রপ্তানিতে সরকারি প্রণোদনা ঔষধ শিল্পকে এগিয়েছে

ঔষধ শিল্প বর্তমানে বাংলাদেশের একটি দ্রুত বিকাশমান শিল্পখাত। স্বাধীনতা অর্জনের পর বাংলাদেশের ঔষধ শিল্প মূলত আমদানীর উপর নির্ভরশীল ছিল। যার ফলে উচ্চ মূল্যে ঔষধ ক্রয় করতে হত।

বাংলাদেশে বর্তমানে দেশের চাহিদার প্রায় ৯৮% ঔষধ দেশে উৎপাদিত হয় এবং শুধুমাত্র দেশে উচ্চ প্রযুক্তির ঔষধ প্রোডাক্ট আমদানি করা হয়। বাংলাদেশ ইতোমধ্যে ঔষধ আমদানীকারক দেশ হতে রপ্তানিকারক দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে এবং সারা বিশ্বে সুনাম অর্জন করেছে।

বাংলাদেশের ৫৪টি ঔষধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান বর্তমানে বিভিন্ন প্রকারের ঔষধ ও ঔষধের কাঁচামাল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, রাশিয়া, ফ্রান্স, জার্মানী, অস্ট্রেলিয়া, জাপান, সুইজারল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, কানাডা সহ ১৫৭টি দেশে রপ্তানি করছে।

সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ ও সার্বিক সহযোগিতায় ঔষধ রপ্তানির পরিমাণ উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাংলাদেশ হতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ম্যালেরিয়া, টিউবারকুলোসিস, ক্যান্সার, লেপ্রোসি-সংক্রান্ত; পেনিসিলিন এবং স্ট্রেপটোমাইসিন সহ অন্যান্য ঔষধ রপ্তানি করা হয়ে থাকে।

সাম্প্রতিক বৈশ্বিক মহামারীতে বাংলাদেশের ঔষধ কোম্পানীগুলো অন্তত ৩০ কোটি মূল্যের এন্টিকোভিড মেডিসিন দক্ষিণ এশিয়া, ল্যাটিন আমেরিকা, আফ্রিকার দেশসমূহ সহ অন্যান্য দেশে রপ্তানি করেছে।

বিগত ৫ বছরের ঔষধ রপ্তানীর তথ্য—২০১৮ সালে ১১৩ দেশে রপ্তানীর পরিমাণ ছিল ৩৫১৪.৩ কোটি, ২০১৯ সালে ১৪০ দেশে রপ্তানীর পরিমাণ ছিল ৪০৯০.৯ কোটি ২০২০ সালে ১৪৬ দেশে রপ্তানীর পরিমাণ ছিল ৪১৫৫.৪ কোটি,২০২১ সালে ১৪৮ দেশে রপ্তানীর পরিমাণ ছিল ৬৫৭৫.৮ কোটি, ২০২২ সালে ১৫৭ দেশে রপ্তানীর পরিমাণ ছিল ৬৬৩৭.৭ কোটি টাকা [তথ্যসূত্র : ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের বার্ষিক প্রতিবেদন]

ঔষধ রপ্তানি বৃদ্ধির অন্যতম কারণসমূহ হিসেবে আছে প্রথমত, ঔষধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানগুলো কর্তৃক GMP Compliance অনুসরণ করে মানসম্পন্ন ঔষধ তৈরী করা। যার ফলে দেশের অনেক প্রতিষ্ঠানকে উন্নত বিশ্বের Stringent Regulatory Authority যেমন USFDA, UKMHRA, TGA (অস্ট্রেলিয়া) ইত্যাদি স্বীকৃতি প্রদান করেছে।
দ্বিতীয়ত, সরকার কর্তৃক ঔষধ রপ্তানি বান্ধব নীতি গ্রহন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্ব বাজারে বাংলাদেশের ওষুধ শিল্পকে মর্যাদার আসনে প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যে ২০১৮ সালের জন্য কাঁচামালসহ ওষুধকে ‘প্রোডাক্ট অফ দি ইয়ার’ ঘোষণা করেন।

২০১৯ সাল হতে ঔষধ রপ্তানিতে সরকার কর্তৃক ১০% নগদ প্রণোদনা প্রদান ও সেবা সহজীকরণ ঔষধ রপ্তানিকে আরও গতিশীল করেছে। এছাড়াও সরকার ইতোমধ্যে ২০২৩-২০২৪ অর্থবছর থেকে দেশে উৎপাদিত ঔষধ কাঁচামাল (এ পি আই) রপ্তানিতে ২০% নগদ প্রণোদনা প্রদান করেছে।
তৃতীয়ত, বৈশ্বিক মহামারীতে আমদানীকারক দেশগুলোর ঔষধের চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় কিছু ঔষধ যেমন এন্টিকোভিড ঔষধ অধিক পরিমানে রপ্তানি করা হয়েছে। একইসাথে বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস এবং বাংলাদেশ ঔষধ শিল্প সমিতির সাথে যৌথভাবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশ ফার্মাসিউটিক্যালস মেলা, সেমিনার আয়োজন এবং অন্যান্য উদ্যোগ গ্রহণ করার মাধ্যমে বাংলাদেশের ঔষধকে প্রচার করা হচ্ছে।

এছাড়া বাংলাদেশের ওষুধ নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর একটি কার্যকর নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা হিসেবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার স্বীকৃতি পেলে বাংলাদেশের ঔষধ রপ্তানি বহুগুণে বৃদ্ধি পাবে।

বর্তমান সরকারের উদ্যোগে আধুনিক মেশিনারীজ স্থাপণ ও অবকাঠামো উন্নয়নসহ ন্যাশনাল কন্ট্রোল ল্যাবরোটরীকে আধুনিকায়ন করা হয়েছে। এ আধুনিকায়নের ফলে সকল প্রকার ঔষধের পরীক্ষা ও বিশ্লেষণের জন্য ল্যাবরেটরীর সক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে।

উক্ত ল্যাবরেটরী কর্তৃক প্রদানকৃত সনদের গ্রহণযোগ্যতা আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং বিভিন্ন দেশের রেগুলেটরী অথরিটির নিকট গ্রহণযোগ্য হবে। এর ফলশ্রুতিতে আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলাদেশের ঔষধের উপর আস্থা বৃদ্ধি পাবে, রেগুলেটেড মার্কেটে বাংলাদেশের ঔষধের বাজার প্রসারিত হবে এবং ঔষধ রপ্তানি বহুগুণ বৃদ্ধি পাবে।

সর্বোপরি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বে, ঔষধ রপ্তানি খাত বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা ও বাংলাদেশ থেকে ওষুধ আমদানিকারক দেশগুলোর ডলার সংকটের মতো সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে উঠেছে।

আশা করা যায়, এ পি আই উৎপাদনে পূর্ণ সক্ষমতা, রেগুলেটেড মার্কেটের উপর মনোযোগ, বায়োলজিকস উৎপাদন এবং উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করলে অচিরেই ঔষধ রপ্তানি বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান রপ্তানি খাতে পরিণত হবে।

লেখক: প্রভাষক, ক্লিনিক্যাল ফার্মেসি এন্ড ফার্মাকোলজি বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।




মেহেরপুরে যাত্রীর বেশে ব্যাটারি চালিত ভ্যান ছিনতাই

মেহেরপুরে যাত্রী বেশে চঞ্চল মিস্ত্রি (৪০) নামক এক চালকের কাছ থেকে ব্যাটারি চালিত ভ্যান ছিনতাই করে নিয়ে গেছে কয়েক জন দূর্বৃত্তরা।

আজ শনিবার (২৫ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে আমঝুপি-ইসলাম নগর রোডে ভ্যান ছিনতাইয়ের ঘটনাটি ঘটেছে। চঞ্চল মিস্ত্রি আমঝুপি উত্তর পাড়ার আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে।

জানা গেছে, দিনমুজুর চঞ্চল সারাদিন রাজ মিস্তিরি কাজ করে নিয়মিত সন্ধ্যায় সুমনের ভ্যান ভাড়া নিয়ে চালায়। আজ শনিবার চারজন দুর্বৃত্ত যাত্রী বেশে চঞ্চলের ভ্যানে ওঠে। পথিমধ্যে ফাঁকা জায়গায় চঞ্চল মিস্ত্রীকে মারধর করে একটি গাছের সাথে তাকে বেঁধে রেখে দুর্বৃত্তরা ভ্যান নিয়ে চম্পট দেয়। পরিবারের একটু সুখের জন্য সারাদিন দিনমজুরের কাজ করার পর রাতে ভ্যান চালানো চঞ্চল এখন ভাড়ায় চালানো ভ্যানের ক্ষতিপূরণ কিভাবে দেবে এটা ভেবেই দিশেহারা।

শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বিষয়টি নিয়ে ভুক্তভোগীরা থানাতে কোন অভিযোগ করেনি।




আলমডাঙ্গার পাইকপাড়ায় সড়কে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ

নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার করার অভিযোগে আলমডাঙ্গা উপজেলার আইলহাঁস ইউনিয়নের পাইকপাড়া গ্রামের একটি সড়কের নির্মাণকাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। শনিবার সকালে ওই কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়। এলাকাবাসীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয় ওই কাজ বন্ধ করে।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর আলমডাঙ্গা উপজেলা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় আইলহাঁস ইউনিয়নের পাইকপাড়া ডালিমশাহ মাজার থেকে পাইকপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত ১২০ মিটার সড়ককে পাকা সড়কে উন্নীত করার কাজ শুরু হয়। প্রায় ১০ লাখ টাকা ব্যয়ে প্রকল্পের এই অংশের একটি কাজের মান নিয়ে এলাকাবাসী ক্ষুব্ধ।

আজ শনিবার সকালে পাইকপাড়া এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, সাত ফিট প্রস্থের ওই সড়কের কোথাও বালি আছে ইটের খোয়া নেই, কোথাও সড়কের মধ্যে নিম্নমানের ইটের টুকরা ট্রাক্টরে করে ফেলা হচ্ছে। এ নিয়ে এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয় আজ কাজ বন্ধ করে দেয়।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে পাইকপাড়া এলাকার অন্তত তিনজন ব্যক্তি বলেন, এই রাস্তাটি পাইকপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাসহ স্থানীয়রা ব্যবহার করেন। দীর্ঘদিন কাদাঁ-মাটির রাস্তায় চলাচলে স্কুলের শিক্ষার্থীদের কষ্ট পোহাতে হত। তবে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করে দ্রুত শেষ করার চেষ্টা করছে।

এলজিইডির আলমডাঙ্গা উপজেলা কার্যালয়ের সহকারী প্রকৌশলী লিয়াকত আলী বলেন, চুয়াডাঙ্গার একজন ঠিকাদার সড়কটি কাজ করছেন। তবে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগে কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। নিম্নমানের সামগ্রী তুলে ভালো মানের ইট ব্যবহারে নির্দেশে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

নিম্নমানের ইট ব্যবহারের অভিযোগের বিষয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মালিক জহুরুল ইসলামের সাথে মোবাইলে কথা হলে তিনি জানান, ‘কাজটি অনেক আগের প্রকল্পের। তখন নির্মাণসামগ্রীর দাম কম ছিল, এখন দাম বেড়েছে। যেহেতু অভিযোগ উঠেছে, আমরা এখন উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয়ের সঙ্গে সমন্বয় করে ভালো করে কাজ করব। এছাড়া অভিযোগের ইটগুলো অপসারণ করা হচ্ছে এবং আরো ভালো মানের ইট দেওয়া হচ্ছে।




উৎসবের মেজাজেই হবে ভোট, ৯০ কূটনীতিককে জানাল বাংলাদেশ

বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচন নিয়ে আন্তর্জাতিক বিশ্বের উদ্বিঘ্ন হওয়ার কোনও কারণ নেই, বরং উৎসবের মেজাজে সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও অবাধ নির্বাচন হবে। বাংলাদেশের নির্বাচন সরেজমিনে দেখে যাওয়ার জন্য দেশগুলোকে পর্যবেক্ষক পাঠানোরও অনুরোধ জানিয়েছেন পররাষ্ট্র সচিব।

শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় দিল্লিতে এক বিশেষ ব্রিফিংয়ে এই দেশগুলোর রাষ্ট্রদূত বা শীর্ষ কূটনীতিবিদদের নির্বাচনী পরিস্থিতি সম্পর্কে অবহিত করেন বাংলাদশের পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন। সেখানে এমন কথাই আনুষ্ঠানিকভাবে বিশ্বের প্রায় ৯০টি রাষ্ট্রকে জানিয়েছে বাংলাদেশ।

৯০টি দেশ হলো এমন দেশ, যাদের বাংলাদেশে সরাসরি কোনও দূতাবাস বা মিশন নেই, কিন্তু দিল্লিতে নিযুক্ত তাদের রাষ্ট্রদূতরাই বাংলাদেশ সংক্রান্ত ঘটনাবলি দেখে থাকেন। আর এরকমই প্রায় ৯০টি দেশের প্রতিনিধিরা হাজির ছিলেন দিল্লিতে বাংলাদেশ হাই কমিশন প্রাঙ্গণে বঙ্গবন্ধু হলে আয়োজিত সেই ব্রিফিংয়ে।

বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পশ্চিমা দেশগুলো, বিশেষ করে আমেরিকা বা ইউরোপীয় ইউনিয়ন যে ধরনের ‘অতি-সক্রিয়তা’ দেখাচ্ছে, সেই পটভূমিতে এই ব্রিফিং ছিল বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ! বাংলাদেশে বিগত দেড় দশক ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যে আর্থসামাজিক উন্নয়নের কর্মকাণ্ড চলছে এবং গণতান্ত্রিক ঐতিহ্যের পরম্পরা বহমান আছে, তাতে দেশের নির্বাচন নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উদ্বেগের বা বিচলিত হওয়ার কোনও কারণ নেই– মূলত এই বক্তব্যই ব্রিফিংয়ে তুলে ধরা হয়।

শনিবার (২৫ নভেম্বর) দুপুরে দিল্লিতে ভারতের সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময়ে মাসুদ বিন মোমেন বলেন, ‘আমাদের নির্বাচন নিয়ে যে পারসেপশন সেটাই আমরা এই দেশগুলোর কাছে তুলে ধরেছি। পরিস্থিতি নিজের চোখে দেখে যেতেও আহ্বান জানিয়েছি। আমাদের নির্বাচন যে পুরোপুরি শান্তিতে ও আনন্দমুখর পরিবেশেই হবে সেটাও তাদের আশ্বস্ত করেছি।’

বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘বিশ্বের আরও বহু গণতান্ত্রিক দেশের মতোই বাংলাদেশেও নির্বাচন কোনও উৎসবের চেয়ে কম নয়। বাংলাদেশের মানুষও ওই উৎসবে শামিল হওয়ার জন্য এবং নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করে পছন্দের জনপ্রতিনিধিকে বেছে নেওয়ার জন্য উন্মুখ হয়ে অপেক্ষা করছেন।’

রাষ্ট্রদূতদের জন্য এই বিশেষ ব্রিফিংয়ের ঠিক আগে শুক্রবার পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন ভারতে তার কাউন্টারপার্ট বিনয় মোহন কোয়াটরার সঙ্গে ‘ফরেন অফিস কনসালটেশনে’ মিলিত হন। দিল্লির হায়দ্রাবাদ হাউসে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে বিভিন্ন দ্বিপাক্ষিক ইস্যুর মধ্যে বছর তিনেক বাদে নির্ধারিত গঙ্গা চুক্তির নবায়ন এবং তিস্তার অমীমাংসিত ইস্যু নিয়েও আলোচনা হয়েছে।




ঝিনাইদহে নারীনির্যাতন বিরোধী আন্তর্জাতিক প্রতিবাদ দিবস পালিত

ঝিনাইদহে নারীনির্যাতনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক প্রতিবাদ দিবস পালিত হয়েছে। ঝিনাইদহ দূর্বার নেটওয়ার্ক ও নারীপক্ষের আয়োজনে আজ শনিবার সকালে ওয়েলফেয়ার এফোর্টস (উই)’র কার্যালয় চত্বর থেকে একটি র‌্যালী বের করা হয়। র‌্যালীটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে পায়রা চত্ত্বরে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে অনুষ্ঠিত হয় মানববন্ধন।

কর্মসূচীতে ঝিনাইদহ সরকারি নুরুন্নাহার মহিলা কলেজের সাবেক উপাধ্যক্ষ এন.এম.শাহাজালাল, ওয়েলফেয়ার এফোর্টস (উই)’র পরিচালক শরিফা খাতুনসহ অন্যান্যরা বক্তব্য রাখেন।

বক্তারা, নারীর নিরাপদ জীবন বির্নিমানে ব্যক্তি, সমাজ ও রাষ্ট্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত সংশ্লিষ্ট সকলকে দায়িত্ব পালনের প্রতি জোর দাবী জানান।




মেহেরপুর জেলা নারী নির্যাতন প্রতিরোধ ফোরামের দ্বি-মাসিক সভা অনুষ্ঠিত

মউকের উদ্দোগে মেহেরপুর জেলা জাতীয় নারী নির্যাতন প্রতিরোধ ফোরামের দ্বি-মাসিক সমন¦য় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

আজ শনিবার সকাল ১০ টার সময় মানব উন্নয়ন কেন্দ্র (মউক) এর হলরুমে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। জেলা পরিষদের সদস্য মোছাঃ শামিমা আক্তার হিরার সভাপতিত্বে সভাটি পরিচালনা করেন মউকের নির্বাহী প্রধান আসাদুজ্জামান সেলিম।

এসময় নারী ও শিশু নির্যাতন ও বাল্য বিবাহ প্রতিরোধে বিভিন্ন আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন মেহেরপুর সদর উপজেলা ভাইস-চেয়ারম্যান আবুল হাশেম, জেলা পরিষদের সদস্য মোঃ আজিমুল বারি (মুকুল), সাবেক প্যানেল মেয়র মোঃ নবীরউদ্দিন, বিশিষ্ট সাংবাদিক আমিরুল ইসলাম অল্ডাম এবং নারী নেত্রী মোছাঃ জাকিয়া আক্তার আল্পনা সহ আরো অনেকে।

সভার কার্যবিবরণী পাঠ করেন মানব উন্নয়ন কেন্দ্র (মউক) এর নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ প্রকল্পের প্রোগ্রাম ম্যানেজার ফাহিমা আখতার। মেহেরপুর জেলার বর্তমান পারিবারিক সহিংসতা সহ নারী ও শিশু নির্যাতনের উপর বিভিন্ন তথ্য বহুল আলোচনা করে সকল ধরনের নির্যাতিতদের পাশে থেকে এই কমিটি কাজ করার অঙ্গিকার ব্যক্ত করেন মউকের প্রোগ্রাম ম্যানেজার মোছাঃ ফাহিমা আখতার ও মেহেরপুর জেলা জাতীয় নারী নির্যাতন প্রতিরোধ ফোরামের সম্মানিত সদস্যগণ।




স্নাতক পাসে নিয়োগ দেবে এমএসএস

নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে মানবিক সাহায্য সংস্থা (এমএসএস)। প্রতিষ্ঠানটিতে প্রশিক্ষণার্থী শাখা হিসাবরক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহী যোগ্য প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন।

