চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে নৌকা পেতে ফরম নিলেন ১৬ নেতা-কর্মী

চতুর্থবারের মত (আলমডাঙ্গা-চুয়াডাঙ্গা)-১ আসনে এমপি হবার লক্ষ্যে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান হক জোয়াদ্দার ছেলুন। এবার বিদ্রোহী দল বিএনপি নির্বাচনে না আসায় ক্ষমতাসীন দল আওয়ামীলীগের মধ্যে গ্রুপভিত্তিক একাধিক নেতা-কর্মীরা মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছে।

বিগত নির্বাচনে ৩/৪ জন ফরম সংগ্রহ করলেও এবার নির্বাচনে  আওয়ামীলীগের নৌকার আশায় ১৬ জন মনোনয়ন পত্র তুলেছেন। এর মধ্যে ব্যবসায়ী, চিকিৎসকও রয়েছে।

প্রার্থীরা হলেন- ৪র্থ বার মনোনয়ন ফরম তুলেছেন (আলমডাঙ্গা- চুয়াডাঙ্গা)-১ আসনের বর্তমান সাংসদ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুল হক বিশ্বাস, কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক উপকমিটির সদস্য দিলীপ কুমার আগরওয়ালা, কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের অর্থ ও পরিকল্পনা বিষয়ক উপকমিটির সদস্য এমএ রাজ্জাক খান, কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাবেক প্রেসিডিয়াম মেম্বার শেখ সামসুল আবেদীন খোকন, জেলা যুবলীগের আহবায়ক নঈম হাসান জোয়ার্দ্দার, বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি সাবেক সংরক্ষিত আসনের এমপি শিরিন নাঈম পুনম, চুয়াডাঙ্গা আওয়ামী যুব মহিলা লীগের সভাপতি আফরোজা পারভীন, ঢাকা মহানগর উত্তরের স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক এ এইচ এম কামরুজ্জামান সুমন, কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য জুবায়ের আহমেদ সাব্বির, চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক স্বাস্থ্য ও পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক ডাঃ মাহবুব হোসেন মেহেদী, বাংলাদেশ কৃষক লীগ কেন্দ্রীয় কমিটি সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক নাজমুল হক পানু, চুয়াডাঙ্গা জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক আহবায়ক ওবাইদ্রু রহমান চৌধুরী জিপু, আলমডাঙ্গার সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান হেলাল উদ্দিন, কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান, আওয়ামীলীগ নেতা জেমস অলোক চৌধুরী।

বর্তমান সংসদ সদস্য সোলায়মান হক জোয়াদ্দার ছেলুনের বরাত দিয়ে নেতা-কর্মীরা জানান, একটানা ৩য় বারের মত চুয়াডাঙ্গা-১ আসনে তিনি নেতৃত্ব দিয়েছেন। আবারো ৪র্থ বার নৌকা পাবার আশায় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন। তার দায়িত্বপালনে এ অঞ্চলে উন্নয়নে ব্যাপক ভুমিকা রেখেছেন। চিকিৎসা, শিক্ষা ও সড়ক পথগুলো আমূল পরিবর্তন হয়েছে। ভিক্ষুক মুক্ত জেলার পাশাপাশি শতভাগ ভুমিহীনদের সরকারি জায়গা ও ঘর বরাদ্দ দিয়েছে।

কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক উপকমিটির সদস্য দিলীপ কুমার আগরওয়ালা বলেন, করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) আক্রান্ত সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি। প্রতিবন্ধী নারী-পুরুষসহ শিশুদের হুইল চেয়ার দিয়েছি। বিভিন্ন মসজিদ, মন্দিরে আর্থিক সহায়তার পাশাপাশি অস্বচ্ছল মানুষের সহযোগীতা করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী দেশের উন্নয়নমূলক প্রচারণা করা হচ্ছে। দলীয় মনোনয়ন পেলে এজেলাকে স্মার্ট (আলমডাঙ্গা-চুয়াডাঙ্গা) গড়ে তুলবো।

কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাবেক প্রেসিডিয়াম মেম্বার শেখ সামসুল আবেদীন খোকন জানান, দীর্ঘদিন প্রার্থী হতে তৃণমূল নেতাদের নিয়ে ব্যাপক প্রচার চালায়। বিভিন্ন এলাকায় সভা করছেন এবং তৃণমূলের নেতাকর্মীকে নানাভাবে সহযোগিতা করছেন। তিনি বলেন, দলে কোনো গ্রুপিং নেই। যেহেতু দলের অনেকে এমপি প্রার্থী হতে চান, তাই সরকারের উন্নয়নকাজের প্রচার পৃথকভাবে করা হয়। দল যাঁকেই মনোনয়ন দেবে, তাঁর পক্ষেই সবাই কাজ করবে।

চুয়াডাঙ্গা জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক আহবায়ক ওবাইদ্রু রহমান চৌধুরী জিপু তিনিও কার্যক্রম চালাচ্ছেন পৃথকভাবে। মনোনয়ন ফরম কিনেছেন । তবে তিনি বলছেন, দলে একাধিক নেতা-কর্মীরা মনোনয়ন প্রত্যাশী হয়েছেন।

জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক স্বাস্থ্য ও পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক ডাঃ মাহবুব হোসেন মেহেদীও দলের মনোনয়ন ফরম কিনেছেন। তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে দলের জন্য কাজ করছেন। দল এর মূল্যায়ন নিশ্চয়ই করবে। ইতিপূর্বেও তিনি দলের মনোনয়ন চেয়েছেন।

আলমডাঙ্গার সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান হেলাল উদ্দিন নিজের একটি বলয় নিয়ে রাজনীতিতে সক্রিয়। তিনি এবার প্রথম দলের মনোনয়ন চাইছেন।




মেহেরপুরে আগাম পোস্টার-ব্যানার নিজ উদ্যোগে অপসারণের নির্দেশনা

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে নির্ধারিত সময়ের আগেই লাগানো পোস্টার, ব্যানার, বিলবোর্ড, তোরণ, প্যান্ডেল, দেয়াল লিখনসহ সকল ধরনের নির্বাচনী প্রচার সামগ্রী নিজ উদ্যোগে অপসারণ করতে প্রার্থীদের প্রতি নির্দেশনা দিয়েছে মেহেরপুর জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং অফিসার।

আগামী ৭ জানুয়ারি ভোটের তারিখ নির্ধারণ করে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া যাবে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত। ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর মনোনয়ন যাচাই বাছাই হবে। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৭ ডিসেম্বর। ১৮ ডিসেম্বর দেওয়া হবে প্রতীক বরাদ্দ। এরপর থেকে ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত ভোটের প্রচার চালানোর সুযোগ থাকবে। সেক্ষেত্রে মনোনয়নপত্র জমার জন্য ১৪ দিন সময় দেওয়া হয়েছে এবং প্রচারের জন্য ১৯ দিন সময় রয়েছে। এই সময়ের আগে কেউ তার নির্বাচনী এলাকায় প্রচার চালাতে পারবেন না। তাই আগামী ২৫ নভেম্বর শনিবারের মধ্যে নিজ উদ্যোগে পোস্টার ও দেয়াল লিখন অপসারণ এবং মোটরসাইকেল অন্যান্য যানবাহনে শোভাযাত্রা, শো-ডাউন, মিছিল, নির্বাচনি প্রচারণায় প্রীতিভোজ ও জনমনে আতংক সৃষ্টি করে এমন কার্যক্রম থেকে বিরত থাকতে অনুরোধ করা হয়েছে।

