মেহেরপুরে ৬৮ হাজারের বেশি শিশুকে ভিটামিন-এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে- সিভিল সার্জন

জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন-২০২৩ এর আওতায় মেহেরপুর জেলায় আগামী ১২ ডিসেম্বর ৬৮ হাজার ৬৫৭ জন শিশুকে ভিটামিন-এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।

আজ বুধবার (৬ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ১১ টায় মেহেরপুর জেলা সিভিল সার্জন এর সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় সিভিল সার্জন ডা. মহী উদ্দিন আহমেদ এ তথ্য জানান। মতবিনিময় সভায় মেহেরপুর জেলায় কর্মরত সকল প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।

সভায় আরও জানানো হয়, সারা দেশের ন্যায় আগামী ১২ ডিসেম্বর মেহেরপুর পৌরসভা ও তিনটি উপজেলাকে ৫৪ টি ওয়ার্ডে বিভক্ত করে মোট ৪৭৫ টি কেন্দ্রের মাধ্যমে ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী ৮২৪৭ জন এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী ৬০ হাজার ৪১০ জন শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এদিন সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত জেলার সকল ৬-১১ মাস বয়সী শিশুদের একটি করে নীল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল (১ লাখ আইইউ) ও ১২-৫৯ মাস বয়সী শিশুদের লাল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল (২ লাখ আইইউ) খাওয়ানো হবে।

সিভিল সার্জন ডা. মহী উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল শিশুর অপুষ্টি, অন্ধত্ব প্রতিরোধ, দেহের স্বাভাবিক বৃদ্ধি নিশ্চিত, হাম ও ডায়রিয়াজনিত মৃত্যুর হার হ্রাসসহ সব ধরনের মৃত্যুর হার হ্রাস করে। তবে ভরা পেটে ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়াতে হবে। কোন অসুস্থ শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো যাবে না। ইতিমধ্যে ক্যাম্পেইন সফল করতে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রচার-প্রচারণাসহ সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। এদিন উপজেলাগুলোতে স্বাস্থ্য পরিদর্শক, স্বেচ্ছাসেবক ও মাঠকর্মী নিয়োজিত থাকবে। ক্যাম্পেইন উপলক্ষে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে কন্ট্রোল রুম খোলা হবে।’

এ সময় সিভিল সার্জন ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন নিয়ে অতীতের মত গুজব সৃষ্টিকারীদের প্রতিহত করতে ও উৎসবমুখর পরিবেশে এই কর্মসূচি সফল করতে সহোযোহীতা কামনা করে গণমাধ্যম কর্মীদের অনুরোধ করেন।




বাংলাদেশের সিনেমা হলে ‘অ্যানিমেল’

গত ১ ডিসেম্বর ভারতসহ বিভিন্ন দেশে মুক্তি পেয়েছিল ‘অ্যানিমেল’। মুক্তির পর থেকেই আলোচনা-সমালোচনার মধ্যেই বক্স অফিসে ঝড় তুলেছে সিনেমাটি। বাংলাদেশের দর্শকরাও মুখিয়ে ছিল রণবীর কাপুরের অ্যাকশন দেখতে। তাদের এই আশা পূরণ হতে চলেছে।

বাংলাদেশে সেন্সর পেয়েছে ‘অ্যানিমেল’। বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) থেকে হলে গিয়ে দেখতে পারবে বাংলাদেশের দর্শক। বিষয়টি সামাজিকে যোগাযোগ মাধ্যমে জানিয়েছেন আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান কাট অ্যান্ড কাট এন্টারটেইনমেন্টের অনন্য মামুন।

চলতি মাসের প্রথম দিনেই প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে সন্দীপ রেড্ডি বঙ্গা পরিচালিত সিনেমা ‘অ্যানিমেল’। ভারতীয় গণমাধ্যম মিন্টের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মাত্র ৫ দিনেই বিশ্বব্যাপী ৪২৫ কোটি রুপি ব্যবসা করে ফেলেছে রণবীর কাপুর অভিনীত সিনেমাটি। যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৫৬২ কোটি।

