প্রেসক্রিপশন নির্ভর বিএনপির রাজনীতি

‘তালগোল পাকানো’ শব্দটার প্রতিশব্দ হলো, মারাত্মক ভুল; মন্দভাবে পরিচালনা করা ইত্যাদি। এই ‘তালগোল পাকানো’ শব্দটা বর্তমান রাজনীতিতে সুনির্দিষ্ট করে বললে বিএনপি-জামায়াতের রাজনীতিতে উল্লেখযোগ্য। কীভাবে?

আপনি যদি রাজনীতি সংশ্লিষ্ট বা রাজনীতি সচেতন মানুষ হন তবে গভীরভাবে লক্ষ্য করে দেখবেন, বিএনপি-জামায়াতের রাজনীতিতে প্রধান স্পোক পার্সন আসলে কে এটা খুঁজে পাওয়া যাব না। একেক সময় একেকজন আর্বিভূত হন। যখন কাউকে পাওয়া যায় না তখন অবতাররূপী কাউকে কাউকে দেখা যায়।

কে তাদের রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করছে বা কে তাদের রাজনৈতিক নির্দেশনা দিচ্ছে? এইরকম একজন নয়, অসংখ্য লোক পাবেন। কেন অসংখ্য? কারণ তারা আসলে সুনির্দিষ্ট কোনো লক্ষ্য বা উদ্দেশ্যে নিয়ে রাজনীতি করছে না। সময়ের সাথে সাথে তাদের রাজনৈতিক লক্ষ্য পরিবর্তিত হয়। একেক সময় তারা একেক ধরনের দফা-রফা নিয়ে মাঠে নামে। সহজ করে বললে, তাদের রাজনীতি হলো ‘প্রেসক্রিপশনের রাজনীতি’।

ডাক্তার যেমন রোগী দেখে বিভিন্ন ওষুধ প্রেসক্রিপশনে লিখে দেন বিএনপি-জামায়াতের রাজনীতিও বহুজনের প্রেসক্রিপশনে বা বহুজনের মতামতে বা বিদেশি নির্দেশ বা সুপারিশে চলছে।

বাংলায় দুইটি প্রবাদ বাক্য বিএনপি-জামায়াতের রাজনীতির জন্য প্রণিধানযোগ্য। ‘নানা মুনির নানা মত’ ও ‘অধিক সন্ন্যাসীতে গাজন নষ্ট’। এই অধিক সন্ন্যাসীরা কখনো বলছেন সংলাপ প্রয়োজন, কখনো বলছেন সংলাপ প্রয়োজন নেই বা বিএনপি সংলাপে যাবে না।

এরা কখনো বাইডেনের প্রতিনিধি ধরে আনে, কখনো বৈদেশিক শক্তির ভয় দেখায়, কখনো নির্বাচন বয়কট করার ঘোষণা দেয়, কখনো সরকার পতনের ঘোষণা দেয়, কখনো আবার ১১ দফা বা ১ দফার ঘোষণা দেয়। এতসব ঘোষণা বা কর্মসূচির ভিড়ে তাদের আসল লক্ষ্য কী তাই বোঝা যাচ্ছে না।

আরও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, বিএনপি-জামায়াতের কোনো রাজনৈতিক এজেন্ডায় জনগণের চাহিদা গুরুত্ব পায়নি। জনগণ যখন পণ্যের উচ্চমূল্য নিয়ে প্রতিবাদ করছে তখন তাদের কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি নেই, নেই আন্দোলন, নেই বিক্ষোভ। তখনো তারা সরকার পতন নিয়ে ব্যস্ত। সরকার পতন অবশ্যই তাদের আন্দোলনে থাকবে কিন্তু তার সাথে সাথে জনগণের চাহিদা কেন তাদের মাথায় থাকবে না তা আমরা বুঝি না। এর মূল কারণ হলো, বিএনপি-জামায়াতের আন্দোলনের এই প্রেসক্রিপশন তাদের নিজেদের নয়। অন্য কোনো শক্তির বলে দেওয়া আন্দোলন বা এজেন্ডা। মূল কারণ হলো, ‘নানা মুনির নানা মত’ ও ‘অধিক সন্ন্যাসীতে গাজন নষ্ট’।

একদিকে যেমন নেতৃত্ব শূন্যতা অপরদিকে যারা নেতৃত্ব দিচ্ছেন তারাও বিভিন্নজনের ‘প্রেসক্রিপশন’ শুনে মূল বিষয় বলতে গিয়ে তালগোল পাকিয়ে ফেলেন।

যখন নিজেদের লক্ষ্য স্থির থাকে না তখন বাইরের কেউ এসে তার মতো করে লক্ষ্য স্থির করে দেয়। যেমন মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ নেতা এবং দলের ভাইস চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, ‘বিএনপির ভোটে অংশ নেওয়া উচিত। বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিলে আমি এই দল থেকেই নির্বাচন করব।’ অথচ এই কথাটা বিএনপির বাকি নেতাদের মুখে নেই। তারা একেকসময় একেক কথা বলছেন। বিএনপির সামগ্রিক অস্থিরতা এখন দলের বিভাজন রেখা বড় করে দিয়েছে।

তৃণমূল বিএনপির চেয়ারপার্সন শমসের মুবিন চৌধুরী বলেন, তৃণমূল বিএনপি দলীয় নিয়ম নীতি মেনে পরিচালিত হবে। প্রাইভেট কোম্পানি হবে না। তৃণমূল বিএনপি হবে বাংলাদেশের তৃণমূল কংগ্রেস। আমরা আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করব। তৃণমূল বিএনপির মহাসচিব অ্যাডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার বলেছেন, নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ার আশ্বাস পেলে তারা নির্বাচনে অংশ নেবেন। ৩০০ আসনে প্রার্থী দেবেন।

