আলমডাঙ্গায় শর্ট সার্কিট থেকে অগ্নিকাণ্ড, পুড়ল ৩টি দোকান

আলমডাঙ্গা উপজেলায় অগ্নিকাণ্ডে ৩টি দোকান পুড়ে গেছে। আজ মঙ্গলবার রাত ৪ টার দিকে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।

প্রত্যক্ষদর্শী ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, উপজেলার কালিদাসপুর ইউনিয়নের শ্রীরামপুর গ্রামের জামাল ব্রিজ এলাকায় ভুট্টো আলীর লেদের দোকান, শহিদুল ইসলামের মুদি দোকান ও ইউসুব ঘোষের হোটেলে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লাগে। এতে দোকানে থাকা পেট্রোল ও ডিজেলে আগুন লাগে। এছাড়া হোটেলে থাকা গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়। খবর পেয়ে আলমডাঙ্গা থেকে ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে, ততক্ষণে অগ্নিকান্ডে তিনটি দোকান পুড়ে ভস্কিভুত হয়।

আলমডাঙ্গা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট এবং আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।




মেহেরপুর পৌর ইমাম পরিষদের কমিটি গঠন

মেহেরপুর পৌর ইমাম পরিষদের আলোচনা সভা শেষে পৌর ইমাম পরিষদের কমিটি গঠন করা হয়েছে।

গতকাল (২১ নভেম্বর) সোমবার রাতে মেহেরপুর নুরানী মাদ্রাসা মিলনায়তনে আলোচনা সভা শেষে পৌর ইমাম পরিষদের কমিটি গঠন করা হয়।

মেহেরপুর জেলা ইমাম পরিষদের সভাপতি ইয়ারুল ইসলামের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন মুফতি মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান।

হাজি রাবেয়া জামে মসজিদের ইমাম মুফতি সাদিকুর রহমানকে সভাপতি ও মুখার্জি পাড়া বাইতুল ফাতা জামে মসজিদের ইমাম হাসানুজ্জামানকে সাধারণ সম্পাদক করে ৩১ সদস্য বিশিষ্ট মেহেরপুর পৌর ইমাম পরিষদের কমিটি গঠন করা হয়।
কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন সহ-সভাপতি গোরস্থান পাড়া মাদ্রাসা জামে মসজিদের ইমাম মুখলেসুর রহমান, মেহেরপুর জেলা মডেল মসজিদের ইমাম মুফতি সাদিকুর রহমান,সহ-সম্পাদক পিয়াদাপাড়া জামে মসজিদের ইমাম মুফতি নুরুল ইসলাম, থানা জামে মসজিদের ইমাম মুফতি আব্দুল আল মামুন, কোষাধক্ষ বাইতুল আতিক জামে মসজিদের ইমাম মোঃ খলিলুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পদ আনসার ও ভিডিপি জামে মসজিদের ইমাম সাব্বির হোসেন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক বাইতুন নূর জামে মসজিদের ইমাম তারিকুল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক নতুন পাড়া জামে মসজিদের ইমাম আনিসুর রহমান, সহপ্রচার সম্পাদক কালাচাঁদপুর জামে মসজিদের ইমাম মোহাম্মদ আরিফ, দপ্তর সম্পাদক কাথুলী রোড জামে মসজিদের ইমাম মনজুরুল ইসলাম, সহ-দপ্তর সম্পাদক উপজেলা মডেল জামে মসজিদের ইমাম মুফতি মিনারুল ইসলাম, প্রকাশনী সম্পাদক নজরুল ইসলাম সড়ক জামে মসজিদের ইমাম মুফতি মাহবুব আলম, সহকারী প্রচার প্রকাশনী সম্পাদক গোরস্তান পাড়া জামে মসজিদের ইমাম মুফতি রাশেদুল ইসলাম, সমাজ কল্যাণ সম্পাদক ভৈরব জামে মসজিদের ইমাম বজলুর রশিদ, সহকারী সমাজ কল্যাণ সম্পাদক চাঁদপুর নতুন মসজিদের ইমাম মাসুদুর রহমান, যাতায়াত সম্পাদক হারুন জামে মসজিদের ইমাম হাফেজ শাহিন কবীর, সহকারী যাতায়াত সম্পাদক পশুর হাট জামে মসজিদের ইমাম মাহমুদ, প্রশিক্ষণ সম্পাদক মুফতি সামিউল, সরকারি সম্পাদক আব্দুল ওয়াহেদ, সাংস্কৃতিক সম্পাদক আবু বক্কর, সরকারি সাংস্কৃতিক সম্পাদক মাহাদি হাসান, মিডিয়া সম্পাদক শরিফুল ইসলাম, সহ-মিডিয়া সম্পাদক মাওলানা খালিদ হাসান, দাওয়াত বিষয়ক সম্পাদক মুফতি মাজহারুল ইসলাম, সহ-দাওয়াত বিষয়ক সম্পাদক মাওঃ ওয়ারেস,নির্বাহী সদস্য মাওলানা আসাদুল্লাহ, মাওলানা মামুন, হাফেজ আব্দুল আজিজ এবং হাফেজ ইমরান।

