সফল প্রতিবন্ধী হিসেবে পুরস্কার পেলেন দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী মামুন

সফল প্রতিবন্ধী হিসেবে জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবসে সফল প্রতিবন্ধী হিসেবে জাতীয় পুরস্কার পেলেন মেহেরপুরের দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ওমর ফারুক মামুন।

গতকাল রবিবার সমাজকল্যান মন্তণালয়ের জাতীয় ফাউন্ডেশন মিলনায়তনে তাকে এ পুরস্কারে ‍ভুষিত করা হয়। সফল প্রতিবন্ধী হিসেবে মামুনকে তিনটি ক্যাটাগরিতে বেছে নেওয়া হয়। সে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী হয়েও  কম্পিউটার প্রশিক্ষক, হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক ও লেখালেখির বিষয়টি পাধান্য দেওয়া হয়েছে।

সমাজকল্যান প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে সারা বাংলাদেশের সফল ৭ প্রতিবন্ধীর হাতে ক্রেষ্ট, সনদ ও আর্থিক পুরস্কার তুলে দেন।

ওমর ফারুক মামুন মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলার শিবপুর গ্রামের মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে।




গাংনীর গাড়াবাড়ীয়াতে রোগে আক্রান্ত গরু জব্দ; জরিমানা আদায়

গাংনীর গাড়াবাড়ীয়াতে এনথ্রাক্স রোগে আক্রান্ত জবাই কৃত গরু জব্দ করা হয়েছে।

আজ সোমবার সকাল ৯ টার সময় উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালের ভেটেনারি সার্জন ডাঃমোঃ আরিফুল ইসলাম ধলা পুলিশ ক্যাম্পের এ এস আই অমল চন্দ্র সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে জবাই কৃত গরু জব্দ করেন।

জবাইকৃত গরু হলো গাড়াবাড়ীয়া গ্রামের মৃত জসীমউদ্দিনের ছেলে হাসেম আলীর। স্থানীয়রা জানান, আজ ভোর ৫ টার সময় গরু জবাই করেন। এবং জব্দ করার আগেই ২৫ কেজি মত মাংস বিক্রি হয়েছে বলে জানান। তবে বিক্রয় কৃত মাংস ফিরিয়ে নিয়ে তাদের টাকা ফেরৎ দেওয়ার নির্দেশ দেন ডাঃ আরিফুল ইসলাম।

এ বিষয়ে ভেটেনারি সার্জন ডাঃ আরিফুল ইসলাম জানান আমরা অভিযোগ পাই গাড়াবাড়ীয়া গ্রামে অসুস্থ গরু জবাই হচ্ছে সেই পরিপ্রেক্ষিতে আসি এসে গরুর মাংস ভুড়ি জব্দ করি এবং বাকি মাংস গুলো কেরোসিন দিয়ে খোলা যায়গায় ৬ ফুট মাটির পুতে রাখার ব্যাবস্থা করা হয়েছে। বিক্রির মাংস ফেরৎ নিয়ে টাকা ফেরৎ দেওয়ার ব্যাবস্থা করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে ২ নং ওয়ার্ডের গাড়াবাড়ীয়া গ্রামের মেম্বর জিনারুল ইসলাম জানান এনথ্রাক্স আক্রান্ত গরু জবাই করেছে বলে ধারনা করা হয়েছে। সে ক্ষেত্রে যারা মাংস কিনেছে তারা যেন না খাই সেই ব্যাবস্থা চলমান রেখেছি।

ধলা ক্যাম্পের ইনচার্জ অমল চন্দ্র জানান যারা যারা এই কাজের সাথে জড়িত তাদের সকলকে আইনের আওতায় আনা হবে ইউ এন ও স্যারের কাছে হাজির করার ও নির্দেশ আছে।

জানাগেছে এই কর্মকান্ডে জড়িত মস্তক আলী ১০০০ ও গরুর মালিক হাসেম আলীর ১০০০ টাকা জরিমানা করেছেন গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রিতম সাহা।




ইউরো কাপ ২০২৪ গ্রুপ অফ ডেথ

বছর শেষ হওয়ার আগে বেজে উঠেছে ইউরো কাপ-২০২৪-এর দামামা। এবারের আসরের আয়োজক দেশ জার্মানি। আর এই আয়োজক দেশেই গত পরশু অনুষ্ঠিত হয়ে গিয়েছে ২০২৪ ইউরো কাপের ড্র।

যেখানে মোট ২১টা দলকে রাখা হয়েছে ছয়টা গ্রুপে। এছাড়া এখন জায়গা রয়েছে তিনটা দলের জন্য। আগামী বছরের জুন ও জুলাই মাসে অনুষ্ঠিত হবে ইউরোপের মর্যাদার এই লড়াইটি।

শনিবার জার্মানির হামবুর্গে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হয় আসন্ন ইউরোর ড্র। সেখান থেকেই ড্র-এর মাধ্যমে ছয়টি গ্রুপে ভাগ করা হয়। গ্রুপ বিন্যাসের পর দেখা যায় অপেক্ষাকৃত সহজ গ্রুপেই পড়েছে আয়োজক জার্মানি। তারা রয়েছে ‘এ’ গ্রুপে। স্বাগতিকদের পাশাপাশি এই গ্রুপে রয়েছে স্কটল্যান্ড, হাঙ্গেরি ও সুইজারল্যান্ড। এছাড়া ড্রতে তুলনামূলক কঠিন গ্রুপ পেয়েছে ফ্রান্স।

সর্বশেষ দুটি ফিফা বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলা ফ্রান্স ‘ডি’ গ্রুপে রয়েছে। তারা তাদের গ্রুপে পেয়েছে নেদারল্যান্ডস ও অস্ট্রিয়াকে। প্লে-অফ থেকে একসঙ্গে যোগ দেবে পোল্যান্ড, ওয়েলস, ফিনল্যান্ড বা এস্তোনিয়ার যে কোনো একটি দল।