অনেকেই ধারণা করছেন, একাধিক রাজনৈতিক মতবাদের কারণে তাদের এই বিভাজন। আরও বিস্ময়কর হলো, ২৮ তারিখ থেকে হরতাল, অবরোধের কর্মসূচির ঘোষণা এসেছে বিএনপি থেকে। তাদের সিনিয়র নেতার এই কর্মসূচি দিয়েছেন। এখন দিচ্ছে গণতন্ত্রর মঞ্চ আর জামায়াত।

সরকারের পদত্যাগ ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন ও বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামসহ বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে আগামী ১২ ও ১৩ নভেম্বর সারা দেশে চতুর্থ দফায় (৪৮ ঘণ্টা) সর্বাত্মক অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে গণতন্ত্র মঞ্চ।

রোববার (১২ নভেম্বর) ও সোমবার (১৩ নভেম্বর) আবারো টানা ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। সরকারের পদত্যাগ, নির্বাচনকালীন কেয়ারটেকার সরকার গঠন, আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমানসহ সকল রাজবন্দি এবং ওলামা-মাশায়েখের মুক্তি, মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও দ্রব্যমূল্য মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে নিয়ে আসার দাবিতে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে দলটি।

এরা কিন্তু একসাথে রাজনীতি করে, অথচ তারা একেক উদ্দেশ্য নিয়ে আলাদা আলাদাভাবে অবরোধ ডাকছে। বিষয়টা কি এখন পরিষ্কার যে, যে দলের কাছে যে ধরনের প্রেসক্রিপশন আসছে তারা সেইভাবে লক্ষ্য, উদ্দেশ্য নিয়ে কর্মসূচি দিচ্ছে।

তাদের জোটবদ্ধ হয়ে লক্ষ্যে ফিরতে হবে। ক্লোজআপ ওয়ানের সেই গানের মতো—যদি লক্ষ্য থাকে অটুট বিশ্বাস হৃদয়ে, হবেই হবে দেখা, দেখা হবে বিজয়ে। বিএনপি-জামায়াতের উচিত বিভিন্নজনের প্রেসক্রিপশন বাদ দিয়ে জনগণকে সাথে নিয়ে রাজনীতি করা।

লেখক: গণমাধ্যমকর্মী।




স্নাতক পাসে নিয়োগ দেবে গ্রিনডেল বাংলাদেশ

নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে গ্রিনডেল বাংলাদেশ লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটিতে মার্কেটিং অফিসার পদে নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহী যোগ্য নারী প্রার্থীরা অনলাইনের মাধ্যমে সহজে আবেদন করতে পারবেন।

পদের নাম

মার্কেটিং অফিসার।

শিক্ষাগত যোগ্যতা

প্রার্থীকে যেকোনো বিষয়ে স্নাতক/ স্নাতকোত্তর পাস হতে হবে। বয়স সর্বোচ্চ ৩৫ বছর হতে হবে। পুরুষ প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন।

কর্মস্থল

বাংলাদেশের যে কোনো স্থানে

আবেদনের পদ্ধতি

আগ্রহী প্রার্থীরা বিডিজবস অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।

আবেদনের শেষ তারিখ

২০ নভেম্বের , ২০২৩।

সূত্র : বিডিজবস




এক হলে ‘আজব ছেলে’

১৬ বছরের এক কিশোর হেঁটে চলেছে। পথে আসে নানা বাধা। কেন তার এই যাত্রা এবং শেষ পর্যন্ত গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবে কি না-এসবের উত্তর পাওয়া যাবে আজ ‘আজব ছেলে’ সিনেমায়। মুহম্মদ জাফর ইকবালের ছোটগল্প ‘আজব ছেলে’ অবলম্বনে নির্মিত হয়েছে সিনেমাটি।

সরকারি অনুদানে মুক্তিযুদ্ধের গল্পের এ সিনেমা বানিয়েছেন মানিক মানবিক। শিশুতোষ এ সিনেমার নামভূমিকায় অভিনয় করেছেন রিদওয়ান সিদ্দিকী। অন্যান্য চরিত্রে আছেন তৌকীর আহমেদ, সাজু খাদেম, তাহমিনা অথৈ প্রমুখ।

নির্মাতা মানিক মানবিক বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের এত সুন্দর একটা গল্প। যেখানে কোনো মারামারি নেই, গোলাগুলি নেই, মুক্তিযোদ্ধা, রাজাকারদের লড়াই নেই। কিন্তু তারপরেও এটি মুক্তিযুদ্ধের গল্প। এটাই আমাকে বেশি আকৃষ্ট করেছে। দর্শকেরও ভালো লাগবে।’

পরিচালনার পাশাপাশি আজব ছেলের চিত্রনাট্যও লিখেছেন মানিক মানবিক। সংগীত পরিচালনায় সানী জোবায়ের। ২০১৮ সালে ৬০ লাখ টাকা সরকারি অনুদান পেয়েছিল সিনেমাটি। পাঁচ বছর পর অবশেষে ছবিটি এলো মুক্তির আলোয়। তাও আবার কেবল একটি প্রেক্ষাগৃহে। শুধুমাত্র একটি হলে আজ মুক্তি পেয়েছে ‘আজব ছেলে’।

