বেসিসের নতুন সভাপতি রাশিদুল, জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি সোহেল

তথ্যপ্রযুক্তি খাতের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন বেসিসের নতুন সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন এম রাশিদুল হাসান। পাশাপাশি জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি হয়েছেন মোস্তাফিজুর রহমান সোহেল।

সম্প্রতি সভাপতির পদ থেকে রাসেল টি আহমেদ এবং সহসভাপতির (অর্থ) পদ থেকে ইকবাল আহমেদ ফখরুল হাসান পদত্যাগ করলে দুইটি পদ শূন্য হয়।

গত বুধবার বেসিস নির্বাহী পরিষদের জরুরি সভায় (৩৩২তম সভা) বর্তমান নির্বাহী পরিষদ (২০২৪-২৬) সদস্যদের মধ্যে থেকে জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি এম রাশিদুল হাসানকে সভাপতি পদে এবং পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান সোহেলকে জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি পদে এবং পরিচালক এম আসিফ রহমানকে সহসভাপতি (অর্থ) পদে নির্বাচিত করা হয়েছে। সদস্যদের ভোটে নির্বাচিত নির্বাহী পরিষদ সদস্যদের বাইরে আপাতত কাউকে কো-অপ্ট ছাড়াই সব কার্যক্রম যথারীতি পরিচালনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বেসিস নির্বাহী পরিষদ।

বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) সংগঠনটির পক্ষ থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।

চলমান বেসিস সংঘবিধি সংশোধন, বেসিস মেম্বারশীপ অডিট এবং সদস্য সুরক্ষাসহ অতি প্রয়োজনীয় এবং জরুরি সংস্কার কাজ জাঞ্জ্যারির মধ্যে এবং আগামী বছরের এপ্রিলের মধ্যে নির্বাহী পরিষদের নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করেছে বেসিস। সফটওয়্যার ও আইটি পরিষেবা খাতের প্রকৃত উন্নয়ন ও বিকাশের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় জরুরি সংস্কারমূলক কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পাদন ও দেশে-বিদেশে বেসিসের সুনাম ও ভাবমূর্তি অক্ষুণ্ন রাখতে বর্তমান নির্বাহী পরিষদকে সবরকম সহযোগিতা দিতে সদস্য এবং অংশীজনদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বেসিস নেতারা।

সূত্র: কালবেলা




মেহেরপুরে জেলা ও উপজেলার শিক্ষা মান উন্নয়নে স্মারকলিপি প্রদান

প্রাথমিক শিক্ষার মান উন্নয়ন ও সবার জন্য মান সম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করতে কমিউনিটি এডুকেশন ওয়াচ গ্রুপ নানা উদ্যোগ গত মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে আমদহ এবং আমঝুপি ইউনিয়নের কমিউনিটি এডুকেশন ওয়াচ গ্রুপের সদস্যরা বিদ্যালয়ের সমস্যা তুলে ধরে সমাধানের দাবিতে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ তরিকুল ইসলাম ,সহকারী কমিশনার (ভূমি) গাজী মূয়ীদুর রহমান, উপজেলা শিক্ষা অফিসার বরাবর পৃথক স্মারকলিপি প্রদান করেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন আমদহ ও আমঝুপি ইউনিয়নের সদস্যবৃন্দ পৌর কাউন্সিলর আব্দুর রহিম, মোকলেচুর রহমান, মীর ফারুক হোসেন, মোঃ শহিদুল্লাহ, ইসমাইল হোসেন, প্রোগ্রাম ম্যানেজার কাজল রেখা ও সহকারী প্রোগ্রাম অফিসার আশিক বিল্লাহ।




মেহেরপুরের ওরিয়েন্টেশন ও ত্রৈমাসিক অগ্রগতি ফলোআপ সভা অনুষ্ঠিত

মেহেরপুরের আমঝুপিতে ইয়ুথ ফোরামের ওরিয়েন্টেশন ও ত্রৈমাসিক অগ্রগতি ফলোআপ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টার দিকে আমদহ, আমঝুপি এবং বারাদী ইউনিয়নের যুব সদস্যদের নিয়ে মানব উন্নয়ন কেন্দ্র (মউক) এর হলরুমে ইয়ুথ ফোরামের ওরিয়েন্টেশন ও ত্রৈমাসিক অগ্রগতি ফলোআপ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

গণসাক্ষরতা অভিযান এর সহায়তায় মানব উন্নয়ন কেন্দ্র (মউক) এ কর্মসূচীর আয়োজন করে।

মানব উন্নয়ন কেন্দ্র (মউক) এর নির্বাহী প্রধান আশাদুজ্জামান সেলিমের সভাপতিত্বে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন প্রোগ্রাম ম্যানেজার কাজল রেখা।

সভায় মেহেরপুর জেলার সার্বিক শিক্ষার সুযোগ, শিক্ষার বাস্তবতা, শিশুদের বিদ্যালয়ে আনন্দঘন পরিবেশ তৈরি সহ বিদ্যালয়ে স্বচ্ছতা ,জবাবদিহিতা ও সুশাসন নিশ্চিত করতে ইয়ুথদের ভুমিকার বিষয়ে আলোচনা করা হয়।

এ সময় মেহেরপুর বৈষম্যবিরোধ ছাত্র আন্দোলনের সংগঠক তাহসিন আহম্মদ রাব্বী, বারাদী ইউনিয়নের ইয়ুথ ফোরামের সভাপতি শ্রী সজিব দাস, আমঝুপি ইউনিয়নের ইয়ুথ ফোরামের সভাপতি ইয়াসমিন এবং আমদহ ইউনিয়নের সদস্য রতন আলীসহ অনেকে নিজেদের মতামত তুলে ধরেন।

সভায় গণমাধ্যম কর্মীসহ ৪০ জন যুব সদস্য উপস্থিত ছিলেন।




সাফ জয়ী বাঘিনীদের অভিনন্দন জানলে তারকারাও

সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপ ২০২৪ এ নেপালকে হারিয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মতো শিরোপা জিতলো বাংলাদেশ। সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে বাংলার বাঘিনীদের এমন সাফল্যে উচ্ছ্বসিত সারাদেশ। দেশের বিনোদন অঙ্গন থেকেও ভেসে আসছে প্রশংসা ও শুভকামনা।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশ কিছু তারকারা ইতোমধ্যে সাফ জয়ীদের এই ঐতিহাসিক অর্জন নিয়ে অভিনন্দন জানিয়েছেন। তাদের একজন ছোট পর্দার অভিনেত্রী সাদিয়া আয়মান। এক ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘অভিনন্দন বাঘিনীরা! সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপ ২০২৪ বাংলাদেশের জন্য এক ঐতিহাসিক অর্জন। তোমাদের এই অর্জন শুধু দেশের জন্য নয়, পুরো বিশ্বের নারীদের জন্য এক বড় উদাহরণ।’

সাদিয়া আরও লেখেন, ‘তোমাদের দলের সাহস, দৃঢ়তা এবং অসাধারণ পারফরম্যান্স আমাদের মুগ্ধ করেছে। তোমাদের এই অদম্য ইচ্ছাশক্তি আর সংগ্রাম দেশের আনাচে কানাচে থাকা প্রত্যেকটি নারীর জন্য অনুপ্রেরণার। তোমরা আবারও জ্বলন্ত উদাহরণ সৃষ্টি করেছো যে, নারীদের ইচ্ছাশক্তি থাকলে কোনো বাধাই তাদের জয় আটকাতে পারেনা। এই জয় আমাদের আরও একবার মনে করিয়ে দিলো ‘আমরা নারী, আমরাই পারি’। তোমাদের এই সাফল্য দেশের প্রতিটি মেয়ে শিশুকে স্বপ্ন দেখাবে, তাদের সাহস জোগাবে নতুন কিছু করতে। তোমাদের জন্য অনেক অনেক শুভকামনা, সাফল্য তোমাদের বারবার ছুঁয়ে যাক। আরও একবার অভিনন্দন তোমাদের।’

এছাড়াও পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরীও সাফ জয়ীদের অভিনন্দন জানিয়েছেন। অভিনেত্রী তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ থেকে সাফ জয়ী নারী দলের সদস্য মাতসুসিমা সুমায়ার ট্রফি নিয়ে ঘুমানোর সেই ছবিটি শেয়ার করেন। সেখানে তাদের অভিনন্দন জানিয়ে মেহজাবীন লিখেছেন, ‘চ্যাম্পিয়ন্স! বাংলাদেশের মেয়েরা সাফ নারী চ্যাম্পিয়ন ২০২৪ এ বিজয়ী। অভিনন্দন মেয়েরা।’

