চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের স্বতন্ত্র এমপি প্রার্থীর মনোনয়নপত্র উত্তোলন

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পত্র উত্তোলন করেছেন কমান্ডার এম শহীদুর রহমান। তিনি গতকাল সোমবার আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার স্নিদ্ধা দাসের নিকট থেকে মনোনয়ন পত্র উত্তোলন করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মশিউর রহমান।

কমান্ডার এম শহীদুর রহমান আলমডাঙ্গার আনন্দধাম নিবাসী মরহুম আব্দুল হামিদ মিয়ার ছেলে। তিনি ব্যক্তি জীবনে নৌবাহিনীর পিএসসি অবসরপ্রাপ্ত কমান্ডার (নেভী)।

তিনি (চুয়াডাঙ্গা, আলমডাঙ্গা- ১) আসন থেকে সংসদ নির্বাচন করার জন্য দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় গণসংযোগ পথসভা করে আসছেন। বিভিন্ন ভাবে গরীব দু:খি মানুষের সেবা করে চলেছেন। তিনি অবহেলিত মানুষের কল্যাণে নিজেকে আত্ম নিয়োগ করার জন্যই সংসদ নির্বাচন করছেন বলে জানান।

কমান্ডার এম শহীদুর রহমান বলেন,আল্লাহ আমাকে অনেক কিছুই দিয়েছেন। আমার চাওয়া পাওয়ার কিছু নেই,বৃহত্তর আলমডাঙ্গা উপজেলার আমিই এক মাত্র পার্থী। আমার ২২ বছরের অবসর জীবনে আমি দান খয়রাত করে পূর্ণাঙ্গ শান্তি পাইনি। তাই আরও বৃহৎ আকারে আপনাদের সেবা করার জন্য জনপ্রতিনিধি হতে ইচ্ছুক। আপনারা যদি আগামী সংসদ নির্বাচনে আমাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেন, তাহলে আমি আপনাদের জন্য বরাদ্দকৃত একটি টাকাও আমি বা আমার কেউ ভোগ করবে না। আপনাদের বাজেট আপনাদের হাতেই তুলে দিতে চাই। আপনারা আমার জন্য দোয়া করবেন এবং আসন্ন সংসদ নির্বাচনে আমার সাথে থেকে আপনার মূল্যবান ভোটটি আমাকে দিয়ে বিজয়ী করবেন বলে আমি প্রত্যাশা করছি।




দর্শনায় বিভিন্ন ভোট কেন্দ্র পরিদর্শনে জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা

আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনা পৌর এলাকার বিভিন্ন কেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা।

আজ সোমবার সকাল ১১ টার দিকে দর্শনা থানা পরিদর্শন করেন। এসময় দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি বিপ্লব কুমার শাহা চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক চুয়াডাঙ্গা ড. কিসিঞ্জার চাকমাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। পরে পৌর এলাকার বিভিন্ন ভোট কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে দর্শনা পৌরসভা পরিদর্শন করেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন সহকারী পুলিশ সুপার দামুড়হুদা সার্কেল জাকিয়া সুলতানা, দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোকসানা মিতা, দর্শনা পৌর মেয়র মোঃ আতিয়ার রহমান হাবু,দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বিপ্লব কুমার শাহা সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ। আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে অবাধ সুষ্ট এবং নিরপেক্ষ করার লক্ষে দর্শনা পৌর এলাকার পরানপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, শ্যামপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়,দক্ষিন চাঁদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সহ বেশ কয়েকটি ভোটকেন্দ্র পরিদর্শন করেন।

এ সময় তিনি উপস্থিত ভোটারদের সাথে কথা বলেন। তিনি প্রতিদ্বন্দি সকলের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করে বলেন, নির্বাচনকে অবাধ সুষ্ট করতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সকল প্রস্তুতি গ্রহণ করা হচ্ছে বলে তিনি জানান। তিনি আরো জানান কেউ কোন ধরণের বিশৃঙ্খলার চেষ্টা করলে বিন্দুমাত্র ছাড় দেওয়া হবে না।