পিতা-পুত্রের ভালোবাসা ও দ্বন্দ্বের গল্পে ‌‘অ্যানিমেল’ নির্মাণ করেছেন সন্দীপ রেড্ডি ভাঙ্গা। এতে রণবীর কাপুরের সঙ্গে জুটি বেঁধেছেন রাশমিকা মান্দানা। অভিনয়ে আরও আছেন অনিল কাপুর, ববি দেওল প্রমুখ।

ইন্ডিয়াতে অনেক দর্শক সমালোচকই বলছেন, ‘অ্যানিমেল’-এ রণবীর কাপুর তার ক্যারিয়ারের অন্যতম সেরা অভিনয় করেছেন। ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই পর্দায় রোমান্টিক ইমেজের জন্য পরিচিত এ অভিনেতা। এবার তিনি মারদাঙ্গা অ্যাকশনে হাজির হয়েছেন।

সূত্র: ইত্তেফাক




মেটা এবার আইবিএমের সঙ্গে অংশীদারিত্বে

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার লড়াইয়ে মেটা যুক্ত হয়েছে বহু আগেই। মেটা তাদের অংশীদারিত্ব বাড়ানোর চেষ্টা করছে বহুদিন। মেটা এবার আইবিএমের সঙ্গে অংশীদারিত্বের মাধ্যমে ‘ওপেন সায়েন্স’ তৈরি করবে।

নতুন এই অংশীদারিত্ব কী দেবে? নামের সঙ্গেই মিল খুঁজে পাবেন। নতুন এই অংশীদারিত্ব মূলত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিষয়ক গবেষণা প্রকাশে সাহায্য করবে। মানুষকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিষয়ক নানা বিষয়ে প্রশিক্ষিত করার দায়িত্বও এই অংশীদারিত্বের মাধ্যমে সম্পন্ন হবে বলে জানা গেছে। তারপরও কিছু দ্বিধা রয়ে গেছে। দুই প্রতিষ্ঠানের মধ্যকার এলায়েন্সে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সংলগ্ন সম্ভাবনা ব্যবহারের চেষ্টাও করা হবে।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার জগতে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে তথ্যের ফ্রি ফ্লো নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে এই এলায়েন্সের কিছু ইতিবাচক দিকও খুঁজে পাওয়া গেছে। যদিও অন্যান্য প্রতিযোগীরা মেটার ওপেন সোর্স কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সমালোচনা করছে। কিন্তু আইবিএমের ক্ষেত্রে লাভের কিছু বিষয় রয়েছে। জেনারেটিভ এআইয়ের সুবিধা অর্জনের ক্ষেত্রে এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার নানা সুবিধা রয়েছে।

সূত্র: টেকক্রাঞ্চ




সাহিদুজ্জামানের আয় ৪ গুণ, সম্পদ বেড়েছে ৩ গুণ

বিগত ৫ বছরে মেহেরপুর-২ (সংসদীয়-৭৪) আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ সাহিদুজ্জামান খোকন এর আয় ও সম্পদ বেড়েছে কয়েক গুণ।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্রের সাথে দেওয়া হলফনামা অনুযায়ী তার অস্থাবর সম্পদের মূল্য ৫১ লাখ ৬৪ হাজার টাকা, ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় দেয়া হলকনামার তুলনায় প্রায় তিনগুণ বেশি। একইসাথে তার বার্ষিক আয় বেড়েছে চারগুণ।

২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে তাঁর বার্ষিক আয় ছিল ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা। এখন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ লাখ ৫০ হাজার টাকাতে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।

যাচাই-বাছাইয়ের পর তাঁর মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষিত হয়েছে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হলফনামায় তার বার্ষিক আয়, স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের যে বিবরণী পাওয়া গেছে তা বিশ্লেষণ করে এসব তথ্য মিলেছে।