তবে এই আসরের মূল নজর থাকবে গ্রুপ ‘বি’ এর ওপর। এটিকে গ্রুপ অফ ডেথও বলা যেতে পারে। স্পেন, ক্রোয়েশিয়া, ইতালি এবং আলবানিয়া রয়েছে এই গ্রুপে। টানা দুবার বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি ইতালি। যদিও ইউরো কাপে তাদের পারফরম্যান্স ভালো। সবশেষ আসরের শিরোপা জেতা দলও তারা।

যদিও প্রবল চ্যালেঞ্জের সামনে পড়তে হবে তাদের। রয়েছে স্পেন ও ক্রোয়েশিয়ার মতো ধারাবাহিক ও শক্তিশালী দল।

২০২০ ইউরোর রানার্সআপ দল ইংল্যান্ড রয়েছে গ্রুপ ‘সি’ তে। তারাও রয়েছে তুলনামূলক সহজ গ্রুপে। তাদের প্রতিপক্ষ হিসেবে রয়েছে ডেনমার্ক, স্লোভেনিয়া ও সার্বিয়াকে।

এছাড়া সহজ গ্রুপ পেয়েছে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোদের দল পর্তুগালও। ‘এফ’ গ্রুপে পর্তুগিজদের সঙ্গী তুরস্ক ও চেক রিপাবলিক। সঙ্গে প্লে-অফ থেকে এসে যোগ দেবে জর্জিয়া, গ্রিস, কাজাখস্তান ও লুক্সেমবার্গের মধ্যে যে কোনো একটি দল।

প্লে-অফ থেকে যে তিনটি দল ইউরোয় জায়গা করে নেবে, তাদের একটি যাবে গ্রুপ ‘ই’তে। এই গ্রুপে আছে বেলজিয়াম, স্লোভাকিয়া ও রোমানিয়া। তাদের সঙ্গে যুক্ত হবে প্লেঅফের ইসরাইল, বসনিয়া অ্যান্ড হার্জেগোভিনা, ইউক্রেন ও আইসল্যান্ডের যে কোনো এক দল।

এদিকে সম্প্রতি উয়েফার পক্ষ থেকে ইউরোর পুরস্কার মূল্যের ঘোষণা করা হয়। এই টুর্নামেন্টে মোট পুরস্কার মূল্য ৩৩১ মিলিয়ন ইউরো। গতবারও একই ছিল। জয়ী দল পাবে ২৮.২৫ মিলিয়ন ইউরো।

কোয়ার্টার ফাইনালে প্রবেশ করা আটটা দল পাবে ২.৫ মিলিয়ন ইউরো করে। সেখান থেকে সেমিফাইনালে যে চারটে দল প্রবেশ করবে তারা পাবে ৪ মিলিয়ন ইউরো করে। সেমিফাইনালে জয়ী দুটো পাবে অতিরিক্ত ৮ মিলিয়ন ইউরো। ফাইনালে রানার্স আপ পাবে অতিরিক্ত ৫ মিলিয়ন ইউরো।

সূত্র: ইত্তেফাক




আজ ৪ ডিসেম্বর দর্শনা মুক্ত দিবস

আজ ৪ ডিসেম্বার দর্শনা মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে দর্শনা মুক্ত হয়। পাক-হানাদার বাহিনীর আবস্থান লক্ষ্য করে তিন দিকে থেকে মিত্র বাহিনী ও মুক্তিযোদ্ধারা আক্রমন করে পাকবাহিনীকে হটিয়ে দর্শনা মুক্ত করে।

মিত্র বাহিনী ও মুক্তিযোদ্ধারা জানতে পারে দর্শনা শান্তি পাড়া ও পরাণপুর গ্রামের মাঁঝামাঝি মাঠে পাক হানাদার বাহিনী ঘাটি করে আছে।

এ খবর পেয়ে যুদ্ধকালিন কমান্ডার লিয়াকত আলীর নেত্রীত্বে আব্দুল হামিদ তোতা, নুর হাকিম, গোলাম হোসেনসহ ৩০ মুক্তিযোদ্ধা এবং ৩০০ জন মিত্র বাহিনী ভারতের গেদে বোর্ডারের ক্যাম্পে বসে রাতের খাবার খেয়ে পাক-বাহিনীর অবস্থানের দিকে রওনা হয়।

বারাদী সীমান্ত পেরিয়ে পারকৃষ্ণপুর মদনা হয়ে গোবিন্দপুর গ্রামের নিকটবর্তী স্থান দিয়ে রাবারের নৌকা চেপে ৩০ জন করে মাথাভাঙ্গা নদী পার হয়ে ধাঁপাড়ী ও তালবাগান মাাঠের উত্তর-পশ্চিম কনে আবস্থান নিই বলে লিয়াকত আলী জানান।

তিনি আরো বলেন, আমরা ৩৩০ জন মুক্তিযোদ্ধা ও মিত্রবাহিনী ধাঁপাড়ী ও তালবাগান মাাঠের উত্তর-পশ্চিম কনে পৌঁচ্ছে আমরা অবস্থান নিয়ে ব্যাংকার খুড়ে ফেলি। এরপর রেকি করে পাকবাহিনীর আবস্থান বুঝে রাত ৩টার দিকে সকল প্রস্তুতি সেরে পাক-হানাদার বাহিনীর গুলি, সেল, মোটার হামলা শুরু করি। রাত এক নাগাড়ে গুলি বর্ষন শুরু করলে পাক-হানাদার বাহিনীও পাল্টা সেল মারতে শুরু করে। দীর্ঘ প্রায় ২ ঘন্টা ৪৫ ধরে উভয় পক্ষের মধ্যে যুদ্ধ চলে। মুহুর-মুহুর গুলি, সেল মটার সেল নিক্ষেপ করার ফলে এক পযার্য় পাকবাহিনী নাস্তানাবুদ হয়ে পড়ে। আমাদের লোকেশন বুঝতে না পেরে পাক-বাহিনী রেলগেট ও ডাঙ্গাপাড়া মাঠের দিকে সেল,মটার ও গুলি বর্ষন করতে থাকে।

ফলে আমাদের তেমন কোন ক্ষতি না হলেও মিত্রবাহিনীর দুইজন নিহত ও একজন আহত হয় পাক-বাহিনীর। অপর দিকে পাক-হানাদার বাহিনী ব্যাপক হতাহত হয়। একদিকে আমাদের সাথে লড়াই চলছে। আপরদিকে উথলী দিক থেকে আব্দুর রহমানের নেতৃত্বে পাক-বাহিনীর উপর হামলা চালায়।