দামুড়হুদায় পরিবার কল্যাণ সেবা ও প্রচার সপ্তাহ উপলক্ষে এ্যাডভোকেসি সভা

দামুড়হুদায় পরিবার কল্যাণ সেবা ও প্রচার সপ্তাহ উপলক্ষে এ্যাডভোকেসি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ সোমবার সকাল ১১টার দিকে দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সভা কক্ষে সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।

দামুড়হুদা উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের আয়োজনে সভাটিতে সভাপতিত্ব করেন দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. হেলেনা আক্তার।

নিরাপদ মাতৃত্ব পরিকল্পিত পরিবার, স্মার্ট বাংলাদেশ হোক আমাদের অঙ্গিকার স্লোগানে এ্যাডভোকেসি সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডিস্ট্রিক্ট কনসালটেন্ট ডা. মো ফজলুল হক।

এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. ফারহানা ওয়াহিদ, দামুড়হুদা উপজেলা সমাজসেবা অফিসার তোফাজ্জেল হক, উপজেলা সমবায় অফিসার হারুণ অর রশিদ, উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা সাইফুন নাহার, দামুড়হুদা প্রেসক্লাবের সভাপতি এম নুরুন্নবী, সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান।

উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা সহকারী হোসনে মোবারক শিলনের প্রাণবন্ত সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের শুরুতেই পবিত্র কোরআন তেলোয়াত করেন কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক জামশেদ আলী।

এছাড়াও বক্তব্য রাখেন দামুড়হুদা উপজেলা সহকারী পরিবার পরিকল্পনা সহকারী মনোয়ারা বেগম দর্শনা পৌর শাখার সহকারী মেডিকেল অফিসার ফরিদা পারভীন,পরিবার পরিকল্পনা পরিদর্শক শাহিন আক্তার, দর্শনা পরিবার কল্যাণ সহকারী খাদিজা খাতুন, পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা সেলিনা খাতুন প্রমুখ।




মাইক্রোসফটের এলো ‘উইন্ডোজ অ্যাপ’

সম্প্রতি মাইক্রোসফট উইন্ডোজ অ্যাপের ঘোষণা দিয়েছে। বিভিন্ন ডিভাইসের মাধ্যমে উইন্ডোজ পিসিকে সংযুক্ত করার জন্য অ্যাপটি কাজে আসবে বলে জানা গেছে। ম্যাকওএস, আইওএস, অ্যান্ড্রয়েডসহ অন্য ডিভাইসে সংযোগ করার জন্যই এমন একটি অ্যাপ বানানো হয়েছে।

হতাশার বিষয়, ক্রোমবুকে এখনও এই অ্যাপটি নেই। সম্প্রতি এক ব্লগে জানানো হয়েছে, আপাতত এটি প্রিভিউ আকারে রয়েছে। প্রিভিউটি মাইক্রোসফট ৩৬৫ এর গেটওয়ে, আজুর ভার্চুয়াল সার্ভিস, মাইক্রোসফট ডেভ বক্স, রিমোট ডেস্কটপ সার্ভিস, ডেস্কটপ সার্ভিসের মাধ্যমে কানেক্ট করা যাবে। অ্যাপটি একাধিক মনিটর সাপোর্ট করে, কাস্টম রেজুলুশনও সাপোর্ট রয়েছে। আবার উইন্ডোজ পিসিতে অ্যাকাউন্ট সুইচিং ফিচারও আছে।

উইন্ডোজ অ্যাপে পার্সোনাল অ্যাকাউন্ট দিয়ে লগিনের প্রম্পট আছে। যদিও আপাতত ফিচারটি কাজ করছে না।

ভার্জে একটি স্ক্রিনশট দেওয়া হয়েছে।এই স্ক্রিনশটে দেখা যাচ্ছে ক্লাউড কম্পিউটিং এর মাধ্যমে সহজেই অন্য অনেক অ্যাপ চালু করা যাবে। এই অ্যাপের মাধ্যমে মাইক্রোসফট ফুল উইন্ডোজের অভিজ্ঞতাই দিতে চাচ্ছে। সেটিও ক্লাউড কম্পিউটিং এর মাধ্যমে।

সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস




তবে কী ভোটের তারিখ পেছাবে?

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে চলছে নানা হিসেব নিকেশ। সব রাজনৈতিক দলকে নির্বাচনে আনতে চেষ্টা চালাচ্ছে নির্বাচন কমিশন। তেমনই ইঙ্গিত দিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সমঝোতা হলে ভোটের তারিখ পেছাতে আপত্তি নেই বলে জানিয়েছেন তিনি। ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তপশিল ঘোষণার পরও রাজনৈতিক সমঝোতার জন্য ভোটের তারিখ পিছিয়েছিল নির্বাচন কমিশন।

নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তপশিল অনুযায়ী আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত মনোনয়ন ফরম জমা দেওয়া যাবে। ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর মনোনয়ন ফরম যাচাই-বাছাই করা হবে। বাছাইয়ে কারও মনোনয়ন ফরম বাতিল হলে তিনি আপিল করার সুযোগ পাবেন। কোনো প্রার্থী ইচ্ছা করলে ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত মনোনয়ন ফরম প্রত্যাহার করতে পারবেন। আর চূড়ান্ত প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ করা হবে ১৮ ডিসেম্বর।

নির্বাচনের তপশিল ঘোষণার পর নির্বাচন কমিশনে জোটবদ্ধ নির্বাচনের তথ্য জানিয়েছে ১০টি রাজনৈতিক দল। আওয়ামী লীগসহ কয়েকটি দল এরই মধ্যে দলীয় মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু করেছে। যদিও বিএনপি ও সমমনা দলগুলো নির্বাচনে অংশ নেবেনা বলে ঘোষণা দিয়েছে। আর জোটবদ্ধ নাকি একক নির্বাচন সেই ইস্যুতে বিভক্ত হয়ে আছে সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টি। তবে শেষ পর্যন্ত তারা নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে এটা প্রায় নিশ্চিত। দলটির প্রধান পৃষ্ঠপোষক বেগম রওশন এরশাদ রবিবার রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে নির্বাচনের তপশিল ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছেন। এসময় তিনি রাষ্ট্রপতিকে তফশিল পেছানোর আহ্বান জানান।

যদিও বিএনপিকে নির্বাচনে আসার আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘আমরা সবাইকে নিয়ে নির্বাচন করতে চাই। একা নির্বাচন করতে চাই না, সবাইকে নিয়ে ক্ষমতায় যেতে চাই। সব দলকে নির্বাচনে আসার আহ্বান জানাই। যারা নির্বাচনে আসতে চায় তাদের জন্য নির্বাচনের দরজা খোলা আছে। বিএনপি যদি মন পরিবর্তন করে নির্বাচনে আসে তাহলে স্বাগত জানাই।’

সোমবার সাংবাদিকদের নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা বলেন, ‘এখনো যেসব রাজনৈতিক দল আসেনি তারা যদি আসতে চায় তাহলে আইন মেনে তাদের নির্বাচনে আসার পথ তৈরি করা হবে। বিএনপি নির্বাচনে আসার সিদ্ধান্ত নিয়ে কোনো ধরনের সহায়তা চাইলে তাতে ইতিবাচক সাড়া দেবে ইসি। যদি তারা নির্বাচনে আসতে চায় তাদের আমরা স্বাগত জানাব।’ রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সমঝোতা হলে ভোটের তারিখ পেছাতে আপত্তি নেই বলেও জানান নির্বাচন কমিশন।

রাষ্ট্রপতির সাথে জাতীয় পাটির নেতৃত্বের সাক্ষাৎ, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের আহবানের পর নির্বাচন কমিশনারে মন্তব্য ঘিরে রাজনৈতির মাঠে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরাও বলছেন নির্বাচনে না যাওয়া বিএনপির আরেকটা ভুল হবে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষক ড. হারুন-অর-রশিদ বলেন, ‘এবারের নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হতেই হবে। ২০১৪ ও ২০১৮ সালের মতো আরেকটি নির্বাচনের বোঝা দেশের পক্ষে বহন করা সম্ভব নয়। তবে সরকারি দলের পক্ষ থেকে বিএনপির সঙ্গে বহুবার কথা বলার চেষ্টা করা হয়েছে। ২০১৪ সালের নির্বাচনে না গিয়ে বিএনপি সবচেয়ে বড় ভুলটা করেছে। এবার নির্বাচনে না যাওয়া হবে আরেকটা ভুল। সময় হাতে খুব কম। আওয়ামী লীগ তো নির্বাচনে জোয়ার তৈরি করে ফেলবেই, নতুন নতুন দলও নির্বাচনে আসবে।‘




`অযৌক্তিক’ হরতালের বিপক্ষে মাঠে নেমেছে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে বানচালের উদ্দেশ্যে গত ২৯ অক্টোবর থেকে সরকারি ছুটির দিন ব্যতীত টানা হরতাল-অবরোধ ডাক দিয়েছে বিএনপি ও তার সমমনা দলগুলো। কর্মসূচি সফল করতে বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর নেতা কর্মীরা একের পর এক চোরাগোপ্তা হামলা করছে যানবাহনগুলোতে। শতশত যানবাহনে পেট্রোল বোমা মেরে পুড়িয়ে দিচ্ছে তারা, যা জনমনে আতঙ্কের সৃষ্টি করছে। শুধু পরিবহন সেক্টরেই নয়, হরতাল অবরোধের নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে দেশের প্রতিটি সেক্টরে। আর এতে ধীরে ধীরে ফুঁসে উঠছে দেশের সাধারণ মানুষ। বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ বিএনপির ডাকা হরতালের প্রতিবাদে নেমে আসছে রাজপথে।

তফসিল ঘোষণার প্রতিবাদে রবিবার ও সোমবার হরতালের দ্বিতীয় দিনে রাজধানীর মোহাম্মদপুর, সাত মসজিদ রোড, আসাদগেট, মিরপুর সড়ক, সায়েন্স ল্যাবরেটরি মোড়, নিউমার্কেট, শাহবাগ, মৎস্যভবন মোড়, প্রেস ক্লাব, পল্টন, কাকরাইল, গুলিস্তান, দৈনিক বাংলা মোড়সহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে প্রতিটি সড়কেই যানবাহনের তীব্র চাপ। রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টের কোথায় হরতাল সমর্থকদের পিকেটিংয়ে দেখা যায়নি। রাজধানীর প্রধান সড়কগুলোতে কোনো রকম বাধা ছাড়াই যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে।

শিকড় পরিবহনের চালক সেলিম জানান, তার গাড়ি মিরপুর থেকে আসছে। গাড়ি ভর্তি যাত্রী। কোথাও কোনো সমস্যা হয়নি। তবে যাত্রীদের মধ্যে এক ধরণের ভয়, আতঙ্ক আছে।

মোহাম্মদপুর থেকে ছেড়ে আসা গুলিস্তান অভিমুখী সিটি বাসের চালক মনির বলেন, বসিলা থেকে গাড়ি নিয়ে আসছি। রাস্তায় অনেক যাত্রী। গাড়িতেও যাত্রী আছে। মনির বলেন, `গতকালের তুলনায় আজকে বাস বেশি চলছে।‘ হরতালের সমালোচনা করে তিনি বলেন, `যারা হরতাল ডাকে তারা রাস্তায় থাকে না। কিন্তু হরতালের আগের রাতে গাড়িতে আগুন দিয়ে সবার মধ্যে ভয় ঢুকিয়ে দেয়। আমরা গরীব মানুষ, এই হরতালে গাড়ি বন্ধ থাকলে খাবো কিভাবে, সেজন্য গাড়ি নিয়ে বের হই।‘

বর্তমান রাজনৈতিক বাস্তবতায় হরতাল ও অবরোধকে ‘অযৌক্তিক বর্ণনা করে ইতোমধ্যে পথে নেমেছে শিল্পী সমাজ, পেশাজীবী নানা সংগঠন। এমনকি বার্ষিক পরীক্ষার এই সময়ে হরতালের মতো কর্মসূচি দিয়ে শিক্ষাজীবনকে হুমকির মুখে ফেলার প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছেন অভিভাবকবৃন্দও।

হরতালে উদ্বিগ্ন অভিভাবক সমাজ
সংসদ নির্বাচনের জন্য ৩০ নভেম্বরের মধ্যে বার্ষিক পরীক্ষা শেষ করার জন্য নির্দেশনা দিয়েছিল মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর। কিন্তু গত ২৯ অক্টোবর থেকে টানা হরতালে উত্তপ্ত সারাদেশ। প্রতিদিনই দেশজুড়ে সংঘর্ষ, ককটেল বিস্ফোরণ, গাড়িতে আগুন দেয়ার মতো ঘটনা ঘটছে। আবার নির্দেশনামতো এমন পরিস্থিতিতেই পরীক্ষা নিতে হচ্ছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর। এতে সন্তানের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন অভিভাবকরা। এমন পরিস্থিতিতে গত ১৮ নভেম্বর রাজধানীর ভিকারুন্নেসা স্কুল এন্ড কলেজের সামনে এক মানববন্ধনের মাধ্যমে উদ্বেগের কথা তুলে ধরেন অভিভাবকরা।

সহিংসতা বন্ধে শাহবাগে মানববন্ধন
হরতাল-অবরোধ কর্মসূচির প্রতিবাদে গত ১৮ নভেম্বর শাহবাগ জাদুঘরের সামনে মানববন্ধন করেন দেশের শিল্পী সমাজ। ‘’ধ্বংসের বিরুদ্ধে শিল্পীসমাজ” এর ব্যানারে শিল্পীরা বিএনপির চলমান হরতাল অবরোধের নামে যে ধ্বংসাত্বক কর্মকান্ডকে ঘৃণা ভরে প্রত্যাখ্যান করেন। শিল্পীদের ভাষ্যমতে, হরতাল অবরোধের মতো কর্মসূচি অভিধান থেকে হারিয়ে গিয়েছিল,সেগুলোকে আবার ফিরিয়ে এনেছে বিএনপি।

দেশের শিক্ষকসমাজের বিবৃতি
বিএনপি জামাতের অবৈধ হরতালের বিপক্ষে বিবৃতি দিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিতযথা শিক্ষকবৃন্দ । শিক্ষকদের দাবি, হরতালের মতো কর্মসূচি দিয়ে বিএনপি জামাত শুধুমাত্র দেশের মানুষের ভোগান্তি সৃষ্টি করছে। তারা যেনো অনতিবিলম্বে হরতালের মতো নাশকতামূলক কর্মসূচি থেকে বেরিয়ে এসে গণতান্ত্রিক উপায়ে দেশের রাজনীতিতে অংশগ্রহণ করে সে আহ্বান করেছেন শিক্ষকসমাজ।

দেশের সকল শ্রেণীপেশার মানুষ হরতালের বিপক্ষে, তারপরও কেনো বিএনপির এই হরতাল অবরোধ খেলা জানতে চেয়ে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আনিসুর রহমান বলেন, সরকার পতনের আন্দোলনের নামে সারা দেশে হরতাল অবরোধের মতো কর্মসূচি দিয়ে দিনের পর দিন মানুষকে ভোগান্তিতে ফেলছে বিএনপি। তারপরও কেনো এই হরতাল, কেনো এই অবরোধ। আমাদের মতো জনগনের কাছে এটা ‘অযৌক্তিক’।

বিএনপির অবরোধ অবরোধ কর্মসূচি ইতোমধ্যে ব্যর্থ হয়েছে দাবি করে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্মুদ বলেছেন, ‘রাস্তায় ট্রাফিক জ্যাম হয়েছে। মানুষ অবরোধ পালন করছে না, বরং ভয়ের ভাবটাও কেটে যাচ্ছে।’ বিএনপি নেতারা নিজেরা আত্মগোপনে থেকে কর্মী ও সন্ত্রাসীদের টাকা দিয়ে গাড়ি পোড়ানো, মানুষের ওপর হামলা পরিচালনা করাই তাদের অবরোধ কর্মসূচি। এগুলো কোনও রাজনৈতিক দলের কাজ না, সন্ত্রাসী সংগঠনের কাজ।




গাংনীতে সাড়ে তিন কেজি গাঁজা সহ মাদক ব্যবসায়ী আটক

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার সাহারবাটি দক্ষিণপাড়া গ্রাম থেকে মো: সাহিদুল ইসলাম(৪১) নামের এক মাদক ব্যবসায়ীকে সাড়ে তিন কেজি গাজা সহ আটক করেছে মেহেরপুর জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। আটককৃত মো: সাহিদুল ইসালাম গাংনী উপজেলার সাহারবাটি দক্ষিনপাড়া গ্রামের আব্দুল খালেকের ছেলে।

জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর সুত্রে জানা গেছে ,গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার (২০ নভেম্বর) সকাল পৌনে আটটায় অধিদপ্তরের সহকারী উপ-পরিদর্শক রফিকুজ্জামান ও রুহল আমিনের নেতৃত্বে ৮ সদস্যের একটি টহল দল গাংনী থানাধীন সাহারবাটি দক্ষিণপাড়া গ্রামে আসামী সাহিদুল ইসলামের নিজ বাসভবনে তল্লাশি করে খাটের মাঝে বিশেষ ভাবে তৈরীকৃত বক্সের মধ্যে একটি প্লাস্টিকের বস্তার মধ্যে স্কসটেপ দিয়ে প্যাঁচানো ৪ টি পলিথিন প্যাকেটের মধ্যে সাড়ে তিন কেজি গাঁজা উদ্ধার ও জব্দ করে এবং আসামীকে গ্রেফতার করে। উদ্ধারকৃত গাজার আনুমানিক মূলা এক লক্ষ চল্লিশ হাজার টাকা।

জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক মো: আবুল হাশেম বলেন, ‘গোপন সংবাদের ভিত্তিতে একটি টহল দল সাক্ষিদের উপস্থিতিতে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানাধীন সাহারবাটি দক্ষিণপাড়া গ্রামে গ্রেফতারকৃত আসামী মো: সাহিদুল ইসলামের বাড়িতে তল্লাশি করে বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে রাখা সাড়ে তিন কেজি গাজা উদ্ধার ও জব্দ করে।

গ্রেফতারকৃত মাদক ব্যবসায়ীকে গাংনী থানায় সোপর্দ করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের দুইটি ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলাটি মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের একজন কর্মকর্তা তদন্ত করবেন। ‘




সংশোধনী

২০ নভেম্বর মেহেরপুর প্রতিদিন পত্রিকা ও অনলাইনে প্রকাশিত হয়েছে ‘মেহেরপুর-১ আসনে রবিবারে যারা মনোনয়ন ফর্ম সংগ্রহ করেছেন তাঁরা হলেন- জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও মুজিবনগর উপজেলা চেয়ারম্যান জিয়াউদ্দিন বিশ্বাস, সহ-সভাপতি ও পিরোজপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ বাবলু বিশ্বাস, জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম রসুল, মহাজনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমাম হোসেন মিলু, সাবেক এমপি জয়নাল আবেদীনের ছেলে তানভির আহমেদ ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আমজাদ হোসেন।’

একটি দায়িত্বপূর্ন ও নির্ভরযোগ্য সুত্র দলীয় মনোনয়ন ফর্ম কেনার বিষয়গুলি নিশ্চিত করার পর মেহেরপুর প্রতিদিনে নিউজটা প্রকাশ করা হয়েছে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিউজে প্রকাশিত নাম গুলির মধ্যে আব্দুস সামাদ বাবলু বিশ্বাস ও আমাম হোসেন মিলুর নাম প্রকাশ নিয়ে আপত্তি দেখে সত্যতা নিশ্চিত করতে মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমএ খালেক, আব্দুস সামাদ বাবলু বিশ্বাস ও আমাম হোসেন মিলুর সাথে ফোনে যোগাযোগ করলে তারা নিশ্চিত করেন যে আব্দুস সামাদ বাবলু বিশ্বাস ও আমাম হোসেন মিলু মনোনয়ন ফর্ম কেনেন নি।

জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমএ খালেক বলেন, ‘আমি আমার নির্বাচনী এলাকা মেহেরপুর-২ (গাংনী) নিয়ে ব্যস্ত আছি। মেহেরপুর-১ আসনের মনোনয়নপত্র উত্তোলন সম্পর্কে সঠিক তথ্য আমার জানা নেই। তবে নমিনেশন তুলেছেন এমন কথা তারা আমাকে বলেনি।’

আমাম হোসেন মিলু বলেন বলেন, ‘আমি দলীয় মনোনয়ন ফরম কিনি নাই এবং আমার জানা মতে আব্দুস সামাদ বাবলু বিশ্বাসও মনোনয়ন ফর্ম কেনেন নাই।

আব্দুস সামাদ বাবলু বিশ্বাস মেহেরপুর প্রতিদিনে ফোন করে নিশ্চিত করেছেন তিনি মনোনয়ন ফর্ম উত্তোলন করেননি।

সুত্রে থেকে প্রাপ্ত তথ্যে ভুল থাকায় মেহেরপুর প্রতিদিন আন্তরিক ভাবে দুঃখিত।




মুজিবনগরে নানা আয়োজনে বিশ্ব শিশু দিবস পালন

“প্রতিটি শিশুর জন্য, প্রতিটি অধিকার “এই প্রতিপাদ্য মুজিবনগরে পালিত হয়েছে বিশ্ব শিশু দিবস। গুডনেইবারর্স বাংলাদেশ মেহেরপুর সিডিপি’র আয়োজনে দিবসটি পালন উপলক্ষে আজ সোমবার বিকেলে গুডনেইবারর্স বল্লভপুর প্রজেক্ট অফিস থেকে একটি র‍্যালী বের হয়ে প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে অফিস চত্তরে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

গুডনেইবারর্স মেহেরপুর সিডিপি এর ম্যানেজার বিভোব দেওয়ানের সভাপতিত্বে এবং সিনিয়র অফিসার (প্রোগ্রাম) রিফাত আল মাহমুদের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় অতিথি হিসাবে উপস্হিত ছিলেন মুজিবনগর উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা সেলিম রেজা,বাগোয়ান ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আয়ুব হোসেন,বাগোয়ান ইউনিয়ন পরিষদের ৬ নং ওয়ার্ড সদস্য বাবুল মল্লিক,গুডনেইবারর্স মেহেরপুর সিডিপি এর মেডিক্যাল অফিসার ডা:শুভ কুমার মজুমদার,সু-প্রতিবেশি মহিলা সমবায় সমিতির সভাপতি রেহেনা খাতুন।

উপস্হিত ছিলেন, স্পন্সর শিশু ও তাদের মায়েরা এবং কমিউনিটির শিশু ও মায়েরা। বিশ্ব শিশু দিবসে, শিশুর অধিকার, বাল্যবিবাহের কুফল, শিশু শ্রম বন্ধে করণীয়, শিশুদের সুন্দর ও সুস্থভাবে গড়ে ওঠার জন্য পিতা-মাতার দায়িত্ব ও কর্তব্য সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেন আমন্ত্রীত অতিথিবৃন্দ।




ভোটে আগ্রহী দলের সংখ্যা বাড়ছে

নিবন্ধিত দলগুলোর মধ্যে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার আগ্রহ ক্রমশ বাড়ছে। প্রথম দিন ১০টি দল নিজেদের অবস্থান নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) জানিয়েছে। দ্বিতীয় দিন আরও পাঁচটি দল নির্বাচনে অংশগ্রহণসংক্রান্ত আনুষ্ঠানিকতার বিষয় ইসিকে অবহিত করে। এখন পর্যন্ত ১৫টি আগ্রহ প্রকাশ করায় নির্বাচন কমিশন মনে করছে নিবন্ধিত অন্তত এক-তৃতীয়াংশ রাজনৈতিক দল দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে। এসব দল নির্বাচনে অংশ নিতে জোটগত অবস্থান বা দলীয় মনোনয়ন দেওয়ার ক্ষমাতপ্রাপ্ত ব্যক্তির নাম নির্বাচন কমিশনকে জানিয়ে চিঠি দিয়েছে। এসবের বাইরে আরও কিছু রাজনৈতিক দল শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে অংশ নেবে বলেও বিভিন্ন মাধ্যমে জানতে পেরেছে নির্বাচন কমিশন। ৩০ নভেম্বর মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় শেষ হওয়া পর্যন্ত নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সুযোগ রয়েছে। এ সময়ের মধ্যে আগ্রহী দলের সংখ্যা আরও বাড়বে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। ইসিসংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জোটবদ্ধ হয়ে অংশ নিতে হলে তফশিল ঘোষণার ৩ দিনের মধ্যে তা নির্বাচন কমিশনে জানানোর নিয়ম রয়েছে। নির্ধারিত সময়ে তথ্য জানাতে ১৬ নভেম্বর আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টিসহ নিবন্ধিত ৪৪টি রাজনৈতিক দলকে চিঠি দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। একইদিন দলীয় প্রার্থীকে কার স্বাক্ষরে মনোনয়ন দেওয়া হবে তা ইসিকে অবহিত করতে বলা হয়। ওই চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে ১৫টি নিবন্ধিত দল তাদের অবস্থান ইসিকে জানিয়েছে। তবে বিএনপিসহ বেশিরভাগ দল ইসির ওই চিঠির জবাব দেয়নি। বর্তমানে ইসিতে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সংখ্যা ৪৪টি। তবে বিএনপি সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য সহায়তা চাইলে তা করা হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর। রোববার নিজ কার্যালয়ে কয়েকজন সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, বিএনপি যদি বলে আমরা নির্বাচন করব, আমাদের সহায়তা করেন তাহলে অবশ্যই করব। তবে রাজনৈতিক দলকে কন্ট্রোল করার দায়িত্ব আমাদের নয়। যারা নির্বাচনে অংশ নেবে তাদের জন্য যতরকম চেষ্টা আছে তা করা হবে। যারা নির্বাচনে আসবে না তাদের ব্যাপারে কিছু করার নেই। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রশাসন বা পুলিশের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকলে এবং তা প্রমাণিত হলে ইসি তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।

ইসি সূত্রে জানা গেছে, গতকাল রোববার পর্যন্ত অন্তত ১৫টি রাজনৈতিক দলের চিঠি পেয়েছে ইসি। দলগুলো হচ্ছে-বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ, বাংলাদেশের সাম্যবাদী দল (এমএল), গণতন্ত্রী পার্টি, বিকল্পধারা বাংলাদেশ, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন, জাতীয় পার্টি (জেপি), তৃণমূল বিএনপি, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি-বিএসপি, গণফ্রন্ট, গণফোরাম এবং ন্যাশনাল পিপলস পার্টি-এনপিপি। এর মধ্যে নয়টি রাজনৈতিক দল নৌকা প্রতীক নিয়ে আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোটগত নির্বাচনের আগ্রহের কথা জানিয়েছে। আরও জানা গেছে, জাতীয় পার্টির প্রার্থীদের মনোনয়ন ও প্রতীক দলটির চেয়ারম্যান জিএম কাদের দেবেন বলে ইসিকে চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে। বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ ইসিকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছে, দলটির মহাসচিব মো. গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া দলীয় প্রার্থীদের মনোনয়নে সই দেবেন। ন্যাশনাল পিপলস পার্টি-এনপিপি গণতন্ত্র বিকাশ মঞ্চ নিয়ে জোটগতভাবে নির্বাচন করবে। যদিও জোটের অন্য শরিকরা ইসিতে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল নয়।

ইসির কর্মকর্তারা জানান, যেসব রাজনৈতিক দল ইসিতে চিঠি দিয়েছে, সেগুলো নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে তা স্পষ্ট হলো। যদিও যেসব দল জোট ছাড়া এককভাবে নির্বাচনে অংশ নেবে তাদের ইসিতে তথ্য জানানোর বাধ্যবাধকতা নেই। তবে নির্বাচন কমিশন মনে করছে, শেষ পর্যন্ত বেশিরভাগ রাজনৈতিক দল এ নির্বাচনে অংশ নেবে।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল ১৫ নভেম্বর দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফশিল ঘোষণা করেন। ঘোষিত তফশিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ সময় ৩০ নভেম্বর। মনোনয়নপত্র বাছাই ১-৪ ডিসেম্বর এবং প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৭ ডিসেম্বর। প্রতীক বরাদ্দ ১৮ ডিসেম্বর। আর ভোটগ্রহণ হবে ৭ জানুয়ারি।

সূত্র: যুগান্তর