চুয়াডাঙ্গায় নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন জাতীয় পার্টির দুই প্রার্থী

চুয়াডাঙ্গার দুটি আসনে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষনা দিয়েছেন জাতীয় পার্টির দুই প্রার্থী। গতকাল বুধবার দুপুরে জেলা আইনজীবী সমিতি কাযালয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষনা দেন তারা।

এর মধ্যে চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের মনোনীত প্রার্থী অ্যাড. সোহরাব হোসেন ও চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের প্রার্থী অ্যাড. রবিউল ইসলাম সংবাদ সম্মেলনের নির্বাচন বর্জনের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

দলীয় সিদ্ধান্তহীনতাকে দায়ী করে প্রার্থীরা বলেন, দলের চেয়ারমান ও মহাসচিব নির্বাচন সংক্রান্ত বিষয়ে একের পর এক সিদ্ধান্ত পরিবর্তন এবং প্রার্থীদের সাথে বৈরীতা অসহযোগীতা ও যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রাখার কারণে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

তারা আরও বলেন, ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগের কাছ থেকে তারা ইচ্ছামত সুবিধা জাতীয় পাার্টির প্রার্থীদেরকে ভোটারদের কাছে হেয় প্রতিপন্ন ও নিন্দিত করছে। একইসাথে অর্থনৈতিক দুরাবস্থার ও কেন্দ্র নেতাদের অসহযোগিতার কারণে বাধ্য হয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালাম।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে জাপা প্রার্থী অ্যাড. সোহরাব হোসেন বলেন, জাতীয় পার্টির ভোটারদের কোন বিধি নিষেধ নেই। তারা পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারেন। জাপার প্রার্থীদের ভোট বর্জনের ঘটনা নির্বাচনে কোন প্রভাব পড়বে না।




চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের উদ্যোগে শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সিসি ক্যামেরা স্থাপন

চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের উদ্যোগ শহরের গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা সমূহে ও ভবনে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা (সিসি ক্যামেরা) স্থাপন পূর্বক বারোটার সময় আনুষ্ঠানিকভাবে শুভ উদ্বোধন করেন চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার আর এম ফয়জুর রহমান, পিপিএম-সেবা।

এ সময় চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার বলেন, ‘চুয়াডাঙ্গাবাসী আপনারা জেনে খুশি হবেন যে, চুয়াডাঙ্গা জেলা সিসি ক্যামেরার আওতায় আনার জন্য জেলা পুলিশের উদ্যোগে সিসি ক্যামেরা স্থাপন প্রথম পর্যায়ের কাজ শেষ হয়েছে এবং যুক্ত হয়েছে রেল ও বাস স্টেশন,রেল লাইন এবং গুরুত্বপূর্ণ প্রত্যেকটা হাইওয়ে রোড। শহরের চুরি ডাকাতি নিয়ন্ত্রণসহ জনগণের জানমালের নিরাপত্তায় সিসি ক্যামেরাগুলো ২৪/৭ প্রহরী হিসেবে কাজ করবে। জেলা শহরের সরকারি স্থাপনাসমূহ ও কেপিআই গুলোর নিরাপত্তা দেওয়ার ক্ষেত্রে সিসি ক্যামেরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

পুলিশ সুপার আরও বলেন ২০১৬ সালে ১২টি সিসি ক্যামেরা স্থাপনের মাধ্যমে চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের সিসি ক্যামেরা দ্বারা আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রনে হাতে খড়ি শুরু হয়। কিন্তু নানাবিধ প্রতিকূলতার কারণে ২০১৮ সালে এগুলো অকেজো হয়ে যায়। আবার ২০২৪ সালের শুরুতে জেলা পুলিশের উদ্যোগে সমস্ত চুয়াডাঙ্গা জেলাকে সিসি ক্যামেরার আওতায় আনার কার্যক্রম শুরু হয়, তারই ধারাবাহিকতায় চুয়াডাঙ্গা জেলায় ৫০(পঞ্চাশ) টি সিসি ক্যামেরা স্থাপন করে ডিজিটাল নজরদারি শুরু হলো।

পুলিশ সুপারের পরিকল্পনা ও নির্দেশনা মোতাবেক শহরের পুলিশ অফিস মেইনগেট, সিভিল সার্জন বাংলো, জেলা জজ সাহেবের বাংলো, হাসান চত্বর, নিউ মার্কেটের সামনে, পৌরসভার মোড়, টাউন ফুটবল মাঠ এলাকা, একাডেমি মোড় ও আশপাশে এলাকা, রেলগেট রেলবাজার, রেলস্টেশন, মাছ বাজার আড়ৎ এলাকা, টিএ্যান্ডটি মোড়, সরকারি কলেজ মোড়, হসপিটাল রোড, ইমারজেন্সি রোড, প্রেসক্লাব মোড়, ডিসি অফিসের সামনে, জীবন নগর বাসস্ট্যান্ড, কেদারগঞ্জ বাজার এলাকার গুরুত্বপূর্ণ সড়সহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সর্বমোট ৫০(পঞ্চাশ)টি হাই রেজুলেশন সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়। সিসি ক্যামেরা গুলি পুলিশ সুপারের কার্যালয় থেকে সর্বক্ষণিক মনিটরিং করা হচ্ছে।

উক্ত আয়োজনে আরও উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ( অর্থ ও প্রশাসন) মোঃ রিয়াজুল ইসলাম, চুয়াডাঙ্গা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার( ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) মোঃ নাজিম উদ্দিন আল আজাদ- পিপিএম-সেবা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ( সদর সার্কেল) আনিসুজ্জামান, সহকারী পুলিশ সুপার( দামুড়হুদা সার্কেল) জাকিয়া সুলতানা, ডিআইও-১ ডিএসবি আবু জিহাদ ফকরুল আলম খান, চুয়াডাঙ্গা জেলা গোয়েন্দা শাখার অফিসার ইনচার্জ ফেরদৌস ওয়াহিদ, চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ সেকেন্দার আলী, চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সভাপতি সরদার আলামিন সহ সাংবাদিক ও মিডিয়া ব্যক্তিত্ব, জেলা পুলিশের সকল পদমর্যাদার অফিসার ফোর্স বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।




গাংনী আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মকবুল হোসেনের পথসভা

জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার পাকুড়িয়া গ্রামে নির্বাচনী পথসভা করেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা মকবুল হোসেন। গতকাল বুধবার রাতে এ পথসভা অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ধানখোলা (খ ইউনিয়ন) আওয়ামী লীগের সভাপতি আলাহামদু।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মেহেরপুর -২ (গাংনী) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা মকবুল হোসেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন তুলে ধরে। সেই সাথে এলাকার উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করতে ট্রাক প্রতীকে ভোট দেয়ার আহবান জানান।

পাকুড়িয়া ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আশরাফুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত পথসভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, জেলা আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা ইয়াসিন রেজা, মেহেরপুর জেলা আওয়ামী কৃষি বিষয়ক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম শাহ, জেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক ওয়াসিম সাজ্জাদ লিখন, প্রভাষক সালাহউদ্দিন, জেলা ছাত্র লীগের সাবেক সহ-সভাপতি সাইফুজ্জামান শিপু, গাংনী উপজেলা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান পলাশ, শ্রমিক লীগের সভাপতি কমরেড আব্দুস সাত্তার, ধানখোলা ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নং ওয়ার্ডের সদস্য আনোয়ার হোসেন, সৈনিক লীগের নেতা জাহাঙ্গীর আলম টিটু, স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা দ্বীন ইসলাম, ধানখোলা ইউনিয়ন কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক সেলিম রেজা, কৃষকলীগের স্থানীয় নেতা শুকুর আলী, আওয়ামীলীগ নেতা বরকত আলী, ৫ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মো: খোকন আলী, ধানখোলা ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজান, হাজি মো: নুরুল ইসলাম, (ধানখোলা-খ) ইউনিয়ন কৃষক লীগের সভাপতি শরিফুল ইসলাম, উপজেলা কৃষকলীগের সহ-সভাপতি হারুন রশীদ, আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতা কাবরান আলী প্রমুখ।

পথসভার আলোচনায় বক্তারা বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মকবুল হোসেন শেখ হাসিনার একজন পরিক্ষিত নেতা। গাংনীর প্রতিটি গ্রামের স্পন্দন বোঝেন। প্রতিটি মানুষের দুঃখ বোঝেন,প্রতিটি মানুষের অনুযোগ শোনেন। তাই এবারের নির্বাচনে ট্রাক মার্কায় গণজোয়ার উঠেছে। এই গণজোয়ার দেখে অনেকেই টেবিল সিল মারার অপেক্ষা করছেন। যারা টেবিল সিলের অপেক্ষা করছেন তারা সাবধান হয়ে যান। আপনাদের সেই আশা কখনও পুরুন হবেনা। মকবুল হোসেনের সৈনিকেরা তা প্রতিহত করা হবে। তৃতীয় বারের মত মকবুল হোসেন নির্বাচিত হয়ে গাংনীর মানুষের সেবা করবে। এটায় মকবুল হোসেনের শেষ নির্বাচন বলেও জানান বক্তারা। সকারনে সাত তারিখে ট্রাক মার্কায় ভোট প্রার্থনা করে বলেন,পাকুড়িয়া গ্রামের সকল উন্নয়ন মকবুল হোসেনের হাত দিয়ে হয়েছে,এবারও নির্বাচনে জিতে অসমাপিত কাজগুলি সমাপ্ত করে যেতে চাই।




চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ঢেঁকি মার্কার নিবার্চনী ইশতেহার ঘোষনা

আগামী ৭ জানুয়ারী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বচনে চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের স্বতন্ত্র পদপ্রার্থী ঢেঁকি মার্কার প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর্জা শাহারিয়ার মাহমুদ লন্টুর নিবার্চনী ইশতেহার ঘোষনা করলেন সংবাদ সম্মেলনে।

গতকাল বুধবার সকাল ১১ টার দিকে চুযাডাঙ্গা-২ নির্বাচনী এলাকার দর্শনা বাসস্ট্যান্ডে অবস্থিত ঢেঁকি মার্কার প্রধান অফিসে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্টিত হয়।

সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের বলেন নেতা কর্মিদের উপস্হিতিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী মির্জা শাহারিয়ার মাহামুদ লন্টু বলেন আমাকে নির্বাচনি এলাকায় স্বাধীনভাবে প্রচার প্রচারণায় ব্যাপক বাধা সৃষ্টি করা হচ্ছে,আমার নেতা কর্মিদেরকে হাত পা ভেঙে দেয়ার হুমকি এবং ভোট কেন্দ্রে না যাওয়ার হুমকি ধামকি দেয়া হচ্ছে বলে সাংবাদিক সম্মেলনে অভিযোগ করেন।

আগামী ৭ই জানুয়ারি-২০২৪ তারিখে অনুষ্ঠিতব্য দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে, ৮০ চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের স্বতন্ত্র পদপ্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর্জা শাহারিয়ার মাহমুদ লন্টুর নিবার্চনী প্রতিশ্রুতি’তে তিনি বলেন, তিনি চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য পদে নির্বাচিত হলে এলাকার জনগনের কল্যাণে এলাকায় স্থায়ীভাবে শান্তিশৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার করণীয় সমূহ অগ্রাধীকার ভিত্তিতে বাস্তবায়ন করা হবে।

উন্নয়নের সকল সম্ভাবনা পর্যালোচনা করে নির্বাচনী এলাকার জনগনের মতামতের ভিত্তিতে উন্নয়ন পরিকল্পনা তৈরি ও বাস্তবায়ন করা হবে।

কর্মমুখী শিক্ষা বিস্তার এবং কর্মসংস্থানের উপর যথাযথ কার্যক্রম হাতে নেয়া হবে। দুর্নীতি ও মাদক নির্মূলে সর্বোচ্চ গুরত্বারোপ করে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া হবে। বিল, বাওড়, খাল, হাট-বাজার জবরদখল করে সরকারি রাজস্ব আয় ফাঁকি দিয়ে লুটপাটের যে মহাউৎসব চলছে তা বিদ্যমান আইনের কঠোর প্রয়োগের মাধ্যমে দূর করা হবে।

চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের জনগনের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে করণীয় কাজগুলো অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে সম্পাদন করা হবে।

এলাকায় চিকিৎসা ব্যবস্থাকে আরো সুসংগঠিত করার জন্য দামুড়হুদা, দর্শনা, জীবননগরসহ সম্ভাব্য স্থানে আধুনিক হাসপাতাল স্থাপন করা হবে।

নারীর ক্ষমতায়নে সুনিদিষ্ট কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে। স্থানীয় কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি ও প্রক্রিয়াজাতকরণ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করে কৃষক ভাইদের উৎপাদিত পণ্যের মূল্য নিশ্চিত করা হবে। কৃষি বাণিজ্যিক করণ করার কার্যক্রম তরান্বিত করার উদ্যোগ গ্রহন করা হবে।

চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের জীবননগর, দামুড়হুদা, দর্শনা, তিতুদহ, বেগমপুর, গড়াইটুপি ও নেহালপুর বাংলাদেশের নিবিড় কৃষি অঞ্চল হিসেবে পরিচিত এই বিষয়টি বিবেচনায় এনে কৃষি শিক্ষার উচ্চতর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তোলা হবে। এলাকায় যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে রাস্তা-ঘাটের সংস্কার ও নির্মানকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। বিদ্যুৎ ব্যবস্থায় বিদ্যমান সমস্যা দুর করে আরো সুসংগঠিত করা হবে।
যুব সমাজের আইটি দক্ষতা বৃদ্ধি করে ঘরে বসে রোজগারের ব্যবস্থাকে গুরুত্ব দিয়ে সুনিদিষ্ট কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে। খেলাধুলা সহ সাংস্কৃতিক কার্যক্রম জোরদার করা হবে। যুবকদের মাদক থেকে দূরে রাখতে ওয়ার্ড ভিত্তিক খেলার মাঠ তৈরী করা হবে। দর্শনা এবং জীবননগরের পূর্ণাঙ্গ স্থলবন্দর প্রতিষ্টার কার্যকর উদ্যোগ নেয়া হবে।

ঐতিহ্যবাহী কেরু এন্ড কোম্পানির সম্পদ ব্যবহারে দুর্নীতি ও অনিয়ম দূর করতে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

চোরাচালান বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সংসদ সদস্য ও জনগনের মধ্যে সমন্বয় করে জেলার সার্বিক উন্নয়নে সম্ভাব্য সকল উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। এ সকল প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে সহয়তা করার জন্য ঢেঁকি মার্কা প্রতীকে আপনার মূল্যবান রায় চেয়ে সকলের কাছে ঢেঁকি মার্কায় ভোট চাইলেন।

এ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও দামুড়হুদা উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মাহফুজুর রহমান মনজু, জীবননগর উপজেলা আ লীগের সভাপতি নজরুল ইসলাম, বাংলাদেশ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক কৃষিবিদ হামিদুর রহমান, ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক কামাল উদ্দিন আহম্মেদ সান্টুসহ মানবাধিকার কর্মী ও সাংবাদিকসহ নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।




দর্শনায় ৩ কেজি গাঁজাসহ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার

দর্শনা থানা পুলিশ মাদক বিরোধী অভিযান চালিয়ে ৩ কেজি গাঁজাসহ মাদক ব্যাবসায়ী দোস মোহাম্মদকে (৪৫)গ্রেফতার করেছে। তিনি পার কৃষ্ণপুর মদনা ইউনিয়নের ছোট বোনদিয়া গ্রামের মৃত সাবদার মন্ডলের ছেলে।

জানাগেছে গতকাল বুধবার রাত সাড়ে ৭ টার দিকে দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ বিপ্লব কুমার সাহার নেতৃত্বে, দর্শনা থানার এসআই(নিঃ) মোঃ সুজন আলী সঙ্গীয় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অফিসার ও ফোর্সসহ মাদকবিরোধী অভিযান চালায়

আপেল উদ্দীন এর আবাদী জমির সামনে সড়াবাড়ীয়া হতে ছোটবলদিয়া গামী পাকা রাস্তার উপর। এ সময় পুলিশ সন্দেহ ভাজন একজনকে গ্রেফতার করে।পরে তার সাথে থাকা ব্যাগ তল্লাশি করে ভারতীয় ৩ কেজি গাঁজা উদ্ধার করে।যার আনুমানিক বাজার মৃল্য ৯০ হাজার টাকা।গতকালই তাকে মাদক আইনে মামলাসহ চুয়াডাঙ্গা কোর্ট হাজতে প্রেরন করেছে।




