সন্তানকে যেসব কারণে শেখাবেন ক্রিকেট

ক্রিকেটের মহারণ হলো শেষ। আবারও জিতেছে অস্ট্রেলিয়া। আরেকটি মন ভাঙার ফাইনাল ভারতের। ভেবে দেখুন ৩০ বছর আগের ক্রিকেট দুনিয়া। এত বর্ণিল ছিল না। এখন সময় পাল্টেছে।

ক্রিকেট কোচিং করাতে পারলে সম্ভাবনা থাকে ভবিষ্যতে তারকা হওয়ার। অর্থের আতিশয্য পাওয়া। তবে শুধু খ্যাতির জন্যই সন্তানকে ক্রিকেট প্রশিক্ষণে পাঠানো উচিত নয়।এখন আর মাঠ নেই। মাঠ না থাকায় এখন তো খেলার সুযোগ নেই। তাই সন্তানের ভালোর জন্য পাঠাতে পারেন ক্রিকেট কোচিং এ। যেসব উপকার পাবেন:

2
শরীরের একাগ্রতা
ক্রিকেটে প্রচুর শরীরচর্চা করতে হয়। একাগ্রতা প্রয়োজন হয়৷ তাই শরীর ফিট হয়। ফুটবলের পর ক্রিকেটেই এতটা ব্যায়ামচর্চা করা হয়।

3
নিয়মানুবর্তিতা ও ধৈর্য
ক্রিকেটে নিয়ম অনুসরণ করতে হয় অনেক। আপনার সন্তান ডেইলি রুটিন অনুসরণ করার মানসিক ধৈর্য তৈরি হয়। জীবনে এই ধৈর্য অনেক কাজে আসে।

4
চিন্তার গতিবিধি কৌশলী হয়
ক্রিকেটে নেতৃত্ব ও কৌশলী হওয়া জরুরি। এই ভাবনার জগত সমৃদ্ধ করার বিষয়টিতে আপনার সন্তান আগ্রহী হবে। ভাববে। মস্তিষ্ক সক্রিয় থাকলে তা মানসিক ও মেধা বিকাশে সহায়তা করে।

সূত্র: ইত্তেফাক




মেহেরপুরে ২য় দিনে মনোনয়ন কিনেছেন আরও ১০ জন

আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন ফরম বিক্রির প্রথম দুদিনে মেহেরপুরের দুটি আসনে নৌকার মাঝি হতে ২৪ জন মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন।

প্রথম দিন শনিবারে মেহেরপুর-১ (সদর ও মুজিবনগর) আসনে ফরম সংগ্রহ করেছেন ৭ জন এবং দ্বিতীয় দিন রবিবারে ফরম সংগ্রহ করেছেন আরও ৬ জন।

মেহেরপুর-২ (গাংনী) আসনে ১ম দিনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন ৭ জন এবং ২য় দিনের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন আরও ৪ জন। এ নিয়ে দুদিনে দুটি আসনে ২৩ জন প্রার্থী মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন।

মেহেরপুর-১ আসনে রবিবারে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন তাঁরা হলেন- জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও মুজিবনগর উপজেলা চেয়ারম্যান জিয়া উদ্দিন বিশ্বাস, সহসভাপতি ও পিরোজপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ বাবলু বিশ্বাস, জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম রসুল, মহাজনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমাম হোসেন মিলু, সাবেক এমপি জয়নাল আবেদীনের ছেলে তানভির আহমেদ, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আমজাদ হোসেন।

এর আগে মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করেছেন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন এমপি, সাবেক এমপি জয়নাল আবেদীন, সাবেক এমপি প্রফেসর আব্দুল মান্নান, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি অ্যাড. মিয়াজান আলী, আব্দুল মান্নান (ছোট), অ্যাড. ইয়ারুল ইসলাম, শিক্ষা ও মানব সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক এম এ এস ইমন।

মেহেরপুর-২ আসনে রবিবারে আওয়মী লীগের দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আশরাফুল আলম স্বপন, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক নুরজাহান বেগম, গাংনী উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান রাশিদুল হক জুয়েল, সাবেক অতিরিক্ত সচিব আশরাফুল আলম।

আগের দিন মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করেন, বর্তমান সংসদ সদস্য ও গাংনী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাহিদুজ্জামান খোকন, সাবেক সংসদ সদস্য মকবুল হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ খালেক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. শফিকুল আলম, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. নাজমুল হক সাগর, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোখলেসুর রহমান মকুল, সাবেক ছাত্র নেতা রিয়াজ উদ্দিন।




হরতাল ডেকে কেন মাঠে নেই মেহেরপুরের বিএনপি নেতা-কর্মীরা?

আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার প্রতিবাদে ও নিরপেক্ষ সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর এবং বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ গ্রেফতারকৃত সকল নেতাকর্মীকে মুক্তি দিতে সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টির উদ্দেশ্যে বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর ডাকা ৪৮ ঘণ্টার হরতাল রবিবার (১৯ নভেম্বর) সকাল ৬টা থেকে শুরু হয়েছে। তবে হরতালের প্রথম দিনের সমাপ্তি হলেও জেলায় হরতালের তেমন কোনো প্রভাব দেখা যায়নি। চোখে পড়েনি বিএনপি নেতাকর্মীদের কোন ধরনের তৎপরতা। অন্যান্য দিনের মতোই মেহেরপুরে দূরপাল্লার গণপরিবহন ছাড়া সব ধরনের যানবাহন যানবাহন চলেছে। দোকানপাট খোলা ছিল অন্যান্য স্বাভাবিক দিনের মতোই।

জেলা ও উপজেলা শহরে বিএনপি কিংবা সমমনা দলের কোনো নেতাকর্মীকে সড়কে দেখা যায়নি, শুধুমাত্র পার্শ্ব রাস্তায় রাতের আধারে গুটিকয়েক লোকের মশাল মিছিল ও ভোরের আলো ফোটার সাথে সাথে শহর থেকে অনেক দূরে হরতাল সমর্থনে একটি কথিত ছে, অন্যান্য দিনের মতোই সাধারণ মানুষ নিজ নিজ গন্তব্যে বের হয়েছে। আস্তে আস্তে সব ধরনের যানবাহন রাস্তায় নামতে শুরু করে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মানুষের কর্ম-চাঞ্চল্যের পাশাপাশি সারাদিনই চলেছে ব্যক্তিগত ও ছোট যানবহন। শহর ও গ্রামাঞ্চলে সকল দোকানপাট ও বিপনী বিতানগুলি খোলা ছিলো। হরতাল ঘিরে কোন ধরণের বিশৃঙ্খলার খবর পাওয়া যায়নি। তবে হরতালে যেকোনো ধরনের বিশৃঙ্খলতা রোধে সতর্ক অবস্থানে দেখা গেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের।

ব্যাপারটি নিয়ে বাজার, চায়ের দোকান সহ বিভিন্ন জনসমাগমে চলছে নানা রকম বিশ্লেষণ। কেউ বলছে বিএনপি এখন ভার্চুয়াল আন্দোলনের দল, কেউ বলছে সরকারের কৌশলের কাছে হার মেনেছে বিএনপি। কেউ আবার বলছে মামলা ও গ্রেপ্তার আতঙ্কে বিএনপি নেতা কর্মীরা তঠস্থ। অনেকে আবার আরেক কাঠি সরেস হয়ে প্রশ্ন করছে দলের অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই করতে যারা রাজপথে ন্যূনতম প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারেনা তারা ক্ষমতায় আসবে বিভাবে?

বিএনপি নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে এ বিষয়টি নিয়ে মেহেরপুর জেলা যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হুজাইফা ডিক্লেয়ার বলেন,’আমি ঢাকায় থেকে কর্মসূচি পালন করছি। আমার বিরুদ্ধে বিনা কারণে একটি নাশকতা মামলা করা হয়েছে। গ্রেপ্তার এড়াতে আমি ঢাকায় থেকে দলীয় কর্মসূচিতে সাথে একাত্ম হয়েছি।এছাড়াও দলের চেয়ারপারসন অযোগ্য লোকদের দায়িত্ব দেয়ার কারণে মেহেরপুর জেলায় আন্দোলন বেগবান হচ্ছে না। যাদেরকে চেয়ারপার্সন দায়িত্ব দিয়েছেন তারা কেউই বিষয়টি গুরুত্বের সাথে নেয়নি। ‘

জেলা বিএনপির সহ সভাপতি জাবেদ মাসুদ মিল্টন বলেন, ‘হরতাল ডেকে বিএনপি নেতা কর্মীরা মাঠে নেই এ কথাটা সঠিক না। বিএনপি গণমানুষের একটি দল। আমরা সাধারণ মানুষের সাথে আছি। জান মালের নিরাপত্তার কথা বলে সারাদেশে ভীতিকর অবস্থার অবতারণা করা হয়েছে। সুষ্ঠু ভোটাধিকারের কথা বললেই নেতাকর্মীদের জেলে পাঠানো হচ্ছে। বিরোধী মতের একটি মানুষও স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারছে না।’

জেলা বিএনপি’র সহ-সভাপতি আলমগীর খান ছাতু বলেন, ‘বর্তমান সরকার বিএনপিকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা না করে পুলিশ ও প্রশাসনকে ব্যবহার করছে দমন পীড়ন চালানোর জন্য। অতি উৎসাহী হয়ে প্রশাসন ও পুলিশের একটি অংশ কঠোর বল প্রয়োগের মাধ্যমে বিএনপি নেতাকর্মীদের রাস্তায় দাঁড়ানো তো দূরের কথা নিজ বাড়িতেও অবস্থান করতে দিচ্ছে না। এজন্যই সার্বিক নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে আমরা ভিন্ন কৌশলে আমাদের আন্দোলন সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছি।’

মেহেরপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সাংসদ মাসুদ অরুন বলেন,’ মেহেরপুর দেশের সবচেয়ে ছোট জেলা। আর জেলা শহর বলতে যেটা বোঝায় তার ব্যপ্তি খুবই কম। বিগত ১৪-১৫ সালে বিএনপির ৯৬ দিনের কঠোর কর্মসূচি পালনের কথা মাথায় রেখে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মেহেরপুরে তাদের সর্বোচ্চ শক্তি প্রয়োগ করে বিএনপিকে দমনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে আমাদের আন্দোলন থেমে নেই। শহর থেকে শুরু করে প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চল পর্যন্ত আমাদের নেতাকর্মীরা জনগণের সাথে মিশে আছে এবং তাদেরকে সাথে নিয়েই চুড়ান্ত আন্দোলনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। তৃণমূল নেতাকর্মীদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তার কথা ভেবেই মেহেরপুরে এবারের আন্দোলনটা একটু ভিন্ন কৌশলে পরিচালনা করা হচ্ছ। আমার দৃঢ় বিশ্বাস জয় আসবেই,আপমর জনগণকে সাথে নিয়েই আমরা বিজয়ী হব। ‘




কুষ্টিয়া-২ আসনে নৌকার মনোনয়ন কিনলেন কামারুল আরেফীন

নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। গত শনিবার সকাল থেকেই মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। এরই ধারাবাহিকতায় কুষ্টিয়া-২ (মিরপুর-ভেড়ামারা) আসনে প্রার্থী হতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করলেন দেশসেরা উপজেলা চেয়ারম্যান মিরপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কামারুল আরেফীন।

গতকাল রবিবার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে অবস্থিত আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন তিনি।

আর্তমানবতার সেবা ও সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে ইতিমধ্যে তিনি দলীয় নেতাকর্মী ও এলাকাবাসীর আশা-আকাঙ্খার প্রতীক হয়ে সফল জননেতা হিসেবে উপজেলাবাসীর কাছে সমাদৃত তিনি।

কামারুল আরেফীন বলেন, ছাত্রজীবন থেকে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। দীর্ঘদিন ধরে দলকে সুসংগঠিত করার পাশাপাশি মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করে আসছি। বিপদ-আপদে সব সময় এলাকাবাসী ও দলীয় নেতাকর্মীদের পাশে ছিলাম। সাহায্য সহযোগীতা করছি গরিব দুঃখী, ধর্মীয় ও সামাজিক প্রতিষ্ঠানে। সেবার পরিধি বাড়াতে দলীয় নেতাকর্মী ও এলাকাবাসীর অনুরোধে এমপি হওয়ার লক্ষে কাজশুরু করেছি। আমার দৃঢ বিশ্বাস দল আমাকে মনোনয়ন দেবেন। শুধু মিথ্যা প্রতিশ্রুতি নয়, এমপি হতে পারলে অবেহেলিত মিরপুর উপজেলার প্রত্যান্ত অঞ্চলেও উন্নয়নের সারথী হয়ে এই উপজেলাকে একটি উন্নয়নের মডেল হিসেবে গড়ে তুলবেন বলে জানান তিনি।

তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন কাজের সহযোগী হয়ে মিরপুর-ভেড়ামারাকে স্মার্ট আসন হিসেবে গড়ে তুলতে কাজ করতে চাই। এ কারণেই মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছি। আমি বিশ্বাস করি দলের প্রতি আমার অবদানের কথা বিবেচনায় নিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাকে মনোনয়ন দেবেন।’

তিনি আরও বলেন, ’প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমতায় থাকায় সাধারণ মানুষ আজ নানান সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন। বাংলাদেশের উন্নয়ন হচ্ছে। তাই আগামী নির্বাচনে শেখ হাসিনা সরকারের মনোনীত নৌকার প্রার্থীকে ভোট দিয়ে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে হবে। জনগণের ভাগ্য পরিবর্তন করে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে শেখ হাসিনার অগ্রণী ভূমিকা আছে। আর বর্তমান দেশের উন্নয়নের গতিশীলতা জনগণের কাছে দৃশ্যমান। দেশের উন্নয়নে আওয়ামী লীগকে আবারও ক্ষমতায় আনতে হবে।’

মিরপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আসলাম আরেফীন সহ স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও নানা শ্রেণী-পেশার মানুষ জানান, কামারুল আরেফীন মুক্তিযুদ্ধ ও অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বিশ্বাসী একজন সমাজ হিতৈষী সাদা মনের মানুষ। ধর্মীয় কাজ ও শিক্ষা বিস্তারে রয়েছে তাঁর প্রচণ্ড আগ্রহ। তিনি দীর্ঘদিন ধরে সমাজের অবহেলিত জনগোষ্ঠীর ভাগ্য উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করছেন। মিরপুর ও ভেড়ামারা দুইটি উপজেলা নিয়ে একটি আাসন। এই উপজেলার ভোটার সংখ্যা বেশি অথচ ভেড়ামারা উপজেলা ভোটারের সংখ্যা কম হলেও সেখান থেকে এমপি নির্বাচিত হয়ে থাকে। তাই এবারে এই মিরপুর উপজেলা বাসী চান কামারুল আরেফীন এমপি হিসেবে নির্বাচিত হোক। শুধু তাই নয়, তিনি এমপি হলে অবহেলিত জনপথটির আর্থ-সামাজিক অবস্থার দ্রুত উন্নয়ন ঘটবে বলেও জানান তারা।




চুয়াডাঙ্গা ২ আসনে মনোনয়ন তুললেন ১৪ জন আওয়ামীলীগ নেতা

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য দলীয় মনোনয়ন ফরম কিনলেন চুয়াডাঙ্গা ২ আসনে আওয়ামীলীগের ১৪ জন নেতা।

জানাগেছে ১৮ নভেম্বর আওয়ামীলীগের দলীয় মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু করেছে দলটি। গত দুই দিনে দলীয় মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন চুয়াডাঙ্গা ২ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য হাজী আলী আজগার টগর, চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আজাদুল ইসলাম আজাদ, চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও দামুড়হুদা উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মাহফুজুর রহমান মনজু, চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক ও বর্তমান পারকৃষ্ণপুর মদনা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এস এম জাকিরিয়া আলম, জীবননগর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল লতিফ অমল, সাধারন সম্পাদক নজরুল ইসলাম, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় উপ কমিটির ত্রান ও সমাজকল্যাণ সদস্য, চুয়াডাঙ্গা জেলা সমিতির সাধারন সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর্জা শাহারিয়ার মাহমুদ লন্টু, চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সহ সভাপতি নজরুল মল্লিক, দৈনিক সকালের সময়ের সম্পাদক নৃর হাকিম, কৃষি সম্পাসারন মন্ত্ররালয়ের সাবেক মহাপরিচালক হামিদুর রহমান, কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য এ্যাডভোকেট শাহারিয়ার কবির, সাবেক সেনা কর্মকর্তা ও দর্শনা সরকারি কলেজের সাবেক ভিপি আবু বক্কর, কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের উপ কমিটির তথ্য ও গবেষনা বিষয়ক সদস্য সাদেকুর রহমান বকুলসহ ১৪ জন।

এদের মধ্যে কে পাবে দলীয় মনোনয়ন কে বসবেন চুয়াডাঙ্গা ২ আসনের ক্ষমতা সিংহাসনে তা নিয়ে এলকায় চলছে আলোচনা সামালোচনা। কে সে ভাগ্যভান এখন শুধু দেখার পালা।




চুয়াডাঙ্গায় যুব মহিলা লীগের অবস্থান কর্মসূচি ও শো ডাউন

বিএনপি-জামায়াতের ডাকা অবরোধের নাশকত ঠেকাতে চুয়াডাঙ্গা জেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি ও চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশি আফরোজা পারভীনের নেতৃত্ব অবস্থান কর্মসূচি পালন ও শো ডাউন করেছে চুয়াডাঙ্গা জেলা যুব মহিলা লীগ।

গতকাল রবিবার সকাল ৯ টা থেকে নেতা-কর্মীদের নিয়ে অবস্থান কর্মসূচি ও ভ্যানযোগে নেতাকর্মীদের নিয়ে চুয়াডাঙ্গায় বড় বাজার কোর্ট মোড় একাডেমি মোড় রেল স্টেশন এলাকায় সারা দেশের ন্যায় চুয়াডাঙ্গায় বিএনপি জামায়াতয়ের ডাকা অবরোধ কর্মসূচি বানচান করার জন্য এবং সাধারণ মানুষ ভয় না পেয়ে যাতে স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারে এই জন্য উৎসাহিত করেন এবং জেলার বিভিন্ন স্থানে শো ডাউন করেন জেলা যুব মহিলা লীগের নেতৃবৃন্দের।

অবস্থান নেওয়া চুয়াডাঙ্গা জেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি ও চুয়াডাঙ্গা ১ আসনের নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী আফরোজা পারভিন বলেন, বিএনপি-জামায়াত হরতাল, অবরোধ ও সমাবেশের নামে যাতে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে জনগণের জানমালের ক্ষয়ক্ষতি সাধন, রাষ্ট্রীয় সম্পদ বিনষ্ট এবং ধ্বংসাত্মক অপতৎপরতা নামে নির্বাচন বানচাল করা সহ তারা দেশকে একটি অস্থিতিশীল অবস্থায় নিয়ে যেতে চায়। আমরা তাদের এই সহিংসতার বিরুদ্ধে, জনগণের জানমাল রক্ষায় শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি পালন করছি। কোনো ধরনের সন্ত্রাস সৃষ্টি করতে না পারে সেজন্য জনগণকে সঙ্গে নিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পাশাপাশি চুয়াডাঙ্গা জেলা যুব মহিলা লীগ ও সর্বস্তরের নেতাকর্মী সমর্থকদের সর্বাত্মক সতর্ক অবস্থানে থেকে প্রতিরোধ গড়ে তোলার জন্য আহ্বান জানান তিনি। শো ডাউন শেষে চুয়াডাঙ্গা জেলা যুব মহিলা লীগের কার্যালয়ের সামনে নেতাকর্মীদের নিয়ে শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশি ও চুয়াডাঙ্গা জেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি আফরোজা পারভীন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, চুয়াডাঙ্গা জেলা যুব মহিলা লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আলিজা খাতুন ,সদর উপজেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি-কাজলী আক্তার, সাংগঠনিক সম্পাদক সপ্না খাতুন চিনি, দামুড়হুদা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শাহেদা খাতুন, আলমডাঙ্গা উপজেলার যুব মহিলা লীগের সভাপতি মনিরা খাতুন,সাধারণ সম্পাদক জাহানারা খাতুন, পূর্ণিমা হালদার, চুয়াডাঙ্গা পৌর ৯নং ওয়ার্ড সভাপতি-আরজিনা খাতুন, সাধারণ সম্পাদক বেবি, সাংগাঠনিক সম্পাদক মিতা রানী, ৬ নং ওয়ার্ড সভাপতি রুপালি, সাধারণ সম্পাদক ফাহিমা, ২নং ওয়ার্ড কমিটির অর্থ সম্পাদক শিউলি খাতুন, মিমি খাতুন, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতৃবৃন্দ রাতুল, সাকিব শেখ , মাহফুজ, আকাশ, কুতুব, রিপন, শাওন, সিফাত, জিরান, সেজান ও আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ সহ চুয়াডাঙ্গা জেলা ও আলমডাঙ্গা উপজেলা যুব মহিলা লীগের নেতৃবৃন্দ।




চুয়াডাঙ্গা জেলা উন্নয়ন ও সমন্বয় কমিটির সভা অনুষ্ঠিত

চুয়াডাঙ্গা জেলা উন্নয়ন ও সমন্বয় কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রবিবার সকাল দশটার সময় চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে সম্মেলনে কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমার সভাপতিত্বে জেলা উন্নয়ন ও সমন্বয় কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এ সভায় জেলা উন্নয়ন ও সমন্বয় কমিটির সভায় স্ব স্ব সরকারি দপ্তর তাদের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ডের বিবরণ তুলে ধরেন এবং নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কার্যক্রম সম্পন্ন করার কথা বলা হয়। এছাড়াও জনদুর্ভোগ লাঘবে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়।

আলোচনা সভা শেষে চুয়াডাঙ্গা জেলার নবাগত পুলিশ সুপার আর এম ফয়জুর রহমান, পিপিএম-সেবা কে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা চুয়াডাঙ্গার নবনিযুক্ত পুলিশ সুপার কে আনুষ্ঠানিকভাবে ফুলেল শুভেচ্ছা প্রদান করেন।

উক্ত সভায় আরোও উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন সাজ্জাদ হোসেন, (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতির প্রাপ্ত), অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(প্রশাসন ও অর্থ) মোঃ রিয়াজুল ইসলাম, চুয়াডাঙ্গা জেলা শিক্ষা অফিসার আতাউর রহমান, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার শামীম ভূইয়া সহ চুয়াডাঙ্গা আলমডাঙ্গা ও জীবননগর উপজেলার নির্বাহী অফিসার সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে আগর কর্মকর্তা বৃন্দ।




চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ্ আল-মামুনের বদলীজনিত বিদায় সংবর্ধনা

চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের আয়োজনে সদ্য বদলি পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ্ আল-মামুনের বিদায় উপলক্ষে পুলিশ লাইনে সকাল সাড়ে এগারোটার সময় বিদায় সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়।

আব্দুল্লাহ্ আল-মামুন চুয়াডাঙ্গা গত বছরের আগষ্ট মাসে চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। তিনি চুয়াডাঙ্গা জেলায় যোগদান করে আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রনসহ আপামর জনসাধারণের নিরবিচ্ছিন্ন সেবাদান করেছেন। সম্প্রতি চুয়াডাঙ্গা জেলা হতে পুলিশ সুপার, নৌ পুলিশ, ঢাকায় বদলীর আদেশপ্রাপ্ত হন। বদলীজনিত বিদায় উপলক্ষে বিদায়ী অতিথি চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।

বদলীজনিত বিদায়ে সহকর্মীদের শ্রদ্ধা, প্রশংসা ও ভালবাসায় সিক্ত হন বিদায়ী পুলিশ সুপার। জেলা পুলিশের সকল পর্যায়ের পুলিশ সদস্যদের বক্তব্য, কর্মময় জীবনে বিদায়ী অতিথি একজন মানবিক, মেধাবী, সৎ, চৌকস, পরিশ্রমী, দক্ষ ও মানবিক পুলিশ সুপার হিসাবে আলোচিত হন। তিনি চুয়াডাঙ্গা জেলায় যোগদানের পর থেকে জেলা পুলিশ, চুয়াডাঙ্গায় আমূল পরিবর্তন সাধিত হয়। তাঁর সৃষ্টিশীল কাজের মধ্যে পুলিশ লাইন্সে পরিত্যাক্ত রুমে নির্মিত ‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ পুলিশ স্মার্ট গ্যালারি’ অন্যতম। ‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ পুলিশ স্মার্ট গ্যালারি’ নির্মাণের ফলে স্কুল, মাদ্রাসা ও কলেজ পড়ুয়া কোমলমতি ছাত্রছাত্রীরা বাংলাদেশের প্রকৃত ইতিহাস সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করতে পারছে।

চুয়াডাঙ্গার নবাগত পুলিশ সুপার আর এম ফয়জুর রহমান,পিপিএম-সেবা সদ্য বিদায়ী পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ্ আল-মামুন ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি চুয়াডাঙ্গার সম্মানিত সকল নাগরিকসহ জেলা পুলিশ, চুয়াডাঙ্গার প্রতিটি সদস্যকে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে সকলের আন্তরিক সহযোগী প্রত্যাশা করেন। উক্ত বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে চুয়াডাঙ্গার নবাগত পুলিশ সুপার আর এম ফয়জুর রহমান,পিপিএম- সেবা সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানটির সঞ্চালনা করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(সদর সার্কেল) আনিসুজ্জামান।

এছাড়া আরোও উপস্থিত ছিলেন (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মোঃ রিয়াজুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্)মোঃ নাজিম উদ্দীন আল আজাদ, সহকারি পুলিশ সুপার (দামুড়হুদা সার্কেল) জাকিয়া সুলতানা, সকল অফিসার ইনচার্জগণ, ডিআইও-১, আরআই, টিআই সহ জেলা পুলিশের সকল পদমর্যাদার অফিসার-ফোর্সগণ।




কুষ্টিয়া জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভা

কুমারখালী উপজেলা সমাজসেবা অফিসের ভবন নির্মাণ কাজের অনিয়মসহ নানান অনিয়মের বিরুদ্ধে কুষ্টিয়া জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপপরিচালক আব্দুল কাদেরের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসকের কাছে অভিযোগ তুলেছে।

আজ রবিবার সকালে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে কুষ্টিয়া জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভায় অভিযোগটি উত্থাপন করা হয়।

জেলা প্রশাসক মো. এহেতেশাম রেজার সভাপতিত্বে এতে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শারমিন আখতার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তারেক জুবায়ের, কুষ্টিয়া প্রেস ক্লাবের সভাপতি রাশেদুল ইসলাম বিপ্লব, কুষ্টিয়া টেলিভিশন জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি জাহিদুজ্জামান এবং সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের প্রধানসহ কমিটির সদস্যরা অংশ নেন।

জানা যায়, ২০২২ সালের ২৪শে অক্টোবর কুষ্টিয়া জেলা সমাজসেবা অফিসের উপ-পরিচালক হিসেবে যোগদান করেন আব্দুল কাদের। যোগদানের পর থেকেই নিজের ক্ষমতার অপব্যবহার করে শুরু করেন অনিয়ম ও দূর্নীতির মহাৎসব। ২০২২-২৩ অর্থ বছরে কুষ্টিয়া কুমারখালী সমাজসেবা অফিসের সংস্কার কাজের বরাদ্ধের ৫ লক্ষ টাকা নামমাত্র কাজ করেই ঠিকাদারের সাথে যোগসাজস্যে তা তুলে নেওয়া হয়। সে কাজের মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেও এখনো শেষ হয়নি কাজ। এছাড়াও একই অর্থ বছরে কুষ্টিয়া সরকারি শিশু পরিবারের দুটি ভবনের সংস্কার কাজের ১৫ লক্ষ টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে কাজ শেষ না করেই। এভাবেই জেলা সমাজসেবা অফিসের অধিকাংশ কাজেই হয়েছে। এছাড়াও এতিমখানা পরিদর্শনে ১০ হাজার টাকা উৎকোচ নেওয়াসহ বিভিন্ন সংস্থার রেজিস্ট্রেশন করিয়ে দিতেও ১০ থেকে ২০ হাজার টাকা করে নিয়ে থাকেন। যা নিয়ে অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারিদের মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে ক্ষোভ।

এসব নিয়ে কুমারখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বিতান কুমার মন্ডল সমন্বয় কমিটির সভায় উত্থাপন করে তিনি বলেন, ২০২২-২৩ অর্থ বছরে কুমারখালী উপজেলা সমাজসেবা অফিসের সংস্কার কাজের বরাদ্ধের ৫ লক্ষ টাকা নামমাত্র কাজ করেই ঠিকাদারের সাথে যোগসাজসে তা তুলে নেন উপপরিচালক।

এসময় জেলা প্রশাসক মো. এহেতেশাম রেজার কাছে কোন সদুত্তর দিতে পারেনি জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপপরিচালক আব্দুল কাদের।

জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভায় নির্বাচন সামনে রেখে সরকারি দপ্তরে রাতের নিরাপত্তা জোরদার করার নির্দেশনা দেওয়াসহ সাংবাদিক রুবেল হত্যা মামলা, পাসপোর্ট অফিসে এসে বাইরের লোক কাজ করে দেয়ার জন্য চাপ দেয়া এবং মুজিবনগর সেচ প্রকল্পের বিভিন্ন গ্রুপের টেন্ডার অনিয়মতান্ত্রিকভাবে ভাগাভাগি করার অভিযোগ তোলা হয়।

এদিকে, সমাজসেবা অধিদপ্তরের সমন্বয় পরিষদ কুষ্টিয়ার সভাপতি গোলাম মোস্তফা বলেন, সমাজের বিত্তবানদের অনুদানে আমাদের এই প্রতিষ্ঠান চলে। আমাদের কাছে প্রতমাসে মোটা অংকের টাকা দাবী করেছে উপপরিচালক। এবং ২৭ হাজার টাকার চেক মারফত জোর করে চাঁদা হিসেবে নিয়েছেন। এটা অবশ্যই চাঁদাবাজি। এভাবে প্রতিমাসে চাঁদার টাকা দিতে হবে বলেও জানান তিনি। বর্তমান উপপরিচালক আমার কাছে অনৈতিকভাবে টাকা চাওয়া মানেই তো চাঁদাবাজী বলেও উল্লেখ করেন তিনি।




ভারতকে কাঁদিয়ে ষষ্ঠবারের মতো চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া

একটা কথা প্রচলন আছে। ফাইনাল খেলতে হয় না, ফাইনাল জিততে হয়। আর সেই কথাই প্রমাণ করলো অস্ট্রেলিয়া। জোড়া হার দিয়ে এবারের আসর শুরু করা দলটাই একমাত্র অপরাজিত থাকা দল স্বাগতিক ভারতকে ৬ উইকেটে হারিয়ে ষষ্ঠ শিরোপা জিতলো নিজেদের করে নিয়েছে অজিরা।

ঘরের মাঠে প্রায় ১ লাখ ৩০ হাজার দর্শককে কাঁদিয়ে শিরোপা উদযাপনে মাতলো প্যাট কামিন্সের দল। ফাইনালের আগে সংবাদ সম্মেলনে কামিন্স বলেছিলেন, ভারতীয় লাখো দর্শককে চুপ করে দেওয়ায় আমাদের লক্ষ্য। সেটাই করে দেখালেন কামিন্সরা।

রোববার (১৯ নভেম্বর) আহমেদবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে টস জিতে ভারতকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় অস্ট্রেলিয়া। প্রথমে ব্যাট করে ওভারে ২৪০ রানে অলআউট হয় ভারত। দলের পক্ষে বিরাট কোহলি ৬৩ বলে ৫৪ ও লোকেশ রাহুল ১০৭ বলে ৬৬ রান করেন।

২৪১ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া। দলীয় ১৬ রানে ৩ বলে ৭ রান করে আউট হন ডেভিড ওয়ার্নার।

এরপর ক্রিজে আসা মিচেল মার্শকে সঙ্গে নিয়ে শুরুর ধাক্কা সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন ট্রেভিস হেড। তবে দলীয় ৪৭ রানের মধ্যে আরও দুই উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে অস্ট্রেলিয়া।

মার্শ ১৫ বলে ১৫ ও স্টিভেন স্মিথ ৯ বলে ৪ রান করে সাজঘরে ফিরে যান। এরপর ক্রিজে আসা মার্নাস লেবুশানেকে সঙ্গে নিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেন হেড।

দেখেশুনে ব্যাট করতে থাকেন এই দুই ব্যাটার। সাবলীল ব্যাটিংয়ে ফিফটি ফিফটি পূরণ করেন হেড। ফিফটির পর আগ্রাসী ব্যাটিং করতে থাকেন তিনি। অন্যদিকে কিছুটা ধীরগতির ব্যাটিং করতে থাকেন লেবুশানে।

মারমুখি ব্যাটিংয়ে ৯৫ বলে সেঞ্চুরি করেন হেড। এরপর ফিফটি পূরণ করেন লেবুশানে। ভারতীয় বোলারদের আর কোনো সুযোগ না দিয়ে দলকে জয়ের পথ রাখেন এই দুই ব্যাটার।

তবে জয় থেকে ২ রান দূরে থাকতে ১২০ বলে ১৩৭ রান করে আউট হন হেড। এরপর ক্রিজে আসা গ্লেন ম্যাক্সওয়েলকে সঙ্গে নিয়ে ৪২ বলে হাতে রেখে ৬ উইকেটের বড় ব্যবধানে জয় পায় অস্ট্রেলিয়া। সেইসঙ্গে ষষ্ঠ বিশ্বকাপ শিরোপা জয়ের আনন্দে মাতে অজিরা।

সূত্র: ইত্তেফাক