হল কম প্রসঙ্গে নির্মাতা বলেন, এই ধরনের ছবি সাধারণত হল পায় না। কেননা হল মালিকরা ধরে নেন, এসব ছবি দর্শক দেখে না। ফলে স্বল্প পরিসরে মুক্তি পেলেও বিভিন্ন উৎসবে ছবিটি নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন তিনি। যেমন আসন্ন ২২তম ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে জায়গা করে নিয়েছে ‘আজব ছেলে’।

সম্প্রতি রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে ‘আজব ছেলে’ ছবিটির প্রিমিয়ার হয়েছে। সেখানে উপস্থিত হয়ে ছবিটি দেখেছেন মুহম্মদ জাফর ইকবাল। তিনি বলেছেন, ‘একজন লেখক কিছু লেখেন, সেটা একরকম। সেটাকে যখন চলচ্চিত্রে রূপ দেওয়া হয়, তখন কিন্তু একদম ভিন্ন। আমার গল্পটা লেখার উদ্দেশ্য ছিল যারা মুক্তিযুদ্ধ দেখেনি, তারা যেন অনুভব করতে পারে ওই সময়ে কত কী ঘটেছে; তার মধ্যে একটা নির্দিষ্ট কষ্টের কথা বোঝানোর চেষ্টা করেছি। ছবিটা দেখার পর আমার মনে হয়েছে, সেই বিষয়টি নির্মাতা ও অভিনয়শিল্পীরা খুব সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন।’

সূত্র: ইত্তেফাক




মেহেরপুর জেলা প্রেসক্লাবের ক্যারাম প্রতিযোগিতার চ্যাম্পিয়ন তোজাম্মেল- রুপক জুটি

মেহেরপুর জেলা প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠার ৭ বছর উপলক্ষে ক্যারাম প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছে তোজাম্মেল আযম- মতুর্জা ফারুক রুপক জুটি। নক আউট পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত প্রতিযোগীতার ফাইনাল খেলায় সিরাজুদ্দোজা পাভেল-শাকিল রেজা জুটিকে পরাজিত করে।

শুক্রবার দিন ব্যাপী মেহেরপুর জেলা প্রেস ক্লাবে এ প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিযোগীতায় ১৬ জন খেলোয়াড় ৮টি দলে বিভক্ত হন লটারির মাধ্যমে। প্রতিযোগীতার প্রথম পর্বে খেলা হয় ৪টি ম্যাচ। চার ম্যাচর বিজয়ী তোজাম্মেল-রুপক, মাসুদ-শাহিন, শাকিল-পাভেল, রাফি-সোমেল জুটি অংশ নেন সেমিফাইনাল পর্বে। সেমিফাইনালে বিজয়ী হয়ে তোজাম্মেল-রুপক জুটি এবং শাকিল-পাভেল জুটি বিজয়ী হয়ে ফাইনাল খেলার সুযোগ লাভ করে।

খেলায় মেহেরপুর অন্যদের মধ্যে ঢাকা মেইলের প্রতিনিধি তোফায়েল ও মাইটিভির গাংনী প্রতিনিধি মাসদ রানা, মেহেরপুর প্রতিদিনের সম্পাদক ও কালের কন্ঠ প্রতিনিধি ইয়াদুল মোমিন ও মেহেরপুর প্রতিদিনের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক মাহাবুব চান্দু, বাংলা টিভি প্রতিনিধি আক্তারুজ্জামান ও সাংবাদিক এস এম তারেক, বাসস প্রতিনিধি দিলরুবা ও মেহেরপুর প্রতিদিনের নিজস্ব প্রতিনিধি উবাইদুল্লাহ সাদিক অংশ নেন।

আজ শনিবার প্রেস ক্লাবের বার্ষিক সাধারণ সভা শেষে চ্যাম্পিয়ন, রানার্স আপ ও অংশগ্রহনকারীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে।




লড়াই, সংগ্রাম, সাফল্য ও উন্নয়নের পথিকৃৎ শেখ হাসিনা

লড়াই, সংগ্রাম, সাফল্য ও উন্নয়নের নাম শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধুর নিজ হাতে গড়া দলটি যখন যোগ্য নেতৃত্বের সংকটে, ঠিক সেই সময় দলের ঐক্যের প্রতীক হিসেবে আবির্ভাব হয় শেখ হাসিনার। ১৯৮১ সালে শেখ হাসিনার অনুপস্থিতিতে তাঁকে সর্বসম্মতিক্রমে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত করা হয়। নির্বাচিত হওয়ার সাড়ে তিন মাসের মাথায় ওই সময়কার সরকারের রক্তচক্ষু ও নানা বাধা উপেক্ষা করে দীর্ঘ ৬ বছরের নির্বাসিত জীবন শেষ করে ১৭ মে দেশে ফেরেন তিনি।

বাবা-মায়ের স্নেহের যে বাড়িতে বড় হয়েছেন, সেই ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের সেই বাড়িতে, প্রবেশে বাধাপ্রাপ্ত হওয়ার মধ্য দিয়ে শুরু হয় শেখ হাসিনার কণ্টকাকীর্ণ পথ চলা। শুরু করেন দেশের গণতন্ত্র এবং জনগণের ভাত ও ভোটের অধিকার নিশ্চিতের সংগ্রাম। আর এই সংগ্রামের পথে তাকে পার হতে হয় নানা প্রতিবন্ধকতা। কারাবরণ করতে হয় একাধিকবার। অদ্যাবধি তাঁকে হত্যার জন্য ২০বার সশস্ত্র হামলা করা হয়। অধিকার আদায়ের সংগ্রামে বারবার মৃত্যুর মুখে পড়েছেন তিনি। তবুও পিছপা হননি, লড়াই সংগ্রাম ছেড়ে দেননি শেখ হাসিনা। শত বাধা-বিপত্তি, জেল-জুলুম, অত্যাচার-নির্যাতন এবং হত্যার হুমকিসহ কোন কিছুই তাকে টলাতে পারেনি একবিন্দুও। বরং সাহসের সঙ্গে এগিয়ে গেছেন সামনের দিকে।