পদের নাম

প্রশিক্ষণার্থী শাখা হিসাবরক্ষক।

পদসংখ্যা

এই পদে সর্বমোট ৫০ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে।

শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা

প্রার্থীকে বানিজ্য বিভাগে স্নাতক/স্নাতকোত্তর পাস প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন। বয়স সর্বোচ্চ ৩২ বছর। পুরুষ এবং নারীরা আবেদন করতে পারবেন। শিক্ষানবিশকাল ছয় মাস, তবে কর্মক্ষেত্রে দক্ষতার ভিত্তিতে শিক্ষানবিশকাল হ্রাস/বৃদ্ধি করা হতে পারে। সংস্থার যেকোনো কর্ম এলাকায় কাজ করতে আগ্রহী হতে হবে। কম্পিউটারে ওয়ার্ড, এক্সেল, বাংলা ও ইংরেজি টাইপিং এবং ইন্টারনেট ব্যবহার জানা প্রার্থীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। যোগদানের সময় নির্বাচিত প্রার্থীর পক্ষে মা/বাবা/আপন ভাই/বোন/নিকটতম আত্মীয় কর্তৃক দুইজন জামিনদার হিসেবে নিশ্চয়তা প্রদান করতে হবে। চাকুরিতে যোগদানের সময় সংস্থার নিয়মানুযায়ী ১০,০০০/- টাকা জামানত হিসাবে প্রদান করতে হবে যা নির্দিষ্ট সময়ান্তে সংস্থা ত্যাগকালে সংস্থায় প্রচলিত নিয়মানুযায়ী লভ্যাংশসহ ফেরৎ প্রদান করা হবে। আবেদনপত্রে অবশ্যই সচল মোবাইল নাম্বার উল্লেখ করতে হবে।

কর্মস্থল

বাংলাদেশের যেকোনো স্থানে।

বেতন

শিক্ষানবিশকালে সর্বসাকুল্যে মাসিক বেতন ১৬,০০০-১৭,০০০ টাকা।এবং স্থায়ীকরণের পর ২২,০৭২-২৩,১৭৯ টাকা।

কোম্পানির সুযোগ সুবিধাদি

চাকুরি স্থায়ীকরণের পর সংস্থার নিয়মানুযায়ী প্রভিডেন্ট ফান্ড, গ্রাচ্যুইটি, উৎসব বোনাস ও ইনসেনটিভ বোনাস, বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট, চিকিৎসা অনুদান, মৃত্যু/দুর্ঘটনা জনিত (বীমা সুবিধার ন্যায়) আর্থিক সহায়তা ও সন্তানদের জন্য শিক্ষা বৃত্তি, বাই-সাইকেল/মটর সাইকেলের সুদবিহীন ঋণ, কর্মী নিরাপত্তা তহবিল, মোটরসাইকেল জ্বালানি ও রক্ষণাবেক্ষণ ভাতা, মোবাইল ফোন ভাতা সুবিধাসহ সংস্থার বিধি মোতাবেক অন্যান্য সুবিধা প্রদান করা হবে। চূড়ান্ত নির্বাচিত নারী প্রার্থীদের পার্শ্ববর্তী উপজেলায় এবং পুরুষ প্রার্থীদের পাশ্ববর্তী জেলায় পোস্টিং দেয়া হবে (সুযোগ থাকা সাপেক্ষে)

আবেদনে প্রক্রিয়া

আগ্রহী প্রার্থীকে পূর্ণাঙ্গ জীবন বৃত্তান্তসহ সকল প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার সনদপত্র ও জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি এবং সদ্য তোলা এক কপি পাসপোর্ট সাইজ রঙ্গীন ছবিসহ আবেদন আগামী ২০/১২/২০২৩ইং তারিখের মধ্যে “নির্বাহী পরিচালক, মানবিক সাহায্য সংস্থা (এমএসএস), ২৯, পশ্চিম পান্থপথ (চতুর্থ তলা) ঢাকা-১২০৫” বরাবর হাতে হাতে/ডাক/কুরিয়ার যোগে পাঠাতে হবে।

নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির সংশোধন/সংযোজনসহ নিয়োগ বাতিল করার ক্ষমতা সংরক্ষণ করে। নির্বাচনী পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য কোন প্রকার টিএ/ডিএ প্রদান করা হবে না।

আবেদনের শেষ তারিখ

২০ ডিসেম্বর ২০২৩

সূত্র : বিডিজবস।




পৃথিবীর প্রথম কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সিইও মিকা

পোল্যান্ডের অ্যালকোহল ও বেভারেজ কোম্পানি ডিকটেডর প্রথম হিউম্যানয়েড রোবট ‘মিকা’কে সিইও হিসেবে নিয়োগ করেছে। এবার এই রোবটের নির্দেশনা অনুসারে প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা দায়িত্বপালন করবে। মিকা সোফিয়ার প্রোটোটাইপ, তবে আরও উন্নত সংস্করণ।

পোল্যান্ডের অভিজাত রাম উৎপাদনকারী ডিকটেডরের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষরের পরের দিন অর্থাৎ ১ সেপ্টেম্বর, ২০২২ থেকেই মিকা তার অফিসিয়াল ক্যারিয়ার শুরু করেন। ডিকটেডর পরিচালনা পর্ষদের এই সিদ্ধান্তকে প্রতিষ্ঠানটির ইউরোপ অংশের প্রেসিডেন্ট মারেক একই সাথে বৈপ্লবিক ও সাহসী বলে আখ্যায়িত করেছেন।

পোল্যান্ডের অ্যালকোহল ও বেভারেজ কোম্পানি ডিকটেডর, হংকং-ভিত্তিক রোবোটিক্স কোম্পানি হ্যানসন রোবোটিক্সের সহযোগিতায় এই হিউম্যানয়েড রোবটকে সিইও হিসেবে তৈরি করেছে। বিশ্বে এমন মানব সদৃশ রোবট সিইও নিয়োগের ঘটনা প্রথম ঘটল।

ডিকটেডর মিকার একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে। সেখানে সে বলেছে, সে উন্নত এআই এবং মেশিন লার্নিং অ্যালগরিদম ব্যবহার করে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারে। মিকা আরও জানায়, তার নেওয়া সিদ্ধান্ত কোনো ব্যক্তিগত স্বার্থের ওপর নির্ভর করে না। নির্ভুল গণনার মাধ্যমে কোম্পানির নীতি অনুযায়ী উপযুক্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারে সে। যদিও ডিকটেডরের কর্মচারী নিয়োগ এবং বরখাস্তের মতো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তগুলো এখনো মানুষের হাতেই থাকছে। মূলত কোম্পানির পণ্য ডিজাইন করার জন্য শিল্পী বাছাই করার মতো কাজ করছে মিকা।

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া




মেহেরপুরে খুচরা সার বিক্রেতা সামতির আলোচনা সভা

মেহেরপুর জেলা খুচরা সার বিক্রেতা সমিতির আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় বিসিআইসি সার ডিলারদের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে তাদের অধিকার আদায়ে সোচ্চার হন বিক্রেতারা।

শনিবার দুপুরে মুজিবনগর পর্যটন মোটেলে সংগঠনের সভাপতি শাহিনুল ইসলাম শাহীনের সভাপতিত্বে আলোচনায় আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর শিল্প ও বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আরিফুল এনাম বকুল।

সোহরাভ হোসেনের সঞ্চালনায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাধারণ সম্পাদক মমতাজ উদ্দিন, জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য ও গাংনী খুচরা সার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি তৌহিদ মুর্শেদ অতুল, সাধারণ সম্পাদক আনিছুর রহমান, মুজিবনগর উপজেলা শাখারণ সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব হোসেন, জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য খাজা মইনুদ্দিন লিটন, আবুল বাশার, আব্দুল বারী, সাজ্জাদুর রহমান।

শাহিনুল ইসলাম শাহীন বলেন, বিসিআইসি ডিলার ষড়যন্ত্রে খচুরা সার বিক্রেতা সমিতিকে ধ্বংস করার চেষ্টা করা হচ্ছে। খুচরা ব্যবসায়ীদের সরকার লাইসেন্স দিয়েছে কিন্তু ডিলারদের কারণে আমরা ব্যবসা করতে পারি না। আপনারা নিয়মের মধ্যে থেকে ব্যবসা করবেন। কোন ডিলার যদি অনিয়ম করে আপনারা প্রতিবাদ করবেন। আপনাদের সঙ্গে সংগঠণ থাকবে।

তৌহিদ মুর্শেদ অতুল বলেন, দেশের মানুষের খাদ্য ঘাটতি যাতে না হয়, সেজন্য এক ইঞ্চি জমিও ফেলে রাখা যাবে না। খুচরা সার বিক্রেতারা বিসিআইসি ডিলারদের মাধ্যমে পদে পদে বাধাগ্রস্থ হয়।