বাঘিনীদের অভিনন্দন জানিয়ে মুখ খুলেছেন জনপ্রিয় নির্মাতা মোস্তফা সরোয়ার ফারুকীও। সাফ নারী দলের সদস্যদের ট্রফি নিয়ে ঘুমানোর কিছু ছবি পোস্ট করে নিজের অভিমত পোষণ করেছেন তিনি। এক ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘মাস্টার লিওনেল মেসির থেকে উদ্ভাবিত স্টাইলে বাংলার বাঘিনীরা। আসুন, তাদের যথাযথ পুরস্কার দিয়ে সম্মানিত করি। সরকারি পুরস্কার শুধু পুরুষ ক্রিকেট দলের জন্যই হওয়া উচিত নয়, ধন্যবাদ।’

উল্লেখ্য, গত বুধবার সন্ধ্যায় নেপালের দশরথ স্টেডিয়ামে স্বাগতিক দর্শকদের স্তব্ধ করে সাফের ফাইনালে নেপালকে ২-১ গোলে হারিয়েছে বাংলাদেশ। এর আগে ২০২২ সালে স্বাগতিক নেপালকে হারিয়েই বাংলাদেশের মেয়েরা প্রথমবারের মতো দক্ষিণ এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্ব পেয়েছিল। আবারও সেই একই প্রতিপক্ষ এবং একই ভেন্যুতে সাবিনা খাতুনের দল সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের টানা দ্বিতীয় শিরোপা জিতলো।

সূত্র: ইত্তেফাক




দর্শনা কেরু চিনিকলে ১০ দিন পরে এলো টিএসপি সার ও কীটনাশক

চুয়াডাঙ্গা জেলার একমাত্র ভারী শিল্প প্রতিষ্ঠান দর্শনার ঐতিহ্যবাহী কেরু চিনিকল এলাকায় ইক্ষু রোপন ভরা মৌসুমে হঠাৎ করে টিএসপি সার, মাটিশোধন ও কীটনাশক চরম সংকট, দেখা দেয়।

এলাকার আখচাষী কৃষকরা গত সোমবার ২১ অক্টোবর বেলা ১১ টার দিকে কেরু চিনিকল মিল গেট কেরু সার গোডাউন থেকে সার না পেয়ে ফীরে যাচ্ছিল কৃষকরা।

ঐদিন সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় আখ রোপনের জন্য অর্ধশতাধিক কৃষক সার না পেয়ে হতাশ হয়ে ফিরে যাচ্ছে। এরপরেও ২০/২৫ জন কৃষক সার আসবে ভেবে আলমসাধু ইজিবাইক ও পাখিভ্যান নিয়ে অপেক্ষা করতে দেখা গেছে। এ আখ রোপন ভরা মৌমুমে হঠাৎ হঠাৎ বৃষ্টির কারনে আখ রোপন ব্যাহত হচ্ছে। অন্যদিকে কেরু চিনকলের গোডাউন থেকে সার না পাওয়াই হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়ছে কৃষকরা। এ বিষয়ে বেশ কিছু পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়। এরপর তৎক্ষনিক কেরুজ চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাব্বিক হাসান তড়িৎ পদক্ষেপ নেয়। তিনি নিজ উদ্দ্যগে গতকাল বুধবার সার ও কীটনাশক সমস্যা সমাধান করেন।

গতকাল সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় একের পর এক ট্রাক ভর্তি সার কেরু গোডাউল এলাকায় প্রবেশ করছে। ফলে কেরু চিনিকল মিলগেট এলাকায় সার ও কীটনাশক সংকট সমস্যা নিরসন হয়েছে। ফলে আজ বৃহস্পতিবার থেকে সার সংকট থাকবে না বলে গোডাউন অফিসার মাহবুবুর রহমান জানান।

গতকাল বুধবার ৭টি ট্রাকে ৯৫ টন টিএসপি, ২শত টন এমওপি সার কেরু গোডাউনে মজুদ করা হয়েছে। এছাড়া গতকাল বুধবার ৩০০ শত টন ইউরিয়া সার পথের মধ্যে রয়েছে বলে জানান ঐ গোডাউন অফিসার। ফলে কৃষকদের চাহিদা অনুযায়ী এখন থেকে সার ও কীটনাশক পাবে। মিল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন।




সাফ চ্যাম্পিয়নদের বরণ করতে প্রস্তুত ছাদ খোলা বাস

নেপালকে হারিয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মতো নারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতেছে বাংলাদেশ। বুধবার (৩০ অক্টোবর) ফাইনালে কাঠমুন্ডুর দশরথ রঙ্গশালা স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের ২-১ গোলে হারায় সাবিনা খাতুনের দল। সাফের শিরোপা নিয়ে আজ (বৃহস্পতিবার) দেশে ফিরবেন ফুটবলাররা।

বাংলাদেশ সময় দুপুর সোয়া দুইটায় ঢাকায় পৌঁছানোর কথা দক্ষিণ এশিয়ার চ্যাম্পিয়নদের। আর তাদের বরণ করতে প্রস্তুত ছাদ খোলা বাস। কমলাপুর বিআরটিসি বাস ডিপো থেকে কিছুক্ষণ পর বিমানবন্দরের উদ্দেশে রওনা হবে বাসটি। সাফ চ্যাম্পিয়নরা ছাদ খোলা বাসে করেই বাফুফে ভবনে পৌঁছাবেন।

বিআরটিসি বাসের দুই পাশে চ্যাম্পিয়ন দলের ছবি সেঁটে দেওয়া হয়েছে। দুই পাশে দুই টুর্নামেন্ট সেরার ছবি। বাম পাশে টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় ঋতুপর্ণা চাকমা ও ডান পাশে সেরা গোলরক্ষক রূপনা চাকমার ট্রফি নেওয়ার মুহূর্ত।

বিআরটিসির চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমাদের ছাদ খোলা বাসটি আগের বানানো। আগে চারটি গাড়ির মধ্যে একটি গাড়ি আজকে সাফ বিজয়ীদের আনতে যাবে। বাফুফে আমাদেরকে বলামাত্র আমরা গাড়িটি ধুয়ে মুছে পরিষ্কার করেছি। ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের লোকগুলো শুধু গাড়িতে স্টিকার লাগিয়েছে। এখানে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের লোক আছে, বাফুফের লোকজন আছে। গাড়িটি আন্তর্জাতিক বাস ডিপোতে প্রস্তুত আছে।’

এর আগে ২০২২ সালে এই নেপালকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো সাফ জিতেছিল বাংলার মেয়েরা। সেবার প্রথম ছাদ খোলা বাসে করে তাদের বরণ করা হয়েছিল।

সূত্র: ইত্তেফাক




দর্শনায় ফেনসিডিল ও গাঁজাসহ মহিলা মাদক ব্যবসায়ী আটক

দর্শনা থানা পুলিশ মাদক বিরোধী অভিযান চালিয়ে ৩২বোতল ফেনসিডিল ও ১শ ৭০ গ্রাম গাঁজাসহ তাসলিমা খাতুনকে (৩০)আটক করেছে। আটককৃত তাসলিমা খাতুন দর্শনা পৌরসভার রামনগর গ্রামের ফরজ আলীর স্ত্রী।

জানাযায় গতকাল বুধবার সন্ধা সাড়ে ৬ টার দিকে দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ শহীদ তিতুমীরের নেতৃত্বে অভিযান চালায় রামনগর গ্রামে। এ সময় দর্শনা থানার এস আই অনুজ কুমার সরকার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সঙ্গীয় ফোর্সসহ অভিযান চালায় রামনগর গ্রামের ফরজ আলী ওরফে সবুজ এর বসত বাড়ীর শয়ন কক্ষে। সেই সময় পুলিশ তার ঘরের কক্ষ থেকে ৩২ বোতল ফেনসিডিল ও ১শ ৭০ গ্রাম গাঁজাসহ তাসলিমাকে আটক করে।

আটককৃত তাসলিমাকে এসআই অনুজ কুমার সরকার বাদি হয়ে মাদক আইনে মামলাসহ চুয়াডাঙ্গা কোর্টে সোপর্দ করবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।




ইতালি নেওয়ার নামে ৪ যুবকের কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছে কোটি টাকা

ভাল বেতন হবে, জীবন হবে উন্নত। কিন্তু একটু কষ্ট করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ৩ ঘন্টার পানি পথে ইতালি পৌছানো হবে। এ আশ্বাস দেন মানব পাচারকারী চক্রের সদস্য গাংনী উপজেলার শালদহ গ্রামের বজলুর রহমানের ছেলে ইতালি প্রবাসী টোকন।

