ঢাকায় নিয়োগ দেবে দুঃস্থ স্বাস্থ্য কেন্দ্র

জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছ এনজিও সংস্থা দুঃস্থ স্বাস্থ্য কেন্দ্র। সংস্থাটিতে টেকনিক্যাল এডভাইজার পদে নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহী যোগ্য প্রার্থীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।

পদের নাম

টেকনিক্যাল এডভাইজার-(ওয়াশ)-(কর্মী স্তর-৫)।

শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা

প্রার্থীর পরিবেশ/জলবায়ু পরিবর্তন/প্রাকৃতিক সম্পদ ব্যবস্থাপনা/ বিজ্ঞান/ সিভিল/জল প্রকৌশল সমাজবিজ্ঞান এ স্নাতকোত্তর পাস হতে হবে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, কৃষি, ভুগোল এবং পরিবেশ এর ডিগ্রিধারী প্রার্থীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।

প্রার্থীর বয়স সর্বোচ্চ ৪৫ বছর। জলবায়ু পরিবর্তন, দুর্যোগ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা বিষয়ক প্রকল্পের কাজে কমপক্ষে ১০ বছরসহ ওয়াশ ও পানি: পয়নিষ্কাশন কাজে সাত বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। সুন্দরবন এবং হাকালুকি হাওরে সামাজিক পরিবেশ ও অর্থনৈতিক অবস্থার সাথে কাজ করার মানসিকতা থাকতে হবে। এনজিওতে প্রকল্প ব্যবস্থাপনা কাজে স্থানীয় প্রশাসন (উপজেলা নির্বাহী অফিসার,জেলা প্রশাসক ইত্যাদি), সংশ্লিষ্ট সরকারি (মহিলা বিষয়ক ও জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর ইত্যাদি), বেসরকারি এবং দাতা সংস্থার সাথে নিয়মিত যোগাযোগ ও সমন্বয় সাধনের দক্ষতা থাকতে হবে। কম্পিউটার পরিচালনা, প্রকল্প পরিকল্পনা ও বাজেট প্রণয়নে এবং ইংরেজিতে প্রতিবেদন প্রণয়নের দক্ষতা থাকতে হবে। তবে অধিক যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা সম্পন্ন প্রার্থীদের ক্ষেত্রে বয়স শিথিলযোগ্য। বেতনের উপর প্রযোজ্য আয়কর উৎসে কেটে নেওয়া হবে।

কর্মস্থল

ঢাকা।

বেতন

বেতন সর্বসাকুল্যে মাসিক ৯১,৩৫০/-। এছাড়া যাতায়াত ভাতা ৩,৯৬০/- এবং মোবাইল ভাতা ১,০০০/- প্রযোজ্য হবে। সংস্থার নিয়মানুযায়ী উৎসব ভাতা পাবেন।

আবেদনের পদ্ধতি

আগ্রহী প্রার্থীরা সিভি ইমেইল করতে পারবেন (dskhr@dskbangladesh.org) এই ঠিকানায়।

আবেদনের শেষ তারিখ

১৭ ডিসেম্বর ২০২৩

সূত্র : বিডিজবস




কুষ্টিয়ার ৪টি আসনে মনোনয়ন বৈধ ২৯, বাতিল ১৭

কুষ্টিয়ার দুই হেভিওয়েট প্রার্থী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ ও জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনুসহ মোট ২৯ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। এতে ১৭ জনের মনোনয়ন বাতিল ঘোষনা করেছে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা।

আজ সোমবার সকাল ১১টা থেকে ১টা পর্যন্ত যাচাই-বাছাই শেষে জেলার চারটি আসনে মোট ১৭ জনের মনোনয়ন বাতিল ঘোষণা করেন জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মো: এহেতেশাম রেজা।

কুষ্টিয়া-১ আসনে মোট ১৩ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। এর মধ্যে ১ শতাংশ সমর্থকের কাগজপত্র ঠিক না থাকায় স্বতন্ত্র প্রার্থী দৌলতপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ আল মামুন ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল হুদা পটলের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। আর ঋণখেলাপি থাকায় বাতিল হয়েছে পিপলস পার্টির মোহাম্মদ ফজলুল হক এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী ফারুক হোসেনের মনোনয়নপত্র।

