ঝিনাইদহে জোরপুর্বক জমি দখলের অভিযোগ

ঝিনাইদহ সদর উপজেলার পাগলা কানাই ইউনিয়নের বাড়ীবাথান গ্রামে জমি জোরপূর্বক দখল করে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। জমি দখল করে জমিতে থাকা বিভিন্ন প্রজাতির গাছও কেটে নিয়েছে শাহজাহান ও আফজাল নামের দুই ভুমিদস্যু।

আজ বুধবার সকাল ও  গতকাল মঙ্গলবার বাড়ীবাথান গ্রামের দর্গাপাড়া বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী ঝিনাইদহ পুলিশ লাইন্স স্কুলের অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর রফিকুল আলম খালেক জানানা, পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া তিনি গ্রামের ৪০ শতক জমিতে ৫০ বছর ধরে আবাদ করে আসছেন। একই মৌজার এই জমিতে ফলজ ও বনজ গাছ ছিলো। কিন্তু প্রতিবেশী ভুমিদস্যু দরবেশ মন্ডলের ছেলে শাজাহান ও প্রতিবেশী আফজাল, শাহীনসহ আরও কিছু লোকজন জমি দখল করে নেয়। জমিতে থাকা ১৫ টি মেহগনি ও ৬ টি কাঠাল গাছ কেটে নিয়েছে।

ভুক্তভোগী রফিকুল আলম খালেক বলেন, আমরা আমাদের ন্যায্য জমিতে আবাদ করছিলাম। গায়ের জোরে এই জমি দখল করে নিয়েছে। এখন আমরা জমিতে গেলে হত্যার হুমকি দিচ্ছে। এর আগেও জমিতে মামলা করেছিলো। সেই মামলায় হেরে যাওয়ার পর এখন জোর করে জমি দখল করেছে। আমি থানায় অভিযোগ দিয়েছি। গত ২৪ সেপ্টেম্বর ঝিনাইদহ থানায় একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে শাহজাহানকে জমিতে যেতে নিষেধ করে দেয়। কিন্তু সেই আদেশ না মেনে দুই দিন ধরে গাছ কেটে জমি দখল করে নিয়েছে। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই আমি।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত শাহজাহান বলেন, জমি আমার তাই আমি গাছ কেটে নিয়েছি।

ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি শাহীন উদ্দিন বলেন, গাছ কাটার সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছিলাম। পুলিশ গিয়ে গাছ কাটা বন্ধ করে উভয় পক্ষকে শান্ত থাকার নির্দেশ দিয়েছে। পরবর্তীতে তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।




দর্শনায় প্রধান শিক্ষক নাসির উদ্দীনের বিরুদ্ধে ছাত্র-ছাত্রীদের মানববন্ধন

চুয়াডাঙ্গা জেলার দর্শনা মেমনগর বিপ্রদাশ মাধ্যামিক বিদ্যালয়ের দৃর্নীতিবাজ প্রধান শিক্ষক নাসির উদ্দীন আহমেদের বিরুদ্ধে অর্থ আত্নসাতের নিরিক্ষা ও তদন্তের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্টিত হয়েছে।

আজ বুধবার (২ অক্টোবর) সকাল ১১ টার দিকে দর্শনা প্রেসক্লাবের সামনে ছাত্র ছাত্রীরা মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে।