প্রধান অতিথির বক্তব্য আরিফুল এনাম বকুল বলেন, খুচরা সার বিক্রেতাদের অধিকার আদায়ে ব্যবসায়ী নেতাদের পক্ষ যা করার চেম্বার অব কমার্স থেকে করা। জেলা প্রশাসনের প্রতি আহবান জানায় খুচরা বিক্রেতাদের অধিকার নিয়ে যাতে ডিলাররা কোন ধরণের পক্ষপাত না করে।

জেলার দেড় শতাধিক খুচরা সার ব্যবসায়ী এ সভায় অংশ নেন।




গাংনীতে প্রথমবারের মত নাগরিকত্ব অলিম্পিয়াড অনুষ্ঠিত

সচেতন, সংগঠিত ও সোচ্চার নাগরিকই গণতন্ত্রের রক্ষাকবচ’ স্লোগানকে সামনে রেখে দি হাঙ্গার প্রজেক্টের সহযোগিতায় ও প্রিস ফ্যাসিলিটেটর গ্রুপ (পিএফজি) আয়োজনে মেহেরপুরের গাংনীতে অনুষ্ঠিত হয়েছে প্রথম নাগরিকত্ব অলিম্পিয়াড।

শনিবার সকাল ১০ টায় গাংনীর সরকারি ডিগ্রি কলেজ অডিটোরিয়ামে এই অলিম্পিয়াড অনুষ্ঠিত হয়।

সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও কলেজ শিক্ষক আবু সাদাত মো: সায়েম পল্টুর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- গাংনী সরকারী ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মনিরুল ইসলাম।

পিস ফ্যাসিলেটর গ্রুপ (পিএসজি) গাংনীর সমন্বয়কারী সাংবাদিক রফিকুল আলম বকুলের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন গাংনী থানা অফিসার ইনচার্জ তাজুল ইসলাম, দি হাঙ্গার প্রজেক্টের আঞ্চলিক সমন্বয়কারী খোরশেদ আলম, অবসরপ্রাপ্ত সহকারী অধ্যাপক আব্দুর রশিদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম, প্রধান শিক্ষক সৈয়দ জাকির হোসেন, প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান, গাংনী পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় এন্ড কলেজের প্রভাষক শফি কামাল পলাশ, গাংনী মহিলা ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক মহিবুর রহমান মিন্টু,করমদি ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক আমজাদ হোসেন, সহকারী অধ্যাপক মাসুদ রানা, গাংনী সরকারী ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক হোসেন আলী, করমদি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান।

তাদের মধ্যে সেরা দশজনকে আকর্ষণীয় পুরষ্কার ও সকল অংশগ্রহণকারীদের সার্টিফিকেট দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন অনুষ্ঠানের আহবায়ক আবু সাদাত সায়েম পল্টু, আয়োজনে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম, সিনিয়র সাংবাদিক জুলফিকার আলি কানন,আজিজুল ইসলাম রানু, দি হাঙ্গার প্রজেক্টের যশোর এলাকা সমন্বয়কারী, গিয়াসউদ্দিন, গাংনী এলাকা সমন্বয়কারী হেলালউদ্দীন ও উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আমিনুল ইসলাম সেন্টু সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও ছাত্র-ছাত্রীরা উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়া উপস্থিত ছিলেন প্রিস ফ্যাসিলিটেটর গ্রুপ (পিএফজি) নাগরিক প্রকল্পের সদস্যরা ও দি হাঙ্গার প্রজেক্টের সহযোগী সংগঠন ইয়ুথ এন্ডিং হাঙ্গারের অর্ধশতাধিক ইয়ুথ লিডার। অনুষ্ঠানে সুচনা হয়েছিল জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে। পরবর্তীতে নাগরিক অলিম্পিয়াড এ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের নিয়ে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শেষে বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার, লোগো সম্বলিত গেঞ্জি ও সার্টিফিকেট বিতরণ করা হয়।

সকল শিক্ষার্থীদের নিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় স্মার্ট বাংলাদেশ গঠণে যোগ্য, দক্ষ ও যুগোপযোগী নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে শপথ বাক্য পাঠ করানো হয়। শপথ বাক্য পাঠ পর্ব পরিচালনা করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম। অলিম্পিয়াডে অংশগ্রহণ করেন বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রায় ২৫০ জন শিক্ষার্থী।