চার দেশকে নিয়ে রেল সংযোগের পরিকল্পনা

বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল ও ভুটানকে নিয়ে দক্ষিণ এশিয়ায় রেল সংযোগ (কানেকটিভিটি) স্থাপনের পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা চলছে। এই পরিকল্পনাটি বাস্তবায়নে সহায়তা করবে দাতা সংস্থা বিশ্বব্যাংক। এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা, যাত্রী ও পণ্য পরিবহনে কোনো সীমান্ত বাধা থাকবে না। ইউরোপের দেশগুলোর মতো কোনো ধরনের বাধা ছাড়াই এক দেশের রেল আরেক দেশে পণ্য ও যাত্রী নিয়ে যেতে পারবে।

বিশ্বব্যাংকের প্রস্তাবিত ক্রস বর্ডার রেল যোগাযোগ প্রকল্পটি নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে কাজ করছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক পরিষেবা কোম্পানি ডেলয়েট। কোম্পানিটির প্রতিনিধি দল বিষয়টি নিয়ে সরকারের সঙ্গে আলোচনার আগ্রহ জানিয়ে চিঠিও পাঠিয়েছে।

ডেলয়েটের সিনিয়র কনসালটেন্ট রুশাভ শাহ সম্প্রতি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো এক চিঠিতে উল্লেখ করেছেন, ‘আমরা বিশ্বব্যাংকের জন্য একটি প্রকল্প হাতে নিচ্ছি, যেখানে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় বিশেষ করে বিবিআইএন (বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল, ভুটান) অঞ্চলে আন্তসীমান্ত রেল পরিষেবার জন্য রোডম্যাপ তৈরির ওপর মনোযোগ দেওয়া হচ্ছে। বিশ্বব্যাংকের সীমান্তবিহীন এই রেল পরিষেবা চালু হলে আন্তআঞ্চলিক বাণিজ্যের আরও বেশি প্রসার ঘটবে বলেও চিঠিতে জানানো হয়। কোম্পানিটির প্রতিনিধি দল এ বিষয়টি নিয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ছাড়াও অর্থ মন্ত্রণালয়, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সঙ্গে আলোচনার আগ্রহ প্রকাশ করেছে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ জানান, একটি সংস্থার প্রতিনিধি দল রেল কানেকটিভিটি নিয়ে অতিরিক্ত সচিব পর্যায়ের এক কর্মকর্তার সঙ্গে আলোচনা করে গেছেন। ইতোমধ্যেই ত্রিপুরা থেকে ঢাকা হয়ে কলকাতার মধ্যে সরাসরি রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু হয়েছে। আঞ্চলিক করিডর ছাড়িয়ে ভারত, নেপালের পাশাপাশি, চীন, পাকিস্তান, ইরান হয়ে ইউরোপ অবধি এই যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু হলে সুফল পাওয়া যাবে। সংশ্লিষ্টরা জানান, প্রস্তাবিত রেল কানেকটিভিটি প্রকল্পটিকে- বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল ও ভুটানের সঙ্গে যে মোটরযান চলাচল চুক্তি (বিবিআইএন) তার অনুরূপ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে বিবিআইএন চুক্তিতে ভুটান স্বাক্ষর করেনি। এছাড়া ভুটানে কোনো রেল যোগাযোগ ব্যবস্থাও নেই। তবে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের রেল সংযোগ রয়েছে। নেপালের সঙ্গেও ভারতের রেল সংযোগ আছে।

এছাড়া ভারত ও নেপালের মধ্যে আন্তঃসীমান্ত সংযোগের মাধ্যমে জয়নগর-বিজলপুরা-বারদিবাস রেললাইনের কুর্থা থেকে বিজলপুরা পর্যন্ত রেল সেকশন চালু হয়েছে। ফলে বর্তমান অবকাঠামো সুবিধা দিয়ে রেল কানেকটিভিটি চালু হলে বাংলাদেশ, ভারত, নেপালের মধ্যে ত্রিমুখী যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে উঠতে পারে।

সূত্র: বাংলাদেশ প্রতিদিন




নির্বাচনী ট্রেনের যাত্রা শুরু

তফসিল ঘোষণার মধ্য দিয়ে যাত্রা শুরু করেছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ট্রেন। তবে সেই ট্রেনে কারা কারা উঠবেন তা এখন নিশ্চিত নয়। প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল তফসিল ঘোষণার পর এখন পর্যন্ত নিবন্ধিত দলগুলোর মধ্যে ১৫টি একে স্বাগত জানিয়েছে, ১৭টি দল প্রত্যাখ্যান করেছে। ১২টি দল এখনো নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেনি।