বর্তমানে মোহাম্মদ সাহিদুজ্জামানের বার্ষিক আয় ৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা। এর মধ্যে কৃষি জমি থেকে ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা, ব্যবসা থেকে ২ লাখ ৮০ হাজার টাকা এবং মৎস্য খাত থেকে ৫ লাখ টাকা।

২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে তাঁর বার্ষিক আয় ছিল ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা। আয়ের খাত ছিল কৃষি জমি থেকে ৭০ হাজার টাকা এবং ব্যবসা থেকে ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা।

মোহাম্মদ সাহিদুজ্জামানের বর্তমান অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ প্রায় ৫২ লাখ টাকার এবং ২৫ ভরি স্বর্ণ। অস্থাবর সম্পদের মধ্যে নগদ টাকা ২ লাখ, ব্যাংকে জমা ৪২ লাখ, ১টি গাড়ি যার মূল্য ৫ লাখ টাকা, গৃহস্থলির ইলেকট্রনিক্স ও আসবাবপত্র ২ লাখ টাকার।

২০১৮ সালের নির্বাচনী হলফনামায় অস্থাবর সম্পদ ১৭ লাখ ৭০ হাজার টাকার মধ্যে নগদ ছিল ২ লাখ, ব্যাংকে জমা ১৪ লাখ, গৃহস্থলির ইলেকট্রনিক্স ও আসবাবপত্র ১ লাখ ২০ হাজর টাকার এবং ১৫ ভরি স্বর্ণ ৫০ হাজার টাকার।

সংসদ সদস্য মোহাম্মদ সাহিদুজ্জামানের স্থায়ী সম্পদের মধ্যে কৃষি জমির পরিমাণ শতাংশ না একর কোন পরিমাপের প্রকাশ করা হয়েছে সেটা স্পষ্ট করা হয়নি।

২০১৮ সালের নির্বাচনের ফলকনামায় উল্লেখ ছিল তার কৃষি জমি ১০ বিঘা এবং অকৃষি জমি ৫ বিঘা ৫ কাঠা। তবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হলফনার স্থাবর সম্পদের ছককৃত ঘরে লেখা আছে ৯.৩৩। তবে স্পস্ট করা হয়নি। যদি এটা একরে হয়ে থাকলে তাহলে জমির পরিমাণও বাড়বে কয়েকগুণ।

আবার সংসদ সদস্য মোহাম্মদ সাহিদুজ্জামানের স্ত্রীর সম্পদও বেড়েছে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তাঁর স্ত্রীর অস্থাবর সম্পদের মূল্য ৩৭ লাখ টাকা এবং স্বর্ণ ২৫ ভরি উল্লেখ করা হয়েছে, তবে ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে তার অস্থাবর সম্পদ ছিল ১০ লাখ ৫০ হাজার টাকার। সে হিসেবে এমপি পত্নীর সম্পদ বেড়েছে প্রায় চার গুণ।

তাঁর স্ত্রীর নামে জমির পরিমাণও বেড়েছে। ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে জমির পরিমাণ ছিল ৭ কাঠ। এখন তার পরিমাণ কৃষি জমি ২.২৯। তবে এক্ষেত্রেও শতাংশ না একরে হিসাব তা উল্লেখ করা হয়নি।




দর্শনায় ওসি পরিচয়ে সোনার চেইন নিয়ে চম্পট

দর্শনা রেল বাজারের হাশেম প্লাজায় একটি স্বর্নের দোকানে অভিনব কায়দায় ওসি পরিচয়ে প্রায় লক্ষাধিক টাকার (১৩ আনা) স্বর্নের চেইন নিয়ে পালিয়ে যাবার ঘটনা ঘটেছে। গতকাল মঙ্গলবার বিকাল ৪ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় দর্শনা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ হয়েছে।

