মেহেরপুরের কাঁচা বাজারে কিছুটা স্বস্তি

শীতের শুরুতে পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকায় ও কয়েক দফা অবরোধের কারনে মেহেরপুরে উৎপাদিত সবজি জেলার বাইরে না যেতে পারায় মেহেরপুর শহরে কাঁচা বাজারে সবজির দাম নিয়ে ক্রেতাদের মধ্যে স্বস্তি দেখা গেছে।

গতকাল শুক্রবার ছুটির দিনে মেহেরপুর বড় বাজারের আড়ৎ ও কাচা বাজার ঘুরে দেখা গেছে,গত এক সপ্তাহ ধরে সব সবজির দাম বিগত অর্ধেকে নেমে এসেছে।ব্যাবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, পাইকারি বাজারের দামের সঙ্গে সমন্বয় করে শীতকালীন শাকসবজি বিক্রি করছেন তারা। তবে বিক্রেতারা বলছেন বাজারে সকল পণ্যের দাম কমলেও একই সাথে ক্রেতার সংখ্যাও কমে গেছে।

সরেজমিনে বড়বাজার কাঁচাবাজারে যেয়ে দেখা যায়,গত সপ্তাহে সীম বিক্রি হয়েছিল ১২০ টাকা কেজি আর এই সপ্তাহের ৩০ টাকা , কচুর দাম ১০০ টাকা কেজি থেকে কমে ৩০ টাকা, আলু ৬০ টাকা কেজি থেকে কমে হয়েছে ৪৫ টাকা কেজি, লাউ এর দাম ৫০ টাকা থেকে কমে ৩০ টাকা পিস, ফুলকপি ৮০ টাকা থেকে কমে হয়েছে ২০ টাকা কেজি, বেগুন ৮০ টাকা কেজি থেকে কমে হয়েছে ৩০ টাকা, পালংশাক ৮০ টাকা কেজি থেকে কমে ৩০ টাকা কেজি। এছাড়াও সব সবজির তুলনামূলক কমলেও অধিকাংশ বিক্রেতা বলেছেন পণ্যের দাম কমার পর বাজারে ক্রেতার সংখ্যা না বেড়ে উপরন্ত অনেক কমে গেছে।

কাঁচা বাজারের বাজার করতে আসা ফারুক নামের এক ক্রেতা বলেন, অনেকদিন পর বাজার করতে এসে আজকে কিছুটা স্বস্তি পেলাম। সকল পন্যের দাম অনেকটা সহনীয়।

হোস্টেলে থাকা কলেজ ছাত্রী নিসাত বলেন, আমরা সপ্তাহে দুইবার বাজারে আসি। এ সপ্তাহে বাজারে অনেক নতুন সবজি উঠেছে, দামও তুলনামূলক ভাবে গত সপ্তাহের তুলনায় অনেক কম।




মেহেরপুরে আওয়ামী লীগের বিভক্তির দায় জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রীর- আব্দুল মান্নান

সম্প্রতি একটি জনসভায় মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল মান্নান দাবি করেছেন মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের আজকের যে বিভক্তি এর সম্পূর্ণ দায় মেহেরপুর জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের।

তিনি আরও বলেন, ‘আগামী নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আবার ক্ষমতায় আনতে হবে, ভোট নৌকায় দিতে হবে। জামায়াত-বিএনপির নৈরাজ্যের পাশাপাশি আরেকটি নৈরাজ্য গত ১০ বছর ধরে মেহেরপুর জেলাকে গ্রাস করছে। মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের আজকের যিনি সভাপতি, তিনি মনে করেন আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতাদের কোন সিএস-আরএস রেকর্ড নাই। উনি মনে করছেন সিএস-আরএস রেকর্ড সব উনার। আজকের সভাপতি জেলা আওয়ামী লীগের ওয়ার্কিং কমিটির মিটিং ডাকেন না। নেতা কর্মীদের সাথে কথা বলতে চান না। আজকে আওয়ামী লীগের বিভক্তি হওয়ার পরও তিনি দলের সিনিয়র নেতাদের একবারও আলোচনার জন্য আহ্বান জানাননি। আমাদের সিদ্ধান্ত আমরা মেহেরপুরে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে পরিবর্তন চাই। পরিবর্তন করে দলীয় সভানেত্রী যাকে মনোনয়ন দেবেন তার পক্ষে সম্মিলিতভাবে কাজ করে আমরা নৌকাকে বিজয়ী করবো। বিভিন্ন সংস্থা, গোয়েন্দা সংস্থার দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের ও সাংবাদিকদের আমি অনুরোধ করছি আপনারা আওয়ামী লীগের সভানেত্রীর কাছে তুলে ধরুন।আমরা পরিবর্তন চাই।’




মেহেরপুরে আলুর বীজের চড়া দামে লোকসানের শঙ্কায় কৃষক

মেহেরপুরে চলতি মৌসুমে আলুর বীজের দাম দ্বিগুণ হওয়ায় পণ্যটি চাষ করে লাভ তোলা নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন কৃষকরা।সরকারিভাবে গত বছর কার্ডিনাল ও ডায়মন্ড আলুর বীজ ৩০ থেকে ৩২ টাকা এবং এরিস্টন জাতের আলুর বীজ বিক্রি হয় ৩৫ টাকা কেজিতে।

সেখানে চলতি বছরে কার্ডিনাল ও ডায়মন্ড আলুর বীজ সরকারি দাম নির্ধারণ করা হয় ৫৬ টাকা। আর এরিস্টন জাতের আলুবীজ বিক্রির দাম নির্ধারণ করা হয় ৬০ টাকা। অথচ খুচরা বাজারে ডায়মন্ড আলু বিক্রি হচ্ছে ৬৫ টাকা করে। আর এরিস্টন বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা করে। কার্ডিনাল আলুর বীজ বিএডিসি কর্তৃক শেষ হওয়ায় বাজারে তার দেখা মিলছে না।

কৃষকদের বিঘাপ্রতি জমিতে আলু চাষের জন্য ছয় মণ হারে বীজের প্রয়োজন হয়। এর সঙ্গে অন্যান্য খরচ যোগ করলে এক বিঘা আলু চাষে কৃষকের বতর্মান সময়ে খরচ পড়বে ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা করে, গত বছর যেটি ছিল ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা।

কৃষকদের অভিযোগ, দ্রব্যমূলের ঊর্ধ্বগতির দোহাই দিয়ে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে আলুর দামে বাড়িয়েছে, যার ফলে বেড়ে গেছে আলুবীজের দাম। বাজারে সব জিনিসের দাম বাড়ার পাশাপাশি অধিক দামে আলুবীজ কিনে চাষ করার পরে যখন আলু উৎপাদন শেষে বাজারে বিক্রি করতে যান, ঠিক তখনই আলুর দাম কমে যায়। তখন উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ায় লোকসানে পড়তে হয়।

আর কৃষি বিভাগ বলছে, বতর্মানে আলুর বাজারদর একটু বেশি থাকায় বীজের দাম বেড়েছে। উৎপাদন বাড়লেই আলুর দাম কমে যাবে। তা ছাড়া আলুর বীজের তেমন কোনো সংকট নেই।

মেহেরপুরের গাংনীর কাজিপুর গ্রামের কৃষক হাকিম আলী বলেন, ‘আমরা গত বছর প্রতি কেজি আলুর বীজ কিনেছি ৩০ থেকে ৩৫ টাকা করে। এ বছর তার দাম বেড়ে হয়েছে ৬৫ থেকে ৭০ টাকায়। ৩০ টাকায় বীজ কিনে আলু উৎপাদন করেও গত বছর আলুর বাজারে দাম কম পাওয়ায় লোকসান হয়েছে। আর এ বছর সার, কীটনাশক, সেচ, শ্রমিক ও বীজের দাম বেশি। তাতে উৎপাদন খরচ বেড়ে গেছে।

বতর্মানে এক বিঘা আলু চাষ করতে প্রায় ৩০ হাজার টাকার প্রয়োজন পড়বে, যা সব কৃষকের পক্ষে জোগাড় করা এক প্রকার অসম্ভব।

নওদাপাড়া গ্রামের কৃষক রাজা আহমেদ বলেন, ‘নিম্ন আয়ের মানুষ যেটিই পছন্দ করবে, তারই দাম বেড়ে যাবে। মনে করছিলাম এ বছর দুই বিঘা জমিতে আলুর চাষ করব, তবে আলুর বীজের যে দাম, তাতে করে আলু চাষ করে জয়ী হওয়া যাবে না। বর্তমানে সার, বীজ, বিষ ও জমির লিজ খরচ দিয়ে আলু চাষে যে পরিমাণ খরচ হবে, ভরা মৌসুমে আলু বিক্রি করে সেই টাকা উঠবে না। কারণ আমাদের যে সময় আলু উৎপাদন শেষে বাজারে নিয়ে যাব, তখন আলুর দাম একবারে কমে নিচে গিয়ে ঠেকবে। আর তখনই লস হবে।

আলু বীজ বিক্রেতা আবদুল মালেক বলেন, ‘এ বছর বীজ অথবা খাবার আলু দুটোর দামই বেশি। গতবার আমরা যে আলুর বীজ এই সময় ৩০ থেকে ৩২ টাকায় বিক্রি করেছি, এবার তার দাম বেড়ে দ্বিগুণ হয়ে গেছে। ফলে অনেক চাষিই আলু চাষে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে।

‘কেননা এত টাকা খরচ করে আলু উৎপাদন শেষে বাজারে বিক্রি করার সময় কৃষকরা আলুর দাম পায় না।’

এ বিষয়ে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রশিক্ষণ অফিসার মো. সামসুল আলম বলেন, ‘চলতি মৌসুমে আলু বীজের দাম অন্য বছরের তুলনায় বেশি। কারণ বাজারে খাওয়ার আলুর দাম বেশি হওয়ায় এমনটি হয়েছে।

‘জেলায় এ বছর ৮৬০ হেক্টর জমিতে আলু চাষের সম্ভবনা রয়েছে, যা কিনা গত বছরের সমান। কৃষকরা যত বেশি আলু চাষ করবে, তত বেশি উৎপাদন বাড়বে। উৎপাদন বাড়লেই আমদানি নির্ভরতা কমবে এবং আলুর বাজারদর কমে আসবে। তাই উৎপাদনের বিকল্প নেই।




গাজায় নিহত ১১ হাজার ছাড়িয়েছে, ১০ মিনিটে প্রাণ হারাচ্ছে ১ শিশু

গাজায় নিহত ১১ হাজার ছাড়িয়েছে, ১০ মিনিটে প্রাণ হারাচ্ছে ১ শিশুফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় দখলদার ইসরাইলের হামলায় নিহতের সংখ্যা ১১ হাজার ছাড়িয়েছে। নিহতদের প্রায় সবাই শিশু, নারী ও বেসামরিক নাগরিক। গাজায় প্রতি ১০ মিনিটে একজন শিশুর মৃত্যু হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক টেড্রোস আধানম গেব্রিয়াসুস।

শুক্রবার গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, ইসরাইলি হামলায় শহরে নিহত হয়েছেন কমপক্ষে ১১ হাজার ৭৮ জন। এর মধ্যে ৪ হাজার ৫০৬ জন শিশু। গাজায় নিহত নারীর সংখ্যা ৩ হাজার ২৭ জন। খবর আনাদোলু এজেন্সির।

ইসরাইলি বাহিনীর ভয়াবহ বিমান হামলায় গাজা সিটির আল-বুরাক স্কুলে অন্তত ৫০ জন নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (১০ নভেম্বর) এ হামলার ঘটনা ঘটে। গাজার বৃহৎ চিকিৎসাকেন্দ্র আল-শিফা হাসপাতালের পরিচালক জানিয়েছেন, হামলার পর হাসপাতালে এসব মরদেহ নিয়ে আসা হয়।

গাজায় আঘাতপ্রাপ্ত অসংখ্য ব্যক্তি এবং গর্ভবতী নারীদের সন্তান প্রসবের ক্ষেত্রে চিকিৎসকরা কোনো রকম চেতনানাশক ছাড়াই অস্ত্রোপচার করছেন।

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় জ্বালানি সংকটে বন্ধ হয়ে গেছে সেখানকার অন্যতম আল শিফা হাসপাতাল। গত ৪৮ ঘণ্টায় বন্ধ হয়ে গেছে আরও ৩টি হাসপাতাল। এ ছাড়া আল কুদস হাসপাতালের আইসিইউতে হামলা চালিয়েছে ইসরাইল। গাজার স্বাস্থ্যব্যবস্থা ভয়াবহ আকার নিয়েছে বলে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদকে সতর্ক করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রধান টেড্রোস আধানম গেব্রিয়াসুস।

গাজার সবচেয়ে বড় হাসপাতালগুলোর একটি ইন্দোনেশিয়ান হাসপাতালও বিদ্যুৎ সংকটে বন্ধ হয়ে গেছে। গাজার আরেকটি হাসপাতাল আল কুদসের আইসিইউ লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়েছে। রোগীতে পরিপূর্ণ থাকা আল শিফা হাসপাতালও জ্বালানি সংকটে বন্ধ হয়ে গেছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান শুক্রবার বলেছেন, গাজার অর্ধেক হাসপাতালই অকার্যকর হয়ে পড়েছে। ফিলিস্তিনি উপত্যকার স্বাস্থ্যব্যবস্থা চূড়ান্ত সীমায় রয়েছে। ইসরাইল-ফিলিস্তিন সংঘাত নিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের অধিবেশনে তিনি বলেন, গাজার ৩৬টি হাসপাতাল এবং এর দুই-তৃতীয়াংশ প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রের অর্ধেকই কাজ করছে না। যেগুলো কাজ করছে তারা তাদের সামর্থ্যের বাইরে কাজ করছে।

তিনি বলেন, গাজার স্বাস্থ্যব্যবস্থা চূড়ান্ত সীমায় রয়েছে। তবু কোনো না কোনোভাবে জীবন রক্ষার জন্য লড়াই অব্যাহত রয়েছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বলেন, সেখানকার স্বাস্থ্যকর্মীদের এখন ওষুধ, চিকিৎসা সরঞ্জাম ও জ্বালানির প্রচণ্ড প্রয়োজন। সেখানে প্রতি ১০ মিনিটে একটি শিশুর মৃত্যু হচ্ছে। প্রায় ১৫ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। তবে সেখানে কোথাও এবং কেউ নিরাপদ নয়।

ডব্লিউএইচও প্রধানের মতে, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে চারটি হাসপাতালের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে জ্বালানির অভাবে। হাসপাতালগুলোতে আনুষ্ঠানিকভাবে ৪৩০ শয্যা ছিল। তবে এর চেয়েও অনেক বেশি রোগীকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল। ইসরাইলের হামলায় গাজায় এখন পর্যন্ত শতাধিক জাতিসংঘের কর্মী নিহত হয়েছেন।

গত ৭ অক্টোবর ইসরাইলে প্রবেশ করে এক আকস্মিক হামলা চালান হামাসযোদ্ধারা। এতে এক হাজার ৪০০ জন নিহত হন। এ ছাড়া আরও দুই শতাধিক ব্যক্তিকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে গেছে হামাস। এ ঘটনার পর থেকেই গাজার ওপর হামলা চালাচ্ছে ইসরাইলি বাহিনী।

সম্প্রতি জাতিসংঘ বলেছে যে, গাজা শিশুদের কবরস্থান হয়ে উঠছে। এটি একটি যুদ্ধবিরতির দাবিকে বাড়িয়ে তুলছে। এর আগে জাতিসংঘের সংস্থার প্রধানরা গাজায় যুদ্ধবিরতির জন্য বিরল যৌথ আবেদন করেছেন। জাতিসংঘের ১৮টি সংস্থার নেতারা ইসরাইল-হামাস যুদ্ধে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন। সেখানে ইসরাইলের ভয়াবহ হামলায় মৃতের সংখ্যায় হতবাক হয়েছেন তারা। এ নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন সংস্থাগুলোর প্রধানরা।

সূত্র যুগান্তর




আলমডাঙ্গায় ভুয়া পুলিশের এসআই সোহেল রানা গ্রেপ্তার

পুলিশ না হয়েও পুলিশের এসআই পরিচয়ে প্রতারণার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে মো. সোহেল রানা নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ।

গতকাল  শুক্রবার রাত ৯ টার দিকে উপজেলার কালিদাসপুর ইউনিয়নের রেল জগন্নাথপুর এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।

পুলিশের ভুয়া এসআই সোহেল রানা (২৭) কুষ্টিয়া জেলার মিরপুর উপজেলার আমবাড়িয়া গ্রামের আজিবর রহমানের ছেলে। ইতিপূর্বেও তার বিরুদ্ধে মেহেরপুর ও চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় পুলিশ পরিচয়ে প্রতারণার পৃথক দুটি প্রতারণার মামলা রয়েছে।

আলমডাঙ্গা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) হাদিউজ্জামান জানান, গতকাল শুক্রবার রাতে উপজেলার জগন্নাথপুর এলাকায় ডিউটি করার সময় এক ব্যক্তির গতিবিধি সন্দেহজনক হওয়ায় পরিচয় জানতে চাওয়া হয়। এ সময় ওই প্রতারক নিজেকে কুষ্টিয়া সদর থানায় কর্মরত এসআই হিসেবে পরিচয় দেন। তার কাছে থাকা পুলিশ আইডি কার্ড দেখতে চাইলে সে টালবাহানা করেন। পরে কুষ্টিয়া সদর থানায় তার তথ্য জানতে চাইলে সে পালানো চেষ্টা করে। এ সময় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার কাছ থেকে একটি হ্যান্ডকাপ উদ্ধার করে পুলিশ।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্য সম্পর্কে আলমডাঙ্গা থানার ওসি বিপ্লব কুমার নাথ জানান, সে পুলিশ পরিচয়ে বিভিন্ন এলাকায় প্রতারণা করে। তার বিরুদ্ধে ইতিপূর্বে দুটি প্রতারণার মামলাও রয়েছে। আলমডাঙ্গা থানাও একটি প্রচারণা মামলা রুজু হয়েছে।




দর্শনা প্রেসক্লাবের সদস্যদের সাথে মনোনয়ন প্রত্যাশি শাহরিয়ার লল্টু মতবিনিময়

চুয়াডাঙ্গা-২ আসন থেকে দখলবাজ,স্বর্ণ চোরাচালান,মাদক কারবারী ও দৃনির্তি মুক্ত করার প্রত্যয় নিয়ে মাঠে নেমেছে নৌকা প্রতিকের মনোনয়ন প্রত্যাশি বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর্জা শাহরিয়ার মাহমুদ লন্টু।

গতকাল সন্ধায় মতবিনিময় সভায় প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী দর্শনা প্রেসক্লাবের উন্নয়নে আনুদান প্রদান করেন। এসময় তিনি যুদ্ধকালিন স্মৃতি চারণ করতে গিয়ে বলেন, ১৯৭১ সালে মদনা গ্রামে সমর সম্মুখ যুদ্ধে আমার বেঁেচ থাকার কথা ছিলো না। মহান আল্লাহ সেদিন আমাকে বাঁিচয়ে ছিল। সেই থেকে আমি আমার এলাকায় পিছু টানে। আমার বড় ভাই মীর্জা সুলতান রাজার স্বপ্ন পূরণে আমার এলাকা জীবননগর ও দামুড়হুদা উপজেলার মানুষের উন্নয়নে কাজ করার ইচ্ছা রয়েছে। মাননীয় প্রধান মন্ত্রি যদি আমাকে নৌকা প্রতিক দিয়ে মনোনীত করেন তাহলে আমি বিজয় হয় এলাকার মানুষের জন্য কাজ করে যাবো।

তিনি আরো বলেন, নিয়োগ বানিজ্য, মাদক চোরাচালান,স্বর্ণ পাচার ও টেন্ডার বাজি ও দখল মুক্ত করতে কাজ করে কাজ করবো।

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, যুদ্ধকালিন দামুড়হুদা ও আলমডাঙ্গ এ্কাংশের গেরিলা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা হাফিজুর রহমান জোয়ার্দ্ধার।

আরো উপস্থিত ছিলেন, বিটিভির চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রতিনিধি সাংবাদিক রাজন রাশেদ, দর্শনা প্রেসক্লাবের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম, সাবেক সভাপতি আওয়াল হোসেন, সাংবাদিক সমিতির সভাপতি ইকরামুল হক পিপুল, সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবিব মামুন, এফ এ আলমগীর, চঞ্চল মেহমুদ, আব্দুর রহমান,ওয়াসীম রয়েল ও ফরহাদ হোসেন প্রমুখ। মতবিনিময়সভা পরিচালনা করেন ইকরামুল হক পিপুল।




কর্মসূচি দিয়ে বিএনপি নেতারা কেন আত্মগোপনে?

বিএনপির দুটি ডেডলাইন। এক ১০ ডিসেম্বর, দুই ২৮ অক্টোবর। এই দুই তারিখে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হবে বলে ঘোষণা দেয় বিএনপি। ১০ ডিসেম্বর কিছুই হয়নি। একই ভাবে ২৮ অক্টোবরের পরও এখনও ক্ষমতায় আছে আওয়ামী লীগ। কিন্তু ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে যে সহিংসতা হয়েছে, তার দায় এড়াতে পারেনা দলটি। রাজনীতির নামে এই আগুন সন্ত্রাসের কারণে টানা

‘শান্তিপূর্ণ’আন্দোলন করা এই দলটির নেতারা এখন ছন্নছাড়া। গ্রেপ্তার হয়েছেন অনেক কেন্দ্রীয় নেতা। আত্মগোপনে প্রায় নেতা। স্যোশাল মিডিয়াতে অবরোধ কর্মসূচি দিয়ে দায় ছাড়ছে বিএনপি। এতে দ্বিধা-দ্বন্দ্বে মাঠ পযায়ের নেতাকর্মীরা।

২৮ অক্টোবরের সহিংসতার পরই গ্রেপ্তার হন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জম হোসেনসহ বেশ কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য নেতাদের আর মাঠে দেখা যায়নি। দলীয় কার্যালয়ও তালা মেরে রাখা হয়েছে। শুধু গোপন স্থান থেকে স্যোশাল মিডিয়ায় লাইভে এসে সরকারের সমালোচনা করে কর্মসূচি ঘোষণা করছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। এছাড়া বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খানসহ কেন্দ্রীয় নেতাদের প্রকাশ্যে দেখা যাচ্ছে না। তারা কোথায় আছেন কেউ জানেন না। অথচ তারা জনসভায় গরম গরম কথা বলে কর্মীদের উজ্জিবিত করেছেন। সরকারের পদত্যাগ না করা পর্যন্ত ঘরে ফিরে যাবেন না বলেও নেতাকর্মীদের সামনে প্রতিজ্ঞাও করেছিলেন।

নিজ দলের নেতাদের উপর ভরসা রাখতে পারছেন না মাঠ পর্যায়ের বিএনপির কর্মীরা। কারণ ঈদের পর আন্দোলন, ৩১ দফা-১০ দফা-১ দফা আন্দোলন, ১০ ডিসেম্বরের পরে খালেদা জিয়ার কথায় দেশ চলবে এরকম অবান্তর কথাবার্তা আর বারবার আন্দোলনে ব্যর্থ হওয়ায় অনেক আগেই বিএনপির হাই কমান্ড থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল তারা। সর্বশেষ ২৮ অক্টোবর মহাসমাবেশ করে চূড়ান্ত আন্দোলনের মাধ্যমে সরকার হঠানো হবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল বিএনপির হাই কমান্ড। এতে নতুন করে তৃণমূলের কর্মীদের মধ্যে আশার সঞ্চার হয়েছিল। কিন্তু ২৮ অক্টোবর পার হয়ে গেলেও সরকার পতনের কোন নামগন্ধ নেই। বরং ২৮ তারিখই হঠাৎ করে সমাবেশ স্থগিতের ঘোষণা দিয়ে সমাবেশস্থল থেকে একপ্রকার পালিয়ে যেয়ে তৃণমূলের নেতা কর্মীদের হতাশ করেছিল বিএনপির হাই কমান্ড।

কেন্দ্রীয় নেতাদের মতবিরোধ, হরতাল-অবরোধে কর্মীদের মাঠে নামিয়ে দিয়ে কেন্দ্রীয় নেতাদের রাজপথে অনুপস্থিতি, সব মিলিয়ে এবার পুরোপুরি হতাশায় বিএনপির মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীরা। এর প্রমাণও ইতিমধ্যে পাওয়া গেছে। দল হরতাল ও অবরোধের মত কঠোর কর্মসূচি দিলেও দেশের বেশিরভাগ এলাকাতেই নেতাকর্মীদের হরতালের পিকেটিং বা অবরোধ সফল করে তুলতে মাঠে দেখা যায়নি।

সাধারণত রাজনৈতিক আন্দোলনে নেতারা সব সময় থাকেন সামনের সারিতে। কারণ তিনি তাঁর দলের কর্মীদের পথপ্রদর্শ। ইতিহাসও তাই বলে। ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে সামনের কাতারে ছিলেন মহাত্মা গান্ধী। বাঙালির মুক্তি সংগ্রামের আন্দোলনে রাজপথে সব সময় সক্রিয় ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। এরশাদবিরোধী আন্দোলনে জনতার কাতারে ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা। ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে রাজপথে আন্দোলনও করেছেন তিনি।

২০০১ থেকে ২০০৬ সালে বিএনপিবিরোধী ধারাবাহিক সংগ্রামে শেখ হাসিনার সাথে রাজপথে মিছিলের সামনে থেকেছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা। পুলিশের নির্যাতন সহ্য করেও মাঠ ছেড়ে যাননি তারা। শুধু ব্যতিক্রম বিএনপির ক্ষেত্রে। দলটির নেতারা বড় বড় কথা বলে মাঠ পর্যায়ের কর্মীদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। অথচ আন্দোলনের সময় মাঠে নেই কোনো নেতা। কেউ কেউ গ্রেপ্তার হলেও বেশিরভাগ নেতা আত্মগোপনে চলে গেছেন। কর্মীদের কথা তারা ভাবছেন না তারা। বিএনপির মাঠ পর্যায়ের কর্মীদের মধ্যে এখন হতাশা বিরাজ করছে। অনেকে বলছেন, বিএনপি কেন্দ্রীয় নেতাদের কর্মকাণ্ড দেখে মনে হচ্ছে- কর্মীদের গাছে তুলে মই কেড়ে নেওয়া হয়েছে।

রাজনৈতিক আদর্শ না থাকলে কোনো নেতাই কর্মীদের কাতারে থাকেন না। যাদের দেশ ও কর্মীদের জন্য দরদ নেই তারাই এমন কর্মকাণ্ড করতে পারেন। অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে, কর্মীদের তারা ক্ষমতায় যাওয়ার ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে। তথ্য প্রমাণ বিশ্লেষণ করে কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি) এমনটিই ইঙ্গিত করেছেন।

মঙ্গলবার ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সিটিটিসি প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান জানিয়েছেন, গত ২৮ অক্টোবর কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাবেক সদস্য সচিব আমান উল্লাহ আমান তার অনুসারীদের নিয়ে নয়াপল্টনের মঞ্চের পাশে অবস্থান নেয়। মঞ্চে অবস্থিত বিএনপির এবং ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নেতাদের নির্দেশনা ছিল পুলিশের ওপর বর্বরোচিত ও নৃশংস হামলার মাধ্যমে পুলিশের মনোবল ভেঙ্গে দেওয়া। প্রয়োজনে এক বা একাধিক পুলিশ সদস্যকে হত্যার মাধ্যমে দেশে একটি অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করা, যাতে করে একটি নতুন ইস্যুর সৃষ্টি হয়।

সিটিটিসির তথ্য বলছে, অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করতে কর্মীদের দিয়ে নাশকতা চালিয়েছে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা। মাঠ পর্যায়ের কর্মীদের কথা তারা চিন্তা করেনি। অথচ তাদের নেতা হওয়া উচিত, যারা কর্মীদের ভালো-মন্দ বোঝেন। কর্মীদের বিপদে সবার আগে সামনে দাঁড়ান। বিএনপি নেতাদের অবস্থার ঠিক তার উল্টো। নিজেদের মঙ্গলের জন্য সবার আগেই তারাই আত্মগোপনে গেছেন। কর্মীদের কথা কেউ ভাবছেন না। এখন কর্মীরাও সেটি বুঝতে পারছেন। ধারাবাহিক অবরোধ কর্মসূচি দিলেও সারাদেশে মাঠ পর্যায়ে দেখা মিলছে না কর্মীদের। এসব ঘটনা থেকে কেন্দ্রীয় নেতাদের বোঝা উচিত, তৃণমূলের কর্মীরা কী চাইছেন। শুধু গোপন স্থানে থেকে কিংবা লন্ডন থেকে ভিডিও বার্তা দিয়ে এখন তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের চাঙ্গা করতে পারবেনা দলটি।

বিএনপি দুই বার ডেডলাইন দিয়েও বর্তমান সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করাতে পারেনি। এতদিন নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার যে দাবি বিএনপি করে আসছিল ২ নভেম্বর পার হয়ে যাওয়ায় সেই সুযোগ আর নেই। বর্তমানে সরকার চাইলেও নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা আর চালু করতে পারবেনা। নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করতে হলে সংসদে দুই তৃতীয়াংশের বেশি সদস্যের সমর্থনে সংবিধান সংশোধন করতে হবে। কিন্তু ২ নভেম্বর বর্তমান জাতীয় সংসদের শেষ অধিবেশন সমাপ্ত হয়ে গেছে। তাই এখন সরকার রাজী হলেও বিএনপির দাবি অনুসারে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা আইনগতভাবে করার সুযোগ নেই।

আত্মগোপনে থাকা বিএনপি কেন্দ্রীয় নেতাদের সামনে এখন দুটি পথ খোলা- হয় নির্বাচনে অংশ নিতে হবে অথবা নির্বাচন বর্জন করতে হবে। বিএনপি যেহেতু নির্বাচন মুখী দল তাই তৃণমূল নেতা-কর্মীদের আগ্রহ নির্বাচন নিয়ে। এমনিতে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে বর্জন করায় অনেকে নেতাকর্মী হতাশ হয়েছেন। কেউ কেউ দলের বাইরে গিয়ে নির্বাচন করেছেন, অনেকে জিতেছেনও। আগামী জাতীয় নির্বাচনে যদি বিএনপি অংশগ্রহণ না করে, তাহলে দলের কর্মীদের ধরা রাখা কঠিন হয়ে পড়বে বলে মনে করেন জেলা পর্যায়ের নেতারা। এখন বিএনপি কী মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীদের কথা বিবেচনা করবে নাকি ২০১৮ সালের মতো নির্বাচন বর্জন করবে সেটিই দেখার বিষয়।

লেখক: গণমাধ্যমকর্মী।




দামুড়হুদার চিৎলায় আওয়ামীলীগের শান্তি-উন্নয়ন সমাবেশ অনুষ্ঠিত

দামুড়হুদার চিৎলার মোড়ে শান্তি-উন্নয়ন সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শুক্রবার বিকাল ৪টার সময় বিএনপি জামায়াতের নৈরাজ্য ও অবৈধ হরতাল-অবরোধের প্রতিবাদে দামুড়হুদার চিৎলার মোড়ে শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

দামুড়হুদা উপজেলা আওয়ামী, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের আয়োজনে শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের ত্র্যাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক উপকমিটির সদস্য মো হাশেম রেজা।

দামুড়হুদা সদর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের ৫নং ওয়ার্ড সভাপতি আবুল কাশেমের সভাপতিত্বে এসময় বিশেষ অতিথি ছিলেন জুড়ানপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সহসভাপতি মো আইন উদ্দিন মন্ডল, নাটুদহ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সহসভাপতি ইন্নাল শেখ, নতিপোতা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সহসভাপতি মোহাম্মদ আলী, জীবননগর উথলী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের ৯নং ওয়ার্ড সভাপতি সরফরাজ আলী, মদনা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল করিম, জুড়ানপুর ইউনিয়ন কৃষকলীগের ১নং ওয়ার্ড সভাপতি শরিফ উদ্দীন, কুড়ুলগাছি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের নেতা আবু কাইজার মাস্টার, মদনা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের নেতা আবেদ বিশ্বাস, নতিপোতা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের নেতা পিজির আলী, নাটুদহ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের নেতা জসিম উদ্দিন খান, আওয়ামী লীগ নেতা জান মোহাম্মদ, আবদুল হামিদ, জীবননগর পৌর যুবলীগের সাবেক সহ সভাপতি জসিম উদ্দিন মিন্টু, চুয়াডাঙ্গা জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ সভাপতি নাসির উদ্দীন।

এসময় অতিথি ছিলেন দামুড়হুদা উপজেলা যুবলীগ নেতা হাবিবুর রহমান হাবি, মশিউর রহমান তুশার, রিংকু, শাকিল আহমেদ, বকুল ও আ:কুদ্দুস প্রমুখ।




স্থিতিশীল রাজনীতিতে বিদেশি শক্তির প্রভাব

আমরা যাঁরা বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশের সাহিত্য ও সংস্কৃতির ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণে তত্ত্বের আশ্রয় নিয়ে থাকি তাঁরা বর্তমান বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতিও তত্ত্বের বাইরে গিয়ে এড়াতে পারি না। বিশেষত বিভিন্ন সময়ে সাহিত্য সমালোচনার খাতিরে ‘উপনিবেশবাদ’, ‘উত্তর-উপনিবেশবাদ’, ‘নয়া উপনিবেশবাদ’ ইত্যাদি তত্ত্বের প্রয়োগ চোখে পড়ে। অথচ বর্তমানে বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিদেশি শক্তির যে প্রভাব, সেটি নিয়ে কারো ‘নয়া ঔপনিবেশিক’ কোনো বিশ্লেষণ চোখে পড়ছে না। বিষয়টি ভাবায় একারণে, নিকট অতীতেও যাঁরা বাংলাদেশে ‘সাম্রাজ্যবাদ’, ‘হেজিমনি’ ইত্যাদি নিয়ে সরব ছিলেন তাঁরাও বর্তমান পরিস্থিতিতে বিদেশি শক্তির প্রভাব নিয়ে সেরকম দৃষ্টিভঙ্গিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বা অন্যত্র বক্তব্য দিচ্ছেন না।

শুরুতে বলা প্রয়োজন, বর্তমান রাজনীতিতে বিদেশি শক্তির প্রভাব সৃষ্টি-প্রয়াসের ধরন নিয়ে। পশ্চিমা দেশগুলো, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সংলাপের তাগাদা দেওয়া হচ্ছে। মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস রাজনৈতিক দলগুলোকে সংলাপে বসার আহ্বান জানান। জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরেস বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণ, অংশগ্রহণমূলক এবং বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন প্রক্রিয়ার আহবান জানিয়েছেন।

অন্যদিকে, গত ৩১শে অক্টোবর ঢাকায় নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারা কুক বৈঠক করেন আওয়ামী লীগ প্রতিনিধি দলের সাথে। সেখান ব্রিটিশ হাইকমিশনার অবাধ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচনী পরিবেশ সৃষ্টির উপর জোর দিয়েছেন। এভাবেই সম্প্রতি বিদেশি শক্তি দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নগ্নভাবে হস্তক্ষেপ করে চলেছে। তাদের কথাবার্তা এবং ভূমিকা নিরপেক্ষ মনে হচ্ছে না। তাদের অভিপ্রায়ে একটি দলের ‘মুখপাত্রের’ ভূমিকা পরিলক্ষিত হচ্ছে। যেকারণে বিদেশি শক্তির এমন ভূমিকাকে যথেষ্ট সন্দেহের চোখেই দেখবার সুযোগ তৈরি হয়েছে। বিদেশি শক্তির এমন প্রভাবকে কর্তৃত্ববাদী আচরণ হিসেবেই তাত্ত্বিকভাবে উপস্থাপন করা যায়। যাকে বলা যায় ‘নয়া উপনিবেশ’। সেই সূত্রে যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান আচরণে নয়া উপনিবেশের অন্যতম একটি উদ্দেশ্য, ‘রাজনৈতিক নিয়ন্ত্রণ’ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তবে কি তাদের উদ্দেশ্য জোর করে অন্য কাউকে ক্ষমতায় বসানো, যাতে পরবর্তীকালে এদের সহায়তায় বাংলাদেশে তাদের রাজনৈতিক নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠিত হয়, যেটি আওয়ামী লীগ সরকার করতে দিতে রাজি নয়?

বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা পুরোপুরি কলোনিয়াল বা নয়া ঔপনিবেশিক লক্ষণাক্রান্ত। বিএনপির সভা-সমাবেশ বা কর্মসূচির ধরন দেখে এটি পরিস্কার, দলটি চায় যেকোনো মূল্যে ক্ষমতা। নির্বাচন তাদের কাছে কোন বিষয় নয়। নির্বাচন যদি সুষ্ঠুও হয় আর তাতে যদি আওয়ামী লীগ জয় লাভ করে তাতেও তারা নির্বাচনকে সুষ্ঠু বলবে না। বরং বিদেশি শক্তির প্রভাবকে কাজে লাগিয়ে ক্ষমতায় যাওয়াই তাদের মুখ্য উদ্দেশ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। একারণে, নিজেদের দল গোছানো, সংলাপে সাড়াদান এসবে তাদের কোনো আগ্রহ নেই। নির্বাচনের সময় এলেই দলটির ক্ষমতার কথা মনে পড়ে, সংবিধান মেনে নির্বাচন হওয়াটা তাদের কাছে বড় বিষয় নয়।

দেশের বিদ্যমান পরিস্থিতিতে এটা স্পষ্ট, বিএনপি চায় ‘ক্ষমতা’, আর তারা মনে করছে বিদেশি শক্তি তাদের মুখে তুলে খাইয়ে দিবে তা। কিন্তু বিদেশি শক্তির ভূমিকাকে এত সরল করে দেখার সুযোগ নেই। সেকারণেই তারা অনধিকার চর্চায় নানা বিষয়ে হস্তক্ষেপ করছে। ঘোলা জলে মাছ শিকারের অপেক্ষায় আছে। বাংলাদেশ যতই বলুক, ‘বাংলাদেশ কোন রাষ্ট্রের সাথেই বৈরিতা চায় না, সবার সাথেই বন্ধুত্ব চায়।’ তাতে বিদেশি শক্তির কিছু এসে যায় না। নয়া উপনিবেশ প্রতিষ্ঠা যাদের লক্ষ্য তারা বিএনপিকে ব্যবহার করে দেশে ‘ডলার সাম্রাজ্যবাদ’ প্রতিষ্ঠা করতে চাইছে। ক্ষমতার মোহে অন্ধ যারা তারা এখন এটি বুঝবে না। ব্যবহৃত হওয়ার পর বুঝেও লাভ নেই। কারণ, জনগনের শক্তিকে না জাগিয়ে বিদেশ ভক্তি যারা করে তাদের কপালে বাংলাদেশের ক্ষমতা কখনো জুটবে বলে মনে হয় না। আমার কাছে মনে হয়, এরা দেশই বুঝে না এবং সময়ের ভাষা বুঝতে পারার মধ্যে নেই! যেকোনো রাজনৈতিক দলের জন্য এটি বড় ব্যর্থতা!

‘শর্তহীনভাবে সংবিধানের মধ্যে থেকে আলোচনায় রাজি থাকলে সংলাপে যেতে আপত্তি নেই আওয়ামী লীগের।’—আওয়ামী লীগকে এই যৌক্তিক দাবির বাইরে নেয়ার মত সামর্থ্য বিএনপির আপাতত নেই। থাকলে নিজ দেশের জনগণের ওপর নির্ভর করত তারা। বিদেশি ভুয়া উপদেষ্টার জন্ম দিয়ে, বিদেশি শক্তির ওপর ভর করে নয়া উপনিবেশের নব্য রাজাকারের ভূমিকায় দলটি যেতে চাইত না। বর্তমানে বিদেশি শক্তির চাওয়া আর বিএনপির চাওয়ার মধ্যে পার্থক্য করা যাচ্ছে না।

কাজেই আওয়ামী লীগ যেভাবে বিদেশি শক্তির প্রভাব উপেক্ষা করেই নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যেতে চাইছে সেটি আসলে নয়া উপনিবেশের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ। নিজ দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষারও লড়াই। অন্যদিকে নব্য রাজাকারের দল ও দোসর এদেশের সংবিধান মানবে সে প্রত্যাশা কেউই করে না। বর্তমানে যে দলগুলো বিদেশি শক্তিকে সহযোগিতা করতে ইচ্ছুক নয় সেই দলগুলোই নির্বাচনে আসবে। বিদেশি শক্তি কি একে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন বলবে? নিজ স্বার্থের বিরুদ্ধে গেলে কখনোই বলবে না। ফলে বিদেশি শক্তির প্রভাব এড়াতে সংবিধান মেনেই নির্বাচন হওয়া উচিত। আশাকরি, আওয়ামী লীগ বিদেশি শক্তির কাছে নতি স্বীকার করবে না।

রাশিয়া, চীন কিংবা ভারত, তারা বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলাচ্ছে না। যুক্তরাষ্ট্র নয়া উপনিবেশের মানসিকতা থেকেই এটি করছে। যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস তাই উপনিবেশের শৃঙ্খল হাতে ছুটে চলেছেন!
বাংলাদেশের স্থিতিশীল রাজনীতিতে বিদেশি শক্তি তাদের নিজস্ব এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য যে প্রভাব সৃষ্টি করতে চাইছে তা রুখে দিতে এদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বে বিশ্বাসী মুক্তিকামী প্রতিটি মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে।

লেখক: কথাসাহিত্যিক ও সহযোগী অধ্যাপক, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়, ত্রিশাল, ময়মনসিংহ।




আলমডাঙ্গার কালিদাসপুরে শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ

আলমডাঙ্গা উপজেলার কালিদাসপুরে বিএনপি-জামায়াত চক্রের দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র, আগুন সন্ত্রাস, নৈরাজ্য ও অপতৎপরতার প্রতিবাদে শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টার দিকে কালিদাসপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে ইউনিয়ন যুবলীগের উদ্যোগে শান্তি সমাবেশ ও উন্নয়ন সভা অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য দিলীপ কুমার আগরওয়ালা।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে দিলীপকুমার আগরওয়ালা বলেন, বিএনপি-জামায়াতের নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে সকলকে সৈচ্চার হতে হবে। তারা সন্ত্রাসী সংগঠন। বিএনপি পুলিশ, সাংবাদিক ও আনসার মারা রাজনীতি করছে। দেশ যখন এগিয়ে যাচ্ছে, দেশকে পিছিয়ে ফেলার লক্ষ্যে তারা আগুন সন্ত্রাসী করছে। বঙ্গবন্ধুর দেখানো আদর্শের পথেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করে চলেছে। আপনারা নির্বাচনে আসেন, ইতিপূর্বে মত মনোনয়ন বাণিজ্য আর হচ্ছে না। দেশে দ্রব্যমূল্য যেমন বেড়েছে তেমনি মানুষের মাথাপিছু আয়ও বেড়েছে। এদেশে না খেয়ে মরার মত কোন মানুষ নেই, হয়ত কিছু মানুষ কষ্টে থাকতে পারে। বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের নির্দেশে তৃণমূল নেতারা জান-মালের ক্ষতি করে চলেছে।

তিনি আরো বলেন, দচুয়াডাঙ্গা জেলার মাটি আওয়ামীলীগের ঘাটি হিসেবে আবারো প্রমাণ করতে হবে। আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় থাকলে দেশের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়। আপনারা সরকারের উন্নয়নের চিত্র সাধারণ মানুষের নিকট তুলে ধরবেন। বিএনপি ক্ষমতায় থেকে এতিমের টাকা মেরে খেয়েছে। তাদের ভোট দিয়ে দেশের মানুষ কুয়ো কেটে কুমির নিয়ে আসবে। এমনটা কোনদিনও বিএনপির স্বপ্ন পূরণ হবে না। গত ১৫ বছরে দেশের আমূল পরিবর্তন করেছে আওয়ামীলীগ সরকার। মেট্রোরেল দেশের মানুষ কখনো স্বপ্নেও দেখেননি। এখন উত্তর থেকে মতিঝিলে ৪৫ মিনিটেই পৌঁছে যাওয়া যায়। পদ্মাসেতু হয়ে চুয়াডাঙ্গা থেকে ঢাকায় যেতে ৩ ঘন্টার উর্ধে লেগেছে। যা ইতোপূর্বে ৬/৭ ঘন্টা লেগে যেতো। আমরা শান্তিতে বিশ্বাসী, অশান্তি কখনো মেনে নিবো না। বিএনপি গণতন্ত্রকে ধ্বংস করতে চায়। তারা বিদেশী প্রভুদের উপর নির্ভরশীল। আমরা নির্বাচন করবো, জামায়াত-বিএনপি নির্বাচন ঠেকাতে পারবে না। আমার লক্ষ্য এই এলাকার মানুষকে স্ব-নির্ভর হয়ে দেখতে চাই। আমি সবাইকে নিয়ে স্মার্ট চুয়াডাঙ্গা গড়তে চাই। ঘুষ-দুর্নীতি ও মাদক মুক্ত আলমডাঙ্গা-চুয়াডাঙ্গা গড়তে চায়। আমি ৫ বছরে চুয়াডাঙ্গার আমূল পরিবর্তন করতে চাই।

শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশে আলমডাঙ্গা উপজেলা সাবেক কমান্ডার বীরমুক্তিযোদ্ধা শফিউর রহমান জোয়াদ্দার সুলতানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামীলীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক কাওসার আহমেদ বাবলু, আলমডাঙ্গা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক যুগ্নসাধারণ সম্পাদক কাজী রবিউল হক, আলমডাঙ্গা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, জেলা যুবলীগের যুগ্নআহবায়ক জিল্লুর রহমান, জেলা কৃষকলীগের সাবেক সভাপতি ও সাবেক মোমিনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম ফারুক জোয়াদ্দার, পদ্মবিলা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবু তাহের বিশ্বাস, কালিদাসপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা মইনুদ্দিন পারভেজ, কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শাখাওয়াত হোসেন টাইগার, খাদিমপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল হালিম মন্ডল, ডাউকি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি নুরুল ইসলাম দিপু মাস্টার, খাসকররা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি আনোয়ার হোসেন মাস্টার, গাংনী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক রকিবুল হাসান, চুয়াডাঙ্গা জেলা যুবলীগের সদস্য তপন কুমার বিশ্বাস, হাসিবুল ইসলাম, কমল কুমার বিশ্বাস, জনি মেম্বার।

অনুষ্ঠানে উপস্থাপনা করেন সাইফুল ইসলাম ও রেজাউল ইসলাম বাবু।