এ সময় তিনদিক থেকে মুক্তি বাহিনীর আক্রমনে পাক-হানাদার বাহিনী নাস্তানাবুদ হয়ে। ভোরের আলো ফুটতে না ফুটতেই পাক-হানাদার বাহিনী রেলপথ ও সড়ক পথ ধরে চুয়াডাঙ্গা শহরের দিকে পালাতে থাকে। সকাল সাড়ে ৬টার দিকে দর্শনা কেরু চিনিকলের জেনারেল অফিসের সামনে মিত্র-বাহিনীর প্রধান মিঃ বুফে ও মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার লিয়াকত আলীর নেত্রীত্বে বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করা হয়েছিল। পযার্য়ক্রমে ৪ থেকে ৫ ও ৭ তারিখের মধ্যে দামুড়হুদা ও চুয়াডাঙ্গা মুক্ত হয়।




আজ ৪ ডিসেম্বর জীবননগরে হানাদার মুক্ত দিবস

১৯৭১ সালের এ দিনে জীবননগর উপজেলা হানাদার মুক্ত হয়। মুক্তিযেদ্ধা ও ভারতীয় মিত্রবাহিনীর প্রতিরোধের মুখে পাক হানাদার বাহিনী যুদ্ধে পরাজিত হয়ে ঝিনাইদহ অভিমুখে পালিয়ে যায়।

জীবননগর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা সাইদুর রহমান জানান, ১৯৭১ সালের ২৬ নভেম্বর জীবননগরে পাক হানাদার বাহিনীর পতন ঘটলেও চূড়ান্ত বিজয় আসে ৪ ডিসেম্বর।

এদিন ভোরে মিত্র বাহিনীর কমান্ডার ও ৮ নম্বর সেক্টরের বানপুর সাব-সেক্টর কমান্ডার ক্যাপ্টেন পরবর্তীতৈ সেনাবাহিনী প্রধান প্রয়াত জেনারেল (অব:) মোস্তাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধা ও মিত্র বাহিনী যৌথভাবে জীবননগর উপজেলার ধোপাখালী সীমান্ত দিয়ে প্রবেশ করে। এরপর তারা জীবননগর, দত্তনগর ও হাসাদহ গ্রামে পাক বাহিনীর ওপর অতর্কিত ঝাঁপিয়ে পড়েন।

শুরু হয় রক্তক্ষয়ী সম্মুখ যুদ্ধ। যুদ্ধে পাকহানাদার বাহিনীর ২৯ বেলুচ রেজিমেন্টের সৈন্যরা যৌথবাহিনীর কাছে পরাজিত হয়ে পাশর্^বর্তী ঝিনাইদহ জেলার দিকে পালিয়ে যায়।

পরে বীর মুক্তিযোদ্ধারা জীবননগর থানায় ধর্ষণকারী ও নির্যাতনকারী হিসেবে চিহ্নিত পাকহানাদার বাহিনীর ক্যাপ্টেন মুনছুর আলীর ব্যবহৃত জিপ গাড়িটিতে আগুন ধরিয়ে পুড়িয়ে দেয়।

এ দিন স্বত:স্ফুর্ত মুক্তিপাগল মুক্তিযোদ্ধারা জীবননগরের মাটিতে প্রথম উত্তোলন করেন স্বাধীন বাংলার পতাকা। শুরু হয় প্রশাসনিক কর্মকাণ্ড। বীর মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুর রসুলকে প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও মজিবর রহমানকে থানা ইনচার্জ করে বেসামরিক প্রশাসন ব্যবস্থা চালু করা হয়।

প্রতিবছর ৪ ডিসেম্বর জীবননগর মুক্ত দিবস হিসেবে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, সাংস্কৃতিক সংগঠন ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ পালন করে আসছেন।




শীতকালে হাত ও পায়ের চামড়া ওঠলে যা করবেন 

অনেকেরই ধারণা হাত ও পায়ের চামড়া শীতকালে উঠে থাকে। শীতকালে চামড়া ওঠা স্বাভাবিক হলেও বছরজুড়েই যদি হাত ও পায়ের চামড়া ওঠে তাহলে এটি অবশ্যই সমস্যা। কারণ সারা বছর হাত-পায়ের চামড়া ওঠা স্বাভাবিক নয়।

হাত ও পায়ের চামড়া ওঠাকে চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় কেরাটোলাইসিস এক্সফোলিয়াটিচা বলা হয়।

চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায়, হাত ও পায়ের চামড়া ওঠার প্রথম কারণটি হচ্ছে জিনগত বা বংশগত। এর বাইরে পুষ্টিহীনতা ও ত্বকের পরিচর্যায় অবহেলা থেকেও চামড়া ওঠে।

চামড়া উঠে যাওয়াতে শরীরের সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে যায়। কাজের ব্যস্ততার মধ্যে কিছুটা সময় বের করে শরীরের যত্ন নিলেই এ সমস্যা থেকে সহজেই মুক্তি পাওয়া যাবে। কীভাবে একটু সময় বের করে যত্ন নেবেন সে কথাই জেনে নেওয়া যাক।

হাতের চামড়া উঠে যাওয়ার জন্য তিলের তেল, গ্লিসারিন ও গোলাপজল সমপরিমাণে মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন। যদি হাতের কাছে তিলের তেল না থাকে তাহলে বিকল্প হিসেবে জলপাইয়ের (অলিভ) তেল ব্যবহার করতে পারেন। পায়ের চামড়ার জন্য মধু, গ্লিসারিন, লেবুর রস ও ঘৃতকুমারীর রস একসঙ্গে মিশিয়ে নির্দিষ্ট জায়গায় লাগাতে হবে।

বিশেষ করে রাতে খাবার শেষে যখন ঘুমাতে যাবেন তার ঠিক ৩০ মিনিট আগে লাগিয়ে রাখুন। তারপর পায়ে পাতলা মোজা পরে ঘুমাতে যান।

সূত্র: যুগান্তর




ভয়াবহ ভূমিকম্পের ঝুঁকিতে বাংলাদেশ? কারণটা কী?