অল্প টাকা খরচে ইতালি গিয়ে উন্নত জীবন যাপনের প্রত্যাশায় একই গ্রামের ৪ যুবক দেড় লাখ টাকা করে ৬ লাখ টাকা তুলে দেন ইতালি প্রবাসী টোকনের পরিবারের কাছে।

তবে, অপরাধ বিশ্লেষকরা বলছেন, লোভে পড়ে প্রতারিত হচ্ছেন মানুষ। আর সচেতনতার অভাবেই এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি হচ্ছে বলে দাবি প্রশাসনের।

মানব পাচারকারী চক্রের সদস্য টোকন ভুয়া ভিসা দিয়ে ৪ যুবককে গত ৩০ জুন লিবিয়া নিয়ে একটি নির্জন কক্ষে প্রায় চার মাস আটক রেখে নির্মম নির্যাতন করে। ভিডিও কলে এই নির্যাতন দেখিয়ে ৪ যুবকের পরিবারের কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছে প্রায় ৯৬ লক্ষ টাকা। অভিযোগ প্রতারিত ওই চার যুবকের।

তাঁরা জানান, লিবিয়ার জনমানবহীন পাহাড়ের নির্জন স্থানে একটি গোডাউনে ৪ যুবককে আটক রেখে নির্যাতন করতো। নির্যাতনের চিত্র ভিডিও কলে পরিবারের লোকজনকে দিয়ে হুমকী দিয়ে দফায় দফায় হাতিয়ে নিয়েছে এই টাকা। পরিবারের লোকজন ৪ যুবকের জীবন বাঁচাতে সহায় সম্বল বিক্রি ও এনজিও থেকে লোন করে তুলে দিয়েছে মানব পাচারকারী টোকনের পরিবারের কাছে।

ওই ৪ যুবকের কাছ থেকে প্রায় কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া আন্তর্জাতিক মানব পাচারকারী চক্রের হোতা ইতালি প্রবাসী টোকনের বিচার দাবি করেছেন ভুক্তভোগীসহ এলাকাবাসি।

ওই ৪ যুবকের কাছ থেকে পাসপোর্ট নিয়ে দেয়া হয় ইতালির ভিসা, এমনকি বিমানের টিকিটও অগ্রিম কাটা হয়। কিন্তু ইমিগ্রেশনে গিয়ে যুবকরা জানতে পারেন সবই ভুয়া। দালালদের প্রলোভনে পড়ে লাখ লাখ টাকা খুইয়ে সর্বস্বান্ত অনেক যুবক।

ইতালি প্রবাসি টোকন। ১০/১২ বছর আগেও ছিলেন সুদানে। পরে সেখান থেকে লিবিয়াতে যান। সেখান থেকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পানি পথে পাড়ি জমান ইতালিতে।

মুঠোফোনে কথা হয় তাঁর নিজ গ্রাম গাংনী উপজেলার শালদহ এলাকার খবির উদ্দীনের ছেলে স্বপন আলী, ইউসুব আলীর ছেলে কামরুজ্জামান, খলিলুর রহমানের ছেলে সামিউল্লাহ ও পার্শ্ববর্তি আলমডাঙ্গা উপজেলার বড়গাংনী গ্রামের মৃতু আনোয়ার হোসেনের ছেলে রফিকুল ইসলামের সঙ্গে।

ভুক্তভোগী স্বপন ও কামরুজ্জামান জানান, কোনো ঝামেলা ছাড়াই তাদের ইতালি পৌঁছে দেয়া হবে, এমন শর্তে টোকনের ভাই আনোয়ার হোসেন আনুর ছেলে আকাশের হাতে তুলে দেওয়া হয় ৪ যুবকের ৬ লাখ টাকা। পাসপোর্টে দেয়ার পর তাঁরা ইতালির ভিসা, একই সঙ্গে কেটে দেই বিমানের টিকিটও।

