। ২০০৮ সালের আগে ইনু সাহেব তিন বার এম নির্বাচন করেছিলেন। কিন্তু এমপি হতে পারে নি। পরে তিনি নৌকায় উঠে এমপি হয়েছিলেন। সংসদে মিরপুর-ভেড়ামারার কথা বলেন নি তিনি। এ আসনের উন্নয়ন করতে ব্যার্থ হয়েছে। তিনি বলেন, শান্তির লক্ষ্যে আমরা এই শান্তি সমাবেশ করছি। বারবার ঘুগু তুমি খেয়ে যাও ধান। সেটি আর এবার হতে দেওয়া হবে না। আমরা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে কামারুল আরেফিন কে ভোট দিয়ে সংসদে পাঠাবো।

তিনি বলেন, নৌকার মাঝি জনগণ। সুতরাং জাসদ সভাপতি হয়ে এখনো আপনি নৌকায় উঠে এমপি হতে চান। আপনি তো সুবিধা নেন আওয়ামী লীগ থেকে। আগামী ৭ তারিখে জনগণের ভোটের মাধ্যমে রায় দেবে আপনি কোন সে জাতীয় নেতা।

বারুইপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম মন্টুর সভাপতিত্বে এবং সাধারন সম্পাদক মোমিনুল হক মোমিনের পরিচালনায় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের উপ-কমিটির সদস্য ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সহ সভাপতি সুরঞ্জন ঘোষ, উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক রুহুল আলম হোসেন, প্রচার সম্পাদক বিএম জুবায়ের রিগ্যান, দপ্তর সম্পাদক রাশেদুজ্জামান ছন্দ, চিথলিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও চেয়ারম্যান এনামুল হক বাবলু, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানা,মিরপুর উপজেলা ছাত্র লীগের সভাপতি আসলাম আরেফিনসহ উপজেলা ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীবৃন্দ।




দর্শনার মোটরসাইকেল ও বাইসাইকেল মুখোমুখি সংঘর্ষ নিহত ১, আহত ৩

চুয়াডাঙ্গা সদরের দোস্ত গ্রামে মোটরসাইকেল ও বাইসাইকেল মুখোমুখি সংঘর্ষে বাইসাইকেল চালক রহমতুল্লাহ(৬৫) ঘটনাস্থলেই নিহত হয়েছে। গুরুতর আহত হয়েছে মোটরসাইকেল চালকসহ ৩ জন।

জানাযায় আজ মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটার দিকে চুয়াডাঙ্গা জেলার দর্শনা থানার নবগঠিত নেহালপুর ইউনিয়নের দোস্ত গ্রামের বাজার সংলগ্ন তালতলা নামক স্থানে এ দৃর্ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষসুত্রে জানাযায় মোটরসাইকেল যোগে হিজলগাড়ি থেকে দর্শনার দিকে আসার পথে দোস্ত গ্রাম সংলগ্ন তালতলা নামক স্থানে পৌঁছালে বাইসাইকেলের পিছনে দ্রতগতির মোটরসাইকেল স্বজরে ধাক্কা মারলে সাইকেল চালক পিচ রাস্তার উপর সিটকে পড়ে। এতে গুরুতর আহত হয়ে ঘটনাস্থলে নিহত হয় কুন্দিপুর গ্রামের মৃত্য ছলিম শেখের ছেলে রহমতুল্লা(৬৫)।

এতে গুরুতর আহত হয় মোটরসাইকেল চালক দর্শনা মোহাম্মদপুর গ্রামের বারেক হাওলাদারের ছেলে ইসলাম হাওলাদার (৩৫),একই পাড়ার সুকুমার আলীর ছেলে লিটন(২৮)ও আজমপুর গ্রামের হারুন অর রশিদের ছেলে অন্তর(২৫) সাথে সাথে তাদের ৩ জনকে উদ্ধার করে দর্শনা মা ও শিশু জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের ৩ জনের মধ্যে একজনের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে রেফার্ড করেছে। বাকী ২ জন প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরছেন।

এ ঘটনায় দর্শনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি বিপ্লব কুমারসাহা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন সাথে সাথে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠায় এবং লাশ পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়। পরে তার দুই সন্তান এসে বলে আমরা কোন অভিযোগ করবো না। পরে তার পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করে দিয়েছি। দূর্ঘটনা কবলিত মোটরসাইকেল ও বাইসাইকেল হিজলগাড়ি ক্যাম্প হেফাজতে আছে। এ বিষয়ে দর্শনা থানায় একটি অপমৃত্য মামলা হয়েছে।




কুষ্টিয়াতে নারী বাতায়নের উদ্যোগে কারাবন্দীরা মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ

কুষ্টিয়া কেন্দ্রীয় কারাগারের কয়েদি ও হাজতি মহিলাদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) সকালে কারাগারে বন্দী ৩৪ জন মহিলা ও মায়েদের সাথে থাকা ৪ জন শিশুদের মাঝে এ শীত বস্ত্র বিতরণ করা হয়।

কুষ্টিয়ায় নারীদের নিয়ে কাজ করা মৌবন পরিচালিত ‘নারী বাতায়ন’ সংস্থার সভাপতি সাফিনা আনজুম জনির উদ্যোগে এসব বস্ত্র বিতরণ করা হয়।

কুষ্টিয়া জেলা কারাগার পরিদর্শন শেষে কয়েদীদের মাঝে এসব শীতবস্ত্র বিতরণ করেন জেলা প্রশাসক মো: এহেতেশাম রেজা।

নারী বাতায়নের এমন মানবিক কর্মকান্ডের ভুয়সী প্রশংসা করে জেলা প্রশাসক বলেন, বন্দীদেরও পরিবার রয়েছে। অথচ এই কারাগারে থাকার কারনে অনেক সময় অনেক কিছু থেকে বঞ্চিত হয়ে থাকে। ঠিক শীতের শুরুর এই সময়ে আজকের দেওয়া এই শীতবস্ত্র তাদের অনেকটা শীতের কষ্ট লাঘব করবে।

কারাগার পরিদর্শনকালে তিনি জেলে আটক কয়েদিদের খোঁজ-খবর নেন এবং তাদের শৃংখলা মেনে সুন্দর জীবনে ফিরে আসার আহ্বান জানান।

এসময় জেল সুপার আঃ বারেক, জেলার আবু মুছা, জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ মুরাদ হোসেন, জেলা মহিলা বিষয়ক অফিসার নুরে সফুরা ফেরদৌস, দিশার সহকারী পরিচালক এম আর ইসলাম,ব্লাষ্টের সমন্বয়কারী এ্যাড. শংকর মজুমদার, নারী বাতায়নের কর্মকর্তা এসএম জামাল, মৌবন মাশালার সুপারভাইসার এমদাদ হোসেন সহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।




মেহেরপুরে লক্ষ্যমাত্রার বেশি শিশুকে ভিটামিন-এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়েছে

জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন-২০২৩ এর আওতায় মেহেরপুর জেলায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি শিশুকে ভিটামিন-এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) মেহেরপুর পৌরসভা ও তিনটি উপজেলাকে ৫৪ টি ওয়ার্ডে বিভক্ত করে একযোগে মোট ৪৭৫ টি কেন্দ্রের মাধ্যমে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত জেলার সকল ৬-১১ মাস বয়সী ৮৪৩০ জন শিশুকে একটি করে নীল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল (১ লাখ আইইউ) এবং ১২-৫৯ মাস বয়সী ৬১০৪৩ জন শিশুকে লাল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল (২ লাখ আইইউ) খাওয়ানো হয়েছে।

ইতোপূর্বে গত ৬ ডিসেম্বর সিভিল সার্জন মেহেরপুরের সম্মেলন কক্ষে জেলায় কর্মরত সকল প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার প্রতিনিধিগণের সাথে অনুষ্ঠিত এক ওরিয়েন্টেশন সভায় সিভিল সার্জন ডা. মহী উদ্দিন আহমেদ জানিয়েছিলেন মেহেরপুর জেলায় এবছর ৬৮ হাজার ৬৫৭ জন শিশুকে ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইনের আওতায় আনা হবে।

সিভিল সার্জন ডা. মহী উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমরা লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি শিশুকে ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইনের আওতায় আনতে পেরেছি। আমাদের সকলের জন্য এটা আনন্দের একটি বিষয়। এবার জেলায় ৬-১১ মাস বয়সী ৮৪৯৭ জন শিশুকে টিকা খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও খাওয়ানো সম্ভব হয়েছে ৮৪৩০ জনকে। আর ১১-৫৯ মাস পর্যন্ত লক্ষ্যমাত্রা ৬০৯২৫ জন থাকলেত টিকা খাওয়ানে সম্ভব হয়েছে ৬১০৪৩ জনকে। ক্যাম্পেইনের সার্বিক তদারকি করতে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছিলো। ‘

এ সময় তিনি আরো বলেন, ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল শিশুর অপুষ্টি, অন্ধত্ব প্রতিরোধ, দেহের স্বাভাবিক বৃদ্ধি নিশ্চিত, হাম ও ডায়রিয়াজনিত মৃত্যুর হার হ্রাসসহ সব ধরনের মৃত্যুর হার হ্রাস করে।’