২০০৬ সালে বিএনপি-জামায়াত সরকারের মেয়াদ শেষ হলেও নানা রকমের টাল-বাহানা করে ক্ষমতা হস্তান্তরে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। নতুন ভোটার তালিকায় ১ কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার অন্তর্ভুক্ত করে নির্বাচনী বৈতরণী পার হওয়ার ষড়যন্ত্রও করেছিল তারা। দলীয় রাষ্ট্রপতি ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদকেই প্রধান উপদেষ্টার পদ দিয়ে হাস্যকর এক তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করে ৬ জানুয়ারি নির্বাচনের নামে প্রহসন আয়োজনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছিল। কিন্তু সচেতন দেশবাসী এসব অনিয়ম ও ক্ষমতা কুক্ষিগত করার অপকৌশলকে ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করে। সে সময় বিদ্যমান রাষ্ট্রীয় সংকট ও অরাজক পরিস্থিতিতে সেনা সমর্থিত আরেক নতুন ধরনের তত্ত্বাবধায়ক সরকার জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করে। কিন্তু তারাও নির্দিষ্ট সময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠান না করে ক্ষমতা দীর্ঘস্থায়ী করাসহ নানা বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হয়।

বিলম্বে হলেও তারা পূর্বোক্ত ভোটার তালিকা সংশোধন ও ছবিযুক্ত ভোটার তালিকা তৈরির মাধ্যমে একটি সর্বজনগ্রাহ্য নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে বাধ্য হয়। সেই ২০০৮ সালের নির্বাচনে “দিন বদলের সনদ”-রূপকল্প ২০২১ বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠন শিরোনামে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার ভূমিধস বিজয় অর্জন করে।
এরপর ২০১৪ সালে “এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ” স্লোগানে সরকার গঠন করে ১০টি মেগা উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করেন। ২০৪১ সালের উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ এবং ২১০০ সালে “নিরাপদ ব-দ্বীপ” প্রণয়নের রূপরেখা প্রদান করে ২০১৮ সালে “সমৃদ্ধির অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ” শিরোনামে আবারও সরকার গঠন করে। ফলস্বরূপ আজ অবধি দেশের মানুষ জননেত্রী শেখ হাসিনার ওপর আস্থা রেখেছে বলেই দেশের বিভিন্ন খাতে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জনের মাধ্যমে ধারাবাহিক উন্নয়নের প্রতিফলন দৃশ্যমান হচ্ছে এবং দেশের মানুষ এর সুফল ভোগ করছে।

আধুনিক যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে শেখ হাসিনা সরকার বিভিন্ন মেগা প্রকল্প প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করে চলেছে এবং যোগাযোগ খাতে বৈপ্লবিক উন্নয়ন হয়েছে। নদীমাতৃক বাংলাদেশে নিরবচ্ছিন্ন সড়ক ও রেলযোগাযোগ স্থাপনের জন্য পদ্মাসেতু, বঙ্গবন্ধু যমুনাসেতু, তিস্তাসেতু, পায়রাসেতু, দ্বিতীয় কাঁচপুরসেতু, দ্বিতীয় মেঘনা ও গোমতী সেতুসহ শত শত সেতু, সড়ক, মহাসড়ক নির্মাণ, পুনঃনির্মাণ করেছে সরকার। এছাড়া ঢাকায় হানিফ ফ্লাইওভার, তেজগাঁও-মগবাজার-মালিবাগ ফ্লাইওয়ার, কমলাপুর-শাহজাহানপুর ফ্লাইওভার, বনানী ফ্লাইওভার, টঙ্গীতে আহসানউল্লাহ মাস্টার ফ্লাইওভার, চট্টগ্রামে আক্তারুজ্জামান চৌধুরী ফ্লাইওভার ও বদ্দারহাট ফ্লাইওভারসহ বহুসংখ্যক ছোট-বড় ফ্লাইওভার নির্মাণ করে যাচ্ছে।

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ক্ষেত্রেও বাংলাদেশ শেখ হাসিনার হাত ধরেই নতুন যুগে প্রবেশ করেছে, স্থান করে নিয়েছে স্যাটেলাইট বিশ্বে। ইতোমধ্যেই বাংলাদেশ মহাকাশে উৎক্ষেপন করেছে কৃত্রিম উপগ্রহ বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-২ উৎক্ষেপনেরও প্রস্তুতি চলছে। গভীর সমুদ্রের তলদেশে অপটিক্যাল ফাইবার নির্মাণ এবং মহাকাশে স্যাটেলাইট স্থাপনের মাধ্যমে ইন্টারনেট সেবা সহজতর হয়েছে।
দেশে বর্তমানে প্রায় ১৮ কোটির বেশি মোবাইল ফোন ব্যবহার হচ্ছে। ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১১ কোটিতে উন্নীত হয়েছে। একসময় দেশের টিভি চ্যানেল গুলো স্যাটেলাইট ভাড়া বাবদ বছরে ১ কোটি ৪০ লাখ ডলার ব্যয় করত। সে টাকা এখন থেকে দেশেই থেকে যাবে।
বাংলাদেশ বেতারসহ দেশের সবক’টি টেলিভিশন চ্যানেল এবং দেশের একমাত্র ডিটিএইচ অপারেটর ‘আকাশ’ বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর সেবা নিচ্ছে। এ ছাড়াও দেশের ৩১টি দুর্গম ও প্রত্যন্ত দ্বীপাঞ্চলের ১১২টি স্থানে টেলি যোগাযোগ ও ইন্টারনেট সেবা প্রদান করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে দেশের অনেক স্বনামধন্য ব্যাংক, বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও সশস্ত্রবাহিনী বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ ব্যবহার করে তাদের সেবা দেওয়া শুরু করেছে। ফলে মোবাইল ব্যাংকিং কার্যক্রম চালু, উপজেলা শহরে ব্যাংকের এটিএম বুথ নির্মাণসহ সহজলভ্য ইন্টারনেট সেবা এখন মানুষের দোরগোড়ায়।

