মেহেরপুরে গৃহবধূর লাশ উদ্ধার,পরিবারের দাবি হত্যা

মেহেরপুরে নাজমা খাতুন (৩৫) নামে এক গৃহবধূর রহস্য জনক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে । তবে ভুক্তভোগী পরিবারের দাবি স্বামীর পরকিয়া প্রেমের বাধা দেওয়ায় তাকে ফাঁসিতে ঝুঁলিয়ে আত্মাহত্যার নাম দেওয়া হচ্ছে। এঘটনায় অভিযুক্ত স্বামী পলাতক হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর ) দুপুরের দিকে মেহেরপুর সদর উপজেলার বুড়িপোতা ইউনিয়নের গুচ্ছগ্রামে নাজমা খাতুন তার শশুর বাড়িতে নিজ ঘরের ফ্যানের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় ঝুলে থাকতে দেখে তার শাশুড়ি এলাকাবাসীকে ডাক দেয়।

নাজমা খাতুন নাজির বকশোর মেয়ে। এবং তার স্বামী ফারুক আলী মেহেরপুর সদর উপজেলা বুড়িপোতা ইউনিয়নের গুচ্ছগ্রাম রাজাপুরের লুৎফর আলীর ছেলে।

ঘটনা সূত্রে জানা গেছে, নাজমা খাতুন এর স্বামী ফারুক আলী সাথে দীর্ঘ দিন ধরে তার দন্ড চলছিল। এ দিকে এলাকাবাসীর কাছ থেকে জানা গেছে তার স্বামী একই এলাকার এক নারীর সাথে সম্পর্ক করে। এই নিয়ে তাদের মধ্যে ঝামেলা চলে দীর্ঘ দিন ধরে।

ভুক্তভোগীর মা বলেন,আমরা জামাই আমার মেয়ে কে অনেক অত্যাচার করে এর আগে আমার মেয়ে কে মেরে হাত ভেঙ্গে দিয়েছিল। এবং আমার জামাই এর আগে পরকীয়া করতে গিয়ে ধরা খেয়েছে এই নিয়ে তাদের সংসার ঝামেলা চলে। আজ আমার জামাই আমার মেয়ে কে হত্যা করে পালিয়ে গেছে।




এইচএসসি পাসে ইবনে সিনায় চাকরি

সম্প্রতি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে দি ইবনে সিনা এপিআই ইন্ডাস্ট্রি লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটির এপিআই প্রজেক্টের জন্য প্রোডাকশন অ্যাসিস্ট্যান্ট পদে একাধিক লোকবল নিয়োগের জন্য এ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে। ২৫ নভেম্বর থেকেই আবেদন নেওয়া শুরু হয়েছে। আগ্রহী প্রার্থীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।

প্রতিষ্ঠানের নাম : দি ইবনে সিনা এপিআই ইন্ডাস্ট্রি লিমিটেড

পদের নাম : প্রোডাকশন অ্যাসিস্ট্যান্ট

বিভাগ : এপিআই প্রজেক্ট

পদের সংখ্যা : নির্ধারিত নয়
শিক্ষাগত যোগ্যতা : ন্যূনতম এইচএসসি/আলিম/সমমান

অভিজ্ঞতা : কমপক্ষে ২ বছর

অন্যান্য যোগ্যতা : প্রয়োজন নেই

শিফট : দিন-রাতের শিফটে কাজ করতে হবে
চাকরির ধরন : ফুলটাইম

কর্মক্ষেত্র : অফিসে

প্রার্থীর ধরন : শুধু পুরুষ

বয়সসীমা : ২২ থেকে ৩০ বছর
কর্মস্থল : মুন্সীগঞ্জ (গজারিয়া)

বেতন : আলোচনা সাপেক্ষে

অন্যান্য সুবিধা : চিকিৎসা ভাতা, প্রভিডেন্ট ফান্ড, গ্র্যাচুইটি, লাভের ভাগ, সময়ের সাথে সাথে ভাতা, প্রতি বছর বেতন পর্যালোচনা, দুপুরের খাবারের সুবিধা, বছরে ২টি উৎসব বোনাসসহ কোম্পানির নিয়ম অনুযায়ী অন্যান্য সুবিধা পাবেন।
আবেদন যেভাবে : আগ্রহী প্রার্থীরা আবেদন করতে ও বিস্তারিত বিজ্ঞপ্তিটি দেখতে এখানে  ক্লিক করুন। আবেদনের শেষ সময় : ০২ ডিসেম্বর ২০২৩




এক্সে আবার দেখা যাবে শিরোনামসহ খবর

পরিবর্তনটা চলে এলো মাসখানেকের মধ্যেই। সিদ্ধান্তের পরিবর্তন আরকি। বিভিন্ন ওয়েবসাইটে প্রকাশিত কোনো লেখা এক্সে পোস্ট করলে সেটির শিরোনামসহ সংক্ষিপ্ত তথ্য ছবি আকারে দেখা যাবে। ফলে লিংকে ক্লিক না করলেও বন্ধুদের পোস্টগুলো সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা নিতে পারবেন অন্য ব্যবহারকারীরা।

তবে কবে নাগাদ এ সুবিধা চালু করা হবে সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য জানাননি মাস্ক। ধারণা করা হচ্ছে, এক্সের পরবর্তী সংস্করণ থেকেই সুবিধাটি ব্যবহারের সুযোগ মিলবে।

প্রথমত লিংক প্রিভিউ সুবিধা চালু না থাকায় প্লাটফর্মে কিছু অসুবিধাও দেখা দিচ্ছে। লিংক থেকে ভিজিটর আসাও বন্ধ হচ্ছে অনেকাংশে। তাই আবারও আগের সময়ে ফিরে যেতে চাচ্ছে তারা।

তথ্যসূত্র: টেকলুসিভ




মেহেরপুর সরকারি কলেজে চাঁদা উত্তোলেনের প্রতিবাদ করায় ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে অপমান ও চেয়ার ভাংচুর

মেহেরপুর সরকারি কলেজের নাম ভাঙিয়ে চাঁদাবাজির প্রতিবাদ করায় ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের সাথে খারাপ আচরণ ও আসবাবপত্র ভাংচুরের অভিযোগ উঠেছে কয়েকজন ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে।আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২ টার দিকে মেহেরপুর সরকারি কলেজে এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, দুপুর ১২ টার দিকে কলেজের পুরাতন ভবনের দ্বিতীয় তলায় একাদশ শ্রেণীর সমাজবিজ্ঞান ক্লাস নিচ্ছিলেন কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ও সহযোগী অধ্যাপক আবদুল্লাহ আল আমিন। ক্লাস চলাকালীন কলেজ শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক ইমরান মাহমুদ অনিক, প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক রাশেদ আলীর নেতৃত্বে ৫/৬ জন নেতাকর্মী পিকনিক ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান নাম করে রশিদ ছাপিয়ে শিক্ষার্থীদের কাছে জন প্রতি ২৫০টাকা চাঁদা দাবি করে। এসময় ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আবদুল্লাহ আল আমিন ধুমকেতু তাদের প্রতিবাদ করে এবং চাঁদার রশিদ জব্দ করে প্রশাসনিক ভবনে নিয়ে যান। এসময় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষর সাথে তারা খারাপ আচরণ করে রশিদ বই ছিনিয়ে নিয়ে যায় এবং বের হয়ে যাওয়ার সময় দুটি চেয়ার ভাংচুর করেন। পরে তারা কলেজের মূল ফটকে তালা মারতে গেলে কলেজের শিক্ষক- কর্মচারীরা সেখানে গেলে তালা না দিয়ে পালিয়ে যায়।

চাঁদা আদায়ের রশিদে লেখা রয়েছে, মেহেরপুর সরকারি কলেজের আয়োজনে পিকনিক ও সাংস্কৃতি অনুষ্ঠান। সেখানে কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক কুতুব উদ্দিন আহমেদ, যুগ্ম সম্পাদক ইমরান মাহমুদ অনিক, প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক রাশেদ আলীর নাম লেখা রয়েছে। তবে ছাত্রলীগের নাম লেখা না থাকলেও পদ ও নাম লেখা রয়েছে। এর মধ্যে কুতুবউদ্দিন আহমেদ বর্তমানের কলেজে ছাত্র না।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছিক ছাত্র-ছাত্রীরা বলেন, ছাত্রলীগের নেতারা হুমকি ধামকি পিকনিকের চাঁদা দিতে বাধ্য করাচ্ছে। চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি কলেজে আসতে দেওয়া হবে না বলে হুমকি দিচ্ছে।

এ বিষয়ে কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক কুতুব উদ্দিন আহমেদ বলেন, আমি ছিলাম না, ঢাকা থেকে মেহেরপুরে ফিরছি। তারা পিকনিকের বিষয়ে স্যারদের অবহিত করতে গেছিলো। এসময় আব্দুল্লাহ আল আমিন স্যার তাদের কাছে থেকে টাকা কেড়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ করেন। তবে কিসের টাকা প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, আগের উত্তোলন করা টাকা। তবে টাকার পরিমান জানাতে পারেননি।

মেহেরপুর সরকারি কলেজে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আবদুল্লাহ আল আমিন বলেন, পিকনিক ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের কোন অনুমতি কাউকে দেওয়া হয়নি। তাই কলেজের নাম ব্যবহার করে চাঁদা উত্তোলন করা যাবে না। ক্লাসে গিয়ে চাঁদা চাওয়ায় আমি রশিদ বই জব্দ করি। তারা কলেজের প্রিন্সিপালের টেবিল থেকে থাবা দিয়ে রশিদ বই ছিনিয়ে নিয়ে গেছে। গত সোমবারও তারা আরেক শিক্ষককে এ নিয়ে অপমান করেছে। কুতুবউদ্দিন আহমেদ বর্তমানের কলেজের ছাত্র নয়।

তিনি আরও বলেন, জাতীয় নির্বাচনের তপসিল ঘোষনার কারণে কলেজে কোন অনুষ্ঠান করা বিধি সম্মত নয়। ছাত্র-ছাত্রীদের কাউকে কোন চাঁদা না দেওয়ার জন্য আহবান জানাচ্ছি।




মেহেরপুরে জাতীয় পার্টি প্রার্থীর মনোনয়ন ফরম উত্তোলন

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নাঙ্গল প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করার জন্য মেহেরপুর ১ আসন থেকে মনোনয়ন ফরম উত্তোলন করেছেন জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি আব্দুল হামিদ।

মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর ) দুপুর একটার দিকে মেহেরপুর ১ আসনের জন্য মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন আব্দুল হামিদ।

মেহেরপুর জেলা নির্বাচন অফিসার মো. ওয়ালিউল্লাহ এর নিকট থেকে তিনি এ মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন।

এসময় জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি আব্দুল হামিদ বলেন, বাংলাদেশ আজকে বৈষম্যের মধ্যে বাস করছে। বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষকে যদি আমরা বাঁচাতে চাই তাহলে মেহেরপুরবাসীকে জাতীয় পার্টির আশ্রয় নিতে হবে। শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করার জন্য নাঙ্গলের বিকল্প নেই।

জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হাদী বলেন, মেহেরপুর ১ আসনে জাতীয় পার্টির হাতকে শক্তিশালী করে এই আসনটা আমরা জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের স্যারকে উপহার দিতে চাই।

এসময় জেলা জাতীয় পার্টি সহ-সভাপতি আব্দুল মান্নান ও হামিদুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম, সহকারি সাধারণ সম্পাদক সুমন পারভেজ, প্রচার সম্পাদক মামলত হোসেন, মেহেরপুর জেলা জাতীয় পার্টির সদস্য সরওয়ার হোসেন সহ মেহেরপুর জেলা পার্টি বিভিন্ন নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।




এ যেন আজকের সালমান শাহ

ভক্তরা কখনো প্রিয় তারকার প্রতিকৃতি বানান, কখনো প্রিয় তারকার বাড়ির সামনে ফ্রেমবন্দী হন। প্রিয় তারকাকে নিয়ে ভক্তদের ‘পাগলামি’র বহু নজির রয়েছে। তবে নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন সালমান শাহর ভক্তরা।

ঢাকাই সিনেমার এই প্রয়াত তারকার সিনেমাগুলোকে নতুন সংস্করণে আনার উদ্যোগ নিয়েছেন তাঁরা। সালমান শাহর ভক্তরা মিলে এর মধ্যেই প্রিয় তারকার ১১টি সিনেমাকে ডিজিটালে রূপান্তর করছেন। পর্যায়ক্রমে সালমানের সব কটি সিনেমাকেই ডিজিটালে রূপান্তর করতে চান তাঁরা।

অভিমান নিয়ে সোহান সেদিন বলেছিলেন, ‘তাদের বলে দিয়ো, আমি সালমান শাহ আর মৌসুমীকে কোনো টাকা দেই নাই’
২০১৯ সালের কথা। সেবার সালমান শাহর সিনেমা নিয়ে মধুমিতা সিনেমা হলে ‘সালমান শাহ উৎসব’ হয়। সেই উৎসবে সিনেমা দেখতে গিয়েছিলেন ইভান মল্লিক।

কিন্তু বড় পর্দায় প্রিয় তারকার সিনেমা দেখে হতাশ হন। বুঝতে পারেন ইউটিউব থেকে প্রিন্ট ডাউনলোড করা চালানো হচ্ছে। সেই প্রিন্ট ঝাপসা। রেজল্যুশন খুবই কম, বড় বড় লোগো যুক্ত করা।

তাঁর মতো অবস্থা ছিল আরও অনেক সালমান–ভক্তেরই। পরের বছর টিএসসিতে সালমান শাহর ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ দেখতে গিয়েও একইভাবে হতাশ হতে হয় ভক্তদের।

গত বছরের অক্টোবরে ফিল্ম আর্কাইভের একটি আয়োজনে দেখানো হয় ‘তোমাকে চাই’ সিনেমাটি। সেই সিনেমার দৈর্ঘ্য ছিল মাত্র ১ ঘণ্টা ৩০ মিনিট। সেখানে ‘তোমাই চাই’, ‘তুমি আমায় করতে সুখী জীবনে’, ‘বাজারে যাচাই করে দেখিনি তো দাম’সহ সিনেমাটির জনপ্রিয় পাঁচটি গান ছিল না। সাউন্ড ঠিক ছিল না। সব মিলিয়ে সেটা কোনোভাবেই প্রদর্শনযোগ্য সংস্করণ ছিল না বলে মনে হয় ইভান মল্লিকের। সেদিনই তিনি সিদ্ধান্ত নেন সিনেমাগুলো ডিজিটাল সংস্করণে রূপান্তরের উদ্যোগ নেবেন। তিনি মনে করেন, সালমান শাহর সিনেমা সংরক্ষণ না করলে অল্প কিছুদিনের মধ্যে মূল প্রিন্ট হারিয়ে যাবে।

ইভান নিজেও একজন সম্পাদক ও পরিচালক। তাঁর নিজস্ব প্যানেল রয়েছে। একবার নিজের তথ্যচিত্রের কাজ করতে গিয়ে পরিচয় হয় যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক জনাথন পার্লের সঙ্গে। যিনি নিজেও সম্পাদক। তাঁর কাছ থেকে ইভান পরামর্শ পান, কীভাবে সিনেমাগুলোকে অল্প রেজল্যুশন থেকে উচ্চতর রেজল্যুশনে উন্নীত করা যায়, কীভাবে ডিজিটাল সংস্করণে রূপান্তর করা যায়। ইভান বললেন এরপরের গল্প, ‘আমি নেমে পড়ি সালমান শাহর সব সিনেমার প্রিন্ট সংগ্রহ করতে। কিন্তু বারবার হতাশ হতে হয়। কেউ কেউ প্রিন্ট দিতে চায় না। একসময় একটি আইপি টিভিতে সম্পাদক হিসেবে কাজ করতাম। কাজ করার সময় জেনেছিলাম, সেখানে কিছু সিনেমার মূল প্রিন্ট ডিভিডিতে সংরক্ষিত আছে। খুঁজতে খুঁজতে ১১টি সিনেমা পেয়ে যাই।’ সিনেমাগুলো হলো ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’, ‘দেনমোহর’, ‘প্রেম যুদ্ধ’, ‘সত্যের মৃত্যু নেই’, ‘স্বপ্নের পৃথিবী’, ‘বিক্ষোভ’, ‘জীবন সংসার’, ‘মহামিলন’, ‘আশা ভালোবাসা’, ‘আনন্দ অশ্রু’ ও ‘অন্তরে অন্তরে’।

ইভান তাঁর সিনেমার কাজে প্রায়ই কলকাতায় যেতেন। একবার যাওয়ার সময় কলকাতায় সালমান শাহর সিনেমাগুলো নিয়ে যান। শুরু হয় সংগ্রাম। তিনি বলেন, ‘কলকাতায় গিয়ে আমরা সিনেমাগুলো রেজল্যুশন মাস্টারিং করি। শব্দে যোগ করি ডলবি সাউন্ড সিস্টেম, প্রিন্ট একদম ঝকঝকে হয়ে যায়। মনে হচ্ছিল, একদম নতুন সিনেমা।

এই প্রক্রিয়াকে টিসি সিংক বলা হয়। এআই প্রযুক্তির সাহায্যে হাই রেজল্যুশনে নতুন করে প্রিন্ট করি। কাজ শেষ করে আমার কাছে সালমান শাহর ভক্ত হিসেবে গর্ব হচ্ছিল। বারবার ভাবছিলাম, দেশের একজন জনপ্রিয় তারকার সিনেমাগুলো কী অবহেলায় ছিল। যেগুলো আর কয়েক বছর পরে হয়তো খুঁজেই পাওয়া যেত না।’

প্রাথমিকভাবে তিনি ‘স্বপ্নের ঠিকানা’ ও ‘চাওয়া থেকে পাওয়া’ সিনেমা দুটি ডিজিটালে রূপান্তর করেন। প্রিন্টগুলো ভালো লাগায় পরে একে একে ১১টি সিনেমা ডিজিটাল সংস্করণে রূপান্তর করেছেন। এই উদ্যোগে প্রায় তিন লাখ টাকা খরচ হয়েছে। ইভান বলেন, ‘আমার পরিবার এগুলোকে পাগলামি মনে করে।

কিন্তু আমার কাছে মনে হয়, এই প্রিন্ট সংরক্ষণ করা দরকার। নইলে পরবর্তী প্রজন্ম সালমান শাহর সিনেমাগুলো দেখতে পারবে না। আমরা সিনেমা দুটি নিয়ে প্রদর্শনীর আয়োজন করি। সেখানে ঝকঝকে প্রিন্ট দেখে দর্শকেরা করতালি দিয়েছেন, প্রশংসা করেছেন—এটাই আমার কাছে গর্ব ও সেরা প্রাপ্তি।’

সালমান শাহর সব সিনেমার কাজ শেষ করতে অনেক টাকা প্রয়োজন। এদিকে সরাসরি ভক্তদের সঙ্গে অর্থনৈতিক বিষয়গুলো ভাগাভাগি করতে চাননি ইভান।

তিনি মনে করেন, এটা করতে গেলে অনেকেই বিষয়টি ভিন্নভাবে নিতে পারেন। তখন তিনি দুটি সিনেমা নিজ খরচে ফিল্ম আর্কাইভ ভাড়া নিয়ে প্রদর্শনীর উদ্যোগ নেন। সেখানে আড়াই শর মতো সালমান–ভক্ত সিনেমা দুটি দেখতে আসেন। সাজিদ কামাল নামের এক ভক্ত বলেন, ‘সিনেমা দেখে মনেই হয়নি এটা ২৭ বছর আগের ছবি। মনে হচ্ছিল এই সময়ের ছবি। যেন নতুন সালমান শাহকে দেখলাম। ইভান ভাইকে সাধুবাদ সিনেমাগুলো ডিজিটাল করার জন্য। তাঁকে সামনে রেখে আমরা সবাই মিলে বাকি সিনেমাগুলোর ডিজিটাল প্রিন্ট সংরক্ষণ করতে চাই।’

প্রদর্শনীতে উপস্থিত ছিলেন জীবন সংসার সিনেমার পরিচালক জাকির হোসেন রাজু। তিনি বলেন, ‘সিনেমার প্রিন্ট দারুণ ছিল। দর্শক মূল প্রিন্টের চেয়ে বেশি পছন্দ করবে।

সালমান শাহর সিনেমা নিয়ে এই উদ্যোগ আনন্দের বিষয়।’ সবশেষে ইভান জানান, সিনেমাগুলো তাঁরা সংরক্ষণ করে প্রদর্শনী করতে পারবেন। তবে বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহার করতে পারবেন না। এতেই তাঁরা খুশি।

সূত্র: প্রথম আলো




প্যাটেলের স্পিনে সাজঘরে জাকির

নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিলেটে টস জিতে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ। দুই ওপেনারের ব্যাটে সতর্ক শুরু করলেও জাকিরের বিদায়ে ভেঙেছে এই জুটি।

১৩তম ওভারে কিউই স্পিনার এজাজ প্যাটেলের ঘূর্ণিতে বোল্ড হয়ে ফেরেন জাকির। সাজঘরে ফেরার আগে ৪১ বলে ১২ রান করেন তিনি।

১৬ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে ৫১ রানে ব্যাট করছে বাংলাদেশ। জয় ১৯ রানে ব্যাট করছেন। ক্রিজে নতুন ব্যাটার শান্ত।

এই ম্যাচে নতুন এক ক্রিকেটারের অভিষেকও দেখছে বাংলাদেশ। সিনিয়র ক্রিকেটারদের অনুপস্থিতিতে এই টেস্টে জায়গা পাচ্ছেন শাহাদাৎ হোসেন দিপু।

দলে ওপেনার হিসেবে আছেন মাহমুদুল হাসান জয় এবং জাকির হোসেন। উইকেটরক্ষকের দায়িত্ব পালন করবেন নুরুল হাসান সোহান।

এই টেস্টে বাংলাদেশ একাদশ সাজিয়েছে একজন পেসার নিয়ে। শরীফুল ইসলামের পাশাপাশি বোলিং বিভাগ সামাল দিবেন তাইজুল ইসলাম, মেহেদি হাসান মিরাজ এবং নাঈম হাসান।

নিউজিল্যান্ড দলে বিশেষজ্ঞ স্পিনার হিসেবে আছেন ইশ সোধি এবং এজাজ প্যাটেল। দলে খুব বেশি চমক রাখা হয়নি। বোলিং বিভাগে আছেন মোট ৫ বোলার।

সোধি এবং এজাজকে সিলেটের সবুজ পিচে সঙ্গ দেবেন পার্ট টাইমার গ্লেন ফিলিপস। দলে আছে দুই পেসারও। অধিনায়ক টিম সাউদির সঙ্গে পেস বিভাগে আছেন কাইল জেমিসন।
সূত্র: যুগান্তর




কুষ্টিয়ায় যারা হচ্ছেন জাপা প্রার্থী

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য দলীয় প্রার্থীদের নাম প্রকাশ করেছে জাতীয় সংসদের প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টি (জাপা)।

গতকাল সোমবার বিকেলে রাজধানীর বনানীতে অবস্থিত জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন দলটির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু।

এরমধ্যে কুষ্টিয়া জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি নাফিজ আহমেদ খান টিটুকে কুষ্টিয়া-৩ (সদর), সাধারন সম্পাদক শাহরিয়ার জামিল জুয়েলকে কুষ্টিয়া-১ (দৌলতপুর), কুষ্টিয়া-২ (মিরপুর- ভেড়ামারা) শহীদুল ইসলাম ফারুকী,ও কুষ্টিয়া-৪ (খোকসা-কুমারখালী) মোঃ আয়ান উদ্দিনকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।

গত রবিবার ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ২৯৮ আসনে মনোনয়নপ্রাপ্তদের নাম ঘোষণা করলেও কুষ্টিয়া-২ (মিরপুর-ভেড়ামারা) আসনটিতে কাউকে মনোনীত করেনি। বর্তমানে এখানের সংসদ সদস্য জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) থেকে তিনবার বিজয়ী হাসানুল হক ইনু।

২০০৮ সালে আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোটভুক্ত হয়ে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রথম বারের মতো জাসদ থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন হাসানুল হক ইনু। এরপর আরও দুবার বিজয়ী হন তিনি। অনেকের ধারণা, এই আসনে ফের লড়বেন ইনু। সেই আসনে এবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন জাপার শহীদুল ইসলাম ফারুকী।

নির্বাচনকে ঘিরে গত ২০ নভেম্বর থেকে দলীয় মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু করে জাতীয় পার্টি। প্রথমে মনোনয়নপত্র বিক্রির শেষে সময় ২৪ নভেম্বর বলা হলেও পরে ফের সময় বাড়িয়ে মনোনয়নপত্র বিক্রি করে তারা। এরপর বিভাগ অনুযায়ী মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়। জানা গেছে, জাতীয় পার্টি মোট এক হাজার ৭৫২ জন জাতীয় পার্টি থেকে মনোনয়ন ফরম কিনেছেন।




কুষ্টিয়ায় নৌকার বিপক্ষে সাবেক দুই এমপি, হানিফের বিপক্ষে মেয়র পুত্র

কুষ্টিয়ায় আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়ে নৌকার বিপক্ষে লড়বেন সাবেক দুই এমপি কুষ্টিয়া-১ (দৌলতপুর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য রেজাউল হক চৌধুরী ও কুষ্টিয়া-৪ (কুমারখালী-খোকসা) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আবদুর রউফ।

তারা দুজনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। এবং স্থানীয় নির্বাচন অফিস থেকে মনোনয়ন ফরম উত্তোলন করেছেন।

রেজাউল হক চৌধুরী ২০১৪ সালে অনুষ্ঠিত সংসদ নির্বাচনে কুষ্টিয়া-১ (দৌলতপুর) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আফাজ উদ্দিন আহমদকে পরাজিত করে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি দৌলতপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি।

আবদুর রউফ কুষ্টিয়া-৪ (কুমারখালী-খোকসা) আসন থেকে ২০১৪ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ থেকে প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য। আবদুর রউফ কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী উপজেলার বাঁশগ্রাম গ্রামের বাসিন্দা।

তফসিল ঘোষণার পর আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেতে কুষ্টিয়ার ৪টি সংসদীয় আসন থেকে ৪১ জন মনোনয়ন ফরম কিনেছিলেন।

তাদের মধ্যে বর্তমান সংসদ সদস্য মাহবুব উল আলম হানিফ, সেলিম আলতাফ জর্জ, আকাম সরওয়ার জাহান বাদশাহকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। তবে কুষ্টিয়া-২ (মিরপুর-ভেড়ামারা) আসনের প্রার্থী ঘোষণা করা হয়নি।

কুষ্টিয়া-৩ (সদর) আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন বর্তমান সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব-উল আলম হানিফ, কুষ্টিয়া-১ (দৌলতপুর) আসনে সংসদ সদস্য ও দৌলতপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আ কা ম সরওয়ার জাহান বাদশাহ, কুষ্টিয়া-৪ (কুমারখালী-খোকসা) আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য ও যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ব্যারিস্টার সেলিম আলতাফ জর্জ মনোনয়ন পেয়েছেন।

এদিকে কুষ্টিয়া-৩ (সদর) আসনে মাহাবুব-উল আলম হানিফের আসনটিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ও পাঁচবারের পৌর মেয়র আনোয়ার আলীর ছেলে পারভেজ আনোয়ার তনু।

গতকাল সোমবার বিকেলে নিজের কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে সদর উপজেলা নির্বাচন অফিসার মো. সহিদুর রহমানের কাছ থেকে তিনি মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।

হানিফ ছাড়া এ আসন থেকে মনোনয়নপত্র তুলেছিলেন বঙ্গবন্ধুর মন্ত্রিসভার খাদ্য প্রতিমন্ত্রী ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ডা. এ এফ এম আমিনুল হক রতন, সাধারণ সম্পাদক আজগর আলী, সংরক্ষিত মহিলা আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আনজুমান লাইলা বানু এবং ইউকে আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক খন্দকার মাহাতাবুল হক জয়।

তবে দলীয় নেতা-কর্মীরা কুষ্টিয়া-৩ আসনে হানিফের বিকল্প কাউকে ভাবছিলেন না। কারণ গত ১০ বছরে কুষ্টিয়া সদর আসনে যে উন্নয়ন হয়েছে, তাতে মাহবুব-উল আলম হানিফের প্রতি দলমত-নির্বিশেষে সবাই আস্থা রেখেছেন। এবার তৃতীয়বারের মতো সদর আসন থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন তিনি।

কুষ্টিয়া-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আবদুর রউফ বলেন, আমি কুমারখালী-খোকসা আসনের সাবেক সংসদ সদস্য। সংসদ সদস্য হিসেবে এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন করেছি। আমি দলীয় মনোনয়ন পায়নি। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। আসন্ন নির্বাচনে আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করবো। কুমারখালী-খোকসার মানুষ আমার সঙ্গে আছেন। আমাদের জয় হবে ইনশাআল্লাহ।

কুষ্টিয়া-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য রেজাউল হক চৌধুরী বলেন, আমি দলীয় মনোনয়ন পায়নি। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করবো। আমি এই আসনের সাবেক সংসদ সদস্য। দৌলতপুরের অনেক উন্নয়ন আমার সময়ে হয়েছে। দৌলতপুরে মানুষ আমার সঙ্গে আছেন।

এ বিষয়ে কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব সদর উদ্দীন খান বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনে নৌকার জয় হবে। দল যাকে দলীয় মনোনয়ন দিয়েছে তার পক্ষে ঐক্যবদ্ধ হয়ে নেতাকর্মীরা কাজ করবে। স্বতন্ত্র প্রার্থীদের বিষয়ের আমি কিছু বলতে চাই না।

জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আজগর আলী বলেন, ‘নৌকাকে জেতানো আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। তাই এর বাইরে আমরা কিছু ভাবছি না।’

একাধিক আওয়ামী লীগের নেতা জানিয়েছেন, এবার জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুষ্টিয়া-১ ও কুষ্টিয়া-৪ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য রউফ ও রেজাউল নৌকার বিপক্ষে নির্বাচন করবেন। এক্ষেত্রে দলও খুব একটা কঠোর হবে না। কারণ, বিএনপি ভোটে আসবে না, এটি ধরে নিয়েই ক্ষমতাসীনেরা প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন দেখাতে চাইছেন। যাতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় কেউ জিততে না পারেন।

আওয়ামী লীগের লক্ষ্য নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ করে তোলা, ভোট উৎসবমুখর করা ও কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি বাড়ানো। নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক করে তুলতে একাধিক বিকল্পের একটি হলো মাঠে স্বতন্ত্র প্রার্থী রাখা।

নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রার্থীদের নির্বাচন কমিশনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ আগামী ৩০ নভেম্বর।




দর্শনা ছয়ঘরিয়া গ্রামের কৃষকের ফসল কর্তন; গ্রেফতার ৪

দর্শনা পারকৃষ্ণপুর মদনা ইউনিয়নের ছয়ঘরিয়া গ্রামের মাঠে ১০ বিঘা ১৫ কাঠা জমির প্রায় ১৯ লাখ টাকার ফলের গাছ ও ফসল কর্তন করেছে দুবৃর্ত্তরা।

এছাড়া ২০/২৫ জন এ হামলা করে ৩টি শ্যালোমেশিন ভাংচুর ও বাড়ি ঘরে হামলা করে এবং ১০ বিঘা ১৫ কাঠা জমির ফসল কর্তনের অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগী মাতয়ার রহমান। এসব ফসলের রয়েছে ৩বিঘা ফলন্ত পেঁপে গাছ, ৩বিঘা ফলন্ত পেঁয়ারা গাছ, ৩ বিঘা ভুট্টা ক্ষেত ও ১৫ কাঠা কলাই আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে দুবৃর্ত্তরা।

এসব ক্ষতি করার পরও দুবৃর্ত্তরা মতিয়ার রহমানের ৩টি শ্যালোমেশিন ভাংচুর ও বাড়িতে হামলা চালিয়েছে প্রতিপক্ষ। মতিয়ার রহমান জানান, প্রতিপক্ষের সাথে দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে মামলা চলছিলো। সে মামলায় বাড়াদী গ্রামের ওলি হোসেনের ছেলে মতিয়ার রহমান। তাদের পক্ষে রায় পেয়ে এসব ফসল বুনেছিলো। হঠাৎ গত রবিবার ভোরে ১০ বিঘা ১৫ কাঠা জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্থ করে।

এ ঘটনায় দর্শনা থানায় মতিয়ার রহমান বাদী হয়ে গত ২৭/১১/২০২৩ ইং একটি মামলা করে। যার মালা নং জিআর-১৭/২০২৩। গতকাল সোমবার ঘটনায় দর্শনা থানা পুলিশ ঝাঁঝাঁডাঙ্গা গ্রামের মৃত আজিমুদ্দিনের ছেলে আমানুল্লাহ (৩৫) ও তার ছোট ভাই আব্দুল্লাহ (৩০) এবং ছয়ঘরিয়া গ্রামের মৃত বাহার আলীর ছেলে জান মোহাম্মদ ওরফে জানু (৬০) ও জান মোহাম্মদ এর ছেলে রকিবুল হক (৩১) কে গ্রেফতার করে। ঐ দিনেই কোট থেকে ৪ জনই জামিন নিয়ে বাড়ি ফিরে আসে।

মতিয়ার রহমানের অভিযোগ জামিন পেয়ে পুণরায় গতকাল সোমবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে তার বাড়িতে হামলা করে। এতে দোলোয়ার হোসেন আহত হয়। দেলোয়ার হোসেনের মাথায় ৩টা ও নাকের উপর ১টি সেলাই হয়েছে। তবে জান মোহাম্মদ জানু ও তাদের লোকজন জানান, জমির মামলা এখনো নিস্পত্তি হয়নি। সে জোর করে ফসল, পেঁঁপে, কলাই ও পেঁয়ারা গাছ লাগিয়েছে। আমরা কোন ফসল কাটেনি।

জানাগেছে দর্শনা থানার পারকৃষ্ণপুর মদনা ইউনিয়নের ছয়ঘরিয়া গ্রামের ওলি আহম্মেদের ছেলে মতিয়ার ছয়ঘরিয়া মাঠে তিন বিঘা ফলন্ত পেয়ারা তিন বিঘা পেপে তিন বিঘা ভুট্রা মাশ কলাই ও ঝাল গত পরশু ভোরে একই ইউনিয়নের নাস্তিপুর গ্রামের পটলা গংসহ ২০/২৫ জন ধারালো অস্ত্র দিয়ে বাগানগুলো কেটে সাবাড় করে।বাগানের মালিক মতিয়ার খবর পেয়ে প্রানের ভয়ে যেতে না পেরে দর্শনা থানা পুলিশকে খবর দেয়।দর্শনা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে পালিয়ে যায় পটলা গং।

পরে মতিয়ার বাদি হয়ে থানায় এসে পটলাকে প্রধান আসামী করে ২০ জনের নামে থানায় মামলা করে।এ ঘটনায় মতিয়ার রহমান বাগান ও ফসল হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে।