গাংনীতে দুই মোটরসাইকেল সংঘর্ষে কলেজ শিক্ষকের মৃত্যু

মেহেরপুর গাংনীতে মোটরসাইকেল মুখোমুখি সংঘর্ষে কাজিপুর কলেজের সহকারী অধ্যাপক ও মেহেরপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির এলাকা পরিচালক রিয়াজ আহমেদ(৪৫) নিহত হয়েছেন।

আজ মঙ্গলবার (২ জানুয়ারী) তিনটার সময় ঢাকা ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরো সায়েন্স হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। রিয়াজের মামাত ভাই বশির আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

রিয়াজ আহমেদ গাংনী উপজেলার বাদিয়াপাড়া গ্রামের মাঠপাড়া এলাকার আহমেদ আলীর ছেলে। সে কাজিপুর ডিগ্রি কলেজের বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও মেহেরপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির এলাকা পরিচালক। তিনি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের গাংনী উপজেলা শাখার সাবেক সভাপতি ছিলেন।

গতকাল সোমবার (১ জানুয়ারী) সকাল সাড়ে ৭ টার সময় মেহেরপুর- কুষ্টিয়া আঞ্চলিক সড়কের চেংগাড়া চোখতোলা মাঠের মাঝখানে বিপরীতে দিক থেকে আসা অপর একটি মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে মারাত্বক আহত হন। এঘটনায় অপর মোটরসাইকেল আরোহী সোনালী ব্যাংকের জোড়পুকুরিয়া শাখার ক্যাশিয়ার রাসেল আহম্মেদ আহত হন।

স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্মরত চিকিৎসক বোধা দাস গুপ্ত (বিডি দাস) তাদের দুজনকে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রিয়াজ আহমেদের অবস্থার আরো অবনতি হলে দুপুরের দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। সেখান থেকে ঢাকা ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরো সায়েন্স হাসপাতালে নেয়া হয়।

গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ( ওসি) তাজুল ইসলাম নিহতের পারিবারিক সুত্রের বরাত দিয়ে এই তথ্য নিশ্চিত করেন।




বছরজুড়ে আলোচিত যত রেস্তোরাঁ

ঢাকা কিংবা ঢাকার আশেপাশে বসবাস করা ব্যক্তিদের কাছে হঠাৎ করে ঘোরাঘুরি করার জায়গা খুবই কম। তাদের কাছে ঘোরাঘুরি করা কিংবা সময় কাটানোর জন্য সবচেয়ে জনপ্রিয় যে জায়গাটি তা হলো ঢাকার বিভিন্ন রেস্তোরাঁ। তবে যেখানে আপনি সময় কাটাবেন সে জায়গাটা যদি সুন্দর গোছালো আকর্ষণীয় না হয় তাহলে সে অবসরের সুন্দর সময়টা প্রিয়জনের সাথে ততটা সুন্দর হয়ে উঠবে না

। বর্তমান সময়ে ঢাকার আনাচে-কানাচে অলিতে গুলিতে অনেক রেস্তোরাঁ হয়েছে। তবে এই বছর নজর কেড়েছে যে তিন রেস্তোরাঁ তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য- হেবাং, হাওয়া, বাবুমশাই হেরিটেজ।

হেবাং
হেবাং যেন ঢাকার বুকে এক টুকরো পাহাড়। পাহাড়ের অনুভব পেতে চাইলে ঘুরে আসুন হেবাং। হেবাং শব্দের অর্থ ভাপে রান্না করা। পাহাড়িরা মূলত বেশীরভাগ রান্নাই ভাবে করে থাকে।

পাহাড়ি বিভিন্ন খাবারের স্বাদ নিয়ে তৈরি করা হয়েছে ঢাকার মোহাম্মদপুরে হেবাং রেস্তোরাঁটি। হঠাৎ করে পাহাড়ি খাবার খেতে মন চাইলে কিংবা ঢাকায় যে আদিবাসী বা পাহাড়ি মানুষরা জীবনে তাগিদে ঢাকায় বসবাস করেন তাদের জন্য হেবাং একটা আশীর্বাদস্বরূপ।

রেস্তোরাঁটি সম্পূর্ণ তৈরি হয়েছে বাঁশ , খড় এবং পাহাড়ি ধরনে তৈরি। ঢাকার ইট পাথরের যান্ত্রিক শহর থেকে একটু শান্তিতে যদি সুন্দর একটি পরিবেশের সাথে এবং পাহাড়ি খাবারের সাথে সময় কাটাতে চান তাহলে চলে যান হেবাং। খাবারের নামগুলো যেন ভিন্ন ধরনের তুলসী মালা চালের ভাত, বাম্বো চিকেন, হেবাং শুটকি, কাকড়া ভুনা প্রভৃতি। খাবারের নাম যেমন ভিন্ন ধরনের স্বাদও ভিন্ন ধরনের।

হেবাং রেস্তোরাঁটি চার বোন মিলে পরিচালনা করছে। ঢাকার ফার্মগেটে জাবা নামে তাদের আরো একটি রেস্তোরাঁ রয়েছে। সেখানে গারোদের জনপ্রিয় বিভিন্ন খাবার পাওয়া যায়। জাবা শব্দের অর্থ হচ্ছে সবজি। সেখানে পাহাড়ি সবজির নানান ধরনের খাবারের আইটেম পাওয়া যায়।

হাওয়া
একটু রাজকীয়, একটু ভিন্টেজ আবার সবুজে ঘেরা চারিদিক আবার ইনানী বিচের মত নৌকা, সাদা পাথরের মত ছোট্ট একটি জায়গা নানান নকশার মিশেলে এক বিশাল জায়গা নিয়ে ঢাকার মিরপুরে ১২ তলা ভবনের ছাদে তৈরি হয়েছে এক অভিনব রেস্তোরাঁ। আরাম করে মনের শান্তি নিয়ে প্রিয় মানুষের সাথে অনেকক্ষণ সময় কাটানোর জন্য একটি উপযুক্ত জায়গা হাওয়া রেস্তোরাঁ।

হাওয়ার রেস্তোরার খাবারের কথায় যদি আসা যায় তাদের খাবারের স্বাদ খুবই সুস্বাদু। তাদের জনপ্রিয় এবং ভিন্নধর্মী খাবারের মধ্যে নানান ধরনের কাবাব এছাড়াও ইন্ডিয়ান বিরিয়ানি, পিজ্জা, পাস্তা নানান ধরনের খাবার রয়েছে।

এছাড়াও তাদের ডেজার্ট আইটেম খুবই সুস্বাদু এবং তাদের বিশেষ ফ্রুট কাস্টার্ড ডেজার্টটি খুবই জনপ্রিয়। এই যান্ত্রিক শহরে প্রকৃতির নির্ধারণ হাওয়া উপভোগ করতে ‘হাওয়া ‘ রেস্তোরাঁটি অন্যতম।

বাবুমশাই হেরিটেজ
সম্পূর্ণ রেস্তোরাঁটি দেখলে মনে হবে শহরের বুকে এক টুকরো কলকাতা। দেয়ালে দেয়ালে কবিতার ও গানের মেলা রয়ে গেছে। দেশের ঐতিহ্যবাহী যানবাহন রিক্সা রয়েছে। সম্পূর্ণ রেস্তোরাঁটি দেশীয় আসবাবপত্র দিয়ে তৈরি করা হয়েছে।

বেতের চেয়ার, বেতের টেবিল, নানান ধরনের পুরনো দিনের বই, বেতের আয়না, টেলিফোন প্রভৃতি দিয়ে সাজানো রেস্তোরাঁটি। খাবার পরিবেশন করা হয় মাটির তৈজসপত্রে। ভোজন রসিকদের জন্য অন্যতম একটি সুন্দর জায়গা হতে পারে বাবুমশাই হেরিটেজ। সেখানকার খাবারের অভিনব আইটেম দেখে কোনভাবেই লোভ সংবরণ করা সম্ভব নয়।

