কখনো যুবলীগের নেতাকর্মীরা রাজপথ ছাড়েনি ও আদর্শচ্যুত হয়নি-নঈম হাসান জোয়ার্দ্দার

চুয়াডাঙ্গায় নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের ৫১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করা হয়েছে।

গতকাল শনিবার (১১ নভেম্বর) প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপনে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে জেলা যুবলীগের কার্যালয়ের সামনে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। জাতীয় সংগীতের তালে তালে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক নঈম হাসান জোয়ার্দ্দার এবং দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন যুগ্ম আহ্বায়ক সামসুদ্দোহা মল্লিক হাসু। এরপর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শেখ ফজলুল হক মনির প্রতিকৃতিতে নঈম হাসান জোয়ার্দ্দারের নেতৃত্বে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়। পরে সন্ধ্যায় দলীয় কার্যালয়ে কেক কেটে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করা হয়। এরপর সেখানে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

এর আগে বেলা সাড়ে ৩টায় জেলা যুবলীগের কার্যালয়ের সামনে থেকে আনন্দ র‌্যালি ও উন্নয়ন শোভাযাত্রার নেতৃত্ব দেন জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক নঈম হাসান জোয়ার্দ্দার। র‌্যালি ও শোভাযাত্রাটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে পূর্বের স্থানে এসে শেষ হয়। র‌্যালি চলাকালে নেতাকর্মীরা বাজি ফুটিয়ে ও নেচে গেয়ে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন করে । তবে এবারের র‌্যালি ও শোভাযাত্রাটি পূর্বের রেকর্ড ভেঙে হাজার হাজার নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করেন।

এসমস্ত কর্মসূচিতে জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক নঈম হাসান জোয়ার্দ্দার বলেন, প্রতিষ্ঠার পর থেকে নানা চড়াই—উৎরাই, ঘাত—প্রতিঘাত কোন কিছুই ব্যহত করতে পারেনি যুবলীগের অগ্রযাত্রা। চুয়াডাঙ্গায় যুবলীগের নেতাকর্মীরা একটি দিনের জন্যও রাজপথ ছেড়ে যায়নি এবং আদর্শচ্যুত হয়নি। যা তাদেরকে এ অঞ্চলের সাধারণ জনগণের আস্থার জায়গা হিসেবে পরিণত করেছে। শুধু চুয়াডাঙ্গা জেলা নয়, আজ সারা দেশের প্রগতিশীল যুব সমাজের আস্থার ঠিকানা হয়ে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন- আপনাদের সকলের ভালোবাসা, লড়াই—সংগ্রামে যুবলীগ বর্তমানে দেশের সর্ববৃহৎ যুব সংগঠনে পরিণত হয়েছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশে যুব নেতা শেখ ফজলুল হক মনি এ যুবলীগ প্রতিষ্ঠা করেন। ফজলুর হক মনি ছিলেন যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক, শোষণমুক্ত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার সংগ্রামকে এগিয়ে নিতে দেশের যুব সমাজকে সম্পৃক্ত করার লক্ষ্য নিয়ে যুবলীগকে প্রতিষ্ঠা করা হয়। প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকেই যুবলীগ সেই লক্ষ্যকে সামনে নিয়ে অগ্রসর হচ্ছে।

চুয়াডাঙ্গা জেলা যুবলীগের যুগ্ন আহবায়ক সামসুদ্দোজা মল্লিক হাসুর সঞ্চালনায়, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সাজেদুল ইসলাম লাবলু, আজাদ আলী, হাফিজুর রহমান হাপু, আবু বক্কর সিদ্দিক আরিফ, আলমগীর আজম খোকা।

এসময় উপস্থিত ছিলেন যুবলীগ নেতা পীরু মিয়া, শেখ সাহি, হাসানুল ইসলাম পলেন, বিপুল জোয়ার্দ্দার, টিটু,জুয়েল জোয়ার্দ্দার, চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার কাউন্সিলর কামরুজ্জামান চাদঁ, চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আল ইমরান শুভ, সৈকত, সুইট, রাসেল, খালিদ, দিপু, লুকমান, টুটুল, আলমডাঙ্গা উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক আনোয়ার হোসেন সোনাহার মন্ডল, সদস্য সালাউদ্দিন মন্ডল, আলমডাঙ্গা পৌর যুবলীগের আহবায়ক আসাদুল হক ডিটু, যুবলীগ নেতা আনিস, রাইহান, রনি, সজিব, বুলবুল, শিমুল।