এখানে নৌকার প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য আ কা ম সরওয়ার জাহান বাদশাহ্ ও অন্যতম সম্ভাব্য প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক এমপি রেজাউল হক চৌধুরীর মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।

কুষ্টিয়া-২ (মিরপুর-ভেড়ামারা) আসনে ১৩ প্রার্থীর মধ্যে যাচাই-বাছাই শেষে ছয়জনের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে। ১ শতাংশ সমথর্কের কাগজপত্র ঠিক না থাকায় স্বতন্ত্র প্রার্থী ডা. ইফতেখার মাহমুদ ও শরিফুজ্জামানের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। আর ঋণখেলাপি থাকায় বাতিল হয়েছে পিপলস পার্টির এজেএম শাহিদুজ্জামান, বিএনএম’র আরিফুর রহমানের মনোনয়নপত্র। আর আয়কর রিটার্ন দাখিল না করায় স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ কামরুল আরিফিন ও সাম্যবাদী দলের আনোয়ার হোসেন বাবলুর মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।

এখানে জাসদ সভাপতি বর্তমান সংসদ সদস্য হাসানুল হক ইনু ও অন্যতম সম্ভাব্য প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী মিরপুর উপজেলা পরিষদ থেকে সদ্য পদত্যাগ করা মিরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কামারুল আরেফিনের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।

কুষ্টিয়া-৩ (সদর) আসনে মোট ১০ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। এর মধ্যে ১ শতাংশ সমর্থকের কাগজপত্র ঠিক না থাকায় স্বতন্ত্র প্রার্থী মোস্তফা কামাল মারুফ ও রাকিবুজ্জামান সেতুর মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। আর ঋণখেলাপি থাকায় বাতিল হয়েছে তরিকত ফেডারেশনের মেহেদী হাসান রিজভী ও জাতীয় পার্টির নাফিজ আহমেদ খান টিটোর মনোনয়নপত্র।

এখানে বর্তমান এমপি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ ও স্বতন্ত্র প্রার্থী কুষ্টিয়া পৌরসভার মেয়র আনোয়ার আলীর ছেলে পারভেজ আনোয়ার তনুসহ ৬জনের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।

কুষ্টিয়া-৪ (খোকসা-কুমারখালী) আসনে দাখিল করা ১০টি মনোনয়নের মধ্যে ঋণখেলাপি থাকায় মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে সাবেক এমপি আব্দুর রউফ ও জাকের পার্টির ফারুক হোসেনের। আর ১ শতাংশ সমর্থকের তথ্য সঠিক না থাকায় স্বতন্ত্র প্রার্থী খাইরুল ইসলামের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে।

এই আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের প্রেসিডিয়াম মেম্বার সেলিম আলতাফ জর্জসহ সাতজনের মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।

১ শতাংশ সমর্থকের কাগজপত্র ভুল থাকা, আয়কর রিটার্ন দাখিলের কাগজপত্র না থাকা ও ঋণ খেলাপি থাকায় প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে। বাতিল প্রার্থীরা আগামীকাল থেকে ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত আপিল করতে পারবেন বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক এহেতেশাম রেজা।




ফুরালো জিটিএ-৬ এর প্রতীক্ষা

অবশেষে অপেক্ষার প্রহর ফুরালো। গ্রেন্ড থেফট অটো নিয়ে অনেকেরই রয়েছে নস্টালজিয়া। অনেকে অপেক্ষায় ছিলেন কবে আসবে গেমটির পরবর্তী সংস্করণ। প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে ৫ ডিসেম্বর গেমটির ট্রেইলার উন্মুক্ত হবে ওয়েবে।

জিটিএ ৫ প্রকাশের পর ১০ বছর পেরিয়ে গেছে। মাইনক্রাফটের পর এটি সবচেয়ে বেশি বিক্রি হওয়া ভিডিও গেমের খেতাব পেয়েছে। এখন পর্যন্ত গেমের কপি বিক্রি হয়েছে ১৮ কোটি ৫০ লাখ কপির বেশি। কয়েক বছর ধরেই জিটিএ ৬-এর উন্নয়নে কাজ করছে রকস্টার গেমস। তবে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে কোম্পানিটি প্রথম উন্নয়নসংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ করে। এর আগে গেমিং জায়ান্টটির প্রেসিডেন্ট স্যাম হাউজার ডিসেম্বরে কোম্পানির ২৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে ট্রেলার উন্মোচনের ঘোষণা দিয়েছিলেন।

খবর এখানেই শেষ নয়। নেটফ্লিক্সের সঙ্গে নতুন চুক্তির ঘোষণা দিয়েছে রকস্টার। এর মাধ্যমে বেশকিছু গেম স্ট্রিমিং জায়ান্টটির গেমিং সেগমেন্টে আনা হবে বলে জানা গেছে। এর অংশ হিসেবে ১৪ ডিসেম্বর থেকে নেটফ্লিক্স মোবাইল সাবস্ক্রাইবারদের জন্য জিটিএ ৩, ভাইস সিটি ও স্যান অ্যান্দ্রেজের মতো গেম নিয়ে আসা হবে।

সূত্র: লাইভমিন্ট




চুয়াডাঙ্গায় দুটি আসনে বৈধ প্রার্থী ১৩, বাতিল ৭

আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চুয়াডাঙ্গা দুটি আসনে মোট ২০জন প্রার্থীর মধ্যে ১৩ জনের মনোনয়ন বৈধতা এবং সাতজনের বিভিন্ন কারণে মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে ।

আজ সোমবার সকাল সাড়ে দশটার সময় চুয়াডাঙ্গা জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমার সভাপতিত্বে আনুষ্ঠানিকভাবে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন বৈধ প্রার্থী ও মনোনয়ন বাতিল প্রার্থীদের নামের তালিকা ঘোষণা করা হয়।

চুয়াডাঙ্গায় দুটি আসনে মোট ২০জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা প্রদান করে । প্রার্থীদের ভিতরে মোট তেরো জন প্রার্থীর নির্বাচনী বৈধতা ঘোষণা করা হয় এবং সাতজন প্রার্থীর বাতিল করা হয়। চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে মোট দশ জন প্রার্থীর ভিতরে সাত জনের প্রার্থীতা বৈধতা ঘোষণা করা হয় এবং তিনজনের মনোনয়ন বাতিল করা হয়।বৈধ সাতজন প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছে চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলাইমান হক জোয়ার্দার ছেলুন তিনি এবারও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী, স্বতন্ত্র প্রার্থী এম এ রাজ্জাক খান, স্বতন্ত্র প্রার্থী এম শহিদুর রহমান, স্বতন্ত্র প্রার্থী দিলীপ কুমার আগরওয়ালা,ন্যাশনাল পিপলস পার্টি ( এনপিপি) মনোনীত প্রার্থী ইদ্রিস চৌধুরী, জাকের পার্টির মনোনীত প্রার্থী সালাম উদ্দিন, জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী এ্যাডভোকেট সোহরাব হোসেন।চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে মনোনয়ন বাতিল প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী চুয়াডাঙ্গা জেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি আফরোজা পারভীন , স্বতন্ত্র প্রার্থী শেখ শামসুল আবেদিন খোকন, তৃণমূল বিএনপির মনোনীত প্রার্থী তাইজাল হক। চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে মনোনয়ন বাতিল তিনজনের মধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী আফরোজা পারভীনের মনোনয়ন বাতিল করার কারণ উল্লেখ করে চুয়াডাঙ্গা জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা বলেন, হলফনামায় চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার চাকরির বিবরণ তিনি উল্লেখ করেন নাই এজন্য তার মনোনয়ন বাতিল করা হয়। স্বতন্ত্র প্রার্থী শেখ শামসুল আবেদীনের মনোনয়ন বাতিল করার কারণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থীদের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার জন্য মোট ভোটারদের ১% স্বাক্ষরিত তালিকার তথ্য সঠিক নাই এবং তৃণমূল বিএনপি’র মনোনীত প্রার্থী তাইজাল হকের আয়কর রিটার্ন দাখিল নাই এবং পৌরকর খেলাপি।

অন্যদিকে চুয়াডাঙ্গা -২ আসনের মোট ১০ জন মনোনয়ন জমা প্রার্থীদের মধ্যে ৬ জনের মনোনয়ন বৈধতা এবং চারজনের মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে। মনোনয়ন বৈধ প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন চুয়াডাঙ্গা ২ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য হাজী আলী আজগার টগর তিনি এবারও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) মনোনীত প্রার্থী দেওয়ান ইয়াছিন উল্লাহ, জাকের পার্টির মনোনীত প্রার্থী আব্দুল লতিফ খান, স্বতন্ত্র প্রার্থী আবু হাশেম রেজা , ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি)মনোনীত প্রার্থী ইদ্রিস চৌধুরী,জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী রবিউল ইসলাম। চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের বাতিল করা মনোনয়ন প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী মির্জা শাহরিয়ার মাহমুদ, স্বতন্ত্র প্রার্থী নূর হাকিম,স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল মালেক মোল্লা , স্বতন্ত্র প্রার্থী নজরুল মল্লিক।

চুয়াডাঙ্গা-২ আসনে চারজন মনোনয়ন বাতিল প্রসঙ্গে চুয়াডাঙ্গা জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী মির্জা শাহরিয়ার মাহমুদের স্বতন্ত্র প্রার্থীদের নির্বাচনের অংশগ্রহণ করার জন্য মোট ভোটারদের ১% স্বাক্ষরিত তালিকা সঠিক তথ্য নাই, স্বতন্ত্র প্রার্থী নূর হাকিমের স্বতন্ত্র প্রার্থীদের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার জন্য মোট ভোটারদের ১% স্বাক্ষরিত তালিকার সঠিক তথ্য নাই, স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল মালেক মোল্লার বিদ্যুৎ বিল খেলাপি ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার জন্য মোট ভোটারদের ১% স্বাক্ষরিত তালিকা সঠিক তথ্য নেই, স্বতন্ত্র প্রার্থী নজরুল মল্লিকের ঋণ খেলাপি এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীদের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার জন্য মোট ভোটারদের স্বাক্ষরিত তালিকা ১% তথ্য সঠিক নয়।

বৈধ ও বাতিল মনোনয়ন প্রার্থীদের নাম ঘোষণার পরবর্তীতে চুয়াডাঙ্গা জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা জানান যাদের মনোনয়ন বিভিন্ন কারণে বাতিল করা হয়েছে তারা আগামী ৯ (ডিসেম্বর) পর্যন্ত নির্বাচন সচিব বরাবর আপিল করতে পারবে।




গাংনীতে ধলা মাধ্যমিক বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভা অনুষ্ঠিত

গাংনীর ধলা মাধ্যমিক বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ সোমবার বিকেল ৩ টার সময় ধলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভা কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও কাথুলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান রানার সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন ম্যানেজিং কমিটির বিদে্যুৎসাহী সদস্য মো কাবু হোসেন,অবিভাবক সদস্য বাশারুল ইসলাম, সাবেক ইউ পি সদস্য ও অবিভাবক সদস্য আবুল কালাম।

আরো উপস্থিত ছিলেন ধলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো আনোয়ার হোসেন সহ সকল সহকারী শিক্ষক শিক্ষিকা বৃন্দ।

এ সময় ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মিজানুর রহমান রানা শিক্ষকদের উদ্দেশ্য বলেন, শিক্ষার মান উন্নয়ন করতে হলে আপনাদের কে বর্তমান কারুকুলাম অনুযায়ী ছাত্র ছাত্রী দের পাঠদানে সক্রিয় হতে হবে। তাহলে ছাত্র ছাত্রী তাদের বর্তমান কারুকলাম কে সাদরে গ্রহন করে পড়া লেখায় মনযোগী হবে।

নতুন এই কারুকুলাম নিয়ে সকল শিক্ষক কে অবহিত করে বলেন আগামী দিনে যে ক্লাস পরিচালনা করবেন তা নতুন কারিকুলাম মেইনটেইন করেই পরিচালনা করতে হবে। থিউরি সাথে বাস্তবমুখী শিক্ষাদানে আরো সচেষ্ট হতে হবে। শিক্ষার্থীদের মধ্যে নতুন কারুকুলাম বিষয়টি সু স্পষ্ট ধারনা দিতে হবে। কারন স্লেবাস হচ্ছে ছাত্র ছাত্রীদের মুল বিষয়। কাজেই এ বিষয়ে লক্ষ্য রেখে পাঠদান করতে হবে।




এক ফ্রেমে ইন্ডিয়া ও পাকিস্তানের দুই তারকা

পাকিস্তানের জনপ্রিয় অভিনেত্রী হানিয়া আমির ও ভারতীয় র‌্যাপার বাদশার প্রেমের গুঞ্জনে নেটদুনিয়ায় চলছে জল্পনা। সম্প্রতি হানিয়া আমিরের​ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে পোস্ট করা কিছু ছবিকে কেন্দ্র করে এই গুঞ্জন দানা বেঁধেছে।

হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, হানিয়া আমির র‌্যাপার বাদশা সহ পাঞ্জাবি গায়ক-র‌্যাপার করণ আউজলা দুবাইয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। ইনস্টাগ্রামে হানিয়ার পোস্ট করা তাদের তিনজনের বেশকিছু স্থিরচিত্র ও ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। একটি সেলফিতে ফ্রেমবন্দি হয়েছেন হাস্যোজ্জ্বল বাদশা ও হানিয়া।

তা ছাড়া বাদশার একক ছবিও পোস্ট করেছে তিনি। পাশাপাশি খাবার খাওয়ার ভিডিও পোস্ট করেছেন হানিয়া। পোস্টের ক্যাপশনে অভিনেত্রী লিখেছেন, ‘বাচ্চারা কেনাকাটা করতে গিয়েছিল।’

এদিকে হানিয়া আমিরের পোস্ট নিয়ে নেটদুনিয়ায় চলছে নানা জল্পনা।

কেউ মন্তব্য করেছেন, “সে সবার সাথে বন্ধু।” আরেকজন বললেন, “বাদশার সাথে আমার ক্রাশ পোজ, কেন!!” তৃতীয় একজন মন্তব্য করেছেন, “করণও আছে (কান্নার ইমোজি), আমি আবেগপ্রবণ। এক ভক্ত আরও লিখেছেন, ‘হানিয়া কি বাদশাকে ডেট করছেন? মৃণাল ঠাকুরের এখন কী হবে?”

এর আগে জেসমিন নামে এক নারীর সঙ্গে ঘর বেঁধেছিলেন বাদশা। এ সংসারে জেসমিন গ্রেস মাসিহ সিং নামে এক কন্যা সন্তান রয়েছে। ২০০০ সালে ভেঙে যায় এই সংসার। জেসমিন বর্তমানে লন্ডনে বসবাস করছেন।

এছাড়া মাস কয়েক আগেই একাধিক নায়িকার সঙ্গে প্রেমের গুঞ্জন ছিল বলিউডের জনপ্রিয় গায়ক ও র‌্যাপার বাদশার। কখনো পঞ্জাবি অভিনেত্রী ইশা রিখির নাম, আবার বলি অভিনেত্রী ম্রুণাল ঠাকুরের সঙ্গে প্রেমের গুঞ্জন ভেসেছে। এবার একেবারে দেশ ছাড়িয়ে প্রতিবেশী দেশে নাকি মনের মানুষ খুঁজে পেয়েছেন এ গায়ক।

হানিয়া সিনেমায় আত্মপ্রকাশ করেন ২০১৬ সালে ‘জানান’ ছবির মাধ্যমে। তার পর অনেক হিট নাটকে কাজ করেছেন। ‘তিতলি’-তে তার অভিনয়ের জন্য ঘরে ঘরে পরিচিত মুখ হয়ে ওঠেন তিনি।

‘মেরে হামসফর’ সিরিজের মাধ্যমে ভারত-সহ অন্যান্য দেশে জনপ্রিয়তা পেয়েছেন তিনি। তবে বাদশা- হানিয়ার আলাপ পরিচয় হল কীভাবে হয়েছে তা এখনো অজানা।




সফল প্রতিবন্ধী হিসেবে পুরস্কার পেলেন দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী মামুন

সফল প্রতিবন্ধী হিসেবে জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবসে সফল প্রতিবন্ধী হিসেবে জাতীয় পুরস্কার পেলেন মেহেরপুরের দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ওমর ফারুক মামুন।

গতকাল রবিবার সমাজকল্যান মন্তণালয়ের জাতীয় ফাউন্ডেশন মিলনায়তনে তাকে এ পুরস্কারে ‍ভুষিত করা হয়। সফল প্রতিবন্ধী হিসেবে মামুনকে তিনটি ক্যাটাগরিতে বেছে নেওয়া হয়। সে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী হয়েও  কম্পিউটার প্রশিক্ষক, হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক ও লেখালেখির বিষয়টি পাধান্য দেওয়া হয়েছে।

সমাজকল্যান প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে সারা বাংলাদেশের সফল ৭ প্রতিবন্ধীর হাতে ক্রেষ্ট, সনদ ও আর্থিক পুরস্কার তুলে দেন।

ওমর ফারুক মামুন মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলার শিবপুর গ্রামের মৃত আব্দুর রহমানের ছেলে।




গাংনীর গাড়াবাড়ীয়াতে রোগে আক্রান্ত গরু জব্দ; জরিমানা আদায়

গাংনীর গাড়াবাড়ীয়াতে এনথ্রাক্স রোগে আক্রান্ত জবাই কৃত গরু জব্দ করা হয়েছে।

আজ সোমবার সকাল ৯ টার সময় উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালের ভেটেনারি সার্জন ডাঃমোঃ আরিফুল ইসলাম ধলা পুলিশ ক্যাম্পের এ এস আই অমল চন্দ্র সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে জবাই কৃত গরু জব্দ করেন।

জবাইকৃত গরু হলো গাড়াবাড়ীয়া গ্রামের মৃত জসীমউদ্দিনের ছেলে হাসেম আলীর। স্থানীয়রা জানান, আজ ভোর ৫ টার সময় গরু জবাই করেন। এবং জব্দ করার আগেই ২৫ কেজি মত মাংস বিক্রি হয়েছে বলে জানান। তবে বিক্রয় কৃত মাংস ফিরিয়ে নিয়ে তাদের টাকা ফেরৎ দেওয়ার নির্দেশ দেন ডাঃ আরিফুল ইসলাম।

এ বিষয়ে ভেটেনারি সার্জন ডাঃ আরিফুল ইসলাম জানান আমরা অভিযোগ পাই গাড়াবাড়ীয়া গ্রামে অসুস্থ গরু জবাই হচ্ছে সেই পরিপ্রেক্ষিতে আসি এসে গরুর মাংস ভুড়ি জব্দ করি এবং বাকি মাংস গুলো কেরোসিন দিয়ে খোলা যায়গায় ৬ ফুট মাটির পুতে রাখার ব্যাবস্থা করা হয়েছে। বিক্রির মাংস ফেরৎ নিয়ে টাকা ফেরৎ দেওয়ার ব্যাবস্থা করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে ২ নং ওয়ার্ডের গাড়াবাড়ীয়া গ্রামের মেম্বর জিনারুল ইসলাম জানান এনথ্রাক্স আক্রান্ত গরু জবাই করেছে বলে ধারনা করা হয়েছে। সে ক্ষেত্রে যারা মাংস কিনেছে তারা যেন না খাই সেই ব্যাবস্থা চলমান রেখেছি।

ধলা ক্যাম্পের ইনচার্জ অমল চন্দ্র জানান যারা যারা এই কাজের সাথে জড়িত তাদের সকলকে আইনের আওতায় আনা হবে ইউ এন ও স্যারের কাছে হাজির করার ও নির্দেশ আছে।

জানাগেছে এই কর্মকান্ডে জড়িত মস্তক আলী ১০০০ ও গরুর মালিক হাসেম আলীর ১০০০ টাকা জরিমানা করেছেন গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রিতম সাহা।




ইউরো কাপ ২০২৪ গ্রুপ অফ ডেথ

বছর শেষ হওয়ার আগে বেজে উঠেছে ইউরো কাপ-২০২৪-এর দামামা। এবারের আসরের আয়োজক দেশ জার্মানি। আর এই আয়োজক দেশেই গত পরশু অনুষ্ঠিত হয়ে গিয়েছে ২০২৪ ইউরো কাপের ড্র।

যেখানে মোট ২১টা দলকে রাখা হয়েছে ছয়টা গ্রুপে। এছাড়া এখন জায়গা রয়েছে তিনটা দলের জন্য। আগামী বছরের জুন ও জুলাই মাসে অনুষ্ঠিত হবে ইউরোপের মর্যাদার এই লড়াইটি।

শনিবার জার্মানির হামবুর্গে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হয় আসন্ন ইউরোর ড্র। সেখান থেকেই ড্র-এর মাধ্যমে ছয়টি গ্রুপে ভাগ করা হয়। গ্রুপ বিন্যাসের পর দেখা যায় অপেক্ষাকৃত সহজ গ্রুপেই পড়েছে আয়োজক জার্মানি। তারা রয়েছে ‘এ’ গ্রুপে। স্বাগতিকদের পাশাপাশি এই গ্রুপে রয়েছে স্কটল্যান্ড, হাঙ্গেরি ও সুইজারল্যান্ড। এছাড়া ড্রতে তুলনামূলক কঠিন গ্রুপ পেয়েছে ফ্রান্স।

সর্বশেষ দুটি ফিফা বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলা ফ্রান্স ‘ডি’ গ্রুপে রয়েছে। তারা তাদের গ্রুপে পেয়েছে নেদারল্যান্ডস ও অস্ট্রিয়াকে। প্লে-অফ থেকে একসঙ্গে যোগ দেবে পোল্যান্ড, ওয়েলস, ফিনল্যান্ড বা এস্তোনিয়ার যে কোনো একটি দল।

তবে এই আসরের মূল নজর থাকবে গ্রুপ ‘বি’ এর ওপর। এটিকে গ্রুপ অফ ডেথও বলা যেতে পারে। স্পেন, ক্রোয়েশিয়া, ইতালি এবং আলবানিয়া রয়েছে এই গ্রুপে। টানা দুবার বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি ইতালি। যদিও ইউরো কাপে তাদের পারফরম্যান্স ভালো। সবশেষ আসরের শিরোপা জেতা দলও তারা।

যদিও প্রবল চ্যালেঞ্জের সামনে পড়তে হবে তাদের। রয়েছে স্পেন ও ক্রোয়েশিয়ার মতো ধারাবাহিক ও শক্তিশালী দল।

২০২০ ইউরোর রানার্সআপ দল ইংল্যান্ড রয়েছে গ্রুপ ‘সি’ তে। তারাও রয়েছে তুলনামূলক সহজ গ্রুপে। তাদের প্রতিপক্ষ হিসেবে রয়েছে ডেনমার্ক, স্লোভেনিয়া ও সার্বিয়াকে।

এছাড়া সহজ গ্রুপ পেয়েছে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোদের দল পর্তুগালও। ‘এফ’ গ্রুপে পর্তুগিজদের সঙ্গী তুরস্ক ও চেক রিপাবলিক। সঙ্গে প্লে-অফ থেকে এসে যোগ দেবে জর্জিয়া, গ্রিস, কাজাখস্তান ও লুক্সেমবার্গের মধ্যে যে কোনো একটি দল।

প্লে-অফ থেকে যে তিনটি দল ইউরোয় জায়গা করে নেবে, তাদের একটি যাবে গ্রুপ ‘ই’তে। এই গ্রুপে আছে বেলজিয়াম, স্লোভাকিয়া ও রোমানিয়া। তাদের সঙ্গে যুক্ত হবে প্লেঅফের ইসরাইল, বসনিয়া অ্যান্ড হার্জেগোভিনা, ইউক্রেন ও আইসল্যান্ডের যে কোনো এক দল।

এদিকে সম্প্রতি উয়েফার পক্ষ থেকে ইউরোর পুরস্কার মূল্যের ঘোষণা করা হয়। এই টুর্নামেন্টে মোট পুরস্কার মূল্য ৩৩১ মিলিয়ন ইউরো। গতবারও একই ছিল। জয়ী দল পাবে ২৮.২৫ মিলিয়ন ইউরো।

কোয়ার্টার ফাইনালে প্রবেশ করা আটটা দল পাবে ২.৫ মিলিয়ন ইউরো করে। সেখান থেকে সেমিফাইনালে যে চারটে দল প্রবেশ করবে তারা পাবে ৪ মিলিয়ন ইউরো করে। সেমিফাইনালে জয়ী দুটো পাবে অতিরিক্ত ৮ মিলিয়ন ইউরো। ফাইনালে রানার্স আপ পাবে অতিরিক্ত ৫ মিলিয়ন ইউরো।

সূত্র: ইত্তেফাক




আজ ৪ ডিসেম্বর দর্শনা মুক্ত দিবস

আজ ৪ ডিসেম্বার দর্শনা মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে দর্শনা মুক্ত হয়। পাক-হানাদার বাহিনীর আবস্থান লক্ষ্য করে তিন দিকে থেকে মিত্র বাহিনী ও মুক্তিযোদ্ধারা আক্রমন করে পাকবাহিনীকে হটিয়ে দর্শনা মুক্ত করে।

মিত্র বাহিনী ও মুক্তিযোদ্ধারা জানতে পারে দর্শনা শান্তি পাড়া ও পরাণপুর গ্রামের মাঁঝামাঝি মাঠে পাক হানাদার বাহিনী ঘাটি করে আছে।

এ খবর পেয়ে যুদ্ধকালিন কমান্ডার লিয়াকত আলীর নেত্রীত্বে আব্দুল হামিদ তোতা, নুর হাকিম, গোলাম হোসেনসহ ৩০ মুক্তিযোদ্ধা এবং ৩০০ জন মিত্র বাহিনী ভারতের গেদে বোর্ডারের ক্যাম্পে বসে রাতের খাবার খেয়ে পাক-বাহিনীর অবস্থানের দিকে রওনা হয়।

বারাদী সীমান্ত পেরিয়ে পারকৃষ্ণপুর মদনা হয়ে গোবিন্দপুর গ্রামের নিকটবর্তী স্থান দিয়ে রাবারের নৌকা চেপে ৩০ জন করে মাথাভাঙ্গা নদী পার হয়ে ধাঁপাড়ী ও তালবাগান মাাঠের উত্তর-পশ্চিম কনে আবস্থান নিই বলে লিয়াকত আলী জানান।

তিনি আরো বলেন, আমরা ৩৩০ জন মুক্তিযোদ্ধা ও মিত্রবাহিনী ধাঁপাড়ী ও তালবাগান মাাঠের উত্তর-পশ্চিম কনে পৌঁচ্ছে আমরা অবস্থান নিয়ে ব্যাংকার খুড়ে ফেলি। এরপর রেকি করে পাকবাহিনীর আবস্থান বুঝে রাত ৩টার দিকে সকল প্রস্তুতি সেরে পাক-হানাদার বাহিনীর গুলি, সেল, মোটার হামলা শুরু করি। রাত এক নাগাড়ে গুলি বর্ষন শুরু করলে পাক-হানাদার বাহিনীও পাল্টা সেল মারতে শুরু করে। দীর্ঘ প্রায় ২ ঘন্টা ৪৫ ধরে উভয় পক্ষের মধ্যে যুদ্ধ চলে। মুহুর-মুহুর গুলি, সেল মটার সেল নিক্ষেপ করার ফলে এক পযার্য় পাকবাহিনী নাস্তানাবুদ হয়ে পড়ে। আমাদের লোকেশন বুঝতে না পেরে পাক-বাহিনী রেলগেট ও ডাঙ্গাপাড়া মাঠের দিকে সেল,মটার ও গুলি বর্ষন করতে থাকে।

ফলে আমাদের তেমন কোন ক্ষতি না হলেও মিত্রবাহিনীর দুইজন নিহত ও একজন আহত হয় পাক-বাহিনীর। অপর দিকে পাক-হানাদার বাহিনী ব্যাপক হতাহত হয়। একদিকে আমাদের সাথে লড়াই চলছে। আপরদিকে উথলী দিক থেকে আব্দুর রহমানের নেতৃত্বে পাক-বাহিনীর উপর হামলা চালায়।

এ সময় তিনদিক থেকে মুক্তি বাহিনীর আক্রমনে পাক-হানাদার বাহিনী নাস্তানাবুদ হয়ে। ভোরের আলো ফুটতে না ফুটতেই পাক-হানাদার বাহিনী রেলপথ ও সড়ক পথ ধরে চুয়াডাঙ্গা শহরের দিকে পালাতে থাকে। সকাল সাড়ে ৬টার দিকে দর্শনা কেরু চিনিকলের জেনারেল অফিসের সামনে মিত্র-বাহিনীর প্রধান মিঃ বুফে ও মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার লিয়াকত আলীর নেত্রীত্বে বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করা হয়েছিল। পযার্য়ক্রমে ৪ থেকে ৫ ও ৭ তারিখের মধ্যে দামুড়হুদা ও চুয়াডাঙ্গা মুক্ত হয়।