মধ্যাহ্ন ভোজে -গুপি বাঘা মহাভোজ (নানান ধরণের পদ), ডাব চিংড়ি, ইলিশ খিচুড়ি, বেগুন ভাজা চিকেন রোস্ট চাটনি পায়েস প্রভৃতি। যা দেখে শুধু খাদ্য রসিক নয়, খেতে চাইলে সবাই।

বিকেল কিংবা সন্ধ্যায় সারাদিনের ব্যস্ততা ভুলে যাবেন এক নিমিষেই উষ্ণ মশলা চা আর মচমচে কাটলেটের সাথে। আরো রয়েছে আলুর দম ফুলকো লুচি ও চিকেন কষা ফুলকো লুচি।

সুত্র: ইত্তেফাক




বর্ষ বিদায়

অন্তর বিদীর্ণ আজ, জীর্ণ ত্যানা
ছেঁড়া নোংরা লেপ কম্বল এ
মোড়ান দেহের শব টা।
কি অভিশপ্ত জীবন
গৃঢ় দণ্ডে দণ্ডিত, একটা অপেক্ষমান
তারার ঝলক?
সামনে অভিষেক নতুনত্বের
পুরনো বর্ষের স্মৃতি বিজড়িত
কালের কণ্ঠের ডাকে
উচ্ছল সাগরের বুকে নিমজ্জিত।
তরী ডুবে যায়,সন্ধ্যা নামে
রাত আসে
শুধু ডাস্টবিনে পড়ে রয়
স্মৃতিতে মোড়ানো হাড় কঙ্কাল।
যার অস্থি পাঁজরে রন্ধ্রে রন্ধ্রে
শোক বিহ্বলতার ছাপ!




আত্নারথআত্নজন

মায়ের মতোন এতখানি যত্ন নিয়ে
কেউ খুলেনি মাথার জট চুল।
বাবার মতোন এতটা স্নেহ আদরে
ধরিয়ে দেয়নি জীবনের ভুল।
ভাইয়ের মতোন এতটা শাসন করে
কেউ শিখাইনি পথে চলতে।
বোনের মতোন এতই উৎসাহ দিয়ে
পারেনি গগনচুম্বী ছোঁয়াতে।
শিক্ষককের মতোন এত শিষ্ট হয়ে
কেউ বলেনি চেষ্টায় তুষ্ট হতে।
বন্ধুর মতোন এতোটা কাঁধ হেলিয়ে
বিপদে আগে পাশে দাঁড়াতে।
সহপাঠীর মতোন এত সরল হৃদয়ে
কেউ বলেনি অনর্গল বলতে।
ছোটদের মতোন এতো হেসেখেলে
সবকিছু নিমিষেই জিততে।
গুনীজনের মতোন এত বটগাছ হয়ে
কেউ বলেনি সম্মানে ঝুঁকতে।
সঙ্গীর মতোন এত মনোবল ফিরিয়ে
মৃত্যু যন্ত্রণায় আঁকড়ে ধরতে




কুষ্টিয়া সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বই উৎসব অনুষ্ঠিত

কুষ্টিয়া সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে বছরের প্রথম দিন বই তুলে দেওয়া হয়েছে।

আজ সোমবার সকালে বিদ্যালয়ে বই উৎসবের উদ্বোধন করা হয়। কুষ্টিয়া সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রােশদা বানুর সভাপতিত্বে এসময় উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক রুহুল আমিন, তাহেরা বেগম, সিনিয়র শিক্ষক নাদিরা খান, জাহাঙ্গীর আলম সাইদুল ইসলাম, রেজাউল করিম, তাকিয়া সুলতানা, নিলীমা বিশ্বাস প্রমুখ। ইংরেজি নতুন বছরের প্রথমদিনে নতুন বই হাতে পেয়ে উচ্ছাসিত শিক্ষার্থীরা। আর নতুন বই হাতে পেয়ে বাঁধভাঙা উচ্ছাসে মেতে উঠেছে শিক্ষার্থীরা।

