তিন দেশে নিষিদ্ধ সালমান খানের সিনেমা

সিনেমা মুক্তির বাকী আর মাত্র একদিন। কাল বাদে পরশু (১২ নভেম্বর) বিশ্বব্যাপী মুক্তি পাবে সালমান খানের ‘টাইগার ৩’। ইতিমধ্যে বক্স অফিসে অগ্রিম বুকিংয়ে হইচই ফেলেছে এটি। সালমানের সিনেমাটি নিয়ে যখন গোটা দুনিয়ায় শোরগোল, ঠিক তখনই শোনা গেল তিন দেশে নিষিদ্ধ হয়েছে ‘টাইগার ৩’র প্রদর্শনী।

ওমান, কুয়েত ও কাতার এই তিনটি দেশে নিষিদ্ধ করা হয়েছে সিনেমাটি। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়ার।

সিনেমার কয়েকটি দৃশ্য নিয়ে আাপত্তি তুলেছে দেশগুলো। তাদের দাবি, এই ধরনের দৃশ্য তাদের দেশের সংস্কৃতিকে আঘাত করবে। বিশেষ করে অ্যাকশন দৃশ্যে তোয়ালে পরে অভিনেত্রী ক্যাটরিনা কাইফের ফাইট পছন্দ হয়নি তাদের। এ ছাড়া সিনেমায় যেভাবে হিংসা-বিদ্বেষ ছড়ানো হয়েছে, তা নিয়েও আপত্তি রয়েছে এই তিন দেশের।

উল্লেখ্য, অগ্রিম বুকিংয়ে ইতিমধ্যেই দাপট দেখাচ্ছে ‘টাইগার থ্রি’। ফার্স্ট ডে ফার্স্ট শো ইতিমধ্যে হিট। অগ্রিম টিকিট বিক্রি করে এখন পর্যন্ত সিনেমাটি আয় করেছে ১৩ কোটি রুপি।শুধু ভারতে নয়, দুবাইয়েও মধ্যরাত থেকে সিনেমাটি দেখানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন হল মালিকেরা। ভারতেও প্রথম শো শুরু হবে সকাল ৬টা থেকে।

আগামী ১২ নভেম্বর বিশ্বব্যাপী মুক্তি পাবে ‘টাইগার-৩’ ফ্র্যাঞ্চাইজির তৃতীয় ছবিটি। এটি প্রযোজনা করেছে যশরাজ ফিল্মস। প্রায় ৩০০ কোটি রুপি বাজেটে এই সিনেমা নির্মাণ করেছেন মনীশ শর্মা।




জীবননগরে শিক্ষারমান উন্নয়নের লক্ষে শিক্ষকদের সাথে মতবিনিময় সভা

জীবননগর উপজেলায় শিক্ষারমান উন্নয়নের লক্ষে শিক্ষকদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শুক্রবার সকাল ১০ টার সময় উপজেলা পরিষদ চত্বরে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

জীবননগর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাসিনা মমতাজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন,চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য হাজী মোঃ আলী আজগার টগর।

এ সময় প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, শিক্ষাখাতে বর্তমান সরকার ব্যাপক উন্নয়ন করেছে।এক সময় জীবননগর উপজেলার অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বৃষ্ঠির সময় শিক্ষাথীরা লেখাপড়া করতে পারতো না ।বতমান সরকারের মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর জীবননগর উপজেলার প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এখন উন্নতমানের ভবন পেয়েছে রাস্তাঘাট উন্নয়ন হয়েছে।শিক্ষকদের বেতন ভাতা বৃদ্ধি পেয়েছে শেখ হাসিনা সরকার শিক্ষাবান্ধব সরকার ।এ সময় তিনি উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আবারো বর্তমান সরকারকে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আনতে সর্বান্তক সহযোগীতা কামনা করেন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, জীবননগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী হাফিজুর রহমান হাফিজ, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান গোলাম মোর্তুজা, জীবননগর পৌর মেয়র রফিকুল ইসলাম, জীবননগর পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম,উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আঃ সালাম ঈশা, উপজেলা শিক্ষা অফিসার জালাল উদ্দীন, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আমজাদ হোসেন, জীবননগর থানার ওসি এস.এম জাবীদ হাসান, বাঁকা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল কাদের প্রধান, হাসাদাহ ইউপি চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম বিশ্বাস, উথলী ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নান, মনোহরপুর ইউপি চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন খান, রায়পুর ইউপি চেয়ারম্যান তাহাজ্জত হোসেন মীজা, হাসাদাহ ফাযিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাও: আক্তারুজ্জামান, জীবননগর সরকারি আদশ মহিলা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ রেজাউল হক, জীবননগর ডিগ্রি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ জসিম উদ্দনি জালাল, উথলী মহাবিদ্যালয়ের প্রিন্সিপাল আকরাম হোসেন প্রমুখ। অনুষ্ঠানটি সাবিক পরিচালনা করেন , উপজেলা মাধ্যমিক একাডেমিক সুপারভাইজার সৈয়দ আব্দুল জব্বার।