শিক্ষার্থীরা এ সময় বলেন, চুয়াডাঙ্গা ২ আসনের এমপি আলী আজগার টগরের যোগসাজশে স্কুলের বিভিন্ন ফান্ডের টাকা আত্নসাত করেছে বলে ছাত্র ছাত্রীরা অভিযোগ করেন। এমপির দাপটে ল্যাবের ভিতরে ছাত্র ছাত্রীদের ভিতরে ঢুকতে দেয়নি। প্রধান শিক্ষক নাসির উদ্দীনের বিরুদ্ধে ছাত্র ছাত্রীরা বলেন স্কুলের বিভিন্ন বাজেট আসে সে সব টাকাও আত্নসাত করেছে বলে অভিযোগ করে।এ সব দৃর্নীতিবাজ শিক্ষককে তদন্ত পৃর্বক ও প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগের দাবিতে মানববন্ধন করে ছাত্র ছাত্রীরা। পরে ছাত্র ছাত্রীরা দর্শনা শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদিক্ষন ও বিক্ষোভ মিছিল করে।এ মানববন্ধন আয়োজন করে প্রক্তন ও অধ্যয়নরত ছাত্র ছাত্রীরা ।

এ বিষয়ে মেমনগর বিপ্রদাশ মাধ্যামিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাসির উদ্দীনের সাথে যোগাযোগ করা হলে মুঠো ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

এ বিষয়ে মেমনগর স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক একরামুল হক বলেন,অর্থ আত্নসাতের বিষয় তদন্তের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। এছাড়া জেলা শিক্ষা অফিস ডিসি অফিস ও প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্বারকলিপি প্রদান করেছি।

এ বিষয়ে দামুড়হুদা উপজেলা মাধ্যামিক শিক্ষা অফিসার এস এম বজলুর রশিদকে কয়েকবার ফোন দিলেও ফোন রিসিভ করেনি।




হরিণাকুন্ডুতে সাপের কামড়ে যুবকের মৃত্যু

ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডুতে সাপের কামড়ে হাবিবুর রহমান (২৬) নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

গতকাল বুধবার রাত সাড়ে ৩ টার দিকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। হাবিবুর রহমান পেশায় রাজমিস্ত্রী। তিনি রায়পাড়া উপজেলার  ভাতুড়িয়া গ্রামের মৃত শমসের আলীর ছেলে।

প্রতিবেশী শামসুল ইসলাম জানান, হাবিবুর রহমান রাতে নিজ ঘরে ঘুমিয়ে ছিলো। রাত দেড় টার দিকে বিষধর সাপ তাকে ছোবল দেয়। জ্বালাযন্ত্রনা শুরু হলে পরিবারের লোকজন তাকে নিয়ে প্রথমে স্থানীয় এক ওঝার কাছে নেওয়ার চেষ্টা করে। অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে আনা হয়। রাত সাড়ে ৩ টার দিকে সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।

হরিণাকুন্ডু থানার ওসি মোহাম্মদ জিয়াউর রহমান মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।




মেহেরপুরে বিসিডিএসের আহবায়ক কমিটির কার্যনির্বাহী সভা অনুষ্ঠিত

বাংলাদেশ কেমিস্টস এন্ড ড্রাগিস্ট সমিতি মেহেরপুর জেলা শাখার আহবায়ক কমিটির প্রথম কার্যনির্বাহী সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ বুধবার (২ অক্টোবর ) দুপুরের দিকে লাইফ কেয়ার ডি ল্যাবের অফিস কক্ষে এ কার্যনির্বাহী সভা অনুষ্ঠিত হয়।

কার্যনির্বাহী সভায় আহবায়ক রিনুর সভাপতিত্বে আলোচ্য বিষয় তুলে ধরা হয়, সাবেক কমিটির কাছ থেকে হিসাব বিবরণী নেওয়া, মেহেরপুর জেলার তিন উপজেলায় নতুন করে আহবায়ক কমিটি গঠন করা, মেহেরপুর জেলার ওষুধ ব্যবসায়ীগণের কোন সমস্যা থাকলে আহবায়ক রিনুর সাথে মোবাইলে ( ০১৭১১-৩১২২৩৫) যোগাযোগ করে অবগত করা, হালনাগাদ ভোটার তালিকা করা।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কেমিস্টস এন্ড ড্রাগিস্ট সমিতি কার্যনির্বাহী সদস্য কাজী খয়রুদ্দিন আহমেদ, ইসমাইল হোসেন, ইমন বিশ্বাস, বেনজীর আহমেদ ও সাইফুল ইসলাম।




কুষ্টিয়ায় কলেজ ছাত্রকে হাত-পা বেঁধে ছাদ থেকে ফেলে হত্যা

কুষ্টিয়া শহরের একটি চারতলা ভবনের ছাদ থেকে ফেলে রুবেল হোসেন (২২) নামে এক কলেজছাত্রকে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে কোর্টপাড়া এলাকার বনফুড গলিতে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত কলেজছাত্র রুবেল হোসেন কুমারখালী উপজেলার শিলাইদহ ইউনিয়নের মির্জাপুর গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে। সে কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের পাওয়ার ডিপার্টমেন্টের ৬ষ্ঠ সেমিস্টারের ছাত্র ছিলেন। কুষ্টিয়া শহরের কোর্টপাড়া এলাকার একটি চারতলা ভবনের তৃতীয় তলায় ছাত্রাবাসে থাকতেন তিনি।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, রশি দিয়ে হাত-পা ও কাপড় দিয়ে মুখ বাধা অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে স্থানীয়রা। অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যাওয়ার পথে রাত সাড়ে ১২টার দিকে রুবেলের মৃত্যু হয়।

নিহত রুবেলকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া মেসের বাসিন্দা আনিসুর রহমান বলেন, তিন তলায় তিনটি রুমে আমরা ৯ জন থাকতাম। রুবেলের রুমে তিনজন থাকত। রাত আনুমানিক সাড়ে ১০টার দিকে চিৎকারের শব্দ শুনে নিচে নেমে এসে দেখি হাত-পা ও মুখ বাধা অবস্থায় রুবেল পড়ে আছে। তখন স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসি। অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসক তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠাতে বলেন।

কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক মিঠুন চক্রবর্তী বলেন, আশঙ্কাজনক অবস্থায় রাত ১১টার দিকে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। মাথায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।

কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আবু রাসেল বলেন, রশি দিয়ে হাত-পা ও কাপড় দিয়ে মুখ বাধা অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে স্থানীয়রা। পরে তাকে রাজশাহী নেওয়ার পথে মারা যায়। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।




এইচএসসি পাসে সুপারভাইজার নিচ্ছে আগোরা

নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে সুপার শপ আগোরা লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটির পেরিশেবল/ফুড/নন ফুড বিভাগ সুপারভাইজার পদে একাধিক জনবল নিয়োগ দেবে প্রতিষ্ঠানটি।

প্রতিষ্ঠানের নাম : আগোরা লিমিটেড

পদের নাম : সুপারভাইজার পদসংখ্যা : নির্ধারিত নয় অভিজ্ঞতা : কমপক্ষে ০৩ বছর

বয়সসীমা : উল্লেখ নেই

কর্মস্থল : চট্টগ্রাম, ঢাকা, সিলেট (সিলেট সদর)

বেতন : আলোচনা সাপেক্ষে

আবেদন শুরুর তারিখ : ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪

কর্মঘণ্টা : ফুলটাইম

কর্মক্ষেত্র : সুপার শপে

প্রার্থীর ধরন : নারী-পুরুষ (উভয়)

আবেদনের শেষ সময় : ২৬ অক্টোবর ২০২৪

শিক্ষাগত যোগ্যতা : এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ

অন্যান্য যোগ্যতা : গ্রাহক সেবা ও স্টক যাচাইকরণে দক্ষতা অন্যান্য সুবিধা : প্রতি বছর বেতন পর্যালোচনা, বছরে ২টি উৎসব বোনাস।

যেভাবে আবেদন করবেন : আগ্রহীরা আবেদন করতে ও বিস্তারিত বিজ্ঞপ্তিটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন।
সূত্র: কালবেলা




