মুজিবনগরে সড়ক দুর্ঘটনায় ২ জন আহত

মুজিবনগর-মেহেরপুর প্রধান সড়কে বাইসাইকেল ও মোটরসাইকেলের মুখোমুখী সংঘর্ষে মোটরসাইকেল চালক ও বাইকে বাইসাইকেল চালকক আহত হয়েছে।

আজ শনিবার ১৬ই ডিসেম্বর বিকেল সাড়ে চারটার সময় এই দুর্ঘটনা ঘটে। মোটরসাইকেল চালক মুজিবনগর উপজেলার বল্লভপুর গ্রামের বিষ্ণু মন্ডল এর ছেলে প্রিন্স মন্ডল(১৯) এবং বাইসাইকেল চালক ভবরপাড়া গ্রামের মৃত রহমান দফাদারের ছেলে পাঁচু দফাদার(৬০)।

ঘটনা সূত্রে জানা যায়,ভবর পাড়ার পাঁচু দফাদার বাইসাইকেল নিয়ে কেদারগঞ্জ বাজার থেকে বাড়ির উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলেন। এ সময় তিনি মুজিবনগর থানা সড়কের কাছাকাছি মানিকনগর গ্রামের নিকট পৌঁছালে পিছনদিক থেকে আশা একটি দ্রুতগতির মোটরসাইকেল তাকে ধাক্কা দেয়। এতে বাইসাইকেল চালক পাঁচু দফাদার সহ মোটরসাইকেল চালক প্রিন্স মন্ডল রাস্তার পাশে ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হয়।

স্থানীয়রা আহতদেরকে উদ্ধার করে মুজিবনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক বাইসাইকেল চালক পাঁচু দফাদারের অবস্থা বেগতিক দেখে মেহেরপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে রেফার্ড করেন এবং মোটরসাইকেল চালক প্রিন্স মন্ডলের অবস্থা গুরুতর না হওয়ায় তাকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেন।

এই বিষয়ে মুজিবনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) উজ্জল কুমার দত্ত জানান, বাইসাইকেল ও মোটরসাইকেলের দুর্ঘটনার বিষয়ে আমরা অবগত আছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে আইনি প্রক্রিয়া চলমান এবং দুর্ঘটনা কবলিত মোটরসাইকেলটি জব্দ করা হয়েছে।




আলমডাঙ্গায় উপজেলা ও পৌর বিএনপির বিজয় দিবস পালন

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আলমডাঙ্গা উপজেলা ও পৌর বিএনপির উদ্যোগে নানান কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। শনিবার সকালে বিএনপি নেতাকর্মিরা আলমডাঙ্গায় বিজয় দিবসের জাতীয় পতাকা উত্তোলন, র্যালি, শহীদ মাজারে পুষ্পমাল্য অর্পণ ও ফাতেহা পাঠ এবং শহীদ জিয়া শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার সকাল ৯টায় পৌর এলাকার ফায়ার সার্ভিস সংলগ্ন এলাকা থেকে র্যালিটি বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে শহীদ মাজারে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন। পরে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সদস্য ও আলমডাঙ্গা পৌর বিএনপির সভাপতি আজিজুর রহমান পিন্টু।

উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি আক্তার হোসেনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সদস্য ও পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমান ওল্টু, সাবেক কেন্দ্রীয় যুব নেতা এমদাদুল হক ডাবু।

এছাড়া উপস্থিত ছিলেন আলমডাঙ্গা পৌর বিএনপির সহ-সাধারণ সম্পাদক মহাবুল হক মাস্টার, পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আলি আজগর সাচ্চু, উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম মোস্তফা বিশ্বাস, সহ-সাধারণ সম্পাদক রমজান আলী, ডাউকি ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আবদার আলী, বেলগাছি ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আমজাদ আলী, নাগদাগ ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি বোরহান উদ্দীন, খাসকররা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুর রশিদ, কুমারি ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি রকিবুল ইসলাম, ভাংবাড়িয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি টিপু সুলতান, খাদেমপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি শেরেগুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক সালাম মেম্বার, শাহিনুজ্জামান, রাজাবুল ইসলাম, আবু বক্কর সিদ্দিক, আলমগীর হোসেন লালন, আতাউল হুদা, শফিকুল ইসলাম, পলাশ। হাফিজুর রহমান তোতা, আব্দুল জব্বার, সালেহ মাসুদ লিপু আমিরুল ইসলাম পান্নু, আরজান আলী, আবুল হক মিঠু।

আলমডাঙ্গা উপজলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক রকিবুল ইসলাম, পৌর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম কনক, যুবদলের যুগ্নআহবায়ক সাইফুল ইসলাম, হাফিজুর রহমান।

উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি জাহিদ হাসান শুভ, সাধারণ সম্পাদক ইমরান রাসেল, পৌর ছাত্রদলের সভাপতি আতিক হাসনাত রিংকু, রাজু আহমেদ, আলমডাঙ্গা সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন লিমন, পৌর মৎস্য দলের সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ হোসেন। এছাড়াও বিজয় দিবসের র্যালি ও আলোচনা সভায় উপজেলা, পৌর, ইউনিয়ন বিএনপির অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।




আলমডাঙ্গয় যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালিত

আলমডাঙ্গায় যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালিত।১৬ ডিসেম্বর শনিবার সুর্যদয়ের সাথে সাথে ৩১বার তোপধ্বনির মধ্য দিয়ে দিনের শুভ সূচনা হয়।

আলমডাঙ্গা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চত্বরে জাতীয় ও মুক্তিযোদ্ধা পতাকা উত্তলন ও বঙ্গবন্ধু মুরালে পুস্পমাল্য অর্পন করে,পরে উপজেলা চত্বরে শহীদদের স্মরণে নির্মিত শহীদ মাজারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করে উপজেলা পরিষদ, উপজেলা প্রশাসন, থানা প্রশাসন, পৌরসভা, উপজেলা ও পৌর আওয়ামীলীগ,আলমডাঙ্গা সরকারি কলেজ,সরকারি স্কুল,ব্রাইট স্কুল,আলইকরা ক্যাডেট স্কুল, সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক, সাংষ্কৃতিক সংগঠন ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।এখান থেকে উপজেলা চত্তরে মঙ্গবন্ধুর মুরালে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

প্রথমে উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্নিগ্ধা দাস, উপজেলা চেয়ারম্যান আইয়ুব হোসেন, পৌর মেয়র হাসান কাদির গনু,ভাইস চেয়ারম্যান এ্যাডঃ সালমুন আহমেদ ডন,মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কাজী মারজাহান নিতু,থানা অফিসার ইনচার্জ তদন্ত একরাম হুসাইন,উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আবু মুছা,সম্পাদক ইয়াকুব আলী মাষ্টার, স্মৃতিস্তম্ভে ফুল দিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পরে একে একে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, শ্রমিক লীগ, কৃষক লীগ, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড, মহিলা পরিষদ, প্রেসক্লাব,আরই অফিস,পল্লি বিদ্যুৎ, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, এনজিও ফাউন্ডেশনসহ বিভিন্ন সংগঠন ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করে।

এছাড়া উপজেলায় বধ্যভুমি ও স্মৃতিস্তম্ভে ফুল দিয়ে শহীদদের স্মরণ করে উপজেলা প্রশাসন ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দল।

সকাল ৯টায় উপজেলা চত্বরে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন উপজেলা চেয়ারম্যান আইয়ুব হোসেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্নিগ্ধা দাস ও অফিসার ইনচার্জ তদন্ত একরাম হুসাইন। এরপরে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা কুচকাওয়াজ, শরীর চর্চা ও ডিসপ্লে প্রদর্শন করে। শেষে বিজয়ীদের মধ্যে পুরুস্কার বিতরণ করা হয়। ডিসপ্রেতে কুচকাওয়াজে প্রথম হন আলমডাঙ্গা একাডেমী,দ্বিতীয় আলমডাঙ্গা সরকারি উচ্চবিদ্যালয়,তৃতীয় বালিকা বিদ্যালয়।ডিসপ্লেতে প্রথম বালিকা বিদ্যালয়,দ্বিতীয় এরশাদপুর একাডেমী,তৃতীয় আলমডাঙ্গা একাডেমী,ও এম সবেদ আলী স্কুল যৌথ।

সকাল সাড়ে ১০টায় উপজেলা পরিষদ মঞ্চে মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা দেয়া হয়।

সংবর্ধনা সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্নিগ্ধা দাস। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আইয়ুব হোসেন।

বিশেষ অতিথি ছিলেন আলমডাঙ্গা পৌর মেয়র হাসান কাদের গনু, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট খন্দকার সালমুন আহমেদ ডন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কাজী মারজাহান নিতু, থানা অফিসার ইনচার্জ তদন্ত একরাম হুসাইন,উপজেলা কৃষি অফিসার রেহানা পারভীন , উপজেলা স্বাস্থ্য প, প, কর্মকর্তা ডাক্তার হাদী জিয়াউদ্দিন আহমেদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট মোল্লা আব্দুর রশিদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিউর রহমান জোয়ার্দ্দার সুলতান, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কুদ্দুস,বীর মুক্তিযোদ্ধা ৭১ এর অগ্নিসেনা মইনুদ্দিন পারভেজ,বীর মুক্তিযোদ্ধা এম সবেদ আলী, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম, বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুজ্জামান লাল্টু, বীর মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার হামিদুল ইসলাম আজম, আলমডাঙ্গা, মহিলা ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ আশুরা খাতুন,প্রানী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ আব্দুল্লাহিল কাফি,উপজেলা শিক্ষা অফিসার সামসুজ্জোহা,মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জিয়াউল হক,মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মাকসুরা জান্নাত,বিআরডিবি কর্মকর্তা সায়লা শারমিন,তথ্য কর্মকর্তা স্নিগ্ধা দাস, প্রমুখ।

অনুষ্ঠানটি সার্বিকভাবে পরিচালনা করেন কলেজিয়েট স্কুলের উপাধ্যক্ষ শামীম রেজা।

আলোচনা সভার শেষে শহীদ পরিবারের সদস্যদের হাতে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২২ জন শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে আর্থিক সাহায্য প্রদান করা হয় ও উপস্থিত মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান উপজেলা প্রশাসন,পরে দুপুরের খাবার ও কম্বল দেওয়া হয়। অপরদিকে সকাল আটটায় আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয় এবং বঙ্গবন্ধু প্রতিকৃতিতে পুষ্প মাল্য অর্পণ করা হয়,পরে উপজেলা ও পৌর আওয়ামীলীগের পক্ষে সভাপতি আবু মুছা, সম্পাদক ইয়াকুব আলী,পৌর সভাপতি দেলোয়ার হোসাইন সহ নেতৃবৃন্দের নেত্রীত্বে র্যালী সহ বঙ্গবন্ধুর মুরালে ও শহীদ মাজারে ফুল দিয়ে শুভেচরছা জানান হয়েছে।

সকাল ১১ টায় উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে এক বিশাল বিজয় র্্যালী আলমডাঙ্গা শহর পরিদক্ষন শেষে আলোচনা সভায় আবু মুছার সভাপতিত্বে ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইয়াকুব আলী মাস্টারের উপস্থাপনায় বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম খান, সাবেক জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা হেলাল উদ্দিন, শাহ আলম, সিরাজুল ইসলাম,কাজী অরুন, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন,সাধারণ সম্পাদক মতিয়ার রহমান ফারুক,উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি শিক্ষানুরাগী আলহাজ্ব লিয়াকত আলী লিপু মোল্লা,,সাবেক সাংগাঠনিক সম্পাদক আতিয়ার রহমান,পৌর যুগ্ম সম্পাদক সাইফুর রহমান পিন্টু, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ভাইস চেয়ারম্যান এডভোকেট খন্দকার সালমুন আহমেদ ডন, ইউপি চেয়ারম্যান আবু সাঈদ পিন্টু,মাহমুদুল হাসান চঞ্চল, নজরুল ইসলাম, আশিকুর রহমান ওল্টু, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক উপ-প্রচার সম্পাদক মাসুদ রানা তুহিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা দিদার আলী,মহিলা আওয়ামীলীগের সাহিদা ইসলাম, প্রমুখ। বিজয় র‍্যালীতে উপজেলা ও পৌর আওয়ামীলীগসহ অঙ্গ সংঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।এ ছাড়াও আলমডাঙ্গা সরকারি কলেজ মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা পুরস্কার বিতরন ও বীর মুক্তিযোদ্ধা ডাঃ শাহাবুদ্দিন কে সংবর্ধনা প্রদান করেন।অনুষ্টানে সভাপতিত্ব করেন আলমডাঙ্গা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড, আব্দুর রকীব,প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ডাঃ শাহাব।




কাথুলী ব্লাড ব্যাংক ফাউন্ডেশনের উদ্দ্যেশে বিনামূল্যে রক্তের গ্রুপ নির্নয়

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে কাথুলী ব্লাড ব্যাংক ফাউন্ডেশনের গাংনীর নওপাড়াতে বিনামূল্যে ২০০ জনের গ্রুপ নির্নয় করা হয়েছে। গতকাল শনিবার সকাল থেকে দিনব্যাপি এই গ্রুপ নির্নয় চলমান রেখেছিলেন।

কাথুলী ব্লাড ফাউন্ডেশন (কইঋ)’ একটি স্বেচ্ছায় রক্তদাতা সংগঠন। ‘কাথুলী ব্লাড ফাউন্ডেশন’ ‘এরভঃ ষরভব, মরাব নষড়ড়ফ’ এ শ্লোগান নিয়ে ১লা জানুয়ারী, ২০২৩ তারিখ স্বেচ্ছায় রক্তদানকে একটি সামাজিক আন্দোলনে পরিণত করার প্রত্যয় নিয়ে -এর শুভ সূচনা ।

ইতিমধ্যে সামাজিক এই সংগঠন নিজ গ্রাম ইউনিয়ন নিয়ে কার্ক্রম শুরু করলেও বর্তমানে সাড়া ফেলেছে দেশের গুরুত্বপূর্ন কয়েকটি জোনে। কাথুলী ব্লাড ফাউন্ডেশন’ মেহেরপুর, কুষ্টিয়া, রাজশাহী ও ঢাকা জোনকে সহায়তা করার জন্য নিয়মিত রক্তদাতা সংগ্রহ, বিনামূল্যে রক্তের গ্রুপিং প্রোগ্রাম, সমাবেশ, কর্মশালার আয়োজন ও রক্তদাতাদের সম্মান জানানোর পাশাপাশি নতুনদের রক্তদানে অনুপ্রাণিত করার জন্য কাজ করে চলেছেন।

এ বিষয়ে কাথুলী ব্লাড ব্যাংক ফাউন্ডেশনের সভাপতি বাশারুল ইসলাম জানান আমরা সেই দিনের স্বপ্ন দেখি যেদিন বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষ তাদের রক্তের গ্রুপ জানতে পারবে এবং স্বেচ্ছায় রক্তদানে এগিয়ে আসবে।
“রক্ত দান করলে কোন ক্ষতি হয় না”আসুন চার মাস মেয়াদে রক্তদান করি। ‘আমরা কাথুলী ব্লাড ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে যে ধরনের কার্যক্রম সমূহ চলমান রেখেছি তা হলো, ‘কাথুলী ব্লাড ফাউন্ডেশন’ -এর স্বেচ্ছাসেবকরা মেহেরপুর জেলার গ্রাম গুলোতে রক্তদানের উপকারিতা ও রক্তের গুরুত্ব মানুষের মাঝে তুলে ধরার জন্য বিভিন্ন ধরনের ক্যাম্পেইন ও ভিডিও প্রদর্শনী করে থাকে।

১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বিনামূল্যে রক্তের গ্রুপ নির্ণয় ও ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়েছে সেখানে ২০০ জন বিনামূল্যে রক্তের গ্রুপ নির্ণয় সেবা গ্রহণ করে।

এমন গুরুত্বপূর্ণ দিবসে আমরা কার্যক্রম পরিচালনা করি। ‘কাথুলী ব্লাড ফাউন্ডেশন’ এখন পর্যন্ত ৪০০ জন মুমূর্ষ রোগীর প্রাণ বাচাতে স্বেচ্ছায় রক্তদান করেছে।

তবে এই মানবিক কাজ যে মানুষগুলো দিনরাত শ্রম দিয়ে চলমান রেখেছে তাদের মধ্যে অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক মোঃ নাছিম আহমেদ, সভাপতি মোঃ বাশারুল ইসলাম ,সহ-সভাপতি মোঃ মিঠন রানা,সাধারণ সম্পাদক মোঃ সাজ্জাদ হোসেন (সাজু),যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মোঃ তুহিন রানা,যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মোছাঃ সোনিয়া খাতুন, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মোছাঃ ফারজানা দীপা, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ ইসমাইল হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ মফিজুল ইসলাম সাংগঠনিক সম্পাদক মোছাঃ সাদিয়া ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক ফারিহা মুসতাকি রিয়া, অর্থসম্পাদক মোঃ আকাশ আহাম্মেদ, দপ্তর সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মামুন, উপ-দপ্তর সম্পাদক মোঃ মেনন আলী, প্রচার সম্পাদক মোঃ রায়হান আলী, উপ-প্রচার সম্পাদক মোঃ সোহরাব আলী, স্বাস্থ্য সেবা বিষয়ক সম্পাদক মোছাঃ ইভা খাতুন , উপ স্বাস্থ্য সেবা বিষয়ক সম্পাদক মোছাঃ তাসমিনা খাতুন, সমাজসেবা বিষয়ক সম্পাদক মোছাঃ মোহনা খাতুন, সমাজসেবা বিষয়ক সম্পাদক মোঃ ফয়সাল হোসেন, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক মোছাঃ চম্পা খাতুন,তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক তায়েবা উর্মি সহ আরো অনেক সদস্যবৃন্দ।

কাথুলী ব্লাড ফাউন্ডেশন -এর স্বেচ্ছাসেবীরা সুধুমাত্র ব্লাড সংগ্রহের কাজ করেই থেমে নেই পাশাপাশি তারা নিজ এলাকাতে নানা ধরণের সামাজিক কার্যক্রম পরিচালনা করে। এবং বিভিন্ন সমস্যা খুজে বের করে ও বিত্তবান সহ জনপ্রতিনিধিদের সাথে সহযোগিতা নিয়ে সামাজিক অতিদরিদ্র ব্যাক্তিদের তার সমাধান করে থাকে। তারই পরিপ্রেক্ষিতে মেহেরপুর জেলার কিছু তরুন-তরুনী সম্মিলিত ভাবে মুমূর্ষ রোগীর জীবন বাচাতে যে রক্তের প্রয়োজন তার যোগান দিবে তারাই । এই লক্ষ নিয়ে দি হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশের সহযোগী স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ইয়ূথ এন্ডিং হাঙ্গার বাংলাদেশের একাংশ কাথুলী ইয়ুথ লিডাররা একটি অনলাইন প্লাটফর্ম তৈরী করে থাকে।যার মাধ্যমে ‘কাথুলী ব্লাড ফাউন্ডেশন’।বর্তমানে কাথুলী ব্লাড ফাউন্ডেশন -এর ১৫০০ জন রক্তদাতা স্বেচ্ছায় রক্তদানের জন্য সার্বক্ষনিক প্রস্তুত রয়েছে।

কোন অসহায় মানুষ যেন রক্তের অভাবে মৃত্যু না হয় সেই লক্ষ্য তাদের কার্যক্রম চলমান প্রক্রিয়া থাকবে।




দামুড়হুদায় যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস উদযাপন

দামুড়হুদায় বর্ণিল আলোকসজ্জা ও বিভিন্ন আয়োজনে দামুড়হুদা উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে মহান বিজয় দিবস উদযাপিত হয়েছে।

আজ শনিবার সকাল ৬ টা ৩০ মিনিটে ৩১ বার তোপধ্বনীর মধ্য দিযে দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদের বঙ্গবন্ধু চত্ত্বরে উপজেলা পরিষদ, উপজেলা প্রশাসন, উপজেলা আওয়ামী লীগের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন, পুলিশ, আনসার, ফায়ার সার্ভিস সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, প্রেস ক্লাব, সাংস্কৃতিক, ক্রীড়া সংগঠনের পক্ষ হতে পুষ্পস্তবক অর্পণ এর মাধ্যমে জাতির সূর্য সন্তানদের শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।

৮ টায় উপজেলার আটকবর স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তাবক অর্পণ করেন, দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলী মুনছুর বাবু ও দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোকসানা মিতা।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, দামুড়হুদা উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি সজল কুমার দাস, দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আলমগীর কবির, দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ বিপ্লব কুমার শাহসহ উপজেলার সকল অফিসার ও কর্মচারীবৃন্দ।

তারপর সকাল সাড়ে ৯ টার সময় দামুড়হুদা উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে দামুড়হুদা শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয় বর্ণাঢ্য মার্চপাস্ট,শিশু কিশোর সমাবেশ,কুচকাওয়াজ, মুক্তিযোদ্ধা সংবর্ধনা, ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, এবং পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান। এইসময় শান্তির কপোত পায়রা এবং বেলুন উড়িয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করা হয়।

পুলিশ, আনসার, ও গার্লস গাইড সহ উপজেলার বিভিন্ন প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীরা এই কুচকাওয়াজে অংশ নেন।

দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ আলী মুনছুর বাবু ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোকসানা মিতা, দর্শনা ও দামুড়হুদা থানার অফিসার ইনচার্জ বিপ্লব কুমার শাহ, আলমগীর কবিরসহ কুচকাওয়াজ পরিদর্শন করেন এবং সালাম গ্রহণ করেন। এই সময় সাংবাদিক, মুক্তিযোদ্ধা, সরকারি কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক শিক্ষার্থী সহ সর্বস্তরের জনগন উপস্থিত ছিলেন।




গাংনী উপজেলা আওয়ামীলীগের বিজয় দিবস উদযাপন

গাংনী উপজেলা আওয়ামীলীগের উদ্যোগে বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে নানা কর্মসুচী পালিত হয়েছে। আজ শনিবার( ১৬ ডিসেম্বর) সকাল ৮টার সময় গাংনী বাজার বাসস্ট্যান্ডের শহীদ রেজাউল চত্বরে জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্য দিয়ে কর্মসুচির শুরু করে উপজেলা আওয়ামীলীগ।

গাংনী উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মো‏হাম্মদ সাহিদুজ্জামান খোকনের নেতৃত্বে শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পন শেষে একটি বিশাল বিজয় র‌্যালী শহীদ রেজাউল চত্বর থেকে বের হয়ে শহরের গুরুত্বপুর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে গিয়ে শেষ হয়। পরে শহীদদেও স্মরনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন গাংনী উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মোহাম্মদ সাহিদুজ্জামান খোকন ও সাধারণ সম্পাদক মোখলেছুর রহমান মুকুলসহ অনেকে।

এসময় গাংনী উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মোখলেছুর রহমান মুকুলসহ যুবলীগ,ছাত্রলীগ,কৃষকলীগসহ অংগ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।




গাংনী উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা প্রদান

গাংনী উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা,মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়েছে।  আজ শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার সময় গাংনী উপজেলা পরিষদ চত্বরে জাতীর বীর সন্তানদের সংবর্ধনা দেয়া হয়।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, গাংনী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও মেহেরপুর জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এমএ খালেক।

গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রীতম সাহা’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন,গাংনী পৌর মেয়র আহমেদ আলী, গাংনী উপজেলা ভুমি কর্মকর্তা ও সহকারি কমিশনার(ভুমি) নাদির হোসেনে শামীম,সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আমিরুল ইসলাম ও মুন্তাজ আলী। গাংনী উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা মাহাবুবুল হক মন্টুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা মোঃ অরশাদ আলী,গাংনী থানার ওসি(তদন্ত) মনোজিৎ কুমার নন্দী।

অনুষ্ঠানে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে সম¥ুখ সমরে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়া বীর মুক্তিযোদ্ধা ,শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে আগত বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারের সদস্যদের ফুল দিয়ে সংবর্ধনা দেয়া হয়।




মুজিবনগরে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালিত

১৬ ই ডিসেম্বর বাঙালি জাতির মুক্তির দিন বিজয়ের দিন মহান বিজয় দিবস।। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর আহবানে সাড়া দিয়ে সমগ্র বাঙালী জাতি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন এবং দীর্ঘ ৯ মাস সশস্ত্র যুদ্ধে সীমাহীন ত্যাগ এবং অসীম বীরত্ব প্রদর্শন করে মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ শহিদ ও আত্মোৎসর্গকারী এবং অগণিত নির্যাতিতা মা-বোনদের সম্ভ্রমের বিনিময়ে বাঙালি জাতি মহান বিজয় অর্জন করেন।

মুজিবনগরে দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় সুষ্ঠু, সুন্দর ও জাঁকজমকপূর্ণ উৎসবমূখর পরিবেশে উদযাপন করা হয়েছে।শনিবার ১৬ই ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে মুজিবনগর স্মৃতিসৌধে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে একত্রিশ (৩১) বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসটির শুভসূচনা করা হয়।পরে
মুজিবনগর স্মৃতিসৌধে পুষ্পমাল্য অর্পণ স্মৃতিসৌধের জাতীয় পতাকা উত্তোলন মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি সম্মান জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য করে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে স্মৃতিসৌধ ও বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুস্তক দর্পণ করেন, মুজিবনগর উপজেলা পরিষদের পক্ষে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আজগর আলী, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জিয়াউদ্দিন বিশ্বাস, মুজিবনগর উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি নাজমুস সাদাত রত্ন, মুজিবনগর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) উজ্জ্বল দত্ত সহ উপজেলার কর্মকর্তাবৃন্দ পরে মুজিবনগর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) উজ্জ্বল দত্তের নেতৃত্বে মুজিবনগর থানা, বীর মুক্তিযোদ্ধা বৃন্দ, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ মুজিবনগর উপজেলা শাখা সভাপতি রফিকুল ইসলাম তোতা, সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদের নেতৃত্বে মুজিবনগর উপজেলা আওয়ামী লীগ, টুরিস্ট পুলিশ, বাংলাদেশ আনসার ভিডিপি,উপজেলা ফায়ার ব্রিগেডে সিভিল ডিফেন্স,বাগোয়ান ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আইয়ুব হোসেন, মহাজনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমাম হোসেন মিলু, মোনাখালি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মফিজুর রহমান, দারিয়াপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মুস্তাকিম হক খোকন কমান্ডার বাগোয়ান ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মুজিবুর রহমান মধু।

উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মতিউর রহমান মতিনের নেতৃত্বে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ। সহ বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠন পুষ্পস্তবক অর্পন করে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন।

পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে মুজিবনগর উপজেলা পরিষদ চত্বরে মুজিবনগর নির্বাহী অফিসার আজগর আলী মুজিবনগর উপজেলা চেয়ারম্যান জিয়াউদ্দিন বিশ্বাস মুজিবনগর থানা অফিসার ইনচার্জ ওসি উজ্জ্বল দত্ত জাতীয় সঙ্গীতের তালে তালে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন পরে বীর মুক্তিযোদ্ধা, পুলিশ, সিভিল ডিফেন্স, বিএনসিসি, আনসার ও ভিডিপি, বাংলাদেশ স্কাউটস, রোভার স্কাউটস, কাব, গার্লস গাইড, স্কুল কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা কুচকাওয়াজ প্রদর্শন করেন।

কুচকাওয়াজ শেষে ফুলের ছাত্র-ছাত্রীদের মনোমুগ্ধকর ডিসপ্লে প্রদর্শন অনুষ্ঠিত হয় শেষে পুরস্কার বিতরণী এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা এবং ‘জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ ও ডিজিটাল প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহার’ শীর্ষক আলোচনা জাতির শান্তি, অগ্রগতি এবং মুক্তিযুদ্ধে শহিদদের আত্মার শান্তি কামনায় মসজিদে দোয়া এবং মন্দির, গির্জা, প্যাগোডা ও অন্যান্য উপাসনালয়ে প্রার্থনা উপজেলার সকল এতিমখানা ও হাসপাতালে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন।

প্রীতি ফুটবল ম্যাচ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে শেষ হয়ে বাঙালি জাতির বিজয়ের দিন মুক্তির দিন ১৬ই ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উদযাপন।




দর্শনায় যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস পালিত

বিজয়ের লাল ছুঁয়ে যাক সুবুজে এ স্লোগানকে সামনে রেখে বিজয়ের ৫২ বছরে আমাদের যা কিছু অর্জন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান এবং আওয়ামী লীগের হাত ধরেই হয়েছে বাঙ্গালি জাতি, এ উপলক্ষে দর্শনায় যথাযোগ্য মর্যদায় নানা আয়োজনে মহান বিজয় দিবস পালিত হয়েছে।

এ উপলক্ষে দর্শনা পৌরসভার আয়োজনে দর্শনা রেল বাজার বঙ্গবন্ধু চত্তরে জাতীয় পতাকা দলীয় পতকা ও মুক্তিযোদ্ধা পতকা উত্তোলন করেন,চুয়াডাঙ্গা ২ আসনের সংসদ সদস্য হাজী আলী আজগার টগর ও বীর মুক্তিযোদ্ধা পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি রুস্তম আলী,ও দলীয় নেতাকর্মীরা।তারপর দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে দর্শনা কেরুজ বাজার মাঠে উপস্থিত হয়।

দর্শনা পৌর আওয়ামীলীগের উদ্দগে, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সরকারী-বেসরকারী সংস্থা, রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন, থিয়েটার গ্রুপ ও পেশাজীবি ২৮টি সংগঠন দর্শনা কেরু চিনিকলের ফুটবল মাঠে বিজয় দিবসের নানা কর্মসুচি পালন করেছেন।

এসব কর্মসূচির মধ্যে ছিলো, সকাল সাড়ে ৮টায় দর্শনা কেরু চিনিকলের ফুটবল মাঠে নিজ নিজ সংগঠনের ব্যানার নিয়ে উপস্থিতি।শনিবার ১৬ ডিসেম্বর সকাল ৯টায় জাতীয় সংগীতের সাথে সাথে জাতীয় পতাকা ও মুক্তিযুদ্ধের পতাকা উত্তোলন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুস্পমাল্য অর্পন। উপস্থিত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ফুলেল শুভেচ্ছা প্রদান। এরপর উপস্থিত সকল সংগঠনের সদস্যদের শফত বাক্য পাঠ করান চুয়াডাঙ্গা ২ আসনের সংসদ সদস্য বর্তমান নৌকার মনোনীত প্রার্থী হাজী আলী আজগার টগর। শফত বাক্য পাঠ শেষে প্রত্যেক সংগঠন এক সাথে র‍্যালী করে দর্শনা চটকাতলা কামকমিউনিটি সেন্টার চত্বরে মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিস্তম্ভে পর্যায়ক্রমে সংগঠনগুলা পুস্পমাল্য অর্পন করে।

এসব সংগঠনের মধ্যে ছিলো দর্শনা পৌরসভা, দর্শনা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, ওয়েভ ফাউন্ডেশন, দর্শনা অনিবার্ণ থিয়েটার, দর্শনা প্রেসক্লাব, দর্শনা সরকারী কলেজ, দর্শনা রিক্সা ও ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়ন, চুয়াডাঙ্গা আন্তঃ ট্রাংকলরী শ্রমিক ইউনিয়ন, মেমনগর বিডি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, হিন্দোল সংগীত পরিষদ, দর্শনা গণ-উন্নয়ন গ্রন্থাগার, শান্তি নগর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, শ্যামপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, পরাণপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, দর্শনা ডি এস ফাযিল ডিগ্রী মাদ্রাসা, দর্শনা দক্ষিন চাঁদপুর মাধ্যামিক বিদ্যালয়, দর্শনা বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মাথাভাঙ্গা যুব সংঘ, পশ্চিম রামনগর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, দক্ষিন চাঁদপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, মৌচাক সামাজিক উন্নয়ন সংস্থা, উপজেলা হিন্দু,বৈাদ্ধ ও খৃষ্টান ঐক্য পরিষদ। সকল অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন, দর্শনা পৌর আওয়ামীলীগের যুগ্ন সম্পাদক মেয়র গোলাম ফারক আরিফ।

অপরদিকে দর্শনা কেরুজ চিনিকল কমান্ড পৃথক ভাবে পালন করেছে মহান বিজয় দিবস। সকালে কেরুজ ক্লাবমাঠে জাতীয় ও মুক্তিযোদ্ধা পতাকা উত্তোলন, কেরুজ শ্রমিক ইউনিয়ন সংলগ্ন শহীদ বেদীতে পুষ্পস্তম্ভক অর্পন করেন, কেরু এ্যান্ড কোম্পানীর পক্ষেবাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করর্পোরেশনের চেয়ারম্যান শেখ শোয়েবুল আলম এনডিসি ও প্রতিষ্ঠানের ব্যাবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন, কেরুজ প্রশাসন বিভাগের এডিএম ইউসুফ আলী,মহাব্যাবস্থাপক অর্থ গোলাম জাকারিয়া, কেরুজ শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের পক্ষে সভাপতি ফিরোজ আহম্মেদ ও সাধারন সম্পাদক মাসুদুর রহমান, সহ-সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান, সহ-সম্পাদক খবির উদ্দিন, কেরুজ উচ্চ বিদ্যালয় ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রহিম, সহকারী শিক্ষকবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।তার আগে ফিরোজ আহম্মেদ সবুজ সংগঠন ও মাসুদ সংগঠন ও সৌমিক হাসান রুপমের নেতৃত্বে শ্রমিক কর্মচারীদের নিয়ে দর্শনার শহরে র্্যালি প্রদিক্ষন করে।র্্যালি শেষে মাসুদ সংগঠনের পক্ষ থেকে কাঙ্গালী ভোজ অনুষ্ঠিত হয়।

দেশ স্বাধীনতা লাভের বিষয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সহ সংক্ষিপ্ত আলোচনার করা হয়। এছাড়াও দিনব্যাপী ব্যাপক কর্মসূচির মধ্যদিয়ে দিবসটি উদযাপন করা হয়েছে।

কর্মসূচির মধ্যে রাত ১২টা ১ মিনিটে চিনিকল মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড ও শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের তোপধ্বনী, বিদ্যালয় ছাত্র-ছাত্রীদের মিষ্টি বিতরণ, মসজিদ, গীর্জা ও মুন্দিরে প্রার্থনা, হাসপাতাল রোগীদের ফলমূল বিতরণ, চিনিকল কর্মকর্তা, শ্রমিক-কর্মচারী ও মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে প্রীতি ভলিবল প্রতিযোগীতা সহ বিভিন্ন প্রতিযোগীতা ও পুরুস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এছাড়া বিজয় দিবসে কেরুজ জেনারেল অফিস, ডিষ্টিলারী কারখানা, কেরুজ ক্লাব ও ইউনিয়ন অফিস আলোকসজ্জা করা হয়েছে। সবশেষে সন্ধায় কেরুজ ক্লাব মাঠে সাংস্কৃতিক সন্ধার আয়োজন করা হয়।




মেহেরপুর হাসপাতালে বাড়ছে শীতজনিত রোগীর চাপ, একজনের মৃত্যু

আজ শনিবার সকাল ৯ টায় মেহেরপুরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শুক্রবার একই সময়ে ছিলো ১০.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঘন কুঁয়াশা আর মৃদু শৈত্য প্রবাহের কারনে মেহেরপুর জেলায় শীতের প্রকোপ দিন দিন বাড়ছে। তীব্র শীতের কারনে মানুষের স্বাভাবিক জীবন যাত্রা কিছুটা বির্পযস্ত হচ্ছে। পাশাপাশি শিশু এবং বয়স্ক মানুষ শীতজনিত নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। এতে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালসহ জেলার বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিক গুলোতে বাড়ছে শীত জনিত রোগীর চাপ।

সরজমিনে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে যেয়ে দেখা গেছে, অ্যাজমা, নিউমোনিয়া, ডায়রিয়া, অ্যালার্জি, সর্দি-কাশিসহ শীতজনিত নানা রোগে মানুষ চিকিৎসা নিচ্ছে সেখানে। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্ক রোগীর চাপে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসকরা। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত দুইটায় দেখা গেছে, শিশু ওয়ার্ডে ৫ নবজাতকের পাশাপাশি ৬২ শিশু চিকিৎসাধীন রয়েছে। এদের প্রায় সকলেই শ্বাসকষ্ট , নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ায় ভুগছে।

এছাড়াও থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত এক শিশু সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছে। মহিলা ওয়ার্ডে ৬৩ জন চিকিৎসাধীন রোগীর মধ্যে ৪০ জনই শীত জনিত নানা রোগের কারণে চিকিৎসাধীন।পুরুষ ওয়ার্ডে ৬৬ জন নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন, পাশাপাশি নতুন রোগী ভর্তি হয়েছেন ১৭ জন। ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ১৭ জন চিকিৎসাধীন, এদের মধ্যে শিশু ১২, মহিলা ৪ ও পুরুষ ১ জন।

এছাড়াও হাসপাতালের এইচ ডি ইউ তে ৪ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আইসিইউতে বর্তমানে ৩ জন ডেঙ্গু ও নিউমোনিয়ার রোগী রয়েছেন। গত ২৪ ঘন্টায় আইসিইউ তে চিকিৎসাধীন ১ জন রোগী মারা গেছেন।

হাসপাতালে কর্তব্যরত ইমারজেন্সি মেডিকেল অফিসার (ইএমও) ডা. মনজুরুল আহসান বলেন, ‘আজ মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের ইমারজেন্সি বিভাগে মোট ১৫১ জন রোগী চিকিৎসা নিয়ে গেছেন। এদের মধ্যে ৬০ জন এসেছিলেন ঠান্ডা জনিত নানা রোগের উপসর্গ নিয়ে।’

মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. জামির মোঃ হাসিবুস সাত্তার মেহেরপুর প্রতিদিনকে বলেন, ‘ বর্তমানে এখানে ভর্তি রয়েছেন ২৩৭ জন রোগী। অন্যান্য রোগীর চাপ কম থাকলেও ক্রমান্বয়ে ঠান্ডা, কাশি, জ্বর, শ্বাসকষ্ট ও ডাইরিয়ার রোগী বাড়ছে। ২৫০ সয্যা মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে মূলত লোকবল রয়েছে ১০০ রোগীর জন্য। এই লোকবল নিয়েই আমরা সেবা দিয়ে যাচ্ছি। শীত বাড়ার সাথে সাথে প্রতিবছরই শীত জনিত রোগীর সংখ্যা ব্যাপক বৃদ্ধি পায়। তবে রোগীর সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পেলেও বর্তমান জনবল দিয়েই সর্বোচ্চ সেবা দেওয়ার প্রস্তুতি আমাদের আছে।’