বিশ্বকাপে বোল্টের রেকর্ড

ভারতে চলমান বিশ্বকাপে দারুণ শুরু পেলেও টানা চার হারে আসরের সেমিফাইনালে যাওয়ার লড়াই কিছুটা কঠিন করে তুলেছিল নিউজিল্যান্ড। গতকাল ছিল তাদের প্রথম পর্বের শেষ ম্যাচ। প্রতিপক্ষ হিসেবে পেয়েছিল শ্রীলঙ্কাকে। রাউন্ড রবিনে যেতে হলে এ ম্যাচে জয়ের কোনো বিকল্প ছিল না কিউইদের সামনে।

আর এমন ম্যাচেই বল হাতে লঙ্কান ব্যাটারদের গুঁড়িয়ে দুর্দান্ত এক মাইলফলক স্পর্শ করেন কিউই বোলার ট্রেন্ট বোল্ট। নিউজিল্যান্ডের ইতিহাসে প্রথম বোলার হিসেবে বিশ্বকাপে সব আসর মিলিয়ে ৫০ উইকেট শিকারের মালিক এখন এই বাঁহাতি পেসার।

গতকাল বেঙ্গালুরুর এম চিন্নাস্বামী ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপের মহাগুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে ১৭১ রানে গুটিয়ে দেওয়ার পথে ১০ ওভারে ৩৭ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়েছেন বোল্ট। এতেই বিশ্বকাপে কিউইদের সেরা বোলার বনে যান তিনি। এ তালিকায় বোল্টের পরের অবস্থানে রয়েছেন চলতি বিশ্বকাপে দলে থাকা তার নিউজিল্যান্ডের আরেক পেসার টিম সাউদি।

বিশ্বকাপের আসরে এখন পর্যন্ত ৩৮টি উইকেট শিকার করছেন ডানহাতি পেস বোলার টিম সাউদি। গতকাল শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১ উইকেট শিকার করেন তিনি। এছাড়া বিশ্বকাপে বাঁহাতি পেসারদের মধ্যে তৃতীয় হিসেবে ৫০ উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করেছেন বোল্ট।

এ তালিকায় সবার শীর্ষে আছেন অস্ট্রেলিয়ার বাঁহাতি পেসার মিচেল স্টার্ক। এই অজি পেসার এখন পর্যন্ত বিশ্বকাপে মোট ৫৯ উইকেট শিকার করেছেন। এদিকে আরেকটি ক্রিকেটের তিন সংস্করণ মিলিয়ে আরেকটি মাইলফলকও স্পর্শ করেছে কিউই এই পেসার। তিন সংস্করণ মিলিয়ে ৩৪ বছর বয়সি পেসারের উইকেট এখন ৬০১টি। যার মধ্যে টেস্টে ৩১৭, ওয়ানডেতে ২১০ ও টি-টোয়েন্টিতে শিকার ৭৪টি। বোল্টের ওপরে থাকা দুই জনের মধ্যে সাবেক স্পিনার ড্যানিয়েল ভেটোরির আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে উইকেট সংখ্যা ৭০৫টি, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে একটি উইকেট নেওয়া টিম সাউদির ৭৩২টি।

সূত্র: ইত্তেফাক




সাইবার অ্যাটাকে সংবেদনশীল টেলিগ্রাম

ব্যক্তিগত প্রয়োজন কিংবা প্রতিষ্ঠানের গ্রুপচ্যাট, টেলিগ্রাম এখন অনেক জনপ্রিয়। সাইবার নিরাপত্তাবিদদের তথ্যানুযায়ী, প্লাটফর্মটিতে সাইবার হামলা দিন দিন বাড়ছে। প্রতিষ্ঠানটি পর্যবেক্ষণ করে জানিয়েছে, প্রতি মাসে ৩ লাখ ৪০ হাজারের বেশি সাইবার আক্রমণের শিকার হচ্ছে মেসেজিং প্লাটফর্মটি।

গত মাসে অর্থাৎ অক্টোবর জুড়ে এ ঘটনা ঘটেছে। নতুন এক ম্যালওয়্যার সম্পর্কিত প্রকাশিত প্রতিবেদনে হামলার বিষয়টি উঠে এসেছে। সাইবার সিকিউরিটি ফার্ম ক্যাসপারস্কি জানায়, যারা আরবি, আজেরি ভাষায় কথা বলেন তাদের ওপর ম্যালওয়্যারটি আক্রমণ চালায়।

থার্ড পার্টি বিভিন্ন অ্যাপে ফিচার ব্যবহারের সুযোগ পাওয়া গেলেও এগুলোর মাধ্যমেই ম্যালওয়্যার ছড়িয়ে থাকে। নতুন হোয়াটসঅ্যাপ স্পাই মোডটি শিডিউলড মেসেজ এবং কাস্টমাইজেবল অপশন অফার করে ঠিকই, তবে এতে ক্ষতিকর স্পাইওয়্যারও থাকে।প্রতি ৫ মিনিটে ভুক্তভোগীর পরিচিতি এবং অ্যাকাউন্টের বিস্তারিত তথ্য পাঠানো হয়। সঙ্গে আবার মাইক্রোফোন রেকর্ডিং সেট আপ করতে এবং স্টোরেজ থেকে ফাইল বের করতেও সক্ষম হয় এ স্পাই মডিউল।