শুধু দেশি সংস্থা নয়, বাংলাদেশের পাশাপাশি বিশ্বের আরো কয়েকটি দেশের বিভিন্ন টিভি চ্যানেল বর্তমানে বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট থেকে ট্রান্সপন্ডার ভাড়া নিয়ে ব্যবহার করছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য দেশ গুলো হচ্ছে হন্ডুরাস, তুরস্ক, ফিলিপাইন, ক্যামেরুন ও দক্ষিণ আফ্রিকা। সরকার প্রধান শেখ হাসিনার ঐকান্তিক প্রচেষ্টা ও সুদূর প্রসারী পরিকল্পনার ফলশ্রুতিতেই এ সব কিছু বাস্তবায়ন করা সম্ভব হচ্ছে। শুধু তাই নয়, অর্থনৈতিক মন্দা, করোনা মহামারি ও ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ বিশ্বব্যাপী সংকট সৃষ্টি করলেও জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ ‘সতর্ক’ অবস্থানে থেকে এবং অনেক ক্ষেত্রে ‘কৃচ্ছতা’ অবলম্বনের মাধ্যমে সে সংকট এখন পর্যন্ত সফলভাবে মোকাবিলায় সক্ষমতা অর্জন করেছে।

দেশের অর্থনীতি এখনো বেগবান রয়েছে। ২০৩৭ সালের মধ্যে বাংলাদেশের অর্থনীতির আকার বিশ্বের ২০তম অবস্থান অর্জন করবে বলেও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গবেষণায় সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে। অথচ বিএনপি-জামায়াতসহ একদল ষড়যন্ত্রকারী বাংলাদেশকে বরাবরের মতো পিছিয়ে নেবার যারপরনাই চেষ্টা করে যাচ্ছে। তাদের বিরতিহীন অপতৎপরতা, সব ষড়যন্ত্রকারী এবং “নিন্দুকের মুখে ছাই” দিয়েই শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে চলেছে দুর্বার গতিতে।
তলাবিহীন ঝুড়ি হিসেবে পরিচিত বাংলাদেশ এখন বিশ্বে একটি উন্নয়নের রোলমডেল। এর পুরোটাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কৃতিত্ব। তার এই অনন্য কৃতিত্বে গর্বিত বাংলাদেশ, গর্বিত বাঙালি জাতি। দেশবাসীর উচিত ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য উন্নত ও সমৃদ্ধ রাষ্ট্রের স্বপ্ন বাস্তবায়নকে উপলব্ধি করা এবং সে মতে কার্যক্রম গ্রহণ করা।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, নির্বাচন এলেই বিএনপিসহ নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী রাজনৈতিক দলগুলো জনগণকে আকৃষ্ট করতে অনেক প্রতিশ্রুতির ফুলঝুরি দিয়ে থাকে। অতীতে দেখা গেছে, আওয়ামী লীগ ছাড়া বিএনপি-জাতীয় পার্টি বা অন্যান্য দল যারা বৈধ-অবৈধভাবে ক্ষমতায় এসেছে, তারা জনগণকে দেয়া অঙ্গীকারের ৩০ ভাগও বাস্তবায়ন করেনি। এমনকি প্রতিশ্রুতি পূরণে তেমন কোন উদ্যোগ দেখা যায়নি। সেক্ষেত্রে ব্যতিক্রম একমাত্র শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ, নির্বাচনের আগে যেসকল প্রতিশ্রুতি দিয়ে তারা ক্ষমতায় এসেছে, তার শতভাগ পূরণ করার চেষ্টা করেছে এবং জনগণের আস্থা-বিশ্বাস আরও দৃঢ় করতে সক্ষম হয়েছে।

সরকার প্রধান শেখ হাসিনাও চলমান মেয়াদে চতুর্থ বছর পূর্তিতে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে বলেছেন, “এই ১৪ বছরে আমরা দেশ এবং দেশের জনগণকে কী দিতে পেরেছি- তার বিচার-বিশ্লেষণ আপনারা করবেন”। তিনি আরও বলেন, “রূপকল্প ২০২১-এর পর আমরা রূপকল্প ২০৪১ এবং বদ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০ প্রণয়ন করেছি। রূপকল্প ২০২১-এ আমরা অন্যান্য লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের পাশাপাশি ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে চেয়েছিলাম। আজ সন্তুষ্টচিত্তে বলতে পারি, আমরা সে প্রতিশ্রুতি পূরণে সক্ষম হয়েছি”। আর এই বিশাল সফলতা ও বদলে দেয়া দেশের অর্জনগুলো সামনে রেখেই শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ আগামী দ্বাদশ নির্বাচনে “স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ”-এর প্রতিশ্রুতিকে সামনে রেখে কাজ করে যাচ্ছে।