ভয়াবহ ভূমিকম্পে কাঁপল ঢাকাসহ সারাদেশ। শনিবার সকাল ৯টা ৩৫ মিনিটের দিকে অনুভূত হয় ভূমিকম্প। এর উৎপত্তিস্থল লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলা । রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৬। বাংলাদেশে চলতি বছরে বেশ কয়েকবার ভূমিকম্প হয়েছে। যদি ঘন ঘন দেশটা কেঁপে ওঠে তাহলে তো একটু ভয়ের ব্যাপার।

বাংলাদেশে ভূমিকম্প একেবারেই অস্বাভাবিক নয়। এর আগেও বহুবার এই বিষয়টা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। কিন্তু প্রশ্নটা অন্য জায়গায়। বাংলাদেশ তো সমতল ভূমি, তাহলে বারবার ভূমিকম্প হওয়ার কারণটা কি? বাংলাদেশের অবস্থান টাই কি এই এর মূল কারণ? ভবিষ্যতে কি বাংলাদেশে বড়সড় ভূমিকম্প হতে পারে ?

বুয়েট ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের এক যৌথ গবেষণায় দেখা যায়, ভারতের আসামে ১৮৯৭ সালে রিখটার স্কেলে ৮ দশমিক ৭ মাত্রার একটি ভূমিকম্প আঘাত হানে। ভূমিকম্পটির কেন্দ্র ছিল ঢাকা থেকে ২৫০ কিলোমিটার দূরে। ওই সময় ঢাকায় মাত্র ১০০টি পাকা দালান ছিল, অধিবাসী ছিল ৯০ হাজার। ওই ভূমিকম্পে আহসান মঞ্জিলসহ ১০টি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

দুই প্লেটের সংযোগস্থলে বাংলাদেশ
গত মে মাস থেকে শুরু করে চলতি বছরের শেষ পর্যন্ত ছোট থেকে মাঝারি ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছে বাংলাদেশ। যার প্রত্যেকটার কেন্দ্রস্থল বা উৎপত্তিস্থল রয়েছে দেশটার মধ্যে। বাংলাদেশে বড়সড় ভূমিকম্প হওয়ার আশঙ্কা একেবারেই উড়িয়ে দেওয়া যায় না।

আসলে বার্মিজ প্লেট আর ইন্ডিয়ান প্লেটের সংযোগস্থলে রয়েছে বাংলাদেশ। এই সংযোগ স্থলেই রয়েছে অধিকাংশ পার্বত্য এলাকাসহ দেশটার বেশিরভাগ অঞ্চল। এই দুই প্লেটের মধ্যে পশ্চিম দিকে সরে যাচ্ছে বার্মিজ প্লেট আর উত্তর-পূর্ব দিকে সরে যাচ্ছে ইন্ডিয়ান প্লেট। প্লেটের সংযোগস্থলে জমা রয়েছে প্রচুর শক্তি। দুই প্লেটের পরস্পরের গতির কারণে এই শক্তি যখনই বেরিয়ে আসার পথ খোঁজে তখনই কেঁপে উঠছে বাংলাদেশ। আর এই শক্তি কিন্তু একদিন না একদিন ঠিক বেরিয়ে আসবে। দুদিন আগে, নয় দুদিন পরে।

বাংলাদেশ কতটা ঝুঁকিতে
বাংলাদেশের শক্তিশালী ভূমিকম্পের মূল উৎস সিলেট থেকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত যে পার্বত্য এলাকা রয়েছে সেটি। শুধু বাংলাদেশ নয়, একইভাবে ঝুঁকিতে রয়েছে ভারতের মনিপুর মিজোরাম আর মিয়ানমারের পার্বত্য এলাকা। বাংলাদেশের যেভাবে ভূমিকম্প হচ্ছে তা কিন্তু মৃদু থেকে মাঝারি। রয়েছে বড় ভূমিকম্পের প্রবণতা, সেটা যে কোন সময়ই হতে পারে।

প্রকৃতিকে এখনো মানুষ পুরোপুরি রপ্ত করতে পারেনি। তাই বড় ভূমিকম্প কখন হবে তার নির্দিষ্ট করে আগে থেকে বলা যায় না। কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষণায় বলা হয়েছিল, গঙ্গা আর ব্রহ্মপুত্র অববাহিকা একটা হিডেন ফল্ট রয়েছে, যা বাংলাদেশে তৈরি করতে পারে রিখটার স্কেলের নয় মাত্রার ভূমিকম্প। এই হিডেন ফল্ট রয়েছে কিন্তু ওই দুই প্লেটের সংযোগস্থলে। সব থেকে খারাপ অবস্থায় রয়েছে বাংলাদেশের সিলেট থেকে টেকনাফ পর্যন্ত বিস্তৃত দুটো প্লেটের সংযোগ। বিশেষজ্ঞদের মতে, গত ৮০০ থেকে ১০০০ বছরের মধ্যে এখানে জমে থাকা শক্তি বের হয়নি। সাধারণত এই ধরনের প্লেটের সংযোগস্থলের ভূমিকম্পের বেশিরভাগই মাত্রা হয় ৭.৫ এর উপরে। পরিনাম হয় ধ্বংসাত্মক।

অনেকের প্রশ্ন মাঝে মাঝে ছোট ছোট ভূমিকম্পে অভ্যন্তরীণ শক্তি বাইরে বেরিয়ে আসছে। তাহলে কেন বড় ধরনের ভূমিকম্প হতে যাবে? বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ ও ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞ মো. মমিনুল ইসলাম বলেন, যে পরিমাণ শক্তি জমা থাকে, তা যদি হঠাৎ বেরিয়ে আসে তাহলে বড় মাত্রার ভূমিকম্প হওয়া খুবই স্বাভাবিক। এত পরিমাণ শক্তি ছোট ছোট ভূমিকম্পের মাধ্যমে বের হয়ে আসা কখনো সম্ভব নয়। সেক্ষেত্রে কয়েক হাজার বছর পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।

যদিও শুধু বাংলাদেশ নয়, একই ঝুঁকিতে রয়েছে ভারতসহ বিশ্বের বহু দেশ। গ্লোবাল সিসমিক সংস্থার মানচিত্র বলছে, বাংলাদেশ, ভারতের পাশাপাশি চীন, জাপান, নেপাল, তুরস্ক , ইরান, ইন্দোনেশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা এবং চিলি ভূমিকম্পের ঝুঁকিতে অবস্থান করছে।

ভূমিকম্পে মানুষের মৃত্যুর ৯০ শতাংশই হয় ভবনধসে। বড় ভূমিকম্পে রাজধানী ঢাকায় কেমন প্রভাব পড়তে পারে। ভূমিকম্পগবেষক অধ্যাপক সৈয়দ হুমায়ুন আখতার বলেন, ‘বাংলাদেশের ভেতরে ১৩টি ভূগর্ভস্থ চ্যুতি রয়েছে। তবে তার সব কটি ঢাকা থেকে বেশ দূরে। কিন্তু পার্বত্য চট্টগ্রাম ও সিলেটে মাঝারি থেকে তীব্র ভূমিকম্প হলে ঢাকায় অনেক ভবন ভেঙে পড়তে পারে।’ তিনি বলেন, ‘দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য, ঢাকার ভবনগুলোর বেশির ভাগই ইমারত নির্মাণ বিধিমালা এবং ভূমিরূপ মেনে নির্মাণ করা হয়নি। এ কারণে ভূমিকম্প বড় ক্ষতি হতে পারে।’




আলমডাঙ্গায় বৈদ্যুতিক পোলের সাথে প্রাইভেটের ধাক্কায় চিকিৎসক আহত

আলমডাঙ্গা পৌর এলাকায় প্রাইভেট কার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুর্ঘটনায় আল ইমরান নামের এক চিকিৎসক মারাত্মক আহত হয়েছেন।

আজ রোববার সকালের দিকে ওই চিকিৎসক তার প্রাইভেট কার নিয়ে ড্রাইভিং করে যাওয়ার সময় আনন্দধাম এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি বৈদ্যুতিক পোলে ধাক্কা লেগে চিকিৎসক গুরুতর আহত হন তিনি। স্থানীয়রা আহত চিকিৎসককে উদ্ধার করে একটি ক্লিনিকে ভর্তি করেন।

আহত চিকিৎসক আল ইমরান কলেজপাড়ার শেফা ক্লিনিকের স্বত্বাধিকারী ও উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার ডাঃ জাকারিয়া খালিদ তপনের ছেলে। ডাঃ আল ইমরান একটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজ থেকে ডাক্তারি পড়েছেন।

পারিবারিক সুত্রে জানা যায়, ডাঃ আল ইমরান সকালে তার প্রাইভেট কার নিয়ে জামজামির উদ্দেশ্যে বের হন। প্রাইভেট কারটি আনন্দধাম কাদেরের মটর গ্যারেজের নিকট পৌঁছে নিয়ন্ত্রন হারিয়ে একটি বৈদ্যুতিক পোলের সাথে স্বজোরে ধাক্কা দেন। এতে তার প্রাইভেট কারের সামনের অংশ দুমড়ে মুচড়ে যায়। এতে মারাত্মক আহত হন আল ইমরান। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে একটি ক্লিনিকে ভর্তি করেন। সেখানে তাকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তার পিতা জাকারিয়া খালিদ তপন জানান,বর্তমানে তার অবস্থার উন্নতির দিকে। সন্তানের জন্য তিনি সকলের নিকট দোয়া চেয়েছেন।




আলমডাঙ্গায় বুদ্ধিজীবী দিবস ও বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে প্রস্তুতি সভা

আলমডাঙ্গা উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস ও ১৬ই ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে প্রস্তুতি মূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

 আজ সকাল ১১ টার দিকে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্নিগ্ধা দাস।

প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আইয়ুব হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট খন্দকার সালমুন আহমেদ ডন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কাজী মারজাহান নিতু, সহকারী কমিশনার (ভূমি) রেজওয়ানা নাহিদ, থানা অফিসার ইনচার্জ বিপ্লব কুমার নাথ, হারদী হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাক্তার নাজনীন সুলতানা, কৃষি অফিসার কৃষিবিদ রেহানা পারভীন, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাক্তার আব্দুল্লাহিল কাফি, পৌরসভার প্যানেল মেয়র খন্দকার মতিবুল হক।

কলেজিয়েট স্কুলের উপাধ্যক্ষ শামীম রেজার পরিচালনায় অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জিয়াউল হক, উপজেলা শিক্ষা অফিসার শামসুদ্দোহা, উপজেলা রিসোর সেন্টারের ইন্সট্রেক্টর জামাল হোসেন, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা এনামুল হক, উপজেলা প্রকৌশলী আব্দুর রশিদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট আব্দুর রশিদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা ৭১ এর অগ্নি সেনা মইনুদ্দিন পারভেজ, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা সুলতান জোয়ার্দ্দার, বণিক সমিতির সভাপতি আরেফিন মিয়া মিলন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কুদ্দুস,বীর মুক্তিযোদ্ধা এম সবেদ আলী, প্রেসক্লার সভাপতি খন্দকার শাহ আলম মন্টু, সাধারণ সম্পাদক খন্দকার হামিদুল ইসলাম আজম, তথ্য কর্মকর্তা স্নিগ্ধা দাস, উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা গোলাম আউয়াল সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপক আব্দুল আউয়াল,পূবালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপক আনোয়ার হোসেন, উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার ডাক্তার মঞ্জুরুল ইসলাম বেলু, ইউপি চেয়ারম্যান মুজাহিদুর রহমান, ইউপি চেয়ারম্যান আসিদুল হক মিকা, এম সবেদ আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সিদ্দিকুর রহমান, আলমডাঙ্গা একাডেমী ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এনামুল হক, সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রবিউল ইসলাম খান, মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনিরুজ্জামান, এরশাদপুর একাডেমীর প্রধান শিক্ষক শামীম, ইসলামিক ফাউন্ডেশন এর হাফেজ ওমর ফারুক প্রমূখ।




বিএনপির হরতাল-অবরোধে ৫১৯টি যানবাহন ও স্থাপনায় আগুন-ভাঙচুর

গত ২৮ অক্টোবর থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত ২০ দিনের মধ্যে ১৬ দিন ছিলো অবরোধ এবং চার দিন হরতাল কর্মসূচি পালন করেছে বিএনপি-জামায়াত। এসময়ে সারাদেশে যানবাহনে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে ২৯৯টি। যানবাহন ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে ১৯১টি। বিভিন্ন স্থাপনায় ভাংচুর করা হয়েছে ১৮টি। আর অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে ১১টি। সব মিলিয়ে অগ্নিকাণ্ড ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে ৫১৯টি।

পুলিশ সদর দপ্তর থেকে প্রাপ্ত তথ্য থেকে জানা গেছে, শুধুমাত্র ২৮ অক্টোবর বিএনপির সহিংসতাকে ঘিরে মোট ৪২টি গাড়ি অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। ভাংচুর করা হয়েছে ৩০টি। ওই দিন বিভিন্ন স্থাপনা ভাংচুর করা হয়েছে ১৫টি এবং সাতটি স্থাপনায় অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে।

২৮ অক্টোবর রাজধানীর ফকিরাপুল, কাকারাইল, নয়াপল্টন, মালিবাগ, বিজয়নগর এলাকাতে ধ্বংসযজ্ঞ চালায় বিএনপি কর্মীরা। এরমধ্যে প্রধান বিচারপতির বাসভবন, মাতৃভাষা ইন্সস্টিটিউট, ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সস্টিটিউটে ভাংচুর চালায়। ডিসি ট্রাফিকের রমনা ও মতিঝিল অফিস, ফুকিরাপুল, মালিবাগ, কাকরাইল ও বিজয়নগর পুলিশ বক্সে অগ্নিসংযোগ করে। বিএনপি ও জামায়াতের কর্মীরা রাজধানীর দৈনিক বাংলা মোড়ে পুলিশের ওপর হামলা চালায়। এতে এক পুলিশ সদস্য নিহত ও অসংখ্য পুলিশ সদস্য আহত হন। একই দিনে বিএনপি ও জামায়াত কর্মীরা অন্তত ৩২ জন সাংবাদিককে মারধর করে। ওই দিন বিএনপি কর্মীরা নজিরবিহীন তাণ্ডব চালায় রাজধানীর রাজারবাগে কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে। তারা হাসপাতালে ব্যাপক ভাঙচুর চালায় এবং অ্যাম্বুলেন্সসহ জীপ গাড়ি ও মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ করে।

২৯ অক্টোবর হরতালের দিন রাজধানীর মোহাম্মদপুর, বংশাল, বায়তুল মোকাররামের দক্ষিণ গেইটে ও ডেমরা স্টাফ কোয়ার্টার এলাকায় যাত্রিবাহী গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে। অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ডেমরায় বাসের হেলপার মো. নাঈম (২২) অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যান। অপরিদকে মোহাম্মদপুরে বাসে আগুন দিয়ে পালানোর সময় স্থানীয় লোকজনের ধাওয়া খেয়ে একটি নির্মাণাধীন ভবনের ছাদে উঠে আরেকটি ভবনে লাফ দিয়ে যাওয়ার সময় নিচে পড়ে গিয়ে মারা যান যুবদল কর্মী আবদুর রশিদ (৩০)। একই দিনে সিলেট শহরের বিভিন্ন স্থানে অন্তত নয়টি গাড়ি ভাংচুর করে বিএনপি ও জামায়াত কর্মীরা। গাজীপুরের চেরাগ আলীতে বিআরটিসির একটি দোতলা বাসে আগুন দেয় হরতাল সমর্থকরা। ফরিদপুরের মধুখালিতে একটি মোটরসাইকেলে, মানিকগঞ্জ সদর ও ঘিওরে দুটি বাসে আগুন, কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়া ঈদগাহ মাঠের কাছে ইটনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার গাড়ি ভাঙচুর, নোয়াখালীর চন্দ্রগঞ্জ হাইওয়েতে একটি ট্রাকে, মাগুরা সদরে মাগুরা-ঢাকা হাইওয়েতে একটি বাসে আগুন দেয় হরতালকারীর। বগুড়া সদরের নবাববাড়ী মোড়ে বগুড়া সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার গাড়ি ভাংচুর করে। নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে অটো রিকশায় অগ্নিসংযোগ করে হরতাল সমর্থকরা।

৩০ অক্টোবর অবরোধ চলাকালে চট্টগ্রামের খুলশীতে একটি বাসে ও গাজীপুরের বাসনে একটি বাসে আগুন দেয় অবরোধকারীরা। ৩১অক্টোবর দেশের বিভিন্ন স্থানে ৩টি প্রাইভেট কার, চট্টগ্রাম, ঢাকা, কুমিল্লা, বগুড়া, দিনাজপুর ও নারায়ণগঞ্জে ৬টি বাসে, ৩টি ট্রাক, ২টি কাভার্ড ভ্যান, ৩টি পিকআপ, পাবনায় ২টি অটোরিকশা, নোয়াখালীতে ৩টি সিএনজি অটোরিকশা ভাঙচুর করে অবরোধকারীরা। একই দিনে ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, সিলেট, গাজীপুর, সিরাজগঞ্জ ও বগুড়ায় ১১টি বাস, ২টি ট্রাক, একটি কাভার্ড ভ্যান, একটি পিকআপ ও ৩টি মোটরসাইকেলে অগি্নসংযোগ করে অবরোধকারীরা। ওই দিন অবরোধ চলাকালে কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে দুই জন নিহত হন এবং দেশের বিভিন্ন এলাকায় ২৮ পুলিশ সদস্য আহত হন।
১ নভেম্বর অবরোধ চলাকলে সারাদেশে বিএনপি-জামায়াত কর্মীরা ১৭টি যানবাহন ভাংচুর ও ১৮টি যানবাহনে অগ্নিসংযোগ করে। ওই দেশের বিভিন্ন স্থানে অবরোধকারীদের হামলায় ১৭ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। পুলিশের তথ্য অনুযায়ি, ওই দিন ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, কুমিল্লা, গাজীপুর, বগুড়া, সুনামগঞ্জ, খুলনা, রাজশাহী ও নোয়াখালীতে ১৭টি গাড়ি ভাংচুর করে অবরোধকারীরা। এরমধ্যে দুটি পুলিশ বাস, ৫টি কাভার্ডভ্যান, ৪টি ট্রাক, ৩টি সিএনজি, একটি অটোরিকশা ও একটি পিকআপ ভ্যান ভাংচুর করা হয়। একই দিনে পাবনায় ঢাকা-কলকাতার মধ্যে চলাচলকারী মৈত্রি এক্সপ্রেস ট্রেনেও হামলা চালানো হয়। ওই দিন ঢাকা, চট্টগ্রাম সিলেট, বগুড়া, হবিগঞ্জ, ভোলা ও ব্রাহ্মণবাড়ীয়ায় ৪টি বাস, ৬টি ট্রাক, একটি লরি, ২টি কাভার্ডভ্যান, একটি সিএনজি, ২টি মোটরসাইকেল ও ২টি পিকআপে আগুন দেয় অবরোধকারীরা।

২ নভেম্বর সারাদেশে অবরোধকারীদের হাতে মোট ২৩ টি যানবাহন ক্ষতিগ্রস্থ হয়। এরমধ্যে ১১টি গাড়ি ভাংচুর ও ১২টিতে অগ্নিসংযোগ করে অবাধরকারী বিএনপি-জামায়াতের কর্মীরা। ওইদন অবরোধকারীরা ঢকা, চট্টগ্রাম, বরিশাল, নারায়ণগঞ্জ, বগুড়া, সুনামগঞ্জ ও হবিগঞ্জে মোট ৩টি বাস, ৩ট্রাক, ২টি পিকআপ ও ২টি রেকার ভাংচুর করে। একই দিনে ঢাকা, চট্টগ্রাম, নেত্রকোনা, নারায়ণগঞ্জ, ফেনী, বগুড়া ও বরগুনায় বাস, ট্রাক, প্রাইভেটকার,কাভার্ডভ্যান, পিকআপসহ ১২টি গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে।

৪ নভেম্বর অবরোধকারীরা রাজধানী ঢাকার গুলিস্তান, নিউমার্কেট, যাত্রাবাড়ীতে ৪টি যাত্রীবাহী বাসে এবং ভোলায় একটি বাসে আগুন দেয়।

পুলিশের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ৫ নভেম্বর অবরোধকারীরা দেশের বিভিন্ন এলাকায় ৩২টি গাড়িতে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে। ওই দিন ঢাকা ও খুলনায় অবরোধকারীদের হামলায় ৫ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। ওই দিন ঢাকা, গাজীপুর, সিলেট, নোয়াখালী, বগুড়া, মৌলভীবাজার ও পাবনায় ২টি বাস, ২টি ট্রাক, একটি মিনিবাস, ৪টি কাভার্ডভ্যান, একটি প্রাইভেট কার, একটি মাইক্রোবাস ও ৩টি সিএনজি ভাংচুর করা হয়। এছাড়া ঢাকা, চট্টগ্রাম ও খুলনায় ১০টি যাত্রিবাহী বাস, খাগড়াছড়ি ও নোয়াখালীতে দুটি ট্রাক, সিলেটে একটি পিকআপ, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জে ২টি কাভার্ড ভ্যান, হবিগঞ্জে একটি প্রাইভেট কার ও ঢাকায় একটি জীপ গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে অবরোধকারী বিএনপি-জামায়াতের কর্মীরা। একই দিনে পিরোজপুরে আওয়ামী লীগ অফিসেও আগুন দেয় অবরোধকারীরা।

৬ নভেম্বর দেশের বিভিন্ন এলাকায় ৭টি যানবাহন ভাংচুর ও ১৮টি যানবাহনে অগ্নিসংযোগ করে অবরোধকারীরা। এরমধ্যে রাজশাহী, ফেনী, পিরোজপুর ও বগুড়ায় ২টি বাস, ৪টি ট্রাক ও একটি সিএনজি অটোরিকশা ভাংচুর করে। একই দিনে ঢাকা, চট্টগ্রাম, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ ও ফেনীতে ৭টি বাস, ২টি পানির ট্যাংকি, দুটি কাভার্ডভ্যান, একটি সিএনজি ও একটি লেগুনায় আগুন দেয় অবরোধকারীরা। সিরাজগঞ্জে আওয়ামী লীগ অফিসে অগ্নিসংযোগ করা হয়। হবিগঞ্জে ৮ জন্য পুলিশ সদস্য আহত হন।

৭ নভেম্বর গাজীপুরে একটি যাত্রাবাহী বাসে আগুন দেয়া হয়।

৮ নভেম্বর সুনামগঞ্জ, রাজশাহী ও সিলেট, ৯টি গাড়ি ভাংচুর করে অবরোধকারীরা। এদিন ১৪টি গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয়। এরমধ্যে ঢাকা, গাজীপুর ও বরগুনায় ৬টি বাস, বগুড়ায় ২টি ট্রাক, গাজীপুর, বরিশাল ও খাগড়াছড়িতে ৩টি কাভার্ডভ্যানে, বগুড়ায় একটি সিএনজি ও বরিশালে ২টি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ করে অবরোধকারীরা।

৯ নভেম্বর সারাদেশ মোট ১২টি যানবাহনে ভাংচুর অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এরমধ্যে চারটি গাড়ি ভাংচুর ও ৮টিতে অগ্নিসংযোগ করা হয়। সিলেট, পাবনা ও বগুড়ায় দুটি ট্রাক, একটি সিএনজি ও একটি ও লেগুনা ভাংচুর করা হয়। আগুন দেয়া হয় ৪টি বাস, ২টি ট্রাক, একটি কাভার্ড ভ্যান ও একটি মোটরসাইকেলে আগুন দেয় বিএনপি-জামায়াত কর্মীরা।
১০ নভেম্বর বরিশালে একটি বাসে, ১১ নভেম্বর ঢাকায় ৮টি বাস, গাজীপুরে একটি ট্রাক ও একটি পিকআপে আগুন দেয় অবরোধকারীরা। ১২ নভেম্বর রাজধানী ঢাকাসহ বরিশাল, নারায়ণগঞ্জ, ফরিদপুর ও নাটোরে ১০টি বাসে আগুন দেয় এবং বগুড়া ও সুনামগঞ্জে ৩টি সিএনজি ও ইজিবাইক ভাংচুর করে।

১৩ নভেম্বর ঢাকায় ৪টি বাস সহ নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, দিনাজপুর ও সিলেটে একটি ট্রাক, একটি কাভার্ডভ্যান ও একটি পিক আপে আগুন দেয় এবং নোয়াখালী ও সিলেটে ৩টি ট্রাক ভাংচুর করে।

১৪ নভেম্বর ঢাকায় ৪টি বাসে আগুন দেয় অবরোধকারীরার।

১৫ নভেম্বর সারাদেশে বিএনপি-জামায়াত কর্মীদের হাতে মোট ৩৩টি যাবাহন ভাংচুর অগ্নিসংযোগের শিকার হয়। এরমধ্যে নোয়াখালী ও চাঁদপুরে ৪টি সিএনজি, হবিগঞ্জ ও চাপাইনবাবগঞ্জে ২টি প্রাইভেট কার ও ২টি কাভার্ডভ্যান, রাজশাহীতে একটি ট্রাক, বগুড়ায় ৫টি মোটরসাইকেল, রংপুরে একটি পুলিশের গাড়ি ভাংচুর করা হয়। ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, নাটোর, বগুড়া, নোয়াখালী, কুমিল্লা, সিলেট ও সিরাজগঞ্জে ১৬টি গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে বিএনপি-জামায়াত কর্মীরা। একই দিনে দেশের বিভিন্ন এলাকায় অবরোধকারীদের হামলায় ১৭ পুলিশ সদস্য আহত হন।

১৬ নভেম্বর দেশের বিভিন্ন এলাকায় ৬টি গাড়ি ভাংচুর ও ৯টিতে অগ্নিসংযোগ করা হয়।

১৮ নভেম্বর ঢাকা, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, জয়পুরহাটও নেত্রকোনায় ৬টি বাস ও ২টি ট্রাকে আগুন দেয় অবরোধকারীরা।

১৯ নভেম্বর ঢাকা, রাজশাহী, পাবনা, গাজীপুর, লক্ষ্মীপুর, ঠাকুরগাঁও, ফেনী, বগুড়া ও সিলেটে মোট ১১টি বাসসহ ২৭টি যানবাহন ভাংচুর এবং অগ্নিসংযোগ করা হয়। এছাড়া জামালপুরে একটি ট্রেনে আগুন দেয় অবরোধকারীরা। একইভাবে গাজীপুরে একটি স্কুল পুড়িয়ে দেয়। এছাড়া অবরোধকারীদের হামলায় ২ জন সাংবাদিক ও ৭ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়।

২০ নভেম্বর খাগড়াছড়ি, সিলেট, নোয়াখালী, দিনাজপুর ও বগুড়ায় ৩টি বাস, একটি ট্রাকসহ ১১টি যানবাহন ভাংচুর করে বিএনপি জামায়াত কর্মীরা। একই দিনে ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিরাজগঞ্জ ও বগুড়ায় ৬টি বাস ও ৪টি ট্রাকে অগ্নিসংযোগ করে অবরোধকারীরা। নোয়াখালীতে আহত হন পুলিশের ৫ সদস্য।

২১ নভেম্বর ঢাকায় ৩টি বাসে ও রংপুরে একটি ট্রাকে আগুন দেয় বিএনপি-জামায়াত কর্মীরা। ২২ নভেম্বর ট্রেনে হামলাসহ ৪টি যানবাহন ভাংচুর এবং সিলেটে ট্রেনে অগ্নিসংযোগসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় ৫টি যানবাহনে আগুন দেওয়া হয়।

২৩ নভেম্বর দেশের বিভিন্ন এলাকায় মোট ৬টি গাড়ি ভাংচুর ও ৭টি গাড়িতে আগুন দেয় অবরোধকারীরা।

২৫ নভেম্বর পাবনায় ট্রেনে ভাংচুর এবং ঢাকা, সিলেট ও কুমিল্লায় ৩টি বাসে আগুন দেয় বিএনপি-জামায়াতের কর্মীরা।

২৬ নভেম্বর গাজীপুরে একটি বাস ও সিলেটে একটি অ্যাম্বুলেন্স ও একটি সিএনজি ভাংচুর করে অবরোধকারীরা। একই দিনে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় ৩টি যাত্রবাহী বাস ও ২টি ট্রাকে আগুন দেয় বিএনপি-জামায়াতকর্মীরা।
২৭ নভেম্বর ঢাকা, চট্টগ্রাম, মৌলভীবাজার, খুলনা, সিলেট, নাটোর, নওগাঁ ও টাঙ্গাইলে ৯টি বাসসহ মোট ১৭ টি যানবাহনে আগুন দেয় অবরোধকারীরা। একই দিনে পাবনায় ট্রেনেও আগুন দেয়। ময়মনসিংহ, কুমিল্লা ও দিনাজপুরে ২টি বাসও একটি ট্রাক ভাংচুর করা হয়।

২৮ নভেম্বর বাস, ট্রাকসহ ৫টি যানবাহনে আগুন দেয় এবং একটি বাস ভাংচুর করে বিএনপি-জামায়াতকর্মীরা।

পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন জানান, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতার কারণে রাস্তাঘাটে সাধারণ মানুষের উপস্থিতি বেড়েছে। প্রায় সবকিছু স্বাভাবিক হচ্ছে। যারা চোরাগোপ্তা হামলা চালাচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইতিমধ্যে অনেককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রয়োজনে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ কল করতে অনুরোধ জানিয়ে পুলিশপ্রধান বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আমরা সবাই মিলে একযোগে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদ নির্মূল করতে সক্ষম হয়েছি। আগামীতেও আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত যে কোনো চ্যালেঞ্জ ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবিলা করতে আমরা প্রস্তুত।’