ম্যাচের আগে টিকিট গায়েব, গ্রেফতার ২১

চলতি বিশ্বকাপের দ্বিতীয় হাই ভোল্টেজ ম্যাচে আজ মাঠে নামছে স্বাগতিক ভারত এবং দক্ষিণ আফ্রিকা। বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে অবস্থান করছে স্বাগতিক ভারত এবং অপর দিকে পয়েন্ট টেবিলের ২ নম্বরে অবস্থান করছে দক্ষিণ আফ্রিকা। এই দুই শক্তিশালী দলের লড়াই মাঠে গিয়ে দেখতে মুখিয়ে আছে দর্শকরা।

তবে কালোবাজারির কাঙ্ক্ষিত টিকিট পাচ্ছেন না দর্শকরা। আর টিকিট পেলেও তা বিক্রি হচ্ছে ১০ গুণ চড়া দামে। এমন পরিস্থিতিতে ম্যাচের আগে টিকিট না পেয়ে স্টেডিয়ামের সামনে বিক্ষোভ করছে টিকিটপ্রত্যাশী দর্শকরা। সাধারণ দর্শকরা বলেন, ‘অনলাইনে টিকিট পাওয়া যাচ্ছে না, স্টেডিয়ামের বাইরে টিকিট পাওয়া যাচ্ছে এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভিন্নভাবে টিকিট পাওয়া যাচ্ছে। সেসব টিকিটের দাম নির্ধারিত টিকিটের দামের চেয়ে তিন-চার গুণ বেশি।’

এখন পর্যন্ত সিএবির সদস্যদের অধিকাংশই টিকিট পাননি। ক্ষুব্ধ ক্রিকেটপ্রেমীদের একাংশ সিএবি এবং অনলাইনে টিকিট বিক্রি করার সংস্থার বিরুদ্ধে কালোবাজারির অভিযোগ এনে এফআইআর দায়ের করেছেন। তারই ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে কলকাতা পুলিশ। টিকিটের কালোবাজারির অভিযোগে এখন পর্যন্ত ২১ জন গ্রেফতার করছে ভারতীয় পুলিশ এবং সেইসঙ্গে বাজেয়াপ্ত হয়েছে ১২৭টি টিকিট।

অভিযোগ ওঠেছে অনলাইনে যে সংস্থা বিশ্বকাপের ম্যাচগুলোর টিকিট বিক্রি করছে তাদের পাশাপাশি, সিএবি এবং বিসিসিআই কর্তারা টিকিট সরিয়ে দিয়েছেন। সেই টিকিট কালোবাজারে চলে গিয়েছে। কলকাতা পুলিশের এই দুই থানায় শুক্রবার রাত পর্যন্ত মোট সাতটি এফআইআর হয়েছে সিএবি এবং অনলাইনে টিকিট বিক্রি করা ঐ সংস্থার বিরুদ্ধে।

টিকিট প্রসঙ্গে সিএবির সভাপতি বলেছিলেন, ‘বিশ্বকাপ আইসিসির ইভেন্ট। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) একটি সংস্থাকে অনলাইনে টিকিট বিক্রি করার দায়িত্ব দিয়েছে। সিএবি শুধু ম্যাচের আয়োজক। আমরাও টিকিট পেয়েছি অনলাইনে টিকিট বিক্রি করা ঐ সংস্থার মাধ্যমে। চাহিদার তুলনায় অনেক কম টিকিট পেয়েছি আমরা। ফলে ক্লাব, অনুমোদিত সংস্থা, সদস্যদের নির্ধারিত কোটা কমাতে হয়েছে।’ এর আগে কালোবাজারি ইস্যুতে কলকাতার পুলিশ কমিশনার বলেছিলেন, ‘টিকিটের কালোবাজারি অভিযোগ নিয়ে আমরা তদন্ত করছি। আমরা সিএবি এবং অনলাইন সংস্থাকে নোটিশ পাঠিয়েছিলাম। আমরা তাদের কাছ থেকে বেশ কিছু তথ্য পেয়েছি। কিন্তু, আরো তথ্য সংগ্রহের প্রয়োজন রয়েছে।’




গুগলের নতুন ডোমেইন আইএনজি

গুগল রেজিস্ট্রি একটি নতুন ধরনের ডোমেইন এনেছে। নতুন এই ডোমেইনটির নাম ডটআইএনজি (.ing)। গুগল এই সেবা চালু করলে এই নতুন এক্সটেনশন ব্যবহার করলে ওয়েবসাইটের পূর্ণাঙ্গ শব্দ তৈরি করা যাবে। অর্থাৎ আরও আকর্ষণীয় হয়ে উঠছে গুগলের ডোমেইন।

নতুন এই ডোমেইনের কারণে এখন থেকে দেখা যাবে যেসব শব্দের শেষে আইএনজি যুক্ত আছে সেসব শব্দের বাকি অংশ দিয়ে ওয়েব অ্যাড্রেস তৈরি করা হচ্ছে। এই এক্সটেনশনের ডোমেইন কিনতে গেলে গুনতে হবে অতিরিক্ত কিছু অর্থ। গুগলের প্রতিনিধি ক্রিস্টিনা ইয়ে জানান, এজন্য এককালীন কিছু বাড়তি টাকা গুনতে হবে। ডিসেম্বরের ৫ তারিখ আসা পর্যন্ত এই বাড়তি খরচ কমতে শুরু করবে। ৫ ডিসেম্বর বিকাল ৪টায় ডোমেইনটি আনুষ্ঠানিকভাবে সবার জন্য উন্মুক্ত করা হবে।

কম মূল্যের ডোমেইন যদিও রয়েছে তবে নতুন ডোমেইনের কিছু কিছু নাম অনেক দামি। গুগল পাশাপাশি আরও একটি ডোমেইন নিয়েও কাজ করছে ডটমিমি (.meme) নামে। গুগলের একটি রেজিস্ট্রি পোস্টের সূত্রে জানা যায়, এটি একটি টপ লেভেলের ডোমেইন। ২৮ নভেম্বর এটি সীমিত আকারে চালু হতে পারে। ডিসেম্বরে ৫ তারিখ থেকে এটি সবার জন্য উন্মুক্ত হবে।

সূত্র: দ্য ভার্জ




ভোরের আলো ফোটার আগেই গাংনীর সড়কে বিএনপি’র মিছিল

দেশব্যাপী বিএনপি’র ডাকা দ্বিতীয় ধাপের অবরোধের প্রথম দিনে জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি জাবেদ মাসুদ মিলটন ও জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জুলফিকার আলী ভুট্টোর নেতৃত্বে ভোরের আলো ফোটার আগেই গাংনীর সড়কে নেমে পৃথক বিক্ষোভ মিছিল বের করে বিএনপি’র নেতাকর্মীরা।

আজ রবিবার ৫ নভেম্বর ভোরে জাবেদ মাসুদ মিলটনের নেতৃত্বে গাংনী-বোয়ালিয়া সড়কে এবং জুলফিকার আলী ভুট্টোর নেতৃত্বে মেহেরপুর কুষ্টিয়া সড়কের পোড়া পাড়া নামক স্থানে অবরোধের সমর্থনে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়।

এসময় জাবেদ মাসুদ মিলটন এর সাথে ছিলেন রায়পুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ উদ্দিন কালু, বিএনপি নেতা নাসির, স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা শহিদুল ইসলাম প্রমুখ।

জুলফিকার আলী ভুট্টোর নেতৃত্বে মিছিল

আর জেলা বিএনপি সাংগঠনিক সম্পাদক জুলফিকার আলী ভুট্টোর নেতৃত্বে অবরোধের সমর্থনে মিছিলে অংশ নেওয়া
৩০ নেতাকর্মীর মধ্যে ছিলেন গাংনী উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও ধানখোলা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আখেরুজ্জামান, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক কাউসার, ধানখোলা ইউপির সাবেক মেম্বর ও পৌর যুবদলের সভাপতি সাইদুর এবং পৌর যুবদলের সেক্রেটারি এনামুল সহ আরও অনেকে।




রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও সাংবাদিক সৈকত রুশদীর জন্মদিন আজ

মেহেরপুরের কৃতি সন্তান কানাডা প্রবাসী, রাজনৈতিক বিশ্লেষক, সাংবাদিক,  বেতার ও টেলিভিশন ভাষ্যকার লেখক ও কবি সৈকত রুশদীর ৬৫তম জন্মদিন আজ।
বাংলাদেশে কানাডা, অস্ট্রেলিয়া ও ব্রিটেনের দূতাবাসে তিনি রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও জনবিষয়ক কর্মকর্তা হিসেবেও ১৯৯২ সাল থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত কাজ করেছেন।  বর্তমানে তিনি কানাডায় সিশন নামের একটি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম পর্যবেক্ষণ প্রতিষ্ঠানে মূল্যায়ন সম্পাদক ও গণমাধ্যম বিশ্লেষক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।
তিনি ঢাকায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের নির্বাচিত যুগ্ম সম্পাদক (১৯৯১-১৯৯২) ছিলেন। বিবিসি ছাড়াও বাংলাদেশ বেতার, বাংলাদেশ টেলিভিশন, ভয়েস অব আমেরিকা, চ্যানেল আই, এটিএন কানাডা ও এক্সএম স্যাটেলাইট রেডিওসহ অসংখ্য গণমাধ্যমে সাংবাদিক ও সম্প্রচারক হিসেবে কাজ রেখেছেন। তিনি ১৯৮৩ থেকে ১৯৮৬ পর্যন্ত বিবিসি ওয়ার্ল্ড সার্ভিসের লন্ডনস্থ সদর দফতরে সম্প্রচারক হিসেবে কাজ করেছেন।
সৈকত রুশদি ১৯৫৯ সালের ৫ নভেম্বর মেহেরপুরে জন্মগ্রহণ করেন। মেহেরপুরে প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করেন। পরে ঢাকার ইন্টারমিডিয়েট টেকনিক্যাল কলেজ থেকে ১৯৭৪ সালে এসএসসি এবং আদমজী ক্যান্টনমেন্ট কলেজ থেকে ১৯৭৬ সালে এইচএসসি পাশ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগ থেকে ১৯৮০ সালে সমাজবিজ্ঞানে সম্মানসহ স্নাতক , ১৯৮১ সালে সমাজবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন ।
সাংবাদিক হিসেবে তাঁর পেশাগত জীবন শুরু হয় ১৯৭৮ সালে সাপ্তাহিক বিচিত্রায় প্রদায়ক হিসেবে। ১৯৯২ সাল পর্যন্ত তিনি তিনটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকা (দৈনিক দেশ, দৈনিক খবর ও দ্য বাংলাদেশ টাইমস) এবং তিনটি সাপ্তাহিকীতে (বিচিত্রা, মতামত ও কলকাতা থেকে প্রকাশিত দেশ) কাজ করেন।
তাঁর প্রকাশনার মধ্যে রয়েছে: অমর একুশে, বায়ান্নোর ভাষা আন্দোলনের উপরে সংকলন (লন্ডন, ১৯৮৪, সম্পাদক); হল্ট গ্রিনহাউজ, পরিবেশ বিষয়ক সংকলন (ঢাকা, ১৯৯১, সম্পাদক, বিকাশ চৌধুরী বড়ুয়া সহ); ও ;অচিন পাখি, উপন্যাস (ঢাকা, ২০০২ ও ২০২০)। কাঠের কাজ: শহীদ মিনার, বাংলাদেশ সেন্টার (লন্ডন, ১৯৮৪)।
স্ত্রী গণমাধ্যম বিশ্লেষক ও কবি শিউলী জাহান রুশদী হক এবং একমাত্র সন্তান টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক উপল রুশদী হকসহ তিনি কানাডায় বসবাস করেন।



দর্শনা কেরুজ চিনিকল ও কৃষি খামার আখ রোপনের উদ্ধোধন

দর্শনা কেরুজ চিনিকল পরিদর্শন ও কৃষি খামারে পীট পদ্ধতি আখ রোপন,আখচাষীদের সাথে মতবিনিময় ও রোপন মৌসুমের শুভ উদ্ধোধন করেন।

গতকাল শনিবার দুপুরে বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্যশিল্প কর্পোরেশনের নবাগত চেয়ারম্যান (গ্রেড-১) কেরুর কৃষি খামার পরিদর্শন করেছেন। চিনিকল সুত্রে জানাযায় বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্যশিল্প কর্পোরেশনের নবাগত চেয়ারম্যান শেখ সোয়েবুল আলম এন ডিসি সপ্তাহ তিনেক আগে এ দায়িত্বে নিয়োজিত হন। অন্য মিলে যাওয়ার আগেই তিনি গতকাল শনিবার সকালে কেরু চিনিকল কারখানা ও ডিষ্টিলারী ঘুরে ঘুরে দেখেন এবং বিভিন্ন বিষয়ে খোজ খবর নেন। কেরু মিল পরিদর্শন শেষে দুপুরে কেরুর কৃষি খামার পরিদর্শন করেন। প্রথমেই তিনি ঈশ্বরচন্দ্রপর গ্রামের আখ চাষী আব্দুল হান্নানের জমিতে আখ রোপন করেন।

পরে জীবননগর উপজেলার উথলী ইউনিয়ের মিলস গেট উথলীর ৫নং ইউনিটের সিডিএ সাকী মাহমুদের তত্ত্বাবধানে আফজালুল হক ধীরু,শামীম হোসেন,শওকত,কাওসার, রাশিদুল, আমির,ছমির ও আখ চাষী হাবিবুরের জমিতে ১৮ একর আখ রোপন মৌসুমের উদ্ধোধন করেন। আখ রোপন শেষে দোয়া মাহফিল অনুষ্টিত হয়।
আখ রোপন শেষে কেরুর ডিহিকৃষ্ণপুর কৃষি খামারে সুগার প্লান্টে আখ রোপন,পিট পদ্ধতিতে আখ রোপন দেখেন ও মিলজোন এলাকার দুজন চাষীর জমিতে আখ রোপনের উদ্বোধন করেন। তার আগে উথলি একজন আখচাষীর জমিতে আখ রোপন করেন ও স্হানীয় চাষীদের সাথে এক মত বিনিময় সভা করেন।

কেরুর এম ডি মোহাম্মদ মোশারফ হোসেনের সভাপতিত্বে প্রধান অথিতির বক্তব্যে কর্পোরেশন চেয়ারম্যান শেখ শোয়েবুল আলম এনডিসি চাষীদের উদ্দেশ্যে বলেন সরকার অখের দাম এ মৌসুমে প্রতিমন ২২০ টাকা বাড়িয়েছে, আগামী মৌসুমে পাবেন প্রতিমনে ২৪০ টাকা। তার পরেও সরকার আপনাদের পাশে আছে,,যখন যা প্রয়োজন তা অবশ্যই করা হবে,,চাষী সংক্রান্ত সব সুযোগ করে দেয়া হবে,,তিনি বলেন আখচাষ বাড়ান,সাথে ফলনটাও বাড়ান, প্রয়োজনে সাথী ফসল করে অধিক মুনাফা অর্জন করুন। চাষীদের সাথে মত বিনিময শেষে কেরুর ডিহি কৃষি খামারে আসেন। খামারের আখ রোপন দেখেন ও অফিসে কিছু সময় কাটান।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, কর্পোরেশনের সচীব চৌধুরী রুহুল আমিন কায়সার,দর্শনা কেরু এ্যান্ড কোম্পানীর সুযোগ্যা ব্যাবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মম মোশারফ হোসেন, জি এম (কৃষি) আশরাফুল আলম ভুঁইয়া, মহাব্যাবস্থাপক ডিস্টিলারি রাজিবুল হাসান, কেরুজ প্রশাসন বিভাগের এডিএম ইউসুফ আলী, ডি জি এম (খামার) সুমন কুমার, ডিজিএম মাহাবুব হাসান,ডিহিকৃষ্ণপুর খামার ইনচার্জ ইমদাদুল হক, দর্শনা কেরুজ শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি ফিরোজ আহম্মেদ সবুজ,সাধারন সম্পাদক মাসুদুর রহমান মাসুদ, যুগ্ন সম্পাদক মোস্তফিজুর রহমান, বিকাল চারটায় তিনি ঢাকার উদ্দেশ্যে দর্শনা কেরু চিনিকল ত্যাগ করেন।




চুয়াডাঙ্গায় ৫২ তম জাতীয় সমবায় দিবস পালন

সমবায়ে গড়ছি দেশ, স্মার্ট হবে বাংলাদেশ, এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে চুয়াডাঙ্গায় ৫২ তম জাতীয় সমবায় দিবস-২০২৩ পালন করা হয়েছে।

গতকাল শনিবার বেলা ১২ টায় চুয়াডাঙ্গা সমবায় ব্যাংক চত্বরে এই দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও চেক বিতরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক ড.কিসিঞ্জার চাকমা। সভাটি আয়োজন করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসন ও সমবায় বিভাগ।

সমবায় দিবস উপলক্ষে এক বর্ণাঢ্য র‌্যালি করা হয়। এরপর শুরু হয় সমবায় দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা। এসময় সভার শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন চুয়াডাঙ্গা জেলা সমবায় অফিসার কাজি বাবুল হোসেন। এরপর সমবায় দিবস উপলক্ষে উপস্থিতিদের সাথে এক আলোচনা করা হয়। আলোচনায় সমবায়ের কার্যক্রম ও সমবায় অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা করা হয়।

এসময় সভায় উপস্থিত বক্তারা বলেন, প্রধানমন্ত্রীর হাত শক্তিশালি করলে সমবায় আরও শক্তিশালি হবে। বর্তমান মানুষের আস্থা এখন সমবায়। যেখানে গচ্ছিত করে টাকা রেখে স্বাবলম্বী হওয়া যায়। আজকের সমবায় আগামী দিনের ভবিষ্যৎত। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে সমবায়ের বিকল্প নেই। সমবায় গণমানুষের অর্থনেতিক দিক উন্নয়ন করছে। সমবায় এগিয়ে নিতে হলে সবাইকে পাশে থাকতে হবে। সবাই একজট হয়ে সমবায় কে এগিয়ে নিয়ে যায়। সমবায় একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক। সমবায় মানুষের গুরুত্বপুর্ণ ভুমিকা রাখে। বিশেষ করে প্রান্তিক মানুষের একটি অংশ সমবায় ব্যাংক। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়ন হচ্ছে সমবায়ের জন্য।

সভার শেষ পর্বে সফল সমবায় সমিতির কয়েকজনের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয় ও আশ্রয়ণ প্রক্লপের বাসিন্দার মধ্যে কয়েকজনের মাঝে সমবায়ের উদ্দ্যোগে চেক বিতরণ করা হয়।

সভায় উপস্থিত ছিলেন, চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা শামিম ভুইয়া, চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মাহাফুজুর রহমান মনজু, চুয়াডাঙ্গা সংরক্ষিত মহিলা আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শিরিন নাইম পুনম, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান, সংরক্ষিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শাহাজাদী মিলি, প্রমুখ।




আলমডাঙ্গায় ড্রাইভিং লাইসেন্স ও রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম অফিসের উদ্বোধন

ইলেক্টিক্যাল ব্যাটারি এবং মোটর চালিত অটো রিকসা ও অটো বাইক চালকদের ড্রাইভিং ট্রেনিং ও তাদের যানের রেজিস্ট্রেশনের লক্ষে আলমডাঙ্গায় এক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ যানের বৈধতা দেবার লক্ষে সংসদে গ্রেজেট পাস হওয়ার পর বাংলাদেশ ইলেকট্রিক ও ব্যাটারি চালিত অটো রিক্সা অটো বাইক সার্ভিস লিমিটেডের আলমডাঙ্গা উপজেলা শাখার আয়োজনে

গতকাল শনিবার সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে আলমডাঙ্গার আল ইকরা ক্যাডেট একাডেমি প্রাঙ্গণে এ সভার আয়োজন ও অফিসের উদ্বোধন করা হয়।

উদ্বোধনী সভায় সভাপতিত্ব করেন আলমডাঙ্গা উপজেলা শাখার ম্যানেজার এম শাহাবুল হক। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ওসি অপারেশন ফরিদ উদ্দিন। প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ইলেকট্রিক এন্ড অটোরিক্সা, মোটর চালিত অটোবাইক ইলেকট্রিক সার্ভিস লিঃ এর মার্কেটিং ডিরেক্টর আখতার আহমেদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আলাল উদ্দিন, আলনা প্রেসক্লাবের সভাপতি খন্দকার শাহ আলম বন্টু, সাধারণ সম্পাদক হামিদুল ইসলাম আজম, সিনিয়র সাংবাদিক প্রশান্ত বিশ্বাস,আলমডাঙ্গা ইজিবাইক মালিক সমিতির সভাপতি মাহাবুবুল ইসলাম,সাধারণ সম্পাদক আমিরুল ইসলাম, আলমডাঙ্গা ইজিবাইক মালিক সমিতির উপদেষ্টা মোহাম্মদ লালটু রহমান।আল ইকরা একাডেমির শিক্ষক শাহিন শাহিদের উপস্থাপনায়, অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মোঃ ওমর শরীফ রাসেল , নাসির উদ্দিন, মোহাম্মদ মির্জা তুষার, আব্দুল আউয়াল, মোঃ মিন্টু, আব্দুল লতিফ, মোহাম্মদ বিপ্লব, মোহাম্মদ মিডল প্রমূখ।

সভায় প্রধান আলোচক আখতার আহম্মেদ বলেন, বাংলাদেশ সরকার এসব যানের বৈধ্যতা দেওয়ার জন্য সংসদে গ্রেজেট প্রকাশ করেছে। আপনাদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ চালক তৈরী এবং অবৈধ যানকে বৈধতা দেবার জন্য বিআরটিএর মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন ও রোড পারমিটের ব্যবস্থা করা হবে। এতে আপনারা যেমন উপকৃত হবেন। সরকারও রাজস্ব পাবে।

তাই যারা এসব যান চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন, তারা সবাই প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে রেজিস্ট্রেশন নিয়ে গর্বিত চালক হিসেবে কাজ করতে এগিয়ে আসবেন।




দর্শনা থানার আয়োজনে কমিউনিটি পুলিশিং ডে পালিত

পুলিশ-জনতা ঐক্য করি, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলি, এই স্লোগানকে সামনে রেখে দর্শনা থানা ও কমিউনিটি পুলিশিং সমন্বয় কমিটির আয়োজনে কমিউনিটি পুলিশিং ডে-২০২৩ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গতকাল সকাল দশটার দিকে দিবসটি উপলক্ষে দর্শনা থানা পুলিশ ও জনগণের মধ্যে সুদূহ্য সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য বর্নাট্য র‌্যালি অনুষ্ঠিত হয়। র‌্যালিটি দর্শনা থানা থেকে বের হয়ে রেলবাজার প্রদক্ষিণ শেষে আবার থানায় ফিরে সমাপ্ত হয়।

অনুষ্ঠিত বর্ণাঢ্য র‌্যালিতে উপস্থিত ছিলেন, দর্শনা থানা অফিসার ইনচার্জ বিপ্লব কুমার সাহা,ইন্সপেক্টর (তদন্ত) নীরব হোসেন, ইন্সপেক্টর (অপারেশন) শফিউল আলম সহ থানায় কর্মরত অন্যান্য অফিসার ও ফোর্স এবং কমিউনিটি পুলিশিং সমন্বয় কমিটির সদস্যবৃন্দ।




বিএনপির শীর্ষ নেতাদের সমন্বয়হীনতায় দ্বিধা-দ্বন্দ্বে মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীরা

আন্দোলন নিয়ে দ্বিধা-দ্বন্দ্ব আর শঙ্কায় বিএনপির মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীরা। এক দিকে নেতৃত্বের সংকট, আরেক দিকে সঠিক পরিকল্পনা ও সিদ্ধান্তের অভাবে আন্দোলনে নামার মনোবল হারিয়ে ফেলছেন তারা। নির্বাচনমুখি দল হলেও বিএনপির নির্বাচনের পথ পরিহার করে সহিংসতার পথ বেছে নেওয়ায় দলটির মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীদের মধ্যে চরম হতাশা নেমে এসেছে। দলটির মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে এমনটি জানা গেছে।

সরকারের পতন, নিরপেক্ষ নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর এক দফা দাবিতে টানা প্রায় এক বছর ধরে আন্দোলন করে আসছে বিএনপি। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৮ অক্টোবর রাজধানীর নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে মহাসমাবেশের ডাক দেয় বিএনপি। একই দিনে বিএনপির নেতৃত্বাধীন সরকার বিরোধী জোটের শরিক জামায়াতে ইসলামী ও অন্য দলগুলোও সমাবেশের ডাক দেয়।

কিন্তু সমাবেশ শুরু হওয়ার হঠাৎ করেই দৃশ্যপট পাল্টে যায়। বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা যখন সমাবেশ মঞ্চে বক্তব্য রাখছিলেন তখন সমাবেশের কাকরাইল প্রান্তে দলীয় নেতাকর্মীরা পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। সেই সংঘর্ষ মুহূর্তেই কাকরাইল ছাড়িয়ে ছড়িয়ে পড়ে নয়াপল্টন, শাহাজাহানপুর, আরামবাগ, রাজারবাগসহ আশপাশের এলাকায়। সংঘর্ষের একজন পুলিশ সদস্য ও যুবদলের একজন কর্মী নিহত হওয়ার পাশাপাশি আহত হয়েছেন অনেকে। সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনাও ছিলো ভয়াবহ। এছাড়াও পুলিশ হাসপাতালে হামলা, গাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনা হতবাক করে দেয় অনেককে। তবে সবকিছু ছাপিয়ে ওইদিন কাকরাইল মসজিদের বিপরীতে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা, ভাঙচুরের ঘটনা ছিল আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে।

সমাবেশ করতে এসে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ার ঘটনায় বিএনপি নেতাকর্মীদের একটা বড় অংশই হতবাক হয়েছেন। তাদের ভাবনাতেই ছিলো না এমন ঘটনা ঘটবে। তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা বলছেন, ২৮ অক্টোবরের ঘটনা বিএনপিকে অনেকটা পিছিয়ে দিয়েছে। নেতৃত্বের দুর্বলতার এবং অদূরদর্শীতার কারণেই সেদিন ঘটনা ঘটেছে।

ময়মনসিংহ জেলা বিএনপির একজন নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, আমরা এক বছর ধরে যেভাবে দলটিকে এগিয়ে এনেছিলাম, সরকারের বিরুদ্ধে জনমানুষের একটা আস্থা তৈরি করেছিলাম ২৮ অক্টোবরের ঘটনা আমাদেরকে শেষ করে দিয়েছে।

নেত্রকোনা জেলা যুবদলের এক নেতা বলেন, সুন্দর ও শান্তিপূর্ণ একটা সমাবেশ যেভাবে অতিউৎসাহী নেতাকর্মীদের কারণে সহিংসতায় রূপ নিয়েছে তাতে দলের মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীদের মধ্যে হাতাশা দেখা দিয়েছে।

দলটির মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীরা বলছেন, ২৮ অক্টোবরের ঘটনার পর থেকে তারা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন। যার ফলে এখন দলের কোনো কর্মসূচিতেই মাঠ কর্মীদের পাওয়া মুশকিল হয়ে যাবে। এর প্রমাণও ইতিমধ্যে পাওয়া গেছে। দল হরতাল ও অবরোধের মত কঠোর কর্মসূচি দিলেও দেশের বেশিরভাগ এলাকাতেই নেতাকর্মীদের হরতালের পিকেটিং বা অবরোধ সফল করে তুলতে মাঠে দেখা যায়নি।

বিএনপি নেতাকর্মীরা বলছেন, দলকে চাঙ্গা করতে এখন কৌশলের কোনো বিকল্প নেই। হুটহাট সিদ্ধান্ত নিয়ে এমন কোনো কর্মসূচি না দেওয়ার পক্ষে মত দিচ্ছেন তারা। বিএনপি কর্মীরা বলছেন, দলীয় নেতারা কর্মসূচী ঘোষণা দিয়েই শেষ। এটি কিভাবে, কারা সফল করে তুলবে সে নিয়ে তাদের মধ্যে কোনো পরিকল্পনা নেই। তারা আরও বলছেন, যেহেতু আন্দোলনে সাধারণ মানুষের সম্পৃক্ততা বাড়ানো যাচ্ছে না সেক্ষেত্রে আরও দূরদর্শী চিন্তা করতে হবে। আত্মঘাতী সিদ্ধান্তে নিয়ে দলীয় কর্মীদের গুলির মুখে ঠেলে না দেয়ার কথা বলছেন তারা।

এদিকে বিএনপি একটি দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, আন্তর্জাতিক মহলের ‘আহ্বান ও সমালোচনা থাকা সত্ত্বেও ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে ওই দিন থেকে আজ অবধি সরকারের কঠোর অবস্থান চিন্তায় ফেলে দিয়েছে বিএনপিকে। মহাসমাবেশ পণ্ড হওয়ার প্রতিবাদে ‘হরতাল-অবরোধ’এর মত কঠোর কর্মসূচি দেওয়ার পরও সরকারের ‘আচরণ’ নরম না-হয়ে বরং আরও কঠোর হয়েছে। এটা দলের মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীদের শুধু চিন্তায় ফেলেছে না, মনোবলও ভেঙ্গে দিয়েছে।

ওই সূত্র আরো জানায়, দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলের নীতিনির্ধারক থেকে শুরু করে একেবারে মাঠে কর্মসূচি বাস্তবায়নে নেতৃত্ব দেয়- তৃণমূলের এমন সংগঠকদের একের পর এক গ্রেপ্তার চলছে। ফলে দলে দেখা দিয়েছে নেতৃত্বের সংকট। এমতাবস্থায় অবরোধের মতো কঠোর কর্মসূচি চালিয়ে নেওয়া যাবে কি-না দলের মধ্যে এমন আলোচনা এসেছে।

অবশ্য বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা এ ব্যাপারে বলছেন ভিন্ন কথা। বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব তিন দিনের অবরোধ কর্মসূচীর শেষ দিন গত বৃহস্পতিবার বিকেলে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, তাদের অবরোধ কর্মসূচি সর্বাত্মক সফল হয়েছে। সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণে সন্তুষ প্রকাশ করে তিনি বলেন, এই সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত বিএনপির আন্দোলন চলবে জানিয়ে তিনি ৫ ও ৬ নভেম্বর (রবি ও সোমবার) আরও দুই দিনের অবরোধ কর্মসূচী ঘোষণা করেন। বিজয় না হওয়া পর্যন্ত ‘একদফা’র আন্দোলন চলতেই থাকবে বলে জানিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান বলেন, ‘আর পিছু ফেরার সময় নেই। জুলুম-নির্যাতন, মিথ্যা মামলা-হামলা, গ্রেফতার করে আন্দোলন স্তব্ধ করার কোনো সুযোগ নেই। বিএনপির প্রতিটি কর্মীই নেতার ভূমিকা পালন করে এ আন্দোলনে সফলতা আনবে।’

তিনি বলেন, ‘সরকার পতনের একদফা দাবিতে আমরা শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক আন্দোলনে অটল রয়েছি। যে নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন চলছে তা অব্যাহত থাকবে। দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনকে নস্যাৎ করা যাবে না।’




আলমডাঙ্গায় বর্ণাঢ্য আয়োজনে জাতীয় সমবায় দিবস পালিত

আলমডাঙ্গায় বর্ণাঢ্য আয়োজনে ৫২ তম সমবায় দিবস পালিত হয়েছে। “সমবায়ে গড়ছি দেশ, স্মাট হবে বাংলাদেশ” এ প্রতিপাদ্য বিষয়কে সামনে রেখে উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা সমবায় অধিদপ্তরের আয়োজনে এ দিবসটি পালিত হয়।

এ উপলক্ষে গতকাল শনিবার সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে জাতীয় ও সমবায় পতাকা উত্তোলনের পর উপজেলা চত্বর থেকে জাতীয় সমবায় দিবসের একটি র‌্যালি বের হয়ে উপজেলা পরিষদ হলরুমে আলোচনা সভায় অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্নিগ্ধা দাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আইয়ুব হোসেন।

প্রধান অতিথি বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান চেয়েছিল সমবায়ের মাধ্যমে প্রতিটি কাজ সুসম্পন্ন্ করতে। দশের লাঠি একের বোঝা। তাই কোন কাজ একা না করে সম্মিলিত ভাবে করলে সেটার একটা যথাযথ ফলাফল পাওয়া যায়। কোন কাজকে ছোট করে দেখা যাবে না। সমবায়ের মাধ্যমে শক্তিবৃদ্ধি পায়।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট খন্দকার সালমাল আহমেদ ডন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) রেজওয়ানা নাহিদ, ইন্সটেক্টর জামাল হোসেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইয়াকুব আলী মাস্টার, অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা সাহারুল ইসলাম। আলমডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক খন্দকার হামিদুল ইসলাম আজমের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন সরকারি কলেজের সহকারি অধ্যাপক ডক্টর মাহবুবুবুর রহমান, বিশিষ্ট সমাজকর্মি গোলাম সরোয়ার শামীম, সিরাজুল ইসলাম, উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার মনজুরুল ইসলাম বেলু, হাফেজ মাসুদ কামাল, অর্পিতা পাল, পানি উন্নয়ন সমবায় সমিতির সভাপতি এনামুল হক, শিক্ষক বিপ্লব হোসেন প্রমুখ।