এছাড়াও ৯ সদস্য বিশিষ্ট উপদেষ্টা পরিষদ গঠন করা হয়েছে। উপদেষ্টারে হলেন মাওলানা শফিকুল ইসলাম, ইয়ারুল ইসলাম, মুফতি হাফিজুর রহমান, মাওলানা শাহ আলম,মল্লিকপাড়া জামে মসজিদের ইমাম হাসানুজ্জামান, হাফেজ আহমাদুল্লাহ, মুফতি মাহবুবুর রহমান, হোসাইন আহমেদ এবং বন্দর জামে মসজিদের ইমাম হাসানুজ্জামান প্রমুখ।




মেহেরপুরে অস্ত্রসহ ভিডিপি সতেজকরণ প্রশিক্ষণের উদ্বোধন

মেহেরপুর আনসার ও ভিডিপির অস্ত্রসহ সতেজকরণ প্রশিক্ষণ ১ম ধাপের উদ্বোধন অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) দুপুর ১২ টায় জেলা আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর ৩ দিন মেয়াদি অস্ত্রসহ সতেজকরণ প্রশিক্ষণ উপলক্ষে প্রশিক্ষণ শ্রেণিকক্ষের ১ম ধাপের উদ্বোধন অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

জেলা কমান্ড্যান্ট প্রদীপ চন্দ্র দত্ত প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এর শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন।

এ সময় কোর্সের সাথে সংশ্লিষ্ট কোর্স অ্যাডজুট্যান্ট মুজিবনগর উপজেলা আনসার কর্মকর্তা মিরাজুল ইসলাম, প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা সিএ মোঃ আল মামুন, সদর উপজেলা প্রশিক্ষকা ফেরদৌসী বানু, সদর টিআই সাগর আহমেদসহ কোর্স সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় প্রশিক্ষকগণ উপস্থিত ছিলেন।

জেলার তিনটি উপজেলা হতে মোট ৬৫ জন আনসার ও ভিডিপি সদস্য অংশ নেন।




বিএনপি-জামায়াত অপশক্তির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান

বিএনপি-জামায়াত হরতাল, অবরোধ দিয়ে জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। তারা গণতন্ত্রের রাজনীতি করে না, সংবিধানের ওপর আস্থা নেই। বিএনপি-জামায়াত নির্বাচন বানচাল করতে চায়। তাদের এই অপশক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান এসেছে গৌরব’৭১ ও স্বাধীনতা সাংবাদিক ফোরামের আ্রলোচনা সভায়।

আজ মঙ্গলবার সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের তোফাজ্জেল হোসেন মানিক মিয়া হলে ‘হরতাল-অবরোধ আর আগুন সন্ত্রাস: বন্ধ হোক এই অপরাজনীতি’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তারা এই আহ্বান জানান।

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ এমপি বলেন, ‘বাসে-ট্রেনে আগুন দিয়ে, চোরাগোপ্তা হামলা করে দেশের রাষ্ট্রীয় কাজ থামানো যাবে না। এগুলো কোনো রাজনৈতিক কর্র্মসূচি নয়; এটা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড। তারা ভেবেছে বাসে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে সম্পত্তি ধ্বংস করে বোধহয় নির্বাচন বানচাল করা যাবে। নির্বাচন সংবিধান অনুযায়ী উৎসবমুখর পরিবেশে হবে। নির্বাচন বানচাল করা যাবে না।’

হানিফ বলেন, ‘২৮ অক্টোবরের পর থেকে বিএনপি-জামায়াত রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে ১৮৬টি বাস-ট্রাক আগুন পুড়িয়েছে। রাজনীতির সাথে এই আগুনের কোনো সম্পর্ক নেই। এগুলো সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড। জঙ্গি বা সন্ত্রাসীদের কাজ, এটা কিভাবে গণতন্ত্র হয়।’

তিনি বলেন, ‘বিএনপির সঙ্গে সমমনা কিছু দল আছে, নাম সর্বস্ব দল। তাদের নেতারা টকশোতে এসে ইনিয়ে বিনিয়ে বলার চেষ্টা করেন এটা বিএনপি নেতাকর্মী করেনি। সরকারের ওপরই দোষ চাপাতে চায়। মিথ্যাচারের একটা সীমা থাকে। যারা আগুন দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করে আবার এদের পক্ষে আবার সাফাই করা হয়। এটি জাতীর জন্য লজ্জা।’

সভাপতির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রীর সাবেক তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত গণতন্ত্রের রাজনীতি করে না। এই দল সৃষ্টি হয়েছিল স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি নিয়ে। তারা মানুষকে ভালোবাসে না, সংবিধানের প্রতি আনুগত্য নেই। এই স্বাধীনতা তারা চায়নি। যার কারণে স্বাধীন বাংলাদেশে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যে উন্নয়ন হয়েছে তা তারা বাধাগ্রস্ত করতে চায়।’

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট সানজিদা খানম বলেন, ‘২৩ দিনে অবরোধের নামে ১৮৬টি গাড়ি পুড়ানো হয়েছে। যারা নির্বাচনে আসতে চায় না, তারাই এসব পুড়িয়েছে। পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় আসতে চায়, দেশকে অশান্ত করতে চায়। তাদের অবৈধভাবে জন্ম হয়েছে আর এজন্য তারা অবৈধভাবেই ক্ষমতায় আসতে চায়।’

সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ বলেন, ‘হরতাল, অবরোধ ডাকার অধিকার প্রতিটি রাজনৈতিক দলের আছে কিন্তু মানুষকে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মারা ক্ষমতা কাউকে দেয়া হয়নি। রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে বাসে আগুন দিয়ে ঘুমিয়ে থাকা মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করা হচ্ছে। এটা কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি হতে পারে না, এগুলো সন্ত্রাসী কর্মসূচি।’

ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সহ সভাপতি মানিক লাল ঘোষ বলেন, ‘যখনই নির্বাচন আসে তখনি নাশকতা চালানো হয়। গণতান্ত্রিক ধারায় দেশ এগিয়ে যেতে চায় তখনই সেই অগ্রযাত্রাকে দাবিয়ে দেয়ার জন্য তাদের অপচেষ্টা শুরু হয়। যারা উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত করে সাধারণ মানুষর ক্ষতি করতে চায়, আসুন সবাই মিলে তাদের প্রতিহত করি।’

আলোচনা সভার শুরুতে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন গৌরব ’৭১ সাধারণ সম্পাদক এফ এম শাহীন। তিনি বলেন, আমরা বাসে চড়ে অফিসে কিংবা বাসায় নিরাপদে পৌঁছাতে চাই। কিন্তু বিএনপি-জামায়াতের বাস আগুন দেয়ার ঘটনায় আজ মানুষ শঙ্কা নিয়ে গাড়িতে ওঠে। আমরা তাদের অবরোধের আগুনে ঝলসে যেতে চাই না।’

সভা সঞ্চালনা করেন স্বাধীনতা সাংবাদিক ফোরাম নেতা ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খায়রুল আলম।
আলোচনা সভার শুরুতে বিএনপি-জামায়াতের অবরোধে দেওয়া আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত অন্তত ১০ জন বাস মালিক ও শ্রমিক নিজেদের অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন। এসময় তারা ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানান।

এর মধ্যে বোরাক পরিবহনের চালক মিরাজ হোসেন বলেন, ‘রাত ১০ টার দিকে আমরা গাড়িতে আগুন দিয়েছে। আমি নিঃস্ব হয়ে গেছি। গাড়ি পুরা কঙ্কাল হয়ে গেছে। একেবারে শেষ হয়ে গেছি। এমনভাবে পুড়েছে ঠিক করাও যাচ্ছে না। আমি খুব নিঃস্ব, অসহায়।’

শিকড় পরিবহনের মালিক লিটন মিয়া বলেন, ‘মিরপুর ১১ পার হওয়ার পর আমার গাড়িতে আগুন দেয়া হয়েছে। তারা যাত্রীবেশে আগুন লাগিয়ে পালিয়ে গেছে। গাড়ির সবকিছুই পুড়ে গেছে। আমার ইনকাম সোর্স বন্ধ হয়ে গেছে।’

অছিম পরিবহনের মালিক সাইদুর রহমান বলেন, ‘আমার দুইটা স্টাফ গাড়ির ভেতর ছিল। দুই মিনিটে গাড়িটা পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। একজন মরে কয়লা হয়ে গেছে। আরেকজন ৬০ শতাংশ পুড়ে গেছে। তাদের পরিবারের অবস্থাও খারাপ।’




হরতাল-অবরোধের বিরুদ্ধে স্কুল-কলেজ শিক্ষার্থীদের মিছিল

হরতাল-অবরোধ মানি না- মানবো না। হরতাল-অবরোধ বন্ধ করো- করতে হবে’- এমন স্লোগান দিয়ে বার্ষিক পরীক্ষার সময় ডাকা হরতাল-অবরোধের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমেছে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার তারা রাজধানীল বিভিন্ন এলাকায় হরতাল-অবরোধের বিরুদ্ধে মিছিল করে।

বার্ষিক পরীক্ষা ব্যাহত হওয়ায় শিক্ষার্থীদের শিক্ষা জীবন নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। ইতিমধ্যে রাজধানীসহ দেশের অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বার্ষিক পরীক্ষার তারিখ দফায় দফায় পরিবর্তন করা হয়েছে। তবে শঙ্কার মধ্যেও রাজধানী এবং দেশের বড় শহরগুলোতে শুক্রবারেও পরীক্ষা নিয়েছে কর্তৃপক্ষকে।

বার্ষিকী পরিক্ষার সময় হরতাল-অবরোধ ডাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থী। তারা বলছেন, ‘বার্ষিক পরীক্ষার সময় যারা লাগাতার হরতাল-অবরোধের ডাক দিচ্ছে তারা মূলত শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন নষ্ট করছে।’

বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, হরতার-অবরোধের কারণে গত ২৪/২৫ দিন ধরে তারা নিরাপদে স্কুলে যেতে পারছেন না। তাদের মধ্যে ভয়-ভীতি, আতঙ্ক কাজ করছে। বার্ষিক পরীক্ষা শুরু হলেও অনেকেই ভয়ে স্কুলে যাচ্ছেন না। অভিবকরাও সন্তানদেরকে স্কুলে পাঠাতে ভয় পাচ্ছেন। ফলে নির্ধারিত তারিখে তারা পরীক্ষাও দিতে পারছেন না।

মানিক মিয়া এভিনিউয়ের রাজধানী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মোজাম্মেল হক জানান, শিক্ষার্থীরা তাদের শিক্ষাজীবন নিয়ে শঙ্কিত হয়ে পড়েছে। এ কারণে তারা নিরাপত্তা চেয়ে, পরীক্ষার সময় হরতাল-অবরোধ বন্ধের দাবিতে স্কুল থেকে মিছিল বের করেছে।

প্রভাতী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাহিদ চৌধুরী বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা সকালে মিছিল বের করে হাতিরঝিল হয়ে সোনারগাঁও মোড় পর্যন্ত মিছিল করেছে। তারা যেন নিরাপদে বিদ্যালয়ে যাতায়াত করতে পারে সেই দাবি জানিয়েছে।’

একই দাবিতে রাজধানীর নাজনীন স্কুল এন্ড কলেজ, শেরে বাংলা নগর আদর্শ মহিলা কলেজ, তেজগাঁও মহিলা কলেজ, ইস্পাহানি স্কুল এন্ড কলেজ, নজরুল কলেজ, বিটিসিএল স্কুল এন্ড কলেজ, শেরে বাংলা স্কুল এন্ড কলেজ, শাহানুর মডেল হাই স্কুল, বি জি প্রেস হাই স্কুল, তেজগাঁও আদর্শ স্কুল এন্ড কলেজ এন্ড কলেজ, নাখাল পাড়া হোসেন আলী স্কুল এন্ড কলেজ, তেজগাঁও মডেল স্কুল, তেজগাঁও কলেজ, মোহাম্মদপুর কেন্দ্রীয় সরকারি কলেজসহ রাজধানীর বিভিন্ন স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীরা রাস্তায় নেমে মিছিল করে।




ভিটামিনের অভাবে হতে পারে বিষণ্ণতা

মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতি সারাবিশ্বের জন্যই বড় দুশ্চিন্তা। এই সময়ে মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতির অনেক কারণ রয়েছে। সেসবের মধ্যে ভিটামিন বি-১২ এর অভাবও দায়ি। পুষ্টি বিশেষজ্ঞ নাজমা শাহীন জানান, শরীরে ভিটামিন বি-১২ এর অভাব দেখা দিলে ডিপ্রেশন কিংবা বিষণ্ণতার সমস্যা দেখা দিতে পারে। আর এমনট স্বল্পকালীন বা দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে। সেজন্য অবশ্যই এই ভিটামিনের ঘাটতি পূরণ করতে হবে।

ভিটামিন বি-১২ স্বাস্থ্যের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। একে কোবলামিন নামেও ডাকা হয়। পানিতে দ্রবণীয় এই ভিটামিন রক্ত গঠন এবং স্নায়ুতন্ত্রের কার্যকারিতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

নাজমা শাহীনের মতে, শরীরে ভিটামিন বি ১২-এর অভাবে অবসাদ, ক্লান্তি, বিরক্তি, মানসিক চাপ, হতাশা, দুর্বলতাবোধ, চলাফেরায় অস্বস্তি, শ্বাসকষ্ট, ফ্যাকাসে ত্বক ইত্যাদি সমস্যা বাড়ে। বিশেষ করে এই ভিটামিনের অভাবে স্নায়ুতন্ত্রও অর্থাৎ নার্ভও সঠিকভাবে কাজ করতে পারে না। তাই ভিটামিন বি ১২-এর অভাবে দেখা দেয় বিষণ্নতা।

বিষণ্নতা থেকে মুক্তি পেতে তাই ডায়েটে রাখতে পারেন ভিটামিন বি ১২ যুক্ত খাবার। রঙিন শাকসবজি, ফলমূলই নয়, প্রাণীজ উৎস থেকেও এ ভিটামিন পাওয়া যায়। প্রাণীজ উৎসের মধ্যে রয়েছে মাছ, মাংস ডিম, দুগ্ধজাত খাবার যেমন ছানা, দই ও পনির, চিজ, চিংড়ি। এছাড়া ডাল, রুটি, পাস্তা, পালং শাক, বিট ও মাশরুমেও মিলে ভিটামিন বি ১২ ইত্যাদি। চিকিৎসকরা চাইলে আপনাকে প্রেসক্রাইবও করতে পারেন ওষুধ।

উল্লেখ্য, ভিটামিন বি ১২ খাওয়ার পরিমাণ বয়সভেদে ভিন্ন হয়ে থাকে। যেমন ৪-৮ বছর বয়সীদের জন্য ১.২ মাইক্রোগ্রাম, ৯-১৩ বছর বয়সীদের জন্য ১.৮ মাইক্রোগ্রাম, ১৪-১৮ বছর বয়সীদের জন্য ২.৪ মাইক্রোগ্রাম, প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ২.৪ মাইক্রোগ্রাম, অন্তঃসত্ত্বা হলে ২.৬ মাইক্রোগ্রাম এবং বুকের দুধ খাওয়ানো মায়েদের ক্ষেত্রে ২.৮ মাইক্রোগ্রাম ভিটামিন বি ১২ প্রয়োজন।

সূত্র: ইত্তেফাক




চুয়াডাঙ্গার সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী কুষ্টিয়া থেকে গ্রেফতার

চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশ কর্তৃক ছদ্মবেশ ধারণ করে সাজাপ্রাপ্ত দীর্ঘদিন পলাতক পরোয়ানাভুক্ত ০১(এক) জন আসামী কে গ্রেফতার করা হয়েছে।

চুয়াডাঙ্গা জেলার নবনিযুক্ত পুলিশ সুপার আর এম ফয়জুর রহমান, পিপিএম-সেবা দিকনির্দেশনায় ও চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মাহাব্বুর রহমানের নেতৃত্বে এসআই(নিঃ) সঞ্জয় কুমার চক্রবর্তী ও এস আই (নিঃ) মোঃ রাকিবুজ্জামান সংগীয় ফোর্সসহ মঙ্গলবার কুষ্টিয়া থানার হাউজিং ও মোল্লা তেঘরি এলাকায় ছদ্মবেশ ধারণ করে অভিযান পরিচালনা করে( সাজাপ্রাপ্ত) এস সি- ৭৩২/২২ (সাজাপ্রাপ্ত), সেশন- ৯৬৫/২২ (সাজাপ্রাপ্ত), সেশন- ৯৬৬/২২০৪ (সাজাপ্রাপ্ত), সেশন- ২০০/২২ ( সি আর-৭৬/২২, সি আর- ৯৫৯/২২ সংক্রান্ত ০২ বছরের সাজাপ্রাপ্ত , ০৪ টি সি আর সাজা ও ০২ সি আর সর্বমোট ০৬ টি ওয়ারেন্টের আসামী চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ছয়ঘরি গ্রামের ওহাব আলীর ছেলে আসামি বাবলু হোসেন কে গ্রেফতার করে।

গ্রেফতারকৃত আসামীকে চুয়াডাঙ্গা কোর্টে প্রেরণ করেছে চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশ।




ফের জাতীয় দলের ম্যানেজার নাফিস ইকবাল

বিশ্বকাপ শুরুর আগমুহূর্তে বাংলাদেশ দলের টিম ম্যানেজারের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছিল সাবেক ক্রিকেটার নাফিস ইকবালকে। তবে আবারও পুরনো পদে ফিরছেন তিনি। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে আসন্ন দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে আবারও বাংলাদেশ দলের টিম ম্যানেজার হিসেবে দেখা যাবে সাবেক এই ক্রিকেটারকে।

মঙ্গলবার (২১ নভেম্বর) গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিজেই নিশ্চিত করেছেন নাফিস। আপাতত ঘরের মাঠে এই সিরিজের জন্যই তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে আগামী ২৮ নভেম্বর প্রথম টেস্ট হবে সিলেটে। এরপর দ্বিতীয় ম্যাচটি হবে ঢাকায়। এরপর আবার নিউজিল্যান্ডে উড়াল দেবে বাংলাদেশ। তবে সেখানে নাফিস থাকবেন কি না তা নিশ্চিত করেননি তিনি।

সূত্র: ইত্তেফাক




বিএনপি আগুন সন্ত্রাসের রাজনীতি করছে

বিএনপি নামক রাজনৈতিক দলটি ১৯৭৮ সালের ১লা সেপ্টেম্বর সামরিক শাসক জেনারেল জিয়াউর রহমান এর হাতে গঠিত হয়েছিল। অবৈধ প্রক্রিয়ায় সেনা কুঞ্জ হতে গঠিত দলটির মূল উদ্দেশ্য ছিলো মুক্তিযুদ্ধবিরোধী সকল সুবিধাবাদিদেরকে একত্রিতকরণ এবং দেশকে স্বাধীনতা বিরোধীদের ক্ষমতায়নের একমঞ্চস্থলে পরিনত করা। সেই সময়ে জেনারেল জিয়াউর রহমান সেনাবাহিনীতে কর্মরত অবস্থায় এই দলটি গঠণ করেন।

দেশের সংবিধান অনুসারে সেনাবাহিনীতে কর্মরত অবস্থায় কখনই কোন রাজনৈতিক দল গঠন করতে পারে না। তাঁর এই অবৈধ পন্থায় রাজনৈতিক দল গঠনের কারণে উক্ত বাহিনীতে সাধারন সেনাদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরী হয়। যার ফলে সেনাবাহীনীর সদস্যগণ বিভিন্নদলে বিভক্ত হয়ে পরেন।

এই প্রেক্ষিতে জেনারেল জিয়াউর রহমান এর বিপক্ষে এবং স্বাধীনতার পক্ষে থাকা সেনা সদস্যদের হত্যা করে স্বৈরাচারী রাজত্ব প্রতিষ্ঠা করেন। তাছাড়া, বিএনপি গঠনের পরপরেই ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারীকরার মাধ্যমে পূর্বের সকল বিচার কাজ স্থগিত করে বাংলাদেশে এক ধরনের বিচারহীনতার সংস্কৃতি কায়েক করেছিলেন। সুতরাং যেইদল অবৈধভাবে গঠন, স্বাধীনতাবিরধীদের একত্রিতকরণ এবং কোন সৎ উদ্দেশ্যবিহীন তৈরী হয়েছিলো সে দল হতে আমরা কখনই ভাল কিছু আশা করতে পারি না।

জেনারেল জিয়া কর্তৃক গঠিত বিএনপি ‘হ্যাঁ’ এবং ‘না’ ভোটের মাধ্যমে প্রথম ক্ষমতাকে হস্তগত করে নিয়েছিলো। সুতরাং তাদের মুখে গনতন্ত্রের কথা খুবই বেমানান। তাছাড়া, ২০০৪ সালের ২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলার মাধ্যমে তৎকালীন আওয়ামিলীগ ও বিরোধী দলের নেত্রী ও তাঁর সাথের সহচরসহ সকলকে হত্যা করার বিশাল ষড়যন্ত্র করেছিলো। ঐ সময় আওয়ামী লীগের নেত্রী প্রাণে বেঁচে গেলেও বহুনেতা ও নেত্রী মৃত্যু বরণ করেন।

এই প্রসঙ্গে বলা যেতে পারে যে, বিএনপি নামক রাজনৈতিক দল কখনোই এই কথা বলার অধীকার রাখে না যে দেশে একটি শক্তিশালী বিরোধী দল থাকা দরকার। তাছাড়া ইতোপূর্বে ২০০১ সালের নির্বাচন পরবর্তী বিরোধী দলের অনেক বর্ষীয়ান নেতাকর্মীদের হত্যা, অমানবিক নির্যাতন করাসহ নানা ধরনের দেশবিরোধী কাজে লিপ্ত ছিলেন। তাছাড়াও, ‘‘বাংলা ভাই’’ নামক ব্যক্তি তৈরী করে তাদের হাতে দেশের আইন-শৃঙ্খলার কাজটি তুলে দেন যার ফলে দেশের আইনিকাঠামো মারাত্বকভাবে ধ্বংস হয়েছিল।

বিগত সময়েও বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে অবরোধ ও হরতাল নামক ধ্বাংসাত্বক কাজে লিপ্ত ছিলেন। যেমন- ২০১১ সালের জুলাই মাসে টানা ০৬(ছয়) দিন হরতাল নিয়ে জাতিসংঘের উন্নয়ন বিষয়ক সংস্থা ইউএডিপির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, ২০ হাজার কোটি টাকা ক্ষতি হওয়াসহ প্রতিটি হরতালে জিডিপির গড় ক্ষতি ছিল সাড়ে ৫ হাজার কোটি।

একই প্রতিবেদনে বলা হয়, হরতালের করণে দেশের মোট অর্থনীতির ২০ শতাংশ ক্ষতির মুখে পড়ে। এছাড়া আমদানি-রফতানিতে এক্ষতির পরিমাণ ১০ শতাংশ এবং শুধু একদিনের হরতালের কারণে দেশে দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়ে ১০ শতাংশ।

ইউএনডিপির প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০০৯-২০১৩ সালে বিএনপি ৭০টির বেশি হরতাল দিয়েছে। শুধু ২০১৩ সালের অক্টোবর পর্যন্ত এ সংখ্যা ছিল ৪০। যেখানে একদিনের হরতালে এত ক্ষতি, সেখানে বছরে ৪০ দিনের হরতাল দেশের অর্থনীতিকে স্পষ্টত ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিয়েছিল, সেকথা বলার অপেক্ষা রাখে না।
বিগত এক দশকে হরতালের নাম-গন্ধ না থাকায় এবং রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বিরাজ করায় দেশের অর্থনীতির চাকা ছিল পুরোদমে সচল।

অবরোধ ও হরতালের কারণে ব্যাষ্টিক অর্থনীতি থেকে সামষ্টিক অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। হরতাল দিলে সবচেয়ে বেশি কষ্টের মধ্যে পড়েন খেটে খাওয়া শ্রমজীবী মানুষেরা। এমনিতেই উচ্চ মূল্যস্ফীতিতে মানুষের নাভিশ্বাস, এর মধ্যে সমাজের নিম্নবিত্ত মানুষ যদি কাজে বের হতে না পারে তাহলে তাদের অবস্থা আরও সংকটময় আকার ধারণ করবে।

প্রায় ৪(চার) বছর পর আবারও হরতাল ও অবরোধ ডেকেছে বিএনপি। বিশ্বঅর্থনীতির এমন অস্থির সময়ে হরতাল ডেকে দেশকে স্থবির করে দেয়ার পরিকল্পনা কতটা যুক্তিযুক্ত এমন প্রশ্ন দেশের সচেতন মহলের।
হরতাল পূর্ববর্তী সহিংসতা এবং হরতালের দিনে জ্বালাও-পোড়াও কর্মকাণ্ডে মানুষের মনে চাপা আতংক বিরাজ করছে রাস্তার পাশের ছোট ছোট দোকান পাট, হকারদের হাক ডাক, লোকাল বাসের জন্য লম্বা লাইন এসবের অনুপস্থিতিই জানান দিচ্ছে হরতালের জন্য জনমনে সৃষ্টি হওয়া আতংক কর্মব্যস্ত দিনটিকে স্থবির করে দিয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) সংগঠনের দফতর সম্পাদক সামদানী খন্দকারের স্বাক্ষর করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। এতে বলা হয়, গত ২৮ অক্টোবর থেকে ৯নভেম্বর পর্যন্ত তিন দফা হরতাল-অবরোধে এসব গাড়িতে হামলা হয়।

২৮ অক্টোবর বিএনপির সমাবেশ থেকে প্রধান বিচারপতির বাড়িতে হামলা, পুলিশ হত্যার মাধ্যমে সহিংসতা শুরু করেন দলটির নেতাকর্মীরা। এরই ধারাবাহিকতায় টানা হরতাল-অবরোধ কর্মসূচি পালন করে আসছে বিএনপি। এসব কর্মসূচিতে অবরোধকারীরা আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দিয়েছে অনেক যানবাহন এবং পুড়ে মারা গেছেন পরিবহন শ্রমিক। বিএনপির অনেক নেতাকর্মী এসব আগুন দেয়াসহ সহিংসতার ঘটনায় সরাসরি জড়িত।

সুতরং বিএনপি যখনই ক্ষমতা আসতে না পারে তখনই তারা বিভিন্নভাবে সুবিধা ভোগের জন্য অন্যান্য বিভিন্ন দলের সাথে নিজেদের জরিয়েছেন, তার মধ্যে উল্লেখ করতে চাই স্বাধীনতা বিরোধী জামাত-শিবির দল। এই জামাত-শিবির দলের সাথে যোগ দিয়ে তাদের স্বার্থ অর্জনের জন্য মরিয়া হয়ে দেশবিরোধী ভয়ংকর নোংরা রাজনীতিতে বারংবার লিপ্ত হয়ে আসছেন।

আজকে দেশে ২টি ধারার রাজনীতি প্রবাহিত হচ্ছে। ১টি স্বাধীনতার স্বপক্ষের শক্তি দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এদেশের জনগণকে সকল দুঃখ-কষ্টে সরকারের সহায়তা দিয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।

অপরদিকে একাত্তরের পরাজিত শক্তি সেই জামায়ত এবং পঁচাত্তরের খুনি সেই বিএনপি ও তাদের দোসররা সারাদেশে নতুন করে ভিন্ন একটি ধারার রাজনীতি শুরু করেছে। তাদের লক্ষ্য, দেশকে অস্থিতিশীল করে রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করা। বিএনপি-জামায়াত, অতীতে তারা যেসব অপকর্ম করেছে, রাষ্ট্র ক্ষমতায় থাকতে যেভাবে লুটপাট-দুর্নীতি করেছে, হাওয়া ভবনে বসে রাষ্ট্র যন্ত্র ব্যবহার করে আওয়ামী লীগের হাজার হাজার নেতাকে হত্যা করেছে, ক্ষমতার বাইরে থাকতেও পেট্রোল বোমা মেরে মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করেছে, জনগণের ভোটে নির্বাচনে আর তারা রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসতে পারবে না। আজ তারা জনবিচ্ছিন্ন দল হিসেবে চিহ্নত হয়েছে।

বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে আজ উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় ভরে যাচ্ছে। দেশের মানুষের আস্থা ও ভরসার দল শেখ হাসিনার দল। একারণে এখন আবার নতুন করে বিএনপি-জামায়াত সম্মিলিত হয়েছে। তারা ভেবেছে ২০১৩-১৫ সালে যেভাবে সন্ত্রাস-নৈরাজ্যের মাধ্যমে দেশকে অস্থিতিশীল করে উন্নয়ন অগ্রযাত্রা বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করেছিল, আবারও সে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করে সরকারের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা ব্যহত করবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা করোনাকালীন মহাদুর্যোগ পাড়ি দিয়ে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বৈশ্বিক অর্থনীতি মন্দার মধ্যেও আমরা দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অব্যাহত রাখতে সক্ষম হয়েছি।
বাংলাদেশ আবার অর্থনৈতিক মন্দার থেকে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। দেশের মানুষ নতুন করে স্বপ্ন দেখছে। পুরো বিশ্ববাসী বলছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের কারণে দেশের অর্থনীতির ধারা অব্যাহত রয়েছে। এধারা অব্যাহত থাকলে আমরা ২০৩১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হবো। এ ধারা নষ্ট করার জন্যই বিএনপি-জামায়াত তৎপর আছে।

বাংলাদেশ একটি গনতান্ত্রীক দেশ এই দেশের মানুষ খুবই শান্তিপ্রিয়। কিন্তু বিএনপি নামক দল কখনই জনগনকে শান্তি দিতে পারে নাই, ভবিষ্যতেও দিতে পারবে না। বিগত ১৯৭১ সালে যখন দেশে স্বাধীনতাকামী নিরীহ মানুষের উপর পাকিস্তানীসেনারা নির্বিচারে হামলা করেছিলো সেই সময় দেশের জনগনের কথা না ভেবে রাজাকার, আলবদর ও আলশাম্স নামক বিভিন্ন সংগঠনের মাধ্যমে পাকিস্তানীদের প্রতি সম্মান ও সঙ্গ দিয়েছে।

অথচ এই বিএনপি দল গঠনের পরে দল ভারি করতে পরবর্তীতে- রাজাকার, আলবদর, আল শাম্সদের নিয়ে যখন নিজেদের দল বড় করে তখন এই দেশের জনগন বুঝতে পারে যে, সত্যিকারের দেশ প্রেম কাদের মধ্যে রয়েছে। বিএনপির যদি দেশ প্রেম থাকতো তাহলে তারা কথায় কথায় অবরোধ ও হরতাল ডাকতো না। হরতাল কোন প্রতিবাদের ভাষা হতে পারে না।

বিএনপি-জামাতের দেশবিরোধী ও অগ্নিসন্ত্রাস, মোকাবেলায় সকলকে সোচ্চার হতে হবে। বিএনপি-জামাতের অগ্নিসন্ত্রাস, নৈরাজ্য, দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রবন্ধ, সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার ও কার্যকর বিচারের দাবীসহ তাদের যেন কঠিন আইনিব্যবস্থার আওতায় আনা হয়। দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় বাঁধা প্রদান কোন মতে মেনে নেয়া যাবে না। এহেন দেশবিরোধী অগ্নিসন্ত্রাস, নৈরাজ্য ও উন্নয়ন বিরোধী কর্মকান্ড বন্ধে দেশের সকলকে সোচ্চার হতে হবে।

লেখক: প্রফেসর, জেনেটিক্স এন্ড এনিম্যাল ব্রিডিং বিভাগ, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়




স্নাতক পাসে নিয়োগ দেবে বিডিজবস ডটকম

নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে বিডিজবস ডটকম। প্রতিষ্ঠানটিতে সেলস এক্সিকিউটিভ / বিক্রয় প্রতিনিধি পদে নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহী যোগ্য প্রার্থীরা সহজেই অনলাইনের মাধ্যামে আবেদন করতে পারবেন।

পদের নাম

সেলস এক্সিকিউটিভ / বিক্রয় প্রতিনিধি – ফেনী

যোগ্যতা

প্রার্থীকে যে কোনো বিষযে স্নাতক পাস হতে হবে। বয়স ২০ থেকে ২৮ বছর। পুরুষ প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন। ফেনীর স্থানীয় হতে হবে। সিভিতে বর্তমান ঠিকানা উল্লেখ করতে হবে। ফিল্ড জব বা মার্কেট ভিসিট করার মানসিকতা থাকতে হবে।

কর্মস্থল

ফেনী (ফেনী সদর)

আবেদনের পদ্ধতি

আগ্রহী প্রার্থীদের বিডিজবস অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে।

আবেদনের শেষ তারিখ

৩ ডিসেম্বর,২০২৩

সূত্র : বিডিজবস