অভিযোগ সুত্রে জানাযায় গতকাল মঙ্গলবার বিকাল ৪ টার দিকে একজন সাদা পোশাকে পুলিশ পরিচয় দানকারী আমার দোকানে আসে এসে বলে আমি দর্শনা থানা থেকে এসেছি। আমাকে দর্শনা থানার ওসি তদন্ত একটা স্বর্নের চেইন নেবে বলে পাঠিয়েছে। এ সময় দোকানদার তার দোকানে থাকা বিভিন্ন ওজনের অনেকগুলো চেইন দেখায় তার মধ্যে ঐ ব্যাক্তি ১৩ আনা ওজনের একটা চেইন পছন্দ করে। পরে বলে আমি দর্শনা থানার ওসি তদন্তকে দেখিয়ে নিয়ে আসছি।দোকানদার কোন কিছু বুঝে ওঠার আগেই চেইন নিয়ে দর্শনা থানার উদ্দেশ্যে দোকান ত্যাগ করে। পরে দীর্ঘ সময় পার হওয়ার পর দোকানদারের মনে সন্দেহ জাগে।

এ সময় দোকানদার দ্রত দর্শনা থানায় গেলে উক্ত ব্যাক্তিকে আর খুজে পাওয়া যায়নি। পরে বিষয়টি দর্শনা থানা পুলিশকে জানালে পুলিশ দোকানে এসে সিসি ক্যামেরা দেখে সনাক্ত করার চেষ্টা করে। তবে তার মুখে মাস্ক লাগানো আছে এবং তার কাছে পুলিশের ওয়ালেছ আছে বলে দোকানদার সাংবাদিকদের জানায়।

এ বিষয়ে দর্শনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার সাহা বলেন, ‘এ ধরনের একটি ঘটনার অভিযোগ পেয়েছি। সিসি ফুটেজ দেখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’




চুয়াডাঙ্গার উথলীতে আবারও চলন্ত মাইক্রোবাসে ইট নিক্ষেপ

চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার উথলী এলাকায় আবারও চলন্ত মাইক্রোবাসে ইট নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে।

গতকাল মঙ্গলবার রাত আনুমানিক সাড়ে ৮টার দিকে জীবননগর-দর্শনা আঞ্চলিক মহাসড়কে শিয়ালমারী পশুহাটের উত্তর দিকে কালভার্টের নিকট এ ঘটনা ঘটে। তবে অন্য দিন সড়কের পশ্চিম দিক থেকে ইট নিক্ষেপ করা হলেও কৌশল অবলম্বন করে এবার নিক্ষেপ করা হয়েছে পূর্ব দিক থেকে।

মাইক্রোবাসের মালিক ও চালক জীবননগর পেয়ারাতলার শ্রী বিজয় চন্দ্র সেন বলেন, ‘চুয়াডাঙ্গায় যাত্রী নামিয়ে আমি মাইক্রোবাসটি (ঢাকা মেট্রো-গ-১৩-৩১২৭) নিয়ে মঙ্গলবার রাতে জীবননগরে ফিরছিলাম।

রাত আনুমানিক সাড়ে ৮টার সময় মাইক্রোবাসটি উথলী বিজিবি ক্যাম্প পার হয়ে শিয়ালমারী পশুহাটের আগে অবস্থিত কালভার্টের নিকট পৌঁছালে কে বা কারা সড়কের পাশের বাঁশঝাড়ের মধ্য থেকে রাতের অন্ধকারে আমার মাইক্রোবাসে ইট নিক্ষেপ করে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে আমি গাড়িটি নিয়ে নিজ বাড়িতে ফিরে আসি।’

খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এস এম জাবীদ হাসান।

উল্লেখ্য, জীবননগর-দর্শনা আঞ্চলিক মহাসড়কের উথলী এলাকায় এর আগেও মাইক্রোবাস, প্রাইভেট কার, কাভার্ড ভ্যান, অ্যাম্বুলেন্স ও পরিবহন বাসে ইট নিক্ষেপ করা হয়েছে। কারা এ ধরনের ঘটনা ঘটাচ্ছে তা এখনও সনাক্ত করা যায়নি। তবে বিএনপির ডাকা প্রথম ধাপের হরতাল থেকে শুরু করে পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন যানবাহনে রাতের আঁধারে এ ধরনের হামলা করে পালিয়ে যাচ্ছে দুর্বৃত্তরা। ঘটনার সাথে জড়িতদের আটক করতে কাজ করছে পুলিশ।




মেহেরপুরে আচরণবিধি লঙ্ঘণের অভিযোগ, প্রতীক বরাদ্দের আগে প্রচারণা ও সভা

মেহেরপুর-১ (সদর ও মুজিবনগর) আসনে নৌকার প্রার্থীর বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে।

প্রতীক বরাদ্দের আগেই বিভিন্ন স্থানে নৌকার তোরণ নির্মাণসহ জোরপূর্বক ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানদের নিয়ে নৌকার প্রার্থী ও বর্তমান জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের বিরুদ্ধে নির্বাচনী সভা করার অভিযোগ এনেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী প্রফেসর আব্দুল মান্নান।

স্বতন্ত্র প্রার্থীর অভিযোগের ভিত্তিতে গতকাল  মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে দশটায় সরজমিনে যেয়ে দেখা যায় ,মেহেরপুর শহরের বামন পাড়া মোড়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয়ের সামনে একাধিক নৌকার তোরণ নির্মাণ করা হয়েছে। একটি তোরণে আবার লাইটিং করা হয়েছে।

মেহেরপুর ১ সংসদীয় আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও সাবেক সংসদ সদস্য প্রফেসর আব্দুল মান্নান বলেন, ‘আচরণবিধি লঙ্ঘনের বিষয়টি নিয়ে গতকাল মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) সদর এসিল্যান্ডের কাছে মৌখিকভাবে অভিযোগ দিয়েছি, তবে কোন ফলাফল হয়নি। আজ বুড়িপোতা ইউনিয়নে ৯ জন ইউপি চেয়ারম্যান কে নিয়ে একটি দলীয় নির্বাচনী সভা হয়েছে। এ ধরনের কর্মকাণ্ড করে আওয়ামি লীগ ও জননেত্রী শেখ হাসিনাকে অহেতুক বিতর্কিত করছে দলে অনুপ্রবেশকারী কিছু অতি উৎসাহী দলীয় কর্মীরা। ‘

জেলা নির্বাচন অফিসার মোঃ ওয়ালিউল্লাহ’কে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগের বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, ‘আমরা সর্বাত্মকভাবে চেষ্টা করে যাচ্ছি প্রার্থীদের নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে চলতে উৎসাহিত করার জন্য। নৌকার তোরণ নির্মাণের বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবগত নই। জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার সাথে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’




ঝিনাইদহ হানাদার মুক্ত দিবস আজ

আজ বুধবার ৬ ডিসেম্বর ঝিনাইদহ হানাদার মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এ দিনে পাক হানাদার বাহিনী ঝিনাইদহ ছেড়ে গেলে মিত্র বাহিনী, মুক্তি বাহিনী ও মুজিব বাহিনী যৌথভাবে ঝিনাইদহ মুক্ত ঘোষণা করে। পাক হানাদারবাহিনী ঝিনাইদহ ছেড়ে কুষ্টিয়া অভিমুখে রওনা হলেও তাদের একটি গ্রুপ শৈলকুপা বাজারে অবস্থান করে।

খবর পেয়ে মুক্তি বাহিনী ও মুজিব বাহিনীর সাথে পাক হানাদার বাহিনী ও তাদের দোসর রাজাকার বাহিনীর সাথে ২৬ ঘন্টা যুদ্ধ চলাকালে ৬০ রাজাকার ও ১৩ পাক আর্মি মারা যায়। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালিন সময়ে তৎকালিন ঝিনাইদহ মহাকুমার এসডিপিও মাহবুবুর রহমান গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করেন। তার নেতৃত্বে সশস্ত্র যুদ্ধ শুরু হয়।