মেহেরপুরে তিনটি দোকানে ভোক্তার অভিযান জরিমানা আদায়

ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে মূল্য তালিকা প্রদর্শন না করা ও মেয়াদ উত্তীর্ণ পণ্য রাখার অপরাধে তিনটি মুদি দোকানে অভিযান চালিয়ে ১৩ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।

আজ বুধবার (২ অক্টোবর) দুপুরে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, মেহেরপুর জেলা কার্যালয় মেহেরপুর শহরের বড়বাজার এলাকায় এই অভিযান পরিচালনা করে।

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সজল আহমেদ জানান, পুর্বে সতর্ক করা স্বত্ত্বেও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মুল্যতালিকা প্রদর্শন না করার অপরাধে মেসার্স গিয়াস বাণিজ্যালয়কে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৩৮ ধারায় ২ হাজার, মেসার্স জুয়েল স্টোরকে ১ হাজার টাকা ও মেয়াদ উত্তীর্ণ পণ্য রাখার অপরাধে মেসার্স বিশ্বাস স্টোরের মালিককে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনের ৩৮ ও ৫১ ধারায় ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

অভিযান সহযোগিতায় ছিলেন জেলা নিরাপদ খাদ্য কর্মকর্তা মো: রিয়াজ মাহমুদ ও মেহেরপুর জেলা পুলিশের একটি টিম।

অভিযান চলাকালিন সময়ে ব্যবসায়ীদের আইন মেনে ব্যবসা পরিচালনা, মুল্যতালিকা প্রদর্শন ও ক্রয় বিক্রির ভাউচার সংরক্ষণ এবং অতিরিক্ত দাম নেয়া থেকে বিরত থাকার জন্য সতর্ক করা হয়েছে।




ক্ষুধা লাগলে যে কারণে মেজাজ খিটখিটে থাকে

ক্ষুধার্ত অবস্থায় আমাদের মধ্যে ক্লান্তি, বিভ্রান্তি বা রাগের মতো আবেগগুলো সক্রিয় হয়ে ওঠে। আর এসব কিছুর জন্য দায়ী হলো চিনি-বিশেষত গ্লুকোজ, যা আমাদের রক্তে সঞ্চালিত হয়। যখন এর মাত্রা কমে যায়, তখন আমাদের শরীর তা পুনরুদ্ধারে ধারাবাহিক কিছু প্রতিক্রিয়া দেখায়।

কিন্তু গ্লুকোজ ঠিক কী ভূমিকা পালন করে? এটি কেন এত গুরুত্বপূর্ণ?

এই ধরনের চিনি আমাদের অঙ্গ তৈরি করা কোষের শক্তির প্রধান উৎস। উদাহরণ দিয়ে বলা যায়, এর ওপর মস্তিষ্ক প্রায় একচেটিয়াভাবে নির্ভর করে। এটা ছাড়া মস্তিষ্ক তৈরি করা ১০০ বিলিয়ন স্নায়ু কোষ নিজেদের কাজ ভালোভাবে করতে পারবে না।

দুর্বল ও খিটখিটে বোধ করা, মাথা ঘোরা এবং মনোযোগে অসুবিধার মতো বিষয়গুলো দিয়ে বোঝা যায় যে মস্তিষ্ক পর্যাপ্ত পরিমাণে গ্লুকোজ পাচ্ছে না।

আর এই মাত্রা অনেক বেশি বেড়ে গেলে অর্থাৎ খুব দীর্ঘ সময়ের জন্য চিনি সরবরাহে ঘাটতি হলে মানুষ কোমাতেও চলে যেতে পারে।

আবেগ পরিচালনাকারী কর্টিসল

কিছু লক্ষণ আছে যা রক্তে শর্করার মাত্রা ফিরিয়ে আনতে আমাদের যে খেতে হবে, সেই সংকেত প্রদান করে থাকে এবং বিভিন্ন পুষ্টির গন্তব্য অর্থাৎ আমাদের শরীর জুড়ে ছড়িয়ে থাকা কোষে পৌঁছানোর মহাসড়ক হয়ে কাজ করে। এই ধরনের পরিস্থিতিতে ধারাবাহিকভাবে বেশকিছু মনস্তাত্ত্বিক প্রতিক্রিয়া ঘটে।

মলিকিউলার পর্যায়ে বিভিন্ন হরমোন নিঃসৃত হয়। এগুলোর একটি ঘ্রেলিন, যা পাকস্থলীর কোষ থেকে উৎপাদিত হয়ে হজমের প্রক্রিয়ায় কাজ করে। এই প্রাকৃতিক যৌগ ক্ষুধার অনুভূতি সৃষ্টি করে এবং খাবার গ্রহণের মাধ্যমে শরীর শক্তি পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে।

কিন্তু আমরা কেন খাচ্ছি না সেই পরিস্থিতি না জেনেই ঘ্রেলিন সমান্তরালেই পরোক্ষভাবে অ্যাড্রিনাল গ্রন্থি দ্বারা উৎপাদিত চাপ সৃষ্টিকারী কর্টিসলকে উদ্দীপিত করে।

রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়াতে কর্টিসল গ্লুকোনোজেনেসিস নামে পরিচিত একটি প্রক্রিয়া সৃষ্টি করে। এটি লিভারে সঞ্চিত ফ্যাটি অ্যাসিড এবং প্রোটিনের ভাঙ্গন থেকে গ্লুকোজ উৎপাদনের উপর নির্ভর করে এবং দ্রুততার সঙ্গে আমাদের শরীরে শক্তি সরবরাহ করে।

ক্ষুধার্ত অবস্থায় রক্তে কর্টিসলের উপস্থিতি মস্তিষ্কের কার্যকারিতাকে প্রভাবিত করে, অনেকটা পুতুলের মতো খেলায়। এটি ইতিবাচক আবেগ এবং চাপের উপলব্ধির সঙ্গে সম্পর্কিত ডোপামিন এবং সেরোটোনিনের মতো নিউরোট্রান্সমিটারের মাত্রা পরিবর্তন করে। এই সম্মিলিত প্রভাবের ফলেই ক্ষুধার্ত থাকা অবস্থায় স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বিরক্ত বা রাগ লাগে।

কেবল মানুষের ক্ষেত্রেই এমন হয় না। জেব্রাফিশের আচরণ নিয়ে করা এক গবেষণায় দেখা গেছে, ক্ষুধার্ত বোধ করলে এই প্রাণীগুলোও আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে।

বিবর্তনের কারণে পরিবর্তিত আচরণ

যেমনটি আমরা দেখেছি, আমাদের মেজাজ অনেক জৈব রাসায়নিক মিথস্ক্রিয়া ফলাফল, আর একটি হরমোন আছে যে এর প্রধান চরিত্র, এনিয়ে আমরা এখনও কথা বলিনি।

আপনি সম্ভবত আপনার জীবনের কোনো ক্ষেত্রে এটি নিয়ে শুনেছেন, বিশেষ করে মারাত্মক খেলাধুলার ক্ষেত্রে। আপনি ঠিক অনুমান করেছেন, এর নাম অ্যাড্রেনালিন।

কর্টিসলের মতো এটিও অ্যাড্রিনাল গ্রন্থি দ্বারা উৎপাদিত হয় এবং চাপযুক্ত পরিস্থিতির সাথে যুক্ত। এটি শরীরের ‘লড়ুন বা পালান’ ভূমিকার জন্য পরিচিত, যা মূলত হুমকির মুখে একটি শারীরবৃত্তীয় প্রতিক্রিয়া।

ক্ষুধার্ত অবস্থায় অ্যাড্রেনালিন এবং কর্টিসল উভয়ই একসাথে আমাদের মেজাজকে প্রভাবিত করে এবং আমাদের আরও রাগান্বিত বা বিরক্ত করে তোলে। এর একটি বিবর্তনীয় ব্যাখ্যা আছে বলে মনে করা হয়: খাদ্য ঘাটতি থেকে বাঁচার জন্য- এবং এভাবে সেই সব সম্পদের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বীদের সাথে প্রতিযোগিতা করার জন্য– সেই সময়কার শিকারি বা খাবার সংগ্রহকারীদের জন্য আক্রমণাত্মক হওয়া সুবিধাজনক ছিল।

আজকাল যদিও আমরা আর খাবারের জন্য একইভাবে প্রতিযোগিতা করি না, তবে ক্ষুধা লাগলে শরীর কীভাবে প্রতিক্রিয়া দেখায় তা জানা থাকলে আবেগকে সামলানো সহজ হতে পারে।

আপনি যদি রাগান্বিত বা বিরক্ত বোধ করতে শুরু করেন তবে মনে রাখবেন- এটি না খেয়ে থাকার কারণে হতে পারে। নিজের সঙ্গে স্বাস্থ্যকর খাবার রাখা কেবল শক্তিই জোগাবে না, এটি আপনাকে আরও ভারসাম্যপূর্ণ মেজাজে রাখতেও সহায়তা করবে।

সূত্র: ইত্তেফাক




মাশরাফির উপস্থিতিতে অস্ত্র দেখিয়ে আমাকে হুমকি দেওয়া হয়: সারোয়ার

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) দল সিলেট স্ট্রাইকার্সের মালিকানা অস্ত্রের মুখে দখলের অভিযোগ উঠেছে জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক এবং সাবেক সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মর্তুজার বিরুদ্ধে। সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সিলেট স্ট্রাইকার্সের সাবেক মালিক সারোয়ার চৌধুরী ফ্র্যাঞ্চাইজি দলটির সাবেক অধিনায়কের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

যদিও এক বিবৃতিতে অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে সিলেট কর্তৃপক্ষ। তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক দীর্ঘ স্ট্যাটাসে নিজের অবস্থান পরিস্কার করেছেন অভিযোগকারী সারোয়ার। দ্রুতই প্রেস কনফারেন্সের মাধ্যমে সব কিছু বিস্তারিত জানাবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।

বুধবার (২ অক্টোবর) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে সারোয়ার লেখেন, আপনারা অনেকেই হয়তো আমাকে চিনবেন সিলেট স্ট্রাইকারস-এর মাধ্যমে। ২০২৩ বিপিএলে সিলেট স্ট্রাইকারস নিজেদের প্রথম সিজনেই ফাইনাল খেলে, রানার্স আপ হয়। মাঠের সফলতা ছিল অসাধারণ, কিন্তু আমার কাছে ব্যক্তিগতভাবে সবচেয়ে বড় অর্জন ছিল আমাদের দেশি খেলোয়াড়দের চমৎকার পারফরম্যান্স।

দ্বিতীয় মৌসুমে বাধার মুখোমুখি হওয়ার অভিযোগ তুলে তিনি আরও লেখেন, মাঠে খেলা ভালোই হয়েছিল, তাই না? সফল একটা সিজন গড়েছিলাম আমরা। সেই সিজনে আমি ছিলাম দলের চেয়ারম্যান; স্বপ্ন বড় হচ্ছিল, স্বপ্ন ছিল বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য। কিন্তু ২০২৪ সালের বিপিএলের আগে হঠাৎ করেই এক অপ্রত্যাশিত বাঁধার মুখোমুখি হই। মাঠের সফলতা সত্ত্বেও আমি পরের সিজনে দলের সাথে থাকতে পারিনি, তারা আমাকে থাকতে দেয় নাই। এবং সিলেট ৭ দলের মধ্যে ৬ নাম্বার পজিশনে থেকে বিপিএলটা শেষ করে। আর সিলেট যে আগের সিজনের মত উজ্জীবিত ছিল না, এমনটা দর্শকরাই মনে করেছেন এবং প্রফেশনালিজমের অভাব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন।

এরপর মাশরাফির সঙ্গে পরিচয় প্রসঙ্গে সারোয়ার লেখেন, আমি মূলত আমেরিকায় ব্যবসা করি, এছাড়াও আমি নিউইয়র্কভিত্তিক (NYBCL Cricket League) এনওয়াইবিসিএল এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং দীর্ঘ ৫ বছর এই প্রতিষ্ঠানের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি এবং নিউইয়র্ক ভিত্তিক বাংলাদেশ ক্রিকেট লীগে আমার হেলাল বিন ইউসুফের সাথে পরিচয় এবং তার মাধ্যমেই আমার মাশরাফি বিন মর্তুজার সাথে পরিচয় হয়। হ্যাঁ, মাশরাফি বিন মর্তুজা বাংলাদেশ দলের আমার অন্যতম প্রিয় একজন প্লেয়ার ছিলেন। আর সেই প্রিয় প্লেয়ার যখন নিজেই আমাকে বিপিএলে দল নেওয়ার আহ্বান করলেন, তখন আমি সানন্দে, বিশ্বাসের সাথে তা গ্রহণ করলাম। কিন্তু তখনও আমি জানতাম না যে এক পর্যায়ে যেয়ে, যাকে আমি এতটা পছন্দ করতাম সেই মাশরাফির রাজনৈতিক অফিসে, তার এবং যার মাধ্যমে এখানে আশা সেই হেলাল বিন ইউসুফে শুভ্রের উপস্থিতিতে অবরুদ্ধ করে এবং অস্ত্র দেখিয়ে আমাকে হুমকি দেওয়া হবে। আমি বিশ্বাস করতে পারছিলাম না-যাকে এতটা ভালোবাসতাম, সেই মানুষই এমনভাবে আমার বিরুদ্ধে দাঁড়াবে! এটা ছিল আমার জীবনের সবচেয়ে দুঃসহ অভিজ্ঞতা।

তিনি আরও লেখেন, মাশরাফি বিন মর্তুজা এতদিন বাংলাদেশের অন্যতম প্রভাবশালী ব্যক্তিদের একজন ছিলেন। ক্রিকেটার হিসেবে তার অবশ্যই অনেক জনপ্রিয়তা ছিল/আছে। আমি নিজেও উনার এই অজানা হিংস্র চরিত্র দেখার আগে অনেক বড় ফ্যান ছিলাম এবং আমি জানি তখন হয়তো কেউ অভিযোগ করলে আমারও বিশ্বাস করতে কঠিন হত। আমার জন্য সবচেয়ে কঠিন বিষয় ছিল মাশরাফিকে নতুনভাবে দেখা। তিনি শুধু বাংলাদেশ দলের সাবেক অধিনায়কই নন, তিনি তখন সরকার দলীয় এমপি, এবং সেই সরকার ছিল স্বৈরাচারী। এমন একজন প্রভাবশালী ব্যক্তির বিরুদ্ধে দাঁড়ানো প্রায় অসম্ভব ছিল। তাই আমি আমার এবং আমার পরিবার-পরিজনের যারা অনেকেই বাংলাদেশেই বসবাস করেন তাদের নিরাপত্তার কথা ভেবে কিছু করতে পারিনি।