সূত্র: টেকক্রাঞ্চ




মেহেরপুরে অবরোধে পর্যটন হোটেলে ধ্বস

হরতাল-অবরোধে মেহেরপুরে পর্যটন, আবাসিক হোটেল ও হোটেল রেস্তোরাঁ ব্যবসায় ধ্বস নেমেছে। রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে স্বাধীনতার পূন্যভূমি মুজিবনগর ও কৃষিনির্ভর মেহেরপুরে আবাসিক হোটেলগুলোতে অতিথি কমে যাওয়ায় এই মন্দাভাব দেখা দিয়েছে। হোটেল রেস্তোরাঁগুলোতেও ভোক্তার অভাব দেখা দিয়েছে।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, হরতাল-অবরোধের কারণে মুজিবনগরে পর্যটকশূন্য হয়ে পড়েছে। সেখানে শতাধিক প্রান্তিক ব্যবসায়ী পর্যটকের অভাবে তাদের ভাসমান দোকান গুটিঁয়ে রেখেছে। একই সঙ্গে কমেছে ব্যবসাসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সভা, সমিতি ও সেমিনার। যার ফলে হোটেল ব্যবসায় মন্দাভাব নেমে এসেছে। শহরের অন্যতম রেস্তোরাঁ ‘লা-ভোগ’ এই শীতের শুরু থেকেই বিভিন্ন সেমিনার, ছোট ছোট পার্টির অনুষ্ঠানে মুখর থাকতো। সেখানে সেসব অনুষ্ঠানও বন্ধ হয়ে গেছে। প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী আনোয়ারুল হক কালু জানান ব্যবসা-বাণিজ্যসংক্রান্ত সভা, সেমিনার, জন্মদিবস পালনের অনুষ্ঠান কমে গেছে। অবরোধে অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটতে পারে আশঙ্কায় হোটেল রেস্তোরাঁতে কেউ অনুষ্ঠান করতে চাচ্ছেনা। ফলে তাদের ব্যবসায় এতটাই ধ্বস নেমেছে যে- স্টাফদের বেতন বন্ধ হবার উপক্রম। মুজিবনগর পর্যটন এলাকায় ব্যক্তি উদ্যেগে গড়ে উঠেছে ‘অনন্যা’ ও ‘মনোরমা’ নামের দুটি মিনি চিড়িয়াখানা। মনোরমা চিড়িয়াখানার মালিক হাসানুজ্জামান লাল্টু জানান- পর্যটক শূন্য হয়ে পড়েছে মুজিবনগর। পর্যটক না পাওয়াতে চিড়িয়াখানার কর্মরত লোকবলের বেতন হয়তো বাকী রাখা যাবে কিন্তু প্রাণীদের খাবারের চাহিদা মেটাতে হচ্ছে ধার দেনা করে।

আবাসিক হোটেলগুলোতে গত ১০দিন কোন রুমে অতিথি মেলেনি। কৃষি নির্ভর মেহেরপুর জেলা থেকে বিভিন্ন ধরণের সবজি সংগ্রহে ঢাকা, চিটাগাং, বগুড়া, সিলেটসহ বিভিন্ন জেলার বিপুলসংখ্যক মানুষ মেহেরপুরে আসেন। মুজিবনগর স্মৃতিসৌধে পর্যটন এলাকায় এই সময় প্রতিদিন দেশ বিদেশের মানুষের ঢল নামে। তাঁরা মাঝারি মানের আবাসিক হোটেলগুলোর প্রধান গ্রাহক। কিন্তু এখন তাঁদের আসাও বন্ধ রয়েছে। বুধবার মুজিবনগর পর্যটন আম্রকাননে গিয়ে দেখা যায় পসরা সাজিয়ে বিভিন্ন ধরণের সামগ্রি বিক্রেতারা তাদের পন্য রিক্সা ভ্যানে গুটিয়ে পলিথিনে ঢেকে রেখেছে। সেখানে তাদের কোন বিক্রেতার দেখা মেলেনি। জেলা শহরের আবাসিক ‘সোহান গেস্ট হাউজ’ মালিক ওবায়দুর রহমান জানান, গত দশদিনে গেস্ট হাউজে কোন অতিথি আসেনি। হরতাল অবরোধ প্রত্যাহার না হলে মাস শেষে বিদ্যুৎ বিল ও স্টাফদের বেতন দিতে হবে পুঁজি ভেঙ্গে। শহরের অন্যতম আবাসিক হোটেল ‘ফিন টাওয়ার’ এর একই অবস্থা অতিথি সংকটে।

ভোক্তা সংকটে ‘গ্রিণ ফুড’ রেস্তোরাঁ বন্ধ হয়ে গেছে। মেহেরপুর জেলা শহরের অন্যান্য হোটেল রেস্তোরাঁগুলোতে প্রতিদিন দুপুর ও রাতের খাবারের অতিথিও কমে গেছে বলে জানা গেছে। ক্ষতিগ্রস্থ এসব প্রতিষ্ঠানের মালিকেরা হরতাল অবরোধ প্রত্যাহারের বিকল্প পথে যাবার জন্য দাবি জানিয়েছে।




শেখ হাসিনা-একজন নেতা, একজন যোদ্ধা

বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা বাংলাদেশের জনগণের সার্বিক কল্যাণ, উন্নয়ন ও মুক্তির অগ্রদূত হিসেবে কাজ শুরু করেছিলেন। তিনি প্রমাণ করেছেন যে, বাংলাদেশে গণতন্ত্রের উন্নয়নে তার কোনো বিকল্প নেই। শেখ হাসিনার সততা, নিষ্ঠা, যৌক্তিক মানসিকতা, দৃঢ় মনোবল, প্রজ্ঞা ও অসাধারণ নেতৃত্ব বাংলাদেশকে বিশ্ব দরবারে এক ভিন্ন উচ্চতায় প্রতিষ্ঠিত করেছে এবং তিনি এখন বিশ্বখ্যাত নেতা হিসেবে পরিচিত।

আওয়ামী লীগ সব ধরনের শোষণ, বঞ্চনা, অবিচার ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে রাজনৈতিকভাবে সোচ্চার, প্রতিরক্ষামূলক ভূমিকা পালন করেছে এবং অব্যাহত রেখেছে। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই এটি জনগণের অর্থনৈতিক, সামাজিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক মুক্তির জন্য কাজ করে আসছে। এই দল যখন ক্ষমতায় থাকে, তখন মানুষের ভাগ্যের উন্নতি হয়। এই দলের প্রতিষ্ঠার পর থেকে ৭৪ বছরের ইতিহাস এই সত্যের সাক্ষ্য দেয়।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর সাহসী কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ১৫ বছর ধরে ক্ষমতায় রয়েছে এবং তিনি জনগণের কল্যাণে নিবেদিতভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। শেখ হাসিনার অদম্য শক্তি, সাহস, মনোবল ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বিশ্ব বিস্মিত। বাংলাদেশ ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বের ২৯তম এবং ২০৪০ সালের মধ্যে ২০তম বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত হবে। এদিকে বাংলাদেশকে ২০২৬ সাল থেকে ‘মধ্যম আয়ের দেশ’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে এবং ২০৪১ সালে ‘উন্নত দেশ’ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে। বাংলাদেশ যে এগিয়ে যাচ্ছে তার বড় প্রমাণ হলো গত কয়েক বছরে দেশের মানুষের মাথাপিছু আয় বেড়েছে। বর্তমানে মাথাপিছু আয় ২ হাজার ৭৬৫ জন। অর্থনৈতিক অগ্রগতির দিক থেকে বাংলাদেশ আজ বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ স্থানীয় দেশ।

শেখ হাসিনা ৪টি মাইলফলক দিয়েছেন। প্রথমটি হচ্ছে ডিজিটাল বাংলাদেশ, যা ইতোমধ্যে একটা ধাপ পর্যন্ত বাস্তবায়িত হয়েছে। দ্বিতীয়টি হচ্ছে ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি), তৃতীয়টি ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বাংলাদেশ গড়ে তোলা এবং চতুর্থটি হচ্ছে ২১০০ সালের মধ্যে ডেল্টা প্ল্যান বাস্তবায়ন করা। গত ১৫ বছরে দেশ পেয়েছে পদ্মা সেতু ও রেল সেতু। ঢাকা মেট্রোরেল, আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের আধুনিক তৃতীয় টার্মিনাল, পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, কর্ণফুলী টানেল এবং এলিভেটেড এক্সপ্রেসের প্রতিশ্রুতি তিনি অসম্পূর্ণ রাখেননি।

এরমধ্যে রাস্তাঘাটের ব্যাপক উন্নতি হয়েছে। কোভিড-১৯ মহামারির কারণে সমগ্র বিশ্বের অর্থনীতি মন্থর হয়ে পড়লেও তিনি এর প্রভাব বাংলাদেশে পড়তে দেননি। নতুন সেতু ও সড়কের মাধ্যমে অবকাঠামোর ব্যাপক উন্নতি হয়েছে। বাংলাদেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। কোভিড-১৯ মহামারিতে দলের অগণিত নেতা-কর্মী সবার পাশে দাঁড়িয়েছেন। নৌকা দ্রুত গতিতে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ অন্ধকার থেকে এখন আলোর পথে।

শেখ হাসিনা এমন একজন নেতা এবং বিশ্বের কাছে আলোর আলোকবর্তিকা। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে শুধু একটি বিরল মাত্রাই দেননি, বৈশ্বিক উন্নয়ন কর্মকাণ্ডকে জোরদার করেছেন। বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ প্রায়ই তাকে শুধু জাতীয় দৃষ্টিকোণ থেকে দেখে এবং সেই দৃষ্টিকোণ থেকে মূল্যায়ন করতে অভ্যস্ত, যা নিঃসন্দেহে প্রয়োজনীয়, কিন্তু যথেষ্ট নয়। বৈশ্বিক নেতৃত্ব তার অভ্যন্তরীণ নেতৃত্বের মতোই অতুলনীয় এবং তার অতুলনীয় নেতৃত্বের সম্পূর্ণ বিস্তৃতি তার প্রশংসা ছাড়া বোঝা যায় না।

অনেকের হয়তো মনে নেই যে, ২০ সালে শেখ হাসিনাসহ ১৮৯ জন রাষ্ট্র ও সরকার প্রধান মিলেনিয়াম ঘোষণাপত্রে বাংলাদেশের পক্ষে স্বাক্ষর করেন। তিনি কেবল সেই ঐতিহাসিক দলিলের স্বাক্ষরকারী হিসাবে ইতিহাসে নিজের জন্য একটি স্থান তৈরি করেননি; কিন্তু এই পদক্ষেপের মাধ্যমে তিনি বাংলাদেশকে একটি বৈশ্বিক অঙ্গীকারের অংশীদার করে তুলেছেন। সেই অঙ্গীকারের ওপর ভিত্তি করে তিনি বাংলাদেশের দৃষ্টিকোণ থেকে ৮টি সহস্রাব্দ লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের অঙ্গীকার করেন। তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ দারিদ্র্যের হার ১৯৯০ সালের ৫৮ শতাংশ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে ২০ শতাংশে নামিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়ু ৫৮ বছর থেকে বেড়ে ৭৩ বছর হয়েছে। প্রাপ্তবয়স্কদের সাক্ষরতার হার ৩৫ শতাংশ থেকে বেড়ে ৭৫ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। শিশু মৃত্যুর হার প্রতি হাজারে ১০০ থেকে কমে প্রতি হাজারে ২১ হয়েছে। ১৯৯০ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের ৩৫ বিলিয়ন ডলারের অর্থনীতি ৩৩০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছে। মানুষের মাথাপিছু আয় প্রায় ৭ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে – ১৯৯০ সালে ৩০০ ডলার থেকে ২০১৯ সালে ২,৬৪০ ডলারে।

প্রধানমন্ত্রীর দক্ষ ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশের বিভিন্ন আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন অর্জন প্রতিবেশী দেশগুলোকে ছাড়িয়ে গেছে। উদাহরণস্বরূপ, বাংলাদেশে গড় আয়ু ৭৩ বছর, ভারতে ৬৯ বছর এবং পাকিস্তানে ৬৭ বছর। বাংলাদেশে পাঁচ বছরের কম বয়সীদের মৃত্যুর হার প্রতি হাজারে ৩১ জন, ভারতে ৩৮ জন, পাকিস্তানে ৬৭ জন।

২০১৫ সালে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের অঙ্গীকার ব্যক্ত করে এবং এই লক্ষ্যগুলি তার অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। বাংলাদেশের উন্নয়ন কর্মকান্ড এই লক্ষ্য অর্জনের দিকে পরিচালিত হয়। পাশাপাশি পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন, নারী অধিকার, শিশু সুরক্ষা, মানবাধিকার প্রভৃতি বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্ব ও অঙ্গীকার আন্তর্জাতিক অঙ্গনে স্বীকৃত ও অভিনন্দন। আমরা সবসময় তাকে উন্নয়নশীল বিশ্বের স্বার্থে কথা বলতে দেখেছি। বাংলাদেশের উন্নয়ন কর্মকান্ড এই লক্ষ্য অর্জনের দিকে পরিচালিত হয়। পাশাপাশি পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন, নারী অধিকার, শিশু সুরক্ষা, মানবাধিকার প্রভৃতি বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্ব ও অঙ্গীকার আন্তর্জাতিক অঙ্গনে স্বীকৃত ও অভিনন্দন। আমরা সবসময় তাকে উন্নয়নশীল বিশ্বের স্বার্থে কথা বলতে দেখেছি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শাসনামলে বাংলাদেশ নিম্ন আয়ের দেশ থেকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছে এবং স্বল্পোন্নত দেশ থেকে বেরিয়ে আসার প্রক্রিয়ায় রয়েছে। আজ আমরা ২০৪১ সালের দিকে তাকিয়ে আছি, যখন আমরা বিশ্ব দরবারে উন্নত বিশ্বের অংশ হতে চাই। ভবিষ্যতের দুনিয়া দ্রুত বদলে যাচ্ছে। আজ আমরা যে বিশ্বে বাস করছি, সেখানে বৈষম্য, অস্থিতিশীলতা এবং অপর্যাপ্ততা বাড়ছে। সুযোগ যেমন আছে, তেমনি দুর্বলতাও তৈরি হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে আমাদের এমন একজন নেতা দরকার, যিনি শুধু তার দেশের জন্য নয়, সমগ্র বিশ্বের জন্য অপরিহার্য। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এমন একজন নেতা- বিশ্বের আলো।

শেখ হাসিনার সরকার শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে বই দিচ্ছেন। দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীরা বৃত্তি পাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আন্তরিকভাবে চান শিক্ষার্থীরা শুধু মনোযোগ দিয়ে পড়াশোনা করুক, বাকিটা সরকারের দায়িত্ব। সুতরাং, শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার সময় অর্থ নিয়ে চিন্তা করতে হবে না। প্রধানমন্ত্রী চান বাংলাদেশের শিশুরা শিক্ষা, জ্ঞান ও বিজ্ঞানের দিক দিয়ে বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে সক্ষম হোক। উপযুক্ত শিক্ষা অবকাঠামো গড়ে তোলার মাধ্যমে তিনি সবাইকে সত্যিকারের শিক্ষিত শিশু হিসেবে গড়ে তোলার সুযোগ করে দিচ্ছেন। শেখ হাসিনার মূলমন্ত্র হলো, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। তিনি অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বিশ্বাসী। বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করে তিনি সংখ্যালঘুদের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছেন। প্রতিবেশীদের সঙ্গে বন্ধুত্ব বজায় রেখে উন্নয়নের বিভিন্ন সূচকে ভারতকে টপকে যাচ্ছে বাংলাদেশ। শেখ হাসিনা দেশবাসীর সেই স্বপ্ন সঠিক পথে বাস্তবায়নে বদ্ধপরিকর। আওয়ামী লীগের সরকার দৃঢ় করে দেশের মানুষ আজ সুখ-সমৃদ্ধির নতুন দিগন্তে প্রবেশ করেছে। আওয়ামী লীগ সরকার জনগণের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছে। তাই বাংলাদেশে বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, মাতৃত্বকালীন ভাতা ইত্যাদি চালু করা হয়েছে।

সবার কল্যাণই শেখ হাসিনা সরকারের ঘোষিত নীতি। ১৪ হাজার ৫০০ কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন করা হয়েছে। সেখান থেকে ৩০ ধরনের ওষুধ বিনামূল্যে দেওয়া হচ্ছে। বর্তমান সরকারের কারণে স্বাস্থ্য অবকাঠামোর ব্যাপক উন্নতি হয়েছে। চলতি বছরের মে মাসে জাতিসংঘে প্রথমবারের মতো কমিউনিটি ভিত্তিক স্বাস্থ্যসেবা সংক্রান্ত একটি রেজুলেশন সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়। ওই রেজুলেশনের মাধ্যমে বাংলাদেশে কমিউনিটি ক্লিনিকভিত্তিক প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার মডেল প্রতিষ্ঠায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অসামান্য উদ্ভাবনী নেতৃত্ব আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত হয়েছে বলে বাংলাদেশে জাতিসংঘের স্থায়ী মিশন জানিয়েছে। জনগণের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে কমিউনিটি ক্লিনিক মডেল তৈরি করায় জাতিসংঘের স্বীকৃতির পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিশেষ সম্মাননায় ভূষিত করেছে ব্রাউন ইউনিভার্সিটি।

শুধু স্বাস্থ্যখাত নয়, ভূমিহীনদেরও বিনামূল্যে ঘর দিচ্ছে সরকার। সরকার শুধু ঘর নির্মাণের মাধ্যমে তার দায়িত্ব পালন করছে না, সরকারি প্রকল্পগুলো তাদের জীবন ও জীবিকাও প্রদান করছে। এ পর্যন্ত ২১টি জেলাকে গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। ২০২১ সালের ২৩ জানুয়ারি মুজিববর্ষে প্রথম ধাপে ৬৩ হাজার ৯টি, দ্বিতীয় ধাপে ২০ জুন ৫৩ হাজার ৩৩০টি এবং তৃতীয় ধাপে ২ দফায় মোট ৫৯ হাজার ১৩৩টি ঘর বিতরণ করা হয়। আরও ২২ হাজার ১০১টি ঘর বিতরণের মাধ্যমে আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় মোট সংখ্যা দাঁড়াল ৫ লাখ ৫৫ হাজার ৬১৭টি।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে করোনাভাইরাস মহামারির সময় বাংলাদেশের জনগণ বিনামূল্যে কোভিড-১৯ টিকা পেয়েছে। বাংলাদেশ সরকার বিভিন্ন দেশের সঙ্গে দৃঢ় সম্পর্ক তৈরি করে দেশের মানুষের জন্য সঠিক সময়ে টিকা আনতে পারে। এই সাফল্যের মূল কারিগর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কোভিড-১৯ মোকাবেলার পাশাপাশি তিনি সে সময় অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে সক্ষম হয়েছিলেন। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের সাফল্যে বিস্ময় প্রকাশ করেছে বিশ্ব। সে সময় বেশ ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামসহ বিশ্বের বিভিন্ন সংস্থা বাংলাদেশের প্রশংসা করেছিল। করোনা মহামারি ও ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের পর বিশ্বের অধিকাংশ দেশই অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতেও বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। করোনার কারণে বাংলাদেশ একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হবে বলে মন্তব্য করা সমালোচকদের মুখে বাংলাদেশের উন্নয়ন ছিল একটি থাপ্পড়।

শেখ হাসিনার হাত ধরেই ডিজিটাল বাংলাদেশ আজ বাস্তবে পরিণত হয়েছে। এখন লাল-সবুজের দেশটি স্মার্ট বাংলাদেশের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। যেখানে সকল নাগরিক সেবা হাতের নাগালে পাওয়া যাবে। এই ডিজিটাল ও স্মার্ট বাংলাদেশের কেউ ক্ষুধার্ত থাকতে পারবে না। আওয়ামী লীগ সরকার সবার জন্য খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থানের পাশাপাশি সুশিক্ষার ব্যবস্থা করেছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিগত ১৫ বছরের সাফল্যই নৌকার বিজয়ের আসল হাতিয়ার।

যখন বাংলাদেশের সংকট তীব্র হয়, সবকিছু যখন অনিশ্চয়তাকে ঘিরে ঘোরে, বাংলার আকাশে কালো মেঘ জমে থাকে, তখন শেখ হাসিনা বাংলাদেশের মানুষের শেষ ভরসা হয়ে দাঁড়ান। একজন মানুষ অদম্য সংকল্প ও নিষ্ঠার সাথে ভয়ের কালো মেঘ মুছে দেয় এবং দেশের মানুষ আশার আলো দেখতে পায়। যখনই মনে হয় যে সবকিছু শেষ হয়ে যাচ্ছে, একটি খারাপ সময়ের মুখোমুখি হয়, একমাত্র ত্রাণকর্তা যিনি দক্ষতার সাথে খারাপ দুঃস্বপ্নদূর করেন তিনি হলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার পরিচয় একজন প্রধানমন্ত্রী বা রাজনৈতিক নেতার চেয়েও বেশি, তিনি একজন অদম্য সাহসী মানুষ। তিনি একজন যোদ্ধা এবং একজন অভিভাবক। তিনি সাহসের সাথে কোভিড-১৯ মহামারি মোকাবেলা করেছেন। এখন তিনি বিশ্বের সেরা উদাহরণ এবং বিশ্ব নেতারা বৈশ্বিক সংকট পরিচালনায় তার উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন।

লেখক: একজন কলামিস্ট ও গবেষক।




চুয়াডাঙ্গার হিজলগাড়ী সড়কের খাড়াগোদা চিত্রানদীর উপরে নতুন ব্রিজের উদ্বোধন

চুয়াডাঙ্গা সদরের সরোজগঞ্জ টু হিজলগাড়ী সড়কের খাড়াগোদা চিত্রানদীর উপরে প্রায় ৬ কোটি টাকা ব্যয়ে নবনির্মিত ব্রিজের শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল ৫ টার দিকে নতুন এ ব্রিজের উদ্বোধন করেন চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য হাজি আলি আজগার টগর (এমপি)।

এ সময় এমপি টগর বলেন, দেশ আজ উন্নয়নের মহাসড়কে। বর্তমান সরকার দেশে যে উন্নয়ন করেছে তা ইতিহাসে বিরল। এক যুগ আগেও এলাকার রাস্তাগুলোর ওপর দিয়ে যাওয়া যেতো না। যোগাযোগ ব্যবস্থা খুব খারাপ ছিলো। ক্ষমতায় আসার পর থেকে এই এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন করেছে আওয়ামী লীগ সরকার। আজ ব্রিজ নির্মাণ কাজের উন্নয়নের মধ্যদিয়ে আপনাদের দীর্ঘদিনের কাক্ষিত স্বপ্ন পূরণ করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করছি।

তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে গ্রামের কাঁচা রাস্তা পাকা হয়েছে। নির্মাণ করা হচ্ছে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, হাসপাতাল, ব্রিজ, কালভার্ট-সেতু। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি হওয়ায় বেড়েছে ব্যবসা বাণিজ্য। বিএনপি জামায়াতের সময় দেশে কোন উন্নয়ন হয়নি। হয়নি মসজিদ নির্মাণ। প্রতিশ্রুতি দিয়ে তা বাস্তবায়ন একমাত্র আওয়ামী লীগ সরকারকেই করতে দেখা গেছে।তাই আগামী নির্বাচনে জননেত্রীর নৌকায় ভোট দিয়ে পুনরায় জয়লাভ করার আহবান জানান তিনি।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলী মুনছুর বাবু, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শামীম ভূইয়া, গড়াইটুপি ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম জাহিদ, সেক্রেটারি সাইদ,গড়াইটুপি ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি রাশেদুজ্জামান পলাশ,সেক্রেটারি ফারুক হোসেন চাঁন, ইউপি সদস্য হাফিজুর রহমান। আ লীগ নেতা ফাতরুজ্জামান মাস্টার, মিজানুর রহমান, জামির, আকিব, সাদেক, বসন্ত কুমার, মোস্তফা প্রমুখ।




হরিণাকুণ্ডুতে মাছের সাথে শত্রুতা, বিষপ্রয়োগে লক্ষাধীক টাকার মাছ নিধন

ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডুতে পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে লাক্ষাধীক টাকার মাছ মেরে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা। গত বুধবার গভীর রাতে উপজেলার ফলসী ইউনিয়নের পারফলসী গ্রামের শরিফুল ইসলামের পুকুরে এই বিষ প্রয়োগ করা হয়।

পুকুর মালিক শরিফুল ইসলাম জানান, ৪০ শতক জায়গার উপর আমি পুকুর খনন করে কয়েক বছর ধরে মাছ চাষ করে আসছি। এবার পুকুরে রুই, কাতলা, চিতল, সিলভার কার্প, গ্রাসকার্প, তেলাপিয়া, পুঁটিসহ দেশীয় বিভিন্ন জাতের মাছের পোনা দিয়েছিলাম। মাছের পোনা এবং খাবার খরচ বাবদ আমার প্রায় ৫০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। কিছু দিনের মধ্যেই মাছগুলো বাজারে বিক্রির উপযোগী হয়ে উঠতো।

গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে এক প্রতিবেশি পুকুরে মরা মাছ ভাসতে দেখে খবর দেয়। প্রথমে আমরা গ্যাসের অভাবে মাছ মরে ভেসে উঠছে ভাবলেও পুকুর পাড়ে একটি বিষের বোতল পড়ে থাকতে দেখি। পরে বুঝলাম পুকুরে বিষ প্রয়োগের কারনেই সব মাছ মরে ভেসে উঠেছে। এতে আমার প্রায় ১ লাক্ষাধীক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, আমি যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সমর্থক। চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারনে এলাকার বেশকিছু ব্যক্তি প্রকাশ্যে ও গোপনীয়ভাবে আমার ক্ষতি করার চেস্টা করে আসছে। তারাই শত্রুতা করে এমন কাজ করতে পারে বলে ধারণা করছি। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের করা হবে বলে তিনি জানান।

এব্যাপারে হরিণাকুণ্ডু থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু আজিফ বলেন, খবর পেয়েছি। এ ব্যাপারে অভিযোগ দায়ের করা হলে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।




চুয়াডাঙ্গায় শিক্ষার্থীদের মাঝে বাইসাইকেল ও সেলাই মেশিন বিতরণ

চুয়াডাঙ্গার হিজলগাড়ী মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বেগমপুর ও তিতুদহ ইউনিয়নের অসহায় ও দু:স্থ নারী ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে বাইসাইকেল ও সেলাই মেশিন বিতরণ করা হয়েছে।

২০২২-২৩ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির আওতায় উপজেলা উন্নয়ন সহায়তা খাতের বরাদ্ধের অর্থায়নে একর্মসূচি বাস্তায়ন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য হাজি আলী আজগার টগর।

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শামীম ভূইয়ার সভাপতিত্বে হিজলগাড়ী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের আয়োজনে অনুষ্ঠাণে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনোয়ার হোসেন স্বপন, দামুড়হুদা উপজেলা চেয়ারম্যান আলী মুনছুর বাবু, হিজলগাড়ী মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সুযোগ্য সভাপতি সাইফুল আজম মিন্টু, সদর উপজেলা আ.লীগের সাবেক যুগ্নসাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান টিপু, বেগমপুর ইউনিয়ন আ.লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হামিদুল্লাহ।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, দর্শনা কেরুজ সাবেক কর্মকর্তা শেখ শাহাব উদ্দিন, গড়াইটুপি ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম, আ.লীগ নেতা আব্দুল মতিন, আব্বাস আলী, ফাতুরুজ্জামান, হযরত আলী, দামুড়হুদা উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আ. হান্নান ছোট, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্য মিল্টন বিশ্বাস, রাশিদুল হক, আওয়াল হোসেন, এনামুমুল হক, অপু সরকার প্রমুখ। বক্তব্য শেষে ইউনিয়ন দু’টির মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দরিদ্র ও মেধাবি শিক্ষার্থীদের মাধ্যে ১৫২টি বাইসাইকেল ও অসহায় দু:স্থ নারীদের মাঝে ৫২টি সেলাই মেশিন বিতরণ করেন প্রধান অতিথি। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক সফিকুল ইসলাম।




আলমডাঙ্গায় দিলীপ কুমার আগরওয়ালার শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ অনুষ্ঠিত

বিএনপি-জামায়াত চক্রের দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র, আগুন সন্ত্রাস, নৈরাজ্য ও অপতৎপরতার প্রতিবাদে শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

কুমারী ইউনিয়ন কৃষকলীগের আয়োজনে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল ৪ টায় উপজলার কুমারী মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে এ শান্তি সমাবেশ ও উন্নয়ন সভা অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য দিলীপ কুমার আগরওয়ালা।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে দিলীপকুমার আগরওয়ালা বলেন, আওয়ামীলীগ থাকলে দেশের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়। দেশের মানুষ অভাবে নেই। জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে হাজারো মানুষের ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছে। বিএনপি-জামায়াত উন্নয়ন চায় না, কখনো তারা চাইও নি। দেশ যখন উন্নয়নের অগ্রগতিতে এগিয়ে চলেছে ঠিক তখনই বিএনপি-জামায়াত আগুন সন্ত্রাসী শুরু করেছে। যখন নির্বাচন আসে তখন তাদের জ্বালা ধরে যায়। বিএনপি-জামায়াত আগামি নির্বাচন বানচাল করার লক্ষ্যে আগুন সন্ত্রাস শুরু করেছে। এদেশের মানুষ শান্তিপ্রিয়। তবে- সরকার মেগাপ্রকল্প সহ দেশের উন্নয়নের যে ভুমিকা রাখছে তা নিরুৎসাহ করতে তারা সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে।

অনুষ্ঠানে আলমডাঙ্গা উপজেলা কৃষকলীগের যুগ্নসাধারণ সম্পাদক একরামুল হক বুলুর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আলমডাঙ্গা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামীলীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক কাওসার আহমেদ বাবলু, জেলা যুবলীগের যুগ্নআহবায়ক জিল্লুর রহমান, জেলা কৃষকলীগের সাবেক সভাপতি ও সাবেক মোমিনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম ফারুক জোয়াদ্দার, আলমডাঙ্গা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক যুগ্নসাধারণ সম্পাদক কাজী রবিউল হক, পদ্মবিলা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবু তাহের বিশ্বাস, কালিদাসপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা মইনুদ্দিন পারভেজ, কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শাখাওয়াত হোসেন টাইগার, খাদিমপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল হালিম মন্ডল, ডাউকি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি নুরুল ইসলাম দিপু মাস্টার, খাসকররা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি আনোয়ার হোসেন মাস্টার, গাংনী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক রকিবুল হাসান, চুয়াডাঙ্গা জেলা যুবলীগের সদস্য তপন কুমার বিশ্বাস, হাসিবুল ইসলাম, কমল কুমার বিশ্বাস, জনি মেম্বার। শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ উপস্থাপনা করেন আব্দুল মালেক।