গত ৩০ জুন ইতালির উদ্দেশে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে নিয়ে যান তাদের। বাংলাদেশ থেকে প্রথমে ভারতের চেন্নাই, তারপর শ্রীলংকা হয়ে দুবাই নিয়ে যায়। দুবাইয়ে একটি হোটেলে ৩ দিন রাখে। তারপর মিশর হয়ে নিয়ে যায় লিবিয়াতে। লিবিয়া একটি স্থানীয় বিমান বন্দরে আমাদের নামিয়ে দেন। সেখান থেকে গাড়িতে করে ৪ দিনের পথ পেরিয়ে নিয়ে যায় ত্রিপুর নামে একটি পাহাড় এলাকায়। নির্জন পাহাড়ের উপর একটি গোডাউনে পৌছে দেই আমাদের। ওই গোডউনে আমাদের মত আরও ৫০/৬০ জন অবস্থান করছেন। ওখানে গিয়েই জানতে পারলাম আমরা প্রতারণার শিকার হয়েছি। তিনি জানান, টাকার লেনদেন টোকনের বাড়িতে বসেই হয়।

ভুক্তভোগী স্বপন আলী বলেন, ‘আমাকে ইতালি পাঠানো হবে এ প্রলোভনে পড়ে আমি প্রতারিত হই। আগে বুঝতে পারিনি, তাহলে এই ফাঁদে পা দিতাম না। আমার কাছ থেকে ২৪ লাখ ২৫ হাজার টাকা নিয়েছে টোকনের ভাইস্তে আকাশ। আমি আমার টাকা ফেরত চাই, আর এ দালালচক্রের বিচার চাই।’

আরেক ভুক্তভোগী কামরুজ্জামান। তিনি বলেন, ‘টোকনের প্রতারণার ফাঁদে পড়ে আমিসহ তিন যুবক সর্বস্বান্ত হয়েছি। কেউ সুদে টাকা এনে, কেউ এনজিও থেকে ঋণ এনে তাকে ৯৬ লাখ টাকা হাতে তুলে দিয়েছে এ প্রতারকদের। এখন ইতালিও নিতে পারছে না, টাকাও ফেরত দিচ্ছে না। এর একটা প্রতিকার দরকার। এ দালালদের বিচারও হওয়া দরকার। প্রশাসনের কাছে জোর দাবি, এই চক্রকে বিচারের মুখোমুখি করা হোক।’

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, টোকনের মূল পাটনার ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার কামারডাঙ্গা গ্রামের ওহিদুর রহমান। তার এলাকায় তাঁকে রহমান নামে চেনে। এই চক্রের আরেক সদস্য ফরিদপুরের তৌহিদুল ইসলাম।

ভূক্তভোগীরা জানান, পানি পথে ইতালিতে নিয়ে যাওয়ার একটা আন্তর্জাতিক মাফিয়া চক্র কাজ করছে। বিমানবন্দর থেকে বিভিন্ন পর্যায়ে তাদের লোক রয়েছেন। বিমানবন্দরে পৌছানোর সাথে সাথে তাদের লোকজন সব ঠিকঠাক করে দেন।
আন্তর্জাতিক সংস্থা “দি হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশ” এর গাংনী এরিয়া সমন্বয়কারী হেলাল উদ্দীন বলেন, লোভে পড়েই বার বার প্রতারিত হচ্ছেন এলাকার শত শত যুবক। এক্ষেত্রে মানুষের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। তবে, প্রশাসনের উচিৎ বিষয়গুলো নজরে এলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া।

এ বিষয়ে জানতে টোকনের বাড়িতে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি। ওই চার যুবক দেশে ফেরার সাথে সাথে তাঁর স্ত্রী পালিয়ে গেছে বাবার বাড়ি। তবে, তার মা শাহিদা খাতুনের সাথে কথা হয়। তিনি বলেন, এই বাড়ি আমার। আমার ছেলে ওই চার যুবককে নিয়ে গেছে। তারা লিবিয়া থেকে জোর করেই ফিরে এসেছে। ফেরার আগে আমাদের কাছে লিখিত দিয়েছে তারা আইনগত কোনো ব্যবস্থা নেবেনা বলে। তবে, আরেক অভিযুক্ত টোকনের ভাইস্তে আকাশ পালিয়ে গেছে।

এলাকাবাসি জানান, টোকন এক সময় তার ভাইদের সাথে গাড়ি চালিয়ে জীবন ধারণ করলেও এখন সে গ্রামেই ডুপ্লেক্্র আলীশান বাড়ি তৈরী করেছে।

সরেজমিনে শালদহ গিয়ে দেখা গেছে, তার বাড়ির নাম দিয়েছেন “টোকন আলীশান বাড়ি”।

এদিকে প্রতারিত ওই ৪ যুবক আদালতে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

প্রশাসন বলছে, এমন ঘটনা থামাতে জনপ্রতিনিধিদের আন্তরিকতার পাশাপাশি প্রয়োজন পরিবারেরও সচেতনতা।
গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বনী ইসরাইল বলেন, ‘এমন ঘটনায় আদালতে দায়ের করা একাধিক মামলা তদন্ত করছে পুলিশ। এছাড়া, প্রত্যেকটি মামলা নিখুঁতভাবে তদন্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেছে। অনেকেই গ্রেফতারও হয়েছে। বেকার যুবকরা সচেতন হলে এসব প্রতারকের হাত থেকে রক্ষা পেতে পারে। সচেতনতার বিকল্প কিছুই নেই।’




কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে দুই ভাইকে কুপিয়ে হত্যা

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে হামিদ মন্ডল (৫০) ও নজরুল ইসলাম মন্ডল (৪৫) নামে দুই ভাইকে কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন। এ ঘটনায় জামাল, আসমত, আকবর গুরুতর আহত অবস্থায় কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

আজ বুধবার (৩০ অক্টোবর) বিকেলে উপজেলার ছাতারপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত হামিদ মন্ডল ও নজরুল ইসলাম মন্ডল দৌলতপুর উপজেলার খলিশাকুন্ডি ইউনিয়নের ছাতারপাড়া গ্রামের রমজান মন্ডলের ছেলে।

নিহতের পরিবার, পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পূর্ব শত্রুতা ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই ভাইকে কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন। এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও মারধর করে পালিয়ে যায় হামলাকারীরা। গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।

দুই ভাইকে হত্যার ঘটনায় এলাকায় থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে। যে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি সামাল দিতে পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। নিহতের পরিবার হত্যাকারীদের দ্রুত ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

দৌলতপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ আওয়াল কবির জানান, পূর্বশত্রুতার জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অপরাধীদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে।




চুয়াডাঙ্গায় ৬ বিজিবির অভিযানে ৬টি স্বর্ণের বার উদ্ধার

বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি) এর সদস্যরা চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা সীমান্তে অভিযান চালিয়ে ৮৭০ গ্রাম ওজনের ৬টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করেছে।

আজ বুধবার সন্ধ্যা ৬ টার সময় বিজিবির চুয়াডাঙ্গা-৬ ব্যাটালিয়নের পক্ষ থেকে গণমাধ্যম কর্মীদেরকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, বিজিবি সদস্যরা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারেন চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলার অন্তর্গত হুদাপাড়া মাছপাড়া নামক স্থান দিয়ে স্বর্ণের একটি চালান পাচার করা হবে। এ সংবাদের ভিত্তিতে চুয়াডাঙ্গা-৬ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্ণেল সাঈদ মোহাম্মদ জাহিদুর রহমানের পরিকল্পনা এবং দিক-নির্দেশনা মোতাবেক হুদাপাড়া বিওপির টহল কমান্ডার হাবিলদার মো. মজনুল করিম সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে সীমান্তের ৯৫/৩-এস পিলার হতে আনুমানিক ২০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে মাছপাড়া নামক স্থানে অবস্থান নেয়। দুপুর পৌনে ২ টার সময় সন্দেহভাজন এক ব্যক্তি মোটরসাইকেলযোগে উক্ত এলাকা দিয়ে সীমান্তের দিকে যেতে দেখে বিজিবি সদস্যরা তাকে চ্যালেঞ্জ করে।

এ সময় চালক মোটরসাইকেলটি ফেলে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে বিজিবি সদস্যরা চোরাকারবারীর ফেলে যাওয়া মোটরসাইকেল তল্লাশি করে মোটরসাইকেলের সাইলেন্সার পাইপের মধ্যে অভিনব কায়দায় লুকায়িত অবস্থায় স্কচটেপ দ্বারা মোড়ানো ১টি প্যাকেট উদ্ধার করে। উদ্ধারকৃত প্যাকেটের ভেতর থেকে ৮৭০ গ্রাম ওজনের ৬টি স্বর্ণের বার জব্দ করে। জব্দকৃত স্বর্ণের বারগুলি চুয়াডাঙ্গা ট্রেজারী অফিসে জমা করার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।