গুম হওয়ার ভয়ে এতদিন আইনি লড়াইয়ে নামেননি উল্লেখ করে তিনি লেখেন, বিশেষ করে আমাকে যখন অবরুদ্ধ করে হুমকি দেওয়া হল, এবং সেই সময় সরকারের প্রভাবশালী কারও বিরোধিতা করলে গুম হওয়া খুব অবাস্তব আশঙ্কা ছিল না। তাই হুমকি আমাকে সিরিয়াসভাবেই নিতে হয়েছে। কিন্তু এখন? এখন সময় বদলেছে, ছাত্রদের নেতৃত্বে ছাত্র-জনতার গণ-আন্দোলনের সফলতার পর দেশ নতুন আলোর দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, এখন আমি ন্যায়বিচার পাবার ব্যাপারে আশাবাদী। আমি বিশ্বাস করি বাংলাদেশ ক্রিকেট এবং বাংলাদেশ একদিন সমস্ত বাধা অতিক্রম করবে। জীবনের হুমকি একবার সামনে আসার পর স্বাভাবিকভাবে নিরাপত্তার চিন্তা রয়েই যায়। কিন্তু মহান আল্লাহর উপর ভরসা রেখে আমি আইনি লড়াইয়ে নেমেছি এবং লড়াই চালিয়ে যাব, আমি শীঘ্রই একটি প্রেস কনফারেন্সের মাধ্যমে সবকিছু পরিষ্কারভাবে তুলে ধরব, ইনশা আল্লাহ্‌। আশা করি আপনারা পাশে থাকবেন এবং আমাদের জন্য দোয়া করবেন।

এর আগে সিলেট স্ট্রাইকার্সের ফেসবুক পেজে একটি বিবৃতিতে মাশরাফির মালিকানা দখলের অভিযোগ দেয়। বিবৃতিতে বলা হয়, সিলেট স্ট্রাইকার্সের এক শতাংশের মালিকানাও মাশরাফি বিন মর্তুজার কখনো ছিল না। এখনও নেই। জোর করে মালিকানা লিখে নেওয়ার প্রশ্নই আসে না। ফ্র্যাঞ্চাইজির মালিকানার যে কাগজপত্র বিসিবির কাছে আছে, সেখানেও মাশরাফির নাম নেই।

সূত্র: ইত্তেফাক




গাংনীতে অন্যকে ফাঁসাতে গিয়ে অস্ত্রসহ ১জন আটক

মেহেরপুরে গাংনীতে অন্যকে ফাঁসাতে গিয়ে রাশেদুল ইসলাম (৪৬) নামের এক ব্যক্তিকে আটক করেছে র‌্যাব। গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত সোয়া ২ টার দিকে র‌্যাব-১২ এর মেহেরপুর ক্যাম্পের সদস্যরা গাংনী উপজেলার জুগিন্দা গ্রামে অভিযান চালিয়ে রাশেদুলকে অস্ত্রসহ আটক করে।

এসময় ১টি ওয়ান শার্টারগান ও ১টি হাসুয়া উদ্ধার করা হয়।

আটককৃত রাশেদুল জেলার গাংনী উপজেলার ধানখালা ইউনিয়নের জুগিন্দা গ্রামের মৃত কুদরত উল্লাহ ওরফে ভাদু মীরের ছেলে।

আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র‌্যাব-১২ এর মেহেরপুর ক্যাম্প কমান্ডার ও সহকারি পুলিশ সুপার এনামুল হক।

তিনি জানান, পূর্ব শত্রুতার কারণে আটককৃত রাশেদুল ইসলাম জুগিন্দা গ্রামের মৃত হানিফ শেখের ছেলে আব্দুল আলীম শেখকে ফাঁসানোর জন্য তার বসত ঘরের দক্ষিণ পাশে একচালা টিনের ছাউনি ও বাঁশের চাটাইয়ের বেড়া দ্বারা নির্মিত রান্না ঘরের ভিতরে ১টি শার্টারগান ও ১টি হাসুয়া লুকিয়ে রেখেছিল। তারপর সে কৌশলে র‌্যাবকে খবর দেয়। তার তথ্যের ভিত্তিতে অভিযানের সময় রাশিদুলের কথাবার্তা সন্দেহ মনে হলে তাকে আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদে অন্যকে ফাঁসানোর কথা স্বীকার করে ।

আটককৃত আসামীকে আলামত সহ গাংনী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।