অর্থ সম্পদ ও অস্ত্র কারোর থেকে আমি কমা না–বাবলু বিশ্বাস

পিরোজপুর ইউনিয়নের চারটি সেন্টারে আমি যেন দেখতে না পাই কোন এজেন্টে আছে ওই চাপা দেওয়া প্রতীকের। ৭ তারিখে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্জন্ত ভোট হবে শুধু নৌকার আর নৌকার।

গত সোমবার ১ জানুয়ারি রাত ৯টায় মেহেরপুর-১ আসনের নৌকার প্রার্থী ও জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের ভগ্নিপতি ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বাবলু বিশ্বাস সদর উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নে একটি নির্বাচনী জনসভায় একথা বলেছেন। তিনি পিরোজপুর ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান।

এই ভিডিওটি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে জেলা জুড়ে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে।

ভাইরাল হওয়া ভিডিওটিতে দেখা গেছে বাবলু বিশ্বাস আরো বলেন, যতক্ষন পর্যন্ত ওই বাউন্ডারির ভিতরে লোক থাকবে ততক্ষণ পর্যন্ত ভোট পোল করা হবে। যখন দেখবোআর শেষ না হলে কুড়ি নি গি ওই বাউন্ডারির ঢুকাইয়া দিয়ে ভোট পোল করে নেব। আমার কথা পিরোজপুর চারটি সেন্টারে আমি যেন দেখতে না পাই কোন এজেন্ট আছে ওই চাপা দেওয়া (ট্রাক) প্রতীকের। তারা কিসের ভয় দেখায় আমি তো বুঝতে পারিনা । আমার চেয়ে মস্তান বেশি আছে কেও? আমার চেয়ে যন্ত্রপাতি কারো বেশি আছে? আমার চেয়ে কি টাকা তাদের বেশি আছে? তাহলে ভয় কিসের দেখায়। যারা আমার কাছে কাজ করে খেতো কদিন আগে, তারা ভয় দেখায় কিসের। জমি তিন বিঘা কেড়ে নেবো। জমি তিন বিঘা কেইড়ি নেবো। কেইড়ি নিলি পারে ভয় দেখানো বুঝি যাবে। সেই কাজটি কইরবোই এইবার। আপনারা নৌকা মার্কা প্রতীকে ফরহাদ হোসেনকে ভোট দেবেন। জননের্তীকে ভোট দেবেন। এখন তো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জননের্তী। আমাদের কোন স্বতন্ত্র প্রার্থী সেখানে যাবে না কোনদিন। তার ডানদিকে বা বামদিকে বসে থাকবেনা। আমাদের এমপি নেত্রীর সাথে বসে থাকবে এবং এইবারো এই দেশের মিনিষ্টার হবে। আপনারা ঠান্ডার মধ্যে বসে আছেন। যে কাজ করার দরকার তা আমি সময়মত করবো।

এই আসনের ট্রাক প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক আব্দুল মান্নান সুষ্ঠু ভোট নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে বলেন, এভাবে জনসভায় যদি প্রার্থীদের এজেন্ট প্রবেশ করতে না দেওয়া হুমকি দেয়া হয়, তাহলে সাধারণ ভোটারদের মনে সঙ্কা তৈরি হবে। ভোট দিতে অনাগ্রহ দেখাবে। জননের্তী শেখ হাসিনা একটি অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন করার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বিশেষ করে নৌকার নেতা কর্মীরা প্রকাশে এভাবে বক্তব্য দেওয়ার কারণে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।




চুয়াডাঙ্গা ও আলমডাঙ্গায় গনসংযোগ ও উঠান বৈঠকে রাজ্জাক খান

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আলহাজ্ব এম.এ রাজ্জাক খান রাজ সিআইপি গণসংযোগ পথসভা মতবিনিময় সভা উঠান বৈঠক অব্যহত রয়েছে।

গতকাল বুধবার সকালে আলমডাঙ্গার খাদিমপুরে ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড ২নং ওয়ার্ড গণসংযোগ ও পথসভা উঠান বৈঠক মতবিনিময় সভা করেন।

এ সময় উঠান বৈঠক গণজোয়ার সৃষ্টি হয় ফ্রিজ প্রতীকের প্রার্থী আলহাজ্ব এম.এ রাজ্জাক খান বলেন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চুয়াডাঙ্গা ১ আসনের জনগনের ভাগ্যোর পরিবর্তন ও জেলাকে বেকারত্ব মুক্ত দারিদ্র্যমুক্ত অশিক্ষার অন্ধকারমুক্ত জেলা গড়তে ফ্রিজ প্রতীকে ভোট দিন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে সুষ্ঠ ও সুন্দর পরিবেশে তাই আপনারা সবাই ভোটকেন্দ্রে যাবেন এবং ভোট দিবেন নির্ভয়ে।

পরে আলমডাঙ্গার বিভিন্ন স্থানে গণসংযোগ শেষে বিকেলে আলমডাঙ্গা নির্বাচনী অফিসে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক আহ্বায়ক ও সাবেক পৌর মেয়র ওবাইদুর রহমান চৌধুরী জিপু, এ সময় তিনি বলেন চুয়াডাঙ্গার একমাত্র যোগ্য প্রার্থী আলহাজ্ব এম.এ রাজ্জাক খান রাজ সততা, নিষ্ঠা, ধর্মভিরু বিনয়ী স্বভাবের মানুষ তাকে ভোট দিলে চুয়াডাঙ্গাবাসী কেউ আর অবহেলিত থাকবে না, তাই ৭ তারিখে ফ্রিজ মার্কায় ভোট দিয়ে উন্নয়নের অগ্রযাত্রা ত্বারান্নিত করুন।

এ সময় চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আলহাজ্ব এম.এ রাজ্জাক খান রাজ সিআইপি দেশপ্রেমিক ভোটারদের উদ্দেশ্য বলেন, চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সুখে দুঃখে সাথী হয়ে আমি আপনাদের সাথে আগামী দিনের রাজনৈতি করতে চাই যে রাজনীতি হবে দুঃখী ও মেহনতি মানুষের জন্য অন্ন বস্ত্র বাসস্থান ও শিক্ষার সমতা ভিত্তিক ন্যায্যতা আদায়ের অধিকার। আমি চেষ্টা করবো অধিকারহীন এই জনপদের মানুষের কল্যাণ কর ভূমিকা রাখার জন্য আল্লাহর রহমতে ও আপনাদের দোয়া আর্শিবাদে আমার এই সং ইচ্ছা পূরণ হবে ইনশাআল্লাহ। পরে মুন্সীগঞ্জ, রংপুর,হারদী ,চিংলারুইথনপুরসহ চুয়াডাঙ্গা ও আলমডাঙ্গার বিভিন্ন স্থানে গণসংযোগ ও পথসভা উঠান বৈঠক মতবিনিময় সভা করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক আহ্বায়ক ও সাবেক পৌর মেয়র ওবাইদুর রহমান চৌধুরী জিপু, চুয়াডাঙ্গা জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি সৈয়দ ফরিদ আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মাফিজুর রহমান মাফি, চুয়াডাঙ্গা জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জানিফ, আলমডাঙ্গা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, জেলা পরিষদ সদস্য মজনুর রহমান জান্টু, বাড়াদী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান মনি, নুরুল ইসলাম, শামিম আহমেদ, টিটু আহমেদ, শাকিল আহমেদ, কামরুজ্জামান, অন্তর, আরিফ, দেলোয়ার, হাসিবুল, সহিদুল ও সাইদুরসহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।




এবার ট্রাকে উঠলেন সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা এম আর মুকুল

নতুন করে ট্রাকে উঠলেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক উপসম্পাদক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইইআর শাখার ছাত্রলীগের সভাপতি এম আর মুকুল। আজ রাতে মুজিবনগর উপজেলার পুরন্দপুর গ্রামে স্বতন্ত্র প্রার্থী ট্রাকের পথসভায় অংশগ্রহণের মধ্যে দিয়ে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিলেন।

পথসভায় উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর-১ আসনের মনোনীত স্বতন্ত্র প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক সংসদ সদস্য প্রফেসর আব্দুল মান্নান।

অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি এ্যাড. মিয়াজান আলী, জিয়া উদ্দিন বিশ্বাস, বঙ্গবন্ধু শিক্ষা ও গবেষণা পরিষদের সভাপতি প্রফেসর হাসানুজ্জামান মালেক, মেহেরপুর জেলা চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি ও জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম রসুল, মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক মোখলেসুর রহমান খোকন, মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানব বিষয়ক সম্পাদক এম এ এস ইমন, মেহেরপুর জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক শহিদুল ইসলাম পেরেশান, মুজিবনগর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি কামরুল হাসান চাদু, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় উপ সম্পাদক ও ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের আইইআর শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি এম আর মকুল, মেহেরপুর সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক মোল্লা, বঙ্গবন্ধু সৈনিকলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য এ্যাড. আমজাদ আলী, জাতীয় শ্রমিকলীগ মেহেরপুর জেলা শাখার সাধারন সম্পাদক মুস্তাফিজুর রহমান বাবুল, মেহেরপুর জেলা তাঁতীলিগের সভাপতি সুবাদ আলী, সদর থানা যুবলীগের যুগ্ন আহবায়ক সাজেদুর রহমান সাজু, মেহেরপুর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও মেহেরপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম সম্পাদক জুয়েল রানা, বুড়িপোতা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সেক্রেটারি রেজাউল ইসলাম রেজা, মেহেরপুর জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক লাভলী ইয়াসমিন, মেহেরপুর মহিলা পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি রেহেনা মান্নান, সপুরা খাতুন সহ আওয়ামী লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগের বিভিন্ন নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া আজ সদরে বিভিন্ন স্থানে ট্রাক প্রতীকের পথসভা অনুষ্ঠিত হয়।




মুজিবনগর ও গাংনীতে দরিদ্র ও অসহায় বৃদ্ধের মাঝে কম্বল বিতরণ

মুজিবনগরে প্রবীণ জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন কর্মসূচির আওতায় শীত নিবারণের এর উপকরণ কম্বল বিতরণ করা হয়েছে।

আজ বুধবার আর সকালে পলাশী পাড়া সমাজ কল্যাণ সমিতি (পিএসকেএস) এর আয়োজনে এবং পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশন এর অর্থায়নে, এসব কম্বল বিতরণ করা হয়।

পিএসকেএস এর অডিটোরিয়াম পিএসকেএসের মোনাখালী ইউনিয়নের প্রবীন কমিটির সভাপতি আব্দুল মান্নান এর সভাপতিত্বে উপকরণ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মোনাখালী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য হাবিবুর রহমান। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ১ন ওয়াড এর বীর মুক্তিযোদ্ধা আমজাদ আলী, ২নং ওয়াড এর প্রবীণ সভাপতি ইজদান আলী ৩নং ওয়াড এর প্রবীণ সভাপতি অস্কার আলী। আরো উপস্থিত ছিলেন সমৃদ্ধি কর্মসূচি সমন্বয়কারী হাসানুজ্জামান, সমাজ উন্নয়ন কর্মকর্তা মোহাম্মদ রহিম আক্তার।

উপকরণ বিতরণ অনুষ্ঠানের শীত নিবারণের জন্য ৭০ জন বয়োবৃদ্ধ মানুষের মাঝে সমস্ত কম্বল বিতরণ করা হয়।

অপর দিকে পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) এর অর্থায়নে তেঁতুলবাড়ীয়া ইউনিয়নে প্রবীণ জনগোষ্ঠির জীবনমান উন্নয়ন কর্মসূচির আওতায় আজ বুধবার তেঁতুলবাড়ীয়া ইউনিয়নে ৭৫ জন গরীব অসহায় প্রবীনদের মাঝে কম্বল বিতরণ করা হয় ।

উক্ত কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পলাশীপাড়া সমাজ কল্যাণ সমিতি(পিএসকেএস) এর পরিচালক(কর্মসূচি),মোহাঃ কামরুজ্জামান, এসডিও সমৃদ্ধি কর্মসূচি সমন্বয়কারি মোঃ জামিদুল ইসলাম। এ ছাড়াও উক্ত কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পিএসকেএস এর সম্মানিত সভাপতি মোঃ রমজান আলী।




শীতে গাছের যত্নে

শীতের রুক্ষ-শুষ্ক মৌসুমে বাড়ির আঙিনায়, বারান্দায় বা ঘরের ভেতর গাছের যত্ন নেওয়া নিয়ে বাড়তি দুশ্চিন্তা কাজ করে। তবে ভালো দিকও আছে। কিছুদিনের মধ্যেই শখের বাগান ভরে উঠবে গোলাপ, গাঁদা বা রঙবেরঙের চন্দ্রমল্লিকায়। শীতের শুরুতে বাগান পরিচর্যায় ব্যস্ত হবেন অনেকে। ইনডোর হোক বা আউটডোর প্লান্ট, সাধারণ কিছু ব্যাপার অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে:

.নতুন গাছ বা গাছের চারা কিনে কিনে সঙ্গে সঙ্গে টবে বসাবেন না। মাটি থেকে সতর্কভাবে শেকড়গুলো আলাদা করুন। টবে অর্ধেক মাটি ভরে সদ্য আনা গাছের চারা পুঁতে দিন। গাছের ছেঁড়া বা আধখাওয়া পাতা ছেঁটে দিন। গাছে আগে থেকে ফুল বা কুঁড়ি থাকলে তাও কেটে দিন। এতে গাছ দ্রুত বৃদ্ধি পাবে।

.শীতকাল এমনিতেই শুষ্ক। গাছের কচি পাতায় ধুলাকণা জমে যায় খুব তাড়াতাড়ি। নিয়মিত পানি দেওয়া পর্যাপ্ত নয়। পাতায় পাতায় পানি স্প্রে করুন। পারলে হালকা টিস্যু দিয়ে পাতাগুলো মুছে দিন। গাছের গ্রোথ স্বাভাবিক থাকবে।

.শীতকালীন যেকোনো গাছ পরিচর্যার অন্যতম শর্তই হলো বেশিক্ষণ রোদে রাখা। ফুলগাছ বা সবজির গাছ, দিনে কমপক্ষে ৩-৪ ঘণ্টা রোদ প্রয়োজন। শীতকালীন রোদে তেমন প্রাবল্য থাকে না, যা গাছের ফুল-ফল বাড়তে সাহায্য করে।

.গাছের পাতা তাড়াতাড়ি শুকিয়ে গেলে বা ঝরে গেলে চিন্তা করবেন না। শীতের বদলে যাওয়া আবহাওয়ার সঙ্গে মানিয়ে নিতে সময় লাগে গাছেরও। ঝরে যাওয়া পাতা টব থেকে সরিয়ে রাখুন। অথবা সেই পাতাই টবের মাটিতে বিছিয়ে রাখুন। শীতে মাটির আর্দ্রতা এমনিতেই কমে যায়। পাতা বিছিয়ে রাখলে সেই আর্দ্রতা অনেকটা বজায় থাকে।

.ইনডোর প্লান্ট বাড়িতে আনলে মাথায় রাখতে হবে আরও কিছু বিষয়। প্রথমত, বাড়ির ভেতরের একটা সমস্যা হলো রোদের অভাব। তাই গাছ যা-ই হোক না কেন, রাখুন খোলামেলা জায়গায়। যেখানে অন্তত এক বেলা রোদ পড়ে। খোলা বারান্দা বা জানালার ধার হতেই পারে আদর্শ স্থান। তবে সরাসরি রোদে বেশিক্ষণ না রাখাই ভালো। খোলা বাতাসে গাছ থাকবে সতেজ।

.শীতকালে গাছ পরিচর্যায় সঠিক সারের ব্যবহার খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ইউরিয়া ও পটাশ সমৃদ্ধ যেকোনো সার ফুলের গ্রোথে খুবই কার্যকর।

.পানির পরিমাণ কিছুটা কমিয়ে দিন। টবের মাটিতে সপ্তাহে এক দিন সার দিন। মাথায় রাখবেন, সার যেন কখনওই গাছের গোড়ায় না পড়ে।

সূত্র: ইত্তেফাক