গত ২৮ অক্টোবর থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত ২০ দিনের মধ্যে ১৬ দিন ছিলো অবরোধ এবং চার দিন হরতাল কর্মসূচি পালন করেছে বিএনপি-জামায়াত। এসময়ে সারাদেশে যানবাহনে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে ২৯৯টি। যানবাহন ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে ১৯১টি। বিভিন্ন স্থাপনায় ভাংচুর করা হয়েছে ১৮টি। আর অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে ১১টি। সব মিলিয়ে অগ্নিকাণ্ড ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে ৫১৯টি।
পুলিশ সদর দপ্তর থেকে প্রাপ্ত তথ্য থেকে জানা গেছে, শুধুমাত্র ২৮ অক্টোবর বিএনপির সহিংসতাকে ঘিরে মোট ৪২টি গাড়ি অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। ভাংচুর করা হয়েছে ৩০টি। ওই দিন বিভিন্ন স্থাপনা ভাংচুর করা হয়েছে ১৫টি এবং সাতটি স্থাপনায় অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে।
২৮ অক্টোবর রাজধানীর ফকিরাপুল, কাকারাইল, নয়াপল্টন, মালিবাগ, বিজয়নগর এলাকাতে ধ্বংসযজ্ঞ চালায় বিএনপি কর্মীরা। এরমধ্যে প্রধান বিচারপতির বাসভবন, মাতৃভাষা ইন্সস্টিটিউট, ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সস্টিটিউটে ভাংচুর চালায়। ডিসি ট্রাফিকের রমনা ও মতিঝিল অফিস, ফুকিরাপুল, মালিবাগ, কাকরাইল ও বিজয়নগর পুলিশ বক্সে অগ্নিসংযোগ করে। বিএনপি ও জামায়াতের কর্মীরা রাজধানীর দৈনিক বাংলা মোড়ে পুলিশের ওপর হামলা চালায়। এতে এক পুলিশ সদস্য নিহত ও অসংখ্য পুলিশ সদস্য আহত হন। একই দিনে বিএনপি ও জামায়াত কর্মীরা অন্তত ৩২ জন সাংবাদিককে মারধর করে। ওই দিন বিএনপি কর্মীরা নজিরবিহীন তাণ্ডব চালায় রাজধানীর রাজারবাগে কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে। তারা হাসপাতালে ব্যাপক ভাঙচুর চালায় এবং অ্যাম্বুলেন্সসহ জীপ গাড়ি ও মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ করে।
২৯ অক্টোবর হরতালের দিন রাজধানীর মোহাম্মদপুর, বংশাল, বায়তুল মোকাররামের দক্ষিণ গেইটে ও ডেমরা স্টাফ কোয়ার্টার এলাকায় যাত্রিবাহী গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে। অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ডেমরায় বাসের হেলপার মো. নাঈম (২২) অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যান। অপরিদকে মোহাম্মদপুরে বাসে আগুন দিয়ে পালানোর সময় স্থানীয় লোকজনের ধাওয়া খেয়ে একটি নির্মাণাধীন ভবনের ছাদে উঠে আরেকটি ভবনে লাফ দিয়ে যাওয়ার সময় নিচে পড়ে গিয়ে মারা যান যুবদল কর্মী আবদুর রশিদ (৩০)। একই দিনে সিলেট শহরের বিভিন্ন স্থানে অন্তত নয়টি গাড়ি ভাংচুর করে বিএনপি ও জামায়াত কর্মীরা। গাজীপুরের চেরাগ আলীতে বিআরটিসির একটি দোতলা বাসে আগুন দেয় হরতাল সমর্থকরা। ফরিদপুরের মধুখালিতে একটি মোটরসাইকেলে, মানিকগঞ্জ সদর ও ঘিওরে দুটি বাসে আগুন, কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়া ঈদগাহ মাঠের কাছে ইটনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার গাড়ি ভাঙচুর, নোয়াখালীর চন্দ্রগঞ্জ হাইওয়েতে একটি ট্রাকে, মাগুরা সদরে মাগুরা-ঢাকা হাইওয়েতে একটি বাসে আগুন দেয় হরতালকারীর। বগুড়া সদরের নবাববাড়ী মোড়ে বগুড়া সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার গাড়ি ভাংচুর করে। নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে অটো রিকশায় অগ্নিসংযোগ করে হরতাল সমর্থকরা।
৩০ অক্টোবর অবরোধ চলাকালে চট্টগ্রামের খুলশীতে একটি বাসে ও গাজীপুরের বাসনে একটি বাসে আগুন দেয় অবরোধকারীরা। ৩১অক্টোবর দেশের বিভিন্ন স্থানে ৩টি প্রাইভেট কার, চট্টগ্রাম, ঢাকা, কুমিল্লা, বগুড়া, দিনাজপুর ও নারায়ণগঞ্জে ৬টি বাসে, ৩টি ট্রাক, ২টি কাভার্ড ভ্যান, ৩টি পিকআপ, পাবনায় ২টি অটোরিকশা, নোয়াখালীতে ৩টি সিএনজি অটোরিকশা ভাঙচুর করে অবরোধকারীরা। একই দিনে ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, সিলেট, গাজীপুর, সিরাজগঞ্জ ও বগুড়ায় ১১টি বাস, ২টি ট্রাক, একটি কাভার্ড ভ্যান, একটি পিকআপ ও ৩টি মোটরসাইকেলে অগি্নসংযোগ করে অবরোধকারীরা। ওই দিন অবরোধ চলাকালে কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে দুই জন নিহত হন এবং দেশের বিভিন্ন এলাকায় ২৮ পুলিশ সদস্য আহত হন।
১ নভেম্বর অবরোধ চলাকলে সারাদেশে বিএনপি-জামায়াত কর্মীরা ১৭টি যানবাহন ভাংচুর ও ১৮টি যানবাহনে অগ্নিসংযোগ করে। ওই দেশের বিভিন্ন স্থানে অবরোধকারীদের হামলায় ১৭ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। পুলিশের তথ্য অনুযায়ি, ওই দিন ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, কুমিল্লা, গাজীপুর, বগুড়া, সুনামগঞ্জ, খুলনা, রাজশাহী ও নোয়াখালীতে ১৭টি গাড়ি ভাংচুর করে অবরোধকারীরা। এরমধ্যে দুটি পুলিশ বাস, ৫টি কাভার্ডভ্যান, ৪টি ট্রাক, ৩টি সিএনজি, একটি অটোরিকশা ও একটি পিকআপ ভ্যান ভাংচুর করা হয়। একই দিনে পাবনায় ঢাকা-কলকাতার মধ্যে চলাচলকারী মৈত্রি এক্সপ্রেস ট্রেনেও হামলা চালানো হয়। ওই দিন ঢাকা, চট্টগ্রাম সিলেট, বগুড়া, হবিগঞ্জ, ভোলা ও ব্রাহ্মণবাড়ীয়ায় ৪টি বাস, ৬টি ট্রাক, একটি লরি, ২টি কাভার্ডভ্যান, একটি সিএনজি, ২টি মোটরসাইকেল ও ২টি পিকআপে আগুন দেয় অবরোধকারীরা।
২ নভেম্বর সারাদেশে অবরোধকারীদের হাতে মোট ২৩ টি যানবাহন ক্ষতিগ্রস্থ হয়। এরমধ্যে ১১টি গাড়ি ভাংচুর ও ১২টিতে অগ্নিসংযোগ করে অবাধরকারী বিএনপি-জামায়াতের কর্মীরা। ওইদন অবরোধকারীরা ঢকা, চট্টগ্রাম, বরিশাল, নারায়ণগঞ্জ, বগুড়া, সুনামগঞ্জ ও হবিগঞ্জে মোট ৩টি বাস, ৩ট্রাক, ২টি পিকআপ ও ২টি রেকার ভাংচুর করে। একই দিনে ঢাকা, চট্টগ্রাম, নেত্রকোনা, নারায়ণগঞ্জ, ফেনী, বগুড়া ও বরগুনায় বাস, ট্রাক, প্রাইভেটকার,কাভার্ডভ্যান, পিকআপসহ ১২টি গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে।
৪ নভেম্বর অবরোধকারীরা রাজধানী ঢাকার গুলিস্তান, নিউমার্কেট, যাত্রাবাড়ীতে ৪টি যাত্রীবাহী বাসে এবং ভোলায় একটি বাসে আগুন দেয়।
পুলিশের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ৫ নভেম্বর অবরোধকারীরা দেশের বিভিন্ন এলাকায় ৩২টি গাড়িতে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে। ওই দিন ঢাকা ও খুলনায় অবরোধকারীদের হামলায় ৫ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। ওই দিন ঢাকা, গাজীপুর, সিলেট, নোয়াখালী, বগুড়া, মৌলভীবাজার ও পাবনায় ২টি বাস, ২টি ট্রাক, একটি মিনিবাস, ৪টি কাভার্ডভ্যান, একটি প্রাইভেট কার, একটি মাইক্রোবাস ও ৩টি সিএনজি ভাংচুর করা হয়। এছাড়া ঢাকা, চট্টগ্রাম ও খুলনায় ১০টি যাত্রিবাহী বাস, খাগড়াছড়ি ও নোয়াখালীতে দুটি ট্রাক, সিলেটে একটি পিকআপ, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জে ২টি কাভার্ড ভ্যান, হবিগঞ্জে একটি প্রাইভেট কার ও ঢাকায় একটি জীপ গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে অবরোধকারী বিএনপি-জামায়াতের কর্মীরা। একই দিনে পিরোজপুরে আওয়ামী লীগ অফিসেও আগুন দেয় অবরোধকারীরা।
৬ নভেম্বর দেশের বিভিন্ন এলাকায় ৭টি যানবাহন ভাংচুর ও ১৮টি যানবাহনে অগ্নিসংযোগ করে অবরোধকারীরা। এরমধ্যে রাজশাহী, ফেনী, পিরোজপুর ও বগুড়ায় ২টি বাস, ৪টি ট্রাক ও একটি সিএনজি অটোরিকশা ভাংচুর করে। একই দিনে ঢাকা, চট্টগ্রাম, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ ও ফেনীতে ৭টি বাস, ২টি পানির ট্যাংকি, দুটি কাভার্ডভ্যান, একটি সিএনজি ও একটি লেগুনায় আগুন দেয় অবরোধকারীরা। সিরাজগঞ্জে আওয়ামী লীগ অফিসে অগ্নিসংযোগ করা হয়। হবিগঞ্জে ৮ জন্য পুলিশ সদস্য আহত হন।
৭ নভেম্বর গাজীপুরে একটি যাত্রাবাহী বাসে আগুন দেয়া হয়।
৮ নভেম্বর সুনামগঞ্জ, রাজশাহী ও সিলেট, ৯টি গাড়ি ভাংচুর করে অবরোধকারীরা। এদিন ১৪টি গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয়। এরমধ্যে ঢাকা, গাজীপুর ও বরগুনায় ৬টি বাস, বগুড়ায় ২টি ট্রাক, গাজীপুর, বরিশাল ও খাগড়াছড়িতে ৩টি কাভার্ডভ্যানে, বগুড়ায় একটি সিএনজি ও বরিশালে ২টি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ করে অবরোধকারীরা।
৯ নভেম্বর সারাদেশ মোট ১২টি যানবাহনে ভাংচুর অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এরমধ্যে চারটি গাড়ি ভাংচুর ও ৮টিতে অগ্নিসংযোগ করা হয়। সিলেট, পাবনা ও বগুড়ায় দুটি ট্রাক, একটি সিএনজি ও একটি ও লেগুনা ভাংচুর করা হয়। আগুন দেয়া হয় ৪টি বাস, ২টি ট্রাক, একটি কাভার্ড ভ্যান ও একটি মোটরসাইকেলে আগুন দেয় বিএনপি-জামায়াত কর্মীরা।
১০ নভেম্বর বরিশালে একটি বাসে, ১১ নভেম্বর ঢাকায় ৮টি বাস, গাজীপুরে একটি ট্রাক ও একটি পিকআপে আগুন দেয় অবরোধকারীরা। ১২ নভেম্বর রাজধানী ঢাকাসহ বরিশাল, নারায়ণগঞ্জ, ফরিদপুর ও নাটোরে ১০টি বাসে আগুন দেয় এবং বগুড়া ও সুনামগঞ্জে ৩টি সিএনজি ও ইজিবাইক ভাংচুর করে।
১৩ নভেম্বর ঢাকায় ৪টি বাস সহ নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, দিনাজপুর ও সিলেটে একটি ট্রাক, একটি কাভার্ডভ্যান ও একটি পিক আপে আগুন দেয় এবং নোয়াখালী ও সিলেটে ৩টি ট্রাক ভাংচুর করে।
১৪ নভেম্বর ঢাকায় ৪টি বাসে আগুন দেয় অবরোধকারীরার।
১৫ নভেম্বর সারাদেশে বিএনপি-জামায়াত কর্মীদের হাতে মোট ৩৩টি যাবাহন ভাংচুর অগ্নিসংযোগের শিকার হয়। এরমধ্যে নোয়াখালী ও চাঁদপুরে ৪টি সিএনজি, হবিগঞ্জ ও চাপাইনবাবগঞ্জে ২টি প্রাইভেট কার ও ২টি কাভার্ডভ্যান, রাজশাহীতে একটি ট্রাক, বগুড়ায় ৫টি মোটরসাইকেল, রংপুরে একটি পুলিশের গাড়ি ভাংচুর করা হয়। ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, নাটোর, বগুড়া, নোয়াখালী, কুমিল্লা, সিলেট ও সিরাজগঞ্জে ১৬টি গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে বিএনপি-জামায়াত কর্মীরা। একই দিনে দেশের বিভিন্ন এলাকায় অবরোধকারীদের হামলায় ১৭ পুলিশ সদস্য আহত হন।
১৬ নভেম্বর দেশের বিভিন্ন এলাকায় ৬টি গাড়ি ভাংচুর ও ৯টিতে অগ্নিসংযোগ করা হয়।
১৮ নভেম্বর ঢাকা, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, জয়পুরহাটও নেত্রকোনায় ৬টি বাস ও ২টি ট্রাকে আগুন দেয় অবরোধকারীরা।
১৯ নভেম্বর ঢাকা, রাজশাহী, পাবনা, গাজীপুর, লক্ষ্মীপুর, ঠাকুরগাঁও, ফেনী, বগুড়া ও সিলেটে মোট ১১টি বাসসহ ২৭টি যানবাহন ভাংচুর এবং অগ্নিসংযোগ করা হয়। এছাড়া জামালপুরে একটি ট্রেনে আগুন দেয় অবরোধকারীরা। একইভাবে গাজীপুরে একটি স্কুল পুড়িয়ে দেয়। এছাড়া অবরোধকারীদের হামলায় ২ জন সাংবাদিক ও ৭ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়।
২০ নভেম্বর খাগড়াছড়ি, সিলেট, নোয়াখালী, দিনাজপুর ও বগুড়ায় ৩টি বাস, একটি ট্রাকসহ ১১টি যানবাহন ভাংচুর করে বিএনপি জামায়াত কর্মীরা। একই দিনে ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিরাজগঞ্জ ও বগুড়ায় ৬টি বাস ও ৪টি ট্রাকে অগ্নিসংযোগ করে অবরোধকারীরা। নোয়াখালীতে আহত হন পুলিশের ৫ সদস্য।
২১ নভেম্বর ঢাকায় ৩টি বাসে ও রংপুরে একটি ট্রাকে আগুন দেয় বিএনপি-জামায়াত কর্মীরা। ২২ নভেম্বর ট্রেনে হামলাসহ ৪টি যানবাহন ভাংচুর এবং সিলেটে ট্রেনে অগ্নিসংযোগসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় ৫টি যানবাহনে আগুন দেওয়া হয়।
২৩ নভেম্বর দেশের বিভিন্ন এলাকায় মোট ৬টি গাড়ি ভাংচুর ও ৭টি গাড়িতে আগুন দেয় অবরোধকারীরা।
২৫ নভেম্বর পাবনায় ট্রেনে ভাংচুর এবং ঢাকা, সিলেট ও কুমিল্লায় ৩টি বাসে আগুন দেয় বিএনপি-জামায়াতের কর্মীরা।
২৬ নভেম্বর গাজীপুরে একটি বাস ও সিলেটে একটি অ্যাম্বুলেন্স ও একটি সিএনজি ভাংচুর করে অবরোধকারীরা। একই দিনে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় ৩টি যাত্রবাহী বাস ও ২টি ট্রাকে আগুন দেয় বিএনপি-জামায়াতকর্মীরা।
২৭ নভেম্বর ঢাকা, চট্টগ্রাম, মৌলভীবাজার, খুলনা, সিলেট, নাটোর, নওগাঁ ও টাঙ্গাইলে ৯টি বাসসহ মোট ১৭ টি যানবাহনে আগুন দেয় অবরোধকারীরা। একই দিনে পাবনায় ট্রেনেও আগুন দেয়। ময়মনসিংহ, কুমিল্লা ও দিনাজপুরে ২টি বাসও একটি ট্রাক ভাংচুর করা হয়।
২৮ নভেম্বর বাস, ট্রাকসহ ৫টি যানবাহনে আগুন দেয় এবং একটি বাস ভাংচুর করে বিএনপি-জামায়াতকর্মীরা।
পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন জানান, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতার কারণে রাস্তাঘাটে সাধারণ মানুষের উপস্থিতি বেড়েছে। প্রায় সবকিছু স্বাভাবিক হচ্ছে। যারা চোরাগোপ্তা হামলা চালাচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইতিমধ্যে অনেককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রয়োজনে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ কল করতে অনুরোধ জানিয়ে পুলিশপ্রধান বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আমরা সবাই মিলে একযোগে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদ নির্মূল করতে সক্ষম হয়েছি। আগামীতেও আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত যে কোনো চ্যালেঞ্জ ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবিলা করতে আমরা প্রস্তুত।’