এরইমধ্যে প্রধানমন্ত্রী এ নিয়ে বিশদ বিবরণও দিয়েছেন। এ কথা আজ সর্বাংশে সত্য যে, শেখ হাসিনা তার সুচিন্তিত ও বলিষ্ঠ নেতৃত্ব দিয়ে বাংলাদেশকে মর্যাদার আসনে আসীন করেছেন।
বাংলার মানুষ বিশ্বাস করে একমাত্র শেখ হাসিনাই পারবেন মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় সুখী, সমৃদ্ধিশালী সোনার বাংলা গড়তে। এজন্য শেখ হাসিনার হাতকে আরো শক্তিশালী করা দরকার। বিগত সময়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ যে অভূতপূর্ব উন্নয়ন ও সাফল্য অর্জন করছে, সেই ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হলে আমাদের সকলের উচিত সরকারকে সকল কর্মকাণ্ডে সহায়তা ও আকুণ্ঠ সমর্থন অব্যাহত রাখা।

লেখক: প্রক্টর, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট।




ভারতের বিরুদ্ধে ‘টস জালিয়াতির’ অভিযোগ করায় বিব্রত আকরাম-মালিকরা

চলমান বিশ্বকাপে একমাত্র অপরাজিত দল স্বাগতিক ভারত। সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডকে ৭০ রানে হারিয়ে বিশ্বকাপ এক যুগ পর ফাইনালে উঠেছে ভারত। ম্যাচের আগে ভারতের বিপক্ষে পিচ পাল্টানোর অভিযোগ তুলেছিল বৃটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইল। ম্যাচের পর ভারতের বিরুদ্ধে টস জালিয়াতি করার অভিযোগ তুলেন পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটার সিকান্দার বখত। তবে তার এই অভিযোগে বিব্রত হয়েছেন দেশটির কয়েকজন সাবেক অধিনায়ক।

পাকিস্তানের টিভি চ্যানেল জিও সুপারের স্পোর্টস শোতে সিকান্দার বখত বলেছিলেন, ‘আমি কি সামান্য অপকর্মকেও সমর্থন করতে পারি? টসের সময় রোহিত মুদ্রা একটু দূরে নিক্ষেপ করে, সেটি প্রতিপক্ষ অধিনায়কের নাগালের বাইরে চলে যায়। নিজের পছন্দ অনুযায়ী মুদ্রার পিঠ উঠেছে কি না, এটা যেন প্রতিপক্ষ অধিনায়ক সেখানে গিয়ে দেখতে না পারে।’

তার এমন মন্তব্যে বেশ বিব্রত হয়েছেন মঈন খান, ওয়াসিম আকরাম ও শোয়েব মালিক। পাকিস্তানি চ্যানেল ‘এ স্পোর্টসে’র বিশ্বকাপ আয়োজন ‘প্যাভিলিয়ন’- তার এমন মন্তব্য প্রসঙ্গে আকরাম বলেন, ‘কয়েন নিক্ষেপের পর কোন জায়গায় পড়বে, এটা কে নির্ধারণ করে? এই বিষয়ে আমি বিব্রতবোধ করছি। এমনকি এ বিষয়ে কোনো মন্তব্যও করতে চাচ্ছি না।’

অলরাউন্ডার শোয়েব মালিক এ বিষয়ে কোন শব্দ খরচ না করে বলেন, ‘এটা নিয়ে কোনো আলোচনাই করা উচিত নয়।’

মঈন খান সিকান্দার বখতকে খোঁচা দিয়ে বলেন, ‘তিনি ভুল বলেছেন। একটা হইচই তৈরি করতে চাইছেন। আলোচনায় আসতে চাইছেন। সব অধিনায়কেরই তো কয়েন টস করার আলাদা ধরন থাকে।’

সূত্র: ইত্তেফাক




হোয়াটসঅ্যাপে এসেছে ভয়েস চ্যাট ফিচার

অবশেষে ভয়েস চ্যাট ফিচার রোল আউট হলো হোয়াটসঅ্যাপে। হোয়াটসঅ্যাপ ব্যক্তিগত চ্যাটের পাশাপাশি গ্রুপ চ্যাট তৈরির অপশন রয়েছে। দিন দিন সেই গ্রুপে ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এ অবস্থায় গ্রুপের সদস্যরা যাতে সুনিপুণভাবে যোগাযোগ করতে পারেন সেজন্য নতুন এই ফিচার যুক্ত করা।

কল করে গ্রুপের সবাইকে বিরক্ত না করার ক্ষেত্রে ফিচারটি বেশ কাজের হবে বলেই মনে করছে মেটা। হোয়াটসঅ্যাপে যে বড় গ্রুপগুলো রয়েছে তার জন্য গ্রুপ কলের ফিচার রেখেছে মেটা। কিন্তু ভয়েস চ্যাট ফিচার আসার ফলে কমিউনিকেশন আরও সহজ হবে।

এই সুবিধা সব গ্রুপে পাওয়া যাবে না বলে জানিয়েছে হোয়াটসঅ্যাপ। যেসব হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে সদস্য সংখ্যা ৩৩ থেকে ১২৮ সেখানেই পাওয়া যাবে এই সুবিধা। অন্যদিকে গ্রুপ কল ফিচার ৩২ জন সদস্য-যুক্ত গ্রুপেই সীমাবদ্ধ।

