আলমডাঙ্গায় ৮৪ পিচ ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেট সহ আটক-৪

আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ এক মাদক বিরোধী অভিযান চালিয়ে ৮৪ পিচ ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেট উদ্ধার করেছে।

গতকাল  বৃহস্পতিবার বিকেলে লালব্রীজ এলাকায় এ অভিযান পরিচালিত হয়। এ সময় পুলিশ ৪ জনকে আটক করেছে।
আটকৃতরা হলেন পৌর এলাকার রাধিকাগঞ্জের মৃত শাহ জাহানের ছেলে মিনারুল ইসলাম (২৮) কোর্টপাড়ার সফি মোল্লার ছেলে, রিয়াজ উদ্দিন মোল্লা (৪১), শ্রীরামপুর গ্রামের আলম হোসেনের ছেলে সোহেল হোসেন (২৬) ও শ্রীরামপুর গ্রামের সাইফুল ইসলামের ছেলে শাকিল হোসেন (২০)।

পুলিশ সুত্রে জানা গেছে,আলমডাঙ্গার লালব্রীজ সংলগ্ন হাটবোয়ালিয়া সড়কে মাদক কেনাবেচা হচ্ছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে থানার অফিসার ইনচার্জ বিপ্লব কুমার নাথের নির্দেশে এসআই (নিঃ) আশিকুল সঙ্গীয় অফিসার ও ফোর্সসহ এক মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানে কামালাপুর গ্রামের হাফিজ মিয়ার সৃষ্টি ট্রেডার্স এর সামনে থেকে আসামী মিনারুল ইসলাম, রিয়াজ উদ্দিন মোল্লা, সোহেল হোসেন ও শাকিল হোসেন (২০)কে আটক করে। আটকের পর তাদের কাছ থেকে অবৈধ মাদকদ্রব্য ৮৪ পিচ ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেট উদ্ধার করে পুলিশ।

এ ঘটনায় আলমডাঙ্গা থানায় মাদক দ্রব্য আইনে মামলা হয়েছে।




কোটচাঁদপুরে ফার্মেসী মালিককে ৩ হাজার টাকা জরিমানা

কোটচাঁদপুরে ফার্মেসীতে অভিযান চালিয়ে ফার্মেসী মালিককে ৩ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে শহের আর কে মেডিকেলে এ জরিমানা করা হয়।

সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা যায়,নিয়মিত বাজার মনিটরিংয়ের অংশ হিসেবে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে এ অভিযান চালান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট উছেন মে। এ সময় তিনি কোটচাঁদপুর পৌর শহরের আর মেডিকেলের মালিককে শফি উদ্দিনকে ফার্মেসীতে মেয়াদোত্তীর্ণ ঔষধ রাখার অভিযোগে ৩ হাজার টাকা জরিমানা করেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন,কোটচাঁদপুর কেমিস্ট এন্ড ড্রাগিষ্ট সমিতির সভাপতি কাজী হাসানুজ্জামান, সাবেক সভাপতি সোহরাব হোসেন ও সহসভাপতি হাসানুজ্জামান ডাবলু উপস্থিত ছিলেন।




অর্থনৈতিক সক্ষমতা রক্ষা যখন আওয়ামী লীগের মূল লক্ষ্য

অর্থনৈতিক সক্ষমতা রক্ষায় এখন আওয়ামী লীগের মূল লক্ষ্য। এ লক্ষ্যে বর্তমান সরকার বেশকিছু পদক্ষেপ নিয়েছে এবং অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন করেছে। ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ এর পরবর্তীতে স্মার্ট বাংলাদেশের যে স্লোগান তাতে করে এই সক্ষমতা বৃদ্ধির ধাপ আরো বেশি বেগবান হয়েছে। বিগত এক দশকের পরিসংখ্যান পর্যালোচনা করে দেখা যায়, প্রায় এক দশক পরে দেশের কৃষিখাতে কর্মক্ষম মানুষের অংশগ্রহণের পরিমাণ ৪৫ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে। শুধু বিগত পাঁচ বছরে কৃষিখাতে এ সংখ্যা বেড়েছে ৪ দশমিক ৮ শতাংশ। এরকম ভাবে বাংলাদেশের বিভিন্ন খাত নানাপরিক্রমায় এগিয়ে যাচ্ছে। দেশে বেকারত্বের হার ও উল্লেখযোগ্য ভাবে কমেছে।

কৃষি বিপণন সহ বিভিন্ন সেবা খাতে ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যাবহারের মাধ্যমে তরুণদের মধ্যে অনেকেই নিত্য নতুন ব্যবসা ও ফ্রিল্যান্সীং এর আওতায় এসেছে। ফলে ঘরে ঘরের বাইরে এক ধরনের বৈপ্লবিক পরিবর্তন সাধিত হয়েছে। এই প্রযুক্তিবান্ধব প্রেক্ষাপট কে সামনে রেখে এবং চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ কে মাথায় রেখে বর্তমান সরকার ক্যাশলেস সোসাইটি বিনির্মাণে বদ্ধ পরিকর। এই সোসাইটির তৈরীর জন্য যে ধরনের ইকো সিস্টেম তৈরী করা প্রয়োজন তার জন্যও এই সরকার কাজ শুরু করেছে।

ক্যাশলেস সোসাইটির ধারনা নতুন কিছু নয়। বিনিময়ের অসংখ্য পদ্ধতির মধ্যে ক্যাশলেস বিনিময় মাধ্যম বর্তমানে বেশ আলোচিত ও গ্রহনযোগ্য। আজকের পটভূমিতে নগদহীন সমাজ বলতে বোঝায় প্রকৃত ব্যাঙ্কনোট, কয়েন বা চেকের পরিবর্তে ডিজিটাল তথ্য (সাধারণত অর্থের ইলেকট্রনিক উপস্থাপনা) মাধ্যমে পরিচালিত আর্থিক লেনদেন ।মূলত ক্যাশলেস বলতে বোঝায় নগদ অর্থবিহীন লেনদেন, যেখানে ক্যাশ বা নগদ অর্থ ব্যবহার ছাড়াই লেনদেন করা হয়। নগদবিহীন লেনদেনের মধ্যে ক্রেডিট/ডেবিট কার্ড, মোবাইল অ্যাপসে পেমেন্ট, ডিজিটাল ওয়ালেট এবং অন্য যেকোনো অনলাইন পেমেন্টে করা অর্থ আদান-প্রদানও অন্তর্ভুক্ত।

বর্তমানে বাংলাদেশ বেশ কিছু সেক্টরে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন করেছে। ক্যাশলেস ব্যবস্থা ব্যবহারের অনস্বীকার্য অনেক সুবিধা আছে যেমন ক্যাশলেসের ব্যবস্থার মাধ্যমে যেকোনো সময়, জায়গা থেকে সহজে ও দ্রুত লেনদেন সম্পন্ন করা যায়, ক্যাশলেস ব্যবস্থায় টাকা তৈরির খরচ কম আসে, অতিরিক্ত টাকা সঙ্গে না রাখার জন্য নিরাপত্তা বৃদ্ধি পায়, আর্থিক অপরাধ সংখ্যা কমে যায়, এ ব্যবস্থায় কর ফাঁকি দেয়ার সম্ভাবনা নেই, প্রতিটি লেনদেনের রেকর্ড রাখা সম্ভব, নকল বা জাল টাকার জালিয়াতি থেকে সুরক্ষিত, হাতে ধরা টাকাপয়সার আদান-প্রদান বন্ধ হওয়ার কারণে রোগ-জীবাণুর সংক্রমণ কম থাকে এবং সর্বোপরি পরিবেশবান্ধব নগদবিহীন লেনদেন ব্যবস্থায় বিশ্বে কার্বন ফুটপ্রিন্ট কমাতে সহায়তা করে।

ডিজিটাল বাংলাদেশের অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশের অনেক সেবাখাত তাদের সেবাগুলোকে সহজতর করার জন্য কাজ করছে। বাংলাদেশ ব্যাংক ইতোমধ্যে নগদবিহীন লেনদেন পরিচালনার জন্য সকল ব্যাংকে নির্দেশনা প্রদান করেছে। স্মার্ট বাংলাদেশের রূপরেখাকে চার ভাগে ভাগ করে ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা হাতে নিয়েছে দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার। স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট ইকনোমি, স্মার্ট গভর্নমেন্ট ও স্মার্ট সোসাইটি। এই বিবেচনায় ২০২১ থেকে ২০৪১ প্রেক্ষিত পরিকল্পনাও প্রণয়ন শুরু হয়ে গেছে, অর্থাৎ কীভাবে বাংলাদেশের উন্নয়ন হবে, তার একটা কাঠামো পরিকল্পনা বাংলাদেশ ইতোমধ্যেই প্রণয়ন করে ফেলেছে, যা জনগণের জন্য অন্যতম আশীর্বাদ বয়ে আনবে। এরই ধারাবহিকতায় সকল বানিজ্যিক ব্যাংক ও এসকল নির্দেশনা মেনে তাদের লেনদেন কে ডিজিটালাইজড করার দিকে মনোনিবেশ করেছে। ক্যাশলেস উদ্যোগকে জনপ্রিয় ও প্রচলিত করতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছে যে, পণ্য বা সেবার মূল্য পরিশোধের ক্ষেত্রে নগদ অর্থ, কার্ড বা চেক ব্যবহৃত হয়ে থাকে। নগদ অর্থে পরিশোধ ঝুঁকিপূর্ণ, চেকে পরিশোধ সময়সাপেক্ষ ও জটিল। অন্যদিকে কার্ড ব্যবহারের জন্য ব্যাংক বা এমএফএসগুলোকে ডিজিটাল পেমেন্ট অবকাঠামো বিনির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণে বিপুল বিনিয়োগ করতে হয়।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় রাজধানীর একটি হোটেলে ইন্টারঅপারেবল ডিজিটাল ট্রানজেশন প্লাটফরম (আইডিটিপি) ‘বিনিময়’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে, শতভাগ মানুষকে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট সেবার আওতায় নিয়ে আসার অংশ হিসেবে ক্যাশলেস সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য সরকারের লক্ষ্যের কথা বলেছেন। তিনি আরো বলেছেন, আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ আবারও জয়লাভ করে ক্ষমতায় এলে বাংলাদেশের শতভাগ মানুষের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থাকবে এবং আমাদের সরকারের পরবর্তী মেয়াদে তারা ক্যাশলেস সমাজে বাস করবেন যা এই সবরকারের স্মার্ট বাংলাদেশের যে স্বপ্ন তা বাস্তবায়নকে আরো বেশী ত্বরান্বিত করবে।

বর্তমানে মুঠোফোনের মাধ্যমে পরিচালিত আর্থিক সেবা বা এমএফএসে এখন প্রতি মাসে লেনদেন হচ্ছে প্রায় ৯০ হাজার কোটি টাকার বেশি। এ ছাড়া এটিএমে লেনদেন হয় প্রায় ২৯ হাজার ৫৪১ কোটি টাকা, পয়েন্ট অব সেলসে ২ হাজার ৬১৬ কোটি টাকা, ক্যাশ রিসাইক্লিং মেশিনে ৬ হাজার ৩৭৫ কোটি টাকা এবং ই-কমার্সে ১ হাজার ১৩০ কোটি টাকা। বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান বলছে, গত জানুয়ারিতে এসব সেবায় লেনদেন হয়েছে ১ লাখ ৫৯৩ কোটি টাকা। দিনে দিনে এসব সেবার ব্যবহার বাড়ছে, যা আনুষ্ঠানিক লেনদেনের আকারকে আরও বড় করছে। এর আগে গত বছরের এসব সেবায় লেনদেন প্রথম বারের মতো এক লাখ ৭ হাজার ৪৬০ কোটি টাকা ছাড়িয়েছিল। মোবইল ব্যাংকিং সেবাটি প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে লক্ষ্য করে চালু হলেও এখন শহরে বসবাসকারী নাগরিকেরাও এর বড় ব্যবহারকারী। ব্যবহার বাড়ার সাথে সাথে এই সেবা এখন শুধু টাকা পাঠানো ও গ্রহণের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই বরং বিল পরিশোধ, কেনাকাটা, মোবাইল রিচার্জ, টাকা জমানো, ঋণ গ্রহণসহ নানা ধরনের লেনদেন করা যাচ্ছে।

চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের সুফল গ্রহণের মাধ্যমে স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য প্রয়োজন স্মার্ট সিটিজেন। চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের ফলে বাংলাদেশের মানুষের মাথাপিছু আয় বর্তমানের চেয়ে ৫-১০ গুণও বাড়তে পারে। ভবিষ্যতের এ অদম্য অগ্রযাত্রায় সবাইকে শামিল হতে হলে প্রয়োজন দক্ষ জনশক্তি। আমাদের জনসংখ্যার বিরাট অংশ তরুণ জনশক্তি। তাদের দক্ষ ও যোগ্য করতে পারলেই নতুন প্রজন্ম পাবে নতুন এক বাংলাদেশ।

উন্নত বিশ্ব প্রযুক্তি ব্যবহারে আজ যে পর্যায়ে এসেছে, তার কাজটা শুরু হয়েছিল আজ থেকে তিন দশক আগে। তারপরও এখন দেশ যে শতভাগ প্রযুক্তিনির্ভর হয়ে গেছে এমন দাবি করার সময় এখনো আসেনি। তবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সঠিক সময়েই স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার যে পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে তা অচিরেই বাস্তবায়িত হবে বলেই সবার বিশ্বাস। এখন শুধু প্রয়োজন কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এ উদ্যোগকে সফলভাবে এগিয়ে নেওয়া। এ দেশের প্রত্যেক নাগরিকের উচিত স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে কাজ করা। তাহলেই খুব দ্রুতই স্মার্ট বাংলাদেশের অগ্রযাত্রায় শামিল হবে বাংলাদেশ। এর ফলস্বরূপ নির্মিত হবে ক্যাশলেস সোসাইটি। এর মাধ্যমে শত সংগ্রাম এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে পাওয়া স্বপ্নের এ সোনার বাংলা এগিয়ে যাবে বহুদূর।

লেখক: প্রভাষক, নৃবিজ্ঞান বিভাগ, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়।




গাংনীতে মালচিং ব্যবহার প’দ্ধতির পরামর্শ ও উপকরণ বিতরন

গাংনীর পলাশীপাড়া সমাজ কল্যাণ সমিতি (পিএসকেএস)-এর ‘‘পলাশীপাড়া শাখাতে সংস্থার সমন্বিত কৃষি ইউনিট এর কৃষি খাতের আওতায়, পরিবেশবান্ধব মালচিং পেপার ব্যবহার করে উচ্চমুল্যের ফসল চাষ,উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধিতে আন্তফসল/সাথি ফসল প্রদর্শনীর আওতায় ৬ জন উপকারভোগীর মাঝে উপকরণ বিতরণ করা হয় ।

বিতরণকৃত উপকরণ সমূহের মধ্যে ছিল ৪ রোল পরিবেশবান্ধব মালচিং পেপার, ট্রাইকো-কম্পোস্ট সার, রাসায়নিক সার, কিটনাশক, মাইক্রো নিউট্রিয়েন্ট, লাউয়ের বীজ, স্কোয়াশের বীজ, লালশাকের বীজ, ভুট্টার বীজ, পালংশাকের বীজ, বেগুনের চারা সহ প্রয়োজনীয় উপকরণ সাইনবোর্ড ও রেজিষ্টার খাতা বিতরণ করা হয়। পাশাপাশি উপকারভোগীদেরকে প্রদর্শনীর লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যসহ কিভাবে এর রক্ষণাবেক্ষন করতে হবে সে সম্পর্কে দিক নির্দেশনা প্রদান করা হয়।

উপকরণ বিতরণের সময় উপস্থিত ছিলেন মোঃ রমজান আলী, প্রেসিডেন্ট পিএসকেএস, পলাশীপাড়া শাখার শাখা ব্যবস্থাপক এবং পলাশীপাড়া শাখার কর্মকর্তা ও কর্মচারীসহ সমন্বিত কৃষি ইউনিটের সকল কর্মকর্তাগন ।




অবরোধের দ্বিতীয় দিনে সবকিছু প্রায় স্বাভাবিক

বিএনপি-জামায়াতের তৃতীয় দফায় ডাকা ৪৮ ঘণ্টার সর্বাত্মক অবরোধের দ্বিতীয় দিন বৃহস্পতিবার সবকিছু স্বাভাবিক হয়ে উঠেছে। রাস্তায় জ্যাম দেখে অফিসগামী যাত্রীদের অনেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্যাটায়ার করে লিখেছেন- কোথায় অবরোধ? অবরোধের যেন অর্থ বদলে গেছে।

গত সপ্তাহের অবরোধে মানুষ একদমই বের না হলেও তৃতীয় দফার অবরোধ শুরুর দিনে বুধবার (৮ নভেম্বর) রাজধানীর বেশিরভাগ এলাকায় যান চলাচল ছিল প্রায় স্বাভাবিক। সকাল থেকেই যাত্রীবাহী বাস, সিএনজি অটোরিকশা, রাইড শেয়ারিংয়ের মোটরসাইকেল, পণ্যবাহী পিকআপ চলাচল করছে। এমনকি বুধবার সায়েদাবাদ টার্মিনাল থেকে দূরপাল্লার কিছু বাসও ছেড়ে গেছে। তবে বরাবরের মতো ব্যক্তিগত গাড়ির সংখ্যা ছিল কম। বৃহস্পতিবারেও বাস প্রস্তুত আছে। আগুনের ভয়ে যাত্রী না আসায় বাস ছেড়ে যেতে পারেনি। তবে দিনের দ্বিতীয় ভাগে প্রায় সব বাস ছেড়ে যাবে বলে জানিয়েছেন মালিকরা।

বিভিন্ন এলাকায় কাজে যোগ দেওয়া মানুষ বলছে, দিনের পর দিন অবরোধ দিয়ে এখন মাঠ গরম করা যাবে না। মানুষ এখন এসব মানবে না। কাজ না করলে খাবে কি? আপনার আন্দোলনে যাদের সমর্থন আছে তারাও এধরনের কর্মসূচি চায় না। পরিবহন মালিকরা বলছেন, আগুনের ভয়ে বাস চলছে না। নাহলে কিছুই বন্ধ থাকতো না।

বাসে গাড়িতে আগুনের ঘটনা না থাকলে কিছুই বন্ধ থাকতো না উল্লেখ করে রাজধানীর ভেতরের রুটের একাধিক পরিবহনের বাসের সহকারীরা বলছেন, ‘রোজ সকালে অনেক মানুষ অফিস যায়। অবরোধ মানার কোনো কায়দা নাই তাদের। কিন্তু বাসে উঠছে না। বাসে ওঠা আতঙ্ক হয়ে গেছে, কখন কোথায় আগুন লাগিয়ে দেয়। আমাদের এভাবে চলবে কী করে? বসে থাকলেতো না খেয়ে মরতে হবে।’

ঢাকা পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনায়েতুল্লাহ বলেন, ‘আমরা সবসময় পরিবহন চলাচল স্বাভাবিক রাখতে চেয়েছি। কিন্তু যাত্রী না পেলে বাস ছাড়বো কীভাবে। এরকম সহিংসতা, বাসে আগুন দিলে যাত্রীরা কোন সাহসে আসবে? এধরনের কর্মসূচিতে অর্থনৈতিক ক্ষতি, এটা দলগুলোকে বিবেচনায় নিতে হবে।’

গত ২৭ ঘণ্টায় ৭টি যাত্রীবাহী বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এছাড়া এ সময়ে ৪টি কাভার্ড ভ্যান ও ২টি ট্রাকেও আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) সকালে এ তথ্য জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মিডিয়া সেলের কর্মকর্তা তালহা বিন জসিম।

বিএনপি-জামায়াতের ডাকে প্রথম দফায় গত ৩১ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত সারা দেশে ৭২ ঘণ্টার অবরোধ পালন করা হয়। এরপর ৫ ও ৬ নভেম্বর দ্বিতীয় দফায় সারা দেশে অবরোধ কর্মসূচি ছিল। বর্তমানে তৃতীয় দফায় ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ চলছে। এসময়ে অর্ধশতর বেশি বাস ও ব্যক্তিগত গাড়িতে আগুন লাগানো হয়েছে।




আগামী নির্বাচনে গণতন্ত্র বিজয়ী হবে

গত দুই দশকে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে বলে মন্তব্য করেছেন চেক প্রজাতন্ত্রের ইউরোপিয়ান পিপল’স পার্টির রাজনীতিবিদ ইউরোপীয় পার্লামেন্টের মেম্বার টমাস জেডেচভস্কি। বাংলাদেশকে দক্ষিণ এশিয়ার বাঘ হিসাবে উল্লেখ করে তিনি জানান, ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাথে দেশটির শক্তিশালী বাণিজ্য সম্পর্ক রয়েছে। গত ৭ নভেম্বরে ইউরোপীয় পার্লামেন্টে অনুষ্ঠিত ‘বাংলাদেশে গণতন্ত্র ও মানবাধিকার’ শীর্ষক সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেছেন।

বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে গণতন্ত্রের প্রতীক হিসেবে দেখা হচ্ছে জানিয়ে টমাস জেডেচভস্কি আরও বলেন, এই নির্বাচনে গণতন্ত্র বিজয়ী হবে বলে তার আত্মবিশ্বাস রয়েছে। বাংলাদেশ আর ইউরোপীয় ইউনিয়নকে দুটি পক্ষ হিসেবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, পরস্পরের মধ্যে বিশ্বাস এবং শ্রদ্ধার ভিত্তিতে একটি গঠনমূলক এবং ভারসাম্যপূর্ণ অংশীদারিত্ব এখন প্রয়োজন।

নির্বাচন কমিশন কর্তৃক নিবন্ধিত ৪৭টি রাজনৈতিক দলের মধ্যে ১১টি ইসলামী দলের উল্লেখ করে অনুষ্ঠানের সহ-আয়োজক এবং স্টাডি সার্কেল লন্ডনের চেয়ারপারসন সৈয়দ মোজাম্মেল আলী বলেছেন, পশ্চিমা শক্তিগুলো যদি সতর্ক না হয়, তাহলে বাংলাদেশ মৌলবাদীদের হাতে চলে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। সাম্প্রতিক গ্লোবাল গেটওয়ে সামিটকে বাংলাদেশি সরকারের প্রতি আস্থার ভোট হিসেবে উল্লেখ করেন তিনি। বাংলাদেশের বর্তমান সরকারের প্রতি আস্থা না রাখলে ইউরোপীয় ইউনিয়ন এই ধরনের সহায়তা দিত না বলে তিনি জানান।

বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের রোম সংবিধিসহ সকল প্রধান আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কনভেনশনের পক্ষে বাংলাদেশ ছিল বলে উল্লেখ করেন ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইমস স্ট্র্যাটেজি ফোরামের ড. রায়হান রশিদ। মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত ১.২ মিলিয়ন রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশের আশ্রয় দেয়ার বিষয়টি সামনে আনেন তিনি। তার মতে, এই ঘটনা মানবাধিকারের পক্ষে বাংলাদেশের অবস্থানকে প্রকাশ করেছে।

বাংলাদেশিদের জন্য সাম্য, সামাজিক ন্যায়বিচার এবং মানবিক মর্যাদা নিশ্চিত করার জন্যই ১৯৭১ সালের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লক্ষ মানুষ প্রাণ হারিয়েছিল এবং বাংলাদেশ তার স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিল বলে সম্মেলনে জানান বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান ড. মিজানুর রহমান। তাই এই দেশ মানবাধিকারবান্ধব না হয়ে পারে না বলে তিনি যুক্তি দেন। সম্মেলনে উপস্থিত সকলকে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার কথাও স্মরণ করিয়ে দেন তিনি।

মানবাধিকারের বিভিন্ন ক্ষেত্র, যেমন সামাজিক অধিকার, শিক্ষার অধিকার এবং শিশুদের অধিকারকে বাংলাদেশ সমুন্নত রেখেছে বলে সম্মেলনে জানান ড. মিজানুর রহমান। এর উদাহরণ হিসেবে ১ জানুয়ারি দেশে ৩৫ মিলিয়ন পাঠ্যবই বিনামূল্যে বিতরণ করার উদাহরণ সামনে আনেন তিনি। ভূ-রাজনৈতিক মানবাধিকারকে একটি নব্য-ঔপনিবেশিক পদ্ধতি বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, বাংলাদেশের মতো ছোট ও দুর্বল রাষ্ট্রকে চাপ দেয়ার জন্য এটি ব্যবহার করলে সার্বভৌম সমতার আন্তর্জাতিক নীতি লঙ্ঘিত হয়। বাংলাদেশ তার গণতান্ত্রিক অবকাঠামোকে আরও শক্তিশালী, সমৃদ্ধ এবং টেকসই করতে তার ইউরোপীয় মিত্রদের কাছ থেকে সমর্থন আশা করে বলে জানান ড. মিজানুর রহমান।

বাংলাদেশে একটি ঐতিহাসিক যুদ্ধ চলছে, তা ভুলে গেলে চলবে না জানিয়ে ড. রায়হান রশিদ বলেন, ওই লড়াইয়ে এক পক্ষ পরাধীনতা বেছে নিয়েছে কিন্তু অন্য পক্ষ স্বাধীনতা বেছে নিয়েছে। এক পক্ষ সম-অধিকার বেছে নিলেও অন্য পক্ষ বেছে নিয়েছে অসম্মান। এক পক্ষ ধর্মনিরপেক্ষতা বেছে নিলেও অন্য পক্ষ বেছে নিয়েছে ধর্মীয় রাষ্ট্র। আগামী নির্বাচনে বাংলাদেশি ভোটারদের এর মধ্য থেকেই পক্ষ বেছে নিতে হবে বলে জানান তিনি।




মুজিবনগরে পলাশীপাড়া সমাজ কল্যাণ সমিতির স্বাস্থ্য ক্যাম্প অনুষ্ঠিত

মুজিবনগরে দারিদ্র দূরীকরণের লক্ষে দরিদ্র্য পরিবার সমূহের সম্পদ ও সক্ষমতা বৃদ্ধি (সমৃদ্ধি) কর্মসূচীর আওতায় স্বাস্থ্য ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়েছে।

পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) অর্থায়নে এবং পলাশীপাড়া সমাজ কল্যাণ সমিতি (পিএসকেএস) আয়োজনে আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত উপজেলার মোনাখালী কমিউনিটি ক্লিনিক প্রাঙ্গনে তৃণমূল দরিদ্র জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের লক্ষ্যে এই স্বাস্থ্য ক্যাম্প পরিচালিত হয়।

স্বাস্থ্য ক্যাম্পে বিশেষজ্ঞ ডাক্তার দ্বারা মেডিসিন, গাইনী ও চক্ষু চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয়।

স্বাস্থ্য সেবা প্রদান করেন পলাশীপাড়া সমাজকল্যাণ সমিতির মেডিকেল অফিসার ডঃ তৌকিক আহমেদ, এছাড়াও একজন গাইনি স্পেশালিস্ট ও একজন চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডাক্তার চিকিৎসা সেবা প্রদান করে।

পলাশীপাড়া সমাজ কল্যাণ সমিতির আয়োজনে, স্বাস্থ্য সেবা ক্যাম্পে উপস্থিত ছিলেন, পলাশীপাড়া সমাজকল্যাণ সমিতির মোনাখালী শাখার সমৃদ্ধি কর্মসূচির সমন্বয়কারী মোহাম্মদ হাসানুজ্জামান।

এছাড়াও স্বাস্থ্য ক্যাম্পে পলাশীপাড়া সমাজ কল্যাণ সমিতির স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, সমাজ উন্নয়নকর্মকর্তা ও স্বাস্থ্য পরিদর্শক বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।




মেহেরপুরে জেলা আওয়ামী লীগের উন্নয়ন ও শান্তি সমাবেশ

মেহেরপুরের শহীদ শামসুজ্জোহা পার্কে জামায়াত-বিএনপির হরতাল, অবরোধ, অগ্নি সন্ত্রাস, নৈরাজ্য সৃষ্টির প্রতিবাদে ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষে জেলা আওয়ামী লীগের শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ সম্পন্ন হয়েছে৷

আজ বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর ) বিকাল সোয়া ৪ টায় এই শান্তি সমাবেশ শুরু হয়। সমাবেশে মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা মেহেরপুর জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে মিছিল নিয়ে এসে যোগ দিয়েছেন। একপর্যায়ে শান্তিসমাবেশটি জনসমুদ্রে পরিণত হয়।

সমাবেশটি মুলত জামাত-বিএনপি’র নৈরাজ্যের প্রতিবাদে হলেও এর পাশাপাশি মেহেরপুর-১ সংসদীয় আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য ও জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের বিরুদ্ধেও একাট্টা হয়েছেন মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ।

সমাবেশে সকল বক্তা তাদের বক্তব্যে দলের সিনিয়র নেতাদের অবমূল্যায়ন করা সহ নানা অভিযোগ এনে মেহেরপুর -১ সংসদীয় আসনে নৌকার মাঝি পরিবর্তনে দলীয় সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন।

মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাড, ইয়ারুল ইসলামের সভাপতিত্বে    মেহেরপুর জেলা পরিষদের সাবেক প্রশাসক অ্যাডভোকেট ও জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম পেরেশানের সঞ্চালনায় শান্তি সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সাবেক সংসদ সদস্য জয়নাল আবেদিন, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও জেলা পরিষদের সাবেক প্রশাসক অ্যাড. মিয়াজান আলী, সহসভাপতি ও মুজিবনগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জিয়াউদ্দিন বিশ্বাস, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আব্দুল মান্নান, জেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক এবং আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় প্রচার ও প্রকাশনা উপ কমিটির সদস্য এম এ এস ইমন, যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য জেমস স্বপন মল্লিক, মেহেরপুর পৌর মেয়র মাহফুজুর রহমান রিটন, মুজিবনগর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান কামরুল হাসান চাদু, সদর উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর কাউন্সিলর আল মামুন, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মফিজুর রহমান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক জুয়েল রানা, যুবলীগের সদস্য সাজেদুল ইসলাম সাজু প্রমুখ।




বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলাবেন না : ইনু

মানবাধিকারের নামে বিদেশি বিশ্ব সংস্থাগুলো বাংলাদেশের দণ্ডিত অপরাধী ও চিহিৃত সন্ত্রাসীদের পক্ষে যে ভাষায় ওকালতি শুরু করেছে তা বিশ্ব সংস্থার মর্যাদা ক্ষুন্ন করছে বলে মন্তব্য করেছেন হাসানুল হক ইনু।

বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক না গলাতে বিদেশি সংস্থার প্রতি আহ্বান জানান তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও জাসদ সভাপতি।

আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার তালবাড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ২ কোটি ৭৪ লাখ টাকা ব্যয়ে নতুন চার তলা একাডেমিক ভবনের উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন ইনু।

এ সময় হাসানুল হক ইনু বলেন, ইসরায়েলের আক্রমণে গাজায় যে মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে সেটা বাঁচানোর চেষ্টা না করে বাংলাদেশের দণ্ডিত অপরাধীদের পক্ষে ওকালতি করা অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের শামিল।

এসময় জেলা জাসদের সভাপতি গোলাম মহসিন, মি,রপুর উপজেলা জাসদের সাধারণ সম্পাদক আহম্মদ আলী, মিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) জহুরুল ইসলাম, তালবাড়ীয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি আরিফুল ইসলাম, প্রধান শিক্ষক দিলারা জোয়ার্দারসহ জাসদের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।




তফসিল ঘোষণার সময় হয়ে গেছে- সিইসি

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, ‘‘দ্রুত আমরা তফসিল ঘোষণা করব, কারণ সময় হয়ে গেছে। শিগগিরই আমরা বসে চূড়ান্ত করব।’

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে এ কথা বলেন তিনি।

বঙ্গভবন থেকে বেরিয়ে সিইসি বলেন, নির্দিষ্ট সময়ে নির্বাচন করতে আমাদের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। সে অনুযায়ী আমরা খুব দ্রুত তফসিল ঘোষণা করব।’

রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে এদিন বেলা ১১টা ৫২ মিনিটে বঙ্গভবনে যান চার নির্বাচন কমিশনারসহ প্রধান নির্বাচন কমিশনার। তাদের সঙ্গে কমিশন সচিব মো. জাহাংগীর আলমও ছিলেন।

সংবিধান অনুযায়ী সংসদের পাঁচ বছর মেয়াদ শেষ হওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। বর্তমান সংসদের মেয়াদ ২০২৪ সালের ২৯ জানুয়ারি শেষ হবে। এক্ষেত্রে ৯০ দিনের গণনা শুরু হবে ২০২৩ সালের ১ নভেম্বর থেকে। নভেম্বরের মাঝামাঝি জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা ও জানুয়ারিতে নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে।

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আসনভিত্তিক ভোটার তালিকা চূড়ান্ত করেছে নির্বাচন কমিশন। এতে মোট ভোটার ১১ কোটি ৯৬ লাখ ৯১ হাজার ৬৩৩। মোট ভোটারের মধ্যে নারী ৫ কোটি ৮৯ লাখ ১৯ হাজার ২০২, পুরুষ ভোটার ৬ কোটি ৭ লাখ ৭১ হাজার ৫৭৯ এবং তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার ৮৫২ জন।

সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে তরুণদের অন্তর্ভুক্ত হওয়ার সুযোগ দেওয়ায় ভোটার সংখ্যা বেড়েছে ৫ লাখ ৪০ হাজার ১৯৩ জন। জেলা নির্বাচন কর্মকর্তারা দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য ৩০০ আসনভিত্তিক ভোটার তালিকা চূড়ান্ত করেছে ইসি। এ তালিকা অনুযায়ী সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ করা হবে।

ইসি জানায়, জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করা দীর্ঘদিনের রীতি রয়েছে। এরপরই তফসিল ঘোষণা হবে। ১৪ অথবা ১৫ নভেম্বর তফসিল ঘোষণা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানায় ইসি। ডিসেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহে বা জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে নির্বাচন হবে। এরই মধ্যে ১ নভেম্বর প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের সঙ্গে বৈঠক করেছে ইসি।