চুয়াডাঙ্গা পৌর যুবলীগের ৩ নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি রানা, সাধারন সম্পাদক খানজাহান, ৫ নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি আব্দুল আলীম , সাধারণ সম্পাদক মিঠুন, সাংগঠনিক সম্পাদক জুয়েল, ৭ নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি আসাদ, সাধারন সম্পাদক বিপ্লব, মোমিনপুর ইউনিয়ন যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুল মোমিন, ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক ছোটু, আলুকদিয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানা শান্তি, মানোয়ার শেখ ও আসমাউল, পদ্মবিলা ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি বনফুল, সাধারন সম্পাদক জান্টু ও বিপ্লব, কুতুবপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মাসুম, সাধারন সম্পাদক রফিকুল, শংকরচন্দ্র ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি সেলিম, সাধারন সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, মাফুজ, মমিন, জিসান, মাখালডাঙ্গা ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা ফিরোজ, জাকির। আলমডাঙ্গা উপজেলার আইলহাস ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আব্দুল কুদ্দুস, ভাংবাড়িয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মামুন, সাধারন সম্পাদক জাফর, কুমারি ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মোজাম্মেল, বাড়াদি ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি শরিফ হোসেন, সাধারন সম্পাদক সেতু ও আশিকুর রহমান, খাদিমপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারন সম্পাদক কামাল হোসেন ও আনারুল ইসলাম, জেহালা ইউনিয়ন যুবলীগের আহবায়ক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোখলেছুর রহমান শিলন, যুগ্ন আহবায়ক হারুন অর রশিদ বকুল, ডাউকি ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আরিফুল, রকি বিশ্বাস, জামজামি ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আবু মুছা, নাগদহ ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি প্রফেসর আবুল হাসনাত, খাসকররা ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারন সম্পাদক জিয়াউর রহমান, দামুড়হুদা উপজেলা যুবলীগের সাবেক যুগ্ন আহবায়ক এস এম মহসীন, স্বপন মালিতা, চিতলা ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা টিটু, গাংনী ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা বজলুর রহমান, সাধারন সম্পাদক সাঈদ ও রনি, হারদি ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা রাসেল, পান্না, সহ বিভিন্ন ইউনিটের নেতৃবৃন্দ।




মেহেরপুরে যুবলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত ও আনন্দ র‌্যালি

কেন্দ্রিয় কর্মসূচী অনুযায়ী সারা দেশের ন্যায় মেহেরপুরে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের ৫১তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত হয়েছে।

আজ শনিবার (১১ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৭ টায় মেহেরপুর জেলা যুবলীগের আহবায়ক মাহফুজুর রহমান রিটন ও যুগ্ম আহবায়ক শহিদুল ইসলাম পেরেশানের উদ্যোগে আনন্দ র‌্যালি, অবরোধ বিরোধী মিছিল, সংক্ষিপ্ত সমাবেশ ও কেক কাটার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন করা হয়।

আনন্দ র‌্যালিটি জেলা যুবলীগের কার্যালয় থেকে শুরু হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে একপর্যায়ে অবরোধ বিরোধী মিছিলে পরিণত হয়। অবরোধ বিরোধী মিছিলটি মেহেরপুর পৌরসভার সামনে যেয়ে শেষ হয়।

এসময় মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাড. ইয়ারুল ইসলাম, বুড়িপোতা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রেজা, সদর থানা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন, শহর যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শহিদুজ্জামান সুইট, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ যুগ্ম সম্পাদক জুয়েল রানা, জেলা ছাত্রলীগী সহ-সভাপতি শোভন সরকার, সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুদ রানাসহ জেলা যুবলীগের বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। অতঃপর সেখানে একটি সংক্ষিপ্ত সভা অনুষ্ঠিত হয়। পরে জেলা যুবলীগ কার্যালয় কেক কাটার মাধ্যমে ৫১ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন করা হয়।

মেহেরপুর জেলা যুবলীগের অহবায়ক শহীদুল ইসলাম পেরেশন বলেন,’যুবলীগের হয়ে যে সকল নেতাকর্মী রাজপথ কাপায় তাদের সকলকে যুবলীগের ৫১ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। যারা হরতাল অবরোধ রাখে তারা যুবলীগের ভয়ে গান গাই পালা যুবলীগ আসছে, যুবলীগে আসছে। তারই প্রমাণ গত দফার অবরোধে মেহেরপুরের কিছু বিএনপি নেতাকর্মী মেহেরপুর শহর ছেড়ে রিক্সা ও ভ্যান ভাড়া করে ইছাখালির মাঠে যেয়ে অবরোধের মিছিল করেছিল।’

মেহেরপুরের পৌর মেয়র ও জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক মাহফুজুর রহমান রিটন বলেন,’ ১৯৭২ সালে আজকের এই দিনে বঙ্গবন্ধুর আহবনে শেখ ফজলুল হক মনির যুবলীগ গঠিত হয়। তারই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ এশিয়া মহাদেশে একটি বৃহত্তর সংগঠনের রূপ ধারণ করেছে। যুবলীগ আজ মানুষের আস্থার সংগঠনে পরিচিত হয়েছে। ওয়ান ইলেভেন এর সময় যখন যখন শেখ হাসিনাকে নিয়ে ষড়যন্ত্র হয় তখনো যুবলীগের নেতাকর্মীরা রাজপথে রক্ত দিয়ে শেখ হাসিনাকে কারা মুক্ত করেছিল। আজকে মেহেরপুরে অনেকেই আওয়ামী লীগকে বিভক্ত করছে। কিন্তু দলের জন্য ঘামঝরা প্রোগ্রাম একমাত্র যারা যুবলীগ থেকে ছাত্র রাজনীতি করে আওয়ামী লীগে এসেছে তারাই করে থাকে। হরতাল ও অবরোধকারীরা যদি কোন নাশকতার চেষ্টা করে মেহেরপুরের যুবলীগের কর্মীরা প্রতিটি ওয়ার্ডে ইউনিয়নে তাদের দাঁতভাঙ্গা জবাব দেবে।




এশিয়ার সর্ববৃহৎ সার কারখানা: কৃষি উৎপাদন ও অর্থনীতি আসবে স্বস্তি

দ্রুত ফসল উৎপাদনের জন্য ইউরিয়া বহুল ব্যবহৃত রাসায়নিক সার, গাছের সবুজ অংশের বৃদ্ধিতে এর ভূমিকা প্রধান। সবচেয়ে বেশি প্রয়োগ হয় ধান, গম, ভুট্টা চাষের জমিতে। পৃথিবীতে যত ইউরিয়া উৎপাদন হয় তার প্রায় ৯০ শতাংশ ব্যবহার কৃষিক্ষেত্রে।

কারখানাটি দেশের কৃষি উৎপাদন, কৃষি অর্থনীতি, ব্যবসা-বাণিজ্যে ইতিবাচক অবদান রাখবে। মাটিতে (ইউরিয়া) নাইট্রোজেন পুষ্টি উপাদানের ঘাটতি হলে ক্লোরোফিল সংশ্লেষণের হার কমে যায়। ফলে ফসলের স্বাভাবিক সবুজ বর্ণ হারিয়ে ফেলে। পাতার আকার ছোট হয় এবং শাখা প্রশাখার বৃদ্ধি হ্রাস পায়, ফলে গাছ খর্বাকার হয় এবং ফলনে বিপর্যয় ঘটে। তাই কৃষিতে ইউরিয়ার গুরুত্ব অপরিসীম।

নরসিংদী জেলার পলাশ উপজেলায় নবনির্মিত ‘ঘোড়াশাল-পলাশ ইউরিয়া সার কারখানা’ নামের এই কারখানাটি উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই কারখানায় বার্ষিক ৯ লাখ ২৪ হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া সার উৎপাদিত হবে।

উন্নত দেশ যেমন ইউরোপ, আমেরিকা ও জাপান থেকে যন্ত্রপাতি এনে এখানে কারখানা স্থাপন করা হয়েছে। কারখানাটি সর্বাধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর, শক্তি সাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব। জাপানের এম এইচ আই ও চায়না সিসি সেভেন কোম্পানি কারখানাটি নির্মাণ করেন। এটি চালু হলে শিল্পখাতে নতুন দ্বার উন্মোচিত হবে। দেশের বাইরে থেকে সার আমদানি হ্রাস পাবে ফলে বিপুল পরিমাণে বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হবে। মানুষের নতুন নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।

এই কারখানার বার্ষিক উৎপাদন ক্ষমতা ধরা হয়েছে ৯ লাখ ২৪ হাজার মেট্রিক টন। সর্বাধুনিক প্রযুক্তিসম্পন্ন, শক্তি সাশ্রয়ী এবং পরিবেশবান্ধব গ্রানুলার ইউরিয়া উৎপাদনে সক্ষম এই সার কারখানা দেশে ইউরিয়া সারের স্বল্পতা ও ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। দেশে কম-বেশি প্রায় ৩০ লাখ মেট্রিক টন সারের চাহিদা রয়েছে। ৬ থেকে ৭ লাখ মেট্রিক টন সার আমদানি করতে হয় প্রতি বছর।

দেশের অভ্যন্তরীণ ইউরিয়া সারের চাহিদা মেটানো এবং সুলভ মূল্যে কৃষকদের কাছে সার সরবরাহ নিশ্চিতে নরসিংদীর পলাশে স্থাপিত হচ্ছে দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ পরিবেশবান্ধব ‘ঘোড়াশাল-পলাশ ইউরিয়া সার কারখানা’। এটি চালু হলে দৈনিক ২৮০০ মেট্রিক টন করে বছরে গড়ে ৯ লাখ ২৪ হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া সার উৎপাদন সম্ভব হবে। ফলে সারের উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে এবং অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে সারের জোগান বাড়ানো সম্ভব।

দেশের ইউরিয়া সারের চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে ১৯৭০ সালে বার্ষিক ৩ লাখ ৪০ হাজার এবং ১৯৮৫ সালে ৯৫ হাজার মেট্রিক টন উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন যথাক্রমে ঘোড়াশাল এবং পলাশ ইউরিয়া সার কারখানা স্থাপিত হয়।
কারখানা দুটি পুরোনো হওয়ায় উৎপাদন ক্ষমতা হ্রাস এবং ডাউন টাইম অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পাওয়ায় ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কারখানা দুটির জায়গায় উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন, শক্তিসাশ্রয়ী, পরিবেশবান্ধব ও আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর একটি সার কারখানা নির্মাণের নির্দেশনা দেন।

সেই প্রেক্ষিতে বার্ষিক ৯ লাখ ২৪ হাজার মেট্রিক টন ক্ষমতাসম্পন্ন নতুন গ্রানুলার ইউরিয়া সার কারখানা স্থাপনের লক্ষ্যে ‘ঘোড়াশাল পলাশ ইউরিয়া ফার্টিলাইজার প্রকল্প’ শীর্ষক প্রকল্পটি নেওয়া হয়। জাপানি প্রতিষ্ঠান এমএইচআই-এর কাছে কারখানাটি বাস্তবায়নের দায়িত্ব দেওয়া হয়।

ঘোড়াশাল পলাশ ইউরিয়া ফার্টিলাইজারের প্রকল্প এর কারখানাটি যখন পুরোপুরি উৎপাদনে যাবে, তখন ৯৬৮ জন লোকের স্থায়ী কর্মসংস্থান হবে। এছাড়া ১৫০০ থেকে ২০০০ লোক কারখানায় বিভিন্নভাবে প্রতিদিন কাজ করবে।

সার কাখানায় লোডিং-আনলোডিং, সার বস্তাবন্দি করা, প্যাক করা, ট্রাকে ট্রেনে উঠানো এসব জায়গায় কমপক্ষে দুই হাজার লোক কাজ করবে। এছাড়া এই কারখানায় প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ত্রিশ হাজার লোকের কর্মসংস্থান হবে। জাপানিজ কনসালটেন্টদের মাধ্যমে কারখানার প্রত্যেকটা কর্মকর্তা, অপারেটরদের ট্রেনিং দেওয়া হয়েছে, দেশে এবং বিদেশে।

বর্তমানে দেশের জনবল দিয়ে অপারেটিং সিস্টেম চালানো হচ্ছে, বিদেশিরা সাথে থাকছে। এতে করে দেশের কর্মকর্তাদের আত্মবিশ্বাস বাড়ছে। কোনোরকম ভুল হলে তারা তা শুধরে দিচ্ছে, দেখিয়ে দিচ্ছে। হাতে-কলমে ট্রেনিং দিচ্ছে। কারখানার অফিসার, অপারেটররা সক্ষম, তারা তাদের সামর্থ্য দেখাচ্ছে, তাদের পর্যাপ্ত ট্রেনিং দেওয়া হচ্ছে। কারখানাটি এখন ট্রায়াল রানে আছে, কোনোরকম সমস্যা হচ্ছে কি না সবকিছুই নজরদারিতে রাখা হচ্ছে। ট্রায়ালও সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে।

৪৩৬ একর জায়গার মধ্যে ১১০ একর জায়গা নিয়ে স্থাপিত কারখানাটি নির্মাণে ব্যয় হবে ১৫ লাখ ৫২০ কোটি টাকা। দেশের মোট সারের সিংহভাগ পূরণের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে উৎপাদনে যেতে আর অপেক্ষা অল্প সময়ের।
এটি চালু হলে দেশের অন্যান্য কারখানায় চাপ কমার পাশাপাশি বিদেশ থেকে আমদানি নির্ভরতা কমবে। এই প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশের মধ্যে সর্ববৃহৎ সার কারখানা প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে। যা বাংলাদেশের অগ্রযাত্রায় বিরাট ভূমিকা রাখবে।

এই কারখানাটি বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় করবে। পাশাপাশি সার আমদানির ওপর নির্ভরতা কমাবে একই সঙ্গে কৃষিতে স্বয়ংসম্পূর্ণতা বৃদ্ধি পাবে। দেশে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।

লেখক: কৃষি ও পরিবেশ বিশেষজ্ঞ।




৭ মাসে কোরআনের হাফেজ ছাতিয়ান হাাফিজিয়া ক্বওমী মাদ্রাসার সামিউল ইসলাম

৭ মাস ও ১১ মাসে কোরআনের হাফেজ হয়েছেন ছাতিয়ান হাফিজিয়া ক্বওমী মাদ্রাসা লিল্লাহ বোডিং ও এতিম খানার মোঃ সামিউল ইসলাম ও মোঃ ইয়ামিন হোসেন নামের দুই শিক্ষার্থী।

আজ শনিবার সকালে আনুষ্ঠানিক ভাবে মাদ্রাসা হল রুমে দুই শিক্ষার্থীকে পুরুষ্কৃত করেন মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ।

জানা গেছে, ছাতিয়ান গ্রামের মৃত গোলাম কাদের ইসলামী শিক্ষা প্রসারের উদ্যোগ নেন এবং এলাকাবাসীর সহযোগতিায় ছাতিয়ান ব্রিক ফিল্ড বাজারের সন্নিকটে ১৯৭৭ সালে ছাতিয়ান হাফিজিয়া ক্বওমী মাদ্রাসা লিল্লাহ বোডিং ও এতিম খানা গোড়ে তোলেন। তখন থেকেই প্রতিষ্ঠানটি অত্র এলাকা সহ আশেপাশের এলাকার শিক্ষার্থীদের সুনামের সাথে শিক্ষা দিয়ে যাচ্ছেন। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটিতে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৫শ জন। এর মধ্যে দুইশ জন আবাসিক থেকে লেখাপড়া করছে। হুফ্ফাজ, ক্বওমী ও নুরানী বোর্ড দ্বারা পরিচালিত হয়ে আসছে মাদ্রাসাটি। এখানে নার্সারী থেকে শুরু করে জামাত খান উর্দু থেকে কাফিয়া পর্যন্ত ৯টি বিভাগে শিক্ষার্থীরা ভর্তি হতে পারে।

ছাতিয়ান হাফিজিয়া ক্বওমী মাদ্রাসা লিল্লাহ বোডিং ও এতিম খানার সুপার আবুল হাসান জানিয়েছেন, গাংনী উপজেলার ভবানীপুর গ্রামের জালাল উদ্দিনের ছেলে ও এই মাদ্রাসার দাখিল পরীক্ষার্থী মোঃ সামিউল ইসলাম ৭ মাস ১ দিনে কোরআানের হাফেজ হয়েছেন। অষ্টম শ্রেণীর আরেক শিক্ষার্থী বালিয়াঘাট গ্রামের আহসান হাবীবের ছেলে মোঃ ইয়ামিন হোসেন ১১ মাসে কোরআনের হাফেজ হয়েছেন। অন্যন্য শিক্ষার্থীদের কোরআনে হাফেজ হতে উদ্বুদ্ধ করনের জন্য আমরা প্রতি বছরই নতুন হাফেজদের পুরুস্কৃত করে থাকি। তিনি মাদ্রাসাটি আরো ভালো ভাবে পরিচালনার জন্য এলাকার মানুষের কাছে সহযোগীতা চেয়েছেন।




ইবির জাজে’স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক হলেন মেহেরপুরের রুপক

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) জাজে’স অ্যাসোসিয়েশনের নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে। এতে আইন বিভাগের প্রথম ব্যাচের শিক্ষার্থী ও বিচারক (জেলা জজ) নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল, ঝিনাইদহ’র মিজানুর রহমানকে সভাপতি ও নবম ব্যাচের শিক্ষার্থী বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রার (বিচার) (জেলা জজ), এসকে,এম, তোফায়েল হাসান রুপককে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে মনোনীত করা হয়েছে।

শুক্রবার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৬তম বাংলাদেশ জুড়িসিয়াল সার্ভিস (বিজেএস) পরীক্ষায় সুপারিশপ্রাপ্তদের সংবর্ধনা উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় জাজে’স অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে একটি ভার্চুয়াল মিটিংয় অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠান শেষে উপস্থিত সকলের সম্মিলিত মতামতের ভিত্তিতে সংগঠনটির কার্যক্রমকে গতিশীল করার লক্ষ্যে সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক নির্বাচন করা হয়। পরবর্তীতে পূর্ণাঙ্গ কমিটি প্রকাশ করা হবে।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র জেলা জজ সিরাজুদ্দৌলাহ কুতুবী, হাফিজুর রহমান, আঃ ছালাম খান ও মো: মিজানুর রহমান সহ প্রায় ৪০ জন বিভিন্ন পর্যায়ের বিজ্ঞ বিচারকগন।

যেখানে বাংলাদেশের অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ছাত্র ছাত্রীরা বিচার বিভাগ সর্বোচ্চ আসন সহ আইনের সর্ব অঙ্গনে অনন্য উচ্চতায় আসীন হয়েছেন বা হচ্ছেন সেক্ষেত্রে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থা অত্যন্ত হতাশাব্যন্জক।

এ বিষয়টিকে অনুধাবন করেই নবগঠিত কমিটির সদস্যরা এ সংগঠনটির কার্যক্রম আরও গতিশীল করার পাশাপাশি তাদের নিজ বিভাগের শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার মানের উৎকর্ষতা বৃদ্ধির জন্য কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহনের আশ্বাস দেন।

এছাড়াও বিচারকদের এই ভার্চুয়াল প্লাটফর্মটি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের জন্য একটি অনুপ্রেরনার বাতিঘর বলেও অনেকে মন্তব্য করেন। এক্ষেত্রে বিভাগগুলোকে সর্বাগ্রে এগিয়ে আসতে হবে বলে অনেকে মতামত ব্যাক্ত করেন।

উল্লেখ্য, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় জাজে’স এ্যসোসিয়শনের সদস্য হিসেবে বর্তমানে ৯৪ জন বিচারক রয়েছেন। এর মধ্যে ১৯ জন বিজ্ঞ বিচারক অধস্থন আদালতের সর্বোচ্চ পদ জেলা ও দায়রা জজ হিসেবে পদোন্নতি পেয়ে দেশের বিভিন্ন আদালতে কর্মরত রয়েছেন। বেশ কয়েকজন জেলা জজ হিসেবে পদায়নের অপেক্ষায় রয়েছেন।

প্রায় ৪ বছর আগের এই ভার্চুয়াল প্লাটফর্মটির প্রতিষ্ঠা করেন বর্তমান সাতক্ষীরার যুগ্ম জেলা জজ শহীদুল ইসলাম। এরপর সংগঠনটি প্রায় দুই বছর ধরে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছে আহ্বায়ক কমিটির মাধ্যমে। জেলা ও দায়রা জজ জনাব মোঃ মঞ্জুরুল ইমাম সংগঠনটির সূচনা থেকে আহ্বায়ক হিসেবে এতদিন দ্বায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। সংগঠনটি ইতোমধ্যে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদে ও কেন্দ্রীয় অডিটোরিয়ামে আইন অনুষদের ৩টি বিভাগের শিক্ষার্থী, শিক্ষক এবং সারা বাংলাদেশ থেকে আগত সকল বিজ্ঞ বিচারকদের সমন্বয়ে দিনব্যপী একটি পুনর্মিলনী ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন সফলভাবে সম্পন্ন করেছে।

এছাড়াও সংগঠনের সদস্যরা বিভিন্ন দুস্থ, অসুস্থ ছাত্রকে সাহায্য সহ আর্তমানবতার সেবায় কাজ করে যাচ্ছে। ভবিষ্যতে সংগঠনটির সদস্যরা প্রাতিষ্ঠানিকভাবে মানবসেবাসহ আইন বিভাগের সাবেক ও বর্তমান ছাত্র ছাত্রীদের পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধিসহ বহুমুখী কল্যানে আরও বৃহৎ পরিসরে কাজ করার ইচ্ছা ব্যাক্ত করেছেন।

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী ও বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের মাননীয় বিচারপতি জনাব ড.কে.এম হাফিজুল আলম নব নিযুক্ত কমিটিকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।

সূত্র: যায় যায় দিন




চুয়াডাঙ্গায় বর্ণাঢ্য আয়োজনে মোহনা টেলিভিশনের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন

চুয়াডাঙ্গায় বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্যে দিয়ে পালিত হয়েছে মোহনা টেলিভিশনের প্রতিষ্ঠা বার্ষিক। প্রতিষ্ঠা বার্ষিক উপলক্ষে র‌্যালি, আলোচনা সভা ও কেক কেটে জনপ্রিয় টেলিভিশন চ্যানেল মোহনা টেলিভিশনের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হয়।

টেলিভিশনটির ১৪ বছরে পদার্পণ উপলক্ষে এ আয়োজন করা হয়। শনিবার বেলা ১১টায় চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সভাকক্ষে আয়োজিত মোহনা টেলিভিশন প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন মোহনা টেলিভিশনের চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রতিনিধি সাইফ জাহান।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিসেবে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ( সার্বিক) নাজমুল হামিদ রেজা। বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রিয়াজুল ইসলাম, চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সভাপতি সরদার আল আমিন, সাধারণ সম্পাদক রাজীব হাসান কচি, সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক বিপুল আশরাফ, দৈনিক পশ্চিমাঞ্চলের সম্পাদক আজাদ মালিতা ও গড়াইটুপি ইউপি চেয়ারম্যান রাজু।

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠানে র‌্যালি পরবর্তী আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন ৭১ টেলিভিশনের চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি এমএ মামুন, বাংলাদেশ প্রতিদিন ও নিউজ টয়েন্টিফোরের চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি জামান আখতার এবং সিনিয়র সাংবাদিক শেখ সেলিম। অনুষ্ঠানে বক্তারা মোহনা টেলিভিশনের সমৃদ্ধি কামনা করেন।




আলমডাঙ্গায় দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

আলমডাঙ্গায় আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে মাঠ পর্যায়ে কর্মীসভা করার লক্ষ্যে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ শনিবার সকাল সাড়ে ১০ টায় উপজেলা আওয়ামীলীগের দলীয় কার্যালয়ে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও ১ আসনের সংসদ সদস্য সোলাইমান হক জোয়াদ্দার ছেলুন এমপি।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন ছিল সোনার বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করা। তাঁর স্বপ্নকে বাস্তবায়নে তাঁরই সুযোগ্য কন্যা বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। দেশে উন্নয়নের অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকায় ইতিমধ্যে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে। আগামী ২০৪১ সালে বাংলাদেশ উন্নত ও সমৃদ্ধ এবং স্মার্ট বাংলাদেশে পরিণত হবে।

তিনি আরো বলেন, ডিজিটাল বাংলার রূপকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতোমধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশের ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি সফলও হবেন। কারণ তিনি হচ্ছেন উন্নয়নের জাদুকর ও মানবতার মা। তাঁর হাত ধরেই এদেশ স্বল্পন্নোত দেশ থেকে মধ্যয়ের দেশে রূপান্তরিত হয়েছে। আগামী দিনের সকল চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে দেশকে উন্নয়নের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন। আমরা মনে করি জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ে সুষ্ঠু ও অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠান শুধু প্রত্যাশা নয়, যে কোনো মূল্যে আগামী নির্বাচনকে সকল দলকে অংশগ্রহণের মাধ্যমে অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হিসেবে নিশ্চিত করতে হবে। আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে দলকে সাংগঠনিকভাবে মজবুত ও শক্তিশালী করতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে কোনো কুচক্রি মহল আর যেন দলের কোন ক্ষতি করতে না পারে।

আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মুন্সি আলমঙ্গীর হান্নান, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম খাঁন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আবু মুছা, সাধারণ সম্পাদক ইয়াকুব আলী মাস্টার, সাবেক উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি লিয়াকত আলী লিপু মোল্লা, প্রচার সম্পাদক মাসুদ রানা তুহিন, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী অরুন, পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুর রহমান পিন্টু, পৌর আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, কুমারি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আবু সাইদ পিন্টু, সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক, হারদি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আশিকুজ্জামান ওল্টু, বাড়াদি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মকবুল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম লাল্টু, জেহালা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক হাসানুজ্জামান হান্নান মাস্টার, বেলগাছি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান চঞ্চল, ডাউকি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের (ভারপ্রাপ্ত) সভাপতি খবির উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক তরিকুল ইসলাম, (উৎপল,) ভাংবাড়িয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের যুগ্নসাধারণ সম্পাদক জিনারুল ইসলাম, নাগদাহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এজাজ ইমতিয়াজ বিপুল জোয়াদ্দার, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সালমুন আহম্মেদ ডন, কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি আশরাফুল ইসলাম, যুবলীগ নেতা সৈকত খান, ছাত্রলীগ নেতা আশরাফুল হক, বাদশা,অটল প্রমূখ।




আলমডাঙ্গায় ৪০ দিনের কর্মসৃজন প্রকল্প কাজের উদ্বোধন

আলমডাঙ্গা উপজেলায় ২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরের প্রথম পর্যায়ের অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচির কর্মসৃজন প্রকল্পের উদ্বোধন করা হয়েছে।

আজ শনিবার সকালে ডাউকি ও কালিদাসপুর ইউনিয়নে আনুষ্ঠানিক ভাবে এ কর্মসূচি কাজের উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহি অফিসার স্নিগ্ধা দাস। এছাড়া একযোগে ১৫ টি ইউনিয়নে কর্মসূচির কাজ শুরু হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন- উপজেলা প্রকল্প বাস্থবায়ন কর্মকর্তা মো. এনামুল হক, ডাউকি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তরিকুল ইসলাম, কালিদাসপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুল হক মিকা, পিআইও সহকারী মহাসিন মোড়ল সহ স্থানীয় ইউপি সদস্যবৃন্দ।

২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরের অতি দরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচির প্রথম পর্যায়ে উপজেলার ১৫টি ইউনিয়নে রাস্তার কাজ একযোগে শুরু হয়েছে। এতে ৪০ দিনের কর্মসূচিতে দৈনিক ৪’শ টাকা করে ১৩’শ জন শ্রমিক কাজ করছে। এতে ব্যায় ধরা হয়েছে ২ কোটি ৮ লাখ টাকা।




বিএনপিকে চোখের চিকিৎসা নিতে পরামর্শ প্রধানমন্ত্রীর

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলছেন, ‘আমি জানি, আমাদের বিরোধী দল (বিএনপি) উন্নয়নটা চোখে দেখে না। এদের আর বলার কিছু নেই, চোখ থাকতে যারা অন্ধ তাদেরকে আর কী বলবো? তাদেরকে একটা পরামর্শ দিতে পারি, আমি কিন্তু ঢাকায় একটা আধুনিক আই ইনস্টিটিউট করেছি, চোখ থাকতে যারা অন্ধ তারা সেখানে গিয়ে চোখটা দেখাতে পারে। মাত্র ১০ টাকা লাগে, বেশি লাগে না।’

আজ শনিবার (১১ নভেম্বর) কক্সবাজার রেলওয়ে স্টেশনে দোহাজারী থেকে কক্সবাজার রেলপথ প্রকল্পের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশ গত ১৫ বছরে বদলে গেছে। আওয়ামী লীগ প্রথমবার যখন সরকারে আসে, আমরা অনেকগুলো উন্নয়ন কর্মকাণ্ড হাতে নিই। বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়াই, স্বাক্ষরতার হার বাড়াই। রেল, রাস্তাঘাট, স্কুল-মাদ্রাসা সবকিছুরই কিন্তু উন্নয়ন করেছিলাম। যমুনা নদীর ওপর সেতু নির্মাণ, এর সঙ্গে রেলপথ করে উত্তরবঙ্গের সঙ্গে আমাদের সংযোগ স্থাপন হয়। রেলকে আমরা গুরুত্ব দিয়েছি, কারণ সাধারণ মানুষ অল্প খরচে যাতায়াত করতে পারে।’

তিনি বলেন, ‘পাঁচ বছর মাত্র ক্ষমতায় ছিলাম। ২০০১-এ শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করি। বাংলাদেশের ইতিহাসে এই প্রথম শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করা হয়। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় আমি গ্যাস বিক্রির করতে রাজি না হওয়ায় আমাকে ক্ষমতায় আসতে দেওয়া হয়নি- একটা চক্রান্ত করে। তাতে আমার কোনও আফসোস নেই। কারণ আমি বঙ্গবন্ধুর মেয়ে, ক্ষমতার লোভে দেশের সম্পদ কারও হাতে তুলে দিতে রাজি না।’

উল্লেখ্য, ১১ নভেম্বর দোহাজারি-কক্সবাজার রেলপথ উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ে নেটওয়ার্কের ৪৮তম জেলা হিসেবে যুক্ত হয়েছে কক্সবাজার। পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতের নগরী কক্সবাজারে এতদিন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সড়ক ও বিমান পথে পর্যটকদের আসার সুযোগ থাকলেও এখন যুক্ত হলো নতুন এক যোগাযোগ ব্যবস্থা।




হাসিনা সরকারের ‘পাশে দাঁড়িয়ে’কৌশলী বার্তা ভারতের

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগকে ক্ষমতাচ্যুত করতে আসরে নেমেছে বিএনপি-জামাত ও তাদের সমমনা দলগুলো। তাদের কট্টর আন্দোলন ও আগুন সন্ত্রাসে উত্তপ্ত দেশ। অবাধ নির্বাচন কীভাবে হবে তা নিয়ে জবাব চেয়েছে আমেরিকা ও যুক্তরাজ্য। এই প্রেক্ষাপটে শেখ হাসিনা সরকারের ‘পাশে দাঁড়িয়ে’ কৌশলী বার্তা দিয়েছে ভারত।

বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে দিল্লিতে সাংবাদিক সম্মেলনে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ৈর মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি বলেন, “ভারত বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে সম্মান করে এবং সেদেশের জনগণই তাদের ভবিষ্যতের সিদ্ধান্ত নেবেন। আমরা অন্য কোনও দেশের নীতি নিয়ে মন্তব্য করতে চাই না।” বাগচি আরও বলেন, “ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও সহযোগী হিসাবে, আমরা তাদের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে সম্মান করি এবং স্থিতিশীল, শান্তিপূর্ণ এবং প্রগতিশীল জাতি গঠনে ঢাকার লক্ষ্যে আমাদের সমর্থন অব্যাহত থাকবে।”

শেখ হাসিনা সরকারকে হঠাতে বিএনপি চতুর্থ দফায় অবরোধ কর্মসূচি দিয়েছে। রবিবার ভোর ৬টা থেকে মঙ্গলবার ভোর ৬টা পর্যন্ত চলবে চতুর্থ দফার এই অবরোধ। বিএনপির এই আন্দোলনে সরাসরি সমর্থন দেয়নি আমেরিকা। তবে আওয়ামী লীগ সরকারের দোষ-ত্রুটি খুঁজেই বেড়াচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র বলে তোপ দেগেছে ঢাকা। এবার এই প্রসঙ্গে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করল ভারত।

অপরদিকে, বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ তৈরির আহ্বান জানিয়েছে আমেরিকা। ২৮ অক্টোবর বিএনপির সমাবেশ ঘিরে সংঘর্ষ এবং দলের একাধিক নেতাকে গ্রেপ্তার কাণ্ডে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিদেশ বিষয়ক ও নিরাপত্তা নীতি সংক্রান্ত বিষয়ের শীর্ষ প্রতিনিধি জোসেপ বোরেল বলেন, “বাংলাদেশে ৮ হাজারের বেশি বিরোধী নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তারের ঘটনায় আমরা উদ্বিগ্ন। আমরা সব পক্ষকে হিংসা থেকে বিরত থাকার আবেদন জানাচ্ছি।” বাংলাদেশের আগামী সংসদ নির্বাচনে সব রাজনৈতিক দলকে যুক্ত করে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ প্রক্রিয়া নিশ্চিত হোক, এমনটা চায় কানাডার হাউস অব কমন্সের ৮ সদস্য। নিজেদের এই প্রত্যাশার কথা জানিয়ে তাঁরা প্রধানমন্ত্রী হাসিনাকে চিঠিও লিখেছেন।

বৃহস্পতিবার আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, “আগামী নির্বাচনকে হালকাভাবে নেওয়ার সুযোগ নেই। নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেবে। মনোনয়ন বাণিজ্যের জন্য হলেও তারা নির্বাচনে আসবে। তারেক জিয়া সেই সুযোগ নষ্ট করবেন না।”

বিএনপি-জামাতের ডাকা অবরোধ কর্মসূচিতে গত ১৩ দিনে রাজধানী ঢাকায় ৬৪টি গাড়িতে আগুন লাগিয়ে ও ভাঙচুর করা হয়েছে। ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) ড. মহিদ উদ্দিন বলেন, ‘রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে চতুর্থ দফায় অবরোধের ডাক দিয়েছে বিএনপি।’ ঢাকা সড়ক পরিবহণ মালিক সমিতি দাবি করেছে, বিএনপি-জামাতের অবরোধে ২০০টি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে।