শীত আর ঘন কুয়াশায় বিপাকে চুয়াডাঙ্গা জেলার খেটে খাওয়া মানুষেরা

দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমের সীমান্তবর্তী জেলা চুয়াডাঙ্গা। ঘন কুয়াশা আর উত্তরের হিমেল হাওয়ায় শীতে কাঁপছে এ জেলার মানুষরা। সকালের সূর্যের দেখা মিলছে দুপুরে।

প্রচণ্ড শীত আর কুয়াশায় বিপাকে পড়েছে জেলার খেটে খাওয়া মানুষ। পাশাপাশি পাল্লা দিয়ে বাড়ছে শীতজনিত রোগ। কোল্ড ডায়রিয়া, সর্দি-কাশি জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছে শিশু, বয়োবৃদ্ধসহ সব বয়সী মানুষ। আজ মঙ্গলবার সকাল ৯টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক শূন্য ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসের আর্দ্রতা ১০০ শতাংশ। সকাল ৬টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক শূন্য ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসের আর্দ্রতা ১০০ শতাংশ।

গতকাল সোমবার ছিল ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবহাওয়ার এমন পরিস্থিতি অব্যাহত থাকবে আগামী কয়েকদিন। সেইসঙ্গে তাপমাত্রা আরো কমতে পারে বলে জানিয়েছেন চুয়াডাঙ্গা আঞ্চলিক আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার।




পাঁচ বছরে গণতন্ত্রের সূচক আরও বেড়েছে

গত পাঁচ বছরে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে গণতন্ত্রের সূচক শুধু বেড়েছে। কখনও একসঙ্গে আট ধাপ, আবার কখনও চার ধাপ করে এগিয়ে গেছে গণতন্ত্রের সূচক। যুক্তরাজ্যের লন্ডনভিত্তিক দ্য ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (ইআইইউ) গত পাঁচ বছরের প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে এই তথ্য পাওয়া গেছে।

২০১৮ সাল থেকে প্রতিবছর গণতন্ত্রের সূচকে বাংলাদেশের অগ্রগতি হয়েছে। ২০১৮ সালে বাংলাদেশ ৮৮তম, ২০১৯ সালে ৮০তম, ২০২০ সালে ৭৬তম, ২০২১ সালে ৭৫তম ও ২০২২ সালে ৭৩তম স্থানে উন্নীত হয়েছে।

ইকোনমিক ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৮ সালে আওয়ামী লীগ টানা তৃতীয় বারের মতো সরকার গঠন করে। পরবর্তী বছর ২০১৮ সালের প্রতিবেদন প্রকাশ করে ইআইইউ। সেখানে বলা হয়, আগের বছরের তুলনায় চার ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশের গণতন্ত্রের সূচক। ১৬৫টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ ৮৮তম অবস্থানে রয়েছে। পাঁচটি মানদণ্ডে ২০১৮ সালের পরিস্থিতি বিচারে বাংলাদেশের স্কোর ৫ দশমিক ৫৭। আগের বছর ২০১৭ সালে পরিস্থিতি বিচারে ৫ দশমিক ৪৩ স্কোর নিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ৯২তম।

ইআইইউ প্রতিটি দেশকে গণতন্ত্র সূচক পরিমাপ করতে পাঁচটি মানদণ্ড ব্যবহার করে। সেগুলো হলো – নির্বাচনী ব্যবস্থা ও বহুদলীয় অবস্থান, নাগরিক অধিকার, সরকারে সক্রিয়তা, রাজনৈতিক অংশগ্রহণ, এবং রাজনৈতিক অংশগ্রহণ।

এই হিসেব অনুযায়ী, একটি দেশকে ‘পূর্ণ গণতান্ত্রিক’ অবস্থায় যেতে হলে গণতান্ত্রিক সূচকে ৯ থেকে ১০ স্কোর করতে হয়। যেসব দেশের স্কোর ৭ থেকে ৮ সেসব দেশকে ‘ত্রুটিপূর্ণ গণতন্ত্র’ বলা হয়। তবে এর নিচের অবস্থান ‘হাইব্রিড রেজিম’-এ তালিকাভুক্ত দেশগুলোর স্কোর ৫ থেকে ৬ এবং ‘স্বৈরতান্ত্রিক’ দেশগুলোর স্কোর ০ থেকে ৪ এর মধ্যে হয়ে থাকে।

২০১৯ সালের প্রতিবেদনে আট ধাপ উন্নতি করে বাংলাদেশ। আট ধাপ অগ্রগতি হলেও বাংলাদেশকে আগেরবারের মতো ‘হাইব্রিড শাসনব্যবস্থার’ বিভাগে রাখা হয়। সেসময় দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে ভারত ও শ্রীলঙ্কা বাংলাদেশের আগে অবস্থান করলেও আগের বারের তুলনায় ভারতের অবস্থান নেমে যায় ১০ ধাপ।