নির্বাচন কমিশনের আইন অনুযায়ী, নির্ধারিত সময়ের আগে নির্বাচনী প্রচার চালালে প্রার্থী বা তার সমর্থকের সর্বোচ্চ ছয় মাসের কারাদণ্ড অথবা ৫০ হাজার টাকা জরিমানা এমনকি উভয়দণ্ডে দণ্ডিত করার বিধান রয়েছে। সেই সাথে বাতিল হতে পারে প্রার্থীতাও।




গাংনীতে পিএসকেএসের উদ্যোগে মাঠ দিবস

গাংনীতে পলাশীপাড়া সমাজ কল্যাণ সমিতি (পিএসকেএস) কর্তৃক সমন্বিত কৃষি ইউনিটভুক্ত মৎস্যখাত এর আওতায় তেরাইল গ্রামে মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে ।

মাছের পোনা চাষে উদ্যোক্তা তৈরি প্রযুক্তির ওপর আয়োজিত উক্ত অনুষ্ঠানে সদস্য পর্যায়ে সচেতনতা ও প্রতিরূপায়ন বৃদ্ধির লক্ষ্যে সফল খামারীর খামার পরিদর্শনসহ প্রত্যাশিত লাভের হিসাব সরেজমিনে দেখানো হয়।
আজ বুধবার দুপুরে অনুষ্ঠিত মাঠ দিবসে উপস্থিত চাষীদের পুকুরে পোনা মাছ চাষের গুরুত্ব, গুণগত মানসম্পন্ন পোনার চাষ, পোনার প্রাপ্তিস্থান, মাছের সাধারণ রোগ-প্রতিকার, সমস্যাবলী ও সমাধানসহ অন্যান্য বিষয়ে আলোকপাত করা হয়। এছাড়াও পুকুর ব্যবস্থাপনায় বিবেচ্য বিষয়সমূহ তুলে ধরা হয়।

উক্ত কার্যক্রমে আর্থিকভাবে সহায়তা করছে পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ)।




আলমডাঙ্গার বন্ডবিলে গলায় ফাঁস দিয়ে নারীর আত্নহনন

পারিবারিক কলহের জের ধরে টুলু খাতুন (৫১) নামের এক নারী আত্মহত্যা করেছেন। আজ বুধবার বিকেল ৪ টায় নিজ ঘরের আড়ার সঙ্গে গলায় ফাঁস লাগিয়ে তিনি আত্মহত্যা করেন। নিহত টুলু খাতুন পৌর এলাকার গেটবন্ডবিল এলাকার মানোয়ার শেখের স্ত্রী। এ ব্যাপারে আলমডাঙ্গা থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

জানাগেছে, উপজলার বন্ডবিল এলাকার মনোয়ার শেখের স্ত্রী টুলু খাতুন দীর্ঘদিন মানসিক রোগে ভুগছিল। মানসিক ভারসাম্যহীন ওই নারী মাঝেমধ্যে আত্মহত্যার চেষ্টা করতেন। আজ বুধবার পারিবারিক কলহের জেরে তিনি নিজ ঘরে ওড়না পেঁচিয়ে আত্নহত্যা করেছে।

আলমডাঙ্গা থানার ওসি বিপ্লব কুমার নাথ বলেন, আত্নহত্যার ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।




কুষ্টিয়ায় শারীরিক প্রতিবন্ধীদের মাঝে হুইলচেয়ার বিতরণ

কুষ্টিয়ায় মেধা’র ব্যবস্থাপনায় অসহায় শারীরিক দুই প্রতিবন্ধীর মাঝে হুইলচেয়ার বিতরণ করা হয়েছে।

বুধবার দুপুরে মেধা’র কার্যালয়ে ডা: মেহনাজ নাসরীনের অর্থায়নে ও মেধা’র ব্যবস্থাপনায় দুই জন শারীরিক প্রতিবন্ধীদের মাঝে হুইলচেয়ার বিতরণ করা হয়।

