গাংনীর কাজিপুর সীমান্তে ১৪০ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার

গাংনী উপজেলার সীমান্তবর্তী কাজিপুর গ্রামে পাখিভ্যানে করে বিশেষ ব্যবস্থায় ফেনসিডিল পাচারের সময় ১৪০ বোতল ভারতীয় ফেনসিডিল উদ্ধার করেছে বিজিবি।

৪৭ বর্ডারগার্ড বাংলাদেশ বিজিবি’র কাজিপুর বিওপি ক্যাম্পের কমান্ডার সুবেদার মাহবুবের নেতৃত্বে বিজিবির একটি টিম আন্তর্জাতিক সীমান্ত পিলার ১৪৬ এর বাংলাদেশ অভ্যন্তরের ভিতরে অভিযান চালিয়ে ফেনসিডিলগুলো উদ্ধার করা হয়। এসময় ইঞ্জিনচালিত পাখি ভ্যানটিও জব্দ করা হয়েছে।

কাজিপুর বিওপি ক্যাম্পের কমান্ডার সুবেদার মাহবুব জানান, পাখিভ্যানের বসার চরাটের ভিতর বিশেষ কায়দায় ফেনসিডিল পাচার হচ্ছে এমন সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে অভিযান চালানো হয়। বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে মাদক ব্যবসায়ীরা পাখিভ্যানটি ফেলে পালিয়ে যায়। পরে পাখিভ্যানের বসার চরাট কেটে পলিথিন মোড়ানো ব্যাগের মধ্যে থেকে ১৪০ বোতল ভারতীয় ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়।

ফেনসিডিল উদ্ধারের ঘটনায় কাজিপুর মধ্যে পাড়া এলাকার সোনাতন মিয়ার ছেলে শিপন আলী ও মোঃ সুমন আলীকে আসামি করে মাদক আইনে গাংনী থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।




গাংনী থানায় ভুক্তভোগীদের মানবপাচার মামলা

অবশেষে আদম পাচারকারীর দালালদের গোপন ক্যাম্প থেকে ১০৪ যুবককে উদ্ধার করেছে মালেশিয়ান ইমিগ্রেশন পুলিশ। মালেশিয়ার সালাক সালাতন নামের একটি ক্যাম্প থেকে তাদের আটক করেন পুলিশ।

আটক যুবকদের পরিবারের লোকজন ও মালেশিয়ার সালাক সালাতন ক্যাম্পে বন্দী গাংনী উপজেলার সাহেবনগর গ্রামের আনারুল ইসলামের ছেলে আব্দুর রহমান, আব্দুল মজিদের ছেলে আব্দুস সালাম মোবাইল ফোনে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এদিকে সাহেবনগর গ্রামের মোফাজ্জল হোসেন, ব্রজপুর গ্রামের আনারুল ইসলাম, কল্যাণপুর গ্রামের ওবায়দুল্লাহ, আব্দুল মজিদ, রফিকুল ইসলাম, আসাদুল ইসলাম ও আতিয়ার রহমান বাদী হয়ে গাংনী থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। সহ কয়েকজন বাদী হয়ে গাংনী থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।

মুছা ইন্টারন্যাশল নামের আদম ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের মালিক সাহেবনগর গ্রামের মৃত ইছাহাক আলীর ছেলে ইঞ্জিনিয়ার মুসা কলিমকে প্রধান আসামি ও একই গ্রামের আব্দুল হাদি ওরফে সুরজের ছেলে আব্দুল আওয়াল, আব্দুল হাদি, রঞ্জিত মন্ডলের ছেলে আমিরুল ইসলাম, নুর ইসলামের ছেলে হাসানুজ্জামান, নুর মোহাম্মদের ছেলে আরিফুল ইসলামকে মামলার আসামি করা হয়েছে।

২০১২ সালের মানব পাচার আইনের ৬(২)/ ৭/৯/১০ ধারায় মামলাটি দায়ের করা হয়। গাংনী থানার মামলার নং ৩২ তাং ২৮/০২/২৪ ইং।