হোয়াটসঅ্যাপ আরও জানায়, শুধু প্রাইমারি ডিভাইসেই পাওয়া যাবে এই সুবিধা। লিঙ্কড ডিভাইসে এ সুবিধা থাকবে না। আর এই ভয়েস চ্যাট অ্যান্ড-টু-অ্যান্ড এনক্রিপ্টেড। অর্থাৎ প্রাইভেসি নিয়ে নিশ্চিত থাকতে পারেন।

হোয়াটসঅ্যাপে যখন কেউ গ্রুপ কল করে তখন রিং হয় ফোন, কিন্তু ভয়েস চ্যাট হবে চুপিসারে। ব্যবহারকারী এতে বিরক্ত হবেন না। স্বল্পমাত্রার শব্দে ফোন রিং বেজে উঠবে এবং গ্রুপেই একটি ইন-চ্যাট বাবেল শো যেখানে ক্লিক করে যোগদান করতে পারবেন।

গ্রুপ কল করার সময় ইউজারকে প্রথমে কল স্ক্রিনে যেতে হয়, তারপর ‘+’ আইকনে ক্লিক করে সদস্য অ্যাড করতে হয়। বিষয়টা ঝামেলার। কিন্তু ভয়েস চ্যাটে থাকবে শুধু একটি ঢেউয়ের মতো ওয়েভফর্ম আইকন যেখানে ক্লিক করে ভয়েস চ্যাট শুরু করতে পারবেন।

সূত্র: গ্যাজেট ৩৬০




মেহেরপুরে কলাই’র বাম্পার ফলন, দামে খুশি চাষিরা

মেহেরপুর জেলার কৃষি নির্ভর এলাকাগুলোতে অল্প সময়ে ও স্বল্প খরচে অধিক মুনাফা পাওয়ায় ডালজাতীয় শস্য ‘কলাই’ এখন অর্থকরী ও লাভজনক ফসল হিসেবে চাষীদের কাছে আগ্রহের জায়গা করে নিয়েছে।

কৃষি বিভাগের মতে, অল্প সময়ে কম পরিশ্রম ও খরচের অধিক লাভ পাওয়াতে স্থানীয় কৃষকরা কলাই চাষে ঝুকছেন।

আর চলতি মৌসুমে কলাই চাষের জন্য আবহাওয়া উপযোগি থাকায় ফলন বিপর্যয়ের মুখে পড়তে হয়নি। যার ফলে বাম্পার ফলন হয়েছে। এছাড়াও বতর্মান বাজারে কলাইয়ের দামও ভালো।

সরজমিনে মেহেরপুর জেলার কলাই চাষি, ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, চলতি মৌসুমের শুরু থেকে শেষ পযর্ন্ত আবহাওয়া ছিলো কালাই চাষের জন্য বেশ উপযোগী। স্থানীয় বাজারে সর্বস্তরের মানুষের কাছে ডাল জাতীয় ফসলের মধ্যে জনপ্রিয় কলাই ডাল।

শুধু ডালের জন্যই নয়, কলাই দিয়ে তৈরি হয় শীতের পিঠা, বড়িসহ নানা ঐতিহ্যবাহী খাবার। কলাই রুটি শীতের সময় দেশের বিভিন্ন এলাকাতে ঐতিহ্যবাহী খাবার হিসেবেই পরিচিত।

এ বছর কলাইয়ের দাম অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে মণ প্রতি ৪ হাজার থেকে ৪ হাজার ৩০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

মেহেরপুর সদর উপজেলার কৃষক তৌহিদ বলেন, ‘কলাই চাষ করা তুলনামূলকভাবে অন্য যেকোনো চাষের চেয়ে সহজ। আমার এ বছর তিন বিঘা কলাই ছিলো। সব মিলিয়ে গড়ে বিঘা প্রতি ছয় মণ করে ফলন পেয়েছি অথচ গত বছর এই জমিতেই সাড়ে তিন মণ করে কলাই পেয়েছি। আবার এই বছর দামও বেশি।’

গাংনী উপজেলার কলাই চাষি একরামুল হোসেন বলেন, ‘আমি সপ্তাহখানেক আগে কলাই মাড়াই করে ঘরে তুলেছি। এবার আমার এক বিঘা কালাইয়ের আবাদ ছিলো। চাষ থেকে শুরু করে সব মিলিয়ে খরচ হয়েছে ২ হাজার টাকা। সেখানে ফলন পেয়েছি প্রায় ৭ মন। যার বাজার মূল্য ৩০ হাজার টাকা। খরচ বিবেচনায় এর চেয়ে কম খরচে বেশি লাভ করার মতো ফসল আর নেই।

কালাই ব্যাবসায়ী শফি আহমেদ বলেন, ‘বাজারে মাত্র নতুন কালাই আসতে শুরু করেছে। বতর্মান বাজার দর একটু বেশি। আমরা চাষিদের কাছ থেকে ভালো মানের কালাই গুলো ৪ হাজার ২০০ টাকা দরে মণ। আর গড়পড়তা মানের কালাই মন প্রতি ৪ হাজার টাকা দরে কিনছি।

মেহেরপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রশিক্ষণ অফিসার মো. সামসুল আলম বলেন, ‘ডাল জাতীয় চাষ কলাই মেহেরপুরে বেশ জনপ্রিয়। অধিকাংশ চাষি জমি ফেলে না রেখে কলাইয়ের আবাদ করে। এতে জমির উর্বরতা বাড়ার পাশাপাশি ভালো ফলন পাওয়া যায়। শীতকাল শুরু হলেই জেলায় কলাইয়ের চাহিদা বেড়ে যায়। চলতি মৌসুমে জেলায় প্রায় ২ হাজার হেক্টর জমিতে কলাই চাষ হয়েছে।




দর্শনার পারকৃষ্ণপুরে স্বল্প মুল্যে মাছের খাদ্য তৈরিসহ মাঠ দিবস পালিত

দর্শনা পারকৃষ্ণপুরে স্বল্প ব্যায়ে মাছের খাদ্য তৈরি ও মৎস মাঠ পালিত হয়েছে। ওয়েভ ফাউন্ডশনের সমন্তিত কৃষি ইউনিটভূক্ত মৎস্য খাতের উদ্যােগে দামুড়হুদার পারকষপুর-মদনা ইউনিয়নে এ মাঠ দিবস অনুষ্টিত হয়।

গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর ৩টায় হবা হালদারের সভাপতিত্বে মৎস্য জীবিদের মাছ চাষকে লাভজনক করার লক্ষ্য স্বল্প মুল্য ফিস ফিডর উদ্যাক্তা তৈরীতে মাঠ দিবস অনুষ্টিত হয়।

মাঠ দিবসে ইউনিয়নের প্রায় ছোটবড় একশত জন মৎসজীবি অংশগ্রহন করেন। মাঠ দিবস বিভিন্ন পর্যায়ের মৎস কর্মকর্তারা কিভাবে মৎসজীবিরা স্পল্প মুল্য ফিসফিড তৈরী করতে পারে তার কলা- কৌশল ও প্রক্রিয়া হাতেকলমে শিখায়ে দেয়। আধুনিক পদ্ধতিতে মাছচাষ করে কিভাবে লাভজনক হওয়া যায় সে বিষয়ে কর্মকর্তারা বিস্তারিত আলোচনা করেন।

আলোচনা শেষে মৎসজীবিদের সামনে একজন উদ্যাক্তা বড় বড় কোম্পানির উচ্চ মৃল্যর ফিস ফিড বাজার থেক না কিনে তার কেনা ছোট মেশিনে কিভাবে তিনি ফিড তৈরী করে মাছ চাষ করছেন তার ডেমী তুলে ধরেন।

মাঠ দিবস অনুষ্ঠানে অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন দর্শনা প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক হানিফ মন্ডল।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ওয়েভ ফাউন্ডশনের সহকারী পরিচালক কিতাব আলী, সিনিয়র সম্বয়কারী ও দর্শনা প্রেস ক্লাবের সহসভাপতি কামরুজ্জামান যুদ্ধ ও ওয়েভ ফাউন্ডশনের মৎস্য কর্মকর্তা এবিএম আরমান হুসাইন।




কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসকের সাথে মৌবনের নির্বাহী পরিচালকের সৌজন্য সাক্ষাৎ

কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক এহেতেশাম রেজা এর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও মতবিনিময় করেছেন মৌবনের নির্বাহী পরিচালক এবং নারী বাতায়নের সভাপতি সাফিনা আঞ্জুম জনী।

গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কুষ্টিয়ার কার্যালয়ে এ সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এসময় ফুলেল শুভেচ্ছা ও সাফিনা আঞ্জুম জনীর লেখা “ধুপকাঠি” বইটি জেলা প্রশাসকের হাতে তুলে দেন।

সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে ‘মৌবন’ পরিচালিত নারী বাতায়নের কর্মকান্ড নিয়ে ভুয়সী প্রশংসা করেন এবং নারীর অগ্রগামী ভুমিকা পালনের জেলা প্রশাসক সন্তোষ প্রকাশ করেন।

নারী উদ্যোক্তাদের জন্য কাজ করতে হবে বলে জানিয়ে জেলা প্রশাসক বলেন, সমাজ ও রাষ্ট্রের উন্নয়নে যুগে যুগে নারীরা বিশেষভাবে অবদান রাখছেন। বিশেষ করে দেশের অর্থনৈতিক মুক্তির লক্ষ্যে আমাদের নারী সমাজ নিজেদের আত্মনির্ভরশীল করার পাশাপাশি জাতীয়ভাবে অবদান রেখে যাচ্ছেন।

নারী বাতায়নের সভাপতি ও মৌবনের নির্বাহী পরিচালক সাফিনা আঞ্জুম জনী বলেন, কুষ্টিয়ায় অনেক নারী উদ্যোক্তারা ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। অনেক নারীই নিজেদের ইচ্ছে ও চেষ্টার একাগ্রতায় হয়ে উঠেছে সফল উদ্যোক্তা। কেউবা আবার সেই পথেই হাঁটার স্বপ্ন দেখছেন। যারা সেই স্বপ্নের পথে হাঁটার ইচ্ছে পোষন করছেন তাঁদের সাহস ও সম্মান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘নারীরা শুধু তাদের নিজেদের চেষ্টা ও আগ্রহে উদ্যোক্তা হয়ে উঠেছেন। অনেক নারী-উদ্যোক্তাদের ট্রেড লাইসেন্স থাকে না, টিন থাকে না, ব্যাংক হিসাব থাকে না। এজন্য তাদের ব্যবসা ব্যবস্থাপনার দক্ষতা উন্নয়নে নজর দেয়া প্রয়োজন।’

তাদের নিয়ে কাজ করতে সম্মিলিতভাবে চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে এবং তাদের এগিয়ে নিতে সাপ্তাহিক (নারী উদ্যোক্তাদের) হলিডে মার্কেট চালু ও নারী উদ্যোক্তাদের বিভিন্ন ক্ষেত্রে উন্নত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নিশ্চিতসহ কুষ্টিয়ার নারী উদ্যোক্তাদের জন্য উইমেন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি গঠনে জেলা প্রশাসকের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি।