ঝিনাইদহে ট্রাক-ঈগলের চ্যালেঞ্জের মুখে নৌকা

প্রচার প্রচারণা শেষ হয়ে গেলেও ভোটার এখন নির্বাচনে পাশ ফেলের চুল চেরা বিশ্লেষন নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। শহরের রাজনীতিবিদ, সূধী সমাজ থেকে শুরু করে গ্রামের শ্রমিক কৃষিজীবী মেহনতি মানুষে মধ্যে বইছে এখন নির্বাচনী হাওয়া। আগামী ৭ জানুয়ারী কে পরবেন বিজয়ের মালা। বিএনপি-নির্বাচনে অংশ না নিলেও সামাজিক ভাবে তাদের অনেকেই জড়িয়ে পড়েছেন এই নির্বাচনে। সেকারণে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঝিনাইদহের ৪টি আসনেই স্বতন্ত্র প্রর্থীদের চ্যালেঞ্জের মুখে রয়েছে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীরা।

ঝিনাইদহ ১এবং ২ আসন নৌকা রয়েছে তীব্র ঝুকিতে। এই দুই আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থীরা হলেন ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এবং বিশিষ্ট শিল্পপতি নজরুল ইসলাম দুলাল এবং নাসের শাহরিয়ার জাহেদী মহুল। তারা নৌকার দূর্গে শক্তকরে আঘাত হানছে। এছাড়া ঝিনাইদহ-৩ আসনেও নৌকা নির্ভার নয় এখানেও রয়েছে দুই বার নির্বাচিত এমপি ট্রাক প্রতিকের শফিকুল আজম চঞ্চল।

তবে ঝিনাইদহ-৪ আসনে নৌকা প্রতিকের প্রতিপক্ষ রয়েছে স্বতন্ত্র প্রার্থী ট্রাক প্রতিকের আব্দুর রশিদ খোকন। তিনি প্রয়াত এমপি আব্দুল মান্নানের ভাই হলেও নির্বাচনে অন্য তিন আসনের স্বতন্ত্রের থেকে কিছুটা পিছিয়ে রয়েছেন। তারপরেও নৌকা প্রতিকের প্রার্থী আনোয়ারুল আজিম আনারকে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বীতা করতে হবে।

ঝিনাইদহ-১(শৈলকুপা) আসন: জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নৌকার প্রার্থী আব্দুল হাই এমপিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে স্বতন্ত্র ট্রাক প্রতীকের প্রার্থী বিশ্বাস বিল্ডার্স এর চেয়ারম্যান তরুণ শিল্পপতি নজরুল ইসলাম দুলাল মাঠ কাপিয়ে বেড়াচ্ছে। ইতিমধ্যে আচরণ বিধি লংঘনের দায়ে একাধিক মামলা দিয়ে আব্দুল হাইকে নাজেহাল করে তুলেছে। ২০০১সাল থেকে পর পর ৪বার নির্বাচিত এই জনপ্রতিনিধি এবং সাবেক প্রাণী সম্পদ প্রতিমন্ত্রী এখন চরম শঙ্কার মধ্যে রয়েছে। এর আগে কখনো এমন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হয়নি তাকে। এই আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থীর ট্রাক প্রতিক নির্বাচিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে অনেকেই মনে করছেন।

এই আসনে অন্য আরও ৪জন প্রার্থী থাকলেও তারা কেউ সম্মান জনক ভোট পাবেন বলে ভোটাররা মনে করছেন না। তবে জাতীয় পার্টির মনিকা আলম এর লাঙ্গল প্রতীক কিছুটা প্রচার প্রচারণায় রয়েছে। এই আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ৩লাখ ৬হাজার ৩শত ৩৬জন এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১লাখ ৫৩হাজার ৫শত ৭৭জন এবং মহিলা ভোটার ১লাখ ৫২ হাজার ৭শত ৫৯জন।

ঝিনাইদহ-২ (ঝিনাইদহ সদর এবং হরিণাকুণ্ডু)ঃ আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী তাহ্জীব আলম সিদ্দিকীকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে শক্ত অবস্থানে মাঠে রয়েছে স্বতন্ত্র ঈগল প্রতিকের প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি ও রেডিয়েন্ট ফার্মাসিটিক্যালসের চেয়ারম্যান নাসের শাহরিয়ার জাহেদী মহুল। তিনি আওয়ামী লীগের একটি বৃহৎ অংশ এবং সাধারণ মানুষ নিয়ে গড়ে তুলেছেন নিজস্ব ভোট ব্যাংক। ২০১৪ এবং ২০১৮ সালে বিপুল ভোটে নির্বাচিত সংসদ সদস্য তাহজীব আলম সিদ্দিকী আওয়ামী লীগের বিরোধের শিকার হচ্ছে। দলের একটি বড় অংশ তার থেকে মুখ সরিয়ে নিয়েছে তবে শেষ সময়ে অনেকেই তার সাথে ফিরে এসেছে বলে তার কর্মী সমর্থকরা দাবি করছেন। ঝিনাইদহ সদর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকসহ সদরের বেশীর ভাগ চেয়ারম্যান এবং হরিণাকুণ্ডু উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতিসহ, যুবলীগের আহবায়ক, স্বেচ্ছাসেবক সাধারণ সম্পাদক, কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদকসহ অনেক নেতা কর্মী রয়েছে স্বতন্ত্র প্রাথূীর সাথে। তাছাড়া বিএনপি জামায়াতের একটি অংশও রয়েছে এই স্বতন্ত্র প্রার্থীর সাথে ফলে নির্বাচনে জয়ের ব্যাপারে তিনি অনেকটাই আশাবাদী। নির্বাচনের প্রচারণার শুরু থেকেই এই আসনে একাধিক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। তাই নির্বাচনের দিন উৎসবের পাশাপাশি ক্ষমতাসীনদের সহিংসতার সঙ্কায় রয়েছে এই আসনের সাধারণ ভোটাররা । আসনটি ১১জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতায় অংশ নিলেও নৌকা এবং ঈগলের মধ্যে মূল প্রতিদ্বন্দ্বীতা হবে। তবে তরুন প্রার্থী হিসেবে ডাব প্রতীকের নসির উদ্দীন এবং লাঙ্গলের মাহফুজুর রহমনের ব্যাপক প্রচার প্রচারণা হয়েছে।

এই আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ৪লাখ ৭৬হাজার ৩শত জন, এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২লাখ ৩৭ হাজার ৫শ ৩৩জন এবং মহিলা ভোটার ২লাখ ৩৮হাজার ৭শত ৬২জন।

ঝিনাইদহ-৩ (মহেশপুর- কোটচাঁদপুর) আসনঃ আওয়ামী লীগের নতুন প্রার্থীর চমক থাকলেও দলীয় বিভেদের কারনে মনোনীত প্রার্থীকে পড়তে হচ্ছে চ্যালেঞ্জের মুখে। এই আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকার প্রার্থী ক্লিন ইমেজ খ্যাত প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার সাবেক সামরিক সচিব মেজর জেনারেল (অবঃ) সালাউদ্দিন মিয়াজী এবং তার প্রতিন্দন্দ্বীতায় রয়েছে দলের আর এক নেতা জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য দুইবার নির্বাচিত সাংসদ শফিকুল আজম চঞ্চল। তিনি দীর্ঘদিন দলের তৃনমূলের রাজনীতি করে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগের নেতা বানিয়েছেন বিভিন্ন স্কুল কলেজের সভাপতি বানিয়ে অর্থনৈতিক এবং সামাজিক ভাবে মূল্যায়ন করেছে এখন তারা সবাই নৌকার বিরুদ্ধে যেয়ে চঞ্চলের পক্ষে কাজ করছেন। তবে গত কয়েকদিন আগে এই আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ঈগল প্রতিকের প্রার্থী আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক এমপি নবী নেওয়াজ শেখ হাসিনার নৌকা মার্কা এবং তার সমর্থীত সালাহ উদ্দীন মিয়াজীকে সমর্থন জানিয়ে তার প্রার্থীতা প্রত্যাহার করেছেন। এখন এই আসনে তিন জন প্রার্থী রয়েছে তবে নৌকা প্রতিকের সালাহ উদ্দীন মিয়াজির সাথে ট্রাক প্রতিকের প্রদিদ্বন্দ্বীতা হবে চরমে ভোট গণনার আগ পর্যন্ত বলা মুশকিল শেষ জয়ের হাসি কে আসবেন। এই আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী লাঙ্গল প্রতীকের সাংবাদিক আব্দুর রহমানের বেশ কিছু ভোট রয়েছে।

এই আসনে মোট ভোটারের সংখ্যা ৪লাখ ৩হাজার ২শত ২৪জন এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২লাখ ৩হাজার ৯শত ৪৪জন এবং মহিলা ভোটার ১লাখ ৯৯ হাজার ২শত ৭৭জন।

ঝিনাইদহ-৪ (কালীগঞ্জ এবং ঝিনাইদহ সদরের ৪টি ইউনিয়ন) আসনঃ প্রতিন্দন্দ্বীতায় রয়েছে ৫জন প্রার্থী। এদের মধ্যে মুল প্রতিন্দন্দ্বীতা হবে আওয়ামী লীগ মনোনীত বর্তমান এমপি আনোয়ারুল আজীম আনার এর নৌকা প্রতিকের সাথে স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুর রশিদ খোকনের ট্রাক প্রতিকের। এই আসনে অন্য প্রার্থীদের প্রচার প্রচারণা চোখে পড়ার মতো নয়। তবে আগামী ৭ তারিখে দেখা যাবে কে জয়ের হাসি হাসেন।

এই আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ৩লাখ ১৫ হাজার ৬শত ২০জন এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১লাখ ৫৯হাজার ৬শ ১৬জন এবং মহিলা ভোটার ১লাখ ৫৬ হাজার।

উল্লেখ ঝিনাইদহের ৪টি আসনে নির্বাচনে প্রতিন্দ্বন্দীতায় রয়েছে ২৬ জন প্রার্থী। জেলায় মোট ভোটারের সংখ্যা ১৫লাখ ১হাজার ৪শত ৮০জন এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৭লাখ ৫৪হাজার ৬শত ৭০ জন এবং মহিলা ভোটার ৭লাখ ৪৬হাজার ৭শত ৯৮জন। ৫৮৫টি ভোট কেন্দ্রের ৩৪২১টি বুথের মাধ্যমে ভোটারদের ভোট গ্রহন করা হবে। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ মোতাবেক আগামী ৭জানুয়ারী রবিবার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীন ভাবে এই ভোট গ্রহন চলবে এবং তা গণনা শেষে ভোট কেন্দ্রেই ফলাফল ঘোষণা দিয়ে আসতে হবে।




‘আমি হার মানতে শিখিনি’- কঙ্গনা রানাওয়াত

নিজের অভিনয় দিয়ে দীর্ঘদিন বলিউড দাপিয়ে বেড়িয়েছেন অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াত। পাশাপাশি ক্যারিয়ার শুরুর পর থেকে বিভিন্ন বিষয়ে মন্তব্য করে নিয়মিতই থাকছেন নেতিবাচক আলোচনায়। তবে বেশ কয়েক বছর ধরে কাজ নিয়ে শিরোনামে আসতে পারছেন না।

একের পর সিনেমার ব্যর্থতায় রীতিমতো হতাশ হয়ে পড়েছেন তিনি। যে কারণে একাধিক সময় মন্দিরে পূজো দিতেও দেখা গেছে তাকে। এমনকি কয়েক মাস আগে অভিনয় ছেড়ে রাজনীতির মাঠে নামছেন কঙ্গনা—এমন সংবাদও প্রকাশ করেছিল ভারতীয় বেশকিছু গণমাধ্যম। বিষয়টি নিজের কাজের মাধ্যমে পরোক্ষভাবে স্বীকারও করেছেন তিনি।

যদিও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা এখন পর্যন্ত দেননি এই অভিনেত্রী। তবে এবার সেই আলোচনা-সমালোচনাকে পেছনে ফেলে নতুন সিনেমা নিয়ে আসছেন কঙ্গনা। কিন্তু সেখানেও সমালোচনা পিছু ছাড়ছে না। আবারও ব্যর্থ সিনেমার তালিকা লম্বা করতে যাচ্ছেন তিনি। অভিনয় থেকে বিদায় নেওয়ার সময় হয়েছে।—এমন মন্তব্য ধেয়ে আসছে তার দিকে।

জানা গেছে, ৫ জানুয়ারি ওটিটিতে মুক্তি পাচ্ছে কঙ্গনার তেজা সিনেমাটি। তবে প্রায় কাছাকাছি সময়ে বক্স অফিস কাঁপানো অ্যানিমেল সিনেমাটি ওটিটিতে মুক্তির কথা রয়েছে। শুধু তাই নয়, চলতি মাসেই প্রেক্ষাগৃহ এবং ওটিটিতে মুক্তি পাবে মেরি ক্রিসমাস, ফাইটার, ইন্ডিয়ান পুলিশ ফোর্সসহ বেশ কয়েকটি সিনেমা। এই সিনেমাগুলোর ভিড়েই তেজা হারিয়ে যাবে বলে মনে করছেন নেটিজেনরা। যদিও কঙ্গনা বলেন, ‘আমি হার মানতে শিখিনি। নিজের মেধা-যোগ্যতা দিয়েই অবস্থান তৈরি করেছি। তেজা দিয়ে আবারও সেটাই প্রমাণিত হবে।’




গাংনীতে নৌকা ও ট্রাক-প্রতীকের কর্মী সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা

মেহেরপুর ২ আসন গাংনী উপজেলা শহরে প্রচারণা নিয়ে তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে দু পক্ষের মধ্যে। নির্বাচনী আচরণবিধিমালা লংঘণ করে নৌকার প্রচার করায় প্রতিবাদ জানায় স্বতন্ত্র প্রার্থী ট্রাক প্রতীকের কর্মী সমর্থকরা। এই নিয়ে দু পক্ষের মুখোমুখি অবস্থান নিলে সংঘর্ষের আশঙ্কা দেখা যায়। উভয়পক্ষের মধ্যে বাক বিতন্ডতা ও মার মুখী অবস্থানের কারণে সেখানে জড়ো হতে থাকে ও দুই গ্রুপের নেতাকর্মীরা। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।

গাংনী উপজেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি মনিরুজ্জামান মনির অভিযোগ, গাংনী পৌরসভার সাবেক মেয়র আশরাফুল ইসলাম তার মাইক্রোবাসে নৌকা প্রতীকের ফেস্টুন নিয়ে প্রচারণা করছিলেন। প্রচার প্রচারণা বন্ধের সময় পেরিয়ে গেছে তাই বাধা দেওয়া হয়। ‌ এতে সাবেক মেয়র আশরাফুল ইসলাম আমাদের উপর আক্রমণ করে।

এদিকে সাবেক মেয়র আশরাফুল ইসলাম জানিয়েছেন, তিনি একটি জানাজা নামাজে অংশ নিতে গিয়েছিলেন। গাড়িতে যে ফেস্টুন বাধা ছিল তা স্মরণ ছিল না। শ্রমিকলীগ নেতা মনিসহ অন্যরা এসে বাধা দেয়। আমি বলেছি যে সরকারি রিটার্নিং কর্মকর্তা এসে যা করার করবেন তোমরা বাধা দেয়ার কারা। এরে তারা আমার উপরে আক্রমণ করে।

গাংনী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি তাজুল ইসলাম বলেন, দুপক্ষকে ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণ। যেকোনো প্রকার বিশৃঙ্খলা মোকাবেলায় কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।




কম্পিউটারে সেফ মোডের কাজ

অনেক সময় আপনার কম্পিউটার বা ল্যাপটপের উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম স্বাভাবিকভাবে চালু নাও হতে পারে। তখন প্রায়শই সেফ মোড চালু হয়। কিন্তু এই সেফমোড কি? সহজ ভাষায়, এটি উইন্ডোজের বিশেষ ব্যবস্থা। পিসিতে কোনো ঝামেলা হলেও অনেক সময় ন্যুনতম প্রস্তুতি হিসেবে সিস্টেম চালু করতেই হয়। আর তখন সেফ মোড আপনাকে নিস্তার দেবে।

সেফ মোডের পরে স্বাভাবিকভাবে কম্পিউটার চল হয় কিনা, তা পরীক্ষা করতে হবে। যদি দেখুন বারবারেও তা কাজ করছে না তখন বুঝতে হবে গোঁড়ায় গলদ আছেই। উইন্ডোজের কোনো অতীব জরুরি ফাইলের ক্ষতি বা হার্ডওয়্যারের সমস্যার কারণেও এমনটা হতে পারে। নতুন কোনো হার্ডওয়্যার সেটিংস পরিবর্তনের ফলে যদি উইন্ডোজ বারবার সেফ মোডে চলে যায়, তাহলে আগের সেটিংস রিভার্স করে নেওয়াই হবে সহজ সমাধান। উইন্ডোজের সেফ মোডকে ডায়াগনস্টিক মোড বলা হয়।

উইন্ডোজ চালু হওয়ার সময় F8 কি প্রেস করলে যে মেন্যু আসে; সেখান থেকে সেফ মোড চালু করা যাবে। যেহেতু এটি ডায়াগনস্টিক মোড, তাই এমন মোডে বাড়তি কোনো কিছু, যেমন– হাই কালার ডিসপ্লে, সাউন্ড, প্রিন্টার তেমন কিছুই কাজ করবে না।

সূত্র: বিবুম




লিড নেওয়ার পরও করুণ অবস্থা পাকিস্তানের

সিডনি টেস্ট নিজেদের প্রথম ইনিংসে ৩১৩ রানে অলআউট হয় পাকিস্তান। জবাবে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ২৯৯ রানে অলআউট হয় অস্ট্রেলিয়া। ১৪ রানের লিড পায় পাকিস্তান। তবে লিড নেওয়ার পরও স্বস্তিতে নেই সফরকারীরা। ১৪ এগিয়ে থেকে ব্যাট করতে নেমে ৬৮ রান সংগ্রহ করতেই ৭ উইকেট হারিয়ে তৃতীয় দিন শেষ করে পাকিস্তান।

পাকিস্তানের ৩১৩ রানের জবাবে মার্নাস লেবুশানে ও মিচেল মার্শের ফিফটিতে ভর করে ২৯৯ রান সংগ্রহ করে অস্ট্রেলিয়া। লেবুশানে ১৪৭ বলে ৬০ ও মার্শ ১১৩ বলে করেন ৫৪ রান। পাকিস্তানের পক্ষে আমের জামাল নেন ৬টি উইকেট।

১৪ রানের লিড নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় পাকিস্তান। দলীয় ১ রানে জোড়া উইকেট হারায় তারা। এরপর সায়েম আয়ুব ও বাবর আজম মিলে শুরু ধাক্কা সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন।

৫৭ রানের জুটি গড়েন এই দুই ব্যাটার। তবে দলীয় ৫৮ রানে ৫৩ বলে ৩৩ রান করে সাজঘরে ফিরে যান সায়েম। এরপর ৯ রানের মধ্যে আরও ৪ উইকেট হারিয়ে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে পাকিস্তান।

শেষ পর্যন্ত ২৬ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ৬৮ রান সংগ্রহ করে দিন শেষ করে সফরকারীরা। ৮২ রানের লিড পেয়েছে পাকিস্তান। অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে জস হ্যাজেলউড নেন ৪টি উইকেট।

সূত্র: ইত্তেফাক




মেহেরপুর-১ আসনে অনিশ্চয়তায় নৌকা

মেহেরপুর-১ সংসদীয় আসন ৭৩ মেহেরপুর সদর ও মুজিবনগর উপজেলা নিয়ে গঠিত। আাগমী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন। বাকি মাত্র এক দিন। আজ সকাল ৮টায় শেষ হয়েছে প্রচারণা।

গতকাল শক্তিশালী দুই প্রার্থীই শেষ শোডাউনের মধ্যে দিয়ে জানান দিয়েছে লড়াইয়ের বার্তা। এই আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৩৭ জন। এরমধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৪৯ হাজার ৫৫৬ জন এবং নারী ভোটার ১ লাখ ৫০ হাজার ৪৮১ জন। ভোট কেন্দ্রের মোট সংখ্যা ১১৭ টি। এই আসনে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে মূলত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী বর্তমান জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন এবং ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও সাবেক সংসদ সদস্য প্রফেসর আব্দুল মান্নানের মধ্যে। নির্বাচনী প্রচারণার খবর সংগ্রহের মাঝে ভোটকেন্দ্র ভিত্তিক জনমত জরিপে স্থানীয় ভোটার, ব্যবসায়ী ও বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের সাথে কথা বলে জানতে পারা গেছে এই আসনে কেন্দ্র ভিত্তিক অনুমিত ফলাফলে কোথাও নৌকা প্রতীক, কোথাও বা ট্রাক প্রতীক এগিয়ে। আবার কিছু জায়গা আছে যেখানে নৌকা ও ট্রাকের মধ্যে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে।

তবে এই আসনে প্রচারণার ক্ষেত্রে প্রার্থী ও তাদের সমর্থকরা একে অপরের প্রতি ক্রমাগত বিষোদগার ও চরিত্রহন করেছেন। এতে ভোটের দিন কয়েক জায়গায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে ভোটারদের মধ্যে। মেহেরপুর পৌর এলাকায় মোট ১৩ টি ভোটকেন্দ্র রয়েছে। এর মধ্যে জনমত জরিপে নৌকা প্রতীকের ৩ টি ভোট কেন্দ্রে এগিয়ে থাকার বিপরীতে ট্রাক প্রতীক এগিয়ে রয়েছে ৮ টি ভোট কেন্দ্রে। হাড্ডা হাড্ডি লড়াই এর আভাস পাওয়া গেছে ২ টি কেন্দ্রে ।

একইভাবে কুতুবপুর ইউনিয়নের ১৪ টি ভোটকেন্দ্রে দেখা গেছে নৌকা প্রতীক এগিয়ে রয়েছে ৩ টি ভোটকেন্দ্রে অপরদিকে ট্রাক প্রতীক এগিয়ে ৫ টি ভোটকেন্দ্রে তবে হাড্ডা হাড্ডি লড়াইয়ের আভাস পাওয়া গেছে ৬ টি ভোট কেন্দ্রে।
বুড়িপোতা ইউনিয়নের ১২ টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে সমানসংখ্যক চারটি করে ভোট কেন্দ্রে এগিয়ে আছে নৌকা ও ট্রাক প্রতীক। বাকি চারটি কেন্দ্রে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে।

শ্যামপুর ইউনিয়নের ৯ টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে দুইটি ভোট কেন্দ্রে প্রতিদ্বন্দ্বীদের আভাস পেলেও বাকিগুলোতে ট্রাক প্রতিকের প্রার্থী এগিয়ে রয়েছেন। আমঝুপি ইউনিয়নের ১২ টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে ১ টিতে নৌকা পাঁচটিতে ট্রাক এগিয়ে তবে এখানে ছয়টি কেন্দ্রে দুই প্রতীকের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে ।

আমদহ ইউনিয়নের ৯ টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে ৪টি কেন্দ্রে নৌকা, ২ টি কেন্দ্রে ট্রাক এবং প্রতিদ্বন্ধিতার আভাস পাওয়া গেছে ৩ টি কেন্দ্রে।
পিরোজপুর ইউনিয়নের ৯ টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে ১ টি কেন্দ্রে নৌকা ও ২ টি কেন্দ্রের ট্রাক প্রতীক নির্ভার হলেও, বাকি ৬ কেন্দ্রে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে বলে আভাস পাওয়া গেছে।

বারাদি ইউনিয়নেরম ৯ টি ভোট কেন্দ্রের ১ টি তে প্রাক প্রতিক এগিয়ে থাকলেও বাকি ৮ টি কেন্দ্রেই তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে।
মুজিবনগর উপজেলার দারিয়াপুর ইউনিয়নে ৬ টি ভোট কেন্দ্রের জনমত জরিপে ৪ টিতে ট্রাক এগিয়ে আছে প্রতিদ্বন্দিতার আভাস পাওয়া গেছে বাকি দুইটি ভোটকেন্দ্রে।

মোনাখালি ইউনিয়নের ৭ টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে পাঁচটিতে ট্রাক প্রতীক এবং ১ টিতে নৌকা প্রতীক এগিয়ে আছে, প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে একটি ভোট কেন্দ্রের ভোটারদের। বাগোয়ান ইউনিয়ন পরিষদের ১২ টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে নৌকা প্রতীক এগিয়ে আছে ৩ টি কেন্দ্রে, ৬ টি কেন্দ্রে ট্রাক এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে ৩ টি কেন্দ্রে।

মহাজনপুর ইউনিয়নের ৫ টি কেন্দ্রের মধ্যে ২ টি কেন্দ্রে এগিয়ে রয়েছে নৌকা, ১ টিতে ট্রাক। আর ২টি কেন্দ্রে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে তীব্র।
তবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ী হবেন বলে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ফরহাদ হোসেন ও ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী প্রফেসর আব্দুল মান্নান উভয়েই আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। একসাথে তারা দু’জন ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে আসার জন্য উৎসাহ প্রদান করে যাচ্ছেন।
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সম্পর্কে মেহেরপুর জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আহসান খান বলেন, ‘এখন পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।

মেহেরপুর-১ সংসদীয় আসনের ১১৭ টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে মোট ২০ টি কেন্দ্রকে আমরা ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছি। ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলোর জন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।




বারাদী ইউপি চেয়ারম্যান মমিনসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ

মেহেরপুর সদর উপজেলার বারাদী ইউপি চেয়ারম্যান মমিনুল ইসলাম মসিনসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে সাধারণ ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে উপস্থিত না হওয়ার জন্য হুমকি প্রদান করে আতংক সৃষ্টি করার অভিযোগ করেছেন মোঃ সালেহ আল আজিজ টনিক বিশ্বাস।

বিষয়টি নিয়ে তিনি মেহেরপুর জেলা প্রশাসক জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে অভিযোগ করেছেন।

গত ৩ জানুয়ারি বুধবার মেহেরপুর জেলা প্রশাসক ও জেলার রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ পত্রটি দাখিল করেন। অভিযোগ পত্রটি অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট গ্রহণ করেছেন। যার ডকেট নম্বর ১৭৫, তারিখ ৩ জানুয়ারি।

লিখিত অভিযোগে বলা হয়েছে, তিনি সতন্ত্র প্রার্থী প্রফেসর আবদুল মান্নানের (ট্রাক প্রতীকের) ০৭ নম্বর বারাদী ইউনিয়নের নির্বাচন পরিচালানা কমিটির আহবায়ক। ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে নৌকার প্রতীকের পক্ষের নেতা ও মেম্বার গণ সাধারণ ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে উপস্থিত না হওয়ার জন্য হুমকি দিয়ে পুরা এলাকায় আতংক সৃষ্টি করে ফেলেছে।

লিখিত অভিযোগে তিনি অভিযুক্ত করেছেন, মোমিন চেয়ারম্যান সহ পাটকেলপোতা গ্রামের মোঃ রানা, রাজনগর ১ নম্বর ওয়ার্ডের মোঃ মুক্তি, রাজনগর শেখপাড়ার ওলিল ও শফি মেম্বার, আইনাল, হাসানাবাদ কলোনীর মামুন ও রবিন, মোমিনপুরের কালু মেম্বার, সিংহাটি পশ্চিমপাড়ার মোঃ সিদ্দিক ও কামাল, নতুন দরবেশপুরের মোঃ জাকির হোসেন লিটন মেম্বার এবং সিংহাটি পূর্বপাড়ার সুলতান মেম্বরকে। লিখিত অভিযোগে তিনি অনুরোধ করেন ভোট কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি বাড়ানো ও আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সমুন্নত রাখতে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য।

টনিক বিশ্বাস অভিযোগ করে বলেন, অভিযোগ দাখিল ২৪ ঘন্টা পার হয়ে গেলেও তার অভিযোগের প্রেক্ষিতে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। তাই বাধ্য হয়ে তিনি নিজেই অভিযোগের অনুলিপি জেলা পরিষদ, পুলিশ সুপারের কার্যালয় ও গোয়েন্দা সংস্থায় দিয়ে এসেছেন।




ঝিনাদহের আঃ রউফ ডিগ্রি কলেজে পিএইচডি’র প্রি-সেমিনার অনুষ্ঠিত

ঝিনাইদহের আব্দুর রউফ ডিগ্রি কলেজে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের প্রস্তুতি মূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে কলেজের শেখ রাসেল কমপিউটার ল্যাবে এই সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

প্রাথমিক শিক্ষা ও মেধাবী শিক্ষকদের চাকুরী জীবনে অসন্তোষ ও তা সমাধানের উপায় সম্পর্কিত মূল পবন্ধ উপস্থাপন করেণ এমফিল ফেলো সুকান্ত বিশ্বাস। তিনি আগামী ৯ জানুয়ারি পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাপনী সেমিনার উপস্থাপন করবেন। সুকান্ত বিশ্বাস মেধাবী ও উচ্চ ডিগ্রিধারী হরিণাকুণ্ডুর সোনাতনপুর সরকারী প্রথমিক বিদ্যালয়ের একজন সহকারী শিক্ষক।

সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন আব্দুর রউফ ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ জে.এম রবিউল ইসলাম, ঝিনাইদহ সরকারি নুরন্নেহার মহিলা কলেজের সাবেক উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক বিমল চন্দ্র বিশ্বাস, শৈলকুপা সিটি ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ (ভারঃ) নাজমুন নাহার, হাজী আরশাদ আলী কলেজের অধ্যক্ষ (ভারঃ) জাকির হোসেন, আব্দুর রউফ ডিগ্রি কলেজের উপাধ্যক্ষ বিবেকানন্দ তরফদার, সহকারী অধ্যাপক ড.সাঈদ মোহাম্মদ ইকবাল. প্রভাষক শাহানুর আলম এবং আব্দুস সামাদসহ বিভিন্ন কলেজের বিশেষজ্ঞ শিক্ষক মন্ডলী।




আলমডাঙ্গায় স্মরণকালের নৌকা প্রতীকের বিশাল নির্বাচনী জনসভা

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের আওয়ামীলীগের মনোনীত নৌকার প্রার্থী সোলায়মান হক জোয়ার্দার ছেলুনের এক বিশাল নির্বাচনী জনসভা অনুষ্টিত হয়েছে। আজ বিকেলে আলমডাঙ্গা ফুটবল মাঠে এ নির্বাচনী জনসভা অনুষ্ঠিত হয়।

নির্বাচনী জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নৌকার প্রার্থী জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন।

আলমডাঙ্গা উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আবু মুছার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক যুগ্নসাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম টোটন জোয়ার্দ্দার, জেলা জাসদের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা এম সবেদ আলী, সাবেক জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি আব্দুর রশিদ মোল্লা, প্রশান্ত অধিকারী, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মুন্সি আলমঙ্গীর হান্নান, মাসুদুজ্জামান লিটু বিশ্বাস, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম খান, কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের আইন উপ-কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট হামিদুল ইসলাম হামিদ, কেন্দ্রীয় কৃষকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল ইসলাম পানু, হারদি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম নুরু, জেলা যুবলীগের আহবায়ক নঈম হাসান জোয়ার্দ্দার।

জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ছেলুন জোয়ার্দ্দার বলেন,আমি মনে করে ছিলাম ছোটখাটো একটা জনসভা হবে। কিন্তু এতো মানুষ আমি রাস্তা দিয়ে আসতে পারি নাই। রাস্তায় শুধু মানুষ আর মানুষ। মুন্সিগঞ্জ ঘুরে বন্ডবিল হয়ে এসেছি। এখন রাস্তায় মানুষ আর মানুষ। আলমডাঙ্গাবাসী আজ প্রমাণ করেছে বঙ্গবন্ধুর সৈনিকরা এখন মরে নাই। যে কোন অশুভ শক্তির মোকাবেলা করার ক্ষমতা বঙ্গবন্ধুর সৈনিকের রাখে।

আজকে কত লোক নমিনেশনের আগে বলেছিল নমিনেশন যে পাবে, তার ভোট করবে। ওরা হচ্ছে পাকা চিটার।

তিনি বলেন, আজকে কে কি করলো আমাদের ভাবার দরকার নেই। বঙ্গবন্ধুর সৈনিক হিসেবে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ যুবলীগ,ছাত্রলীগসহ যত সহযোগি সংগঠন আছে,সকল নেতাকর্মিদের বলবো,আজকে আলমডাঙ্গার এই মাঠে আম জনতা একত্রিত হয়েছে। কয়দিন আগে এখানে একটা সভা করে ভাব নিচ্ছিল এর উপর আর বড় সভা হয় না। মিয়ারা ভোটের পরে টের পাবা। আজকে মানুষের ভেতরে যে স্বতস্ফুর্ততা বিরাজ করছে, এটা দেখেও কি বোঝো না? আজকে আমি শুধু বলবো,বাংলাদেশে শেখ হাসিনার কোন বিকল্প নেই। শেখ হাসিনা শেখ হাসিনাই।

এই মাঠটি দখল হয়ে গিয়েছিল। সেই মাঠ ভেঙ্গেচুরে গোডাউন সরিয়ে স্টেডিয়াম নির্মাণ হচ্ছে। কে করেছে? এটা শেখ হাসিনা করেছে। শেখ হাসিনার নেয়ামত এটা। প্রত্যেকটা গ্রামীণ সড়ক, ইউনিয়ন থেকে ইউনিয়ন কোনটাই কাঁচা নেই। প্রত্যেক ইউনিয়নে কমিউনিটি ক্লিনিক করে দেওয়া হয়েছে। সেখানে বিনা পয়সায় মানুষ স্বাস্থ্য সেবা পাচ্ছে, মা বোনেরা এখানে উপস্থিত আছেন,আপনারা জানেন শেখ হাসিনা ৫১ রকম ভাতা দিচ্ছে।শেখ হাসিনা না থাকলে কে দেবে? কেউ দেবে না। ভাতা বন্ধ করে দেবে।

কমিউনিটি ক্লিনিক ৯৬ সালে শেখ হাসিনা করেছিল। বিএনপি ক্ষমতায় এসে তা বন্ধ করে দেয়। এই হলো বিএনপির আসল রুপ। ওরা আগুন ধরায়, রেল পোড়ায়,বাস পোড়ায়,গাড়ি পোড়ায়। বিএনপি হলো আগুন সন্ত্রাসী। ওইসব আগুন সন্ত্রাসীদের থেকে আপনাদের সাবধান থাকতে হবে। ওরা দেশের মঙ্গল চাই না।
সুতরাং আপনারা, মা-বোনেরা সকাল সকাল ভোট কেন্দ্র গিয়ে নৌকায় ভোট দিবেন। আমি আবারও শেখ হাসিনার সালাম পৌঁছে দিয়ে নৌকায় ভোট চেয়ে গেলাম।

নির্বাচনি জনসভায় আলমডাঙ্গা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ইয়াকুব আলী মাস্টারে সঞ্চালনায় আরো উপস্থিত ছিলেন আলমডাঙ্গা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সহ-সভাপতি মজিবর রহমান, কাজী খালেদুর রহমান অরুন, ঠান্টু রহমান, লিয়াকত আলী লিপু মোল্লা,পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সাইফুর রহমান পিন্টু, আলমডাঙ্গা পৌর আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, গাংনী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আবু তাহের, জেলা মৎস্যজীবী লীগের সভাপতি সাহাবুল হক, কুমারী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ও চেয়ারম্যান আবু সাইদ পিন্টু, হারদি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ও চেয়ারম্যান আশিকুজ্জামান ওল্টু, খাদেমপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ও চেয়ারম্যান মোজাহিদুর রহমান লোটাস জোয়ার্দ্দার, ডাউকি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক তরিকুল ইসলাম, বেলগাছি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসান চঞ্চল, জেহালা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি হাসানুজ্জামান হান্নান, নাগদাহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এজাজ ইমতিয়াজ বিপুল জোয়ার্দ্দার, বাড়াদি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মকবুল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম লাল্টু, ভাঙবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সোহানুর রহমান সোহান, আলমডাঙ্গা উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক সোনাহার মন্ডল, যুগ্নআহবায়ক তাফসির আহম্মেদ মল্লিক লাল, জেহালা ইউনিয়ন যুবলীগের আহবায়ক ও চেয়ারম্যান মকলেছুর রহমান সিলন, সদস্য মনিরুজ্জামান হিটু, পৌর যুবলীগের আহবায়ক আশাদুল হক ডিটু, যুগ্নআহবায়ক জাহিদুল ইসলাম, যুবলীগ নেতা পাপন, শাহিন রেজা, আলমডাঙ্গা সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি আশরাফুল ইসলাম, তমাল, বাদশা, রাকিব আহম্মেদ রকি, আব্দুল্লাহ আল সাকিব।




চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী রাজ্জাক খানের নির্বাচনী জনসভা

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৭৯ চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে নির্বাচনী সমাবেশে করেছেন চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের অর্থ ও পরিকল্পনা বিষয়ক উপকমিটির সদস্য মিনিস্টার মাইওয়ান গ্রুপের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব এম.এ রাজ্জাক খান রাজ সিআইপি।

আজ বৃহস্পতিবার বিকালে আলমডাঙ্গার জেহালা ইউনিয়নের মুন্সীগঞ্জ একাডেমী ফুটবল মাঠে হাজার হাজার জনতার উপস্থিতিতে সমাবেশে এ সময় গণজোয়ার সৃষ্টি হয়। বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ ও সাধারণ ভোটারদের উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো ছিলো, ফ্রিজ মার্কার মুহু মুহু স্লোগানে জয়জয়কার হয়ে যায়। শেষ নির্বাচনী প্রচারণায় পরিচালনা জনসভায় বক্তারা ফ্রিজ মার্কার প্রতি জনতার এই স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতি দেখে উল্লোসিত হন।

তারা সমগ্র উপস্থিতিকে সালাম শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা জানান, এবং সকলের প্রতি ফ্রিজ মার্কায় ভোট দেওয়ার আহবান জানান। আলমডাঙ্গা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন আলহাজ্ব এম.এ রাজ্জাক খান রাজ সিআইপি এ সময় তিনি হাজার হাজার জনতার উদ্দেশ্যে বলেন এবারের নির্বাচন স্বাধীনতা রক্ষার নির্বাচন এবারের নির্বাচন শেখ হাসিনাকে জয় করার নির্বাচন, তিনি আরো বলেন, চুয়াডাঙ্গার সামগ্রিক উন্নয়নে একজন যোগ্য প্রার্থী নির্বাচন করা আপনাদের নৈতিক অধিকার। সেই কারনে আপনারা অবশ্যই একটি যোগ্য প্রার্থী নির্বাচনে মনোনিবেশ করবেন এবং ৭ জানুয়ারী রবিবার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে উংসব মুখর পরিবেশে আপনার পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেবেন সেই ক্ষেত্রে ফ্রিজ প্রতীকে ভোট দিতে ভুল করবেন না। আপনাদের প্রতি বিনয়ের সাথে বলছি আমি আপনাদের সাথে ছিলাম আছি এবং থাকবো, সেবার মহিমা নিয়ে আগামী দিনে পথ চলবো, আপনাদের দাবি এবং অধিকারের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আমি আরো বলতে চাই আমি এই এলাকার সন্তান হিসেবে আগামীর রাজনীতিতে পরিবর্তন চাই এবং জনকল্যাণ মূলক কাজের সাথে থাকতে চাই আমাকে দোয়া করবেন এবং ফ্রিজ মার্কায় ভোট দিবেন।

এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক আহ্বায়ক ও সাবেক পৌর মেয়র ওবাইদুর রহমান চৌধুরী জিপু তিনি জনতার উদ্দেশ্যে বলেন, আমাদের প্রার্থী ধর্ম প্ররায়ণ ন্যায় পরায়ণ সৎ এবং সাদা মনের মানুষ আপনারা অবশ্যই এই প্রার্থীকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করবেন। আপনারা নির্ভয়ে ভোটকেন্দ্রে যাবেন ও ফ্রিজ মার্কায় নির্ভয়ে ভোট দিবেন।

এ সময় রাজ্জাক খানের সহধমিণী দিলরুবা তনু বলেন, রাজ্জাক খান আপনাদের গর্বিত সন্তান তিনি আপনাদের দীর্ঘ দীন সেবা করে যাচ্ছেন পাশাপাশি এই এলাকার সকল ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে সাহায্যের হাত প্রসারিত করেছেন, তিনি আগামীতে আরো সেবা করার জন্য আপনাদের পাশে এসেছেন এবং আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ফ্রিজ মার্কায় ভোট করছেন। যে কারনে আপনারা অবশ্যই এম.এ রাজ্জাক খান রাজের পক্ষে রায় দিবেন এবং তার বিজয়কে সুনিশ্চিত করবেন।

বিশেষ অতিথি চুয়াডাঙ্গা জেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিটের সাবেক কমান্ডার আবু হোসেন বলেন চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে আলমডাঙ্গা উপজেলায় ১হাজার ৩শত মুক্তিযোদ্ধা আছে যারা আজকে স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা এম.এ রাজ্জাক খান রাজকে সমর্থন করছে এবং তাকে জয়যুক্ত করতে কাজ করে যাচ্ছেন, সুতরাং আসুন সকলেই আমার ফ্রিজ মার্কায় ভোট দিয়ে স্বত্রর প্রার্থী আলহাজ্ব রাজ্জাক খান রাজকে জয়যুক্ত করি।

এ সময় চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের আওয়ামী লীগ যুবলীগ ছাত্রলীগ স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মীরা তাদের বক্তব্য বলেন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আসুন আমারা এক মঞ্চে আছি এবং ঐক্যবদ্ধ হয়ে সৎ প্রার্থী ফ্রিজ মার্কার পক্ষে জণজোয়ার তুলি, ৭ তারিখে সারাদিন ফ্রিজ মার্কায় ভোট দিন নির্ভয়ে।

উপস্থিত ছিলেন রাজ্জাক খানের পুত্র আল-আকসা তানজিম খান চুয়াডাঙ্গা জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি সৈয়দ ফরিদ আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান হাফিজ, চুয়াডাঙ্গা জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও জেলা যুবলীগের সদস্য শরিফ হোসেন দুদু, বাড়াদী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান মনি, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জানিফ, ছাত্রলীগ নেতা জাকির হোসেন জ্যাকি, স্বেচ্ছাসেবক লীগের চুয়াডাঙ্গা সদর শাখার সভাপতি জুয়েল রানা, সাধারণ সম্পাদক ও পৌর কাউন্সিলর মাফিজুর রহমান মাফি, ছাত্রলীগ নেতা সজল আহমেদ, মুফতি আব্দুল্লাহ, আবুল কালাম, নুরুল ইসলাম, মোস্তফা খান, রবজেল আলী, ফয়ছাল, বাদশা, টুটুল, উজ্জল বিশ্বাস, মিলন, ফারুখ, সোহেল, সাজ্জাত, শুকুর আলী, জীবন আহমেদ শামীম, ফয়সাল বিশ্বাস অন্তর, আরিফ, রাব্বী,জিহাদ, শেখ গোলাম মস্তফা শওকত, বীর মুক্তিযোদ্ধা হাফিজুর রহমান প্রমুখ।