এরপরের বছর গণতন্ত্র সুচকে আরও দুই ধাপ উন্নতি করে বাংলাদেশ। ২০২০ ও ২০২১ সালে ৫ দশমিক ৯৯ স্কোর নিয়ে বাংলাদেশ বিশ্বে যথাক্রমে ৭৬ ও ৭৫তম অবস্থানে ছিল।

বিশ্বে গণতন্ত্র সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান এখন ৭৩তম। দ্য ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের সর্বশেষ প্রতিবেদনে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে ৭ দশমিক ০৪ স্কোর নিয়ে সবার ওপরে আছে ভারত। দ্বিতীয় অবস্থানে আছে শ্রীলঙ্কা। দেশটির স্কোর ৬ দশমিক ৪৭। বাংলাদেশের অবস্থান তৃতীয়। চতুর্থ অবস্থানে ভুটান, পঞ্চম অবস্থানে নেপাল ও ষষ্ঠ অবস্থানে আছে পাকিস্তান।

গণতন্ত্র সূচক ২০২২-এ বাংলাদেশের অগ্রগতি প্রসঙ্গে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপি সংসদ বর্জন, সংসদ থেকে পদত্যাগের মতো অপরাজনীতি না করলে বিশ্ব গণতন্ত্র সূচকে বাংলাদেশের আরও উন্নতি হতো। প্রকৃতপক্ষে গত ৫ বছরের প্রতিবছরই গণতন্ত্র সূচকে ধারাবাহিক ভাবে বাংলাদেশের অগ্রগতি হয়েছে। বিএনপির নেতারা, তাদের সমমনা নেতারা এবং কিছু কিছু বুদ্ধিজীবী ক্রমাগতভাবে বলে আসছে, টিভির পর্দা ও জনসভা গরম করছে এবং জনগণকে বিভ্রান্ত করা অপচেষ্টা করছে দেশে গণতন্ত্র নেই বলে। অথচ গত পাঁচ বছর ধরে বাংলাদেশ গণতন্ত্র সূচকে ক্রমাগত অগ্রগতি করছে। এতেই প্রমাণিত হয় বিএনপিসহ অন্যান্য দল বা ব্যক্তি বিশেষ বাংলাদেশে গণতন্ত্র নেই বলে মানুষকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে এবং গণতন্ত্র নাই বলে যে ধোয়া তোলা এগুলো যে মিথ্যা ও অসাড় সেটাই প্রমাণ করে।’

তিনি আরও বলেন, ‘প্রকৃত পক্ষে বাংলাদেশের গণতন্ত্র আরও সংহত হতো। গণতন্ত্রকে দৃঢ় ও সংহত করার দায়িত্ব শুধু সকারের একার নয়। সবার সম্মিলিত দায়িত্ব হচ্ছে গণতন্ত্র সংহত করা। সেটা সব রাজনৈতিক দল, সরকারি দল, বিরোধীদলের দায়িত্ব। সে সরকারের থাকুক বা না থাকুক। বাংলাদেশ গণতন্ত্র আরও সংহত হতো। আরও অগ্রগতি করতো, কয়েক ধাপ উন্নীত হতো। যদি বিএনপির অপরাজনীতি না থাকতো। সংসদ বর্জন, সংসদ থেকে পদত্যাগ- এই অপরাজনীতি যদি না থাকতো গণতন্ত্র সূচকে বাংলাদেশ আরও বহু ধাপ এগিয়ে যেতে পারতো। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের গণতন্ত্রের যে চর্চা হচ্ছে, রীতিনীতির চর্চা হচ্ছে সেটার বহিঃপ্রকাশ হচ্ছে গণতন্ত্র সুচকের এই প্রতিবেদন।’




কর্মক্ষেত্রে স্মার্টফোন ব্যবহার কমাতে পারে মানসিক চাপ: গবেষণা

কর্মক্ষেত্রে কর্মীদের মানসিক চাপ কমিয়ে আনার পাশাপাশি তাদের কাজ/জীবনে ভারসাম্য আনার ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা রাখে নিজের স্মার্টফোনটির ব্যবহার, এমনই দাবি গবেষকদের।

বিষয়টি উঠে এসেছে ‘ইউনিভার্সিটি অফ গ্যালওয়ে’ ও ‘ইউনিভার্সিটি অফ মেলবোর্ন’-এর চালানো নতুন এক গবেষণায়। গবেষণাটি চালানো হয়েছে এক ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানির ইউরোপ অংশের শাখায়। তবে, বৈশ্বিক ওই কোম্পানির নামটি অপ্রকাশিত রয়েছে।

স্টিয়ারিং সমস্যায় চীনে ১৬ লাখেরও বেশি গাড়ি রিকল করল টেসলাস্টিয়ারিং সমস্যায় চীনে ১৬ লাখেরও বেশি গাড়ি রিকল করল টেসলা ব্রিটিশ দৈনিক ইন্ডিপেন্ডেন্টের প্রতিবেদন অনুযায়ী, কোম্পানি নিজেদের ফোন সংশ্লিষ্ট নীতিমালায় নতুন এক পরিবর্তন এনেছে, যেখানে এর আগে ব্যক্তিগত কাজে ফোন ব্যবহারের সুযোগ কম থাকলেও এখন কাজের বাইরেও অন্যান্য কারণে ফোন ব্যবহারের সুযোগ দিচ্ছে কোম্পানিটি।

এ গবেষণায় কর্মক্ষেত্রে মোবাইল ফোন ব্যবহারের বিভিন্ন এমন সম্ভাব্য সুবিধার কথা বিশেষভাবে তুলে ধরা হয়েছে, যেখানে কর্মীর কাজের পারফরম্যান্সে তেমন বড় প্রভাব পড়ার ঝুঁকি নেই। গবেষণাটির নেতৃত্বে ছিলেন ইউনিভার্সিটি অফ গ্যালওয়ের ‘জে.ই. কেয়ারনেস স্কুল অফ বিজনেস অ্যান্ড ইকোনমিক্স’ বিভাগের অধ্যাপক ইয়ইন হোয়েলান।

ইন্ডিপেন্ডেন্ট বলছে, পরীক্ষা চালানো ফার্মা কোম্পানিটি ৯০-এর দশকেই স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তার মতো বিষয়াদিকে কারণ দেখিয়ে কর্মক্ষেত্রে ফোন ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছিল। এর সূত্রপাত ঘটেছিল বিপজ্জনক রাসায়নিক দ্রব্যের আশপাশে ফোন ব্যবহার কর্মীদের কাজে ব্যাঘাত ঘটাবে, এমন ঝুঁকির সম্ভাবনা থেকে। তবে, এ নিষেধাজ্ঞা নিয়ে কোম্পানির কর্মীরা অসন্তোষের কথা জানানোর পাশাপাশি দাবি করেছিলেন, এতে তাদের কাজে মনোযোগ বসে না।

এমনকি কোম্পানির শীর্ষ ব্যবস্থাপনাও বলেছে, কোম্পানির ওই শাখায় এমন নিষেধাজ্ঞা জারির কারণে এমন ধারণা সৃষ্টি হয়েছে যে, দপ্তরটি প্রযুক্তিবিদ্বেষী। আর এতে কোম্পানির অন্যান্য শাখার সঙ্গে প্রতিযোগিতা করার ক্ষেত্রেও বাধা সৃষ্টি হয়েছে। এ গবেষণার আগে কর্মক্ষেত্রে ব্যক্তিগত মোবাইল ফোন আনার সুযোগ পেতেন কেবল কোম্পানির শীর্ষ ব্যবস্থাপনা বিভাগের কর্মীরা।

নাগরিক সচেতনতায় ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মনাগরিক সচেতনতায় ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম তবে, প্রায় এক বছর ধরে চালানো এ গবেষণায় কোম্পানির প্রায় ৪০জন কর্মীর জন্য নিষেধাজ্ঞা শিথিল করার পাশাপাশি তাদেরকে কাজের সময় ব্যক্তিগত স্মার্টফোন ব্যবহারের সুযোগ দেওয়া হয়।

গবেষণায় একইসংখ্যক কর্মীর গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করা হয়, যারা নিজে থেকেই ফোন বাড়িতে রেখে দপ্তরে কাজ করতে আসতেন। এছাড়া, কর্মীদের ‘কোয়ালিটিটিভ ইন্টারভিউ’ বা গুণগত সাক্ষাত্কারের মাধ্যমে এ গবেষণার অন্যান্য তথ্য সংগ্রহ করা হয়।

এ পরীক্ষার মূল ফলাফলগুলোর মধ্যে রয়েছে:

স্মার্টফোন ব্যবহারে কর্মীদের কাজে মনোযোগ হারানোর ও ব্যাঘাত সৃষ্টির ভীতি থাকলেও নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার পরও তাদের কাজের মান কমে আসেনি।

পেশাগত ও ব্যক্তি জীবনের দ্বন্দ্ব: এ পরীক্ষায় পেশা জীবন ও ব্যক্তি জীবনের চাহিদা ও দ্বন্দ্ব ব্যাপক কমে এসেছে। তবে, তা কেবল সেইসব কর্মীর জন্য প্রযোজ্য, যারা কাজের সময় ফোন ব্যবহারের সুযোগ পেয়েছেন।

কাজে ফোন ব্যবহারের সুযোগ পাওয়া কর্মীরা তাদের কর্মক্ষেত্র থেকেও পারিবারিক সমস্যা সমাধানের সুযোগ পেয়েছেন, যার ফলে তাদের সঙ্গীদের ওপর এ ধরনের চাপ কমতে দেখা গেছে। কর্মক্ষেত্রে ব্যক্তিগত যোগাযোগের আরেক মানে দাঁড়ায়, কাজ শেষ হওয়ার পর ফোন চালু করার পর তাদের মধ্যে বড় কোনো শঙ্কা সৃষ্টি হয়নি।

বিষয়টি নিয়ে চালানো আগের বিভিন্ন গবেষণায় মনোযোগ দেওয়া হয়েছিল কর্মক্ষেত্রের বাইরে কাজ সংশ্লিষ্ট যোগাযোগ ব্যবস্থার ওপর। তবে, এ গবেষণায় দেখা গেছে তার উল্টোটা, যেখানে মূল মনোযোগ ছিল দপ্তরের ভেতর কর্মীদের ব্যক্তিগত যোগাযোগের ওপর।
গবেষকদের বিশ্বাস, তারা এ গবেষণা থেকে যুগান্তকারী তথ্য সংগ্রহ করেছেন। আর প্রযুক্তি ও কর্মজীবনের মধ্যে ভারসাম্য রাখার ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে এটি। এ ছাড়া, যেসব প্রতিষ্ঠান কাজের পরিবেশকে তুলনামূলক স্বাস্থ্যসম্মত ও ভারসাম্যপূর্ণ রাখতে ইচ্ছুক, তাদের জন্যেও বাস্তবভিত্তিক তথ্য প্রদান করে এ গবেষণা।

‘কর্মক্ষেত্রে স্মার্টফোন ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করার পরিবর্তে আমাদের গবেষণায় স্মার্টফোন ব্যবহারের বিষয়টি ট্র্যাক করা হয়েছে, যা দপ্তরে একটি সাংগঠনিক পরিবেশ তৈরির কার্যকর সমাধান দেয়। উদাহরণ হিসেবে ধরা যায়, কর্মীরা যেন অফিসের মিটিং বা ক্যান্টিনে স্মার্টফোন ব্যবহার থেকে বিরত থাকেন, তা নিশ্চিত করবেন তারা নিজেরাই।’বলেছেন গবেষণার নেতৃত্ব দেওয়া অধ্যাপক হোয়েলান।

এছাড়া, কর্মক্ষেত্রে স্মার্টফোন ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা প্রয়োগের সম্ভাব্য প্রভাবের বিষয়টি কোম্পানির ব্যবস্থাপকদেরকেও বুঝতে হবে। কর্মক্ষেত্রে ফোন ব্যবহারে বাধা সৃষ্টি পেশাগত ও ব্যক্তি জীবনের দ্বন্দ্ব বাড়িয়ে দিতে পারে, যেখানে কর্মীর পারফরম্যান্স, কাজের সন্তুষ্টি, অনুপস্থিতি, টার্নওভারের উদ্দেশ্য এমনকি মানসিক সুস্থতার ক্ষেত্রেও বড় প্রভাব পড়তে পারে।

এ গবেষণায় আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উঠে এসেছে তা হলো, ব্যক্তিগত কাজের উদ্দেশ্যে কর্মীরা গড়ে দৈনিক সময় কাটান ৫৬ মিনিটের মতো। আর প্রতিদিন গড়ে দেড়শবার নিজের ডিভাইস চেক করেন তারা।




মেহেরপুরের মুজিবনগরে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতার মামলায় আটক ৩

মেহেরপুরের মুজিবনগরে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় ৩ জন আটক করেছে মুজিবনগর থানা পুলিশ। মঙ্গলবার সকালের দিকে তাদের আটক করা হয়।

আটককৃতরা হলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থক জয়পুর গ্রামের চলমান মেম্বার সাকার উদ্দিনের ছেলে রমজান আলী(৫৫), আনন্দবাস গ্রামের শহীদ বিশ্বাসের ছেলে রানা বিশ্বাস(৪০) ও রুহুল আমিনের ছেলে মামুন(৪০)।

এদিকে আটকের পর মঙ্গলবার দুপুরে তাদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।

মুজিবনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উজ্জ্বল কুমার দত্ত বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন,নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতার ঘটনায় মামলার ভিত্তিতে আমরা এ পর্যন্ত তিনজনকে আটক করেছি, বাকিদেরও আটকের চেষ্টা চলছে। এছাড়া আর যেন কোন সহিংসতা না ঘটে সেই লক্ষ্যে ওই এলাকায় পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে। বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।

উল্লেখ্য, গতকাল রাত সাড়ে ৯ টার দিকে আনন্দবাস গ্রামে মেহেরপুর-১ আসনে নৌকার প্রার্থী ফরহাদ হোসেনের কর্মী-সমর্থকরা বিজয় মিছিল শুরু করে। মিছিলটি স্বতন্ত্র প্রার্থীর নেতা জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও মুজিবনগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জিয়া উদ্দীন বিশ্বাসের বাড়ির সামনে পৌঁছালে মিছিলের মধ্যে থেকে পরাজিত স্বতন্ত্র প্রার্থীর এক কর্মীকে চড় থাপ্পড় মারে। এতে ক্ষিপ্ত হয় স্বতন্ত্র প্রার্থীর লোকজনরা। ছাদের উপর থেকে নৌকার কর্মী সমর্থকদের উপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে। ঘটনার এক পর্যায়ে তারা দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিশোটা নিয়ে নৌকার কর্মী সমর্থকদের উপর হামলা চালায়। এতে নৌকার পক্ষের ১৮ ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর তিন কর্মী-সমর্থক আহত হয়।

এ ঘটনায় নৌকার সমর্থক আলতাব হোসেন বাদি হয়ে মুজিবনগর থানায় জেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান জিয়া উদ্দীন বিশ্বাসসহ মোট ২৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মামলার ভিত্তিতে মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) সকালের দিকে আনন্দবাস ও জয়পুর গ্রাম থেকে তিন জনকে আটক করে আদালতে সোপর্দ করেছে মুজিবনগর থানা পুলিশ।




যেসব ভেষজ খাবারে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে

শীতে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর কোন বিকল্প নেই। সকলেই আজকাল স্বাস্থ্য সম্পর্কে কমবেশি সচেতন। তাই জেনে নেওয়া ভালো রোগ প্রতিরোধ বাড়াতে সাহায্য করে এমন তিন ভেষজ উপাদানের কথা:

তুলসি

ঠান্ডাকাশি সারাতে তুলসিপাতার গুণাগুণ আমরা সবাই জানি। এতে রয়েছে জীবানুনাশক গুণাবলি। শুধু ঠান্ডা কাশিই নয় দুশ্চিন্তা, উদ্বেগ, ক্লান্তি ইত্যাদি কমাতেও এর জুড়ি নেই। এতে থাকা অ্যান্টি এক্সিডেন্ট শরীরে জমে থাকা দূষিত পদার্থ দুর করে। তাই রোজ তুলসি খাওয়ার অভ্যাস আপনাকে রাখবে সুস্থ।

আমলকি
চুল ও ত্বকের সৌন্দর্যে আমলকির ব্যবহার তো আমাদের সবার জানা। তবে জানেন কি যকৃত থেকে শুরু করে ফুসফুস, মস্তিষ্ক ইত্যাদি অঙ্গ ভালো রাখে আমলকি। এতে থাকা ভিটামিন সি, অ্যামাইনো এসিড, পেকটিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ আমলকি প্রদাহ নির্মূল করে জীবাণুর সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে।

অশ্বগন্ধা
ব্যথা বেদনা থেকে শুরু করে প্রদাহ নির্মূল করতে অশ্বগন্ধার জুড়ি নেই। রোগ সারিয়ে শরীর সুস্থ করে তুলতে প্রাচীনকাল থেকে এই উপাদানের ব্যবহার হয়ে আসছে।




স্বতন্ত্র প্রার্থীরা কী বিরোধী দল গঠন করতে পারবে?

দ্বাদশ জাতীয় সংসদে কারা বিরোধী দল? ১১টি আসন নিয়ে জাতীয় পার্টি (জাপা) নাকি ৬২টি আসনে জয়ী হয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা স্বতন্ত্র প্রার্থীরা বিরোধী দল হবে? নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর সবচেয়ে বেশি আলোচনা হচ্ছে বিরোধী দল নিয়ে। আইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যরা জোট করে বিরোধীদলে বসতে পারবে। সে ক্ষেত্রে জাতীয় পার্টি বিরোধী দলের মর্যাদা হারাবে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশের সংবিধান এবং জাতীয় সংসদের কার্যক্রম পরিচালিত হয় যে কার্যপ্রণালিবিধি দ্বারা, তার কোথাও বিরোধী দল সম্পর্কে কোনো সুস্পষ্ট বিধান নেই। ৩০০ আসনের মধ্যে ন্যূনতম কতগুলো আসন পেলে কোনো দল বিরোধী দলের চেয়ারে বসতে পারবে কিংবা বিরোধীদলীয় নেতা কে হবেন, তার যোগ্যতা কী হবে সে বিষয়েও স্পষ্ট কিছু বলা নেই।

তবে অঘোষিতভাবে জাতীয় সংসদে একটি বিধান রয়েছে, সেটি হচ্ছে একটি রাজনৈতিক দলকে ১০ ভাগের এক ভাগ অর্থাৎ অন্তত ৩০টি আসন পেলে বিরোধী দলের মর্যাদা দেওয়া হয়। সংসদের কার্যপ্রণালী বিধির ২(১) (ট) ধারায় বলা হয়েছে, বিরোধীদলীয় নেতা অর্থ হল, “স্পিকারের বিবেচনামতে যে সংসদ সদস্য সংসদে সরকারি দলের বিরোধিতাকারী সর্বোচ্চ সংখ্যক সদস্য লইয়া গঠিত ক্ষেত্রমতে দল বা অধিসঙ্গের নেতা।”

বিশেষ ক্ষেত্রে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে একমত হতে পারলে তারা সংসদে বিরোধী দলে বসতেও পারেন। এজন্য তাদের একটি ‘মোর্চা’ বা ‘ককাস’ (রাজনৈতিক জোট) গঠন করে এক কাতারে আসতে হবে। এরশাদের আমলে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। সে সময় জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (রব) উদ্যোগে ‘কম্বাইন্ড অপজিশন পার্টিস (কপ)’ নামে সম্মিলিত বিরোধী দল গঠিত হয় এবং তারা নির্বাচনে অংশ নেয়। তারা তখন ১৯টি আসন পেয়েছিল। গ্রুপ হওয়ার কারণে তারা তখন সংসদ সদস্য হলেও বিরোধী দলের মর্যাদা পাননি। পরে অন্যান্য দলের আরও ১৪ জন সংসদ সদস্য আ স ম আবদুর রবকে নেতা মেনে স্পিকারের কাছে আবেদন করলে স্পিকার তাকে বিরোধী দলের নেতার স্বীকৃতি দেন।

সংসদীয় আইনেও বলা আছে, ‘বিজয়ী স্বতন্ত্র প্রার্থীরা সংসদের প্রতিনিধিত্বকারী যেকোনো দলের সঙ্গে যুক্ত হতে পারেন অথবা স্বতন্ত্র হিসেবেই থাকতে পারেন।’ নবম সংসদের পুরো সময়ে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য হিসেবে ফজলুল আজিম আইন প্রণয়ন প্রক্রিয়ায় অংশ নেন। অর্থাৎ স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য হিসেবে থাকলেও অসুবিধা নেই।

জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ও সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ বলেন, ‘প্রচলিত রীতি হলো, নির্বাচনের পর যে দল সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন পাবে তারা সরকার গঠন করবে। এরপর যারা তাদের চেয়ে কম সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে তারা বিরোধী দলে থাকবে। এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের পরেই স্বতন্ত্ররা বেশি আসন পেয়েছেন। তাদের অনেকে নিশ্চয়ই সরকারের সঙ্গেও থাকতে চাইবেন। এখন কারা বিরোধী দলে থাকতে চান, সেটা পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করবে। যারা হতে চায় তাদের তো গ্রাউন্ড লাগবে।’

সুপ্রিম কোর্টের আরেক আইনজীবী তানজীব উল আলম বলন, ‘বিরোধী দল বলতে কোনো দলকে বোঝায় না। সংখ্যাগরিষ্ঠরা সরকার গঠন করবে। পরের সংখ্যাগরিষ্ঠরা যদি প্রস্তাব করেন আমরা এতগুলো সংসদ সদস্য আছি এবং একত্রিত হয়েছি, আমাদের বিরোধী দলের মর্যাদা দেওয়া হোক। তখন স্পিকার যাচাই করে দেখবেন এবং বিরোধী দলের জন্য যতটুকু সংসদ সদস্য প্রয়োজন তা থাকলে তিনি মর্যাদা দেবেন। পরে স্পিকার সংসদের বিরোধী দলের নেতা, উপনেতা, চিফ হুইপ ও হুইপ কারা হবে তা জানাতে বলবেন। স্বতন্ত্র যে ৬২ জন নির্বাচিত হয়েছেন, তাদের কেউ আওয়ামী লীগ বা অন্য কোনো দলে যোগ দিলে তা সংসদ সদস্য পদ খারিজ হবে না। ফলে তিনি বিরোধী দলে থাকতে পারেন বা অন্য দলেও যোগ দিতে পারে।’

স্বতন্ত্রদের জোট আগেও হয়েছে। বিএনপির বর্জনে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির দশম সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে জেতেন ১৬ জন। সেই সংসদে সংরক্ষিত নারী আসন দলগুলোর মধ্যে আনুপাতিক হারে বণ্টনের সময় স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যদেরকে চিঠি দেওয়া হয় তারা জোটবদ্ধ হবেন কি না। এরপর ১৬ জন জোটবদ্ধ হলে সংরক্ষিত নারী আসনের মধ্যে তিনটি বরাদ্দ দেওয়া হয় স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যদের। ২০১৭ সালের মে মাসে এদের মধ্যে ১৪ জন একসঙ্গে এবং এরপর আরও দুই জন আওয়ামী লীগে ফিরে যান।

বিরোধী দল ছাড়াও সংসদ ছিল। ১৯৭৩ সালের প্রথম জাতীয় নির্বাচনের পর যে সংসদ গঠন হয়, তাতে বিরোধীদলীয় নেতার আসনে কেউ বসেননি। সেবার ৩০০ আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগ একাই পায় ২৯৩টি। একটি করে আসন পায় জাসদ ও জাতীয় লীগ। বাকি পাঁচটি আসন পান স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যরা। তারা জাতীয় লীগ নেতা আতাউর রহমান খানকে তাদের নেতা নির্ধারণ করে বিরোধী দলের নেতার মর্যাদা দিতে স্পিকারের কাছে আবেদন জানান। তবে সংসদ নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আপত্তি জানিয়ে বলেন, বিরোধী দল হিসেবে স্বীকৃতি পেতে হলে একটি রাজনৈতিক দলের অবশ্যই কমপক্ষে ২৫টি আসন থাকতে হবে। না হলে তাদেরকে পার্লামেন্টারি গ্রুপ হিসেবে বলা যেতে পারে, কিন্তু বিরোধী দল নয়।

১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, জামায়াতে ইসলামী ও বামপন্থি দলগুলোর বর্জনের মধ্য ভোটের পর গঠিত সংসদেও একই ঘটনা ঘটে। বিএনপিকে সেই নির্বাচনে ২৭৮টিতে জয়ী দেখানো হয়। ১০টি আসনে স্বতন্ত্র এবং একটিতে ফ্রিডম পার্টির নেতা বঙ্গবন্ধুর খুনি খন্দকার আব্দুর রশীদকে বিজয়ী দেখানো হয়। বাকি ১১টি আসনের মধ্যে ১০টিতে কাউকে বিজয়ী দেখানো হয়নি। একটিতে ভোট স্থগিত ছিল।




ফুটবল দুনিয়া থেকে আর একটি নক্ষত্রের বিদায়

ফুটবল দুনিয়ায় ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তির মারিও জাগালোর মৃত্যু এখনো শোকের ছায়া ঘিরে রেখেছে। এরই মধ্যে আরো একজন ফুটবল দুনিয়াকে আরো গভীর শোকে ডুবিয়ে দিল। পৃথিবী ছেড়ে চলে গেলেন জার্মানির ফুটবল কিংবদন্তি ফ্রাঞ্জ বেকেনবাওয়ার। জার্মানির এই ডিফেন্ডার হচ্ছেন ফুটবল দুনিয়ার সর্বকালের অন্যতম খেলোয়াড়।

পারকিনসন রোগে ভুগছিলেন ৭৮ বছর বয়সি বেকেনবাওয়ার। রবিবার মারা গেছেন এই কিংবদন্তি। নিয়তির কাছে ভেঙে পড়ল তার রক্ষণভাগের জীবন। বিশ্বকাপ ফুটবলে ব্রাজিলের মারিও জাগালো খেলোয়াড় হয়ে বিশ্বকাপ জয় করেছিলেন দুই বার। কোচ হয়ে দুই বার বিশ্বকাপ জয় করেছিলেন তিনি।

জাগালোর মৃত্যুর দিনে খোঁজ পড়েছিল আর কে আছেন এই কীর্তিময় রেকর্ডের পাতায়। উঠে এসেছিল ফ্রাঞ্জ বেকেনবাওয়ার, ফ্রান্সের দিদিয়ের দেশমের নাম। তিন জন ফুটবলার খেলোয়াড় হয়ে বিশ্বকাপ জয় করেন এবং কোচ হয়েও তারা বিশ্বকাপ জয় করেন। ১৯৮৪ সালে ফুটবল থেকে পুরোপুরি অবসর গ্রহণ করেন বেকেনবাওয়ার।

তার পরও ফুটবল দুনিয়া কখনোই তাকে এক মুহূর্তের জন্য ভুলে যায়নি। তার ফুটবল কীর্তির কথা শুধু জার্মানিতে নয়, পুরো ইউরোপ আমেরিকা, লাতিন ফুটবলে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।

জার্মান ফুটবলের আইকন ছিলেন তিনি। তাকে আদর করে ডাকা হতো বাজাইজার নামে। বেকেনবাওয়ার তার ফুটবল শৈলী দিয়ে আলাদা একটা শিল্প তৈরি করেছিলেন। তার ফুটবলে মোহিত হয়ে থাকতেন দর্শক। বেকেনবাওয়ার যখন ফুটবল খেলতেন তখন বাংলাদেশের দর্শক সরাসরি সেই খেলা দেখার সুযোগ পেতেন না। এখনকার মতো প্রযুক্তির সুবিধা না থাকার পরও তাদের নান্দনিক ফুটবলের ছোঁয়া উপভোগ করেছেন এদেশের দর্শক।

দুই দিন দেরিতে হলেও সেই সব খবর আসত বাংলাদেশের ঘরে ঘরে। বেকেনবাওয়ার তার বলের ওপর দখল আর প্রতিপক্ষের কাছ থেকে বল কেড়ে নেওয়ার মতো জাদুকরি কৌশল এখনো তখনকার দর্শক মনে রেখেছে। পশ্চিম জার্মানির জার্সি গায়ে ১০৪টি ম্যাচ খেলেছেন তিনি। ১৯৭৪ বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন জার্মানির অধিনায়ক ছিলেন তিনি। ১৬ বছর পর ইতালির কোচ হয়ে তিনি বিশ্বকাপ জয়

করেছিলেন। বায়ার্ন মিউনিখের জার্সি গায়ে খেলে ইউরোপে জুড়ে ফুটবলের ঢেউ তুলে ছিলেন। খেলা শুরু করেছিলেন আক্রমণভাগে। ১৯৬৪ সালে বায়ার্নে লেফট উইঙ্গার পজিশনে খেলেছেন। এরপর সেন্ট্রাল মিডফিল্ডে খেলেছেন। বায়ার্নকে তুলে ছিলেন বুন্দেস লিগায়।




স্নাতক পাসে নিয়োগ দেবে এসিআই

জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে অ্যাডভান্সড কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড (এসিআই)। প্রতিষ্ঠানটি মার্কেটিং অফিসার পদে নিয়োগ দেবে। আগ্রহী যোগ্য প্রার্থীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।

পদের নাম

মার্কেটিং অফিসার, এনিমেল হেলথ।

শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা

প্রার্থীকে এসএসসি-তে বিজ্ঞান বিভাগসহ ন্যূনতম স্নাতক পাস হতে হবে। বয়স সর্বোচ্চ ৩২ বছর।

কর্মস্থল

বাংলাদেশের যেকোনো স্থানে।

আবেদন প্রক্রিয়া

প্রার্থীরা বিডিজবস অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।

আবেদনের শেষ তারিখ

১৮ জানুয়ারি, ২০২৪




মেহেরপুরে ট্রাক্টরের ধাক্কায় আহত রিক্সা চালকের মৃত্যু

মেহেরপুর পৌর ভূমি অফিসের সামনে ট্রাক্টরের ধাক্কায় রিক্সা চালক মো. কালু মিয়া (৫৩) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে। আজ মঙ্গলবার (৯ জানুয়ারি) ভোরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান তিনি।

গতকাল সোমবার (৮ জানুয়ারি) বেলা ১২ টা ২০ মিনিটের সময় পৌর ভূমি অফিসের সামনে এই দুর্ঘটনা ঘটে। মোঃ কালু মিয়া (৫৩), সদর উপজেলা গোভিপুর ভিটাপাড়া গ্রামের মৃত আক্কাস আলীর ছেলে।

স্থানীয়রা জানায় পৌর ভূমি অফিসের সামনে রিক্সার চালক মোঃ কালু (৫৩) তার নিজ রিক্সার নিয়ে দাড়িয়ে ছিলো অপর দিক থেকে আসা ট্রাক্টর চালক রায়হান (৩৫) নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রিক্সার চালক কালুর রিক্সাসহ তার শরীরে উঠিয়ে দিয়ে এতে রিকশাটি দুমড়ে-মুচড়ে চালক কালু মিয়া আহত হন। এসময় সে জ্ঞান হারিয়ে রাস্তায় পড়ে থাকে আমরা স্থানীরা তাকে উদ্ধার করে মেহেরপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। তার অবস্থার অবনতি হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (রামেক) রেফার্ড করলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।

পারবারিক সূত্রের বরাত দিয়ে মেহেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ কনি মিয়া এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এ ঘটনায় ট্রাক্টরের চালক রায়হান (৩৫)কে আটক করে সদর থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে।




জায়েদ খানের সুখবর

সংবাদমাধ্যম অনুযায়ী, ‘সোনার চর’ নামের একটি সিনেমা মুক্তি পেতে যাচ্ছে শিগগিরই। তাতে অভিনয় করেছেন জায়েদ খান।

জাহিদ হোসেন পরিচালিত ‘সোনার চর’ সিনেমা প্রসঙ্গে জায়েদ খান বলেন, আমার ক্যারিয়ারে সবচেয়ে বেশি শ্রম দেওয়া সিনেমা ‘সোনার চর’। এ সিনেমায় আমি একজন মুক্তিযোদ্ধার চরিত্রে অভিনয় করেছি। চরিত্রটির নাম মানিক। চরিত্রের প্রয়োজনে প্রায় দুই বছর চুল কাটিনি। লম্বা সময় ধরে চুল বড় করেছি।

নিজেকে ভেঙেছি, গড়েছি। এখানে বদলে যাওয়া এক জায়েদ খানকে আবিষ্কার করবেন দর্শক।

সিনেমাটির পরিচালক জানিয়েছেন ‘সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে সিনেমাটি সেন্সরের জন্য জমা দেয়া হয়েছে। সেন্সর পাওয়ার পরই মুক্তির দিনক্ষণ চূড়ান্ত হবে। আশা করা যাচ্ছে খুব শিগগিরই সিনেমাটি মুক্তি পাবে।’

জানা যায়, সিনেমাটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জীবনের একাংশ নিয়ে তৈরি যেখানে দেখানো হয়েছে ১৯৭৫-এ বঙ্গবন্ধু হত্যার পর বাংলাদেশে ফেরার সময়টি। সিনেমাটি প্রযোজনা করেছেন জাহাঙ্গীর সিকদার।

২০২১ সালে ‘সোনার চর’ সিনেমায় কাজ করেছিলেন জায়েদ খান। এতে তার সহশিল্পী ছিলেন চিত্রনায়িকা মৌসুমী, ওমর সানী, শহীদুজ্জামান সেলিম, স্নিগ্ধা, শবনম পারভীনসহ অনেকে।