আমার ধারণা, সময়ের সাথে সাথে আরও অনেকগুলো দল নির্বাচনী ট্রেনে চড়তে মরিয়া চেষ্টা চালাবে। অঙ্কের হিসাবে যাই হোক, মূল কথা হলো ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সংবিধান অনুযায়ী নির্ধারিত সময়েই নির্বাচন করতে বদ্ধপরিকর। তারা ইতিমধ্যে দলীয় মনোনয়ন ফরম বিক্রির মাধ্যমে নির্বাচনী লড়াইয়ে শামিল হয়েছে। তবে মাঠের মূল বিরোধী দল বিএনপি এখনো সরকার পতনের একদফা আন্দোলনে আছে। তারা নির্বাচনের তফসিল প্রত্যাখ্যান করেছে।

নির্বাচন কমিশনের পয়েন্ট অব ভিউ থেকে যদি বিবেচনা করেন, নির্ধারিত সময়ে তফসিল ঘোষণা করা ছাড়া তাদের করার কিছু নেই। এটা তাদের সাংবিধানিক দায়িত্ব। একদম যদি আইনের কথা বলেন, নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব নির্ধারিত সময়ে তফসিল ঘোষণা করে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করা। কারা নির্বাচনে আসবে, কারা আসবে না; এটা দেখা তাদের দায়িত্ব নয়। কিন্তু বাংলাদেশের বাস্তবতায় একটা অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য চেষ্টা নির্বাচন কমিশন কম করেনি।

তবে নির্বাচন কমিশন বারবার আমন্ত্রণ জানালেও বিএনপি তাদের ডাকে সাড়া দেয়নি। নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হবে কি না, সবগুলো দল তাতে অংশ নেবে কি না, তা নিশ্চিত করা আসলে রাজনৈতিক দলগুলোর দায়িত্ব। তারা নিজেরা আলাপ-আলোচনা করেই তবেই ঠিক করবে। নির্বাচন কমিশন তো কোনো রাজনীতির অংশ নয়। কাউকে জোর করে নির্বাচনে আনা বা কাউকে নির্বাচনের বাইরে রাখা তাদের কাজ নয়।

সবচেয়ে ভালো হতো, তফসিল ঘোষণার আগেই রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সমঝোতার পরিবেশ তৈরি হলে। কিন্তু অনেকদিন ধরেই আমাদের প্রধান দুই রাজনৈতিক দল নিজ নিজ অবস্থানে অনড়। আওয়ামী লীগ সংবিধান অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন করতে চায়। আর বিএনপির একদফা হলো, সরকারের পদত্যাগ। তো সরকার যদি পদত্যাগই করে তাহলে বিএনপি কার সাথে আলোচনা করবে? দুই পক্ষের শর্তের বেড়াজালে আটকে ছিল সংলাপের সম্ভাবনা।

তফসিল ঘোষণার আগে আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র শর্তহীন সংলাপে বসার আহ্বান জানিয়ে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশের প্রধান তিন রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টিকে চিঠি দিয়েছে। কিন্তু আওয়ামী লীগ জানিয়ে দিয়েছে, এখন আর সংলাপের সময় ও পরিবেশ নেই।

তাদের যুক্তি হলো, বিএনপি যেহেতু সরকার পতনের একদফা দাবিতে অগ্নিসন্ত্রাস চালাচ্ছে, তাই সংলাপের পরিবেশ তারাই নষ্ট করেছে। আর তফসিল ঘোষণার পর এখন আর সংলাপের সময় নেই। আওয়ামী লীগের যুক্তি মেনেও বলি, তারা যেহেতু টানা তিন মেয়াদে ক্ষমতায় আছে তাই তাদের দায়িত্ব বেশি। একটু ছাড় দিয়ে হলেও বিএনপিকে নির্বাচনে আনতে পারলে তা দেশ, জনগণ ও গণতন্ত্রের জন্য মঙ্গলজনক।

তফসিল ঘোষণা হলেও সব সুযোগ শেষ হয়ে যায়নি। এখনো আলোচনার সুযোগ আছে। প্রয়োজনে তফসিল পেছানোর সুযোগও আছে। জাতির বৃহত্তর স্বার্থে সবাই যদি নিজেদের ইগো দূরে রেখে, শর্ত ভুলে গিয়ে সমঝোতার মানসিকতা নিয়ে এগিয়ে আসেন; এখনো একটি সুন্দর, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যেতে পারে জাতি। তাতে এক নিমেষে উড়ে যাবে শঙ্কার সব কালো মেঘ।

বিএনপি টানা ১৭ বছর ক্ষমতার বাইরে। কিন্তু বিএনপি কোনো বিপ্লবী দল নয়। তারা একটি স্বাভাবিক গণতান্ত্রিক দল। ২০১৪ সালের নির্বাচনে তারা অংশ নেয়নি। ২০১৮ সালের নির্বাচনে অংশ নিলেও ফলাফল হয়েছে শোচনীয়। বিএনপি চেষ্টা করেও ২০১৪ সালে নির্বাচন প্রতিহত করতে পারেনি।

২০১৮ সালের নির্বাচনের পরও কোনো প্রতিরোধ গড়তে পারেনি। এখন তারা সরকার পতনের একদফা আন্দোলনে মাঠে আছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করার মতো কোনো পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পারেনি। নিকট ভবিষ্যতে পারবে, তেমন কোনো সম্ভাবনাও দেখা যাচ্ছে না।
বিএনপি এখন আন্ডারগ্রাউন্ড থেকে কর্মসূচি ঘোষণা করে, কিছু যানবাহনে আগুন দিয়ে, জনগণকে জিম্মি করে দাবি আদায় করা যাবে না। তাহলে বিএনপি কী করবে? আরও এক মেয়াদ ক্ষমতা বা ক্ষমতা কাঠামোর বাইরে থাকার মতো সাংগঠনিক সক্ষমতা কি বিএনপির আছে।

আগেই বলেছি, বিএনপি কোনো বিপ্লবী দল নয়। তারা নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় যাওয়া একটি দল। এবার নির্বাচনে গেলেই যে বিএনপি ক্ষমতায় চলে যাবে তেমন কোনো গ্যারান্টি নেই। তবে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় অংশ নিলে নেতাকর্মীরা চাঙা থাকেন। ক্ষমতায় যেতে পারলে ভালো, না গেলেও উল্লেখযোগ্য সংখ্যক আসনে জিততে পারলে সংসদের ভেতরে-বাইরে আন্দোলন চালানো যায়।

দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়, এটা প্রমাণের জন্য বারবার নির্বাচন বর্জন করে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় থাকার সুযোগ করে দিলে তো দিনশেষে বিএনপির ক্ষতি, আওয়ামী লীগেরই লাভ। আওয়ামী লীগ অনেক আগে থেকেই নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করেছে। তারা দলীয় মনোনয়ন ফরম বিক্রি করাও শুরু করেছে। এতদিন আওয়ামী লীগ প্রস্তুতি নিয়েছে বিএনপি নির্বাচনে আসবে ধরে নিয়েই।

আওয়ামী লীগের দুই ধরনের প্রস্তুতিই আছে। বিএনপি নির্বাচনে এলে জাতীয় পার্টিসহ মহাজোট হিসেবে আওয়ামী লীগ তাদের মোকাবিলায় মাঠে নামবে। আর না হয় হয়তো জাতীয় পার্টি আলাদাভাবেই নির্বাচন করবে, যাতে মাঠে প্রতিদ্বন্দ্বিতার পরিবেশ সৃষ্টি হয়। এই পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য আগেই তৃণমূল বিএনপিকে তৈরি করে রেখেছে সরকার।

আর নির্বাচন এলেই বাংলাদেশের কিছু ইসলামি দল মাঠে নামে নানা সুযোগ-সুবিধা নেওয়ার ধান্ধায়। তারা কখনো এই দলের সাথে, কখনো ঐ দলের সাথে দর কষাকষি করে। ভোটের মাঠে তাদের অবস্থান নড়বড়ে হলেও আওয়াজ তাদের অনেক লম্বা।

তবে বছরের পর বছর বাংলাদেশের মানুষ বুঝিয়ে দিয়েছে, ধর্ম নিয়ে তাদের আবেগ থাকলেও ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিয়ে তাদের কোনো আগ্রহ নেই। তাই তো এই দেশেও ইসলামি দলগুলোর ভোট ভগ্নাংশের বেশি নয়। বিএনপি যদি শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে নাই আসে, তাহলে কি নির্বাচনের ট্রেন থেমে থাকবে? নির্বাচনের পরে কী হবে, যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা কী হবে জানি না; তবে নির্বাচনের ট্রেনের যাত্রা থামার কোনো সুযোগ নেই। সাংবিধানিক ধারাবাহিকতার স্বার্থেই এই ট্রেন এগিয়ে যাবে।

লেখক: বার্তা প্রধান, এটিএন নিউজ।




আলমডাঙ্গায় দেড় কোটি টাকা নিয়ে পরিবারসহ উধাও ফার্মেসি ব্যবসায়ী

আলমডাঙ্গায় সুজা উদ্দীন নামের এক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে দেড় কোটি টাকা নিয়ে পরিবারসহ উধাও হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। সে বিভিন্ন এনজিও ও ব্যবসায়ী এবং ব্যক্তির কাছ থকে ব্যবসা সূত্রে তিনি এই টাকা ঋণ নিয়েছিলেন। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীরা বাদি হয়ে আলমডাঙ্গা থানায় অভিযোগ দিয়েছে।

সুজা উদ্দীন যশোর সদর ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মৃত আছির আলীর ছেলে। সে বৈবাহিক সূত্রে উপজেলার ডাউকি ইউনিয়নের বাদেমাজু গ্রামের শশুর আব্দুল মান্নানের বাড়িতে বসবাস করত।

স্থানীয়রা জানান, গত ৭ বছর আগে সুজা উদ্দীন আলমডাঙ্গা পৌর শহরের মেডিসিন কর্ণারে চাকুরি করেন। ২০২০ সালে সে নিজেই রিপন ফার্মেসি নামের একটি দোকান শুরু করেন। ব্যবসায়ীক সম্পর্কে সে বিভিন্ন এনজিও, ব্যবসায়ী ও ব্যাক্তির নিকট থেকে ঋণ নেয়। এছাড়া বিভিন্ন ঔষধ কোম্পানির নিকট থেকে বাকিতে ঔষধ নেয়। এতে প্রায় দেড় কোটি টাকা আত্নসাৎ করে রাতারাতি উধাও হয়ে যায়।

ভুক্তভোগী ঔষধ কোম্পানি মার্কেটিং রিপ্রেজেন্টিভেরা জানায়, ইবনে সিনা ফার্মাসিটিক্যাল ৬ লাখ ৯০ হাজার টাকা, জেনারেল ফার্মাসিউটিক্যালস ৫ লাখ ৯০ হাজার টাকা, একমি ফার্মাসিটিক্যাল ১ লাখ টাকা, নাভানা ফার্মাসিটিক্যাল ১ লাখ ১০ হাজার টাকা , বিকন ফার্মা ৯০ হাজার টাকা, বায়ো ফার্মা ১ লাখ ১৪ হাজার টাকা, নিপ্রো জেএমআইয়ের ৫০ হাজার টাকা, পপুলার ফার্মা ১ লাখ ১০ হাজার টাকা, এসকেএফ ফার্মা ১৫ হাজার টাকা, জিসকা ফার্মা ১৬ হাজার টাকা, প্যাসেফিক ফার্মা ১১ হাজার টাকা, এভারেস্ট ফার্মা ১৬ হাজার টাকা, ড্রাগ ফার্মা ১০ হাজার টাকা, এপেক্স ফার্মা ৪ হাজার টাকা। ব্রাক এনজিও থেকে ৭ লাখ ও একতা ডেইলি সমিতি থেকে ২৭ লাখ এবং ফোর স্টার সমিতি থেকে ৭ লাখ টাকা নেন।

এছাড়া প্রতিবেশী কসমেটিকস এন্ড কনফেশনারী ব্যবসায়ী জহুরুল ইসলামের কাছ থেকে ৪ লাখ, ভাই ভাই মোবাইলের মালিক জুয়েল রানার কাছ থেকে ১ লাখ ২৫ হাজার, আমেনা কনফেশনারীর মালিক ডাবলুর কাছ থেকে ৫০ হাজার ধার নেন। এছাড়াও গোপনে তিনি চড়া সুদে অনেক ব্যাক্তির কাছ থেকে কয়েক লাখ টাকা নিয়েছেন।

ইবনে সিনা ফার্মার এমআর আসাদুজ্জামান বলেন, ব্যবসায়ীক সূত্রে কোম্পানির প্রায় ৭ লাখ টাকা বাকি দেওয়া হয়েছে। গত (১৪ নভেম্বর) মঙ্গলবার রাতের আধারে তিনি পরিবার নিয়ে লাপাত্তা হয়ে যায়।

ভুক্তভোগী কসমেটিকস এন্ড কনফেশনারী ব্যবসায়ী জহুরুল ইসলাম জানান, গত ১ মাস পূর্বে দোকানে ঔষধ কেনার জন্য ৪ লাখ টাকা ধার নেয়। ব্যাংকে লোনের টাকা তুলে পরিশোধ করবে। তিনি রাতারাতি পরিবার নিয়ে উধাও হয়ে গেছে।

এবিষয়ে আলমডাঙ্গা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) হাদিউজ্জামান বলেন, কয়েকজন ঔষধ কোম্পানির এমআর বাদি হয়ে অভিযুক্ত সুজা উদ্দীনের বিরুদ্ধে ২৫ লাখ টাকা লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এবিষয়ে সত্যতা নিশ্চিতে খোঁজখবর চলছে।

আলমডাঙ্গা থানার পরিদর্শক (ওসি) বিপ্লব কুমার নাথ বলেন, অর্থ আত্নসাৎ করে উধাও এক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত চলছে, পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।




মেহেরপুর সদর উপজেলার চেয়ারম্যান অ্যাড. ইয়ারুল ইসলামের পদত্যাগ

ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে মেহেরপুর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করলেন অ্যাড. ইয়ারুল ইসলাম। তিনি মেহেরপুর জেলা অওয়ামী লীগের সহসভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

আজ ২০ নভেম্বর সোমবার তিনি স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব বরাবর এ পদত্যাগ পত্র পাঠিয়েছেন আজ থেকে তিনি এ পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন। বলে পত্রে জানিয়েছেন। ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে তিনি এ পদত্যাগ করেছেন বলে পত্রে জানিয়েছেন।

উল্লেখ্য, আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি অ্যাড. ইয়ারুল ইসলাম আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন।




ডিক্যাপ্রিও এবার জলবায়ু নিয়ে নির্মিত সিনেমায়

পরিবেশ সংরক্ষণ ও জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে সব সময় কাজ করেন হলিউড অভিনেতা লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিও।

জলবায়ু পরিবর্তন ও পরিবেশ রক্ষার্থে ১৯৯৮ সালে তিনি গড়ে তুলেছিলেন দ্য লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিও ফাউন্ডেশন (এলডিএফ)।

এবার জলবায়ু নিয়ে নির্মিত সিনেমার সঙ্গে যুক্ত হলেন। নাম ‘উই আর গার্ডিয়ান’। এ সিনেমা নির্মিত হয়েছে অ্যামাজন রেইন ফরেস্টের ওপর। সিনেমার প্রযোজকের দায়িত্বে আছেন লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিও।

আসছে ১ ডিসেম্বর ভারতে শুরু হওয়া অল লিভিং থিংস এনভায়রনমেন্ট উৎসবে সিনেমাটি দেখানো হবে। লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিও বলেন, ‘সব সময় জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে কাজ করতে পছন্দ করি। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য পৃথিবী ভয়ংকর হতে যাচ্ছে, যার কারণ আমাদের অসচেতনতা।

এই অসচেতনতার জন্য বিশ্বে প্রাকৃতিক দুর্যোগের সংখ্যা বেড়ে গেছে। বিগত দিনে ইউরোপ, আমেরিকা ও এশিয়ায় যে ধরনের বড় বড় প্রাকৃতিক দুর্যোগ আমরা দেখতে পেয়েছি, তা আমাদের আগামীর ভয়ংকর সময়ের বার্তা দিচ্ছে। তাই এখন থেকেই যদি পরিবেশ সম্পর্কে সচেতন না হই, ভবিষ্যতে আমাদের জন্য আরও খারাপ কিছু অপেক্ষা করছে। সেই সচেতনতা বৃদ্ধি করার জন্যই আমাদের এ সিনেমা উই আর গার্ডিয়ান।’

এ সিনেমায় ব্রাজিলের অ্যামাজন অঞ্চলের গল্প তোলা হয়েছে। সিনেমার প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন এই এলাকার সাধারণ মানুষ। সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন চেলসি গ্রিন, রব গ্রুম্যান ও এডিভ্যান গুজাজারা।

সূত্র: সমকাল




শেষের জন্য আমাদের সেরাটা রেখে দিয়েছিলাম: কামিন্স

স্বাগতিক ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যকার ফাইনাল দিয়ে পর্দা নেমেছে ওয়ানডে বিশ্বকাপের ১৩তম আসরের।

ফাইনালে অপ্রতিরোধ্য ভারতকে ৬ উইকেটে হারিয়ে ষষ্ঠ শিরোপা নিজেদের করে নিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। অথচ জোড়া হার দিয়ে আসর শুরু করেছিল অজিরা। তারা এখন চ্যাম্পিয়ন। শেষের জন্য সেরাটা রেখে দিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক প্যাট কামিন্স।

বিশ্বকাপ ফাইনাল শেষে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় কামিন্স বলেন, ‘আমি মনে করি আমরা শেষের জন্য আমাদের সেরাটা রেখে দিয়েছিলাম। আমরা পুরো টুর্নামেন্টে প্রথমে ব্যাটিং করেছি। তবে লক্ষ্যে তাড়া করতে নামার জন্য আজকের রাতটা দারুণ ছিলো। আমরা যতোটা ভেবেছিলাম, পিচ ততটা স্পিন সহায়ক ছিলো না। ছেলেরা ছিলো দুর্দান্ত। সবাই তারা মাঠে নিজেদের উজাড় করে দিয়েছে।’

ফাইনালের দিন স্নায়ুচাপে ছিলেন জানিয়ে অজি অধিনায়ক আরও বলেন, ‘দলে আমি তাদের একজন, যারা স্নায়ু চাপে ভুগছিলাম। কিন্তু হেড এবং মার্নাস খেলাটাকে এগিয়ে নিয়েছে। যখন সে (হেড) হাত ভেঙে ফেলেছিল নির্বাচকেরা তখনো ওপর ভরসা করেছিল। এটা ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। তবে শেষ পর্যন্ত কাজে দিয়েছে। তার ব্যাটিং দেখা দারুণ ব্যাপার।’

সুত্র: ইত্তেফাক




সন্তানকে যেসব কারণে শেখাবেন ক্রিকেট

ক্রিকেটের মহারণ হলো শেষ। আবারও জিতেছে অস্ট্রেলিয়া। আরেকটি মন ভাঙার ফাইনাল ভারতের। ভেবে দেখুন ৩০ বছর আগের ক্রিকেট দুনিয়া। এত বর্ণিল ছিল না। এখন সময় পাল্টেছে।

ক্রিকেট কোচিং করাতে পারলে সম্ভাবনা থাকে ভবিষ্যতে তারকা হওয়ার। অর্থের আতিশয্য পাওয়া। তবে শুধু খ্যাতির জন্যই সন্তানকে ক্রিকেট প্রশিক্ষণে পাঠানো উচিত নয়।এখন আর মাঠ নেই। মাঠ না থাকায় এখন তো খেলার সুযোগ নেই। তাই সন্তানের ভালোর জন্য পাঠাতে পারেন ক্রিকেট কোচিং এ। যেসব উপকার পাবেন:

2
শরীরের একাগ্রতা
ক্রিকেটে প্রচুর শরীরচর্চা করতে হয়। একাগ্রতা প্রয়োজন হয়৷ তাই শরীর ফিট হয়। ফুটবলের পর ক্রিকেটেই এতটা ব্যায়ামচর্চা করা হয়।

3
নিয়মানুবর্তিতা ও ধৈর্য
ক্রিকেটে নিয়ম অনুসরণ করতে হয় অনেক। আপনার সন্তান ডেইলি রুটিন অনুসরণ করার মানসিক ধৈর্য তৈরি হয়। জীবনে এই ধৈর্য অনেক কাজে আসে।

4
চিন্তার গতিবিধি কৌশলী হয়
ক্রিকেটে নেতৃত্ব ও কৌশলী হওয়া জরুরি। এই ভাবনার জগত সমৃদ্ধ করার বিষয়টিতে আপনার সন্তান আগ্রহী হবে। ভাববে। মস্তিষ্ক সক্রিয় থাকলে তা মানসিক ও মেধা বিকাশে সহায়তা করে।

সূত্র: ইত্তেফাক




মেহেরপুরে ২য় দিনে মনোনয়ন কিনেছেন আরও ১০ জন

আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন ফরম বিক্রির প্রথম দুদিনে মেহেরপুরের দুটি আসনে নৌকার মাঝি হতে ২৪ জন মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন।

প্রথম দিন শনিবারে মেহেরপুর-১ (সদর ও মুজিবনগর) আসনে ফরম সংগ্রহ করেছেন ৭ জন এবং দ্বিতীয় দিন রবিবারে ফরম সংগ্রহ করেছেন আরও ৬ জন।

মেহেরপুর-২ (গাংনী) আসনে ১ম দিনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন ৭ জন এবং ২য় দিনের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন আরও ৪ জন। এ নিয়ে দুদিনে দুটি আসনে ২৩ জন প্রার্থী মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন।

মেহেরপুর-১ আসনে রবিবারে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন তাঁরা হলেন- জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও মুজিবনগর উপজেলা চেয়ারম্যান জিয়া উদ্দিন বিশ্বাস, সহসভাপতি ও পিরোজপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ বাবলু বিশ্বাস, জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম রসুল, মহাজনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমাম হোসেন মিলু, সাবেক এমপি জয়নাল আবেদীনের ছেলে তানভির আহমেদ, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আমজাদ হোসেন।

এর আগে মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করেছেন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন এমপি, সাবেক এমপি জয়নাল আবেদীন, সাবেক এমপি প্রফেসর আব্দুল মান্নান, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি অ্যাড. মিয়াজান আলী, আব্দুল মান্নান (ছোট), অ্যাড. ইয়ারুল ইসলাম, শিক্ষা ও মানব সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক এম এ এস ইমন।

মেহেরপুর-২ আসনে রবিবারে আওয়মী লীগের দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আশরাফুল আলম স্বপন, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক নুরজাহান বেগম, গাংনী উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান রাশিদুল হক জুয়েল, সাবেক অতিরিক্ত সচিব আশরাফুল আলম।

আগের দিন মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করেন, বর্তমান সংসদ সদস্য ও গাংনী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাহিদুজ্জামান খোকন, সাবেক সংসদ সদস্য মকবুল হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ খালেক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. শফিকুল আলম, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. নাজমুল হক সাগর, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোখলেসুর রহমান মকুল, সাবেক ছাত্র নেতা রিয়াজ উদ্দিন।




হরতাল ডেকে কেন মাঠে নেই মেহেরপুরের বিএনপি নেতা-কর্মীরা?

আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার প্রতিবাদে ও নিরপেক্ষ সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর এবং বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ গ্রেফতারকৃত সকল নেতাকর্মীকে মুক্তি দিতে সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টির উদ্দেশ্যে বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর ডাকা ৪৮ ঘণ্টার হরতাল রবিবার (১৯ নভেম্বর) সকাল ৬টা থেকে শুরু হয়েছে। তবে হরতালের প্রথম দিনের সমাপ্তি হলেও জেলায় হরতালের তেমন কোনো প্রভাব দেখা যায়নি। চোখে পড়েনি বিএনপি নেতাকর্মীদের কোন ধরনের তৎপরতা। অন্যান্য দিনের মতোই মেহেরপুরে দূরপাল্লার গণপরিবহন ছাড়া সব ধরনের যানবাহন যানবাহন চলেছে। দোকানপাট খোলা ছিল অন্যান্য স্বাভাবিক দিনের মতোই।

জেলা ও উপজেলা শহরে বিএনপি কিংবা সমমনা দলের কোনো নেতাকর্মীকে সড়কে দেখা যায়নি, শুধুমাত্র পার্শ্ব রাস্তায় রাতের আধারে গুটিকয়েক লোকের মশাল মিছিল ও ভোরের আলো ফোটার সাথে সাথে শহর থেকে অনেক দূরে হরতাল সমর্থনে একটি কথিত ছে, অন্যান্য দিনের মতোই সাধারণ মানুষ নিজ নিজ গন্তব্যে বের হয়েছে। আস্তে আস্তে সব ধরনের যানবাহন রাস্তায় নামতে শুরু করে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মানুষের কর্ম-চাঞ্চল্যের পাশাপাশি সারাদিনই চলেছে ব্যক্তিগত ও ছোট যানবহন। শহর ও গ্রামাঞ্চলে সকল দোকানপাট ও বিপনী বিতানগুলি খোলা ছিলো। হরতাল ঘিরে কোন ধরণের বিশৃঙ্খলার খবর পাওয়া যায়নি। তবে হরতালে যেকোনো ধরনের বিশৃঙ্খলতা রোধে সতর্ক অবস্থানে দেখা গেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের।

ব্যাপারটি নিয়ে বাজার, চায়ের দোকান সহ বিভিন্ন জনসমাগমে চলছে নানা রকম বিশ্লেষণ। কেউ বলছে বিএনপি এখন ভার্চুয়াল আন্দোলনের দল, কেউ বলছে সরকারের কৌশলের কাছে হার মেনেছে বিএনপি। কেউ আবার বলছে মামলা ও গ্রেপ্তার আতঙ্কে বিএনপি নেতা কর্মীরা তঠস্থ। অনেকে আবার আরেক কাঠি সরেস হয়ে প্রশ্ন করছে দলের অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই করতে যারা রাজপথে ন্যূনতম প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারেনা তারা ক্ষমতায় আসবে বিভাবে?

বিএনপি নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে এ বিষয়টি নিয়ে মেহেরপুর জেলা যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হুজাইফা ডিক্লেয়ার বলেন,’আমি ঢাকায় থেকে কর্মসূচি পালন করছি। আমার বিরুদ্ধে বিনা কারণে একটি নাশকতা মামলা করা হয়েছে। গ্রেপ্তার এড়াতে আমি ঢাকায় থেকে দলীয় কর্মসূচিতে সাথে একাত্ম হয়েছি।এছাড়াও দলের চেয়ারপারসন অযোগ্য লোকদের দায়িত্ব দেয়ার কারণে মেহেরপুর জেলায় আন্দোলন বেগবান হচ্ছে না। যাদেরকে চেয়ারপার্সন দায়িত্ব দিয়েছেন তারা কেউই বিষয়টি গুরুত্বের সাথে নেয়নি। ‘

জেলা বিএনপির সহ সভাপতি জাবেদ মাসুদ মিল্টন বলেন, ‘হরতাল ডেকে বিএনপি নেতা কর্মীরা মাঠে নেই এ কথাটা সঠিক না। বিএনপি গণমানুষের একটি দল। আমরা সাধারণ মানুষের সাথে আছি। জান মালের নিরাপত্তার কথা বলে সারাদেশে ভীতিকর অবস্থার অবতারণা করা হয়েছে। সুষ্ঠু ভোটাধিকারের কথা বললেই নেতাকর্মীদের জেলে পাঠানো হচ্ছে। বিরোধী মতের একটি মানুষও স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারছে না।’

জেলা বিএনপি’র সহ-সভাপতি আলমগীর খান ছাতু বলেন, ‘বর্তমান সরকার বিএনপিকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা না করে পুলিশ ও প্রশাসনকে ব্যবহার করছে দমন পীড়ন চালানোর জন্য। অতি উৎসাহী হয়ে প্রশাসন ও পুলিশের একটি অংশ কঠোর বল প্রয়োগের মাধ্যমে বিএনপি নেতাকর্মীদের রাস্তায় দাঁড়ানো তো দূরের কথা নিজ বাড়িতেও অবস্থান করতে দিচ্ছে না। এজন্যই সার্বিক নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে আমরা ভিন্ন কৌশলে আমাদের আন্দোলন সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছি।’

মেহেরপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সাংসদ মাসুদ অরুন বলেন,’ মেহেরপুর দেশের সবচেয়ে ছোট জেলা। আর জেলা শহর বলতে যেটা বোঝায় তার ব্যপ্তি খুবই কম। বিগত ১৪-১৫ সালে বিএনপির ৯৬ দিনের কঠোর কর্মসূচি পালনের কথা মাথায় রেখে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মেহেরপুরে তাদের সর্বোচ্চ শক্তি প্রয়োগ করে বিএনপিকে দমনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে আমাদের আন্দোলন থেমে নেই। শহর থেকে শুরু করে প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চল পর্যন্ত আমাদের নেতাকর্মীরা জনগণের সাথে মিশে আছে এবং তাদেরকে সাথে নিয়েই চুড়ান্ত আন্দোলনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। তৃণমূল নেতাকর্মীদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তার কথা ভেবেই মেহেরপুরে এবারের আন্দোলনটা একটু ভিন্ন কৌশলে পরিচালনা করা হচ্ছ। আমার দৃঢ় বিশ্বাস জয় আসবেই,আপমর জনগণকে সাথে নিয়েই আমরা বিজয়ী হব। ‘




কুষ্টিয়া-২ আসনে নৌকার মনোনয়ন কিনলেন কামারুল আরেফীন

নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। গত শনিবার সকাল থেকেই মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। এরই ধারাবাহিকতায় কুষ্টিয়া-২ (মিরপুর-ভেড়ামারা) আসনে প্রার্থী হতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করলেন দেশসেরা উপজেলা চেয়ারম্যান মিরপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কামারুল আরেফীন।

গতকাল রবিবার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে অবস্থিত আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন তিনি।

আর্তমানবতার সেবা ও সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে ইতিমধ্যে তিনি দলীয় নেতাকর্মী ও এলাকাবাসীর আশা-আকাঙ্খার প্রতীক হয়ে সফল জননেতা হিসেবে উপজেলাবাসীর কাছে সমাদৃত তিনি।

কামারুল আরেফীন বলেন, ছাত্রজীবন থেকে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। দীর্ঘদিন ধরে দলকে সুসংগঠিত করার পাশাপাশি মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করে আসছি। বিপদ-আপদে সব সময় এলাকাবাসী ও দলীয় নেতাকর্মীদের পাশে ছিলাম। সাহায্য সহযোগীতা করছি গরিব দুঃখী, ধর্মীয় ও সামাজিক প্রতিষ্ঠানে। সেবার পরিধি বাড়াতে দলীয় নেতাকর্মী ও এলাকাবাসীর অনুরোধে এমপি হওয়ার লক্ষে কাজশুরু করেছি। আমার দৃঢ বিশ্বাস দল আমাকে মনোনয়ন দেবেন। শুধু মিথ্যা প্রতিশ্রুতি নয়, এমপি হতে পারলে অবেহেলিত মিরপুর উপজেলার প্রত্যান্ত অঞ্চলেও উন্নয়নের সারথী হয়ে এই উপজেলাকে একটি উন্নয়নের মডেল হিসেবে গড়ে তুলবেন বলে জানান তিনি।

তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন কাজের সহযোগী হয়ে মিরপুর-ভেড়ামারাকে স্মার্ট আসন হিসেবে গড়ে তুলতে কাজ করতে চাই। এ কারণেই মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছি। আমি বিশ্বাস করি দলের প্রতি আমার অবদানের কথা বিবেচনায় নিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাকে মনোনয়ন দেবেন।’

তিনি আরও বলেন, ’প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমতায় থাকায় সাধারণ মানুষ আজ নানান সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন। বাংলাদেশের উন্নয়ন হচ্ছে। তাই আগামী নির্বাচনে শেখ হাসিনা সরকারের মনোনীত নৌকার প্রার্থীকে ভোট দিয়ে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে হবে। জনগণের ভাগ্য পরিবর্তন করে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে শেখ হাসিনার অগ্রণী ভূমিকা আছে। আর বর্তমান দেশের উন্নয়নের গতিশীলতা জনগণের কাছে দৃশ্যমান। দেশের উন্নয়নে আওয়ামী লীগকে আবারও ক্ষমতায় আনতে হবে।’

মিরপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আসলাম আরেফীন সহ স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও নানা শ্রেণী-পেশার মানুষ জানান, কামারুল আরেফীন মুক্তিযুদ্ধ ও অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বিশ্বাসী একজন সমাজ হিতৈষী সাদা মনের মানুষ। ধর্মীয় কাজ ও শিক্ষা বিস্তারে রয়েছে তাঁর প্রচণ্ড আগ্রহ। তিনি দীর্ঘদিন ধরে সমাজের অবহেলিত জনগোষ্ঠীর ভাগ্য উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করছেন। মিরপুর ও ভেড়ামারা দুইটি উপজেলা নিয়ে একটি আাসন। এই উপজেলার ভোটার সংখ্যা বেশি অথচ ভেড়ামারা উপজেলা ভোটারের সংখ্যা কম হলেও সেখান থেকে এমপি নির্বাচিত হয়ে থাকে। তাই এবারে এই মিরপুর উপজেলা বাসী চান কামারুল আরেফীন এমপি হিসেবে নির্বাচিত হোক। শুধু তাই নয়, তিনি এমপি হলে অবহেলিত জনপথটির আর্থ-সামাজিক অবস্থার দ্রুত উন্নয়ন ঘটবে বলেও জানান তারা।