গাংনী থানার তদন্ত অফিসার মনোজিত কুমার নন্দী মামলার এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, সংঘবদ্ধ মানবপাচারের সদস্য অর্থের বিনিময়ে লোক পাঠিয়ে প্রতারণা ও জবরদস্তি মুলক শ্রমে বাধ্য করার অপরাধে মামলাটি এফআইআরভুক্ত করা হয়েছে।

মামলার একজন বাদি সাহেবনগর গ্রামের গ্রামের আব্দুল মজিদ। তিনি বলেন, আমার ছেলে আব্দুস সালামকে ভাল কাজ দেবে বলে বলে মুসা কলিম ৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা নেন। প্রায় ৪ মাস আগে সে মালেশিয়াতে নিয়ে একটি ক্যাম্পে আটকে রেখেছে। ছেলে আমাকে গত সোমবার বিকালে (বাংলাদেশ সময়) মোবাইল ফোনে জানান, আমাদের সালাক সালাতন ক্যাম্পে পুলিশের অভিযান শুরু হয়েছে। অর্ধ শত যুবকদের উদ্ধার করেছে পুলিশ। আর কথা হবেনা। চিন্তা করবেন না।

সাহেবনগর গ্রামের সাগরিকা খাতুন বলেন, সংসার সুখের জন্য ভিটে মাটি ও ধার দেনা করে ৫ লাখ টাকা দিয়েছিলাম আদম ব্যপারির দাল সাহবনগর গ্রামের সুরজ আলীর হাতে। আমার ছেলে শাহীন আলমকে মালেশিয়া নিয়ে একটি ক্যাম্পে প্রায় সাড়ে ৪ মাস আটকে রেখেছে। সোমবার সেখানকার ইমিগ্রেশন পুলিশ আমার ছেলেসহ প্রায় শতাধিক যুবককে উদ্ধার করেছে। এখন আর তাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারছিনা। তিনি বলেন, হাড়াভাঙ্গা, সাহেবনগর, সহড়াতলা, কাজিপুর এলাকার প্রায় তিন শতাধিক যুবকের পরিবারে শুধু হতাশা আর কান্নার রোল।

এদিকে আদম পাচারকারী সাহেবনগর গ্রামের প্রধান আদম ব্যবসায়ী মুছা ইন্টারন্যাশনালের মালিক ইঞ্জিনয়ার মুসা কলিম, সুরজ আলী, রাজু আহমেদ, তোফাজ্জেল মাষ্টারসহ তাদের লোকজন বাড়িঘর ছেলে পলাতক রয়েছেন।

মালয়েশিয়ায় আটকে থাকা ভুক্তভোগীদের কয়েকজন জানান, স্থানীয় গাংনী উপজেলার সাহেবনগর গ্রামের কেএনএসএইচ বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের লাইব্রেরিয়ান শিক্ষক মাজেদ মাস্টার, কাজীপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক ইউপি সদস্য শরিফুল ইসলাম ওরফে ন্যাড়া, বালিয়াঘাট গ্রামের আনিসুল হক মাস্টারের ছেলে শোভন, সাহেবনগর গ্রামের সুরজ ও তার ভাই আওয়াল এবং ইঞ্জিনিয়ার মুসা কলিমের মাধ্যমে ঢাকায় নাভিরা ও মুসাকলি এন্টারপ্রাইজ এজেন্সির মাধ্যমে টাকা দিয়ে ভালো কাজের আশ্বাসে তারা মালয়েশিয়ায় আসেন।

ক্যাম্পে আটকে থাকা যুবকরা ভিডিও বার্তার মাধ্যমে সাংবাদিকদের বলেন, আমরা ৪/৫ মাস আগে এখানে এসেছি। আমাদেরও এই ক্যাম্পে আটক রাখা হয়েছে। এদের মধ্যে আজকে শতাধিক যুবককে উদ্ধার করে নিয়ে গেছে মালেশিয়ান ইমিগ্রেশন পুলিশ।




মেহেরপুর পৌর মেয়র রিটনের পিতার ইন্তেকাল

মেহেরপুর পৌরসভার মেয়র মাহফুজুর রহমান রিটনের পিতা মোঃ আব্দুল হালিম ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

আজ বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৫ টা ১০ মিনিটের সময় মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু বরণ করেন।

তিনি মেহেরপুর পুরাতন পোস্ট অফিসপাড়ার নিবাসী। তাঁর বড় ছেলে মরহুম মিজানুর রহমান রিপন মেহেরপুর পৌরসভার কাউন্সিলর ছিলেন। তিনি দুই ছেলে ও দুই মেয়ের জনক ছিলেন। আগামীকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার সময় মেহেরপুর হোটেল বাজার জামে মসজিদ প্রাঙ্গনে জানাযা শেষে পৌর কবরস্থানে দাফন করা হবে।

এদিকে, মেহেরপুর পৌর মেয়র মাহফুজুর রহমান রিটনের বাবার মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তার বিদেহী শান্তি কামনা করে শোক জানিয়েছেন মেহেরপুর প্রতিদিনের প্রকাশক এম এ এস ইমন, সম্পাদক ইয়াদুল মোমিন, মেহেরপুর জেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি তোজাম্মেল আযম, সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব চান্দুসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ।




কোটচাঁদপুরে ট্রেনের ধাক্কায় স্কুলছাত্র নিহত

ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরে ট্রেনের ধাক্কায় ফাহাদ হাসান (১৩) নামের এক স্কুল শিক্ষার্থী নিহত হয়েছে। নিহত শিক্ষার্থী কোটচাঁদপুর উপজেলার রাঙ্গিয়ারপোতা গ্রামের আব্দুস সামাদের ছেলে ও স্থানীয় এলাঙ্গী মফেজ উদ্দীন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী।

বুধবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে বাড়ির পাশের রেলক্রসিং পার হতে গেলে খুলনা থেকে ছেড়ে আসা চিলাহাটিগামী কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস ট্রেনটি তাকে ধাক্কা দেয়। ট্রেনের ধাক্কায় মোটরসাইকেল ছিন্নভিন্ন ও ফাহাদের শরীর ক্ষতবিক্ষত হয়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হয়।

এলাঙ্গী মফেজ উদ্দীন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক (আইসিটি) রবিউল ইসলাম জানান, ফাহাদ হাসান সকালে বাড়ি থেকে মোটরসাইকেল নিয়ে বাড়ির পাশে রেলক্রসিং পার হয়ে মাঠের দিকে যাচ্ছিল। সে মোটরসাইকেল নিয়ে রেললাইনের উপর গেলে দ্রুতগামি ট্রেনটি তাকে ধাক্কা দেয়।

কোটচাঁদপুর থানার ওসি সৈয়দ আল মামুন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, স্কুল শিক্ষার্থী ফাহাদ সকালে একটি ডিসকভারি-১০০ মোটরসাইকেল নিয়ে রেললাইনের উপর গেলে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

মরদেহ গ্রামবাসি তার বাড়িতে নিয়ে গেছে। এখন রেলওয়ে যশোর থানার পুলিশ মরদেহ সুরতহালের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন বলে যোগ করেন ওসি।




ঝিনাইদহে চিত্রা নদীর উপর নবনির্মিত সেতুর উদ্বোধন

দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর ঝিনাইদহ কালীগঞ্জের প্রাণ কেন্দ্র চিত্রা নদীর উপর নব-নির্মিত দৃষ্টিনন্দন সেতুর উদ্বোধন করা হয়েছে।

মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১২টার সময় হাজার হাজার মানুষের উপস্থিতিতে প্রধান অতিথি ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও কালীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আনোয়ারুল আজীম আনার ফিতা কেটে সেতুটি উদ্বোধন করেন ।

এ উপলক্ষে সকাল সাড়ে ৯টায় কালীগঞ্জ পৌর পরিষদ ও পৌর ব্যবসায়ী সমিতির আয়োজনে সেতুর সম্মূখে সড়কে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। উল্লেখ্য, ৬২ মিটার দৈর্ঘ্য সেতুটি নির্মাণে ব্যায় হয়েছে ১৮ কোটি টাকা। নির্মিত সেতুটির মাঝপথ দিয়ে পরিবহন ও তার দু’পাশ দিয়ে পথচারী এবং রিকসা ভ্যান চলাচলের ব্যবস্থা রয়েছে। কনসিক এন্ড বিল্ড লিমিটেড নামে নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে গত ২০২২ সালের ২০ জুলাই মাসে কার্যক্রম শুরু হয়েছিল।

উদ্বোধন অনুষ্টানে প্রধান অতিথি এমপি আনোয়ারুল আজীম আনার তার বক্তব্যে বলেন, আওয়ামীলীগ সরকার উন্নয়নের সরকার, আওয়ামীলীগ যখনই ক্ষমতায় আসে তখনই দেশের উন্নয়ন হয়। জাতীর জনকের কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে অভুতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় আজ বড় বাজারের চিত্রা নদির উপর দৃষ্টিনন্দন নান্দনীক এই সেতুর যাত্রা শুরু হলো। সেতুকে ঘিরে আশপাশের এলাকার মানুষ অর্থনৈতিক সম্ভাবনার নতুন স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছেন।

ঝিনাইদহ সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আনোয়ার পারভেজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, সড়ক বিভাগের খুলনা জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী সৈয়দ আসলাম আলী, কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এসএম জাহাঙ্গীর সিদ্দিকী ঠান্ডু ও কালীগঞ্জ পৌর সভার মেয়র আশরাফুল আলম আশরাফ। পৌর ব্যবসায়ী সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক জহুরুল হক বিপ্লবের সঞ্চালনায় অনুষ্টানে আরো বক্তব্য রাখেন, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান শিবলী নোমানী, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শাহনাজ পারভিন, মটর মালিক সমিতির সভাপতি ফরিদ উদ্দিন, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন সোহেল, কালীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি সাংবাদিক জামির হোসেন, কালীগঞ্জ পৌর ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আসাদুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক ইমদাদুল ইসলাম ইনতা, উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ডাঃ রাশেদ শমসের, পূজা উদযাপন কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক বিপ্লব বিষ্ণু ও হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সাধারন সম্পাদক উজ্জ্বল অধিকারী ছাড়াও পৌর পরিষদ, সড়ক বিভাগের কর্মকতা ও স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মিগন উপস্থিত ছিলেন।




কুষ্টিয়া জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচন কাল

আগামীকাল কুষ্টিয়া জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। নির্বাচনকে ঘিরে আদালত চত্বর বর্ণিল সাজে সেজেছে। চারিদিকে ফেস্টুন  দিয়ে সাজানো হয়েছে স্ব স্ব প্রার্থীদের প্রচার অভিযান।

প্রার্থীরা সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছে। কুষ্টিয়া জেলা আইনজীবী ভবন নিরুত্তাপ থাকলেও বর্তমানে নির্বাচনি উত্তাপের আমেজ বইছে ভোটারদের মাঝে। শেষ মুহূর্তে জমে উঠেছে নির্বাচন।

নির্বাচনি প্রচার-প্রচারণা এখনো তুঙ্গে। গত রোববার নির্বাচন কমিশন কর্তৃক চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পর প্রকাশ্য না হলেও দুটি আইনজীবী প্যানেল নির্বাচনি মাঠে সহ-অবস্থানে থেকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদসহ বিভিন্ন পদে প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে লড়ছেন।

প্রার্থীদের দলগত সমর্থনে তাদের অনেক ভোটার রয়েছে। নিজ নিজ প্রার্থীর পক্ষে চালিয়ে যাচ্ছেন নির্বাচনি প্রচারণা। ভোটারদের কাছেও চলছে প্রার্থীদের বিগত দিনের ভাল-মন্দ কাজের চুলচেরা বিশ্লেষণ।

পেশাগত হাজারো ব্যস্ততার মধ্যেও ভোটকে কেন্দ্র করে একে অপরের সঙ্গে দেখা করছে এবং ভোটারদের কাছে ভোট প্রার্থনা করছেন প্রার্থীরা। প্রার্থীরা আইনজীবীদের সার্বিক কল্যাণে ও সমিতির উন্নয়নের কথা শুনাচ্ছেন ভোটারদের।

সকাল সাড়ে ৯টা থেকে শুরু হয়ে বিরতিহীনভাবে ভোট গ্রহণ চলবে একটানা বিকাল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত। এবারের নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্বে রয়েছেন-সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট মীর ছানোয়ার হোসেন এবং সদস্য হিসেবে দায়িত্বে আছেন অ্যাডভোকেট আকরাম হোসেন দুলাল ও অ্যাডভোকেট শরীফ উদ্দিন রিমন।

নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, সভাপতি পদে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন কুষ্টিয়া জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও জেলা জজ আদালতের জজশীপের (জিপি) সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট আ.স.ম আখতারুজ্জামান (মাসুম), কুষ্টিয়া জেলা আইনজীবী সমিতির সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট মুহ. হারুনুর রশিদ, অ্যাডভোকেট সোহেল খালিদ মো. সাঈদ অন্যদিকে ক্লিন ও পরিচ্ছন্ন মানুষ, তরুণ আইনজীবীদের প্রিয় প্রার্থী ও জুনিয়র ও সিনিয়র আইনজীবী বান্ধব, একজন প্রতিষ্ঠিত ফৌজদারি আইনজীবী অ্যাডভোকেট খন্দকার সিরাজুল ইসলাম।

সাধারণ সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন কুষ্টিয়া জেলা আইনজীবী সমিতির বর্তমান সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শেখ মো. আবু সাঈদ, সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট খাদেমুল ইসলাম এবং কুষ্টিয়া জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আইনজীবী অ্যাডভোকেট দেওয়ান মাসুদ করিম মিঠু।




ঝিনাইদহে গৃহবধূ মঞ্জুরী’র মৃত্যুর সঠিক কারণ জানতে মানববন্ধন

ঝিনাইদহে গৃহবধূ মঞ্জুরী অধিকারী’র মৃত্যুর সঠিক কারণ উদঘাটনের জন্য তদন্তের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচী পালিত হয়েছে।

বুধবার সকালে শহরের পোষ্ট অফিস মোড়ে এ কর্মসূচীর আয়োজন করে মৃত গৃহবধুর স্বজন ও এলাকাবাসী। এতে ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে মঞ্জুরীর পরিবারের সদস্যসহ প্রতিবেশীরা অংশ নেয়।

সেসময় বক্তব্য রাখেন, মঞ্জুরীর স্বজন শ্বাশতী অধিকারী, সাদ্দাম, সুনিল, আজিজুল রহমান, সাথী, বিথী, রোকেয়াসহ অন্যান্যরা।

সেসময় বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, মঞ্জুরী অধিকারীকে তার স্বামী ইমন দাস নেশাজাতীয় দ্রব্য খাইয়ে গলা টিপে হত্যা করে আত্মহত্যা বলে চালানোর চেষ্টা করছে। তাই মৃত্যুর সঠিক কারণ বের করে দোষীদের আইনের আওতায় আনার দাবী জানান তারা।

গত ১৮ ফেব্রুয়ারি ঝিনাইদহ শহরের কাঞ্চনপুর মধ্যপাড়ার একটি ভাড়া বাসা থেকে মুঞ্জরী রানীর মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।




৫৪০ পদে নিয়োগ দেবে পূবালী ব্যাংক

পূবালী ব্যাংক পিএলসি জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। প্রতিষ্ঠানটিতে ডেপুটি জুনিয়র অফিসার (ক্যাশ) পদে নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহী যোগ্য প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন।

পদের নাম

ডেপুটি জুনিয়র অফিসার (ক্যাশ)।

পদসংখ্যা

৫৪০

শিক্ষাগত যোগ্যতা

স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যেকোনো বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি থাকতে হবে। এসএসসিতে জিপিএ ৫–এর মধ্যে অন্তত ৩.৫০ এবং এইচএসসিতে জিপিএ–৪ থাকতে হবে। স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে সিজিপিএ ৪–এর স্কেলে অন্তত ৩ থাকতে হবে। কোনো ব্যাংকে অন্তত দুই বছর চাকরির অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।

বেতন

মাসিক বেতন ৩৭,৮০০ টাকা।

আবেদন প্রক্রিয়া

আগ্রহী প্রার্থীদের পূবালী ব্যাংকের ওয়েবসাইটের এই লিংক ফরম পূরণের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। নিয়োগসংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য এই লিংকে জানা যাবে।

আবেদনের শেষ তারিখ

২৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪।

সূত্র : পূবালী ব্যাংক ওয়েবসাইট।




একুশে বইমেলায় বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাসেমের নাট্যগ্রন্থ ‘এ সমাজ ভাঙতে হবে’

অমর একুশে বইমেলায় প্রকাশিত হয়েছে বীর মুক্তিযোদ্ধা, কবি ও শিক্ষক আবুল কাসেমের নাট্যগ্রন্থ ‘এ সমাজ ভাঙতে হবে’। এ নাট্যগ্রন্থটির ভূমিকা লিখেছেন স্বনামখ্যাত নাট্যনির্দেশক ও অভিনেতা বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিালক লিয়াকত আলী লাকী।

নাটক সমাজের দর্পণ, সমাজ বদলের হাতিয়ার। এই বইয়ের নাটকগুলোও সেই দর্শনই বহন করে। বস্তুত, আপামর শিল্পপ্রাণ লেখক আবুল কাসেমের এ নাট্যগ্রন্থের নাটকগুলোতে শৈল্পিক নিরিখে ফুটে উঠেছে মুক্তিযুদ্ধোত্তর বাংলাদেশের চরম বাস্তবতার নানাদিক-নানাপ্রসঙ্গ।

বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাসেম তাঁর এ গ্রন্থটির মধ্য দিয়ে সমাজ পরিবর্তনের অঙ্গীকার, নতুন সমাজ গড়ার স্বপ্ন ও স্বাধীনতার চেতনা অবগাহনে আলো ফেলেছেন। চারটি নাটকে সজ্জিত এ নাট্যগ্রন্থটি তাঁর প্রথম বই। নাটকগুলো হলো— পঁচাত্তর পরবর্তী সময়ে স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তির পুনরুত্থানের প্রেক্ষাপটে রচিত ‘মীর জাফরের পদধ্বনি’; স্বাধীনতার বীর সেনানী মুক্তিযোদ্ধাদের নিগৃহীত-নিষ্পেষিত হওয়ার বিয়োগাত্মক অ্যাখান ‘বুকের রক্তে লালিত স্বাধীনতা’; যৌতুকের করাল গ্রাসে নিমজ্জিত সমাজের চিত্র ‘যৌতুক’ এবং গ্রামীণ সমাজ-সংস্কৃতির ভালো-মন্দ নিয়ে রচিত নাটক ‘কালো মানিক’।

বইটি প্রকাশ করছে প্রকাশনা সংস্থা ‘পুথিনিলয়’। প্রচ্ছদ এঁকেছেন শিল্পী চারু পিন্টু। মূল্য ৪৫০ টাকা। পাওয়া যাচ্ছে অমর একুশে বইমেলার পুথিনিলয়’-এর প্যাভিলিয়নে (প্যাভিলিয়ন নম্বর ৩৪)।

অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক আবুল কাসেম একাধারে নাট্যকার, আধ্যাত্মবাদী কবি, গল্পকার ও রাজনীতিবিদ। এর পাশাপাশি তিনি একজন নাট্য ও যাত্রাপালা নির্দেশক, পরিকল্পক ও প্রযোজক। ত্যাগী ও কষ্টসহিষ্ণু মানুষটি বাংলাদেশের প্রান্তিক অঞ্চলে বাস করেও শিল্প-সাহিত্য ও দেশের জন্য নীরবেই অবদান রেখে চলেছেন।

১৯৫১ সালের ১৪ জানুয়ারি অবিভক্ত বাংলার নদীয়া জেলার তেহট্ট মহকুমার জিৎপুর গ্রামে জন্মগ্রহন করেন নাট্যকার আবুল কাসেম । স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম রাজধানী মুজিবনগর ও মেহেরপুর শহরের অদূরের রাধাকান্তপুর গ্রামে শৈশব থেকে তিনি বসবাস করছেন। এ গ্রামের স্কুলেই তার লেখাপড়া শুরু। ছাত্র জীবনে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশমাতৃকার টানে রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত হন। তিনি মেহেরপুরে বিভিন্ন স্কুল-কলেজে অধ্যয়ন শেষে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালল থেকে দর্শনের ওপর একাডেমিক পড়াশোনা সম্পন্ন করেন। এরপর পেশা হিসেবে শিক্ষকতা বেছে নেন।

আবহমান গ্রামবাংলার সংস্কৃতির অসাম্প্রদায়িক চেতনার একজন উদার ও সাদামনের মানুষ, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এবং একজন আদর্শ শিক্ষক হিসেবে এলাকায় সর্বাধিক পরিচিতি পান। এই সময়ে নিজ গ্রাম ও অঞ্চলের পাশাপাশি বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের নিয়ে নাটক নির্মান এবং দেশীয় ঐতিহ্যের অন্যান্য উপাদান ‘যাত্রা’ শিল্পের নির্দেশক হিসেবেও দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। সমাজ সংস্কারেও তাঁর ভূমিকা অত্যন্ত প্রশংসনীয়।




ইন্টারনেট স্পিড সূচকে বাংলাদেশের অবনতি

মোবাইল ইন্টারনেট সূচকে ৭ ধাপ পিছিয়ে ১০৮তম অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। যা আগে ছিল ১০১তম। ওকলা স্পিডটেস্ট গ্লোবাল ইনডেক্সের জানুয়ারি মাসের সূচকে এমনটি উঠে এসেছে।

এতে দেখা যায়, জানুয়ারি মাসের হিসেবে মোবাইল ইন্টারনেট খাতে ১০৮তম অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। যা গত ডিসেম্বরে ১০১তম অবস্থানে ছিল। পাশাপাশি ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সূচকেও বাংলাদেশের অবনতি হয়েছে। ডিসেম্বরের তুলনায় জানুয়ারিতে ১ ধাপ পিছিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান ১০৯তম।

অন্যদিকে প্রতিবেশী দেশ ভারত মোবাইল ইন্টারনেটে ১৮তম এবং ব্রডব্যান্ড সূচকে ৮৭তম অবস্থানে রয়েছে।

ওকলার সূচক অনুসারে, জানুয়ারিতে বাংলাদেশে মোবাইল ইন্টারনেটে ডাউনলোডের গড় গতি পাওয়া গেছে ২৩ দশমিক ৮৫ এমবিপিএস। পাশপাশি আপলোডের গতি ছিল ১১ দশমিক ৩৬ এমবিপিএস। এ ছাড়া ব্রডব্যান্ডে মেডিয়ান ডাউনলোডের গতি ছিল ৪১ দশমিক ৫৯ এমবিপিএস। পাশপাশি আপলোডের গতি ছিল ৪২ দশমিক ৬০ এমবিপিএস।

ওকলা প্রতিদিন নিজেদের স্পিডটেস্ট অ্যাপের মাধ্যমে পাওয়া লাখ লাখ ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নেটওয়ার্ক পারফরম্যান্স সম্পর্কে ধারণা দেয়।

সূত্র: ইত্তেফাক