মেধা’র নির্বাহী পরিষদের সদস্য সচিব শামীম আহমেদ, মেধা’র উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ড. মুহা. আব্দুল লতিফ. মেধা’র সহসভাপতি শাহনেওয়াজ আনসারী মনজু, নির্বাহী সদস্য আব্দুল মান্নান বিদ্যুত, মোসাদ্দেক আলী মনি, মনজুর রহমান মনু, ড. নবীনুর রহমান খান, মোকাররম হোসেন মোয়াজ্জেম, এহসান আনোয়ার বুলবুল উপস্থিত ছিলেন।

মেধা’র নির্বাহী পরিষদের সদস্য সচিব শামীম আহমেদ বলেন, কুষ্টিয়ার মেধা একটি বাস্তবমুখি সামাজিক সংগঠন। এ সংগঠনের মাধ্যমে যে সব কর্মকান্ড পরিচালিত হয়ে আসছে তা জেলার শিক্ষা বিস্তারে ব্যাপক ভুমিকা রেখে যাচ্ছে। মেধার মাধ্যমে এ অঞ্চলের বিপুল সংখ্যক মেধাবী ও দরিদ্র শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন ধরে উপকৃত হয়ে আসছে। পাশাপাশি সামাজিকভাবেও বেশ কিছু কর্মকান্ড পরিচালনা করে আসছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে আজ দুই জন শারীরিক প্রতিবন্ধীদের মাঝে হুইলচেয়ার বিতরণ করা হয়েছে।




কুষ্টিয়ায় পাসপোর্ট করতে এসে গ্রেপ্তার রোহিঙ্গা যুবক

কুষ্টিয়া আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে মোঃ সবুজ নামে নামে এক রোহিঙ্গা যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তথ্য গোপন করে পাসপোর্ট করার চেষ্টার অপরাধে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

বুধবার (২২ নভেম্বর) দুপুরে কুষ্টিয়া আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস থেকে তাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।

জানা যায়, কুষ্টিয়া পৌলসভার ১৬ নং ওয়ার্ড (ঢাকা ঝালুপাড়া) ঠিকানা ব্যবহার করে পাসপোর্ট করতে আসা মোঃ সবুজ নামে এক রোহিঙ্গাকে কুষ্টিয়া আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস থেকে আটক করা হয়েছে। আটককৃত মোঃ সবুজ, তার পিতার নাম মোঃ খেদের আলী ও মাতা মরিয়ম বেগম লিখেছেন এবং সেইসাথে কুষ্টিয়ার পৌর ১৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবু জাহিদ সঞ্জুর সুপারিশক্রমে পৌরসভা থেকে নাগরিক সনদ প্রদান হয়।

কুষ্টিয়া আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের সহকারী পরিচালক সাজ্জাদ হোসেন বলেন, বুধবার সোয়া ১টার দিকে সবুজ আবেদন পত্র জমা দেন। আবেদনপত্রের সঙ্গে নিজের ভোটার আইডি কার্ড, নাগরিক সনদ দাখিল করেন। পরে পাসপোর্ট অফিসের কর্মকতা হাসান আলীর আবেদনকারীকে সন্দেহ হয়। এরপরই তদন্তের মাধ্যমে সনাক্ত করে তাত্ক্ষণিক রোহিঙ্গা ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়।

কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল রানা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।




মেহেরপুরে নাশকতার অভিযোগে ২ জামায়াত নেতা আটক

নাশকতা মামলায় মেহেরপুরে জামায়াত ইসলামের পৌর শাখার দুই নেতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

বুধবার (২২ নভেম্বর) ভোরে মেহেরপুর সদর উপজেলার কোলা গ্রামের কড়াইতলা নামক স্থানে জামায়েত ইসলামের ঝটিকা মিছিল করে ফেরার পথে শহরের কোর্ট মোড় থেকে তাদের গ্রেফতার করে মেহেরপুর সদর থানা পুলিশ।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন, মেহেরপুর শহরের পুরাতন বাসস্ট্যান্ড পাড়ার মির্জা আজমের ছেলে ও পৌর জামায়াতের সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান (৫০) ও মুজিবনগর উপজেলার শিবপুর গ্রামের বড় মসজিদ পাড়ার ইসলাম শেখের ছেলে জাহাঙ্গীর হোসেন (৩২)।

জেলা পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে আটককৃতদের বিরুদ্ধে নাশকতার অভিযোগে মামলা রয়েছে। আদালতে সোপর্দ করার মাধ্যমে তাদের জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।




নির্বাচনের আগে ফেসবুকের মিথ্যাচার কী বন্ধ হবে?

কয়েকটি উদাহরণ দেবো। সবগুলোই গত ২৮শে অক্টোবর বিএনপি-জামায়াতের সরকার বিরোধী আন্দোলন ঘিরে। ২৮ শে অক্টোবরের দুই দিন আগে বিএনপির নামে একটি বিজ্ঞপ্তি ছড়িয়ে পড়ে সেখানে দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলা হচ্ছে “আপনারা যারা ঢাকায় আসবেন পরিবারের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে আসবেন” বিজ্ঞপ্তিটি কয়েকটি অনলাইন সংবাদ মাধ্যমেও প্রচার হলো। ২৮শে অক্টোবরের পর বিএনপি’র মিডিয়া সেল এর ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে বলা হয়, আলোচিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিটি ভুয়া।

আন্তর্জাতিক ফ্যাক্ট চেকিং নেটওয়ার্ক স্বীকৃত বাংলাদেশের একটি ফ্যাক্ট চেকিং বা তথ্য যাচাইকারী প্রতিষ্ঠান রিউমর স্ক্যানারও সম্প্রতি ২৮শে অক্টোবর ঘিরে কী পরিমাণ গুজব ছড়ানো হয়েছিল এর একটি তালিকা প্রকাশ করেছে । সেখানেও পরিবার থেকে বিদায় নেয়ার গুজবটি প্রথম দিকেই আছে। এর আগে ২৭ অক্টোবর সন্ধ্যার পর ফেসবুকে একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়তে দেখা যায়, যাতে দেখা যাচ্ছিল একটি ট্রেন উপচেপড়া যাত্রীসমেত চলছে। বলা হয়- বিএনপির মহাসমাবেশে যোগ দিতে মানুষের ঢাকায় আসছে। রিউমর স্ক্যানার বলছে , ২০২২ সালের অক্টোবরে বিএনপির খুলনার সমাবেশে জনগণের যোগদানের ছবি হিসাবে এই ভিডিওটিই প্রচার হয়েছিল। এটি আসলে ২০১৯ সালের বিশ্ব ইজতেমা শেষে মুসল্লিদের বাড়ি ফেরার দৃশ্য।

২৭ অক্টোবর সকালে আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়ার স্বাক্ষর করা প্রেস বিজ্ঞপ্তির আদেলে একটি ছবি ছড়ায়। যেখানে বলা হয়- ২৮ অক্টোবর চট্টগ্রামে বঙ্গবন্ধু টানেলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের কারণে ঢাকায় পূর্বঘোষিত শান্তি সমাবেশ স্থগিত করা হয়েছে। পাশাপাশি সারাদেশের জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের চট্টগ্রামে বঙ্গবন্ধু টানেলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিতে অনুরোধ করা হয়। পরে বিপ্লব বড়ুয়া নিজেই বিভিন্ন গণমাধ্যমে নিশ্চিত করেন যে বিজ্ঞপ্তিটি ভুয়া৷ ঢাকার সমাবেশ স্থগিত হয়নি।

২৭ অক্টোবর রাতে ইউটিউবের একটি ভিডিওর মাধ্যমে প্রচার করা হয়, পুলিশের বেড়ি ভেঙে রাতের শাপলা চত্বর দখলে নিলো জামায়াত- শিবিরের নেতা কর্মীরা। পরে রিউমর স্ক্যানার ভিডিওটি যাচাই করে দেখতে পায়, এটি সাম্প্রতিক কোনো দৃশ্য নয়। ২০২১ সালের ২৬ মার্চ ঢাকায় জামায়াতে ইসলামীর বিক্ষোভ মিছিলের একটি ভিডিও। কিন্তু যতক্ষণে ফ্যাক্টচেক প্রকাশ হয়, ততক্ষণে প্রায় ১২ লাখেরও বেশি মানুষ ভিডিওটি দেখেছে। এরকম শত শত মিথ্যা তথ্য ছড়ায় ২৮ অক্টোবর ঘিরে। এর বেশিরভাগই ছিল সরকারবিরোধী এবং সহিংসতার জন্যে উস্কানীমূলক।

এখানে তো মাত্র কয়েকটা উদাহরণ দেয়া হলো। এরই মধ্যে সেদিনের সবগুজব সত্য হয়ে মানুষের সামনে আসছে। এখন এনিয়ে হাসাহাসি হচ্ছে। যে কেউ গুগলের কল্যাণে একটা একটা করে সেসব ঘটনা দেখে নিতে পারেন। আজ ঘটনার ২০দিন পর আমরা সেই ভুল তথ্য বিশ্লেষণে বসছি। আজ আমরা হাসছি, অথচ ওই দিনের কথা মনে করেন, কী ভয়বহ আতঙ্কের মধ্য দিয়ে গেছে! আমার ব্যক্তিগত মত, ওই ভয়াবহ দিনে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে পাওয়া বেশিরভাগ তথ্যই ভুল। যারা মাঠে ছিলেন তারাও ভুল তথ্যের ওপর ভর করে ছিলেন। কেউ সহিংসতা করছিলেন, কেউ সহিংসতার স্বীকার হচ্ছিলেন। পাঠক একবার ভাবুন, এখন যত বিশ্লেষণই করি, ওই দিন নিহত দুইজনকে আমরা ফেরত পাবো?

আসলে আমাদের বর্তমান পরিস্থিতিটাই এমন। একদল মিথ্যাবাদী ভুল তথ্য ছড়িয়ে পরিস্থিতি সবসময় উৎতপ্ত করছেন। “সবসময়” শব্দটি আমি আসলে ইচ্ছে করেই ব্যবহার করছি। কারণ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কল্যাণে মিথ্যা বিষয়টি আমাদের জীবন যাপনের সঙ্গে মিশে গেছে। অনেকেই হয়তো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ইতিবাচক দিক সামনে আনতে চাইবেন। আমিও চাই, কিন্তু পারি না। কারণ এই দেখুন, রিউমর স্কানারই ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে আগস্ট মাস পর্যন্ত ইন্টারনেটে প্রচারিত ১০৮২টি ভুল তথ্য শনাক্ত করেছে। এর মধ্যে ৭৪টি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সঙ্গে জড়িত। এই আট মাসে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিষয়ে সর্বোচ্চ ৪৩ টি ভুল তথ্য প্রচার হয়েছে।

সংসদ নির্বাচন নিয়ে ৭৪টি ভুল তথ্য প্রচারই আমার এই লেখার উদ্দেশ্য। পাঠক খেয়াল করুন ওই সংস্থাটি
২০২২ সালে ১৪০০টি ফ্যাক্ট-চেক প্রতিবেদন দেয়। এর মধ্যে জানুয়ারি মাসে ছিল ৮২টি, ফেব্রুয়ারিতে ৯০টি, মার্চে ১১৯টি, এপ্রিলে ৯০টি, মে মাসে ৭২টি, জুন মাসে ১৩০টি, জুলাইয়ে ১০৫টি, আগস্টে ১৫০টি, সেপ্টেম্বরে ১৩৩টি, অক্টোবরে ১৩০টি, নভেম্বরে ১৪২টি এবং ডিসেম্বর মাসে ১৫৭টি প্রতিবেদন। আমি লেখায় একটি প্রতিষ্ঠানের কথাই উল্লেখ করছি। আমার জানা মতে, সরকারি বেসরকারি আরও কিছু প্রতিষ্ঠান ফ্যাক্ট চেক করে। কিন্তু রিউমর স্কানার প্রকাশ করে। যাই হোক অন্যরা তালিকা প্রকাশ করলে ভুল তথ্য প্রচারের তালিকাটা হয়তো দীর্ঘ হতো।

যদিও ভুলের দীর্ঘ তালিকা প্রকাশ আমার লক্ষ্য নয়। গুজব যে কত নিয়মিত সেটা পরিস্কার করা। এর পর আমার প্রশ্ন, জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে কী একটিও মিথ্যা তথ্য প্রচার করা যাবে? নির্বাচনের মত সংবেদনশীল বিষয় নিয়ে কী ২৮ শে নভেম্বরের মত অবস্থা করা যাবে? কিম্বা ২৮ নভেম্বরের মত পরিস্থিতির আশঙ্কা সত্বেও কী সুষ্ঠু নির্বাচন হবে? ধরা যাক সহিংসতা হলো না। কিন্তু গুজববাজরা এরকমই অ্যাকটিভ থাকলো। তাতে কী নির্বাচনে কোন ভদ্রলোক তার কাঙ্ক্ষিত ফলটি পাবেন?

এবছর আগস্ট মাসের প্রথমদিকে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অপপ্রচার রোধে ফেসবুকের সহায়তা চেয়েছিল নির্বাচন কমিশন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ফেসবুক কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধির সঙ্গে একটা বৈঠকও হয় ইসির। সে সময় ইসি থেকে বলা হয়েছিল, সংসদ নির্বাচনের আগে ভুল তথ্য বা মিথ্যা তথ্য প্রচার বন্ধে সহায়তা করতে চায় ফেসবুক। তফসিল ঘোষণার পর তারা ইসির সঙ্গে কাজ করবে। বৈঠকে ছিলেন ফেসবুকের প্যারেন্ট কোম্পানি মেটার বাংলাদেশ বিষয়ক হেড অব পাবলিক পলিসি রুজান সারওয়ারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল। তারা জানায়, অপপ্রচার, ঘৃণামূলক মন্তব্য এবং সাম্প্রদায়িকতা লঙ্ঘন হয়, এমন ধরনের কনটেন্ট মুছে সহযোগিতা করা যেতে পারে।

আমার ব্যক্তিগত মত, ফেসবুকের টিম যেটুকু করতে চেয়েছে এটুকু করলেই অনেক বড় কাজ করা হবে। কারণ আমরা আসলেই গুজবে ভাসছি। গণমাধ্যমগুলো সবচেয়ে ঝুঁকিতে পড়েছে। গুজববাজদের মত করে চলতে না চাওয়ায় তারাও ভয়াবহ গুজবের স্বীকার। ২৮শে অক্টোবর সরকার বিরোধীদের হাতে অকারণে মার খেয়েছে ২৮ জন সাংবাদিক। একদিকে তাদের নাম ব্যবহার গুজব ছড়ানো হচ্ছে, আরেকদিকে রাস্তায় সরকারবিরোধীদের রোষে পড়ছে। এই মুহূর্তে গুজবের মুখে সাংবাদিক, গুজবের মুখে রাজনীতিক। কেউ কাউকে রক্ষা করতে পারছে না।

কিন্তু নির্বাচনের তফসিল হয়ে গেছে, এখনও গুজবের ফেসবুকের কোন কাজ শুরু করার নাম গন্ধ পাচ্ছি না। নির্বাচন কমিশন বিটে কাজ করেন, এমন কয়েক জন রিপোর্টারের সঙ্গে কথা বলেছি। তারাও কিছু বলতে পারেন না। আমি নেতিবাচক হতে চাই না। হয়তো অপপ্রচার রোধে শিগগির কাজ শুরু করবে ফেসবুক। বিষয়টি হয়তো এখনও জনায়নি ইসি। কাজ করার কথা যেহেতু বলেছেন, করবেন নিশ্চয়ই। কিন্তু আরেক শক্তিশালী সামাজিক মাধ্যম ইউটিউব। তাদের সঙ্গে এমন কোন বৈঠকের খবরও কিন্তু পাইনি। তাদেরকেও নির্বাচনের আগে আমাদের অপপ্রচার রোধে যুক্ত করা দরকার।

লেখক: গণমাধ্যম কর্মী




গাংনী মহিলা ডিগ্রী কলেজে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত

গাংনী মহিলা ডিগ্রী কলেজে ২০২৩ সালের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ  বুধবার (২২ নভেম্বর) সকাল ১০ টায় মহিলা ডিগ্রী কলেজ মাঠে জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে পতাকা উত্তোলন ও বর্ণাঢ্য র‍্যালির মধ্য দিয়ে ক্রীড়া প্রতিযোগিতার সুচনা করা হয়।

প্রতিযোগিতার বিভিন্ন ইভেন্টের মধ্যে ছিল ব্যাডমিন্টন, চকলেট দৌড়, বর্শা নিক্ষেপ, সুই ‌সুতা পড়ানো, লৌহ গোলক নিক্ষেপ, চাকতি নিক্ষেপ, মার্বেল দৌড় এবং কলেজের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের জন্য হাড়িভাঙ্গা ও পিলো পাসিং।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গাংনী মহিলার ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ খোরশেদ আলীর সভাপতিত্বে ও সহকারি অধ্যাপক মনোয়ার হোসেনের সঞ্চালনায়, প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি উপস্থিত ছিলেন কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি এম এ এস ইমন।

ক্রিড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী ২৬ নভেম্বর রবিবারে অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছে কলেজ কর্তৃপক্ষ।




যুগপৎ আন্দোলনে নয়, ১০০ আসনে লড়বে যুক্তফ্রন্ট

বিএনপির সঙ্গে সরকারবিরোধী যুগপৎ আন্দোলনে থাকা কল্যাণ পার্টির নেতৃত্বাধীন নতুন জোট ‘যুক্তফ্রন্ট’ নির্বাচনে যাওয়ায় ঘোষণা দিয়েছে। তিন দল নিয়ে গড়া এই জোটে আরও রাজনৈতিক দল যুক্ত হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান ও যুক্তফ্রন্টের সভাপতি মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম।

বুধবার (২২ নভেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন এই জোট ‘যুক্তফ্রন্ট’ আত্মপ্রকাশ করে। এ জোটে রয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ (বিএমএল) ও বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি।

সংবাদ সম্মেলেন সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বলেন, আমরা মাঠে দাবি আদায়ে সফল না হয়ে, বিকল্প পন্থায় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে অবদান নিতে চাই। আশা করছি, এবারের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু হবে।’
তিনি বলেন, ‘ আমরা জোটগতভাবে নির্বাচনে যাব। নির্বাচন জয়ী হলে আমরা বিরোধী দলের ভূমিকায় থাকতে চাইব। বিরোধী দলে থেকে আমরা জনগণের জন্য কাজ করব। জোটের পক্ষ থেকে আমাদের ১০০ আসনে লড়াইয়ের প্রস্তুতি রয়েছে। পরিস্থিতি অনুযায়ী সেটা কম-বেশি হবে।’

বিদ্যমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের পরিবেশ নেই’– উল্লেখ মুহাম্মদ ইবরাহিম আরও বলেন, ‘এরকম পরিস্থিতিতে আমরা নির্বাচনে আসতে পারি। সরকারের কাছে আবেদন, সরকার যেন সুন্দর অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের চেষ্টা করে।’ এই মুহূর্তে সংলাপের পরিবেশ তৈরিতে সব পক্ষ যেন পদক্ষেপ নেয় তারও আহবান জানান তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির মহাসচিব জাফর আহমেদ জয়, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের চেয়ারম্যান শেখ জুলফিকার বুলবুল চৌধুরীসহ বেশ কয়েকজন নেতা উপস্থিত ছিলেন।