ঝিনাইদহের মহেশপুর কোটচাঁদপুর, কালীগঞ্জ ও হরিনাকুন্ডু থানার বিভিন্ন এলাকা থেকে পাকবাহিনী ও তার দোসরা ৫ ডিসেম্বর রাত থেকে পিছু হটতে শুরু করে। পরাজয় নিশ্চিত জেনে পাকহানাদার বাহিনী গভীর রাতে মহেশপুর ও খালিশপুরের মহাসড়ক ব্রীজ, বিষয়খালি ব্রীজ উড়িয়ে দিয়ে ঝিনাইদহ ছেড়ে পালিয়ে যায়।

৬ ডিসেম্বর তৎকালিন মুজিববাহিনীর জোনাল লিডার মরহুম বীরমুক্তিযোদ্ধা এ্যাডভোকেট আয়ুব হোসেন, আঞ্চলিক কমান্ডার জেডএম ফিরোজ, আব্দুর রহমান সুমন, থানা কমান্ডার আব্দুল হাই, ফয়জুর রহমান চৌধুরী, মকবুল হোসেনসহ জেলার মুক্তি বাহিনী ও মুজিব বাহিনী সদস্যরা জেলা ও থানায় মুহুমুহু গুলিবর্ষন করে আনন্দ উল্ল¬াস করতে করতে থানা ও মহাকুমা সদরে প্রবেশ করে। সেই হিসাবে ৬ ডিসেম্বর ঝিনাইদহের মুক্তিযোদ্ধাদের একটি স্মরনীয় দিন হিসেবে ইতিহাসের পাতায় স্থান লাভ করেছে।

এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ জেলার সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মকবুল হোসেন জানান, দিবসটি উপলক্ষে মুক্তিযোদ্ধাদের সংর্বধনাসহ দিন ব্যাপি নানান অনুষ্ঠান ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে।




আজ ‘মেহেরপুর মুক্ত’ দিবস

আজ ৬ ডিসেম্বর। ‘মেহেরপুর মুক্ত’ দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে ঐতিহাসিক মুজিবনগর খ্যাত মেহেরপুর হানাদার মুক্ত হয়। মুক্তিযোদ্ধাদের গেরিলা হামলায় দিক-বিদিক হারিয়ে পাকিস্থানী হানাদার বাহিনীর শেষ দলটি ৫ ডিসেম্বর বিকেল থেকে গোপনে মেহেরপুর ছাড়তে থাকে। পরের দিন ৬ ডিসেম্বর রাজনৈতিক মর্যাদাপুর্ণ মেহেরপুর জেলা হানাদার মুক্ত হয়।

২ ডিসেম্বর গাংনী হানাদার মুক্ত হলে শিকারপুরে (ভারত) অবস্থিত মুক্তি বাহিনীর এ্যাকশন ক্যা¤েপর ক্যাপ্টেন তৎকালীন মেহেরপুর মহকুমা প্রশাসক (এসডিও) তৌফিক ইলাহী চৌধুরী হাটবোয়ালিয়ায় এসে মুক্তিবাহিনীর ঘাঁটি স্থাপন করেন। মিত্রবাহিনী ও মুক্তিবাহিনী সম্মিলিত ভাবে ৫ ডিসেম্বর মেহেরপুরে প্রবেশ করে। সীমান্তে পাকবাহিনীর পুঁতে রাখা অসংখ্য মাইন অপসারনের মধ্য দিয়ে মেহেরপুর পুরোপুরি ভাবে হানাদার মুক্ত হয় ৬ ডিসেম্বর। ঐদিন মেহেপুরের জনসাধারণ এবং আপামর মুক্তিযোদ্ধারা সর্বস্তরের লোক একযোগে রাস্তায় নেমে পড়ে আনন্দে উল্লাসিত হয় এবং মিষ্টি মুখ করে উল্লাসে মন প্রফুল্ল হয়।

এদিকে, মেহেরপুর মুক্ত দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচী গ্রহণ করেছে জেলা প্রশাসন। সকাল ৯টায় মেহেরপুর মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ভবনে পতাকা উত্তোলন ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে।




কাথুলীর গাড়াবাড়ীয়াতে নৌকার প্রার্থী নাজমুল হক সাগরের কর্মী সভা

কাথুলীর গাড়াবাড়ীয়াতে নৌকা মনোনীত প্রার্থী নাজমুল হক সাগরের কর্মী সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ মঙ্গলবার রাত ৭ টার সময় কাথুলী ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান রানার নিজ রাজনৈতিক কার্যালয়ে এ কর্মী সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

কর্মী সভা অনুষ্ঠানে কাথুলী ইউ পি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান রানার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ৭৪ মেহেরপুর -২ আসনের আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকা প্রার্থী এ এস এম নাজমুল হক সাগর।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ও সাবেক গাংনী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ্যাডঃশফিকুল আলম,গাংনী পৌর মেয়র আহম্মেদ আলী,কাথুলী ইউনিয়ন কৃষক লীগের সভাপতি রেজাউর রহমান রেজা সহ কাথুলী ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার ও মহিলা মেম্বার বৃন্দ। আরো উপস্থিত ছিলেন কাথুলী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের প্রতিটি ওয়ার্ডের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বৃন্দ।

আজকের এই কর্মী সভায় ২ নং ওয়ার্ড গাড়াবাড়ীয়া গ্রামের মিজানুর রহমান রানা চেয়ারম্যানের নির্বাচনী কর্মীবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় কাথুলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক ত্রান ও সমাজ কল্যান সম্পাদক মিজানুর রহমান রানা জানান আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রধান মন্ত্রী শেখহাসিনার মনোনীত ও পছন্দের প্রার্থী ডাঃসাগর কে ব্যাপক ভোটে বিজয় লাভ করিয়ে ৭৪ মেহেরপুর ২ গাংনী আসনটি উপহার দিব ইনশাআল্লাহ। তবে এই নির্বাচনে ভোটারের কাছে সরকারের উন্নয়ন তুলে ধরে ভোট সংগ্রহ করার সৈনিক হিসেবে কাজ করতে হবে আপনাদের কে।আপনাদের ভূমিকায় এখানে মূখ্য।

কর্মী সভায় নৌকা মনোনীত প্রার্থী নাজমুল হক সাগর জানান আপনারা জানেন আমার বাবা সাবেক সংসদ সদস্য নূরুল হক গাংনী আপামর জনগনের জন্য কাজ করে গেছেন সেই সুবাদে জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকেও নৌকা প্রতীক দিয়ে আপনাদের কাছে আসার সুযোগ করে দিয়েছেন। আমি নির্বাচিত হলে আপনাদের কাউকে ব্যাক্তিগত ভাবে হয় তো গাড়ি বাড়ি উপহার দিতে পারবো না তবে এই গাংনী উপজেলা হবে বাংলাদেশের অন্যতম স্মার্ট উপজেলা। প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানে আমরাও অগ্রনি ভূমিকা রাখবো। আপনাদের সুখে দুঃখে পাশে থেকে আমার শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করতে চাই। সৃষ্টি কর্তার কাছে আমার চাওয়া পাওয়া কিছু নেই সব দিয়েছেন এখন যদি চান আপনাদের সন্তান এবং ভাই হিসেবে আমাকে ভালোবাসা দিয়ে আপনাদের সেবক হিসেবে সুযোগ করে দিবেন তাহলে এতটুকু বলতে পারি সরকারের সর্বোচ্চ সেবাটুকু প্রতিনিধি হিসেবে আপনাদের দৌড় গোড়া পৌছে দিব। আপনাদের কাছে অনুরোধ রাখবো আগামী নির্বাচনে জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের ধারা অভ্যাহত রাখতে নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আপনাদের সেবা করার সুযোগ করে দিন।