কুষ্টিয়া সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রােশদা বানু বলেন, বছরের প্রথমদিন শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের মানুষের মতো মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে এ উদ্যোগ প্রশংসনীয়। বিনামূল্যে প্রাক-প্রাথমিক থেকে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা বই পাচ্ছে। এবার বই নিয়ে কোন সংকট নেই। সকল শিক্ষার্থীকেই বই দেওয়া হবে। এরআগে তৃতীয় শ্রেণির লটারী ২২০ জনকে ফুল দিয়ে বরন কর হয়।




দর্শনা শ্যামপুর গ্রামে মোয়াজ্জেম হোসেন কিন্ডার গার্ডেন স্কুলে নতুন বই বিতরণ

দর্শনা শ্যামপুর গ্রামে মোয়াজ্জেম হোসেন কিন্ডার গার্ডেন স্কুলের উদ্বোধন ও নতুন বই বিতরণ করা হয়েছে।

আজ সকাল সাড়ে ৯টায় শ্যামপুর মোয়াজ্জেম হোসেন হাফিজিয়া মাদ্রাসা, এতিমখানা ও লিল্লাহ বোডিং এর আঙ্গিনায় কিন্ডার গার্ডেন স্কুলের উদ্বোধন ও নতুন বই বিতরণ করা হয়।

মাহবুব উল ইসলাম খোকনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের শুরুতেই কোরন-আন থেকে তেলোয়াত করেন মাদ্রার ছাত্র জুনায়েত হোসেন। মাদ্রাসায় কোরান শিক্ষার পাশাপাশি বাংলা, ইংরাজী, অংক ও সমাজ বিজ্ঞানসহ সকল বিষয়ে শিক্ষা প্রদান করা হবে জানান কর্তৃপক্ষ।

অতিথি হিসাবে অনুষ্ঠানে বক্তব্য হাজী জাহিদুল ইসলাম, সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল কাদের, মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওঃ হাফিজুর রহমান, হাজী মোঃ হাবিবুল্লা, হালসা কিন্ডার গার্ডেনের শিক্ষক সাইদুর রহমান, মোঃ কামরুজ্জামান যুদ্ধ।

অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন শ্যামপুর জামে মসজিদের পেশ ঈমাম মাওঃ জুনায়েত হোসেন।




জীবননগরে বছরের প্রথম দিনে শিক্ষার্থীদের মাঝে নতুন বই বিতরণ

জীবননগর উপজেলায় বছরের প্রথম দিনে শিক্ষার্থীদের মাঝে নতুন বই বিতরণ করা হয়েছে। উপজেলার প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নতুন বই বিতরণ করা হয়েছে।

সারাদেশের ন্যায় জীবননগর উপজেলার ৭১টি প্রাথমিক, ৩২টি কিন্ডার গার্টেন ও ৭টি এবতেদায়ী মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের মাঝে ৯৫% ব্ই বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়াও উপজেলার মাধ্যমিক পর্যায়ে ২৩টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ৭টি মাদ্রসা ও একটি টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীদের মাঝে নতুন বিতরণ করা হয়েছে।

জীবননগর থানা সরকারি পাইলট মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক যাদব কুমারে সভাপতিত্বে বই বিতরণী অনুষ্ঠানে জীবননগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাসিনা মমতাজ প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে নতুন বই বিতরণ করেন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা শিক্ষা অফিসার আমজাদ হোসেন, উপজেলা মাধ্যমিক একাডেমিক সুপারভাইজার সৈয়দ আব্দুল জব্বার, অভিভাবক ও শিক্ষকবৃন্দ।




পরিবর্তন ও চুয়াডাঙ্গার উন্নয়নে ঈগল প্রতীকে ভোট দিন

চুয়াডাঙ্গা -১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী দিলীপকুমার আগরওয়ালার ঈগল প্রতিকের বিশাল নির্বাচনী জনসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ সোমবার বিকেলে আলমডাঙ্গা সরকারী পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে এ জনসভা অনুষ্ঠিত হয়।

জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের স্বতন্ত্র ঈগল প্রতিকের প্রার্থী ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য দিলীপকুমার আগরওয়ালা।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে দিলীপ কুমার আগরওয়ালা বলেন, আমার সামনে যারা বসে আছেন তারা আমার প্রাণশক্তি, তারাই আমার সাহস, তারাই আমার ক্ষমতা। আলমডাঙ্গাবাসী আমি আপনাদের ভাই, আপনাদের সন্তান, আপনাদের আপনজন। আমি চুয়াডাঙ্গা কলেজে পড়েছি। অ্যাডভোকেট শফি মামার হাত ধরে ছাত্রলীগ করতাম। তখন সেই কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলাম। মানুষ মনে করে দিলীপ কোথা থেকে এসেছে। চুয়াডাঙ্গায় ১৯৪২ সালে রুপছায়া সিনেমা হল তৈরি হয়েছিলো। তখন আমার দাদা ওই সিনেমা হল পরিচালনা করতেন। জার্মানির কার্লসরুহে ইউনিভার্সিটি থেকে আমার বাবা লেখাপড়া করে আসেন। টকিজ সিনেমা হলে ১৯৯৪ থেকে ২০০২ সাল পর্যন্ত আমি আলমডাঙ্গাতেই ছিলাম। আমি এই জনপদে মাটি ও মানুষের টানে বারবার ছুটে আসি। সেই টান নামিয়েছে ভোটের যুদ্ধে। এই টান ঈগল প্রতিক নিয়ে পরিবর্তনের জন্য নেমেছি।

দিলীপ বলেন, সৃষ্টি কর্তার ইচ্ছায়,আপনাদের চেষ্টায় এই পরিবর্তন আসবেই। পরিবর্তন না আসলে এই জনপদের উন্নয়ন সম্ভব না। আমাদের স্লোগান হবে দ উন্নয়নের স্লোগান’। মহান মুক্তিযুদ্ধে আমার পরিবারের অনেক অবদান রয়েছে। চুয়াডাঙ্গা-আলমডাঙ্গা বাসীকে জিম্মিদশা থেকে মুক্তি দিতে আমি এমপি হতে চায়।

তিনি আরো বলেন, আমার একটাই অনুরোধ-আপনাদের সকলকে ভোটকেন্দ্রে যেতে হবে। বাড়ি বাড়ি গিয়ে সবাইকে ভোটকেন্দ্রে নিয়ে যাবেন। দিলীপ যদি যোগ্য হয় তবে ভোট দিবেন। আপনার ভোটটি ঈগল প্রতিকেই দিবেন। এই ভোট দিতে হবে পরিবর্তনের জন্য। শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়নের জন্য। উন্নত বিশ্ববিদ্যালয় করতে ভোট দিবেন। আপনারা যারা উপস্থিত রয়েছেন, তারা ঘরে ঘরে পৌঁছে দিবেন। ঈগলের স্লোগানে অন্যান্য প্রতিকের কথা ভুলে গেছে জনগণ।

দিলীপকুমার আগরওয়ালা আরো বলেন, আপনারা কোন ভুল সিদ্ধান্ত নিবেন না। ভোট সুষ্টু ও নিরপেক্ষ হবে। যার যার ভোট সে সে দিবেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আমি ভোটে এসেছি। আমি যদি এমপি নির্বাচিত হয়, প্রতিটি ইউনিয়নে একটি করে মসজিদ, মাদ্রাসা, গোরস্থান, মন্দির ও শ্বশানঘাট নির্মাণ করতে দিবো। আমি নির্বাচিত হতে পারলে, আলমডাঙ্গায় একটি হাসপাতাল ও একটি বিশ্ববিদ্যালয় নির্মাণ করে দিবো। আগামি ৭ জানুয়ারি ঈগল প্রতিকে ভোট দিয়ে আমাকে জয়যুক্ত করবেন।

উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি পৌর মেয়র হাসান কাদির গনুর সভাপতিত্বে জনসভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আলমডাঙ্গা উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আইয়ুব হোসেন, চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাংগাঠনিক সম্পাদক এ্যাডঃ আব্দুল মালেক, সাবেক জেলা আওয়ামীলীগের নির্বাহী সদস্য এ্যাডঃ শফিকুল ইসলাম, সাবেক উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক কাজী রবিউল হক, আলমডাঙ্গা পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মতিয়ার রহমান ফারুক, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট সালমুন আহমেম্দ ডন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কাজী মারজাহান নিতু।

জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক তথ্য ও গবেষনা সম্পাদক, সাবেক চেয়ারম্যান কাউছার আহমেদ বাবলুর উপস্থাপনায় বক্তব্য রাখেন সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল হালিম মন্ডল, সাবেক চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম মন্টু, সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা মইনদ্দিন পারভেজ, সাবেক চেয়ারম্যান শাখাওয়াত হোসেন টাইগার, জামজামি ইউপি চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম, ডাউকি ইউনিয়ন সভাপতি নুরুল ইসলাম দিপু, খাদিমপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি হ্ফিজুর রহমান বাবলু, চিৎলা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল বাতেন,গাংনি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল হাসান, বেলগাছি ইউনিয়নের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান, কাউন্সিলর আশরাফুল ইসলাম বাবু, কাউন্সিলর জাসদ নেতা ডালিম, উপজেলা জাসদের সভাপতি গেলাম সরোয়ার, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক ক্রীড়া সম্পাদক ও বিআরডিবির চেয়ারম্যান মহিদুল ইসলাম মুহিদ, তবারক হোসেন, কৃষকলীগ নেতা বজলুর রহমান, দীপক বিশ্বাস, কাউসার আলী কসর, সাহাবুল হক, মহিলা নেত্রী সামসাদ রানু, যুবমহিলা আওয়ামীগের জেলা সভাপতি আফরোজা পারভীন, এ্যাড, স্নিগ্ধা, মর্জেম হোসেন, রানা মন্ডল,সাবেক ছাত্রলীগ নেতা নয়ন সরকার, সেলিম রেজা তপন, সজীব প্রমুখ।




চুয়াডাঙ্গার  ফ্রিজ প্রতীকের প্রার্থী রাজ্জাক খানের গণসংযোগ ও উঠান বৈঠক

চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের ফ্রিজ মার্কা প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী আলহাজ্ব এম.এ রাজ্জাক খান রাজ সিআইপি গণসংযোগ ও পথসভা উঠান বৈঠক মতবিনিময় সভা অব্যাহত রেখেছেন।

আজ সোমবার সকাল থেকে চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার সুমুরদিয়া, গোরস্থানপাড়া, হকপাড়াসহ সদরের আমিরপুর, সরিষাডাঙ্গা, বোয়ালমারী, আলমডাঙ্গার বড়গাংনী, মুন্সীগঞ্জসহ বিভিন্ন স্থানে উঠান বৈঠক ও গণসংযোগ করেন।

বিভিন্ন স্থানে উঠান বৈঠক নারী পুরুষদের গণজমায়েতে সৃষ্টি হয়। উঠান বৈঠক ও গণসংযোগ পরিনত হচ্ছে গণজোয়ারে । এ সময় আলহাজ্ব এম.এ রাজ্জাক খান রাজ জনতার ভালোবাসায় শিক্ত হন। বিভিন্ন ওয়ার্ডের মেম্বার ও আওয়ামী লীগ কর্মীরা তাকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেই।

আজ সোমবার সকাল থেকে গণসংযোগ কালে চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক আহ্বায়ক ও সাবেক পৌর মেয়র ওবাইদুর রহমান চৌধুরী জিপু বলেন, চুয়াডাঙ্গাবাসী অধীর অপেক্ষায় ছিলো সং যোগ্য প্রার্থীর জন্য, সেই শূন্যতা আজ পূরন হয়েছে আগামী ৭ তারিখে আপনারা ফ্রিজ মার্কায় ভোট দিয়ে নম্র ভদ্র নামাজী সমাজ সেবক গরিবের বন্ধু আলহাজ্ব এম.এ রাজ্জাক খান রাজকে নির্বাচিত করুন।

এ সময় চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মিনিষ্টার মাইওয়ান গ্রুপের চেয়ারম্যান এফবিসিসিআইয়ের ভাইস প্রেসিডেন্ট কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের অর্থ ও পরিকল্পনা বিষয়ক উপকমিটির সদস্য আলহাজ্ব এম.এ রাজ্জাক খান রাজ সিআইপি বলেন, চুয়াডাঙ্গা বাসীর সুযোগ এসেছে ঘুড়ে দাড়ানোর। আমরা স্বাধীন ভাবে থাকতে চাই, সুষ্ঠ সুন্দর ভাবে বাঁচতে চাই, আর আপনারা কত অবহেলিত থাকবেন আসুন সবাই ৭ তারিখে ফ্রিজ মার্কায় ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিয়ে স্মার্ট ও আধুনিক মানের চুয়াডাঙ্গা গড়তে সহায়তা করুন। আপনারা কারো কোন হুমকিতে ভয় পাবেন না, ৭ তারিখে আপনারা আপনাদের ভাগ্যোর পরিবর্তন করুন।

পরে চুয়াডাঙ্গা ও আলমডাঙ্গার বিভিন্ন স্থানে গণসংযোগ ও পথসভা উঠান বৈঠক ও মতবিনিময় সভা করেন, এ সময় উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক আহ্বায়ক ও সাবেক পৌর মেয়র ওবাইদুর রহমান চৌধুরী জিপু, চুয়াডাঙ্গা জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমান হাফিজ, চুয়াডাঙ্গা জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জানিফ,জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য সবুজ আহমেদ, চুয়াডাঙ্গা পৌর ২নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ফারুক, মিলন, সোহেল রানা, সাজ্জাদ, মিলন, আব্দুল কাদের, জাহাঙ্গীর, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা রবজেল আলী, খান ফয়সাল, বাদশা, জীম, বাবুল, সোহাগ, ছমির, মিনারুল ইসলাম, উজ্জ্বল বিশ্বাস, তানভীর কবির, নারী নেত্রী সালেহা বেগম, টুটুল, উজ্জ্বল বিশ্বাস, শান্তনা খাতুন, আশা খাতুন, সম্পা খাতুনসহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।




গাংনীতে নৌকার প্রার্থী ডাক্তার নাজমুল হক সাগরের ভোট চেয়ে পথসভা

গাংনীতে নৌকা প্রার্থী নাজমুল হক সাগরের পক্ষে পথসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ সোমবার সন্ধ্যার পর গাংনী সংসদীয় আসনের ধানখোলা ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে পথসভা করেন নাজমুল হক সাগর ও আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতাকর্মীরা।

পথসভায় নৌকার প্রার্থী ডাক্তার নাজমুল হক সাগর ধানখোলা বাজারের বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের সাথে মতবিনিময় করেন এবং ভোট প্রার্থনা করেন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নৌকা প্রার্থী ডা.নাজমুল হক সাগরকে পেয়ে ধানখোলা বাজারের ব্যবসায়ীরা আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন। উৎসাহ এবং উদ্দীপনা নিয়ে ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন নৌকার প্রার্থী নাজমুল হক সাগরকে বিজয়ী করতে।

ধানখোলা বাজারে পথসভা শেষে তিনি জালশুকা গ্রামে পথসভা করতে যান। জালসুকা গ্রামে বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে তিনি সাধারণ ভোটারদের সাথে মতবিনিময় করেন এবং নৌকাকে বিজয়ী করার জন্য তিনি নৌকায় ভোট চান।

পথসভায় উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমএ খালেক, সহ-সভাপতি সিরাজুল ইসলাম, গাংনী উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট শফিকুল আলম, জেলা মহিলা আওয়ামীলীগ নেত্রী নুরজাহান বেগমসহ আওয়ামীলীগের নেতাকর্মী।